উমর খালিদকে ম্যাগসেসে দিলে একদল কেমন তড়পাবে, সেটা দেখার খুব ইচ্ছা। আগেরবার রভিশ পাওয়াতে সবাই ভ্যাঁ করে কাঁদতে বসেছিল। আর ব্যানার্জি পাওয়ার পর তো আইটি সেল থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে নোবেল প্রাইজ নাকি বামপন্থী প্রাইজ।
ইমারজেন্সির অন্যতম পাণ্ডা তো বাংলার সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। এখন তো আর কিছু লুকোছাপাও নেই।
@ Icm, কেজরীয়াল RTI র জন্যে পেয়েছেন, জানি। পুরষ্কারও প্রশ্ন পত্রের মত।
ইমারজেন্সি নিয়ে এই আলোচনাটা ভাল লেগেছিল। মধু ত্রেহান খুব এনগেজিং আলোচনা করেন। এই আলোচনায় রাজীন্দর সচ্চরের মত গণ্যমান্য ব্যক্তি আছেন। তভলীন সিং কতগুলো পয়েন্ট খুব ভাল বলেছেন।
আর যাঁদের কথা বলেছি, পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিকতার ইতিহাসে তাঁরা প্রত্যেকেই উজ্জ্বল কৃতিত্ব দেখিয়েছেন, শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। ব্লগে ফুটানি মারেননি!
এল্সিএম, আহ, অনেক অনেক থ্যাংকু। :-)
গৌরকিশোর ঘোষের সঙ্গে জ্যোতির্ময় দত্ত'ও গেছিল জেলে 'কলকাতা' পত্রিকায় জ্রুরী অবস্থার বিরুদ্ধে লেখার জন্যে।
দিল্লীতে কুমি কাপুর এবং বীরেন্দ্র কাপুর। এদের অবস্থা ভয়ংকর হয়েছিল। কুমি কাপুরের মেয়ের জন্ম সম্ভবত তিহার জেল হাসপাতালে। জরুরী অবস্থা নিয়ে বাংলায় কেউ কিছুই লিখল না। কুমি কাপুরের 'Emergency: A personal history' তে ডিটেলড বিবরণ আছে।
মহারাষ্ট্রে দুর্গা ভাগবতের মত বর্ষীয়ান লেখিকাকেও জেলে পোরে ইন্দিরা সরকার।
হাঁ ঘুমোতেই যান।
এর আগে আপনি বঙ্কিম দিয়ে বিদ্যাসাগরের কাজ নস্যাৎ করতে চেয়েছিলেন। সেজন্যই বলেছি।
হে হে হে হে যুক্তি। রেফারেন্স দিলে সাধুভাষা দেখে বঙ্কিমের বাইরে কিছু মনে পড়ে না? হে হে হে হে যুক্তি। যাই ঘুমাই গে।
আচ্ছা সমর সেনকে জেলে ঢোকানো হল না কেন?
১. কালো চশমায় ঢেকে নেওয়ায় শাসকের রক্তচক্ষু তাঁকে খুজে পায়নি।
২. জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেননি।
৩. এই তিনজনের মতো বাঘা সাংবাদিক ছিলেন না।
৪. ম্যাগসেসে পাননি।
৫. ফেসবুকে বুলি কপচিয়েছিলেন মাত্র।
৬. সিলেবাসে ছিল না, তাই কমন পড়েনি।
আশা করব যুক্তি দিয়ে কথা বলবেন। অবশ্যই সকলের কাছে তা আশা করা যায়না।
হ্যাঁ, বাবা বরুণ সেনগুপ্ত। দাদা আমাদের যে সে লোক নন পুরো পোতিবাদি ভাবমুত্তি। ইয়ে হ্যায় পোঁওদ পোদানের দলের ছেলেদের ডায়লগ। এটা ফেসবুক জানতাম না। বুলি তো কলে কপচাচ্ছি জানতাম।
গৌরকিশোর ঘোষ জরুরী অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধিতা করে জেলে গিয়েছিলেন। বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, গৌরকিশোর ঘোষ, বরুণ সেনগুপ্ত র মতো সাংবাদিক শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তাদের বিরুদ্ধে লিখে গেছেন। ফেসবুকে বুলি কপচানো র চেয়ে সেটা ঢের বেশী কঠিন।
আজ্ঞে হ্যাঁ, ইদানীং ম্যাগসাইসাই, সাঁইসাঁই ফ্যাৎফ্যাৎ-ও বলা যায়। তবে গৌরকিশোরের আমলে ওটাকে ম্যাগসেসে বলা হত, হয়তো শেষে শেষ করে দেওয়ার ফন্দি হিসেবেই। পুরনো আন্দোবাজার দ্রষ্টব্য।
ধুর, সংবিধানে আবার রাজেন্দ্রপ্রসাদ আসছে কোদ্দিয়ে? উনি কি চণ্ডাল ছিলেন নাকি?
ম্যাগসাইসাই
কার কথা বলা হচ্ছে? রাজেন্দ্র প্রসাদ নাকি ডঃ আম্বেডকার?
আম্বেদকর ভারতীয় সংবিধানের জনক? জননী কে ছিলেন? নাকি জীতেন্দ্রর ছেলের মতো সিঙ্গল ফাদার কনসেপ্টও চালু করেছিলেন এক সঙ্গে? একটা কমিটি ছিল না? উনি তার প্রেসিডেন্ট ছিলেন না? আমি ইঞ্জিরি ও বাংলা - দুটোতেই মাধ্যমিকে চারবার গাড্ডু মারি। প্রেসিডেন্টের বাংলা জনক বুঝি? তাহলে কমিটির বাকি সদস্যদের কী কাজ ছিল? জনকের ফাইফরমাশ খাটা? নৈবেদ্যর ওপর একটা কলা সাজানো থাকে, দেখতে ভাল্লাগে বলে। বাংলা লব্জও আছে বলে জানতাম নৈবেদ্যর কলা। কিন্তু নৈবেদ্যটার আগাপাশতলা আতপ চালে ভর্তি থাকে। এই আতপ চালের প্রাবল্যকে অস্বীকার করে রাষ্ট্র কলাটাকে দেখাতে চায় নয়নসুখকর মনোমুগ্ধকর ফিলিং আনার জন্য। হায়! চালেদের কোনও কদর নেই, শুধু কলার স্ট্যাটাস। এবং তাতে রাষ্ট্র সফল।
ইলেকশান জেতার জন্য ম্যাগসেসে দেওয়া হয়নি এখনও।
অর্জুন, অরবিন্দ কেজ্রিওয়াল ২০০৬ সালে ম্যাগস্যাসে পেয়েছিলেন ইন্ডিয়াতে ন্যাশনাল লেভেলে RTI (Right to Information Act, 2005) - ক্যাম্পেইনে ওর কাজ নিয়ে। সমতুল্য কোনো ক্যাম্পেইনে নব্বই-এর দশকে মমতা কাজ করেছেন কি না আমার জানা নেই - যদ্দুর জানি তেমন কিছু নেই।
নবদ্বীপ বকুলতলা স্কুলের ছাত্র গৌরকিশোর ঘোষ - যিনি আমার পিসির শ্বশুরমশাইকে তাঁর দেখা দু'জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক (অন্যজন ওই স্কুলের ইংরেজির বাঘা শিক্ষক গৌরী বসু, এমএলএ দেবী বসুর অগ্রজ) হিসেবে আজীবন শ্রদ্ধা করতেন - ম্যাগসেসে পাওয়ার পরে তাঁর সহপাঠীদের অনুরোধে নবদ্বীপের এক অনুষ্ঠানে আসেন। বক্তব্য পেশ করার পরে শ্রোতাদের যার যা প্রশ্ন আছে সেসব জিজ্ঞাসা করার জন্য বলেন। কতিপয় অতি পক্ক তরুণ এই মুহূর্তটার জন্য অনেকক্ষণ ধরে স্টেজের একপাশে দাঁড়িয়ে উশখুশ করছিল। তাঁদের মধ্যে আমাদের মৃণালদা প্রথম প্রশ্নটাই করে বসেন - আপনি তো নকশালদের বিরুদ্ধে একচেটিয়া লেখার জন্য এই পুরস্কারটা পেলেন, তাই না?
বলা বাহুল্য, গৌরকিশোর প্রথম ওভারের প্রথম বলেই মৃণালদার এহেন বাউন্সারটার জন্য আদপেই প্রস্তুত ছিলেন না। তো তিনি স্টেজে ফাম্বল করতে শুরু করেন। বিপদ বুঝে সহপাঠীরা গৌরকিশোরকে চ্যাংদোলা করে স্টেজের বাইরে নিয়ে যান। সাজানো বাগানটি মুহূর্তেই শুকিয়ে যাওয়ায় অনুষ্ঠানের ওখানেই অকালমৃত্যু ঘটে! একদম আখোঁ দেখা হাল লিখলাম। আর ওজ্জুন ম্যাগসেসে নিয়ে কী আদিখ্যেতাটাই না দেখাচ্ছেন! যেন না পেলে নষ্ট জীবন।
নতুন লেআউটে, বাংলা ইংরেজি মেশানো - যেমন-খুশি ক্লিক করে ইংরেজি লিখে তারপরে আবার গুগল/গুরু ক্লিক করে বাংলা লেখা
আর একটা প্রশ্ন আমি abhyu এই বাংরেজি জিনিসটা নতুন লে আউটে কিভাবে লিখব? সেই কৌণিক বন্ধনীর ব্যাপারটা উঠে গেছে মনে হচ্ছে।
@Icm মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখার সঙ্গে খুব বেশী পরিচিত নই। এই ছেলেটি বলল গদ্য লেখার হাত মন্দ নয়। ম্যাগসেসের ক্যাটাগরি সব মনে পড়ছেনা। আপনি বললেন ক্যাটাগরিগুলো। ইমারজিং লিডারশিপ হিসেবে তাহলে ৯০ র দশকেই পাওয়া উচিৎ ছিল। তখন অবশ্য ওঁর আন্তর্জাতিক পরিচিতি গ্রো করেনি। যাইহোক, পেলে ভাল হত।
ল্যাদোশদা, সেই সাথে একটা কী-ম্যাপ দিয়ে দাও প্লিজ - সেই ত্রেতা যুগে যেমন থাকত।
অ্যা লিখতে গেলে ayA এই সব আর কি!
সেকি ঐ ছড়া, কবিতা টবিতার জন্যই তো ডিলিট পেলেন না? নাকি সোশাল সার্ভিস? নিজেরই অ্যাপয়েন্টেড সেনেট মেম্বারদের থেকে।
থ্যাঙ্কু
এখানে বলে রাখি ছেলেটিকে ম. ব. কে ঐ কথাটি জিজ্ঞেস করার পরামর্শ আমিই দিয়েছিলাম। বলেছিলাম জোর দিয়ে বলবে 'আপনার রাজনৈতিক জীবনটা ভাল করে লিখুন। লেখার অনেক উপায় আছে। হাতে না লিখতে ইচ্ছে করলে টেপ করে রাখতে।' এত বছরের এত অভিজ্ঞতা।
দেখেছি লসাগুদা। থ্যান্কু।
S, Atoz, Abhyu,
'পুরোনো গুরু' একটা বাটন দেওয়া হয়েছে, ওপরে ডান দিকে 'সাহায্য' বাটনের পাশে, ক্লিক করলে একটা পপ-আপ খুলবে, ওখানে লিখে 'কপি' বাটন করলে লেখা মেইন বাক্সে চলে আসবে।
যাদবপুরের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের এক ছাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যাের পলিটিক্যাল রাইটিং আর অসমের এক মহিলা সোস্যাল অ্যাকটিভিস্টের লেখার কম্প্যারাটিভ স্টাডি করে পি এইচ ডি করছে। ছেলেটি ফুলব্রাইটও পেয়েছে। সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে নাকি ইন্টার্ভিউ করতে গিয়ে বলেছিল 'আপনি ওসব ছড়া, কবিতা টবিতা না লিখে আপনার রাজনৈতিক জীবনটা মন দিয়ে লিখুন।'