এই বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস আমার প্রিয় সাবজেক্ট। হিটলার এর মেইন কেমফ ও পড়েছি। প্রথম যুদ্ধে জার্মানি হারার পরে ইকোনমিক দুর্দশা আর হারার লাঞ্ছনা এর মধ্যে দাঁড়িয়ে হিটলার জার্মান জাতিস্বত্তাকে দারুন ভাবে উটিলাইজ করেছিল ক্ষমতায় আসার জন্যে। পোল্যান্ড , হাঙ্গেরি , চেক সবকটা দেশে লোকাল জার্মান দের যে মার্জিনালাইশাসন করা হয়েছিল হারার পরে , তারাও প্রথমে নাত্সি রেজিম বা পরের জার্মান অকুপেশন কে সাপোর্ট করেছিল উইথ ওপেন আর্মস।এতে কোনো সন্দেহই নেই. হারানো প্রাইড কে উদ্ধার করার চিন্তা।
আমার পয়েন্টটা হলো মেজরিটি জার্মান লোকজন কি ডাইরেক্ট ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে মারার সাপোর্ট করেছিল ? বা সবাই এভাবে মারা হবে জানতো বা ডাইরেক্টলি পার্টিসিপেট করতো ?তাহলে এতো গোপনে চালাতে হতো কেন ক্যাম্পগুলো ?
তেমনই আজকের ইন্ডিয়া। মেজরিটি হিন্দু হয়তো ভাবে ইন্ডিয়াতে মুসলিমদের আগের সরকার গুলো বেশি তোল্লাই দিয়েছে। যেমন পাকিস্তানে বা বাংলাদেশে সমস্ত হিন্দুদের মেরে ধরে তাড়ানো হয়েছে তেমনই ইন্ডিয়ায় মুসলিম দের কে একটু টাইট দিয়ে রাখা হোক। তার মধ্যেও নানা ধরণের চিন্তাধারা আছে কিন্তু তাও মেজরিটি একটা কমন এজেন্ডায় এসে মোদিকে বা বিজেপিকে ভোট দিয়ে দেয়. কিন্তু সেই মেজরিটি লোকজন কি সরাসরি দাঙ্গায় অংশ নেয় ? সেখানে তো সেই কয়েকটা লুম্পেন রাই চড়ে বেড়ায়।
যাকগে তালিবান থেকে অনেক বেলাইন হয়ে যাচ্ছে।
বাহ। তা বলে যে দেশটায় থাকেন সে দেশের ইতিহাস জানবেন না? দেশটার মানচিত্রে মাঝখানের স্টেটগুলো কেন স্ট্রেইটলাইন দিয়ে ভাগ করা সেটা জানবেন না? আবার আফ্রিকার দেশগুলোও ওরকম স্ট্রেইটলাইন দিয়ে কেন ভাগ করা সেসব প্রশ্ন ওঠে না মনে?
পৃথিবীর অন্য অধিকাংশ দেশের সঙ্গে আপনার দেশটার মূল পার্থক্যটা কোথায় কোথায় সেসব জানতে ইচ্ছে হয় না?
তারপর পরীমনির কী হলো?
সে, হ্যাঁ সে তো ঠিক আছে, ইতিহাস পড়া আর গুগল টুগল করে নেওয়া যাবে। কিন্তু সেসব তো সাজানো গোছানো বানানো ইতিহাস। আসল ইতিহাস তো পাওয়া যায় না সেখানে। সেইজন্যেই তো অন্যত্র খোঁজা।
সোভিয়েত ঢোকার কিছু আগেই আবার অ্যামেরিকা মুজাহিদিনদের ঢুকিয়েছিল। তাদের ফান্ডিং অস্ত্র সাপ্লাই এসব আগেই করে রেখেছিল অ্যামেরিকা।
অ্যান্ডর,
একটু ইতিহাস পড়তে হবে তো। একটু গুগুল টুগুল ও ঘাঁটতে হবে তো।
অমিত
বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসটা ভাল করে পড়তে হবে। বিশ্বযুদ্ধ আসলে একটাই। মাঝের ঐ ২১ টা বছর ছিল জোট পরিবর্তন এবং ক্ষমতা তৈরি করার প্রস্তুতিপর্ব।
হিটলার ক্ষমতায় এলে যে জার্মানি যুদ্ধ করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং যাবতীয় মানবেতর (Untermensch)কে দাস বানাবে তা স্পষ্ট ছিল তার এজেন্ডায়। তার লেখা বই তখন ঘরে ঘরে, বিয়েতে জন্মদিনে উপহার দিত লোকে মাইন কাম্ফ। আমার স্ট্রাগল।
শুধু জারমানি নয় পূর্ব য়ুরোপের প্রায় সব দেশ তাকে সমর্থন করেছিল। পোল্যান্ডে কি এমনি এমনি আইসশুইৎসের ক্যাম্প বানাতে পেরেছিল?
জনসমর্থন ছিল ব্যাপক। পরে যখন হারতে শুরু করে, যখন বিরোধী জোট বম্বিং করে তখন জিনিসটা অন্যরকম হতে শুরু করে। কিন্তু প্রথম তিনটে বছর বা আরেকটু বেশি সময় সবাই বেশ খুশি ছিল এই যুদ্ধ নিয়ে। কারন তারা জানত যে জার্মানি জিতবেই জিতবে।
একটা স্বাধীন আধুনিক সমাজ, মহিলারা উচ্চশিক্ষিতা ও চাকরিবাকরি করছেন ---সেই সমাজে গিয়ে ঢুকে পড়ল সোভিয়েত। কী জ্বালা! কী দরকার ছিল ? যদি যুক্তি দেয় সাম্যবাদ শেখাবার জন্য, তাহলে বাইরে থেকেই সাপোর্ট দিয়ে তো সেটা করা যেত।
ফেসবুকের কিছু গ্রুপে দেখতাম হিন্দু মুসলমানে গালাগালি চলছে লাগাতার। সে মানে চব্বিশ ঘন্টা ননস্টপ। এ বলে আমায় দ্যাখ, ও বলে আমায় দ্যাখ। এ বলে তোরা সতীদাহ করতি, ও বলে তোরা বোনকে বিয়ে করিস। এ বলে তোদের কৃষ্ণ লম্পট, ও বলে তোদের নবী পেডোফাইল। এ বলে তোদের কোনো ইয়ে নেই, ও বলে তোদের কোনো ইয়ে নেই। কেউ সূচ্যগ্র মেদিনি ছাড়ে না।
সোভিয়েতদের ঢুকে পড়বার অনেক আগে ষাটের দশকে আফগান মহিলারা অত্যন্ত আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ ছিল। আমার আফগান বন্ধুদের মায়েদের সঙ্গে কথা বলেছি। এরা প্রায় প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত এবং ওয়ার্কিং উইমেন ছিল। বহুবিবাহ শহরের দিকে ছিল না বললেই চলে।
সোভিয়েত আমলে ৫ বার গেছি, খুবই মডার্ণ পোশাক আশাক। দেখে হিংসে হতো।
সোভিয়েতরা চলে যাবার পরে গেছি একবার। তখন অরাজকতা শুরু হয়ে গেছে এবং মধ্যযুগীয় নিয়ম অত্যন্ত দ্রুতিতে কায়েম হচ্ছে। সেটা ছিল ট্রানজিশন ফেজ। তার ঠিক পরেই তালিবান শাসন কায়েম হলো।
সেতো মোদী ও ভোটে জিতে এসেছে দুবার । তাবলে যারা তাকে ভোট দিয়েছে তারা সবাই কি গোরক্ষক ? আর এজেন্ডা বলতে একটা তো থাকে সামনে ভোটে জেতার জন্যে , আর আসলটা থাকে পেছনে। ম্যাংগো লোক যদ্দিনে সেটার নাগাল পায় , তদ্দিনে বাঁশটা অনেকটা ঢুকে গেছে। বের করতে গেলেও প্রচুর পেনফুল।
হিটলার জনগনের ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিল। তার এজেন্ডা আগে থেকেই পাবলিক জানতো।
যেকোনো দেশে র বা ধর্মের এক্সট্রিমিষ্ট লুম্পেন এলিমেন্টস গুলো সবসময় মাইনোরিটি , কিন্তু এই জানোয়ার গুলোর হাতে আর্মস চলে এলে কনসিকোয়েন্স ডেঞ্জারাস হয়ে যেতে পারে বাকিদের জন্যে। সত্যি বলতে সাইলেন্ট মেজরিটি র ওপিনিয়ন ওসব জায়গায় কোথাও কিস্যু ম্যাটার করে না।
হিটলারের জমানায় গান্ধী অনশন আন্দোলন দেখাতে গেলে সিম্পলি হাওয়া হয়ে যেত।
সোভিয়েত আমলে অবস্থা কীরকম ছিল আফগানিস্তানের? মানে স্কুল কলেজ, মেয়েদের অবস্থা ইত্যাদি ইত্যাদি?
'বড়দি' র গলার টোনখানা শুনলেন? আমরাই সব। আমরাই সোভিয়েত খসাতে জঙ্গী বানাই, খসে গেলে আমরাই আবার জঙ্গী পেটাই, আমরাই গাছে তুলি, আমরাই মই কাড়ি। সব ব্যাটা দুদুভাতুরা বসে থাকে, আমরা গিয়ে খেলাই। সর্প হইয়া দংশাই, ওঝা হইয়া ঝাড়ি।
এই বড়দি ভাগ্যিস পিছলে গেছেন। ইনি ক্ষমতায় এলে বৃন্দাবন দেখিয়ে দিতেন ।
বীজ না থাকলে সার জলে কিছু হয় না। এর প্রমাণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। য়িহুদিবিদ্বেষ না থাকলে হিটলার একা কিছু করতে পারত না। ধর্ম নিয়ে ফ্যানাটিক হওয়া, কিংবা বিশেষ ধর্ম বা জলগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষকেই কাজে লাগানো হয়। য়িহুদিদের হাতে টাকা ছিল বিস্তর। তারা মহাজনী ব্যবসা করত। অন্যদিকে খৃষ্টধর্মে সুদের কারবার করা পাপ। তাই য়িহুদিদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ জাগিয়ে তুলতে বেগ পেতে হয় নি।
আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে পুরো দেশের ৯৯ শতাংশ বা তারও বেশি মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। কিন্তু কেউ কট্টরপন্থী কেউ আধুনিক।
ভারতেও সব হিন্দু সমান গোঁড়ামিতে বিশ্বাসী নয়।
আমার এক বন্ধু আছে , সৈয়দ মহম্মদ নাসের। তার ছেলে-র সাথে কথা হয়, ওকে বলছিলাম ইসলামে সংস্কার দরকার - বিধর্মী মানেই শাস্তিযোগ্য নয়, মেয়েদের অধিকার ছেলেদের সমান - এসব নিয়ে তোমায় কাজ করতে হবে। তুমি সৈয়দ বংশীয়, তোমার কথা লোকে শুনবে
সেই আর কি। বীজ যেখানে অলরেডি আছে , তাতে সার জল পড়লেই তরতর করে বাড়ে। বীজ না থাকলে সার জল ঢেলে কিচ্ছু কাজ হবেনা.
আমেরিকার বদামি, ক্যাপিটালিজম -এর প্রভাব ইঃ আছে।
আবার ইসলামের নিজস্ব রিগ্রেসিভ কিছু নিয়ম কানুন- ও আছে, যা ধর্মীয় মৌলবাদ প্রোমোট করে, এটাকে অস্বীকার করা যায় না।
এটা একটা অদ্ভুত প্যারাডক্স. আমেরিকার তেল আর জেওপলিটিক্স দৌলতে বহু দেশ ফেঁসেছে। গুচ্ছ মিলিটান্ট জঙ্গি গ্রূপ তৈরী হয়েছে ওদের পয়সায়. আবার সেই জঙ্গি গুলোর হামলা সামলাতে সেই তাদেরকেই ডাক পড়ে। শাঁখের করাত কেস পুরো।
যেমন ইন্দিরা গান্ধী ৭০ এ খালিস্তান সামলাতে ভিন্দ্রানওয়ালে কে এগিয়ে দিয়েছিলো পরে সেটাই পুরো ব্যাক ফায়ার করে নিজেই উড়ে গেলো। আগুন নিয়ে খেললে হাত পোড়ার রিস্ক তো থাকবেই .
সে, শুনলাম হিলারি-র কথা। কিন্তু এতো জানা কথা, নতুন কিছু নয় ।
অবশ্য হিলারি এটা প্রকাশ্যে বলছেন, সেটা ভাল
অরণ্য
যে লিংকটি দিয়েছি মাত্র কয়েক মিনিটের ভিডিও। একটু দেখে নিন।
হিলারি ক্লিন্টনের নিজের স্বীকারোক্তির পর আর কীই বা বলার থাকে?
'ইতিপূর্বের তালিবান শাসনে একটি মেয়েও স্কুলে ছিল না। গত কুড়ি বছরে ৯০ লক্ষেরও বেশি আফগান মেয়েরা স্কুলে যেতে শুরু করেছিল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, যে ‘হেরাত’ শহরের (যা ইতিমধ্যে তালিবান দখলে চলে গেছে) বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ভর্তির প্রায় ৫০%-ই ছিল মেয়েরা। এমন সব সাফল্যের খবর কিন্তু বাকি দুনিয়ার কাছে পৌঁছয়নি'
-এটা সাহরা-র চিঠিতে দেখলাম। গ্লোবাল ক্যাপিটালিজম- এর মুখপাত্র আমেরিকা আফগানিস্তানে থাকাকালীন কিছু ভাল কাজও হয়েছিল তাহলে
আমেরিকা থাকলেও বিপদ , না থাকলেও।
https://m.facebook.com/732658851/posts/10161190593713852/
এইটে দেখেছেন আশা করি
আরে ১৯-২০ বছরের ছেলেরা কোথায় কি করে বেড়াচ্ছে , বাবা মা কি চাইলেই সামলাতে পারে নাকি ? আর তাদের নিজেদের ও তো প্রাণের ভয় আছে. এর মানে এই নয় যে তারা সবাই ইনোসেন্ট হয়তো তাদের অনেকেই সাপোর্টার। কিন্তু জেনেরালাইজ করা যায়না এভাবে।
এত সব জানার পরেও আমেরিকা কোন আক্কেলে আফগানিস্তান ছেড়ে চম্পট দিল?
তালিবানরা তো কোনও পরিবারের ছেলে। তাদের বাপমায়েরা কী করে ছেলের এই বখে যাওয়া সহ্য করে? তাদের কোনও দায় নেই?
সেতো ছেলেরা হোক বা সাধারণ লোক , কারা যে এই বর্বর গুলোকে আসলে সমর্থন করে তাও কোনোদিন জানা যায়না. কয়েকটা বন্দুক হাতে গুন্ডা কয়েকশো লোককে চুপ করিয়ে রাখতে পারে। নাহলে সুতিয়ায় বরুন বিশ্বাস রা মরে কেন ? জাস্ট একটা উদা ছোট স্কেলে।
যখন প্রশ্ন ওঠে মেজরিটি সাধারণ লোক কেন লড়াই করেনা বা এসব জঙ্গিপনা মেনে নেয় ? নিজে বন্দুকের সামনে না দাঁড়ালে ওসব দূর থেকে বলা খুব সোজা.
কিছু মিডিয়া আর্টিকল দেখছি - ১৫-র কম বয়সী মেয়েদের আর ৪৫-এর কম বয়সী বিধবাদের লিস্ট চেয়েছে তালিবান রা, 'Badakhshan' আর 'Takhar' - এ, তাদের যোদ্ধাদের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য। কাবুলের রাস্তায় কম বয়সী মেয়েদের হান্ট করা হচ্ছে, সেক্স স্লেভ বানানোর জন্য।
নিশ্চয় মেয়েরা তালিবানদের সমর্থন করে না। তবে তালিবানদের মা বোন বউ টউরা কী মত পোষণ করে তা কোনওদিনও জানা যাবে না। তারা বস্তু মাত্র।