এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রথম ফ্লাইটা ওঠার এক্ষপেরিএন্স

    S
    অন্যান্য | ০৭ আগস্ট ২০১১ | ১৪৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • S | 90.200.14.201 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ১৬:১৬481988
  • নেই কারুর মজার ঘটনা?
  • Lama | 117.194.225.184 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ১৯:৫৭481999
  • আমাদের আদি নিবাস ত্রিপুরায় যেহেতু দু-তিন বছর আগেও কোনো রেলপথ ছিল না (ছিল, তবে নামমাত্র- উত্তরদিকে আসাম সীমান্তে মাত্র সতেরো কিলোমিটার), ভারতবর্ষের অন্যত্র যাবার জন্য আপামর ত্রিপুরাবাসীরএকমাত্র যানবাহন ছিল এরোপ্লেন। শস্তার এয়ারলাইনসের আগের যুগে, যখন এরোপ্লেনের যাত্রী মানেই "ঠুমি কোঠা হইঠে আসিটেছে' গোছের একটা স্যুটেদ বুটেড ব্যাপার, তখন ত্রিপুরার বিমানযাত্রী একধরণের ব্যতিক্রম। আগরতলা এয়ারপোর্টের যাত্রীদের কয়েকভাগে ভাগ করা যেত-

    ১) হেঁটো ধুতি বা আটপৌরে শাড়ি পরা অপ্রতিভ ও কুন্ঠিত (এঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ),
    ২) আমার বাবার মত শার্টপ্যান্ট পরিহিত ও ইংরেজি বলতে পারা,
    ৩) সবুজ প্যান্ট ও লাল টাই পরিহিত অতিচালাক (এরা কেন জানি না সিট বেল্ট বাঁধতে আপত্তি করত- হয়তো ওটাই ছিল স্মার্টনেসের শেষ কথা),
    ৪) সপরিবার সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা (বিমানযাত্রায় এঁরাই সবচেয়ে মানানসই),
    ৫) ও এন জি সির তৈলকূপের ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতাঙ্গ (অধুনালুপ্ত)।

    সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম্য যাত্রীদের সঙ্গে বিমানসংস্থার কর্মচারীরা একটু তাচ্ছিল্যপূর্ণ ব্যবহার করত। যেমন আপাদমস্তক বাঙালী এয়ারহোস্টেস হয়তো বয়স্ক আদিবাসী গ্রাম্য যাত্রীটিকে অপ্রতিভ করার জন্য তাঁর প্রশ্ন বুঝতে না পারার ভান করলেন। অথবা হয়তো যাত্র্রেদের শুনিয়ে শুনিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে এমন দুর্বোধ্য ইংরেজি বললেন যে যাত্রী বেচারা একগ্লাস জল চাইতেও সাহস করলেন না। তবে কিছু কিছু উঠতি যুবককে দেখতাম জল চাইবার অছিলায় ঘন্টা বাজিয়ে এয়ারহোস্টেসকে ডেকে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে।

    দমদম এয়ারপোর্টেও আগরতলার যাত্রীদের সহজেই চেনা যেত। কলকাতায় অনেক কিছুই শস্তা বলে এঁদের কাছে বড় বড় চটের ব্যাগে সদ্য কেনা জিনিসপত্র থাকত। তারমধ্যে প্রধান ছিলম ফল, বিশেষত: আম। আরো বিহিন্ন জিনিস, এমনকি ফুলঝাড়ু পর্যন্ত দেখেছি কারো কারো কাছে। উল্টোদিকে, আগরতলা এয়ারপোর্টে কোনো যাত্রীর হাতে ত্রিপুরার বিখ্যাত বাঁশের ময়ূর দেখলে বুঝতে হবে এঁরা আসলে কলকাতার বাসিন্দা, ত্রিপুরার কোনো আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছেন (ত্রিপুরার পর্যটনশিল্প তখনো অপরিণত, আত্মীয়ের বাড়ি না থাকলে কেউ যেত না)।

    ত্রিপুরায় আগরতলা ছাড়া তখন ত্রিপুরায় আরো তিনটে এয়ারপোর্ট ছিল যেগুলো এখন আর নেই। আগরতলা থেকে তার কোনো কোনোটার ভাড়া ছিল অবিশ্বাস্য রকমের কম- পঁচিশ টাকা না চল্লিশ টাকা না ঐরকম একটা কিছু।

    আগরতলা থেকে আরো দুটো জায়গায় প্লেন যেত- শিলচর আর গৌহাটি। ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ছাড়াও "জনতা" বলে আরেকটা এয়ারলাইনস কিছুদিন চলেছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাকোটা প্লেন চলত- টিনের পাতের মত পদার্থ দিয়ে তৈরি, সর্বাঙ্গে রিভেট লাগানো। ভাঁজকরা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামার পর সেই সিঁড়ি গুটিয়ে প্লেনের মধ্যেই রেখে দেওয়া হত । মাথার ওপর মালপত্র রাখার তাক ছিল সরু দড়ি দিয়ে তৈরি, হালকা ব্যাগ ট্যাগ রাখা যেত- এয়ার পকেটে পড়লে সেগুলো হুড়মুড় করে গায়ে মাথায় পড়ত। আর ককপিটের কোনো আড়াল ছিল না। পাইলটদের প্লেন চালানো দেখা একটা মজার ব্যাপার ছিল ছোটবেলায়। আর সম্ভ্রান্ত প্লেন ছিল ফকার ফ্রেন্ডশিপ- দুধসাদা রঙের শরীর, উঙ্কÄল কমলা লেজ। ডাকোটার চাকা ছিল ফিক্সড কিন্তু ফকার ফ্রেন্ডশিপের চাকা টেক অফের পর ভাঁজ হয়ে ভেতরে ঢুকে যেত। জানালার ধারে ঐ অংশটার সিট বেশ লোভনীয় ছিল, কারণ চাকার ওঠানামা ওখানে বসে দেখা যেত। বোইং বা এয়ারবাসের কোনো প্রশ্ন ছিল না। ডাকোটার ডানা ছিল জানার লেভেল থেকে নিচুতে। ডানাতে একটা নীল রঙের রেখার গায়ে লেখা থাকত "ডু নট ওয়াক বিয়ন্ড দিস লাইন'- বেশ মজা পেয়েছিলাম পড়ে।

    আর চেক ইনের পর বাইরে গিয়ে একবার মালপত্র সনাক্ত পরতে হত (কিছু লোককে বলতে শুনেছি "লাগিস আইডেন্টি' করা)। সিকিউরিটি অত্যন্ত ঢিলেঢালা- এক্সরের কোনো ব্যাপার নেই। আগরতলা এয়ারপোর্টে কনভেয়ার বেল্টও ছিল না। রেজিস্টার্ড লাগেজ কেউ চেকও করত না, লেবেল সেঁটে দিয়ে ঠেলায় চাপিয়ে বাইরে নিয়ে যেত। চেক হত শুধু কেবিন ব্যাগেজ।

    আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতা ছিল অতি পাকা। ওর দু:খ ছিল সিকিউরিটির লোকেরা ওকে চেক করত না। সেটার ফলে প্রাপ্তবয়স্কের লেবেল ওর ওপর পড়তে দেরি হচ্ছিল। একবার ইচ্ছে করে গ্রেপ্তার বরণ করার উদ্দেশ্যে একটা প্লাস্টিকের খেলনা বন্দুক নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা সঙ্কেÄও বোকা সিকিউরিটি ওকে গ্রেপ্তার না করাতে বেশ মন:ক্ষুণ্ন হয়েছিল মনে আছে।
  • Nina | 68.45.76.170 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৩482010
  • লামা, তব কনিষ্ঠভ্রাতার কন্যার প্রথম প্লেনে চড়ার এক্ষপিরিয়েন্স জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে রইলুম :-))
    --অবশ্যই তার মায়ের কলমে ;-)
  • nk | 151.141.84.194 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৪482021
  • সেই চিনির বস্তা ওয়ালা প্লেনের কথাটা তো কেউ বললো না! উড়ানপথে বস্তায় গর্ত করে চিনি খেতে খেতে গেলো ছেলেরা সব! :-)
  • Lama | 117.194.225.184 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ২১:৫৪482029
  • নিনাদি, কনিষ্ঠভ্রাতার কন্যার ইতিমধ্যেই বার চারেক বিমানযাত্রা হয়ে গেছে- ইতিমধ্যেই সে এ ব্যাপারে ওস্তাদ। সব কটাই ডোমেস্টিক ফ্লাইট অবশ্য। প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বর্ণনা কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশিত হবে। মায়ের কলমেই। জেঠু তো আর সঙ্গে যেতে পারবে না!
  • hu | 98.223.88.150 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ২১:৫৯482030
  • আমি যখন প্রথমবার সাগরপাড়ি দিলাম দিদা পই পই করে বলে দিয়েছিল, প্লেনের জানলা দিয়ে যেন হাত বার করো না।
  • nk | 151.141.84.194 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ২২:০৩482031
  • লামা, আপনার লেখাটা স্মৃতি জাগিয়ে দিলো। আমার প্রথম প্লেনে করে যাওয়া ত্রিপুরাতেই, বেশ বড় বড় ঝুড়ি চাদর পুঁটলি নিয়ে লোকেরা যাচ্ছিলো, আহা তারা তো আমাদেরই মতন! ওসব দেখে আমার ভয় কেটে গেছিলো। তখন প্রাইমারিতে পড়তাম। দমদম থেকে ত্রিপুরা, মেঘে ভরা যাত্রা, বৃষ্টি পার হয়ে উপরে চলে গেল প্লেন, ওখানে নেমে দেখা গেল দিব্যি খটখটে দুপুর। :-)
    তবে ফেরার প্লেনযাত্রাটি অবিস্মরণীয় ছিলো, সেই শেষ বিকেল, সেই লাল টকটকে সূর্য, নিচে মেঘের সমুদ্র লাল, উপরে হাল্কা হাল্কা লাল কমলা মেঘ, জানালার পাশে হুমড়ি খেয়ে দেখছি ভাইবোন। এরপরে কত সব মামুলি অমামুলি জিনিস দেখতে দেখতে বুড়া হয়ে যাবো, কোনো কোনোটা হয়তো বা চমকপ্রদই হবে, কোনো কোনোটা হবে না, কিন্তু সেই প্রথম তরুণ চোখে দেখা বর্ণিল সেই উড়ান সারাজীবনের স্মৃতি, সঙ্গে যাবে একেবারে শেষ অবধি।
  • Lama | 117.194.225.184 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ২২:০৫482032
  • :)

    তারাপদ রায়ের লেখায় পড়েছিলাম- উনি সূর্যগ্রহণ দেখতে যাচ্ছিলেন আর ওঁর স্ত্রী বলেছিলেন কাছে না যেতে।
  • siki | 122.162.75.242 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ২২:৪২482033
  • এটা প্রথম নয়, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বলা যায়। মেলবরন গেছিলাম আপিসের ঠেলায়, প্রথম বিদেশযাত্রা। গেছিলাম তো গম্ভীর গর্গের সঙ্গে, সেই বাংলালাইভের পাতায় লেখা শুরু করেছিলাম, ফিরতে হয়েছিল একা।

    কোয়ান্টাসের ফ্লাইট, নিয়ে পৌঁছবে হংকংয়ে, সেখান থেকে পরের উড়ান ধরে দিল্লি। রাত বারোটায় মেলবোর্ন থেকে প্লেন উড়ল, আমার উইন্ডো সীট। ঘুমিয়ে পড়লাম।

    কত রাত জানি না, চোখে প্রচণ্ড চড়া আলো পড়তে ঘুম ভেঙে গেল। চোখ খুলে তাকাতে পারছি না এত উজ্‌জ্বল আলো। কোনওরকমে ধাতস্থ হয়ে একচোখে মিটমিটিয়ে ওপর দিকে তাকালাম। নাহ, ওপরে তো আলো জ্বলছে না! আলোটা আসছে বাইরে থেকে।

    সেদিন ছিল পূর্ণিমা। পূর্ণচন্দ্র। এত সাংঘাতিক ব্রাইট আলো, চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে। মাটি থেকে কত হাজার মিটার ওপরে কে জানে, সে চাঁদের ঔঙ্কÄল্য অকল্পনীয়।

    তাকিয়ে থাকা গেল না। চোখের ওপর রুমাল চাপা দিয়ে আবার ঘুমোবার চেষ্টা করলাম।
  • hu | 98.223.88.150 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ২২:৫৫481989
  • সেবারে কি যেন কাজে ফ্লাই করছি শার্লট থেকে অ্যাটলান্টা। মারাত্মক খারাপ ওয়েদার। যাবো কি যাবো না দোনামনা করতে করতে শেষ পর্যন্ত প্লেন ছাড়ল। টেক অফ করার পর থেকেই ক্রমাগত লাফিয়ে চলেছে। জানলার ধারে বসেছি। বাইরে লালচে ধোঁয়ার মত মেঘ চারদিক থেকে যেন ঠেসে ধরেছে। এ যাত্রাই বুঝি শেষ যাত্রা। অবশেষে মেঘের সাথে যুদ্ধ লড়ে প্লেন উঠে এল পরের স্তরে। শান্ত নিস্তরঙ্গ রাত্রি। পূর্ণিমা তিথি। দুধের সরের মত আলো বিছিয়ে আছে মেঘের চাদরে, যে চাদর ভেদ করে এইমাত্র আমরা উঠে এলাম। চাঁদ হাসছে, তারা ফুটেছে, ঝড়-ঝাপটার চিহ্নমাত্র নেই।
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ০৩:২৬481990
  • ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ২০০৫। গন্তব্য লংডং। একটু গম্ভীর এয়ার হোস্টেস, প্রবল ঠান্ডা পেলেনের ভেতর, পাশে ক্যাটখুকি, অতএব আরো কাঁপুনি। এই বুঝি ধরা পড়ে গেলাম, এই বুঝি হাসি চাপার শব্দ ভেসে আসে।
    জানলা সিটে বসে ইতিউতি চাই, কোনটা মাখনের টুকরো, কোনটা দুধের কৌটো, গুলিয়ে টুলিয়ে যায়। এমন সময় খুকির বাবা হুইস্কির গেলাস নিয়ে বসলেন। আমি মনে মনে পশ্চিমি ভোগবাদের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছি, নানান আদর্শবাদী চিন্তা মাথায় ঝাপটা মারছে (এদিকে একটু ফাঁক পেলেই দেখে নিচ্ছি খুকি কেমন কেতের সাথে ফল খাচ্ছে, ক্রিম মাখছে, মুচকি হাসছে) এমন সময় জানলা দিয়ে তাকিয়েই....... !!!
    তারপর থেকে আর কোনোদিন আমার পেলেনে চাপতে বোর লাগেনা, পাশে কে বসেছে খেয়াল থাকেনা.... যদি জানলার ধার পাই।
  • Lama | 117.194.224.91 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ০৩:৪৮481991
  • মায়ামি থেকে লন্ডন হয়ে কলকাতা ফেরার পথে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজএর লন্ডন-কলকাতা ফ্লাইটে পাশের সিটে বুড়ি মেমসাহেব। কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞাসা, "হ্যাভ ইউ এভার বিন টু ক্যালকাটা?' আমার সংক্ষিপ্ত জবাব- হ্যাঁ।

    মেমসাহেব: তাই নাকি! তা কলকাতায় কতদিন ছিলে?
    আমি: প্রায় পঁয়ত্রিশ ছত্রিশ বছর

    তারপর কলকাতায় সিগারেটের দাম থেকে শুরু করে জলদাপাড়ার গন্ডার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইত্যাদি নানা বিষয়ে ভাট হল
  • til | 165.12.252.211 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ০৫:৩৬481992
  • আহা, কি সুন্দর টপিক, S অনেক ধন্যবাদ।
    আমার প্রথম দমদম থেকে, তখন ব্যাঙ্গালোরে থাকতাম। ডাইরেক্ট ফ্লাইট ছিল না। দমদম, হায়দ্রাবাদ হয়ে। ওহ, হ্যাঁ, হায়দ্রাবাদে কাজও ছিল।
    দমদম ক্যান্ট ষ্টেশন থেকে রিকশা করে এয়ারপোর্ত। আর সেই প্রথম টেক অফ? মনে হচ্ছিল ছোটবেলায় কুকুরের লেজে তারাবাজী জ্বালিয়ে দিলে কুকুর যেমন উর্ধশ্বাসে ছুটতো তেমনি (হে সারমেয়গণ, ক্ষমাপ্রাথী)।
    ।।।
    এত বছর বাদে এই সেদিনও কলকাতা- ব্যাঙ্গালোর গেলাম, সেই একই রিকশা সম্বল জেবিনগর থেকে, ত্রআডিশন??
    --
    ভাই লামা, লেখাটা অত্যন্ত মনোগ্রাহী হয়েছে; লেকিন এই ত্রিপুরা জায়গাটা কোথায়? (((:::
  • Lama | 117.194.224.91 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ০৫:৪৫481993
  • তিলদা, বলেন কি? সত্যিই আপনি ত্রিপুরার নাম শোনেন নি?

    ত্রিপুরা হচ্ছে ভারতবর্ষের একটা রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, অন্ধ্র, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ যেমতি। ত্রিপুরার রাজধানীর নাম আগরতলা।

    উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর নাম মনে করুন- আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুনাচল প্রদেশ। এবং ত্রিপুরা।

    শচীন দেববর্মনের নাম শুনে থাকবেন আশা করি। তাঁর বাড়ি ছিল এই ত্রিপুরা।
  • til | 165.12.252.211 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ০৬:২৪481994
  • কি যে বলেন, লামা স্যার। একটু লেগ পুল করছিলাম। তবে কি এটা নিশ্চিত জানি আমার যেমন কোনদিন চাঁদে যাওয়া হবে না তেমনি ত্রিপুরাও! আসলে ত্রিপুরা শুনলে কেমন যেন রঘুপতি, গুণবতী, গোবিন্দমাণিক্যর গল্প ভেসে আসে।
    (তবে এটা সত্যি, বিক্কলেজের অ্যাডমিশন ভাভাতে ভূপাল কোথায় জিগাতে আমি বলেছিলাম , কেন, নেপাল ভূপাল!)
  • til | 165.12.252.211 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ০৬:২৯481995
  • ভোপাল*
  • Lama | 117.194.224.91 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ০৮:২০481996
  • কেন, পরেরবার কলকাতা এলে ত্রিপুরাটা ঘুরে যেতেই পারেন- টিকিট কাটবেন, প্লেনে চাপবেন, চল্লিশ মিনিটে পৌঁছে যাবেন- কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, রানাঘাট, তিব্বত, ত্রিপুরা
  • siki | 123.242.248.130 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১২:১৪481997
  • লামা, বানান ঠিক করো। ডায়মন্ড হারবার আবার কী? লেখো ডায়মন হাবরা।
  • Lama | 203.132.214.11 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১২:৩২481998
  • হ্যাঁ হ্যাঁ। আর কলকেতা
  • humm | 122.167.227.182 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৪:১৫482000
  • আসল জায়গার নাম গুলোকে এই ভাবে বিকৃত করে বল্লে জায়গার নাম উদ্ধার করা তো কঠিন !! যিনি এমন লিখবেন বা লেখার জন্য উতসাহিত করবেন ,তাঁরা কি যারা বুঝতে পারবেনা তাঁদের জন্য আসল নাম খানা ব্রাকেট এ লেখার কষ্ট টুকু করবেন ? ডায়মন্ড হারবার কে ডায়মন হাবরা !! উপ্স !
  • humm | 122.167.227.182 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৪:২৩482001
  • আমার প্রথম প্লেনে চড়া আজ থেকে ১৪ বছর আগে , আন্দমানে যাবার সময় । দম দম এয়ারপোর্ট থেকে ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সে চেপে । প্লেন ছাড়ল , আন্দামানে পৌছালাম প্রায় , নিচে দেখা যাচ্ছে অগুন্তি আইল্যান্ড । অপুর্ব দৃশ্য । কিন্তু পাইলট জানালেন খারাপ ওয়েদারের জন্য প্লেন পোর্ট ব্লেয়ার এ নামতে পারবেনা । তাই ব্যাক টু কলকাতা । তা ভালই হলো । দম দমে ফিরে দেখি এয়ারপোর্ট হোটেলে থাকার ব্যব্‌স্‌থা করেছে । সঙ্গে বাফে লানচ ,এবং ডিনার ও ।খুব মজা হোলো । পরের দিন সকালে আবার আই -এর ফ্লাইটে আন্দামান যাত্রা ।
  • Lama | 203.132.214.11 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:০২482002
  • ইসে, আমার কথা যদি সবাই বুঝতেই পারবে তাহলে আমি বুদ্ধিজীবি কি করে হব?
  • kc | 194.126.37.78 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:০৭482003
  • আজকের ডায়মন বাতিল আছে। এখন তেরো নম্বরে লক্ষ্মী আছে। লক্ষ্মী গেলে সোনা আসবে।
  • kumu | 122.160.159.184 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:১৩482004
  • আমার মতো চ্যাহারা নিয়ে মই বেয়ে কেউ পেলেনে উটেচে?
  • Shibanshu | 117.195.180.106 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:১৭482005
  • লামা, দারুন হচ্ছে।
  • siki | 123.242.248.130 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:১৮482006
  • পোতোম কতা, আপনার মতম চ্যায়রা বোধ হয় একমাত্তর র‌্যাটাসের আর বোধির আছে। তাদের দুজনকে জিগ্গেস করলিই হয়।

    (ডি: ঠ্যাং ধরে টানলাম, কিছু মাইন্ড কইরেন্না)
  • humm | 122.167.227.182 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৫:২৮482007
  • :)) @ লামা আপনাকে বলিনি । আপনার বি ই কলেজ বা এই লেখাতেও অমন কিছু দেখিনি ।বরং খুব ভালো লেগেছে । কিন্তু প্রোরোচনা তে পা দিলেই ---
  • de | 59.163.30.4 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৭:০৬482008
  • ইসে, দম দম টা কোতায়? দমদমে কি ? :))
  • humm | 122.167.227.182 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৭:৪২482009
  • :-) হ্যাঁ ।। দমদম ।।আসলে একটু দম ফেলে বলতে গিয়েই দম দম হয়ে গেছে ।
  • humm | 122.167.227.182 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৭:৪৮482011
  • তবে @ দে , উইকি তেও দম দম এই ভাবেই লেখা ।:)
    http://en.wikipedia.org/wiki/Dum_Dum
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন