এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যদুবাবু | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০২:৪৫516049
  • অ্যাণ্ডরঃ নাটক-টা দেখে থাকলে আর সিনেমা না দেখলেও চলে। :) যদি না আপনি ড্যানিয়েল ক্রেগ বা অন্য দুজনের ফ্যান হন। 

    @kk: Catcher was a spy তো দেখিনি। থ্যাঙ্কু ২ ! আজ-কাল একটা জঘন্য ডেডলাইন আছে, তারপর থ্যাপ করে বসে এইটা দেখব। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০২:৪৩516048
  • All that breathes এর ট্রেইলার দেখলাম। কী ভালো! এটা দেখবো। থ্যাংকু যদুবাবু।
    (আরে যদুবাবু, ফেবুতে এক গ্রুপে বিশাল ঝগড়া লেগেছে যদুবংশের ছেলে কৃষ্ণ নাকি অসুর, সেই নিয়ে। একদল বলছে যযাতি আর শর্মিষ্ঠার ছেলেদের বংশ এটা, শর্মিষ্ঠা তো অসুরকন্যা, সেই হিসেবে এরা অসুর। শুনে অন্যেরা ঝাঁপিয়ে বলছে আরে সেটা যদু না, পুরু। পুরুবংশের তো কৌরব টৌরবরা, অর্জুন যুধিষ্ঠির দুর্যোধন ইত্যাদিরা। ওই ব্যাটারাই অসুর তবে। যদু আর তুর্বসু তো যযাতি আর দেবযানীর ছেলে। বেচারা যযাতি ক্রসফায়ারে পড়েছে, ওকে নিয়ে অসুরে মানুষে দুইদিক থেকে টানাটানি। ঃ-) )
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০২:২৪516047
  • সিনেমাটা তো দেখিনি। কোপেনহেগেন বলে একটা নাটক ছিল, সেটা দেখেছিলাম।
  • kk | 2607:fb91:87b:8018:6c70:8df9:5d9c:4c49 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০২:০০516046
  • কোপেনহেগেন এর কথায় মনে হলো, 'দ্য ক্যাচার ওয়জ আ স্পাই' সিনেমাটাও খুব ভালো হয়েছিলো।
  • যদুবাবু | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০১:৪৭516045
  • @হুতোদাঃ  "ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইয়া লাভ কি? কি সুন্দর ছায়া এই শ্যাম বংশী-বটের, কেমন মন্থর যমুনাজল, অতীতের শত শতাব্দী পায়ে পায়ে পার হইয়া সময়ের উজানে চলিয়া যাওয়া কি আরামের!

    (এইটা একটা ছবি এঁকে তার নীচে লিখে টাঙিয়ে রাখতে হবে। দেখবো আর দীর্ঘশ্বাস ফেলবো।) 

    বাঘের গল্পটা খুব মজার। অল্প ভয়ের-ও। আমি তো কাউকে বিশেষ বকতে-ঝকতে পারি না। বাঘকে কি যৎপরোনাস্তি সেন্টি দিলে ছেড়ে দেবে? 

    &/ -  আপনি "All that breathes" দেখেছেন? (https://www.imdb.com/title/tt16377862/)। এই ওপেনহাইমার নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে আরেকটা টেলিফিল্ম/নাটকের (অর্থাৎ নাটক ছিলো, পরে টেলিফিল্ম হয়েছে) নাম মনে পড়লো - কোপেনহেগেন (https://www.imdb.com/title/tt0340057/?ref_=fn_al_tt_3)। এটা আপনার নিশ্চয়ই দেখা। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০১:২০516044
  • ফেবুসূত্রে পাওয়া আমার এক বন্ধুনি পাখিদের কথাবার্তা বুঝতে পারে, মানে জরুরী হলে। একবার একটা এভিয়ারির পাশ দিয়ে সে যাচ্ছিল, একটা পাখি নাকি এসে জরুরী কীসব বলেছিল। খোঁজ করে দেখা গেল, খাঁচারই এককোণে ওর একটা সঙ্গী পাখির পায়ে আঘাত লেগেছে, তার চিকিৎসার ব্যবস্থা হল। হয়তো পাখিটা তার নিজের ভাষায় বলেছিল, "এই এই শোনো শোনো, একটু হেল্প করবে? আমার বন্ধুর পায়ে ব্যথা লেগেছে। তোমরা একটু দ্যাখো না!"
    এক বন্ধুনিরই বাড়িতে এক অতি ছোটো সাদা প্যাঁচার ছানা এসে লুটিয়ে পড়েছিল। সে তাকে চারটি মাস ধরে লালনপালন করে তারপরে বন্যপ্রাণী দপ্তরের সাহায্য নিয়ে উন্মুক্ত পরিবেশে মুক্ত করে দেয়। একটু একটু করে যখন বড় হচ্ছে কী সুন্দর ছবিগুলো দিত! ঝলমল করত পালক! কী বড় বড় ডানা!
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০০:৪২516043
  • লী ম এর গল্পে এক গাঁজাসক্ত লোক তো বাঘ কোলে করেছিল। বাছুর আনতে গেছিল, অন্ধকারের মধ্যে বুঝতে না পেরে বাছুরের বদলে বাঘকেই কোলে করে নিয়ে এসেছিল।
  • kk | 2607:fb91:87b:8018:758e:873a:6a9b:4fd8 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০০:৩৩516042
  • "খুব নাকি বাঘ আসত তখন পাড়াগাঁয়ে। বাঘে বাঘে ছয়লাপ। "
     
    হ্যাঁ, বাঘরা তো মানুষের গলায় কথাও বলতো। বলতো "ও ছোকনা, বাড়ি আছো? দরজা খোলো, বড় আতান্তরে পড়েছি।" :-) নগরবাসী মশাইয়ের বাঘও কালধর্মে আর বাংলাটা বলেনি। তবে কথা যে বলেছিলো তাতে আমার সন্দেহ নেই। বললে হয়তো কেউ বিশ্বাস করবেনা, একটা পাতিহাঁস আমাকে একবার প্রায় "মুখপোড়া ড্যাকরা" জাতীয় কিছু একটা বলে গাল দিয়েছিলো। প্যাঁকপেঁকিয়েই বলেছিলো, কিন্তু আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলাম।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০০:১৬516041
  • হুতেন্দ্র, বাঘের গল্পটা দারুণ। লীলা মজুমদারের এক পিসিমাও ডবল ডাবের বাড়ি মেরে বাঘ তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গাছতলায় পিসিমার পোষা গরুর বাছুর বাঁধা ছিল, বাঘটা বাছুর ধরতে এসেছিল। পিসিমা ডাব পাড়াচ্ছিলেন তখন, কে এসে ছুটতে ছুটতে খবর দিয়েছিল বাছুরকে বাঘে ধরেছে। পিসিমা ছিলে দিয়ে বাঁধা একজোড়া ডাব হাতের কাছে পেয়ে সেই নিয়েই ছুটলেন। ডবল ডাবের বাড়ি দিয়ে বাঘ তাড়ালেন।
    (আমার ধারণা এসব বাঘ ছিল বাঘরোল জাতীয় কোনো প্রাণী। খুব নাকি বাঘ আসত তখন পাড়াগাঁয়ে। বাঘে বাঘে ছয়লাপ। )
  • lcm | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪৭516040
  • r2h | 192.139.20.199 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪০516039
  • এদিকে কাল যদুবাবুর পোস্ট পড়ে আরেকবার আরণ্যক খুলে বসলাম।

    "জয়পালের এই কথাটা আমি কিছুতেই বুঝিতে পারিতাম না। আমি কলিকাতার কলেজে পড়িয়া মানুষ হইয়াছি, হয় কোনো কাজ, নয়তো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা, নয় বই, নয় সিনেমা, নয় বেড়ানো-এ ছাড়া মানুষ কি করিয়া থাকে বুঝি না। ভাবিয়া দেখিতাম, দুনিয়ার কত কি পরিবর্তন হইয়া গেল, গত বিশ-বৎসর জয়পাল কুমার ওর ঘরের দোরটাতে ঠায় চুপ করিয়া বসিয়া বসিয়া তার কতটুকু খবর রাখে? আমি যখন ছেলেবেলায় স্কুলের নিচের ক্লাসে পড়িতাম, তখনো জয়পাল এমনি বসিয়া থাকিত, বি.এ. যখন পাশ করিলাম তখনো জয়পাল এমনি করিয়া বসিয়া থাকে। আমার জীবনেরই নানা ছোট বড় ঘটনা যা আমার কাছে পরম বিস্ময়কর বস্তু, তারই সঙ্গে মিলাইয়া জয়পালের এই বৈচিত্র্যহীন নির্জন জীবনের অতীত দিনগুলির কথা ভাবিতাম।
    ...
    প্রাচীন পাকুড় গাছটার মগডালে বকেরা দল বাঁধিয়া বাস করে, দূর হইতে দেখিলে মনে হয়, গাছের মাথায় থোকা থোকা সাদা ফুল ফুটিয়াছে। স্থানটা ঘন ছায়াভরা, নির্জন, আর সেখানটাতে দাঁড়াইয়া যে দিকেই চোখ পড়ে, সে দিকেই নীল নীল পাহাড় দূরদিগন্তে হাত ধরাধরি করিয়া ছোট ছেলেমেয়েদের মতো মণ্ডলাকারে দাঁড়াইয়া। আমি পাকুড় গাছের ঘন ছায়ায় দাঁড়াইয়া যখন জয়পালের সঙ্গে কথা বলিতাম, তখন আমার মনে এই সুবৃহৎ বৃক্ষতলের নিবিড় শান্তি ও গৃহস্বামীর অনুদ্বিগ্ন, নিস্পৃহ, ধীর জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে কেমন একটা প্রভাব বিস্তার করিত। ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইয়া লাভ কি? কি সুন্দর ছায়া এই শ্যাম বংশী-বটের, কেমন মন্থর যমুনাজল, অতীতের শত শতাব্দী পায়ে পায়ে পার হইয়া সময়ের উজানে চলিয়া যাওয়া কি আরামের!
    "

    অক্ষয় আমলেবেরির অংশটার জন্যও থ্যাংকিউ বলে গেলাম।
  • | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২১:৪৩516038
  • ওই যে ঘ্যাঁ ঘোঁ করেছিল হয়ত আসলে গালই দিয়েছিল। cheeky
  • dc | 2401:4900:1cd1:f2fe:504f:1794:779f:711e | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২১:৩৪516037
  • বাঘটা যে ভৌমিক বাবুকে পাল্টা গাল দেয় নি, এই অনেক ভাগ্য! :-)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:4032:a454:bebf:b55a | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২১:৩১516036
  • বাঘ মানুষ কে আক্রমণ করে না বলেই জানি। ব্যতিক্রম সুন্দরবন 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:4032:a454:bebf:b55a | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২১:৩০516035
  • গোবু, এটা আমিও শুনেছি। আমার এক বাল্য বন্ধু ছিল, তন্ময়, আরণ্যক পত্রিকা টা চালাত, জঙ্গল অন্ত প্রাণ, তার কাছে 
  • গোবু | 202.8.116.10 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২১:২১516034
  • শুনেছি বাংলার বাঘেরা একটু হালকা পাতলা হয়, এখন যাকে agile বলে আর কি
  • | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২০:৫৪516033
  • বাঘ সহজে মানুষ মারে না কিন্তু। অন্য প্রাণিও খিদে না পেলে মারে না। আর এলাকা দখলের লড়াইটা আলাদা ব্যপার, সেটা অন্য পুরুষ বাঘের সাথে। 
  • রয়াল বেঙ্গল কেঁদো বাঘ | 165.225.8.106 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২০:৫২516032
  • নিশ্চয়ই হত। 
    তারা বাঙ্গলার বাঘ, বাংলা বোঝে! ওরকম তেড়ে বাংলা গালাগাল শুনলে তো কাঁদতে কাঁদতে ফিরত। 
  • r2h | 192.139.20.199 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২০:৪২516031
  • মায়বনে বাঘের বিরক্তি পড়ে মনে হলো, আমার বৃদ্ধপ্রপিতামহ নাকি গালাগাল দিয়ে বাঘ তাড়িয়েছিলেন।

    স্বর্গীয় নগরবাসী কর ভৌমিক ছিলেন কী যেন চা বাগানের ম্যানেজার, কোন বাণিজ্যিক কাজে পাশের বাগানের ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করতে গেছিলেন। সে যুগে এসব কাজে ঘোড়ায় চেপে ভ্রমণই দস্তুর ছিল, তবে নগরবাসী কর ভৌমিক ঘোড়া চাপতেন না, সম্ভবত ধর্মীয় কারনে (কর ভৌমিকরা প্রবল বৈষ্ণব, নিষিদ্ধ অথবা অন্য যেকোন রকম মাংস আহারের অভ্যাস বেশিদিনের না)। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় পাশের বাগানের ম্যানেজার সঙ্গে একজন লন্ঠন ও বর্শাধারী পাইক দিয়ে দেন। তারপর তো সন্ধ্যা হইলে পরে বাঘে যদি ধরে, আর বাঘ দেখে পাইকের লন্ঠন ফেলে বর্শা বাগিয়ে অতি দ্রুত পশ্চাদপসরন। নগরবাসী কর ভৌমিক আর কী করেন, তিনি নাকি তখন বাঘকে তারস্বরে গালমন্দ করতে শুরু করেন। কাত হয়ে পড়া লন্ঠনের অল্প আগুন আর বৃদ্ধপ্রপিতামহের প্রচন্ড গালাগাল শুনে বাঘ নাকি সামান্য ঘ্যাঁঘোঁ করে বিরক্ত হয়ে ফিরে চলে যায়।

    এ অবশ্য আমার ধারনা চিতাবাঘ টাঘ হবে, রয়াল বেঙ্গল কেঁদো বাঘ হলে হয়তো গল্পের উপসংহার অন্যরকম হতো।
  • সুদীপ্ত | ২৪ জুলাই ২০২৩ ১২:১০516029
  • বিশ্বাসঘাতকের সঙ্গে মিল থাকবে ভেবে সিনেমা দেখতে যাই নি রে বাবা, এসব আবার বললাম কখন, অন্য কেউ বলেছে কি, কে জানে! কোন বই-এর উপর নির্ভর করে ছবি বানানো হয়েছে সেসব জেনেই তো গেছি! শুধু ম্যানহাটান প্রোজেক্টের কিছু কিছু ঘটনা বেশ মজার ছিল, সেগুলো কিছু কিছু থাকলে ভালো হত, এটুকুই। সে তো শুধু বিশ্বাসঘাতক না, অন্যত্রও পড়েছি। নোলানের ইনসেপশন, ইন্টারস্টেলার এসব আরও ভালো লেগেছিল, এটা অতটা লাগেনি, সে তো হতেই পারে! ছবিতে কম্যুনিজম নিয়ে বেশ কিছুটা পরিসর আছে ওপেনহাইমারের ব্যক্তিগত জীবনের সৌজন্যে, তো সেটাও খানিক 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' ধরণের লেগেছে।
     
    হ্যাঁ বিশ্বাসঘাতক নিয়ে ভালো লাগা আছে, সে আছে তার জায়গায়। অতিরঞ্জন তো সাহিত্যে কিছু থাকেই, কে কার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল বা কে কাকে কোলে নিয়ে সান্ত্বনা দিল, সেগুলো যে ইতিহাস নয়, বলাই বাহুল্য। 
     
    সে যাক, এই বিষয়ে আর কোনো বক্তব্য নাই।
  • &/ | 107.77.236.189 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৯:৩৭516028
  • 'অরণ্যের দিনরাত্রি' যেমন । মূল উপন্যাসটা অনেকটাই অন্য রকম সিনেমার থেকে। উপন্যাসের মেজাজটাও অন্য রকম .
  • kk | 2607:fb91:87b:8018:9bde:25fe:1b7e:3f93 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৯516027
  • আমার আবার মনে হয় কোনো সিনেমাকেই বইয়ের সাথে মেলাতে গেলে মুশকিল আছে। বিশেষ করে এখানে নোলান কি আর না সা পড়বেন? সেটা এক্সপেক্ট করলে চাপ আছে। আর কালনিমে যেমন বলেছেন, না সা'র উপন্যাসটাও তো আধা ফিকশনই। আমি বই আর সিনেমা, দুটোকে সম্পূর্ণ আলাদা করে, মানে একটাকে অন্যের থেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভাবে দেখার চেষ্টা করি। দুটো আলাদা মাধ্যম। দুজনকেই যার যার মতো স্পেস দিতে হবে। এটা আমার মনে হয় আর কী। সবেতে মতামত দিতে হবে এমনও না। তবু আর কোনো কাজ নেই বলে কটা লাইন খরচা করলাম। এইই।
  • যদুবাবু | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৬516026
  • @Jay Hopler | 165.225.8.106 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪২ঃ আরে অজস্র ধন্যবাদ! হ্যাঁ এইটেই। 
  • যদুবাবু | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৪516025
  • এইটা শুনলেই অক্ষয় মালবেরির একটা অংশ মনে পড়ে। টুকে দিচ্ছি। 

    "“রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরে অনেক পত্রিকা তাদের রবীন্দ্রস্মরণ সংখ্যা বার করল। এদের মধ্যে অমল হোম-সম্পাদিত ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল গেজেট স্থায়ী বিশ্রুতি পেয়েছে। মিউনিসিপ্যাল গেজেটে রবীন্দ্রনাথের প্রচুর ছবি বেরিয়েছিল। বিভিন্ন কাগজে এবং বইতে তখন রবীন্দ্রনাথের নানারকম ছবি বেরুত নিচে লেখা থাকত শ্যামলীর সামনে রবীন্দ্রনাথ, শালবীথিকায় রবীন্দ্রনাথ, সুরুল কুঠিতে রবীন্দ্রনাথ, চিত্র অঙ্কনরত রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি। শনিবারের চিঠি দুষ্টুমি করে একটি চৌকো সলিড ব্লকে কালি লাগিয়ে ছেপে দিয়ে নিচে লিখল, অন্ধকারে রবীন্দ্রনাথ। 

    মজার কথা থাক। রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে বেশি লেখা ছেপেছে যে-প্রবাসী তারা কিন্তু তেমন কোনো বিশেষ সংখ্যা করল না, তবে পরের সংখ্যার মুখপাতে এমন একটি ছবি ছাপল যাতে বাঙালির মনে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু চিরমুদ্রিত হয়ে রইল। 
    ছবিটি অবনীন্দ্রনাথের একটি ধোয়া জলরং - সন্ধ্যার প্রদোষছায়ায় রবীন্দ্রনাথের শয়ান দেহ ভেসে চলেছে। আকাশে এবং জলে একই রঙের ধূসরতা। বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথের চোখ বোজা। দেহটিই যেন একটি নুলিয়ার নৌকো -- সরল, জীর্ণ। অদৃশ্য মাঝি তাকে ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে। জোব্বার কাপড়ে, বুকের উপর কারো পায়ের আবছা লাল দু-তিনটি ছাপ। ছবির নিচে লেখা - 
    “সমুখে শান্তিপারাবার
    ভাসাও তরণী হে কর্ণধার।”


    (অক্ষয় মালবেরি – মণীন্দ্র গুপ্ত) 

  • Jay Hopler | 165.225.8.106 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪২516024
  • The vacation over, see from the train
    who remains on the beach playing, bathing in the waves;
    their vacation isn't over yet:
    is this how it's going to be
    is this how it's going to be
    to leave this life?
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:১৫516023
  • এই ব্যাপারে কিন্তু দাড়িদাদু অনন্য। 'সমুখে শান্তিপারাবার, ভাসাও তরণী হে কর্ণধার'
  • যদুবাবু | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:১১516022
  • সত্যিই কাল সোম্বার, ছুটি সেশ। তীব্র ফোঁস ফোঁস। সত্যি সানডে নাইট ব্লুজ >> মানডে মর্ণিং ব্লুজ। 
     
    Jay Hopler-এর একটা ভারী সুন্দর কবিতা আছে। তার ভাবখানা এইরকম যে, ছুটি শেষ, ট্রেন থেকে দেখা যাচ্ছে ঐ দূরে কারা এখনো সমুদ্রসৈকতে খেলছে, ঢেউয়ে লুটোপুটি খাচ্ছে, কই ওদের ছুটি তো এখনো শেষ হয়নি? 
     
    এইরকম-ই কি মনে হয়, ঠিক এমনটাই কি মনে হয়, জীবন ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়? (ফোঁস!) 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:০১516021
  • দাহাড় কে খালি পাহাড় পড়ছি ঃ-)
  • r2h | 192.139.20.199 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৬:৫১516020
  • দীমু, হ্যাঁ, দাহাড় দেখেছি, খুবই ভালো, অবশ্যই দেখার মত।

    এদিকে, ওপেনহাইমার নিয়ে নারায়ন সান্যালের বিশ্বাসঘাতকের সঙ্গে মিল পাওয়ার আকাঙ্খাটা আমার একটু আশ্চর্য লাগছে। আমি অবশ্য সেই বিরল প্রজাতির বাংলা পাঠক যে ছোটবেলায় বুভুক্ষু পাঠক হয়েও নাসা প্রায় কিছুই পড়িনি, তাই ঐ সেন্টিমেন্টটা বুঝবো না। কিন্তু ধরুন আমি যদি ভ্যান গখকে নিয়ে কিছু দেখি তবে আমি একশোবার আবার যদি ইচ্ছে করোর থেকে লাস্ট ফর লাইফ মাথায় রাখবো, কারন এটা ঠিক না ভুল জানি না, কিন্তু পাশ্চাত্যের লেখক বা স্রষ্টা সেখানকার রীতি নীতি আদব কায়দা সাংস্কৃতিক ফার্স্ট হ্যান্ড উত্তরাধিকারের ব্যাপারে ভালো জানবেন।

    যেমনঃ
    • Oppenheimer | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৫:৪৫

    • ...হেইসেনবের্গ ওঁর মাথাটা নিজের বুকের ওপর টেনে নেন। পাকা চুলে ভরা মাথার ওপর হাত বুলিয়ে দিতে থাকেন। যেন বাচ্চা ছেলেকে ঘুম পাড়াচ্ছেন।

    হেইসেনবার্গ অটো হানের মাথা বুকে টেনে নিচ্ছেন, প্রচুর আবেগ, সত্যি কথা। কিন্তু ঠিক হজম হলো না। কে জানে।

    ওদিকে অ্যান্ডর বলেছে 
    • &/ | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৫:১০
    • এতকাল জানতাম ট্রিনিটি টেস্ট দেখার সময় সবাই যখন অতি ব্যাকুল আকুল সন্ত্রস্ত কিংকর্তব্যবিমুঢ় অবস্থায়, তখন  গীতা থেকে একটা অংশ বলেছিলেন সায়েব। বিশ্বরূপদর্শন যোগ থেকে। সিনেমায় যদি ...অন্যরকম করে দেয়...তাহলে লোকে ক্ষেপবে না ?
    লোকে খামোখা ক্ষেপতে যাবে কেন? গীতা টিতা নিয়ে যাদের গভীর, স্পর্শকাতর, কঠিন ও ভঙ্গুর অনুভূতি আছে তারা ক্ষেপতে পারে, কিন্তু সে আর ক'জন। বড়জোর বলতে পারে, এহে কিছুই হয়নি, তলোয়ার গড়েছে না কাস্তে। সে তো সিনেমায় ভালো মন্দ হয়েই থাকে।
     
     
    ওদিকে :|: বলেছেন
    • |: | ২৩ জুলাই ২০২৩ ২১:০১
    • সতেরোটা দুইয়ের সঙ্গে একমত। কিন্তু প্রশংসা পাবার জন্যে বাচ্চা বয়েস থেকে অন্যের লেখা বা আইডিয়া "আপন" করে নেবার অভ্যাস চেক করার কোনও অপশন আছে কি? অথবা ধরা পড়লে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া? 
    না, সেসব কিছুই হয় না, হওয়ার প্রয়োজন বা পরিকল্পনাও নেই বলেই জানি। নবীন লেখকরা তো আর সম্ভাবনাময় গাঁটকাটা নন যে তাদের সন্দেহের আওতায় রাখতে হবে, আর প্রকাশক সম্পাদকও কিছু পেয়াদা নন। আর ব্যবস্থা মানে কী, দায়রায় সোপর্দ তো আর করা যাবে না। অল্পবয়সী ছেলে মেয়েরা অ্যাটেনশনের মোহে ভুল করে ফেললে নোটিশ টাঙিয়ে নেমিং শেমিংও করা যাবে না, মানে করার কথা ভাবাও উচিত না। এইরকম অবাঞ্ছিত পরিস্থিতিতে একটাই জিনিস করা যায়, সেটা হল লেখাটা নামিয়ে নেওয়া।
    আর হয়তো জনান্তিকে একটা ইমেল করে দেওয়া, যে এরকম করাটা ঠিক না।
     
    অনেক সুচিন্তিত মতামত দিয়ে ফেললাম, এরপর আবার লোকে সেন্টার রাইট না কীসব বলবে। কাটি। কাল সোম্বার। ফোঁস।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত