এর পরে একটা চটি লিখবে - আত্মঘাতী বাঙালী ও বিস্ফোরক ব্রতীন - আমি বইটা হাফ দত্তক নেবো।
ব্রতীনদা হলো মাইনফিল্ডের মত। বিস্ফোরক, আত্মঘাতী এবং অনিশ্চয়তায় ভরপুর।
এই সব ফুলগুলিকে অকালে পেড়ে না ফেলে ফলেন পরিচীয়তে করা যেত না? এই কি ক্ষুদ্র চাষীর মতো কাজ?
বলেইছি প্রথমে কবি কালিদাস তারপরেই কবি ব্রতীনদাস। কাল ছিল শরতের মেঘ, আজ হচ্ছে পেলব রায়।
আরিব্বাস। মিঠু, বস করেছো কী!! একেবারে ঝক্কাস।
অভিনন্দন!!
ওহে টিম পাই এর চাদর নয়। মাফলার। সেই যে সোসেন একে দিয়েছিল। যেটাতে পাই কে অবিকল "কচি সংসদ" এর "পেলব রায়" এর মতোন লাগছিল।
তারপর ধর বক শিকার করে কাবাব বানাবে। চাদর ছুঁড়ে ধরে আনল বনভোজনের জন্যে।
ওটি মালটি পারপাস জিনিস। চাদরকে চাদর, মাছ ধরতে হলে জাল, কোথাও কিছু পড়ে গেলে তুলে আনার জন্যি -
আহা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের "কম্বল নিরুদ্দেশ" মনে পড়ে গেল। :)))
হ্যা হ্যা পাইয়ের শাল/চাদর। হাহাপগে
মামী একটা কম্বল বুনে নিতে পারো, গাড়িতে যেতে যেতেই হয়ে যাবে :)
কম্বল কাচা আকাচা নিয়ে ভাবতে গেলে ফিল্ডে গিয়ে কী করতে হত ভাবি ঃ)
তবে আমি সম্ভব হলে গায়ের একটা চাদর বা শাল বিছিয়ে কি জড়িয়ে তার উপর ওইসব কম্বল চাপিয়ে দিই, এই টেকনিকে আর অসুবিধে লাগেনা।
মিঠুদিই হলো আসল ক্ষুদ্র চাষী
এই যে ব্রতীন, আজকের ফসল:-)
হ্যাঁ হ্যাঁ দেখুন তো, কিন্তু ধনখড় তো আপনার বাল্যবন্ধু, কিনতে হবে কেন?
মাইমা যদি থাকবেন বলেন তো দেখি রাজভবনটা কিনে ভাড়া দেওয়া যায় কিনা।
পাহাড়ে ওয়াশিং মেশিন নেই।জলও কম। চট করে কিছু শুকোতে চায় না আর কম্বলের মতো ভারী জিনিস শুকোতে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক।ওয়াড় বদলে দিতে পারে। প্রত্যেকবার অতিথি চলে যাবার পর সেটা ধোয়াটা একটু কষ্টেরই ব্যাপার। তবে আমি হোমস্টেতে থাকি নি,হতেই পারে পুরোটাই ইয়ার্কি মেরেছে। কম্বল না ধোয়াটাও তারই পার্ট:-(
হ্যাঁ, আমাদেরই মানসিকতার প্রতিফলন। ইটাচুনায় নিজেরা ড্রাইভ করে গিয়েছিলাম বলে এটা খেয়াল করিনি।
ইটাচুনাতেও কিন্তু ড্রাইভারদের থাকার জায়গা আর খাওয়া আলাদা ছিলো।এ জিনিসটা অসহ্য বাজে লাগে।অবশ্য এ জন্যে আমাদের মতো ভদ্রলোকেরাই দায়ী।
চলে যাচ্ছে ব্রতীনদা।
খুব রিমোট হোমস্টে না হলে কাচবে না কেন? আর ট্রেকিংয়ে কে আর কম্বলের মত এক্সট্রা ওয়েট ক্যারি করে।
মিঠু, আজকে কি কুমড়ো ফুলের বড়া হচ্ছে নাকি?
4Z, কেমন কাটছে দিনকাল?
মনচাষার সাইটে একটা জিনিস খুব চোখে লেগেছিল।
সভ্যভদ্র ( শুকনো)একটা বাথরুম আর একটা পরিচ্ছন্ন শোবার জায়গা-এদুটো লাগেই আর তেলচিটে থালা বাসলে না খেতে দিলেই হলো।
একবন্ধু পাহাড় খুব ভালোবাসে আর প্রচুর ট্রেক করে। সে আমার এই চাওয়া শুনে বললো যে হোমস্টেতে নাকি কম্বল কাচলে শুকোবে না তাই একই কম্বল রাম/ শ্যাম/ মাধবী/ লতিকা সবাই গায়ে দেয়।লোকে যে এত ছোট ছোট হোমস্টেতে গিয়ে থাকে, সবাই কি নিজের কম্বল নিয়ে যায়?
এলেবেলে, এই তো আলাপ হয়ে গেল। আমাকে আপনি বলা কাটিয়ে দিতে পারেন।১৫০-৬০০ ট্যামরনের, ভাল ক্ল্যারিটি। ওখানে গেলে আপনার সাজেশন মাথায় রাখব।
অভ্যু, দেশে কবে যেতে পারব সেটাই জানিনা। তবে যখন যাব চুপির চর লিস্টের ওপরেই থাকবে। জানাব।
ইটাচুনার ব্যাপারে সবার সঙ্গে একমত। একটাই রিঅ্যাকশন, ধুস।
বাওয়ালির ছবি দেখে তো আমি মুগ্ধ:-)
রাজবাড়িগুলো সম্পর্কে খবর পড়ে/ দেখে মন প্রস্তুত হয়েই থাকে।সবই ভাল্লাগে গোছের ব্যাপার। কাঁসার থালা ভাল্লাগে( বাড়িরগুলো বাক্সে বন্দী) ডাঁটিওলা বেগুনভাজা, মাংসের ঝোলও- সব রান্নাই শুনি স্বর্গীয়। তারপর বিকেলে একধামা মুড়ি আর চপ আর চিকেন পকোড়া( শুনলেই বিশ্রি লাগে)। সবই আহাহা-ওহোহো। দল বেঁধে মদ খেয়ে পুকুরে চান। আনন্দের অপরূপ সংজ্ঞা।
মনচাষাটা শুনেছি ভালো।সে অবশ্য রাজবাড়ি না।
এবারে কার্শিয়াং এ( 2020 পুজো) একটা ব্যাপক বাড়িতে থাকলাম। পুরোনো সাহেবী বাড়ি একটু বদলে হোটেল করেছে। দারুণ। নামটা ভুলে গেছি।
ইটেচোনা রাজবাড়ী ওভার হাইপড।প্রচুর ভাড়া। নট ভ্যালু ফর মানি।
বাওয়ালি ইটাচুনার থেকেও খারাপ, পয়সার শ্রাদ্ধ, তার উপর টলিউডের লোকেদের অনবরত আনাগোনা। ঝাড়গ্রাম বেশ ভালো। কুচবিহার যাইনি। কালিম্পঙে মরগ্যান হাউস, খুব ভালো।