lcm, আপনার পারসপেকটিভটা আমি বুঝি, এবং আপনি যা বলছেন সে ব্যাপারটা এইভাবেই চলে আসছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। যার জন্য পৃথিবীতে ১৮০-৯০টার ওপর দেশ আর অজস্র সংস্কৃতি থাকা সত্ত্বেও দেখবেন তিন কি চারটি দেশ নিয়ে যত আলোচনা। এখন স্থানীয় চা-চক্রে বা লোকাল সংবাদপত্রে যেটা চলে, গুরুচণ্ডালীর মতন একটা এতটা ডিসট্রিবিউটেড মিডিয়াতেও সেই এক প্রক্রিয়া বা একই থিয়োরির ছকে ফেলা যায় কি না, আমি তা নিয়ে নিশ্চিত নই | হতে পারে যে গুরুচণ্ডালীর যারা কতৃপক্ষ, তাঁরা চান যে এখানে আলাপ আলোচনা শুধু কয়েকটি দেশ বা সংস্কৃতির ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকুক, অন্যান্য দেশ টেশ নিয়ে আলোচনার অবকাশ নেই, জায়গাও নেই | কিন্তু সেটা যদি না হয়, তাহলে একটা বড় ক্যানভ্যাসে অনেক কিছু নিয়ে, অনেক দেশ, অনেক কাল নিয়ে নানানরকম আলোচনার করার একটা ক্ষেত্র থাকে। তার থেকেও যে ব্যাপারটা আমার মনে হয় এখানে প্রাসঙ্গিক, সেটা এই যে, খোলা চোখে, খোলা মনে সারা পৃথিবীর ঘটনাবলী নিয়ে এখানে আলাপ আলোচনা চালানো যেতে পারে। বাঙালী আজকাল সারা পৃথিবীতে প্রায় সব দেশেই অল্পবিস্তর রয়েছেন, এবং "ছোট দেশে" থাকেন, এমন মানুষদের মধ্যে অনেকে হয়ত গুরুচণ্ডালীতেও আছেন। সারাক্ষণ শুধু ভারত আর আমেরিকায় কি হচ্ছে, আর তুলনামূলক আলোচনার সময় শুধু বড়, জনসংখ্যাবহুল দেশগুলো নিয়েই যদি আলোচনা হতে থাকে, তাতে করে এক ধরণের alienation ও বিরক্তি জন্মাতে থাকে | আপনি (এখানে আপনি != lcm) অবশ্য বলতে পারেন, মশাই না পোষায় কাটুন, আমরা এর বাইরে কিছু আলোচনা করতে রাজি নই, এমনকি সংখ্যাগুরু দেশ ব্যতিরেকে আর কিছুতে আমাদের আগ্রহ নেই, সেটা অন্য কথা | সে অবশ্য শেষমেষ সেই সংখ্যাধিকের যুক্তি |
"... যারা অন্যরকমের মতামত দেন, তাঁরা ব্রাত্য হয়ে পড়েন।..."
না, তা নয়। তা কেন হবে। দেখুন ব্যাপারটা সিম্পল। আপনি নিউজিল্যান্ড নিয়ে অলোচনা করতে চাইলে, আমি তো উৎসাহী। কিন্তু আমি নিউজিল্যান্ড সম্বন্ধে তেমন খবর পাই না, জানিও না, টিভিতেও খবর খুব একটা দেখতে পাই না, ইন্টারনেট সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাই - - মানে, অকল্যান্ডে এখন ফুলকপির জোড়া কত করে - এর বাইরে এনগেজ করার মতন জ্ঞানগম্যি আমার নেই। সুতরাং, আলোচনাটা মাঝেমাঝে মনে হবে একতরফা, একটু লিমিটেড। তখন আপনার মনে হবে আপনি ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন।
কিন্তু আপনি যদি চান - এই যে ফোরামগুলিতে ইউএস/চায়না/ইন্ডিয়া - গুটি কয়েক দেশ নিয়ে এক নাগাড়ে আলোচনার মনোপলি ভাঙতে - তাহলে আপনাকেই উদ্যোগ নিতে হবে - আপনি নিয়েওছিলেন - নিউজিল্যান্ডের মতন একটি সুন্দর দেশের বিভিন্ন জায়গা নিয়ে লিখছিলেন - লিখে যান - লিখতে থাকুন - এখানে ভাটিয়ালিতেও লিখতে থাকুন - ঃ-)
দেখুন, কোভিড বাদ দিয়েও - এই যে সব সোশাল মিডিয়া বা ডিসকাশন ফোরাম ইত্যাদি তাতে জেনারেলি যে আড্ডা আলোচনা তক্কো হয় - সারা পৃথিবী জুড়েই - (চায়ের দোকান-টোকান ধরে, সেগুলি এখন অবশ্য বন্ধ আছে) --- তো সেখানে ইউএসএ আর চায়্না - এই দুটি দেশের পিছনে অনেক শব্দ খরচ হয় - আঙ্গোলা-র ডিসকাশন ফোরামেও তাই, গুরুতেও তাই।
কারণ খুব সহজ, এই দুই দেশের ঘটনাবলীর প্রভাব প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনেক দেশের ওপর পরে।
তো এটা একটু হবে। রিপিটিটিভ, একটু বোরিং তো বটেই। আর নিউজ মিডিয়া এদের খবরই ফিড করে, কারণ পাবলিক এই খবর চায় - ডিমান্ড/সাপ্লাই এর মতন। ইন্টারনেট আসার পরে কন্ট্রোলটা এখন ঘেঁটে গেছে, অমুক মিডিয়ায় অমুক দেশের খবর বেশি ফিড করে না, কোয়ি বাত নেহি - অন্য জায়গায় গিয়ে দেখব। কেউই তাদের টিআরপি হারাতে চায় না, ব্যবসা উঠে যাবার ভয়ে।
"অফ কোর্স, আরও কারণ থাকতেই পারে।"
আরে সেটাই তো কথা | আপনার "উল্টো কথার" প্রসঙ্গে বলতে হয় যে, যেই আপনারা (এখানে আপনি != @lcm) সংখ্যাধিক্যকে কারণ বলে গুলিয়ে ফেলবেন তখনই সমস্যাগুলোর সূত্রপাত হতে থাকে। ফোরামে আলোচনা করতে গেলে তখন অপেক্ষাকৃত কম জনসংখ্যার দেশগুলোর কথা মনে থাকে না, সংখ্যার দিক থেকে বহুল নয় এমন ব্যাপারগুলো নজরে পড়ে না, করতে করতে একটা অদ্ভুত ধরণের confirmation bias তৈরী হয়, যেখানে আপনি এবং আপনার মতন যাঁরা, তাঁদের কথা ও বক্তব্যগুলোই প্রাধান্য পায়, যারা অন্যরকমের মতামত দেন, তাঁরা ব্রাত্য হয়ে পড়েন।
হা হা, আমি কিন্তু উল্টো কথা বলছি।
আমি বলছি যে, সবসময় সবকিছু এক ফর্মূলায় ফেলা যায় না - তার একটা অন্যতম কারণ হল সংখ্যা বা ভল্যুম। অফ কোর্স, আরও কারণ থাকতেই পারে।
সংখ্যা বেশি মানে গুরুত্ব বেশি---এটা যদি ঠিক হত তাহলে আজ ভারত জগৎসভায় ----ইয়ে মানে ----শ্রেষ্ঠ আসন---
সব কিছু যে এক ফরমুলায় ফেলা যায় না যখন লিখলেন, যদি মন থেকে লিখে থাকেন, তখন ধরে নেওয়া যেতে পারে কি যে "সংখ্যা বেশী মানেই গুরুত্বও বেশী" এই থিসিসটাও বাতিল করে দেবেন কোন একটা সময়ে? :-)
হা হা --- "আপনাদের যুক্তি সব এক-ই"
সব এক কি করে হবে। সব সমস্যা এক নয়। সমাধান ও সবসময় একরকম নয়।
সব দেশে এক সমাধান - সাম্যবাদের এক অসাধারণ থিওরেটিক্যাল কনসেপ্ট হওয়া সত্ত্বেও, সোশালিজম/কম্যুনিজম গ্লোবালি ফেইল করেছে, এক হাতুড়ি সব জায়্গায় মারতে গিয়ে।
কালনা মিউনিসিপালিটি আর কলকাতা মিউনিসিপ্যালিটি --- দুটোই মিউনিসিপালিটি, নগরপালিকা। কিন্তু, যা কালনাতে রাতারাতি ইমপ্লিমেন্ট করা সম্ভব তা হাতুড়ি মেরে গাজোয়ারি করে কলকাতায় করা সব সময় সম্ভব নয় -- কারণ সব এক নয়।
আপনি সাদা কালো বিভাজনই দেখুন না - ৭৭% সাদাদের দেশে ১২% কালোদের একজন রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন - দু দুবার (২০০৮, ২০১২) --- কিন্তু সেই দেশে সাদা পুলিশ অফিসার কালো মানুষকে হাঁটু দিয়ে চেপে মেরে ফেলে।
সবকিছু এক ফরমূলায় ফেলা যায় না।
যেমন বহুকাল বোঝাই যায় নি ম্যালেরিয়া ঠিক কীভাবে বিস্তার লাভ করে। বহুকাল ধরা হত বাতাসে ছড়ায়, ম্যাল এয়ার, দূষিত(রোগবাহী) বাতাসজনিত অসুখ। তারপর ধরা পড়ল যে মশা এর বাহক।
যেসব দেশগুলোতে প্রচন্ড প্রাদূর্ভাব আর যেসব দেশগুলোতে খুব কম প্রাদূর্ভাব---সেইসব দেশের নানা ব্যাপার, জনসংখ্যা, কালচার, সামাজিক অবস্থা, রীতিনীতি ইত্যাদি তুলনা করে দেখার দরকার ছিল। তাহলে হয়তো কোনো ন্যাচেরাল কজ বোঝা যেত, যেটা হয়ত একেবারেই ওভারলুক করে যাচ্ছেন সবাই। তাহলে হয়তো সহজতর হত মোকাবিলা।
@lcm: "প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি আলাদা - শুধু ভল্যুম বা সাইজ নয় -- আরও নানারকম্ম হাজার রকম দিক দিয়ে আলাদা।"
আপনার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত | এটাই তো কথা।
সাইজ খুব একটা ম্যাটার করে না কিন্তু majoritarian লজিক বাদ দিলে |
@lcm,
"আমি শুধু ভল্যুম আর সাইজের কমপ্লেক্সিটির কথা বলছি - সেখানে কোনো প্রেজুডিস এর জায়গা নেই - সেটা নিতান্তই সংখ্যাজনিত।"
"৪৮ লাখ মানুষের একটি ছোট্ট আইল্যান্ড কান্ট্রির সঙ্গে - ইউএস, ব্রেজিল, ইউরোপের জনবহুল দেশগুলি, রাশিয়া, চায়্না, ইন্ডিয়ার -- মতন বড় কমপ্লেক্স দেশগুলির তুলনা করছেন। আশা করি এবার বুঝতে পারছেন, যে কেন এই আলোচনাতে নিউজিল্যান্ড আসে না, কারণ কম্পারিজন স্কেলেই আসে না - যেমন আসে না ৪৮ লাখ লোকের দেশ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ৭ লাখে লোকের দেশ ভূটানের"
এই যে বারবার করে সংখ্যা দিয়ে গুরুত্ব জাহির করে যাচ্ছেন, সংখ্যা ==গুরুত্ব বলছেন, এই যু্ক্তি majoritarian লোকের যুক্তি | এই যুক্তি বুঝিয়ে দেয় যে যাদের সংখ্যা কম, যারা সংখ্যালঘু, তারা আর সংখ্যাগুরুরা শুধু সংখ্যার কারণে তুলনীয় নয়। সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে না ভাবলেও চলবে, "ওরা" ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। তাই আলোচনা শুধু সীমাবদ্ধ থাকে ভারত, আমেরিকা,চীন, ব্রেজিল,ইউরোপের জনবহুল দেশগুলি" র মধ্যে |
এই একই যুক্তি দিয়ে আমেরিকায় সাদা পুলিশ কালো মানুষের গলায় পা দিয়ে টিপে মেরে ফেলে।
এই একই যুক্তিতে ভারতের হিন্দু উগ্রপন্থীরা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করে |
আপনাদের যুক্তি সব এক-ই ,শুধু প্ল্যাটফর্মটাই যা আলাদা!
অরিন,
আপনি তো চান যতটা সময় এবং গুরুত্ব দিয়ে ইউএসএ/চায়না... এই সব দেশ নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা হয় সেরকম গুরুত্ব দিয়েই নিউজিল্যান্ড নিয়ে আলোচনা হোক - এ নিয়ে আপনি প্রায়ই অভিযোগ করে থাকেন - এবং তথ্যগত ভাবে আপনার অভিযোগ একদম ঠিক।
কিন্তু দেখুন, যখন ভূটান যখন আলোচনায় ঢুকছে তখন আপনি জানতে চাইছেন যে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনায় কেন ভূটানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। আবার সেই সঙ্গে আপনি খুশিও হয়েছেন যে ভূটানের মতন ছোট দেশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে।
আসলে এটি পরস্পর বিরোধী কিছু নয়।
এই যেমন, যিনি আফ্রিকার কথা বললেন - সত্যি আফ্রিকার অনেক দেশে তেমন প্রভাব পড়ে নি - যেমন, আঙ্গোলা - ৩ কোটি দেশের লোকে এখনও পর্যন্ত ১ জন মারা গেছেন কোভিডে। ইউএসএ-তে(৩৩ কোটি) সেখানে আড়াই লাখ পরিয়ে গেছে মৃতের সংখ্যা। কিন্তু দেখুন আলোচনায় আঙ্গোলা নেই।
কারণ, প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি আলাদা - শুধু ভল্যুম বা সাইজ নয় -- আরও নানারকম্ম হাজার রকম দিক দিয়ে আলাদা।
আফ্রিকার দেশগুলোতে আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও করোনার প্রাদূর্ভাব কম কিছুটা, তাই নয়? অবশ্য মিডিয়ানির্ভর দুনিয়া। কোনটা সত্যি কোনটা নয় কেই বা জানে! "তুমি বাজীকরের মেয়ে শ্যামা, যেমন নাচাও তেমনি নাচি"
আমি কোথায় লিখলাম তুলনা করা যাবে না? আপনি কেন তুলনা টানছেন সেইটাই তো জানতে চাইছি। :-)
আপনার ভলিউম আর সাইজের ব্যাপারটায় পরে আসছি।
অরিন,
আর, আপনার প্রশ্নটা আপনাকেই করি :-)
ভুটানের মতন একটা ছোট অল্প সংখ্যার দেশের মানুষ কীভাবে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করছে সেটি কেন নিউজিল্যান্ডের মতন একটি অপেক্ষাকৃত বড় দেশের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না? এ কেমন অদ্ভুত যুক্তি এবং দৃষ্টিভঙ্গি? একটু চিন্তা করে দেখুন।
আমি শুধু ভল্যুম আর সাইজের কমপ্লেক্সিটির কথা বলছি - সেখানে কোনো প্রেজুডিস এর জায়গা নেই - সেটা নিতান্তই সংখ্যাজনিত।
আপনিও করতেন অতো টাকা দিলে আর সংসারের য়্যাতো টাকার দরকার হলে!
এই যাঁরা পাঁজি রাশিফল এসব দ্যাখেন ট্যাখেন, গ্রহরত্নের আংটি কিনে পরেন, বিভিন্ন ভাগ্যগণকের কাছে গিয়ে ভাগ্য গণনা করিয়ে নেন, এসব জিনিস কি বেআইনী? এসব তো তাঁদের ব্যক্তিস্বাধীনতা, তাই নয়? হনুমানযন্ত্রের বিজ্ঞাপণ নিয়ে অনেকে দেখি দুঃখ করেছেন, এতবড় নামকরা অভিনেতা কিনা হনুমানের বিজ্ঞাপণে কাজ করলেন!
ইঞ্চির হিসেবে গলদ আছে মনে হয় .
ইদানীং খবরে দেখলাম নিউজিল্যাণ্ডে মুসলমান মহিলারা যারা পুলিসে কাজ করে, তাদের জন্য হিজাবসহ টুপি। ভাল লাগল।
"যেমন আসে না ৪৮ লাখ লোকের দেশ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ৭ লাখে লোকের দেশ ভূটানের।"
এই যে কোন দেশের জনসংখ্যা, ঘনত্ব দিয়ে সে দেশকে বিচার করছেন, এতে করে আপনার প্রেজুডিস এর বাইরে আর কিছু বোঝা যাচ্ছে না। একটা ছোট অল্প সংখ্যার মানুষের দেশে কমপ্লেক্সিটি নেই? এ কেমন অদ্ভুত যুক্তি এবং দৃষ্টিভঙ্গি? একটু চিন্তা করে দেখুন।
ভারতের লাদাখ টাদাখও তো চীনে নিয়ে নিচ্ছে শুনছি। সেসবেরই বা কী ফয়সালা হচ্ছে?
গোষ্ঠী ইমিউনিটি তৈরীর কী একটা ব্যাপার ছিল না? সেটার কী হল?
ফায়সালা হয়নি তার কারণ চীনের সাথে পাঙ্গা নেওয়ার দম নেই এখন কোনো দেশের . সবার টিকি চীনের কাছে বাঁধা।
সুইডেন তো প্রথমে বলেছিল যে কোনও লকডাউন হবেনা ইত্যাদি। এখন রোজ কয়েকহাজার করে কেস হচ্ছে।
জেসিন্ডা আর্ডেনের কৃতিত্ব তো আছেই।
সাউথ কোরিয়াও তো শুনলাম খুব ভালো কাজ করেছে।
সুইডেনের আবার কী হল?
নিন, ভক্তিভরে বসলুম। এট্টু নিউজিল্যান্ডের গপ্পো শুনে কেতাত্থ হই। পাহাড়টাহাড়ের পোকিতিমুলক ছপিও দিয়ে ফেলুন।
"... ভুটানের সঙ্গে নিউ জিল্যান্ডের covid19 নিয়ন্ত্রণের তুলনা ঠিক কি কারনে করতে চাইছেন? ... "
ঠিক যে কারণে আপনি ৪৮ লাখ মানুষের একটি ছোট্ট আইল্যান্ড কান্ট্রির সঙ্গে - ইউএস, ব্রেজিল, ইউরোপের জনবহুল দেশগুলি, রাশিয়া, চায়্না, ইন্ডিয়ার -- মতন বড় কমপ্লেক্স দেশগুলির তুলনা করছেন। আশা করি এবার বুঝতে পারছেন, যে কেন এই আলোচনাতে নিউজিল্যান্ড আসে না, কারণ কম্পারিজন স্কেলেই আসে না - যেমন আসে না ৪৮ লাখ লোকের দেশ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ৭ লাখে লোকের দেশ ভূটানের।
সবসময় সবাই কেন ইউএসএ/চায়না/রাশিয়া/ইন্ডিয়া নিয়ে আলোচনা করে তার তো কারণও আছে। সেটাও তো বুঝতে হবে।