হায় ওজিল !
আজ কি ইনকাম ট্যাক্সে কিছু ছাড় দেবে? বা অন্তত ৮০সি লিমিট বাড়াবে? জয় শ্রীরাম!
নেটে এদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে রামায়ণে সবার আগে দলবদল ডিগবাজি চালু করেছিলেন স্বয়ং বিভীষণ." দাদার দলে থেকে আর কাজ করতে পারছি না প্রভু , আপনার দলে যোগ দিয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।"
কেজানে তখন ও দলবদলের জন্যে চার্টার্ড পুস্পক রথ পাঠানো হতো হয়তো। বা হনূমান ঘাড়ে করে লাফিয়ে নিয়ে আসতো।
https://www.facebook.com/debajit.ghosh.503/videos/1448682305338855/
টাইম ডিপেন্ডেন্ট ইকোয়েশন লাগিয়ে লাগিয়ে বার করতে হত টি ওয়ান থেকে টি টু টাইম রেঞ্জে কতজন কোথায় আছে। তারপরে যুদ্ধ। আবার দলবদল। পরেরদিনের যুদ্ধের জন্য আবার নতুন সলিউশন।
ভাবুন একবার, বানরেরা যদি এরকম লাফিয়ে লাফিয়ে একবার রামের দলে একবার রাবণের দলে গিয়ে গিয়ে পড়ত, রামায়ণটা কি প্রচন্ড ইন্টারেস্টিং হত? টুইস্টের পর টুইস্ট! ঃ-)
যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বড় বড় ইয়েরা একবার এ দলে একবার ও দলে যাচ্ছে, সার্কাসের খেলোয়াড়েরা অবধি থ! :-)
নাঃ! পলিটিক্স সত্যি আপনাদের কাপের চা নয়
মন্ত্রী সান্ত্রী না হয়ে যায়! :-)
দাদা কি অফিশিয়ালি বিজেপি জয়েন করল?
সেদিন এখানে কেউ একজন গোবিজীর আব্বিত্তির লিন্ক দিয়েছিল। আবার পাওয়া যাবে?
আর সেই জনাই গাঁয়ের অম্বা? পাগল হয়ে গিয়ে 'সুমন সুমন আমার সুমন' বলে খুঁজে বেড়াচ্ছে ছেলেকে? সে তো ফিরবে না, তাকে তো বাঁধ বাঁধার কাজে জোর করে নিয়ে গিয়েছিল রাজার সেপাইরা। বলিপ্রদত্ত আরও হাজার ছেলের মতন। একজন অম্বাকে বলে, কেন এভাবে খুঁজছ? ভৈরব তাকে ডেকে নিয়েছেন। অম্বা বলে, 'ভৈরব কি কেবল ডেকেই নেন? কখনও ফিরিয়ে দেন না? চুপি চুপি, গভীর রাত্রে?'
রক্তকরবী অবশ্যই খুবই উচ্চ্স্তরের। সে ঠিক আছে। কিন্তু মুক্তধারাতেও মুক্তধারা ঝর্ণা, যন্ত্ররাজ বিভূতি, সেই আকাশে সব দিক জুড়ে হাঁ করে থাকা অদ্ভুত যন্ত্র, উত্তরকূট আর শিবতরাইয়ের দ্বন্দ, নন্দীসংকটের ভাঙা গড় গড়ে তোলার জন্য জোর করে লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছে---এইসব সব চলছে আর ব্যাকগ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে আছে দৈত্যাকার লৌহফড়িং এর মতন সেই যন্ত্র, মুক্তধারা ঝর্ণাকে আটকে দিয়েছে।
নানা, রক্তকরবী অন্য লেভেল। সেই যেখানে মজুরদের নাম নেই, তারা শুধু এক একটা নম্বর, যক্ষপুরীর বেতনভুক গোসাইঁজি এসেছেন মজুরদের বিষ্ণু নামে মজিয়ে দিতে, কিম্বা মদের ভাঁড়ার, অস্ত্রাগার আর মন্দির একেবারে পাশাপাশি, এগুলো জাস্ট অসা। আর তার পরে `এলো আঁধার ঘিরে/পাখি এলো নীড়ে/তরী এলো তীরে/ শুধু আমার হিয়া বিরাম পায় না কো । ' এসব তো আছেই।
"রক্তকরবী" তো নাটক আকারে পাওয়া যায়। বিখ্যাত অভিনেতারা করেছেন। কিন্তু "মুক্তধারা" পাওয়া যায় না সেই মানের। যা পেলাম ইউটিউবে সবই কেমন কেমন যেন। মন ভরল না। অথচ 'মুক্তধারা' আরও স্পষ্ট করে যন্ত্রশক্তির আগ্রাসন দেখায়। আরও দেখায় তা থেকে কীভাবে উত্তরণ হল মানুষের। রক্তকরবীর শেষটা যেমন অসমাপ্ত ধরণের, মুক্তধারা কিন্তু ততটা নয়, সেখানে একটা শুভসমাপ্তি আছে।
আহা, সৌমিত্র খানকে ভুলবেন না।
কান্নাটা এখন চলছে, দুদিন আগে রাজীবও কেঁদেছেন।
এর আগে তিনি একবার কেঁদেছিলেন। দেশের সেবা করার কারণে নাকি তাঁকে শত্রুরা মারবে, এই মর্মে কেঁদেছিলেন। আর যায় কোথা! ভক্তেরা গড়াগড়ি।
টিকায়েতের কান্নায় আন্দোলন গতি পেয়েছে, ভাঙতে হলে নরেন্দ্র মোদিকে কাঁদতে হতে পারে। মনে হয় কান্নায় কাজ হবে।
এইসব ইতিহাস সেভাবে সংরক্ষিত একেবারেই নয়। টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে আছে, বহু গল্পগাছা ঢুকে পড়েছে। কোনাকাঞ্চিতে পড়ে আছে। মারাঠা বা রাজপুতেরা যেরকম সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে উল্লিখিত হয়, সেভাবে এগুলো হয় না।
আরে ইতিহাস নাহয় ইতিহাস! বর্তমানেই হয় না। এই তো আগরতলাতে আন্দোলন চলছিল, সেভাবে খবরেই আসেনি। দিল্লির আন্দোলন নিয়ে সবাই ব্যস্ত। সেই আন্দোলন অবশ্য সত্যিই জোরদার।
ক্লেইম করতে চাইলে হাতের কাছেই ছিলেন আসামের রাজা আর সেনাপতি যাঁরা সরাইঘাটের যুদ্ধে মুঘল সাম্রাজ্য রুখে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেকালে পদ্মাপারের ক্লেইমই হত কায়ক্লেশে, যমুনাপারের দাবিদাওয়া আর আসেনি। প্লাস টডের মতো কেউ রেডিমেড হাতের কাছে এগিয়ে দেননি।
বউঠাকুরাণীর হাট এ তরুণ রবীন্দ্রনাথ চেষ্টা করলেন, প্রতাপাদিত্যের ছেলে উদয়াদিত্যকে নায়ক বানিয়ে, কিন্তু চলল না। শিব্রাম শেষে প্রতাপাদিত্যের কাকা যখন বসন্ত রায়, তাহলে বাবা নির্ঘাৎ হেমন্ত রায় - বলে একটু হাসিঠাট্টা করলেন। :-)
ইরাক থেকে ভিয়েতনাম অবধি ঘোড়া ছোটানো বড়ই কষ্টের। তাই তাঁরা পুষ্পক সার্ভিস চালু করেন। মাধ্বী মৈরেয় পান করতে করতে আকাশপথে ঘুরতেন। :-)
বীরপূজা শুরু হবার সময় বাঙালিরা নিজেদের ইতিহাসে বীর খুঁজতে গিয়ে দেখল বৃদ্ধ লক্ষণসেন পলায়ণ করছেন। আরে সে ভদ্রলোকের ছেলেপিলে নাতিপুতিরা গেল কই? আর কোনো খোঁজ নেই। ইতিহাস টিতিহাস কিসুই পাওয়া যায় না। সবাই 'হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম ' করে যাচ্ছে।
সেইজন্যেই মনে হয় রাজপুতদের নিয়ে বীরপূজা ইত্যাদি করল।
নইলে বাংলার বারো ভুইয়া ইত্যাদি যারা ছিলেন টিলেন, তাঁদের নিয়েও কিছু সেভাবে পাওয়া যায় না।অর্ধেক গল্প, অর্ধেক রূপকথা টাইপ।
আর্যরা ঘোড়া কেন ছোটাতে যাবে? কি কান্ড! বৈদিক এয়ার সার্ভিস থাকতে ঘোড়া?
আর্যরা ঘোড়া ছুটিয়ে এসেছিল, এ আবার কী দেশবিরোধী কথাবার্তা! এখানেই ছিলেন তেনারা, মাঝে মাঝে একটু ঘোড়া ছুটিয়ে ইরাক থেকে ভিয়েতনাম বেড়াতে যেতেন। যে কারণে ওইটুকু এলাকা অখণ্ড ভারত হিসেবে ধরা হয়।
সুপ্রাচীন আর্যরাও এককালে হয়তো এর সুবিধা ভোগ করেছিল যখন ঘোড়া ছুটিয়ে প্রথম এসেছিল। দেখেশুনে বলেছিল, 'ওহ্হ্হ, ওরেব্বাবা! এ কী প্রকান্ড কান্ড এ ব্রহ্মান্ড কী চমৎকার! ' :-)
এ যাত্রাপালা আবহমান কালের। হরেদরে আদৌ কোনো পরিবর্তন নেই।
পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ নিয়ে কথা হলেই পেশোয়াপন্থী জনগণ বেশ আপ্লুত হয়ে যান আর করে হিসেব করতে থাকেন কার কার বিশ্বাসঘাতকতায় তাঁরা হেরেছিলেন। রাজপুত, জাঠ, শিখ, মারাঠা এই কমিউনিটিগুলো পুরো সময় জুড়েই একে অপরের বিরুদ্ধে ঝামেলা করে গেছে; মামলুক থেকে ইংরেজ অব্দি সবাই এর সুবিধা পেয়েছে। নরেন্দ্র মোদিও পাবেন মনে হয়।