আমাদের থার্মোমিটার একবার ভেঙে গেল। গোল গোল ছোট্টো ছোট্টো বলের মতন রুপোলি রুপোলি পারদ দৌড়োতে লাগল মেঝেময়। কিছুতে ধরা যায় না। শেষে পোস্টকার্ড দিয়ে সাবধানে ধরে ধরে একটা ছোটো বাটিতে তোলা হল। আমাদের মানে ছোটোদের কী উল্লাস! এ আবার কেমন জিনিস? গোল গোল হয়ে দৌড়ায় কিন্তু একসঙ্গে রাখলেই মিশে যায়!!!!
:-)
যাই, সক্কলে ভালো থেকো।
তিমি:-(
কী অপমানের জীবন ছিলো আমাদের, এটা ধরো না ভেঙে যাবে, ওটা বড়দের।এখন বাচ্চাদের সেইসব নিষেধাজ্ঞা বিশেষ নেই।
সাধ্যও অবশ্য ওদের কম ছিলো আমাদের তুলনায়, থাকলেও বহুকিছুকেই ওরা বাহুল্য মনে করতেন। একটা থার্মোমিটার ভেঙে গেলে কী এমন ক্ষতি হতো???
কি দূরদর্শী ! ওরে আমার সাবাশি জানাইবা
না মনে হয়, নিজের গাড়ি নেই বলে ঐরকম কায়দা করে গ্যারাজ দখল করছে। বাইক তো সুন্দর ঝুলে থাকতো!
বড় বড় ঘোড়ার ডিমগুলো কত বড় হবে আন্দাজ করতে পারো? :-)
জিনিস গুছিয়ে রাখা তো তুমি পছন্দই করো। কি সুন্দর অল্প জায়গায় সব ধরে গেছে
টিম, সিংগারা? হ্যাঁ, এই তো খাবো। মাইক্রোতে দিয়েছি।
আমার এইসব বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা ছেলের জিনেও প্রবাহিত। তিনি বন্ধ বাথরুমে আগুন জ্বালিয়ে টাওয়েল, কাগজ, সোপ ডিসপেনসারের ছিপির দাহ্যমান পরীক্ষা করেছেন।যে কোনও জিনিস খুলে ফেলে পরীক্ষা করতে এখনো উনি সমান দক্ষ। নিজের মাউন্টেন বাইকের যাবতীয় নাড়িভুঁড়ি খুলে গ্যারাজে নানা শোপিসের মতো সাজিয়ে রেখেছেন:-(
হ্যাঁ ফ্লাস্ক। মনে আছে ভৌত বিজ্ঞানের বইতে ফ্লাস্কের কর্ম পদ্ধতি পড়ে কাকে একটা বলতে গেছি, কেড়ে নিয়ে সে কি বকা। নাকি ভেঙে যাবে
না না মিঠুদি এখানে পাঁঠা আর ঘোড়া গুলিয়ে গেছে।
&/ এ এসব কী নাম নিয়েছে? তোমার তো সিংকারা টনিক দরকার, দুর্বল হয়ে পড়েছ
ও ঐটা একটু গুলিয়ে যাবার মতই বটে। ডিমগুলো বড়, হাঁস দোকানে যা ছিলো সব ফ্রোজেন , দোকানদার কে পরের্বার জিগ্যেস করবওদের মধ্যে কোন হাঁস কোন ডিম পেড়েছে। সম্ভবত পছন্দ করবেনা প্রশ্নটা।
সরস্বতীকে বলত হরহতী
মনে হয় এরাই সিন্ধুকে হিন্দু করেছিল। স কে হ বলত।
ডিম পাড়া পাঁটা কোন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে অভ্যু?
ফ্লাস্কে চা ভরে নিয়ে যাওয়া হত চিড়িয়াখানা গেলে। সঙ্গে পাউরুটি ডিমসেদ্ধ আর কলা। শীতকালে যাওয়া হত চিড়িয়াখানায়।
সোয়াবীন না।
ফ্লাস্ক থাকতো মনে আছে? লম্বা স্ট্র্যাপ, মাথায় একটা কাপের মতো ঢাকনা।সেটারও খুব শখ ছিলো আমার( মানে একটু জোরে ফেলে পরীক্ষা করে দেখার। জালিম দুনিয়া সে সুযোগ দিয়েও কেড়ে নিয়েছিল।
ক্ষমা করিনি তে যাবে।
ডিম প্রসঙ্গেঃ আমাদের এলাকায় আবার বড় বড় হাঁসের ডিম রাখতে শুরু করেছে। কেকে খুব খুশি হবে।
সোয়া বিন?
পলিটিশিয়ান, চীনা দোকানের মাছ নয়, কান্ট্রি অফ অরিজিন কী লেখা আছে সেটা দেখে মাছ কেনা ভালো, সে ক্রোগারই কি আর হোয়া বিন মার্কেটই কি।
কিশোরী হাঁসের প্রথম ডিম ---শুনে জীবনানন্দ মনে পড়ে গেল। খাওয়া তো দূরের কথা। :-)
পলিটিশিয়ান, নিজের বাড়িতে না কুলোতে পেরে এখন লোকের বাড়ির বাথটাব ভাড়া নিয়ে কুমির পুষি। আপনার সন্ধানে ভালো বড় বাথটাবওলা বাড়ি থাকলে জানাবেন
miTaar*, নিটার না
বড়ো হাঁসের ছোট ডিম কিরকম ব্যাপার? প্রতিবাদী হাঁস?
:-))
আমাদের বাড়িতে আবার থার্মোনিটার দেখা একটা যোগ্যতা হিসেবে দেখা হত। মাঝে মাঝেই কাকু পিসি বা তুতো দাদাদের কাছে পরীক্ষা দিতে হত, যে টেম্পারেচার দেখতে পারছি। কে যেন একবার ভেঙেও ফেলেছিলো কিন্তু আমরা অকুস্থল থেকে দূরে থাকায় ঠিক কী হয়েছিলো জানতে পারিনি।
দু, আমি যা ভাবছি তা যদি সইত্য হয়, তবে লাল সেলাম কমরেড! একখান চুমুও দিয়ে দিতে পারি।
কুমীরের মাংস এখানেও পাওয়া যায়। কিন্তু আমি কুমীর ভালোবাসি (টিম জানবে, নতুনদের জন্যে বলি যে আমি কুমীর পুষতাম ছোটোবেলায়, মর্নিং ওয়াকে যেতাম ওকে নিয়ে) তাই কুমীরের মাংস খাই না।
বড় বড় হাঁসে যদি ছোটো ছোটো ডিম পাড়ে তাহলে চলবে, তিমি?
তিমি, থার্মোমিটার জিনিসটা হাতে পাবার বড় শখ ছিলো, কিন্তু যা হয়, বড়রা সেসব যত্ন করে কুলুঙ্গিতে রেখে দিত, নইলে ভেঙে ঐ লালচেমত জিনিসটা পরীক্ষা করার ইচ্ছা ছিলো:-)