প্রতিভা মাপার দাঁড়িপাল্লা কোনটা। আপনজন, হারমোনিয়াম হিট হয়েছিল? দাদার কীর্তি? কারা ছিল সেসব ছবিতে?
একেবারেই ফালতু কথা।বরুণ চ্ন্দ কে দিয়ে সত্যজিৎ কখনোই ফেলুদা করার কথা ভাবেন নি।উনি সৌমিত্র কে ভেবেই ফেলুদার চরিত্র সৃষ্টি করেছিলেন।স্কেচ গুলো ও এঁকে ছিলেন।
বরঞ্চ বলা যায় ;গুপী চরিত্র অভিনয় করার জন্য, সৌমিত্র জেদ ধরেছিলেন।সত্যজিৎ বলেছিলেন,ওই গ্রাম্য লুক আসবে না। সৌমিত্র বলেন মেক আপ দিয়ে ম্যানেজ হয়ে যাবে।সত্যজিৎ না করে দেন।
কাজের ব্যাপারে আপস করতেন না, মানিক বাবু ।
এসেম, আমাকে আপনার 'অর্ণব গোস্বামী' শিরোপা দেওয়াটা আমি শিরোধার্য করলাম। এটা আমার বিশাল পাওনা। তুমি (আপনি) ছাড়া (গুরু) শূন্য লাগে। কাফে কাফে।
ব্যাস ফাঁদে পড়ে গেছেন। এবার পরপর শুভেন্দু শমিত স্বরূপ , সতীন্দ্র, অনুপ কুমার ,তপেন মায় ,কালিব্যানার্জির নাম অবধি চলেআসবে ! এঁরা সক্কলে সৌমিত্রর থেকে বেশী প্রতিভাবান .!। রেফারেন্সও আসবে । একে একে, নেপোটিজম আসবে, বংশ পরিিচয় আসবে, পার্টিশন আসবে, জাত পাত আসবে,অবাঙালী প্রযোজক আসবে, হলিউড ফিল্ম আসবে, সাম্রাজ্য বাদ আসবে। নেড়ে চেড়ে ঘন্টপাকিয়ে পরিবেশনকরে দিলেই হলো।
এলেবেলে চিরকালই স্পষ্ট বক্তা, ভনিতাহীনও। ৮০-র পরে পুরো বাংলা সিনেমাটাই ভোগে চলে যায়। তখন প্রথমে অঞ্জন চৌধুরী ও পরে স্বপন সাহার জমানা। সেসব ছবিতে কালী ব্যানার্জি-শুভেন্দু-সৌমিত্র চুটিয়ে কাজ করেছেন এবং একই চরিত্র, একই সংলাপ, একই এক্সপ্রেশন। কালী-শুভেন্দু মারা যাওয়ার পরে নায়ক বা নায়িকার বাবায় সৌমিত্র একচেটিয়া নতুবা হতাশাগ্রস্ত বৃদ্ধের ভূমিকায়।
এই অবস্থাটার পরিবর্তন আসে ২০০৫ নাগাদ। যখন বাংলা সিনেমায় নায়ক নামক কনসেপ্টটির মৃত্যু হওয়ায় পরাণ বন্দ্যো-খরাজ-শাশ্বত-পরম-রুদ্রনীল-রজতাভ প্রমুখ একগুচ্ছ শক্তিশালী অভিনেতা আবির্ভূত হন। পরে ঋত্বিক। দীপঙ্কর ভিলেন বনে যান, সন্তু আউট, শমিতের মৃত্যু, স্বরূপ দত্ত-ধৃতিমান ব্রাত্য।
প্রসঙ্গত ফেলু করার সময়ে সত্যজিতের পছন্দ ছিল এই রকমের -- ১) বরুণ চন্দের হাইট, ২) শুভেন্দুর মুখশ্রী, ৩) ধৃতিমানের কণ্ঠস্বর এবং ৪) সৌমিত্রের অভিনয়। এর অর্থ দাঁড়ায় পরিচালকরা ইচ্ছে করলে সৌমিত্রকে রিপ্লেস করতে পারতেন।
আর উত্তমকে রিপ্লেস করে বাঞ্ছারামের বাগানে দীপঙ্করকে নেওয়ায় উত্তমের প্রতিক্রিয়া আপনার অজানা থাকার কথা নয়।
এলেবেলে নিজেকে পিটির লেভেলে নামিয়ে আনার জন্য পিটি যারপরনাই আহ্লাদিত।
"৮০ থেকে সৌমিত্র শেষ": হতেও পারে নাও হতে পারে। কিন্তু ৮০ র পরে আরো একটা সৌমিত্র কেন উঠে এলো না সেটা ভাবার বিষয়। অথবা কেন তিনটে-চারটে সৌমিত্র ছিলনা সেটাও ভাবার বিষয়।
উত্তম-্সৌমিত্র ইত্যাদিদের replace করার মত কারা ছিল ঐ সময়-্কালে সেটা জানালে বাধিত হই।
এলেবেলে ,এবার বোঝা যাচ্ছে,দিন কে দিন আপনার বোধ শক্তি ক্রমশ কমছে।সৌমিত্র ই নিজেকে বামপন্থী বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে ন,আমি নই।
সৌমিত্র বড় স্টার ও সিনিয়র আর্টিস্ট। সৌমিত্রর প্রথম বই অপুর সংসার ১৯৫৯ আর শুভেন্দু এর প্রথম ছবিতে নাম হয় আকাশ কুসুম ১৯৬৫।
আর বিশেষ কিছু বললাম না।ফালতু হ্যাজ আসবে।শুভেন্দু এর শমিত সৌমিত্রর চেয়ে বড় স্টার!!
আর, গারল্যান্ড ক্যানন যা বক্তব্য রেখেছেন,সেটার রেফারেন্স দিয়ে দিয়েছি। বিদ্যাসাগর এর যে সিরিয়াল টি চলছে, সেটি এতো নিন্ম মানের যে পড়তেই ইচ্ছে হয় না।মন্তব্য করা তো দূরস্থান!
আপনি , গাঁজা গোপাল এর বিবেকানন্দ এর মতোন একটি বৃহৎ গ্রন্থ বার করুণ। আশীর্বাদ করি বছরে দুটি সংস্করণ বেরোক।
এগুলোর একটাও একস্ট্রিম মন্তব্য নয়। নিজস্ব উপলব্ধি। সেটা বলার হক আমার আছে। লিখিতভাবেই। আপনার ভোটারদের ছাগল বলার মতোই।
এলেবেলেঃ
যে কোন বিষয়ে extreme মন্তব্য করা থেকে দয়া করে বিরত হোন। "উত্তমকুমড়ো", অরণ্যের দিনরাত্রি খাজাস্য খাজা", "ফেকলু বাম নেতা" ইত্যাদি, প্রভৃতি মন্তব্য আপনার বিশ্লেষণি ক্ষমতাকে খাটো করেই দেখায়।
আপনার পাঠানো ফেবুর মন্তব্যগুলোতে আমি এখনো "কদর্য, ..কুৎসিত, ...রুচিহীন দলবাজি"" খুঁজছি।
চোখে আঙুল দাদা খুব স্পষ্ট ভাষায় বলছে ৮০ থেকে সৌমিত্র শেষ। তারপরে স্রেফ ব্র্যান্ড। উত্তম-অনিল-শুভেন্দু মারা যাওয়ার পরে ফাঁকা মাঠে গোল। বাবা কেন চাকর করে বেঁচে থাকা। ক্রিয়েটিভিটি এবং চ্যালেঞ্জড হওয়ার ভয় খতম।
কবি এবং আবৃত্তিকার - না পড়লে এবং শুনলে সাহিত্যের কোনও ক্ষতি হওয়ার কথা নয়।
নাট্যকার-পরিচালক - না কমার্শিয়াল, না গ্রুপ। মাচার সোফিস্টিকেটেড ভার্সন।
এক্ষণ - মূলত বিজ্ঞাপন সংগ্রাহক।
লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট - তাঁকে আনন্দবাজারের লাগাতার লাস্ট রেনেসাঁস ম্যান বলে চিহ্নিতকরণ। এই 'লাস্ট' আর তাদের ফুরোচ্ছে না। রবীন্দ্রনাথ থেকে সত্যজিৎ হয়ে সৌমিত্রে পৌঁছেছে। এবং সূক্ষ্মভাবে রেনেসাঁসকে প্রমোট করাও চলছে পুরোদমে। আর্বান কালচারের হদ্দমুদ্দ।
নিন, এবারে প্রাণ ভরে গালি দিতে শুরু করুন।
নানাকাজে আসতে পারিনি কিছুদিন - সবাই ভালো তো?
নব নব রূপে গুরু দেখে একটু ভেবলে গেছিলাম .
ভাটের পাতা দেখে ভরসা হোলো - গুরু আছে গুরুতেই -
এইখেনে একটা কথা বলে যাই - আমার পুরানো ফেবু অ্যাকাউন্টটা বন্ধ করেছি এবং নতুন একটা খুলেছি - গুরুর অনেকে সেখানে আমার বন্ধু তালিকায় ছিলেন - তাঁদেরকে জানানো হয়নি আলাদা করে। নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার পরে এতো বেশী হাবিজাবি রিকো এসেছিলো যে একসাথে সব ডিলিট মারতে গিয়ে কিছু ভ্যালিড রিকো ও ডিলিট হয়ে যেতে পারে। কেউ যেন ভুল বুঝবেন না। আরেকবার রিকো পাঠাবেন প্লিজ।
আর পুরনো বন্ধুরা আরেকবার মনে করলে খুবই খুশী হই - :-))
দেওয়ারও দেওয়ার দায়ও
অরণ্যের দিনরাত্রি যে একটি খাজাস খাজা সিনেমা - সেই কথাটা বোধহয় বছর দুয়েক আগে এখানে বলেছিলাম এবং তার জন্য আপনার বিস্তর গালমন্দ কুড়িয়েছিলা। না আপনার চলচ্চিত্রবোধের সাট্টিফি দেওয়ার দায় আমার নেই। ঠিক একইভাবে সৌমিত্রকে 'বামপন্থী' সাট্টিফি দেওয়ারও কারও থাকা উচিত নয়। সেটা আগ বাড়িয়ে কেউ দিলে বিষয়টা হাস্যকর হবে, এই যা।
সৌমিত্র অশনি সংকেত-এর সময় ট্রলি ঠেলছেন নায়ক হয়ে-কে গ্লোরিফাই করা হলে অ দি-তে তাঁর স্বার্থপর আচরণও প্রশ্নের মুখে পড়বে। তিনি সিনেমাটির নায়কও নন, একা স্টারও নন। মদ খেতেন না, তা-ও নয়।
আর সৌমিত্র নিয়েও একদা আপনার সঙ্গে তক্কো ভুলিনি। সুপ্রিয়া নিয়েও।
বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গটা অযথা এনেছেন বলে বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার সাধের গারল্যান্ড ক্যাননকে দিয়ে আপনার জোন্সকে দুরমুশ করার সময়ে আপনার টিকিটিও দেখতে পাইনি।
a রেগে যাইনি। প্রশ্নই নেই। শুধু বলেছি ট্যাগটা আমার গায়ে এঁটুলির মতো না সাঁটতে। যেহেতু সত্যজিৎ, সৌমিত্র ও সুপ্রিয়া নিয়ে এখানে প্রচুর কথা বলেছি, তাই শর্মিলার প্রসঙ্গ এসেছে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়ে অযথা নাক সিঁটকানি কেন?
পিটিস্যার, সামান্য বাদে নির্দিষ্ট ছবি দিচ্ছি। আপনি সৌমিত্রকে 'বাম' বলেছেন সে কথা আমি একবারের জন্যও বলিনি। কাজেই আপনার মুখে কথা বসানোর প্রশ্ন নেই।
এই সব পাণ্ডিত্যপূর্ণ মন্তব্যকারীদের দেখেই বোধহয় মনোজ মিত্র "চোখে আঙুল দাদা নাটকটা লিখেছিলেন।
এহেহে এলেবেলেবাবু নির্মোহ ব নিয়ে রাগ করেছেন দেখলাম পিছিয়ে গিয়ে, তাই আমার আগের মন্তব্যটা ওনার খারাপ লাগলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
সৌমিত্রর ব্যাপারে যেটা বলবার সেটা হল অপরীসীম কাজের বিস্তৃতি, সেটা রয়েই Jaabe.
অদ্ভুত একটা স্টাইল শুরু হয়েছে।প্রথমেই কোন বিখ্যাত ব্যক্তির কষে নিন্দে করে দিলাম। সেটা আবার তাঁর কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক বহির্ভূত হলেও চলবে।
যেমন গাভাস্কার বেঁটে কেন?সৌমিত্র কেন নিজেকে বাম পন্থী বলতো, সুনীল কেন গদ্য লিখতো,তারাপদ কেন সহজ সরল কবিতা লিখতো,সত্যজিৎ কেন বিলিতি মিউজিক শুনতো, বিদ্যাসাগর কেন ইংরেজি জানতো,রাম মোহন কেন ব্রিটিশ দের সঙ্গে মিশতো, সুকুমার রায় কেন ছড়া লিখতো; উত্তমকুমড়ো কেন নায়ক?এরকম অজস্র হাবি জাবি।
এতো দিন দিন অর্ণব কে ছড়িয়ে যাচ্ছে! একটু সংযত হোন না ভাই টি!
এহেহে পিটি স্যার রাজনীতি নামক সিন্মাটি দেখেননি? তাতে ক্যাটরিনা কাইফ বলে এক অভিনেত্রীর স্পিচটা অনেকটা এই "এখনো চোখের জল শুকোয়নি"টাইপের ছিল। বিশুদ্ধ ভাট, বাদ্দিন।
কিন্তু এলেবেলের নির্মোহ ব পচে গিয়ে কি না বেরোল শর্মিলার সাক্ষাতকার? e মানে ক্ষমাহীন
হ্যাঁ সমস্যা হল , বাঙালি সংস্কৃতির যেটা মেনস্ট্রিম ছিল সেটা মোটামুটি প্রোগ্রেসিভ ছিল, কাস্ট ইনকলুসন বাদ দিলে, কিন্তু স্ট্রাইক বিরোধী তার না করে। অথরেটেরিয়ান বিপদের আমলে আপনি এর মধ্যে আলাই খুঁজে না পেলে বলতে হবে আপনি অথরেটেরিয়ান রেজিমের বিপদ সম্পর্কে সচেতন নন। মানে ধরেন, আশির দশক অব্দি হিন্দি সিনেমায় একটা ট্রেড ইউনিয়ন লিখার দেখা যেত, বাংলা সিনেমা য় দেয়াল লিখন দেখা যেত। নানা অর্থেই। এই দিল ওয়ালে মার্কা সাফল্য আর ন্সটালজিয়ার দাপট অন্য দিকে জ্যাকি চ্যান প্রভাবিত সাউথ সিনেমা তেমন হিন্দি ফিল্ম কে বাজে ভাবে প্রভাবিত করেছে , তেমনি আমাদের এদিকে মাল্টিপ্লেকস ইত্যাদি একটা নতুন করে আবদ্ধ করেছে নেটফ্লিকস এও সেটাই হচ্ছে। পপুলার কালচার খুব ই জটিল বস্তূ এখন তো কনজাম্পশন টাই বদলে গেছে। কিন্তু তার মধ্যে সৌমিত্র দের সময়ে যেটা হয়েছে ওনার রাষ্ট্রকে , পারটিকে লাগেনি ঠিক ই, কিন্তু অন্য দিকে চর্চায় খুব বেশি নিরীক্ষায় যেতে পারেন নি, সংসির টা চালাতে হয়েছে। এঁরা অন্তত দিল্লি বেঙ্গালুরু কত এগিয়ে গেল বলে হা পিত্যেশ করেননি, শুধুই গ্লোবালাইজেশন পরবর্তী চোখ দিয়ে নিজের সময় কে দেখেননি , স্টেট এন্টারপ্রাইজ এ নাম নালিখিযে সরষের তেলের বিজ্ঞাপন করে সংসার চালিয়েছে ন, এটা আমাদের কাছে অনেক পাওয়া, এটা সোজা না।
@এলেবেলে: কোনটা "কদর্য, ..কুৎসিত, ...রুচিহীন দলবাজি"? এখনো অপেক্ষায় আছি।
সৌমিত্রকে কোনকালেই "নিজের লোক" বলার মত কোন কারণ দেখিনি। আপনি হাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে নেমে অন্যের মুখে নিজের পছন্দের কথা বসাবেন না।
""আত্মীয়দের চোখের জল শুকোয়নি" কোন ঢাল নয়, নেহাতই ভদ্রতাসুলভ মন্তব্য। অতীতেও সৌমিত্রকে নিয়ে গুরুতে তিক্ত আলোচনা হয়েছে।
শ্রীমান এলেবেলে,আপনার কাছে চলচ্চিত্র বোধের সার্টিফিকেট কেউ চেয়েছে কি? আপনি ,চলচ্চিত্র ছেড়ে,সত্যজিৎ,সৌমিত্র, টিনু কেন আলাদা ব্যবস্থা করে থাকতো,এই বস্তা পচা, প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন।
আলাদা ব্যবস্থা কি ছিলো বলেন নি।
সৌমিত্র এর জন্য যদি আলাদা ব্যবস্থায় থাকে বা একস্ট্রা প্রিভিলেজ পায়,সেটা দিয়েছে ডিরেক্টর এবং প্রডিউসার।
এর মধ্যে চলচ্চিত্র বোধ কোথা থেকে এলো? সিনিয়র আর্টিস্ট ,বেশি ফেমাস,তাই তার যোগ্য ট্রিটমেন্ট পেয়েছেন। সৌমিত্র কি মানিকদার হাত ধরে বলবে আমি ডরমিটরি তে থাকবো?! সেই দিয়ে বিচার হবে,উনি বাম পন্থী কিনা?
সব কিছুকেই কি বিদ্যাসাগর এর সিরিয়াল এপিসোডের লরি ভর্তি,টিস্যু রোল বানিয়ে ফেলতে হবে না কি?
সেটা আলোচনা চলাকালীন উপলব্ধি করেছিলাম হাড়ে হাড়ে। সত্যজিৎ-সৌমিত্র প্রায় ভগোমান গুরুর অধিকাংশ দর্শকের কাছে। এবং উত্তমকুমড়োও (নায়ক-এর দৌলতে)।
খ্যাল করি নি। ওকে। সাধারণ ভাবে এটার থেকে বেরোনো কঠিন। হেজেমনির নেচার টাই এই।
ইনটেলেকচুয়াল দের কে সেলিব্রিটি দের দিয়ে রিপ্লেস করা হয়েছে, প্রায় সর্বত্র। এটা শুধু রোল কল, কার দলে কতজন er গল্প না। আমার মনে হয় এটাকে সাধারণ ভাবে স্টেট এর ক্রিটিক কে কোন ঠাসা করার একটা উপায়, এবং এক ই সংগে বিশ্বায়ন পরবর্তী যুগে মেডিয়ার একটা বিস্ফোরণ ঘটায়, বহুদিন করে ইনটেলেকচুয়াল দের পেশাদার হবার একটা সুযোগ এসেছিল, কালচারাল প্রোডাকশন জিনিসটা নতুন না হলেও, আমাদের দেশে প্রথম ভাষা ভিত্তিক সংস্কৃতির জগতে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছিলো। পারফর্মিং আর্টের জগতের এই ট্রান্সফর্মেশন টা কে ধরেই বুদ্ধিজীবি ও সেলিব্রিটি দের বিভিন্ন টেন্ডেন্সি কে ঐতিহাসিক ভাবে প্লেস করা উচিত। সৌমিত্র , অমর্ত্য সেন রা সেই যুগের লিবেরাল, যাঁরা সেলিব্রিটি হওয়ার পরেও স্টেট সেন্সিবল কথ বলেছেন, অনুপম খের হন নি। এটা কম পাওয়া না।
খ, //মুশকিল হল, সত্যজিত রায় আর সৌমিত্র চট্টো সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, আনন্দবাজার কৃত মারচেন্ডাইজিং এর বাইরে গিয়ে কথা বলা সম্ভব কিনা। আমাদের সময়ে প্রায় অসম্ভব।//
হয়েছে, গুরুর মায়াপাতাতেই হয়েছে। আমি-কল্লোলবাবু-বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত একদিকে, এসেম এটাল বিপরীত মেরুতে।
সৌমিত্র নিয়েও হয়েছে। আমি এবং পিটিস্যার। কল্লোলবাবুও ছিলেন।
আমি নর্মালি বুঝি না, একজন শিল্পী কে গান স্যালুট দিলে তাঁর সম্মান বাড়ে কিনা। রাষ্ট্র কোন শিল্পী কে দুর্দান্ত ভাবে সেলিব্রেট করলে আমার বহুত চাপ লাগে।
আমি এই সত্যজিত রায় , সৌমিত্র , এমনকি আচার্য্যি মশাই দের নিয়ে একটু কনফিউজ্ড। প্রথম কথা এতটাই উচ্চমানের গগন্চুম্বী প্রতিভা এঁরা যে কিছু বলতেই ভয় লাগে। মানে আমরা কে? কোনো যোগ্যতাই তো নেই।
আর বাঙালি হিসেবে গর্ব ও হয়, মানে অনেক কেই বলতে ইচ্ছে করে, দেখে যা ভাই আমাদের মেন স্ট্রীম টাই দেখে যা, অলটারনেটিভ তো আর হজম করতে পারবি না :-))
একটা প্রজন্ম ক্রমাগত ভাবে রবীন্দ্রনাথের পরে নিজেদের ভাষা খুঁজেছেন। এবং নাগরিক সংস্কৃতি র এক ধরণের সংজ্ঞা তৈরী করেছেন। ব্যক্তিগত কথা আলাদা , কিন্তু শিল্পটার কাছে বিনীত থেকেছেন, পরম যত্নে কাজ করে গেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ এর পর থেকে ভদ্রলোক বাঙালির সংস্কৃতি r যেটা জনপ্রিয় এবং হেজেমনিক দিক সেটার প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন।
মুশকিল হল, সত্যজিত রায় আর সৌমিত্র চট্টো সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, আনন্দবাজার কৃত মারচেন্ডাইজিং এর বাইরে গিয়ে কথা বলা সম্ভব কিনা। আমাদের সময়ে প্রায় অসম্ভব। সৌমিত্র র বেলায় যেটা দুর্দান্ত সেট হল, আদ্যপান্ত পেশাদার পারফর্মিং আর্টিস্ট বলে, তাঁর জীবনের সেরা দিকটাই হল, একটা শহরের সবরকমএর নাটকে সিনেমায় অভিনয়, সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রে থাকতে থাকতেই তাঁর জীবনের পঞ্চাশ ষাট বছর কেটে গেছে। এ মানে প্রণত হওয়া ছাড়া কিছু করার নেই।
যে সময়টাই তিনি কাজ করেছেন, পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল জিনিস্টা তৈরী হয়েছে আবার ভেঙ্গেও গেছে, সেলিব্রিটি সংস্কৃতি এসেছে, শুধু এখানে না, পৃথিবীর সর্বত্র। টেলিবিশন জিনিস্টা এলো এবং যাবার বেলা হয়ে এলো এ সবের মধ্যেই থেকেছেন।
কিন্তু ঘটনা হল, সৌমিত্র বলে শুধু না, সত্যজিত, সৌমিত্র দের প্রজন্মের অনেকের ই, যেটা প্রধান দিক, বাঙালি সংস্কৃতি উনবিংশ শতকের 'আলোক প্রাপ্তির প্রায় যতিহীন কন্টিনিউয়েশন হিসেবে দেখা, বা বলা হল, সেরকম ভাবে তাঁদের কাজ মিস-য়াপ্রোপ্রিয়েটেড যদি হয়ে থাকে, তাতে তাঁরা বাধা দিয়েছেন , এমন খবর নেই। এই জায়গাটা একটু কিন্তু লাগে। যদিও যাপন ও শিল্প তাঁদের প্রজন্মে অত এক করে দেখার চল ছিল না, এখন আবার নতুন করে উঠেও গেছে।
জানি না, বিশাল ফ্যান, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত ভাবে দেশ বা সময় বা সমাজ সম্পর্কে ঔতসুক্য মেটাতে পারে নি , ওঁর কাজ, তবু শতকোটি প্রণাম।
সৌমিত্র বাবু বামপন্থী , কোন ধরণের বামপন্থী, যথেষ্টা বিশুদ্ধ কিনা ভেবে লাভ নেই। জেন্টীল বামপন্থা তো একটা সোশাল ফোর্স এক সময়ে ছিল। সেটাতে সময়ের প্রতিনিধি হিসেবেই দেখতে হবে। কিন্তু যে ভদ্রলোকের সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা উঠে এসেছিলেন, এবং তার পরে বুদ্ধিজীবি দের বদলে সেলিব্রিটি দের দিকে ঝোঁকেন , যুগের হাওয়ায়, মেনস্ত্রীম এন্টারটেনমেন্ট মেডিয়ার এটাই ক্ষমতা, যে তাঁর প্রয়ান কেও সেলিব্রেশন এ পরিণত না করলে তাঁকেই বাংআলি মেডিয়া সমালোচন করতো। বামপন্থী হয়েও এই গ্রহণযোগ্য্তা ই তাঁর অর্জন।
তবে কোভিড er কারণে যে রেস্ট্রেন্ট আশা করেছিলাম, সেটা আশা করাটাই ভুল হয়েছিল বলা যায়। আমাদের দেশ , মমতা ব্যানার্জি, এবং রেস্ট্রেন্ট :-)))) কোভিড টোভিড বাজে কথা, এইপাবলিক ডিনাইয়াল আনবিলিভেবল :--)))
বাঁচোয়া, অন্তত এই দিন টা দিকে লোকে ভদ্রলোক কে মনে রাখবে না, ভিসুয়াল মেডিয়ার লোক, আমরা আমাদেরবড় হবার সময়কার ছবি গুলো দিয়েই মনে রাখবো।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত।
এসেম, কিছু মনে করবেন না। আপনার চলচ্চিত্রবোধ সম্পর্কে আমি আদপেই শ্রদ্ধাশীল নই। শুভেন্দুও স্টার। আকাশকুসুম। রবি ঘোষও তাই। সৌমিত্র ডর্মিটরিতে থাকতেই পারতেন। কিন্তু আলাদা থাকার প্রিভিলেজটা নিয়েছেন।
হ্যাঁ, জঙ্গলের একটি ঘরে কুলার লাগানো ছিল। শর্মিলা থাকতেন। আর ডাকবাংলোতে কাবেরী বসু ও সিমি।
এর মধ্যে অন্যায় এর কি আছে। চোখের জল শোকায় নি,নামক উপমার ই বা,দরকার কি আছে।চিরকাল বাম পন্থী বলে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন।বুদ্ধ বাবুর সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক। সি পি এম তথা বামেরা নিজের কাছের লোক ক্লেম করতেই পারে। সুকান্ত ভট্টাচার্য কে বামেরা নিজেদের লোক বলেন। অমর্ত্য সেন কেও বলে। সুনীল গাঙ্গুলী কেও বলে।বলতেই পারে। কি অসুবিধে?
'এখনো আত্মীয়দের চোখের জল শুকোয়নি এর মধ্যেই একটি মৃত্যু নিয়ে' সিপিএমের 'আমাদের লোক' বলাটা। একাধিক পোস্ট। ইন ফ্যাক্ট পরশু থেকে এই স্রোত অব্যাহত।
আলাদা ব্যবস্থা বলতে ,এলেবেলে কি বোঝাতে চেয়েছেন,সেটা আগে স্পষ্ট করুন। ওই জঙ্গলের কাছাকাছি এরিয়া তে বিরাট ভালো ব্যবস্থা!??
এনারা তো চলচ্চিত্র শিল্পী।সৌমিত্র সিনিয়র স্টার এবং বেশি বিখ্যাত। সৌমিত্রর জায়গায় উত্তম কুমার থাকলে প্রশ্ন ই উঠতো না।
সৌমিত্রর পারিশ্রমিক ও হয়তো বেশি ছিল।সেটাই স্বাভাবিক। যখন যাত্রা করতে যায়,তখন রবি ঘোষ, শমিত ভঞ্জ এঁরা স্টার এর সম্মান প্যান।এঁদের থাকার ব্যবস্থা ও পারিশ্রমিক আলাদা হয়।যাকে এক কথায় বলে পেশাদারী হায়ারার্কি!
@এলেবেলে: কোনটা "কদর্য, ..কুৎসিত, ...রুচিহীন দলবাজি"?
@এ: "রাজনীতির ক্যাটরিনার" ব্যাপারটা কি?