বাজারটিও সেরকম। অম্বুলে টাকপড়া নিরাপদ দূরত্বে বসে হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা টাইপ খদ্দের। তাই তেনারা তেমন তেমন জিনিসই পেয়েছেন। কোথায় কোন জাহাঙ্গীরের মোহর, কোথায় কোন যমন্তকের মূর্তি, কোথায় কোন বাদশার আংটি, কোথায় কোন নেপালী রত্নহার--- চারপাশের জীবনের সত্যিকার সমস্যা ও রহস্যের কাছ থেকে বহু দূরের একটা বানানো দুনিয়া। কাগ দেখানো, বগ দেখানো।

শুধু প্রেম ট্রেমও নয়। সাধারণ বন্ধুত্ব বা একটি চরিত্র হিসেবেও কি মহিলা চরিত্র আনা যেত না? সিধু জ্যাঠার জায়গায় হাসি পিসি? কিংবা তোপশে কি তাপসী হতে পারত না? বিপিন চৌধুরী যদি বিদিশা প্রামাণিক হতেন? হয় নি। পুরোটাই বুদ্ধি এবং মস্তিষ্কের খেলা, পরতে পরতে বুদ্ধির ইকুয়েশন, হাই লেভেলের সাসপেন্স রোমাঞ্চ। দৌড় ঝাঁপ, ছদ্মবেশ, পিস্তলের গুড়ুম গুড়ুম বা ঠাঁই ঠাঁই, মাঝরাতে মরুভূমির ওপর উটের পিঠে করে অনিশ্চিত যাত্রা, বা মনে করুন বীরেন্দ্র শেলভাঙ্করের মত চরিত্র, এগুলোতে গতানুগতিক ধারণা ও মধ্যবিত্ত মানসিকতা মেনে নিয়ে পুরুষ চরিত্রই মানায়। মেয়েরা ক্রিমিনাল, ডিটেকটিভ, সহকারী, ভাঁড়, পার্শ্বচরিত্র, কোনও কিছুর জন্যই সুটেবল নয়, বিশ্বাসযোগ্যও নয়। তারা চাকরিজীবি, ব্যবসায়ী, সংগ্রাহক, স্ট্রাগলিং অভিনেতা, চাকর, ভিখিরি, কোনও রোলই ডিজার্ভ করে নি। সেইজন্যই বইগুলো কিশোরদের জন্য নিরাপদ। শুধু কিশোর নয়, কিশোরীরাও ওগুলো পড়তে পড়তে মনের মধ্যে এক ধরণের ধারণা তৈরি করে ফেলে যে ঐসব ডেয়ার ডেভিল ব্যাপার মেয়েদের সাজে না।

খুনেজখমে চোরে ডাকাতে গুন্ডা মাফিয়ায় তো একেবারে গিজগিজ করছে ! ফিকশনদুনিয়াটা এইসবেই ভরা। এইসবের জনপ্রিয়তাও মানে ইয়ে একেবারে হট কচুরি। খদ্দের আবার মধ্যবিত্তরাই বেশি। নিরাপদ দূরত্ব থেকে একটু "আহা ঈশ সে কী" করে নেওয়া আরকি। লেখক পাঠক কেউই তো আর ওই অবস্থায় নেই। থাকবেনও না। তাই হয়তো এই মাফিয়াবিলাস গুন্ডাবিলাস।

ঈশ, ছেলেটা পর্দানশীন পুরুষ ছিল। কেজানে সেইজন্যেই কিনা যা সব সিনেমা বানায়--- :-)

একজন সেলিব্রিটির সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, বাংলা খবরের কাগজ পড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কিশোর বয়সে কারন মেয়েটি জানতে চেয়েছিল "বলাৎকার মানে কী"? অথচ কিশোর বয়সের উপযোগী সমস্ত গোয়েন্দা গল্প বাড়িতে পড়া চলত। খবরের কাগজে খুনের খবর পড়তেও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। ব্যাঙ্ক ডাকাতি, রাহাজানি, খুন সমস্তই সে জানতে পারে, কিন্তু বলাৎকার শব্দের অর্থ যেদিন সেই কিশোরী জানতে চাইল সেদিনের পর থেকে বাড়িতে বাংলা কাগজ আসা বন্ধ। তখনকার দিনের কুলীন ইংরিজি কাগজ বড়ো বড়ো করে ওসব খবর ছাপত না। রায় মশায়কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সত্যিই সমাজ তখন পর্দানশীন ছিল, মেয়েরা এবং ছেলেরাও।

সেই আর কি। চুরি, ডাকাতি, স্মাগলিং, খুন, এক্সটর্শন  এসব টিন এজারদের জন্যে ​​​​​​​মোটামুটি ঠিক ​​​​​​​আছে। প্রেম টেম ​​​​​​​বড়ো ​​​​​​​বিশ্রী ​​​​​​​জিনিস। ​​​​​​​​​​​​​​

চুরি, ডাকাতি, স্মাগলিং, খুন, এক্সটর্শন, ব্ল্যাকমেলিং, কিডন্যাপিং সব জায়েজ রেখেছেন রায় মহাশয় কিশোরদের জন্য লেখা গল্পে, উপন্যাসে, রূপকথায় ( শঙ্কু সিরিজ সায়েন্স ফিকশন নয়, বরং রূপকথা)।

পর্দানশীন না। পুত্রের জন্য লিখতেন। মেয়ে চরিত্র এলেই যদি প্রেম ট্রেম এসে যায় সেসব ভেবেই হয়ত।  অধিকাংশ চরিত্রই বিপত্নীক বা ব্যাচিলর। সবাই পুরুষ। কিশোর কিশোরীরা খুনের গল্প পড়বে তাতে সমস্যা নেই যদিও। ক্রাইম সিরিজও অ্যালাওড। কিন্তু নারী চরিত্র নৈব নৈব চ। উহায় কাম গন্ধ হ্যায়।

আর ৪ ঘন্টা পরে মেয়েরা নামছে হকিতে। আশা করা যাক আর একটা ব্রোঞ্জ। 

বি, চক দে সিনেমাটায় কিছু গন্ডগোল ছিল? 

স্মোকি খুবই প্রিয় @অপু যদুবাবু 

বেশ কয়েকবার গেছি 

স্মোকি খুবই প্রিয় @অপু, যদুবাবু 

বেশ কয়েকবার এসেছি আগে 

তুমুল লেগেছে তাই নিয়ে। ঃ-)

এক ফেবুগ্রুপে এক ব্যক্তি লিখেছেন যে সত্যজিতের গল্পে মহিলা চরিত্র বিশেষ দেখা যায় না, কারণ মহিলারা তখন পর্দানশীন ছিলেন!!!! ভাবা যায়????? ঃ-)

আর খগম এর ব্যাপারে? সেপ্টোপাসের খিদে র ব্যাপারে?

বর্ণান্ধ গল্পের শেষে মনে হচ্ছে ঋণ স্বীকার করেছিলেন।

2k

বর্ণান্ধ

বর্ণাল্ধ টোকা গল্প। অধিকাংশই টোকা, থুড়ি অনুপ্রাণিত।

রাইট রাইট। সব ভুলে মেরে দিয়েছি নাম গুলো।:))

তারিণীখুড়ো র গল্ল গুলোও কী ভালো ছিল।

না, ওটা তো 'সাধনবাবুর সন্দেহ'। বাতিকবাবু তে সেই একজন ছিলেন যাঁর নানা রকম জিনিষের সংগ্রহ ছিলো। প্রত্যেকটা জিনিষ কোনো না কোনো অপঘাত মৃত্যুর সাথে জড়িত ছিলো।

যেই টাতে দেওয়াল ঘড়ি টাকে টাইম ব‍্যোম ভেবে গঙ্গায় ফেলে দেবে ওটাই তো বাতিক বাবু। নাকি হে কেকে?

খগমও নাকি অনুপ্রাণিত। বিদেশী কাহিনি থেকে।

মূল গল্প টা পড়িনি আটোজ।

আরেকটা গল্প মনে

 আছে "বর্ণান্ধ"?

অপদার্থ হল সেই সেজকাকার গল্প টা। যিনি জীবনে কিছুই করতে পারেন নি।

"গগন চৌধুরী র স্টুডিও", "ক্লাশফ্রেন্ড"।বহু দিন আগে পড়া

সেপ্টোপাসের খিদে যেটা থেকে অনুপ্রাণিত সেই মূল কাহিনিটা পড়েছ ব্রতীন? এইচ জি ওয়েলসের। দ্য ফ্লাওয়ারিং অব দ্য স্ট্রেঞ্জ অর্কিড।

'বাতিকবাবু' বলেও একটা গল্প আছে, 'অপদার্থ' কোনটা?

হমম। ঠিক মনে আসছিল না কেকে।

অসমঞ্জবাবুর কুকুর