এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • বিষ্ণু দে : একলব্যের সাধনা

    b
    বইপত্তর | ১১ জুলাই ২০১১ | ১৭৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • b | 117.202.90.108 | ১১ জুলাই ২০১১ ২১:২৭477517
  • সুজিৎ ঘোষ/ রত্নাবলী/ কলকাতা ৯
  • b | 117.202.90.108 | ১১ জুলাই ২০১১ ২১:৩৮477528
  • বইটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবন্ধের সংগ্রহ। সুজিৎ এর আগেও বিষ্ণু দে কে নিয়ে কাজ করেছেন,সম্পাদনা করেছেন যথাক্রমে স্মৃতি ও সত্তায় বিষ্ণু দে এবং অপ্রকাশিত বিষ্ণু দে। কবির সাথে প্রায় পারিবারিক সম্পর্ক থাকায় দু একটি মনিমুক্তা উপরি পাওনা হয়ে গেছে, সে কথায় পরে আসছি। তবে প্রবন্ধের সংকলন বলেই কিছু কিছু জায়গায় পুনরুক্তি আছে, সেটা স্বীকার করে আলোচনা করাই ভালো।
  • Shibanshu | 117.195.186.105 | ১২ জুলাই ২০১১ ১১:২৪477539
  • অপেক্ষায় আছি...
  • dd | 124.247.203.12 | ১২ জুলাই ২০১১ ১৫:১০477543
  • শিবাংশুরে কই।

    বি তো দেখছি ধাঁধাঁতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঝট করে হেথায় লিখবার চান্স তো কম বলেই মনে হয়।

    বিষ্ণু দে আমাদের সময়েই লিজেন্ড ছিলেন, ঠাট্টাও হতো তার দুর্বোধ্যতা নিয়ে। চেষ্টা করেও আমার ভাল্লগে নি। এমন কি না বোঝার আনন্দও পাই নি। কিন্তু অন্যদের ক্যানো ভাল্লেগেছে জানতে খুব ইন্টেরেস্টেড। এখনো।

    তো শিবাংশু আপনি ই লিখুন্না। পড়ি।
  • saikat | 202.54.74.119 | ১২ জুলাই ২০১১ ১৫:১৫477544
  • বিষ্ণু দে-র ৮-১০ টা কবিতা ছাড়া আমার ভাল্লাগে না।

    সুধীন দত্তও তদ্রূপ।
  • b | 203.199.255.110 | ১২ জুলাই ২০১১ ১৫:৫৬477545
  • লিখবো। বাড়ি যাই আগে। নইলে বস খুন করবেন।
  • Shibanshu | 117.195.186.105 | ১২ জুলাই ২০১১ ১৬:৪৩477546
  • বিষ্ণু দে যখন গত হয়েছিলেন তখন বোধ হয় আমি ছাত্রই ছিলুম। তো জোশ জওয়ানির গরম আর নতুন নতুন লাল রং চেনার উত্তেজনা বেশ ভালই ছিলো মনে পড়ছে। সৈকত যেমন লিখেছেন, ঐ আটটা দশটা পদ্যই পড়তুম ওনার। সেই বোধ শক্তির উপর ভরসা করে একটা স্মৃতি সভায় ওনার লেখায় 'স্নব ভ্যালু'ই বেশি প্রকট এরকম একটা মন্তব্য করেছিলুম। আমার পিতৃদেব সভাটি পরিচালনা করছিলেন। তাঁর এবং আরো কারুর এই মন্তব্যটি ভালো লাগেনি। কিন্তু অনেকের কাছে প্রাসঙ্গিকও লেগেছিলো।

    কিন্তু এই মূহুর্তে আমার মনে হয় পাঠক হিসেবে আমার পরিণতমনস্কতার অভাবই ছিলো সেটা। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ব্যাপারটা আলাদা। ওনার শতবর্ষে এক আধটা সভাসমিতিতে কিছু চর্চা করার প্রয়াস পেয়েছিলুম, কিন্তু খুব স্বতস্ফূর্ত হতে পারিনি। সুধীন্দ্রনাথের কবিতাকে এখনও কৃত্রিম লাগে।

    বিষ্ণু দে'কে নিয়ে আলোচনা করতে তো ভালই লাগে, কিন্তু পাইদিদি একটা কঠিন কাজ দিয়ে রেখেছেন। সেটা না হওয়া পর্যন্ত এগোতে পারছিনা। :-)
  • I | 59.93.197.129 | ১২ জুলাই ২০১১ ২৩:২৭477547
  • ডিডি-রে ক: !
  • arnab | 14.98.59.245 | ১৪ জুলাই ২০১১ ২০:০১477548
  • কোন ৮-১০টা পদ্য যদি জানান
  • achintyarup | 59.93.255.158 | ১৫ জুলাই ২০১১ ০৫:০৮477518
  • একটা সহজ কবিতার গোটা দুই লাইন আবছা মনে পড়ছে, তেভাগার সময় লেখা:
    দ্বীপান্তরেই যায় যদি চলে গজেন মালী
    থাকব কি নিয়ে?

    স্মৃতিদৌর্ব্বল্য হেতু এই নয়খানা শব্দের মধ্যে কয়েকটা শব্দ ভুল লিখে থাকতে পারি।

    আরেকটা কবিতা কেন জানি মনে পড়ে গেল। সেটা কার লেখা তা-ও ভুলে মেরে দিয়েছি। কেউ জানাবেন নিশ্চয়ই।

    (গেল) গুরুচরণ কামার
    দোকানটা তার মামার
    হাতুড়ি ও হাপর ধারের
    জানা ছিল আমার।
    দেহটা নিজস্ব।
    রাম নাম সৎ হ্যায়
  • ranjan roy | 122.168.220.1 | ১৫ জুলাই ২০১১ ০৫:৪৯477519
  • অচিন্ত্য,
    ওটা অমিয় চক্রবর্তির বিখ্যাত কবিতা।
    বিষঁউ দের টপ্পা-ঠুংরি, ক্রেসিডা, ঘোড়সওয়ার এমনি গোটা দশেক কবিতা।
    আমাকে একবার সিপিআইয়ের সে¾ট্রাল কমিটির সদস্য সদানন্দপুরুষ প্রতুল লাহিড়ি স্তালিন নিয়ে লেখা বিষ্ণু দের একটি অসাধারণ কবিতা শুনিয়েছিলেন। কোথাও পড়িনি।

    আর বিষ্ণুদের অনুবাদে মাও সে-তুং এর কবিতা পড়ে কিঞ্চিৎ শ্রদ্ধা হএছিল। অন্যদের অনুবাদ পড়ে মনে হয়েছিল মাও খুব বাজে কবি, পাবলো নেরুদা যাই বলুন।
  • Arpan | 112.133.206.18 | ১৫ জুলাই ২০১১ ০৯:২৭477520
  • ঘোরসাওয়ার

    জন সমুদ্রে নেমেছে জোয়ার,
    হৃদয় আমার চড়া |
    চোরাবালি আমি দূর দিগন্তে ডাকি---
    কোথায় ঘোড়সওয়ার?

    দীপ্ত বিশ্ববিজয়ী! বর্শা তোলো |
    কোন ভয়? কেন বীরের ভরসা ভোলো?
    নয়নে ঘনায় বারে বারে ওঠাপড়া?
    চোরাবালি আমি দূর দিগন্তে ডাকি?
    হৃদয় আমার চড়া?

    অঙ্গে রাখিনা কারৈ অঙ্গিকার?
    চাঁদের আলোয় চাঁচর বালির চড়া |
    এখানে কখনো বাসর হয় না গড়া?
    মৃগতৃষ্ণিকা দূর দিগন্তে ডাকি?
    আত্মাহুতি কি চিরকাল থাকে বাকি?

    জনসমুদ্রে উন্মথি' কোলাহল
    ললাটে তিলক টানো |
    সাগরের শিরে উদ্বেল নোনা জল,
    হৃদয়ে আধির চড়া |

    চোরাবালি ডাকি দূর দিগন্তে,
    কোথায় পুরুষকার?
    হে প্রিয় আমার, প্রিয়তম মোর!
    আযোজন কাঁপে কামনার ঘোর
    অঙ্গে আমার দেবে না অঙ্গীকার?

    ****

    হালকা হাওয়ায় বল্লম উঁচু ধরো |
    সাত সমুদ্র চৌদ্দ নদীর পার---
    হালকা হাওয়ায় হৃদয় দু-হাতে ভরো,
    হঠকারিতায় ভেঙে দাও ভীরু দ্বার |

    পাহাড় এখানে হালকা হওয়ায় বোনে
    হিম শিলাপাত ঝঞ্ঝার আশা মনে |
    আমার কামনা ছায়ামূর্তির বেশে
    পায়-পায় চলে তোমার শরীর ঘেঁষে
    কাঁপে তনু বায়ু কামনায় থরথর |
    কামনার টানে সংহত গ্লেসিয়ার |
    হালকা হাওয়ায় হৃদয় আমার ধরো,
    হে দূর দেশের বিশ্ববিজয়ী দীপ্ত ঘোরসাওয়ার!

    সূর্য তোমার ললাটে তিলক হানে
    বিশ্বাস কেন বহিতেও ভয় মানে!
    তরঙ্গ তব বৈতরণী পার |
    পায়-পায় চলে তোমার শরীর ঘেঁষে
    আমার কামনা প্রেতচ্ছায়ার বেশে |
    চেয়ে দেখ ঐ পিতৃলোকের দ্বার!

    জনসমুদ্রে নেমেছে জোয়ার---
    মেরুচূড়া জনহীন---
    হালকা হওয়ায় কেটে গেছে কবে
    লোক নিন্দার দিন |

    হে প্রিয় আমার, প্রিয়তম মোর,
    আযোজন কাঁপে কামনার ঘোর |
    কোথায় পুরুষকার?
    অঙ্গে আমার দেবে না অঙ্গিকার?

    ----------------------------
    এই কবিতা ভালো লাগা খুব খুব টাফ। :(
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ জুলাই ২০১১ ১৫:৩৯477521
  • এটা বোধহয় ওনার নরম সরম একটা। পড়ে তো ভালোই লাগছে। কিছু কিছু বোঝাও যাচ্ছে।
  • achintyarup | 121.241.214.38 | ১৫ জুলাই ২০১১ ১৫:৪৬477522
  • এইটে কিন্তু আমার বেশ ভাল-লাগা কবিতা। আমি কি তাহলে ২০%?
  • Shibanshu | 117.195.187.120 | ১৫ জুলাই ২০১১ ১৬:৩১477523
  • 'ঘোড়সওয়ার' বিষ্ণু দের জনপ্রিয় কবিতাগুলির মধ্যে একটা। কবিতাটি এককালে অনেকে আবৃত্তি করতেন। সম্ভবত কবিকন্ঠেও এই কবিতাটির আবৃত্তি রয়েছে। এছাড়া 'তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ' বা 'অন্বিষ্ট'ও আছে। তবে এই রকম 'আটটি দশটি' কবিতাকে কেন্দ্র করে বিষ্ণু দের মূল্যায়ন করতে চাওয়া বাতুলতা। তাঁর কবিতার কারিগরি বা বোধের ক্ষেত্র তাঁর সময়ের অন্যান্য কবিদের থেকে অনেকটা আলাদা। বুদ্ধদেব বসু বা ঈষৎ জ্যেষ্ঠ জীবনানন্দ এবং সুভাষ বা সমরদের থেকে অনেকটাই পৃথক। নাহ, বিশদে যাবোনা। b কী লিখছেন, তারই অপেক্ষা করবো।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ১৫ জুলাই ২০১১ ১৬:৫৩477524
  • কবিতাটি ইন্টারনেট থেকে কপি-পেস্ট করা। সকল মুদ্রণ প্রমাদ সমেত। :)
  • achintyarup | 121.241.214.38 | ১৫ জুলাই ২০১১ ১৮:২৭477525
  • দীপ্তেন্দা যখন কালেজে পড়তেন তখন বোধ হয় বিষ্ণুবাবু সেখেনে পড়াতেন। সে সময়ে তেনার কোনো ক্লাস করেছেন নাকি ডিডি?
  • arnab | 14.98.140.6 | ১৫ জুলাই ২০১১ ২০:৩৪477526
  • ১। মূল্যায়ন কী কেউ করতে চাইছে? এই ৮-১০টি তো বোধয় ভালো লাগা মন্দ লাগার খতিয়ান।
    ২। "ভিলানেল' কেমন লাগে আপনাদের? "দিনের পাপড়িতে রাতের রাঙা ফুলে?
  • Somnath | 117.194.199.49 | ১৫ জুলাই ২০১১ ২২:৪২477527
  • কাজুর জন্যে কোশ্নো - এই কথা কে বলেছেন :

    বুদ্ধদেব বসুর মতো আমাদেরও মনে হয়, "হে দূর দেশের বিশ্ববিজয়ী দীপ্ত ঘোড়সওয়ার" এই লাইনে যেন ঘোড়ার পায়ের শব্দ শোনা গেল।

    ??
  • ranjan roy | 122.168.111.120 | ১৫ জুলাই ২০১১ ২৩:৪৩477529
  • ভিলানেল?
    দিনের পাপড়িতে রাতের রাঙাফুলে
    জোগায় কথা তাই সোনালী নদীকূলে।

    অথবা,
    ----মেলাই আমার যাত্রা,
    সাফোর ঝর্ণা কলকে্‌ল্‌লালে হোমারের ষট্‌মাত্রা।
    অথবা,

    ক্রেসিডা তোমার থমকানো চোখে চমকায় বরাভয়,
    তোমাতেই দেখি কৃতক্রতুমের শেষ,
    তোমারেই করি মত্তমরণে জয়।
    দিনগুলি তুমি তুলে নিলে অঞ্চলে,
    রাত্রিও চাও?

    হেলেনের প্রেমে আকাশেবাতাসে ঝঞ্ঝার করতাল।
    দ্যুলোকে-ভূলোকে দিশাহারা দেবদেবী।
    কাল রাত্তিরে ঝড় হয়ে গেছে রজনীগন্ধা বনে।
  • nyara | 209.131.62.115 | ১৬ জুলাই ২০১১ ০০:০৫477530
  • 'ঘোড়সওয়ার' আমার মত কবিতা-অশিক্ষিত লোকেরও ভাল লাগার কবিতা। এমনকি 'টপ্পা-ঠুংরি'ও। তবে ক্রেসিডা ও অন্য যেখানে বিষ্ণুবাবু গ্রিক মিথোলজির রেফারেন্স আনেন, সেখানে আমি মুখ থুবড়ে পড়ি।
  • Shibanshu | 117.195.175.48 | ১৬ জুলাই ২০১১ ১২:৫৫477531
  • অর্ণব, ঠিকই বলেছেন। 'আটদশটি' কবিতা ব্যক্তিগত ভালো লাগা না লাগার কথাই বলছে।তবে টইটি বোধ হয় সামগ্রিক আলোচনার জন্যই খোলা হয়েছিলো।

    nyaara, কবিতায় পুরাণের অনুষঙ্গ ক্ল্যাসিকাল কবিতার একটি লক্ষণ। ওটা চিরকাল আছে। বাল্মীকি থেকে জীবনানন্দ সবারই। যেসব য়ুরোপীয় কবি বাংলায় 'বড়ো' কবি হয়ে উঠেছেন, তার মধ্যে জীবনানন্দের ঐতিহ্যমুখিনতার ধরনটা ইংরিজি আদর্শে, আর বিষ্ণু দের আদর্শটা লাতিন কবিদের ছাঁচে। জীবনানন্দের কবিধর্মে বরিশাল বড্ডো প্রত্যক্ষ, আর বিষ্ণু নাগরিক কোলকাতার কবি। আর্থ-ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিত ভিন্ন। সে অর্থে কবিতা 'না বুঝেও', জীবনানন্দ পড়ার টানেই অনেক পড়ে ফেলা যায়। যদিও তাঁর কবিতায় মিথস্ক্রিয়ার রসায়ন বেশ গভীর পর্যন্ত শিকড় বিছিয়ে আছে, অথচ অপ্রস্তুত পাঠককেও তারা শূশ্রূষার কিছু জলধ্বনি শুনিয়ে দিতে পারে। কিন্তু বিষ্ণু দে'র পাঠকদের একেবারে অপ্রস্তুত হয়ে তাঁর কাছে গেলে অপ্রাপ্তির মাত্রাটা একটু বেশি হয়ে যায়। এই জন্যই জীবনানন্দ অধিক জনপ্রিয় ও সমাদৃত। আমি যেমন কবিতার ভালোমন্দে বিশ্বাস করিনা। কিন্তু কবিতার মতো দেখতে সব লেখাকেই 'কবিতা' স্বীকৃতি দিতে পারার আগ্রহও বোধ করিনা। কবিতার 'হয়ে ওঠা' থাকে, পাসফেল থাকেনা। ব্যক্তিগত ভালো লাগা না লাগা থাকতে পারে, তার বেশি কিছু নয়। জীবনানন্দের প্রতিতুলনা টানলুম এই জন্য যে বাংলা কবিতা পাঠকের মনে তাঁদের সময়ের কবিতার মডেল হিসেবে জীবনানন্দ অনেক বেশি প্রত্যক্ষ। সেই পরিপ্রেক্ষিতটি মনে রাখলে বিষ্ণু দে'কে গ্রহণ করার আয়াস হয়তো একটু কমতে পারে।
  • nyara | 209.131.62.115 | ১৬ জুলাই ২০১১ ১৯:৪৯477532
  • সে তো একশোবার। পুরাণ মানে মিথোলজিও হতে পারে, পুরোনকালও হতে পারে। বিষ্ণু দে-তে ইওরোপিয়ান মিথোলজি পেলে আমার রেফারেন্স গুলিয়ে যায়, কারণ ওটা সম্বন্ধে একেবারেই জানিনা। অথচ সুধীন দত্ত, এবং তার থেকেও বেশি জীবননান্দের, রেফারেন্সে আমি বেশি স্বস্তি পাই। কারণ সেখানকার পুরোনকালের কিছু খেই অন্তত ধরতে পারি।

    তবে আমার কথা ধরবেন না। আমি কবিতার ব্যাপারে একেবারে গোলা লোক। এসব আলোচনা আমার অনধিকার চর্চা, ঝোঁকের মাথায় ঢুকে পড়েছি।
  • arnab | 14.96.171.217 | ১৭ জুলাই ২০১১ ০০:০১477533
  • @ shibanshu -নিশ্চয়,আমি বিষ্ণু দে বিষয়ে সামগ্রিক আলোচনার খুবই পক্ষপাতী। আর বলবেন না, "ঘোড়সওয়ার' কবিতাটার একটা আলোচনা একবার লিখেছিলাম। সেবারই দক্ষিণ হস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি কেটে অর্ঘ্য দিয়েছি।
    তবে কিনা, মুখ থুবড়ে পড়ার দলে দাদুও আছেন। ""বিষ্ণু দে-র কবিত্বশক্তি আছে কিন্তু তাঁকে মুদ্রাদোষে পেয়েছে,- সেটা দুর্বলতা। বিদেশি পৌরাণিক বা ভৌগোলিক উপমা কোনো বিশেষ কবিতার অনিবার্য প্রাসঙ্গিকতায় আসতেও পারে কিন্তু এগুলি প্রায়ই যদি তার রচনায় পরিকীর্ণ হয়ে আচমকা হুঁচট লাগাতে থাকে তবে বলতেই হবে এটা জবরদস্তি।'' (বুদ্ধদেব বসুকে লেখা চিঠি)
    কিন্তু পুরাণ ছাড়া কি কোনও মানুষ বা কোনও সমাজ আদৌ বেঁচে থাকতে পারে? সচেতনে বা অ-চেতনে?
  • b | 117.202.95.3 | ১৭ জুলাই ২০১১ ১১:৪১477534
  • আমি, বলাই বাহুল্য, একটু ফাঁকিবাজিতে কাজ সারছি। যেহেতু মূল গ্রন্থটি-ই একটি আলোচনা বিশেষ, তার সেকেন্ড ডেরিভেটিভ কষে বিশেষ লাভ নাই। যে যে সূত্র যেভাবে মনে আসছে, তুলে দিচ্ছি সুজিৎ-এর মত করে। একটু অগোছলো হবে, নিজগুণে ক্ষমা করে নেবেন।
    **
    শিকড় তিনটি। মার্ক্স, এলিয়ট ও রবীন্দ্রনাথ।
    ******
    মার্ক্সবাদ
    ***
    বিষ্ণু দে মূলত: মার্ক্সবাদী কবি,অথচ সুকান্ত-সুভাষের মত পতাকাশোভিত বা শ্লোগানমুখর নন। বিনয় ঘোষ এর জন্যে বিষ্ণু দে কে একহাত নিতে ছাড়েন নি, তাঁর ও সমর সেন-এর এলিয়টীয় কবিতায় বুর্জোয়া অবক্ষয়বাদ-ই প্রত্যক্ষ করেছিলেন। (অথচ ""এলিয়ট ছাড়া, অন্য কেউ-ই পশ্চিমি সমাজের প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর পশ্চিমি সমাজের সংকট ও তার ক্ষয়িষ্ণু অবস্থাকে তুলে ধরতে পারেন নি। তাঁর এই চিত্রণের সাথে বামপন্থী মার্ক্সবাদীদের পশ্চিমি সমাজ প্রেক্ষণের কোনো বিরোধ ছিলো না।)। শিল্প-সাহিত্যের উপর পার্টির তকমা মেরে দেবার অভ্যেস তখনো ছিলো তো বটেই। মানিক নিজেই বিষ্ণুকে বিদ্যার জাহাজ বলে খোঁচা মেরেছিলেন, তার মধ্যে কিঞ্চিৎ অসূয়া-ও কি ছিল না? সম্ভবত: ঝগড়া করা বিষ্ণু দে-র সহজাত প্রবৃত্তি ছিল না বলে রোজর গরোদি-র একটি প্রবন্ধ "উর্দিহীন শিল্পী' নামে অরণিতে প্রকাশ করেই ক্ষান্ত থাকেন। ১৯৪৮ সালে ভবানী সেনের অনুরোধেও নেননি পরিচয় পত্রিকার ভার (যা নাকি তখন রবীন্দ্রনাথ বা ঐতিহ্য মন্ডিত সাহিত্যকে নস্যাৎ-ই করছিল),আবার ১৯৬৫ সাল নাগাদ আমেরিকান সেন্টারেও এলিয়টের উপরে বক্তৃতার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। (""বক্তার বাড়ি থেকে গাড়ি করে যাওয়া আসা, মধ্যাহ্ন বা সান্ধ্য ভোজ, এবং ১০০ টাকা সম্মান দক্ষিণার ব্যবস্থা। সরকারী কলেজে এক অধ্যাপকের মাস মাইনে তখন ২৭৫ টাকা'' পৃ: ৩১)। ঊগ্র বামপন্থা থেকে নিজেকে বানি্‌চয়ে নিজের মতো একটি জগত গড়ে নিতে চেয়েছিলেন এই কবি, তাঁর নিজস্ব মর্ক্স-কে নিয়ে।
    ***
    সুজিৎ লিখছেন:
    " ১৮৪৮ সালে প্রকাশিত হল কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেদেরিক এঙ্গেল্‌স-এর ম্যানিফেস্টো অফ দ কম্যুনিস্ট পার্টি নামে ঘোষণা গ্রন্থটি। এই বাক্যের শেষ বাক্য, "The proletarians have nothing to lose but their chains. They have a world to win"। যাঁরা মার্ক্সের চিন্তাকে শুধু রাজনীতি-র মতাদর্শ হিসেবে ভেবেছেন এবং মার্ক্সের মত অনুযায়ী সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন, তাঁরা বহুক্ষেত্রে শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের কথাই ভেবেছেন।......" (অথচ) বিশ্ব তো শুধু একটি ভৌগোলিক ভূমিখন্ড নয়, শত শতাব্দীর মনন-ও শ্রম ঋদ্ধ সাহিত্য, শিল্প ও সংস্ক্রিতির ঐতিহ্য-ও বটে। এই ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার শ্রমজীবী মানুষ তাদের শিক্ষা সংস্কৃতির পশ্চাদপরতায়, অবসর সময়ের অভাবে এখনো জয় করে উঠতে পারেন নি। কমিউনিস্ট পার্টির বৌদ্ধিক কর্মীদের দায় শ্রেণী সমাজের সীমা ও বাধার মধ্যেও এই মানস সম্পদের উপর অধিকার নেওয়া। সেই অধিকার-ও, শিক্ষা ও সংগ্রাম সাপেক্ষ। এই জয়ের প্রয়াস বিষ্ণু দে-র কাব্য সাধনায়। উগ্র বামপন্থীরা তা বুঝতে পারেন নি।(পৃ: ৩৯)
    ***
  • b | 117.202.92.97 | ১৭ জুলাই ২০১১ ২০:৪৭477535
  • এখানে উদাহরণ স্বরূপ দেয়া যেতে পারে কোণার্ক কবিতার একটি অংশ্‌সনেটবদ্ধ দৃঢ় আর্কিটেক্‌চার বিশেষ, যেখানে বর্ণনা আর বর্ণিত মিশে যায় কবিতার নিয়মে। বামপন্থী ঝোঁক স্পষ্ট, যে বামপন্থা বলতে পারে Nothing human is alien to me.

    "" নারিকেল সচকিত, ঝাউবীথি জেগে ওঠে, সমুদ্রের তালে
    সূর্যের মন্দিরা বাজে, চোখে কানে মর্মে মর্মে মর্ত্যের জীবন
    নি:সঙ্গ কোণার্কে তোলে সুন্দরের ঘন নৃত্যে মুখর সকালে
    কত শিল্পী মজুরের মাঝিমাল্লা কুলিদের কর্মিষ্ঠ গুঞ্জন!

    কত না দ্বাদশ শত কত শত সহস্রের বাটালী তুরপুনে
    কত লক্ষ মানুষের জীবনের আনন্দের বিস্তৃত আকাশ
    পৃথিবী পাথরে ধরে লক্ষ-লক্ষ মূর্তি ভঙ্গে, এককে মিথুনে
    ফুলে ও লতায় ফলে পল্লবিত গাছে শত জীবে! রূপাভাস
    আশ্চর্য এ আমাদের দেশের মানুষ দিলে, সূর্যের সমান
    প্রবল প্রেমের চোখে সর্বজয়ী জীবনের প্রত্যক্ষ আবেগে।

    গ্রামে গ্রামে শহরে বন্দরে যত বঞ্চিত এবং বন্দীর
    বিজয়ী জীবন তাই শত সহস্রের হাতে রক্তসূর্য লেগে
    অমর ঐশ্বর্যে বাজে শিল্পীর তন্ময় ধ্যানে সৌন্দর্যে গম্ভীর
    নির্মাণে চঞ্চল ভীড়ে জেগে ওঠে কোনার্কের মন্দির শ্মশান।''
  • ranjan roy | 122.168.206.171 | ১৭ জুলাই ২০১১ ২৩:২৩477536
  • অর্ণব,
    এর ফাঁকে ঘোড়সওয়ার নিয়ে একটু হয়ে যাক। গুরুদের পিঠচাপড়ানি ও চন্ডালের খিল্লি সবই জুটতে পারে কপালজোরে।:)))))
  • ranjan roy | 122.168.206.171 | ১৭ জুলাই ২০১১ ২৩:২৫477537
  • বি,
    চমৎকার শুরু করেছেন, থামবেন না।
  • dd | 122.167.21.209 | ১৮ জুলাই ২০১১ ০০:১২477538
  • অচিন্তোরে

    বিষ্টু দে ১৯৬৮এ মৌলানা থেকে রিটায়র করেন আর আমি গুনে গুনে '৬৯এ কালেজে ভর্তি হই।

    লস ইজ এনটায়ার্লি হিজ।
  • I | 14.99.231.93 | ১৮ জুলাই ২০১১ ০০:১৯477540
  • তাই ভেবে মরছিনু এতোকাল! আমি এতো পোতিভাবান, অথচ শিল্প-সংস্কিতিতে সবাই কিভাবে আমারে নেড়ে-চেড়ে ঠেলে-ফেলে এগায়ে যায় । এখোন পোস্কার। :-) আমারো অবসর নাই। নালে কি যে হতু !

    ( ডি:- নিছক নিজেরে নিয়া মজা। শ্রমজীবী মানুষ কিংবা অন্য কারো প্রতি কটাক্ষ নাই, বলে রাখা ভালো। হাওয়া যা গরম !)
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন