এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • ঋত্বিকের সেরা ছবি কোন্‌টা? (রোশন নয়, ঘটক)

    adheesha
    সিনেমা | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ | ১৪৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kunti | 203.197.96.56 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:০০451469
  • কে বলেছে ঋত্বিকবাবু সিনেমা খুঁজতেন সব কথাতে? তিনি সিনেমাকে কোনোদিনই ভালোবাসেন নি....নিজের বক্তব্য সবার কাছে পৌঁছে দেবার জন্য একটা মাধ্যম হিসাবে সিনেমাকে বেছে নিয়েছিলেন মাত্র। তার আগে তিনি যাত্রা-নাটক এসব করতেন। যখন দেখলেন এসবের থেকে সিনেমার মাধ্যমে একসাথে অনেক বেশি লোকের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে তখন সিনেমাকে বেছে নিলেন। শেষের দিকে তিনি এও বলেছেন যে 'সিনেমার থেকে আমি যদি আরো ভালো কোনো মাধ্যম পাই তাহলে সিনেমাকে লাথি মেরে সেই মাধ্যমে চলে যাবো।'
  • adheesha | 193.61.255.85 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০২:০০451470
  • সুমেরু

    সিনেমা কথাটা তো ইংরিজি কথা। যদি বাংলায় বলতে চাই? সিনেমা কথাটার বাংলা করলে দাঁড়ায় 'চলচ্চিত্র' । অর্থাৎ 'চলমান চিত্র' । আর 'চিত্র'-কে যে চলিত ভাষায় 'ছবি' বলে এটা তো মানবেন?

    আসলে নির্ভর করছে কোন শব্দ কোথায় অথবা কোন কনটেক্সট -এ ব্যাবহার করছেন। আমার মনে হয় ঋত্বিক বাবুও সিনেমা-কে ছবি বললে আপত্তি করতেন না।

    অধীশা।
  • Samit | 59.144.41.6 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৩:০০451491
  • ইন্দো - আমি একমত - ঋত্বিক একটা ছবি-ই বানিয়ে গেছিলেন সারা জীবন ধরে - ফলে সেরা ছবি বলা মুশকিল - হয় সব কটাই সেরা - না হয় একটাও সেরা নয়।
  • amit | 203.197.196.1 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৫:০০451492
  • ইন্দোদা,
    সহমত পোষণ করি।শক্তি তার কাব্যগ্রন্থের ভূমিকায় লিখছেন,---কোন কবিতা ভালো কোনটা খারাপ,এসব শুনলে হাসি পায়।পুরো জীবন ধরে তো একটাই কবিতা লিখে চলা।আসল যেটা দেখা দরকার তা হল লোকটা আদপে লিখতে পারে কিনা।-------বলাইবাহুল্য!!
  • indo | 62.6.139.14 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:০২451464
  • সব মিলিয়ে ঋত্বিকের তো একটাই ছবি। একটা continuum
  • Riju | 192.55.52.10 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:০৩451475
  • আমার কাছে বাড়ী থেকে পালিয়ে। সরল শিশুর স্বচ্ছ চোখ দিয়ে দুনিয়া কে দেখা।
  • adheesha | 193.61.255.85 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:১১451486
  • ইন্দো

    একটা সমস্যায় পড়েছি। আমার মতে যেটা সেরা ছবি সেটারই নাম মনে পড়ছে না। দুত্তোর। ঐ ছবিটার নাম বলো না গো.... ' রাত কতো হলো? ' মনে পড়ছে?

    তবে তুমি ঠিকই বলেছো। সেভাবে দেখতে গেলে সত্যিই একটাই ছবি।
  • indo | 62.6.139.14 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:১৩451488
  • সুবর্ণরেখা। হরপ্রসাদ বিজন ভট্টাচার্য। কইলকাতার বীভৎস মজা।
  • adheesha | 193.61.255.85 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:৩০451489
  • রাইট! রাইট! সেই 'নতুন বাড়ী' যাওয়ার গপ্প। একটা শট অসাধারণ লেগেছিল। 'ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায়' গানের তালে তালে পুরো ফ্রেম-টাই দুলতে থাকা। আরো আরো অনেক কিছুই দারুণ । অনেকদিন আগে দেখা।

    ধন্যযোগ।

    তবে 'অযান্ত্রিক'-ও আমার বড় প্রিয়। আর 'মেঘে ঢাকা তারা' আমার মায়ের প্রিয়। বলে নাকি ওটা ওরই গল্প। দু:খবিলাসী বাঙালী।

    তবে একটা মজার ব্যাপার - 'মেঘে ঢাকা তারা' দেখার বহুদিন পর পর্য্যন্ত আমি জানতুমই না ওটা সুপ্রিয়া দেবী। ছবিতে চিনতে পারিনি।
  • adheesha | 193.61.255.85 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ০১:৩৩451490
  • 'সুবর্ণরেখা' সম্বন্ধে একবার কোলকাতার ম্যাক্স মুলারে বোধহয় নবারুণ ভট্‌চায তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন। আমি ছিলাম। দীর্ঘ গল্প। উনি শ্যুটিং -এ গিয়েছিলেন বাবার সঙ্গে। অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম ছবিটা সম্বন্ধে ওনার কাছ থেকে।
  • sumeru | 61.2.3.186 | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৪:৫২451493
  • ইন্দাস ও অধীশা,

    ঋত্বিক বাবুর কোন ছবি দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি, যদিও মহাশ্বেতাদি মারফৎ জানি তিনি, ছবি আঁকতেন,ব্যাস, এমন কি বাড়ি থেকে পালানোর বয়েসে, মকবুল ফিদার মত সিনেমার হোর্ডিং-এ আঁক করেছেন।

    তোমাদের দোহাই, সিনেমাকে সিনেমাই থাকতে দাও, অন্তত যখন ঋত্বিক শব্দটি লিখছ।আজন্ম তিনি সিনেমাটিই খুঁজতে চেয়েছিলেন সকল কথা ও প্ররোচনার ভিতরে, সুতরাং...

    সুমেরু
  • indo | 62.6.139.14 | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৫:০২451465
  • সিনেমা নিয়ে অত প্যারোকিয়াল হওয়ার কিছু হয় নি।
    সিনেমার বাংলা করলে ছবিই হয়; তাতে সিনেমার জাতটাত কিছু যায় না।
  • indo | 62.6.139.14 | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৫:০৩451466
  • তাছাড়া 'বই' তো আর বলিনি !
  • r | 59.145.67.27 | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৬:১০451467
  • ইন ফ্যাক্ট, "বই" বললেও কিস্যু আসে যায় না। পশ্চিমীরা সিনেমাকে সিনেমা বলে। আমাদের কাছে তা বই হতে পারে, ছবি হতে পারে, যাত্রাও হতে পারে। তা নিয়ে এই শুচিবায়ুগ্রস্ত সতীপনা কেন? এইজন্যই কি গাঁয়েগঞ্জে বই-দেখিয়েদের কাছে আমাদের সিনেমা-শিল্পীবোদ্ধারা পৌঁছাতে অপারগ?
  • indo | 62.6.139.14 | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৬:৩২451468
  • এ বাবা সাদাবাবার দেয়া নাম। অচ্ছেদ্দা কোরোনি।
    যদিও ঋত্বিক নামের পাশে ইকোয়ালটু লিখে বিলের নীহার, সুবচনীর খোঁড়া হাঁস আর লীলাবালি গান এঁকে উঠে যাচ্ছে যে নচিকেতা , সে কোনোদিন রেন অ্যান্ড মার্টিন পড়েনি।
    আমাদিগের শ্বেত বিশ্বে সকল থিসিস- অ্যান্টি ও সিন,- এক উত্তরপশ্চিমোৎসারিত অনন্ত পূর্ববাহিনী নদী,যাহা রিভার গ্যাঞ্জেস হইল।
    সে ঘটকের বাচ্চা যতই আবহমানের বাংলার কথা বলুক না কেন!
    ওকেও কি 'মায়ে খায় নি'?
  • b | 222.101.24.101 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৬ ০৩:৩৪451471
  • এটা বলার দরকারই বোধহয় নেই যে সুমেরু ঋত্বিকের ব্যাপারে পাগলের থেকেও বেশী। এটা বোধহয় ইন্দ্রও জানে। অন্য কোথাও ঋত্বিক নিয়ে ও বহুবার বলেছে। মার্জ্জনা চেয়েই বলতে বাধ্য হলাম যে এ প্রসঙ্গে কটা চিঠি ঠিক ঋত্বিকের ছবি নিয়েই লেখা বলে মনে হলো না। সুমেরুও তার বক্তব্যকে পরিস্ফুট না করে, ধাঁধায় ফেলে রেখে দিয়েছে।

    ইন্দ্রর কথা অনুযায়ী গল্প হয়ত একটাই, বা সব কটাই আধা গল্প, কিন্তু 'যুক্তি তক্কো গপ্পো'-কে কি সেই ধারার মধ্যেই রাখা যাবে? বিশেষজ্ঞদের কি মত?

    ঋত্বিকের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি নিয়ে কোন মত দেবার ক্ষমতা আমার নেই, তাই দিতে পারলাম না। ওঁর মত একজন চরম Eccentric বলে আখ্যায়িত কারুর পক্ষেই বোধহয় ওরকম সৃষ্টি সম্ভব। খুব ছোটো বয়সে দেখেছিলাম বলে মাধবীর আত্মহত্যার দৃশ্যে ভীষণ ভয়মিশ্রিত ধাক্কা খেয়েছিলাম। আর ওরকম জায়গায় ওই ভয়ঙ্কর তানের ব্যবহার কানে আটকে আছে আজও। কে জানে, সুপ্রিয়ার আর্তচিৎকারের পরে অনিল চট্টোপাধ্যায়ের গলায় ঐ সুরসঞ্চার, এখনও যে চোখে জল এনে দিচ্ছে।

    আগে তর্ক হয়েছিলো কিনা মনে নেই, তবে সুমেরু ছাড়া আর কিছুটা নিমো(বোজো) ছাড়া কেউই খুব একটা সমর্থন করে নি। কিন্তু আমার আজও মনে হয় যে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যবহার আর প্রয়োগে ওঁর ধারেকাছে কাউকেই আনা যায় না। আমি এ কথা সত্যজিৎকে মাথায় রেখেই বললাম, যদিও এটা আমার নিজস্ব মত।

    সেরকম কেই বা পারলো অনিল চট্টোপাধ্যায়কে ওইভাবে ব্যবহার করতে। বা আদ্যোপান্ত পশ্চিমবঙ্গীয় গীতা দেকে দিয়ে অত ভালো বাঙাল ভাষা বলাতে(এটা গীতা দের নিজস্ব মন্তব্যও বটে)। সুপ্রিয়া আর বিজন ভট্টাচার্যের কথাও আনলাম না। আনলাম না দেবব্রত বিশ্বাসের কথাও। অথবা সতীন্দ্রর কথাও।

    অথবা কোমল গান্ধারে অনিল চট্টোপাধ্যায়কে ভালোবাসার অভিব্যক্তি জানানোর দৃশ্যে ওই মহিলা(এই মুহুর্ত্তে নামটা মনে পড়ছে না, শিপ্রা সেন কি না শিখা সেন? ধুস্‌)

    অথবা দাদা অভি ভট্টাচার্যের সুবর্ণরেখার শেষ দৃশ্যে ভাগ্নেকে বলা অমর বক্তব্য.....

    এ কথাটা একটু অপ্রাসঙ্গিক, তবে ঋত্বিকের কথা তো, তাই বলার লোভ সামলাতে পারলাম না। অধীশা কেন বললো না জানি না, ও তো নাটকের লাইনেই আছে, ঋত্বিকের লেখা একখানা নাটক এককালে আই পি টি এ নিয়মিত মঞ্চস্থ করতো। সেটা রেডিওতেও বহুবার সম্প্রচারিত হয়েছে। নাটকটার নাম ছিলো "জ্বালা", যার উপজীব্য ছিলো চারজন আত্মহত্যাকারীর মৃত্যুর পরে জীবন-মৃত্যুর রোমন্থন। একজন কিশোর হকার, একজন মাস্টার মশাই, একজন গরীব পরিবারের বৌ, চতুর্থজনের কথা এই মূহুর্ত্তে মনে এলো না। এরা প্রত্যেকেই সামাজিক বঞ্চনার আর পরিবারের লোকেদের ক্ষিদের জ্বালা মেটাতে না পেরে বিভিন্ন বিভিন্ন পদ্ধতিতে আত্মহত্যা করে। পঞ্চম চরিত্রটি একজন পাগলের(যেহেতু সেযুগে বসেও ঋত্বিক মনে করতেন বা হয়ত অনেকেই মনে করতেন যে পাগলেরা মৃত্যু আর জীবনের মধ্যিখানে আটকে আছে, ঠিক ওই আত্মহত্যাকারী বা কারিনীদের মতই)। সে পাগলের মুলত: একটাই সজোরে হাঁক ছিলো, "সব বাঁয়ে হটো", নাকি শুধুই "বাঁয়ে হটো।"

    অনেকটাই সুবর্ণরেখার শেষ দৃশ্যের বক্তব্যর কাছাকাছি হয়ত বা।

    না, ক্ষুধিত পাষানের "সব ঝুট হ্যায়"এর সাথে এর কোন মিল নেই।

    আপনাদের মত বলবেন না?
  • sumeru | 61.2.3.46 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৬ ২৩:২৯451472
  • ঘটকের ঘটকালি এবং সার্ফ XL
    ----------------------------

    যা ক্রমশ চেতনার জন্ম দিতে থাকে, আমাদের ইন্দ্রিয় সচেতনতার মাধ্যমিক পরীক্ষা,বীজের বলাকা, আমি এক সামান্য পর্যবেক্ষক মাত্র, কি বা বলতে পারি আমি, আসলে এক চলচ্চিত্র বোধ তৈরি করে দিচ্ছেন ঋত্বিক কুমার ঘটক।চেতনার ম্যাট্রিক্সে সংযোজন করছেন মাইট্রোকনড্রিয়াগুলি, মাধবীর আত্মহত্যার পিছনে বেজে উঠবে প্যাট্রিসিয়া, চেতনায় অসমসিস ঘটাতে শুরু করবে ফেলিনি, এইট অ্যান্ড এ হাফ, নরকের ভোজসভা এবং এখানেই থেমে থাকবেন না তিনি সংযোজন করে দেবেন ইতিহাসের আরো এক পরত, হে রাম, উক্তি টি।আমরা কেবল ভাবব, ভাবা প্র্যাকটিস করতে থাকব, কি লিখছেন তিনি, রামায়ণ না ভারতবর্ষের ইতিহাস, না আদিম জনজাতির ইতিবৃত্ত,সমে ঢুকে তেহাই মেরে ফিরে আসছেন মীড়ে, আমাদের সামনে উন্মচিত হতে থাকবে আদি মাতার চেহারাটি, মাধবীকে লক্ষ্য করুন, পরিত্যক্ত এয়ারোড্রাম জুড়ে, দেবীকে সাজিয়ে দিচ্ছেন চালচিত্রে কি সুনিপুণ ভাবে।

    যদি ইমেজের ভাষ্য না পড়তে পারেন, বিরত থাকুন,ঘটক আবিস্কার আপনার এখনও শুরুই হয়নি, এযাবত মায়াকভস্কি অ-পঠিতই থেকে যাবেন, শিল্পবিপ্লবের নয়া ইস্তেহার হয়ে উঠবে না অযান্ত্রিক। ওরাও জনজাতি কেন এল আর কোথায় গেল ভেবে হু হু করে উঠবেনা আপনার মন, মহাকালের জয়যাত্রা খুঁজে বেড়াবেন ফেলিনি ও ওয়েন্ডার্সের কাছে, তা বেশ। দেশীয় ভাষ্য, ইমেজ ও ইতিহাসের পুনর্বিণ্যাস ঘটতে থাকবে, যেমন মাইকেল লিখতে চেয়েছেন বিষমবাহু ত্রিভূজ, বীরবাহু যথা,লিপিবদ্ধ
    করুন চিত্রগুপ্ত, সুবর্নরেখা কে আমরা রামায়ণ হিসেবে একবারেও পড়ে দেখব না ? বরং ৬০এর দশক থেকেই নড়া চড়া করবেন দেরিদা এই ভেবে,আসন পেতেছি, আকশ ভরা সুর্য তারা, কার্সিয়াং, অনিল চট্টোপাধ্যায় ভুলে যাওয়াই ভাল,ভারতে গ্রুপ থেয়েটারের জন্ম IPTA তে নয়, শিকড় ছড়িয়ে আছে কোমলগান্ধারের গহ্বরে, লক্ষ্য করুন শকুন্তলার পতিগৃহে যাত্রা পর্বটি, লক্ষ্য করুন মহাকালের ভেক্টরগুলি,রিহার্সালে ব্যবহৃত হাঁড়িকাঠ এর প্রপস ও থাম এবং কেবলমাত্র আলো-ছায়া দিয়ে তৈরী হওয়া হাঁড়ি কাঠ, কুশীলবদের মুন্ড লইয়া, মুন্ডমালা কম্পোজিশন, আমি মোশন মাষ্টারের কথায় ঢুকবই না, লক্ষ্য করুন খোয়াই-এর ক্ষত কি অপরূপ ভাবে মহাবলিপুরমের ভাস্কর্যে রূপান্তরিত কিয়ৎ টেলি লেন্স প্রয়োগে, আমাদের চলচ্চিত্র ও আমাদের শৈশব ,একসূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্রটি মনন,কেবল মাত্র তার জন্যে চলচ্চিত্রকে চলচ্চিত্র বলার জোর পাব, ছবি, কথা, প্রকল্প, কাহিনী... ফুলের পাঁপড়ির মত সযত্নে সাজিয়ে ফুলটি তুলে দেবেন প্রিয়তমার হাতে।রুমাল নাড়তে নাড়তে বলে যাবেন এটা কিস্যু না, কিস্যু না, ফুল ফোটাও, রং দাও,গন্ধ, তারে আরো আরো দাও প্রাণ...

    তাই
    সুমেরু
  • r | 59.92.131.143 | ১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ০০:০৪451473
  • "মাধ্যমটা কোনো প্রশ্নই না। আমার কাছে মাধ্যমের কোনো মূল্য নেই। আমার কাছে বক্তব্যের মূল্য আছে। আমি কেন এ-সমস্ত মাধ্যম change করেছি, বদলেছি? কারণ বক্তব্যটা মানবদরদী! বক্তব্য বলার চেষ্টা বা পৃথিবী সম্বন্ধে জানা বা মানুষের জীবনযাত্রার প্রতি মমত্ববোধের প্রশ্নটাই প্রথম কথা, সিনেমার প্রতি মমত্ববোধটা কোনো কাজেরই কথা না।"- ঋত্বিক ঘটক
  • r | 59.92.131.143 | ১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ০০:১২451474
  • "আর পাঁচটা Form of Art থেকে Film Form-এর কি কোনো পৃথক গুণ আছে?

    ঋত্বিক: কোনো পৃথক গুণ নেই। মানুষকে আকৃষ্ট করা এবং তাকে বিমোহিত করা যে ঘটনা, সে সব শিল্পেই সমান। এটা ফিল্ম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করে কোনো মূল্য দেওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই। মানুষ মানুষই। তাদের স্নেহ একই ধারায় বর্ষিত হয় সর্বশিল্পে। এখানে ফিল্মকে বড়ো করে তুলে ধরার কোনো মানে আমি বুঝতে পারি নি।"
  • r | 59.92.131.143 | ১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ০০:১৯451476
  • "নাটক immediate reaction তৈরি করে বলে দারুণ লাগছিল, কিন্তু কিছুদিন পরে সেটাও মনে হল inadequate, মনে হল এটাও সীমিত। ব্যাপারটা হচ্ছে চার-পাঁচ হাজার লোক, আমরা যখন মাঠে-ময়দানে নাটক করতাম। তখন চার-পাঁচ হাজার লোক জমা হত, নাটক করে তাঁদের একসঙ্গে rouse করা যেত। তখন মনে হল সিনেমার কথা, সিনেমা লাখ লাখ লোককে একেবারে complete মোচড় দিতে পারে। এইভবে আমি সিনেমাতে এসেছি, সিনেমা করব বলে আসি নি। কাল যদি সিনেমার চেয়ে better medium বেরোয় তা হলে সিনেমাকে লাথি মেরে চলে যাব। I don't love film"।- ঋত্বিক ঘটক
  • r | 59.92.131.143 | ১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ০০:৩২451477
  • ঋত্বিকের "একটি ছবি" প্রসঙ্গে ঋত্বিক নিজে:

    "প্রশ্ন: আপনার বিভিন্ন ছবিগুলোর মধ্যে কি বক্তব্যের বা আঙ্গিকগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো যোগসূত্র আছে?

    উত্তর: আমি যে-কটি ছবি এ পর্যন্ত করেছি বা করতে দিয়েছেন এদেশের মানুষেরা তার মধ্যে "অযান্ত্রিক" একটি আলাদা রসের ছবি। "বাড়ি থেকে পলিয়ে"-র একটি বিশেষ ঢং আছে, সেটা আমি দর্শকদের ধরাতে পেরেছি বলে মনে হয় না। 'মেঘে ঢাকা তারা', 'কোমলগান্ধার' এবং 'সুবর্ণরেখা'কে কোনো কোনো সমালোচক একটি যোগসূত্রে আবদ্ধ এই যুক্তিতে "ট্রিলজি" বলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু এটা ঠিক নয়। আমি যখন যেভাবে চিন্তায় মগ্ন হয়েছি সেভাবে ঘটনাগুলিকে আমি প্রকাশ করেছি। এর মধ্যে কোনো ঘটনা-পারম্পর্য নেই।"
  • r | 59.92.131.143 | ১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ০০:৪৭451478
  • "কোমল গান্ধারে" অনিল চট্টোপাদ্যায়কে ভালোবাসা জানান চিত্রা সেন, আজকের গ্রুপ টিএয়্‌টারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। শ্যামল সেনের সহধর্মিণী এবং কৌশিক সেনের মা।
  • indo | 62.6.139.14 | ১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ১৫:১৫451479
  • সে সময় অবশ্য ছিলেন চিত্রা মন্ডল।
  • deepten | 61.246.57.134 | ১৯ জানুয়ারি ২০০৬ ১১:৪৪451480
  • ও হ্যাঁ, হঠাৎ মনে পল্লো। যে বছর ঋঙ্কিÄক মারা গেলেন তখন আমি South Calcutta Film Society'র সদস্য। স্মরনসভায় বলেছিলেন সত্যজিত রায়। কিছুক্ষন কত্থা বলে উনি একেবারে কেঁদে ফেলেছিলেন - প্রায় মিনিট খানেক লেগেছিলো তার 'নর্মাল' হতে।
    সত্যজিত বলেছিলেন "আমাদের সকলকেই হলিউড অত্যন্ত ইনফ্লুএন্স করেছে - কিন্তু ঋঙ্কিÄক এর বাইরে ছিলেন। ' সত্যজিত অযান্ত্রিকের খুব প্রসংশা করেছিলেন - বিশেষত: সেই সীনটার যেটিতে একটি ভিখারীর সামনে দিয়ে গাড়ীটি জোরে চলে যায়।

  • indo | 62.6.139.14 | ১৯ জানুয়ারি ২০০৬ ১৮:৩৪451481
  • মানিকদা খুব ভালো অভিনেতা-ওঁর অনেক অ্যাক্টর-অ্যাক্ট্রেসই বলেছেন বটে !
  • t | 131.95.121.251 | ২০ জানুয়ারি ২০০৬ ০৪:০৮451482
  • আচ্ছা,যুযুধান দুই পক্ষ না থাকলে কি জীবনটা স্যাঁতানো মিয়ানো জোলো জোলো হয়ে যায়?জীবনের আলুনিত্ব কাটে না?
    তাই কি?
  • vikram | 147.210.156.39 | ৩০ জানুয়ারি ২০০৬ ১৯:৩১451483
  • এবারে আমার দু পয়সা।
    ভদ্রলোক কোন ইন্টারভিউতে কি লিখেছেন, সিনেমার মাধ্যম চেন্‌জ করবেন ভেবেছিলেন কিনা সেগুলো আসলে ভেবে কোনো লাভ নেই। তাঁদের কাজ ছিলো বানিয়ে ফেলা, বানিয়ে গেছেন। আমাগো কাজ দেখা, আনন্দ পাওয়া। অ্যাট বেস্ট নিজেরাও কিছু ছবি টবি এঁকে কি লিখে কি অয়্‌ন লোককে এদের তইরি মাল দেখিয়ে আনন্দ দেওয়া ও পাওয়া। আর বেশি কি? তেনারা যে ঠিক কি ভেবে কি কল্লেন সেটা বসে বসে ভেবে কি বেরুবে কিচু? তেনারাও বোধ করি এইগুলি নিয়ে অত ভাবেন না। তবে কাজ নিয়ে নিশ্চয় পোচুর করে ভেবেছেন।

    বিক্রম
  • r | 202.144.91.204 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৬ ১১:১৪451484
  • ঠিক কতা। আমি তো কোনো বক্তব্য রাখি নাই। সুদুঁ উনি যা কয়েচিলেন তা টুকে দিয়েচি। যাতে লোকের ভাবতে সুবিদে হয়।
  • tatin | 122.252.251.244 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৪:০৫451485
  • একটি নির্মোহ: http://www.droho.net/?p=4042
  • sumeru | 117.194.98.255 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:৫১451487

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন