এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১০

    dri
    অন্যান্য | ২৮ জুন ২০১০ | ২৩২৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pinaki | 131.151.71.179 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০২:২৬454725
  • একটা ব্যাপার ভালো লাগছে। মোটামুটি যোগ্য দলেরা সেমিতে খেলছে। হয়তো ওভারঅল যোগ্যতা দেখলে উরুগুয়ের জায়গায় ব্রাজিল থাকলে আরো ঠিকঠাক হত। কিন্তু গ্রুপ অ্যারেঞ্জমেন্টে এরকম একটা দুটো কেস হবেই। কিছু করার নেই। বাকীটা খুব ঠিকঠাক।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০২:২৭454726
  • ল্লে পচা।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০২:২৯454727
  • দ্রি, আপনি পোয়েটিক জাস্টিস চান না? ৭৪'এর বদলা?
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০২:৩১454728
  • আর ফাইনালি কাপ পেতে গেলে চ্যাম্পিয়ন্স লাক বা কাপ জেতার ঐতিহ্য কিছু একটা লাগে। হল্যান্ডের সেইটা নেই। ওই এক '৮৮ বাদ দিলে।
  • aka | 24.42.203.194 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০২:৩৩454729
  • উফ্‌ফ হল্যান্ডের টোটাল ফুটবলের কোচটার কি নাম ছিল? দুত্তোর আমায় এবারে ব্রেনোলিয়া খেতে হবে।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০২:৩৫454730
  • রেনাস মিশেলস।

    আবাপ উচ্চারণরীতি ইউজ করলাম, আবার আওয়াজ দিও না কো বাপু!
  • aka | 24.42.203.194 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০২:৩৭454731
  • হ্যাঁ হ্যাঁ। হল্যান্ড, আর্জেন্তিনা এরা কিন্তু প্লে-অ্যাকটিংয়েও দড়।
  • pipi | 92.225.73.56 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০৪:০৪454732
  • রাত্তির এগারটা। খেলা শেষ হয়েছে পাঁচ ঘন্টা আগে। zoologischer garten স্টেশনের গেটের বাইরে খান পঞ্চাশেক লোক জার্মানীর পতাকা দুলিয়ে বিকট চীৎকার করে ড্রাম বাজিয়ে নেচে যাচ্ছে। চারদিকে ইতস্তত ছড়িয়ে আছে বিয়ার বোতল, ভাঙ্গা কাঁচ, ছেঁড়া কাগজ, প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদি। পাশের সুপারমার্কেটটা রাত বারোটা অবধি খোলা। এক চতুর শিরোমণি ইতিমধ্যেই কয়েক ক্রেট বিয়ার নিয়ে বসে টুপাইস কামাতে লেগে গেছে। ওপাশে আরেকজন একটা ছোট গ্রীল নিয়ে বসে গেছে ব্রাটভুর্স্ট পোড়াতে। জনতা নাচে, গায়, গলায় বীয়ার ঢালে আর থেকে থেকে হেঁড়ে গলায় চীৎকার করে ওঠে - "ডয়েচলাণ্ড! ডয়েচলাণ্ড'। একটু দূরে খান আষ্টেক পুলিশ পাহারাদার। তাদের কঠিন চোখমুখ আজ একটু শিথিল। হর্ন না বাজানোর কথা আজ কারোর মনে নেই। অতএব দেদার গাড়ি ছুটছে ভুভুজেলা আর হর্ন বাজাতে বাজাতে। সব জায়্‌গা থেকে, এমনকি ট্রেন ড্রাইভারের কম্পার্টমেন্ট, স্টেশন মাস্টারের কেবিন, বাস ড্রাইভারের সিট থেকেও উঁকি মারছে ছোট ছোট জার্মান ফ্ল্যাগ। স্টেশনে ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ডে ট্রেন টাইমিংএর সাথে সাথে ডিসপ্লে হচ্ছে খেলার ফলাফলও - Deutschland: Argentina 4:0. Deutschland hat gewonnt (Germany has won)
    আশেপাশে ছোট ছোট জটলা। টুকরো টাকরা কথা, হঠাৎ হাসির হররা। কিন্তু প্রায় সব জায়গা থেকেই উড়ে আসছে একটাই কথা - " ফিয়ার নুল? উনগ্লাউবলিশ (ফোর নিল? আনবিলিভেবল)'।
    আমারো সেই কথা। উনগ্লাউবলিশ! দিনের শেষে এই ম্যাচটাকে এ ছাড়া কি ভাবে আর ব্যাখ্যা করা যায় বলুন।
  • pipi | 92.225.73.56 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০৪:৩৭454733
  • তাহলে তো এবার হল্যাণ্ডই কাপ নিয়ে গেল। আফটারল দ্রি যাকেই সাপোটান, সেই ফুটে যায় আর উনি হল্যাণ্ডকে সাপোটাবেন না বলছেন:-)
    জার্মানী হল্যাণ্ড ম্যাচ হলে কিন্তু এখানে আরেকটা বিশ্বযুদ্ধের পরিবেশ তৈরী হয়ে যাবে:-(
    তবে স্পেনকে কিচ্ছু বিশ্বাস নেই। ইউরো কাপ ফাইনালেও তো দুম করে ম্যাচটা বের করে নিয়ে চলে গেল। বেচারারা নিজেরাও বোধহয় বিশ্বাস করতে পারছিল না। আচ্ছা, আজকের প্যারাগুয়ের ঐ গোলটা কি সত্যি অফসাইড থেকে ছিল? রিপ্লে দেখেও তো কিছু বুঝলাম না। প্যারাগুয়ের জন্য এত চিল্লালাম, (আরো ঐ বুবস্টার মডেল সুন্দরীর জন্য) গলা চেরাই সার হল।

    অপ্পন, লা লিগা অনেক টাকা অফার করে নিশ্চয়ই কিন্তু কেউ যদি দেশের ক্লাবে যা পাচ্ছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকে আর বাইরে গিয়ে এক্সট্রা চাপ নিতে না চায় তো কি বলা যায় আর। বালাক ছাড়া আর কোন তারা বাইরের ক্লাবে খেলছে বল। বালাকও তো ফিরে এসেছে ওর পুরনো ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনে। সে অবশ্য ওর বয়স হয়েছে বলে চেলসি আর সাইন করায় নি সেজন্যও হতে পারে। তবে ফিসফাস চলছিলই যে বালাক ফিরছে। আরো একটা জিনিস খেয়াল করেছি, যখনই গুঞ্জন শুরু হয় যে অমুক হয়তো তমুক ক্লাবে যাচ্ছে (জার্মানীর বাইরে) অমনি ঠিক বায়ার্ন মিউনিখ তার ব্রেনওয়াশ করে পকেটে পুরে ফেলে:-) বুন্দেশলিগায় অন্যান্য যে ক্লাবগুলো খেলে তাদেরও যখনি কোন প্লেয়ার নজর কাড়ে - জেনে রেখো পরের সিজনে সে বায়ার্নে চলল:-) বেশি টাকা বা সুযোগসুবিধার কারণে অন্যান্য ক্লাব ছেড়ে বায়ার্ন যেতে আপত্তি কেউ করে না কিন্তু দেশের বাইরে যাবে না। এর কারণ তো মনে হয় একটাই - যা পায় তাতেই সন্তুষ্ট প্লাস নিজের দেশের পরিবেশে স্বচ্ছন্দ এবং হ্যাপি। তাই বাইরে যায় না। আর কি কারণ হতে পারে ভেবে বার করতে পারি নি।
  • pipi | 92.225.73.56 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০৪:৪০454735
  • সরি, gewonnen*
  • aka | 24.42.203.194 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০৮:২২454736
  • জার্মান বুলডোজারে গুঁড়িয়ে গেল মারাদোনার 'মেসি' স্বপ্ন

    কেন বলছি? মেসির সেই বিখ্যাত গোলটা দেখেছি যেটা মারাদোনার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচজনকে কাটিয়ে করা গোলের সাথে তুলনীয়। যে প্লেয়ার ঐভাবে পেনিট্রেট করতে পারে তাকে কেন একটু পেছন দিক থেকে খেলানো হবে না? তাকে কেন সোজা দৌড়তে দেওয়া হবে না? মারাদোনার অপরিণত কোচিং বুদ্ধি? নাকি অবচেতনে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব বাঁচানোর সচেতন চেষ্টা? বোঝা যায় নি, তাই এই ট্যাকটিক্স 'মেসি' মানে ইংরিজি ভাষার।

    মারাদোনা নিজেও অ্যাটাকিং প্লেয়ার ছিল, কিন্তু তফাত হল মারাদোনার ফুটবলে সেই প্যাশনটা ছিল যা থাকলে মানুষ হারতে চায় না। তাই মারাদোনার মতন তারকারা টিমের দরকারে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে বিপক্ষের গোল অবধি দৌড়ত। এবারের তারকারা মানে আমাদের মেসি, কাকা ইত্যাদিরা খেলার পরে চোখের জল ফেলেছে কিন্তু তা কতটা মিডিয়ায় নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে কুম্ভীরাশ্রু আর কতটা পেট মুচড়ে উঠে আসা যন্ত্রনা, আই ডাউট। আই ডাউট, কেননা খেলার মধ্যে সেই ঝাঁঝ চোখে পড়ে নি। খেলার শেষে দেখলাম মারাদোনা মেসিকে জড়িয়ে কাঁদছে আর মেসিও কাঁদছে কিন্তু কোমরে হাত দিয়ে। কেন? মেসি কি দেখাতে চাইল, এই উৎপটাং কোচটি না থাকলে ব্যপারটা অন্যরকম হত। কেন এত ভাবছি? আসলে পিছিয়ে থাকা টিমের যেরকম ঝাঁঝ দেখতে অভ্যস্ত তা এই বিশ্বকাপে দেখি নি। না ব্রাজিল, না এই আর্জেন্তিনার কাছে।

    অন্যদিকে আমি জার্মানির খেলা দেখে মুগ্‌ধ। আর্জেন্তিনার এবারের টিমের তিনটি প্লেয়ার তেভেজ, মেসি আর হিগুয়েন, লক্ষ্য করুন তেভেজ ছাড়া আর দুজনেই সুখী টাইপ অফেন্সের প্লেয়ার। আর্জেন্তিনার এবারের সাফল্য হল অফেন্সে, তো, জার্মানি সেই অফেন্সটাই ভোঁতা করে দিল যাস্ট দৌড়ে, প্রেসিং ফুটবল খেলে, জেতার অদম্য ইচ্ছে দিয়ে। যেকোন একটা বলের দখলে জার্মানি প্রায় এক সেকেন্ড করে এগিয়ে থাকছিল। এই জার্মানি বুল্ডোজারের মতন, আজকের খেলায় আর্জেন্তিনার হারা নিয়ে কোন সংশয় ছিল না। বিশ্বকাপে আমার দেখা সব থেকে কনভিন্সিং ভিক্ট্রি তাও আবার এমন একটি দলের বিরুদ্ধে যাদের দলে 'মেসি' দোনা আছে। তাই কিছু কথা খরচ করলাম। এই জার্মান টিম বিশ্বকাপ না জিতলে সব থেকে আশ্চর্য্য হব। জার্মানির খেলায় সেই ঝাঁঝটা চোখে পড়েছে। তাই জীবনে প্রথমবার আমি জার্মানদের সাপোর্ট করছি। জ্জিও জার্মানি।
  • d | 115.117.196.114 | ০৪ জুলাই ২০১০ ১১:৩১454737
  • যাক বাবা! হারজেন্টিনা হেরে গেছে।
  • pi | 72.83.93.99 | ০৪ জুলাই ২০১০ ১২:৪৯454738
  • কোন অরিজিনাল টা আসলি অজ্জিনাল রে বাবা !




  • Raj | 59.88.140.44 | ০৪ জুলাই ২০১০ ১৫:৪০454739
  • যাতা যাতা ! না মনে খেলার রেজাল্টে খুশী হয়ে বলছি না। খালি ভাবছি গতকালের সেই স্বপ্নিল সন্ধে-রাত্রিবেলার কতা

    জায়ান্ট স্ক্রীনের সামনে বিয়ার-টিয়ার নিয়ে একরাশ ঐক্য সম্মিলনী থুড়ি আর্জেন্টীনা সমর্থকের সঙ্গে বসে খ্যালা দ্যাখা তায় আবার বারোটা অব্দি হুল্লোড় ... তারপর স্প্যানিশ নাটক এইসব আর কি .... গতসন্ধ্যার কথা ভেবেই তো কবি লিখে গেছেন মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিও ,দাঁত ভাঙুক আর জিভই কাটুক ফুটবলপ্রেমীরা দলমতনির্বিশেষে একটাই নাম এখন করবে - শোয়াইনস্টাইগার , কাইজার-ম্যাথাউজ-বালাকদের সার্থক উত্তরসূরি , সবচেয়ে বড় কথা কেলাবের কাগুজে হনুদের দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে কিভাবে খেলতে হয়। আর একজন ভগবাননামধারী ব্যাক্তি কদিন আগে মুলারের সঙ্গে প্রেস কনফারেন্স করতে অসম্মত হয়ে বেরিয়ে চলে যান এবং বলেন বলবয়ের সঙ্গে একমঞ্চে বসব না .. তা কালকে মাঝেমাঝে হাতেকরে বা পা দিয়ে বলবয়ের কাজটা কে করছিল দ্যাখাই গ্যাছে ;-)

    এত কিছুর পরেও... আগেও বলেছি বা আবার বলছি এই ডয়েশবাবুরা যদি আগে গোল খেয়ে যায় সে সেমিতে তো হোক বা ফাইনালেই ... কি হবে বলা মুশকিল
  • santanu | 95.141.130.90 | ০৪ জুলাই ২০১০ ১৬:১৯454740
  • যাক, আমি সেই থেকে ভাবছি, অর্পন মিলারের বলবয় নামটা কোথা থেকে পেল।
  • ranjan roy | 122.168.20.144 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২৩:৫১454741
  • নাৎসীদের থামাও, থামাও!
    ওদের সাঁজোয়া গাড়ি পিষে দিল সুপ্রাচীন কিছু শিল্পকলা।
    ওদের বোমারু এক- কি যে তার নাম?
    শোয়াইনস্টাইগার নাকি কোন "লাম''!
    কোন অনুভূতি মানবিক ধরে নাক ওদের হৃদয়,
    ওরা শুধু জিততে চায়, আর কিছু নয়।
    দেবদ্বিজে ভক্তিহীন, ঐতিহ্যের সামনে কভু নোয়ায়নি মাথা।
    ওদের ব্লিৎস্‌ক্রিগে পরাভূত আমার দেবতা।
    মারাদোনা নতজানু-- হে ঈশ্বর, শোন।
    আমাকে করেছ ত্যাগ এইকথা এতদিন জানাওনি কেন?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৬:২৩454742
  • বেশ কিছুদিন বাড়ির পশ্চিমদিকের পাড়াটার মধ্যে দিয়ে যাওয়া হয়নি। শনিবার সাইকেল সারাবো বলে ওদিকে গিয়ে মনে হল কলকাতা থেকে লাতিন আমেরিকার কোথাও এসে হাজির হয়েছি - সবকটা বাড়ির দেওয়ালে হয় ব্রাজিল নয় আর্জেন্টিনার পতাকা আঁকা। আগেও লোকে ব্রাজিল/আর্জেন্টিনাকেই সাপোর্ট করতো, তবে এরকম রেঞ্জের ক্ষ্যাপামো চোখে পড়তো না। শনিবার ব্রাজিল হেরে গেলো - তাপ্পর একচোট দুমদাম বোম ফাটানো, সম্ভবত: আর্জেন্টিনা ফ্যানক্লাব। রোববার আর্জেন্টিনা হারার পর বোমা + কাঁসর-ঘন্টা নিয়ে মিছিল। ব্রাজিলের সাপোর্টারদের প্রতিশোধ। এরা কেউ হল্যান্ড বা জার্মানির সাপোর্টার নয় - কারণ যাদের দেখলুম তাদের বাড়ির দেওয়ালেই ব্রাজিল/আর্জেন্টিনার ফ্ল্যাগ আঁকা ছিলো। এই ব্যাপারটাও নতুন। আমরা জিতিনি, যা: শালা তোরাও জিতিসনি। স্পোর্টিং স্পিরিট জিনিসটা গোল্লায় গেছে।

    কেন জানি না, এই মেসি/কাকা নিয়ে কলকাতার ক্ষ্যাপামোটা অনেকটাই ইনডিউসড বলে মনে হল - এবার।

    জার্মানির এই টিমের তিনটে প্লেয়ারকে কীগান নিউক্যাসলে আনার চেষ্টা করেছিলো - শোয়াইনস্টাইগার, মুলার আর বোয়াতেং। অ্যাশলি এন্ড কোং নাকি শোয়াইনস্টাইগারকে এনে দেবেই এরকম দাবিও করেছিলো - শেষে কীগানকে ইন্টারনেটের একটা লিংক দিয়ে অজানা অচেনা নাচো গঞ্জালেসকে হাজির করলো, পিছন দিয়ে মিল্‌নারকে বেচে দিয়ে। কীগান কি এম্নি এম্নি ছেড়ে দিলো নাকি...
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৬:২৬454743
  • ** শুক্রবার/শনিবার **

    সাড়ে তিনটেয় উঠে গুলিয়ে গেছে।
  • Raj | 202.79.203.59 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৭:২৬454744
  • সত্যি এবছর বাড়াবাড়িটা যেন অত্যধিক বেশি । শুধু তাই নয় পরশু রাতে গরফায় এই আর্জেন্তিনা-ব্রাজিল নিয়ে বেশ একটা বড়সড় মারপিটও হয়েছে
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৭:৫৩454746
  • হল্যান্ড-জার্মানি ফাইনাল হোক। কিন্তু তখন কাকে সাপোট করবো সেই নিয়ে বেজায় কনফিউজন হবে।
  • Raj | 202.79.203.59 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৮:২৬454747
  • রঞ্জনদা খ্যালার মাঠে আবার এইসব নাৎসী-টাৎসী ক্যানো ?? মানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই তেইশটা প্লেয়ার বা জোয়াকিম লো কারুরই তো জন্ম হয় নি !
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৮:৪৭454748
  • আমিও বলব ভাবছিলাম। জার্মানি বললেই নাজি মনে পড়ে খালি? আগেও কে একজন বলেলেন একই কথা!
  • pi | 72.83.93.99 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৮:৪৯454749
  • খেলার প্রসঙ্গে জার্মানদের এই নাৎসী বলে উল্লেখ করা নেহাত ই খেলাচ্ছলে বলা, হাল্কা ইয়ার্কি মাত্র , সে বুঝতে পারছি। কিন্তু একটা কথা, সেদিন শুনলাম আমার জার্মান ল্যাবমেটের কাছে, শেয়ার করতে ইচ্ছে হল। মেয়েটি সদ্য আম্রিগা এসেছে। উইকেনে্‌ণ্‌ড আউটডোর অ্যাক্টিভিটি পেলেই বেরিয়ে পড়ে। DC তে মেমোরিয়াল ডে আর ফোর্থ জুলাই প্যারেড দেখে এসে একটু অবাক। মেমোরিয়াল ডে তে একদম কুচোকাচাদের পরনে সৈনিকের ইউনিফর্ম, হাতে ছোট্ট ছোট্ট পতাকা দেখে কেমন যেন একটু শকড। তারপর নিজেই বল্লো, ও জার্মান বলেই বোধহয় এই অস্বস্তিটাতে ভুগছে। দেশপ্রেমের এই প্রদর্শনটাতে অস্বস্তি লাগছে, এতটা বাড়াবাড়ি না হলেও হয়তো লাগতো। কারণ জার্মানীতে নাকি ওরা এতে অভ্যস্ত নয়। আর তার কারণ আর কিছু ই নয়, ওরা নিজেদের ইতিহাস নিয়ে লজ্জিত, কুণ্ঠিত।
    এই একি ধরণের কথা জার্মানীতে গিয়েও শুনেছিলাম। ওয়ার্কশপ থেকেই একটি ফ্রাঙ্কফুর্ট দর্শনের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এদিক সেদিন নানা কিছু দ্রষ্টব্য দেখানোর পর গাইড নিয়ে গেছিলেন হলোকস্ট সাইটে, মিউজিয়মে। আর বলেছিলেন, জার্মানদের কাছে অতীত মানে বেশ কিছুটা গ্লানি, অনেকটা অপরাধবোধ, ইতিহাসের অনেকটাই কলঙ্ক। তাই নাৎসী বলে ইয়ার্কি টাও কতটা স্পোর্টিংলি তাঁরা নেবেন, বলা মুশকিল।
  • pi | 72.83.93.99 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৮:৫১454750
  • উফ্‌ফ, এই পোস্টটা লিখতে গিয়ে তিনবার ল্যাপির মাথা গরম হয়ে দুমদাম বন্ধ হয়ে গ্যালো।
    অর্পণ, রাজদীপের সাথে একমত।
  • SC | 67.186.56.191 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৯:১৩454751
  • আসলে আর্জেন্তিনার যে এই দশা হবে, সেটা হয়ত কিছুটা প্রত্যাশিতই ছিলো।
    আবাপ লিখছিলো (কদ্দুর সত্যি জানি না অবশ্য) মারাদোনা বলছেন, আমরা জিততে আসিনি, সুন্দর ফুটবল উপহার দিতে এসেছি এইসব।
    মারাদোনা নিজে স্ট্রাইকার, ব্যাক্তিগত প্রতিভা ওর মতো কমই এসেছে। তার উপরে আবেগপ্রবণ লোক। ওনার কাছে এরকম একটা স্‌ট্‌র্‌যাটেজিই আশা করা যায় যেখানে সুন্দর এটাকিং ফুটবল খেল্বার দিকে ঝোঁক থাকবে। তাতে হয়ত কলকাতার চায়ের দোকানের শ...শিল্প প্রেমীদের হাততালি পাওয়া যেতে পারে কয়েকটা, কিন্তু একদম পুঙ্খানুপঙ্খ হোমওয়ার্ক করে আসা জার্মানির সাথে টক্কর দেওয়া যায় কি?
    ডিফেন্স নিয়ে মারাদোনা খুব একটা ভেবেছেন, এই ম্যাচ দেখে অন্তত মনে হলো না। এর থেকে প্যারাগুয়ের ডিফেন্স থেকে অনামী কিছু প্লেয়ার আনলেও অনেক ভালো খেলতো। বক্সের ভিতর সবসময়েই দেখছিলাম তিনটে চারটের বেশী সাদা নীল শার্ট দেখাই যাচ্ছে না। ওদিকে জার্মানির বক্সে এত ভীড় যে মেসিও ঢুকতে পারল না।
    মারাদোনার এই আবেগপ্রবণ আলুথালু ভেতো বাঙ্গালি শিল্প দিয়ে ২০১০ এর ফুটবল হয় না। এমনকি মারাদোনা নিজে খেললেও আজকের জার্মানির এই ডিফেন্সের সামনে মিডফিল্ড থেকে একা বল নিয়ে এগিয়ে বক্সে ঢুকতে পারতেন না। আশির দশকে যা হত, ২০১০য়ে হয় না।
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৫ জুলাই ২০১০ ০৯:৩৪454753
  • এইটা দেখেছি আগে। আম্রিকার নাম নেই দেখে একজন জিগিয়েছিলো। তো, উত্তরে কমেন্ট সেকশনে আম্রিকান প্ল্যান সম্পর্কে লিখেছে :

    American plan is to get a one all draw and declare yourselves winners
  • Samik | 121.242.177.19 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১১:০৩454754
  • পাই-কে ক। নিজেদের অতীত সম্বন্ধে জার্মানরা ভীষণ ভীষণ সেন্সিটিভ আর ভীষণ অপরাধবোধে ভোগে। জার্মানদের সামনে নাজি আর হলোকাস্ট ... এই কথাদুটো উচ্চারণ করলেই নাকি ওরা কুঁকড়ে ছোটো হয়ে যায়, প্রচন্ড অস্বস্তিতে ভোগে ওরা এই টপিকে।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২২:৩৬454755
  • দুঙ্গার চাকরি গেল।
  • ranjan roy | 122.168.23.255 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২৩:২৬454757
  • এই দিকটা একেবারে ভাবিনি। ইয়ার্কিটা একটু বেশি হয়ে গেছে। সরি, যদিও কোন জার্মান গুরু পড়বেন না, তবু এটা ব্যাড টেস্টের দিকে যাচ্ছে।
    সরি, গিন্নির বক্তব্য-- তুমি একেবারে লেবু কচলে তেতো না হওয়া অব্দি ছাড়ো না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন