এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিবপুরাণে পার্বতী

    Su
    অন্যান্য | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ২০১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Su | 86.160.9.208 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৫:০৬490482
  • পরাজিতা পার্বতী

    (শিবপুরাণের ছায়া অবলম্বনে )

    সুচেতনা সরকার

    সেদিন চৈত্রমাস,শিরীষফুলে ঢাকা দীঘল সরোবরে শিবসোহাগী পার্বতী স্নানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জলেরামধনু রঙ, স্নিগ্‌ধ মৃদু ঢেউ, পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ভোরবেলায় রাজহংসীর মতোসাঁতার কাটছেন পূর্ণযৌবনা পার্বতী। নামমাত্র সুক্ষ্মবাসে আবৃতা উমার নিরাভরণ রূপেরশোভায় লতাগুল্মে ঘেরা নির্জন সরসী হয়ে উঠেছে ধ্যানমোহিতা। স্নানশেষে পার্বতীর রূপচর্চায়প্রতিদিনের মত সখী সুলক্ষ্মণা সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন। সুলক্ষ্মণা সেইসমুদ্রমন্থন থেকেই পার্বতীর সাথী- তাঁর প্রতিদিনের প্রতিটি কাজেই সুলক্ষ্মণাঅপরিহার্য্য। পার্বতীর ধূপসুরভিত একঢাল কালো এলোচুলে শিথিল কবরী বেঁধে দিলেন,চম্পকরেণু মাখিয়ে দিলেন সর্বাঙ্গে, মেখলাতে নবকুসুমের মালা, রত্নখচিত বক্ষাবরণ,ননে কাজলরেখা, কপালে কুঙ্কুমতিলক, সীমন্তে সিঁদুররেখা, সুক্ষ্ম মণিময় কারুকাজেঅলঙ্কৃত বস্ত্রে সুশোভনা হিমালয়কন্যা পার্বতীকে নদীর ধারে একটি পাথরের টিলায় বসিয়েরেখে বললেন- ‘শুধুউত্তরীয়টুকু বাকি রয়ে গেছে শিবাণী, তুমি একটু বসে থাকো আমি এক দৌড়ে নিয়ে আসি।‘

    পার্বতী শিবস্বপ্নেআনমনা- রূপের সাথে সুতীক্‌ষ্‌ঞ বুদ্ধিমত্তা, দীঘ্নতা তাঁকে অতুলনীয় করে তুলেছে- তিনিসার্থক স্ত্রী! স্বামীগর্বে গরবিনী- তিনি পঞ্চতপা সাধনায় জয় করেছেন দেবাদিদেবকে।অসেই মহাদেব যিনি ইন্দ্রিয়জয়ী, নারীসৌন্দর্য্য যাঁকে শত প্রলোভনেও টলাতে পারেনা। শতাপ্সরা কিন্নরী হার মেনেছে মহাদেবের ধ্যানভঙ্গ করতে। মহাদেবের জীবনে পার্বতীইএকমাত্র নারী! মহাকাশকে সাক্ষ্মী রেখে গৌরী আরেকবার অস্ফুটে বললেন পূব আকাশেরউদীয়মান সুর্য্যকে। একবার, বারবার! বললেন হে দিনকর তুমি কি জানো যে মহাদেব শুধুইপার্বতীর!

    দিবাকর মুচকিহাসলেন, ‘হেদাক্ষায়ণী সতী, পুরুষকে বিশ্বাস করছো? তোমার জন্যে ভয় করছে আমার কল্যাণী! আমিও দেবাদিদেবেরকাছে এই প্রার্থনাই করি তোমার এই ভুল যেন কোনোদিন না ভাঙে’

    ‘দিনকর কেনমিছে ভয় দেখাও? আমি যে সার্থক স্ত্রী! কার্য্যেষু মন্ত্রী, কারণেষু দাসী, ভোজনেষুমাতা, শয়নেষু রম্ভা! ক্ষমায়েষু ধরিত্রী, রূপেষু লক্ষ্মী, সদগুণযুক্তা প্রিয়ধর্মপত্নী!আমার কর্তব্যে তো কোন ত্রুটি হয়নি! তবে ভুলের কথা বলছো কেন সখা?’

    ‘পারবেপার্বতী ধরণীর মতো ক্ষমা করতে স্বামীকে? যদি জানতে পারো তোমার মহাদেবও আর পাঁচটাসাধারণ পুরুষের মতই অন্য নারী গমনে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনা?’

    এবারে উমার মুখেকথা সরেনা, মনে পড়ে মাতা মেনকাকে। বিবাহরাত্রে মাতা মেনকা একদম বেঁকে বসেছিলেন এমনপাত্রে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায়? এমন কিছু হলে মায়ের কাছে মুখ দেখাবেন কিকরেহিমালয়নন্দিনী?

    ‘সুর্য্য!তুমি আমাকে খামোখা জ্ঞান দিতে এসোনা! তুমি মহাদেবকে জানোনা! মদন ভস্মের কথা তোতুমিও জানতে ভাস্কর! শরীরকে, ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন আশুতোষ, তাই তো তিনি দিগম্বর, মদনারি!-তোমার কি মনে নেই সতীর দেহত্যাগের পরে নটরাজের প্রলয় নাচন? তবে মিছে আমাকে ভয়দেখাও কেন সখা?’

    সুরžয়্য মৃদুহেসে বলেন ‘সখী তুমিদুর্গা হতে পারো, হতে পারো অসুরবিনাশিনী, দনুজদলনী! তবু ভুলে যেওনা তুমি নারী! আরপাঁচটা সামান্য মেয়ের মতো তোমার স্বামীও দিব্যি পরনারীতে আকৃষ্ট হতে পারে- তাই বলিসখী সাবধানে থেকো!’ চারদিকে একবার তাকিয়ে নিলেন সূর্য্য বললেন, ‘গৌরী, আমার কি আর বসে অনন্তকাল গল্প করার সময় আছে? তোমারসঙ্গে আবার পক্ষান্তরে দেখা হবে- তখন না হয় আমাকে আবার স্বামীর জয়গান কোরো! আজআজ্ঞা দাও হে শরণ্যা!’

    অনন্তে মিলিয়েযাওয়া সূর্য্যের গতিপথে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন সর্বানী। এমন ভাবে কতসময় কেটেছেকে জানে! চমক ভাঙলো সুলক্ষণার ডাকে! তারহাতে নীহারশুভ্র উত্তরীয়টি! মনে পড়ে যায় এই উত্তরীয় আনতেই তো সুলক্ষণা গিয়েছিল!কিন্তু সেতো অনেক আগে! এতো সময় তো লাগারকথা নয়!

    এদিকে সুলক্ষণাঅধোবদন! উমার চোখে চোখ রেখে কথা বলার মতো অবস্থায় সে নেই!

    ‘সখী, তোমারশরীরে এমন অনঙ্গের জ্যোতি দেখতে পাচ্ছি কেন? অথচ মুখে এমন কালিমা কিসের? এতোক্ষণকোথায় ছিলে মধুরা?’ পার্বতীর এই প্রশ্নের উত্তর দেবার ক্ষমতা ছিলোনা সুলক্ষণার! কিন্তু সরলমুখটিতে ছিল পাপবোধহীন পবিত্রতা!

    সুলক্ষণারবিশ্রস্ত বেশবাস, শিথিল কাঁচুলি, এলোমেলো আঁচলে সোমেশ্বর মহাদেবের দেহগন্ধ! অনেককথাই মনে আসছে উমার কিন্তু তা বিশ্বাস করতে কিছুতেই মন চায়না যে!

    ‘বলো মধুরা?আমি যে তোমাকে আশ্রয় দিয়েছিলাম। সমুদ্রমন্থনে তোমাকে নইলে অসুরেরা ছিঁড়ে খেতো,সেখান থেকে বুকে করে তুলে এনেছিলাম তোমাকে, আমার সহচরী হয়ে থাকবে বলে! আজ কি এমনহলো যেকথা আমাকে গোপন করতে চাইছো? আশ্রয়দাত্রীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে তোমার কিএকটুও দ্বিধা হয়না?’ মধুরা তবুও চুপ! অধৈর্য্য হয়ে উন্মাদিনীসর্বাণী চিৎকার করতে থাকেন, ‘এইজন্যেই পিতৃপরিচয়হীনা বারাঙ্গনা কে গৃহে স্থান দিতে নেই! তোমাকে নিয়ে আসারসময়ই নন্দীরাজ আমাকে বারণ করেছিলেন! আমি ই দপরবশ হয়ে স্থান দিয়েছিলাম তোমাকে!নারীর সম্ভ্রম ধূলোয় মিটিয়ে দিলে তুমি আজ সুলক্ষণা? তুমি জানতে আমি এখন রজস্বলা,স্বামীসঙ্গমে অপারগ! সব জেনেশুনে তুমি মহাদেবকে ভোলাতে গিয়েছিলে? তাও উত্তরীয়আনবার ছলনায়?’

    পার্বতী দুইহাতেসুলক্ষণার পরনের বস্ত্রখন্ডটি ধরে টান দিলেন- শিথিল কাঁচুলি উন্মুক্ত হল!,

    ‘মধুরা!’ জলদগম্ভীর কন্ঠস্বর রাজেন্দ্রাণী উমার! অনিন্দ্যসুন্দরীপার্বতীর সর্বাঙ্গের রত্নালঙ্কার ঠিকরে সুর্য্যের আলো যেন চলকে উঠলো! কনকচাঁপাআঙুল ছুঁইয়ে দিলেন মধুরার বুকে। স্তনবৃন্তে লেগে থাকা মহাদেবের ভস্মকণারা ভয়ঙ্করহেসে উঠলো যেন! হাহাকার করে উঠলেন পার্বতী! গিরিরাজদুহিতা! তাঁর সব অহঙ্কার চূর্ণহয়ে গেছে! চোরাশিকারীর তীর বিঁধেছে মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গার হৃদপিন্ডে!অস্তাচলগামী সুর্য্য তাঁর যাত্রাপথে সহসা গতি স্তব্ধ করেছে এই দীর্ঘ অপরাহ্নবেলায়!দিনশেষের সরসী আজ পঙ্কজশূণ্য, যেন দেবপূজার কোনো আয়োজনই নেই আগামী প্রত্যুষেরজন্যে। অভিমানী অরণ্যদেবী এক বিশাল শোকযাত্রার জন্যে প্রস্তুত!

    কিন্তু সুলক্ষণা?তার কানে যেন কিছুই পৌঁছোয়নি! এতোক্ষন কেমন একটা ঘোরে কেটেছে যেন! কি হয়েছিল মনে করার চেষ্টা করছিল সুলক্ষণা! উত্তরীয়টি নিয়েদৌড়ে আসছিলই সে! দীঘল সরোবরের সোপান বেয়ে ক্ষিপ্রচরণে দৌড়ে আসছিল আশ্রমবালিকা,অপাপবিদ্ধা! তার ক্ষীণ কটি, উদ্ধত পয়োধর, স্বল্পদৃশ্যমান ত্রিবলীরেখার আভাস,এলোখোঁপার থেকে খসে পড়া মন্দার ফুল যেকোন পুরুষের নি:শ্বাসবায়ূ স্তব্ধ করে দিতেপারে! চমকে উঠেছিল সে জলের শব্দে! আশুতোষ এসেছেন স্নান করতে! এর আগেও তো মহাদেবকেঅনেকবারই স্নান করতে দেখেছে সে, কিন্তু এমন রূপমুগ্‌ধতা তো কখনো হয়নি? পৃথিবী তারঘুর্ণন ভুলে দাঁড়িয়ে ছিল সেই ক্ষণটুকুতে!

    শ্রেষ্ঠ পুরুষেরমুগ্‌ধ দৃষ্টির সামনে সুলক্ষণা অসহায়! অন্তরের অন্ত:স্থলে তরঙ্গিণী আজ হিল্লোলিত!কেমন করে যেন জানতে পেরেছে মহাদেব আজ ইচ্ছাপূরণের নয়, মৃত্যুর লিখন নিয়ে এসেছেন!তবু পতঙ্গ কি অগ্নির আকর্ষন থেকে বাঁচতে পারে? সদ্যোস্নাত পুরুষের সৌন্দর্য্য কিসদ্যোস্নাতা নারীর তুলনায় কিছু কম? শিবের মস্তক, বক্ষ, বাহু হতে ঝরে পড়া জলকণারারূপকথা রচনা করছে চক্রাকারে! বিহবলা সুলক্ষণার আনত দৃষ্টি মিলিত হল পায়ের কাছে বসাশিবের! দেহি পদপল্লব মুদারম! শিব প্রেমভিক্ষা করছে? এযে বিশ্বাসই হয়না! মদনারিশিবের রতিকামনাকে কি পৃথিবীর কোনো নারীই ফেরাতে পারে?

    বিভ্রান্ত কম্পিত ভীত চকিত মেয়ে শুনতে পাচ্ছিল শুধুবনতলে পাতা ঝরার শব্দ! যেন এই মুহুর্তে একটি মাত্র শব্দও, একটি মাত্র পদবিক্ষেপওসুতনুকা বালিকাকে চুর্ণবিচুর্ণ করে দিতে পারে কোটিকোটি খন্ডে! তৃষিতা নারীর নবজন্মহলো, সুলক্ষণা যে এমন করে কোনোদিনো বাঁচেনি! হোকনা মুহুর্তের খেলা- তবু এইক্ষণটুকু হোক সেই চিরকাল! তার ক্ষুদ্রশরীরে দশ সহস্র নারীর কামনা ভর করেছিল যেন!

    স্ত্রী ঋতুমতীথাকলে পরস্ত্রীগমন অবৈধ নয় এমন কথাই মহাদেব বলেছিলেন- সুলক্ষণাও বিশ্বাস করতেচেয়েছিল সে কথা! সে যে শিবেরই ছিল জন্মজন্মান্তর ধরে! আজ কেন তা অপরাধ হবে?

    ঘোর কাটলোপার্বতীর আর্তনাদে! ‘আমি অভিশাপ দিলাম মধুরা! তুমি বিশ্বাসভঙ্গ করেছো, পরপুরুষকে প্রলোভিত করেছ!আমার রজস্বলা অবস্থার সুয়োগ নিয়ে তুমি মহাদেবের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছো!মনুষ্যঙ্কেÄর চরম অপমান করেছো তুমি! তাই মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার অধিকার হারিয়েছো!আজ থেকে দ্বাদশ বর্ষ তুমি মন্ডুকযোনি প্রাপ্ত হবে!’

    শিব বুঝি আড়ালথেকে সব দেখছিলেন- পার্বতীর মুখোমুখি হবার সাহস মহাদেবের এখন নেই! সুলক্ষণার সুডৌলহাতটি নিজের হাতে তুলে নিলেন মহাদেব! অশ্রুমুখী মধুরার ওষ্ঠে স্নেহচুম্বন এঁকেবললেন, ‘পার্বতীরাভিশাপ আটকানোর সাধ্য আমার নেই! তবে দ্বাদশ বর্ষ পরে শাপমুক্তি হবে তোমার!মহাপরাক্রমী রাবণ তোমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবেন। অনবধানে একবিন্দু ঔরস পড়ে যেপ্রাণ আজ তোমার গর্ভে সৃষ্টি হয়েছে - সে আমার সন্তান! শিবজাতক মেঘনাদ হবেবীরযোদ্ধা ত্রিভুবনবিজয়ী ইন্দ্রজিত! মধুরা! তুমি হবে রক্ষরাজেশ্বরী মন্দোদরী!’

    তারপর? পক্ষকালপরে আবার সুর্য্যসখা এসেছিল পার্বতীর সাথে গল্প করতে! কিন্তু নীলদীঘির পাশেপ্রস্তরখন্ডটিতে আর পার্বতীকে কোনোদিন দেখা যায়নি!
  • Su | 86.160.9.208 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৫:০৮490493
  • ইউনিকোডে লিখলে এমনি ঘেঁটে যায় ক্যান?????? ধুস্‌স্‌স্‌স
  • Nina | 68.45.76.170 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৬:৩৮490504
  • কিচ্ছু ঘেঁটে যায়নি---শুধু পার্বতীর বিশ্বাসটুকু ছাড়া----;-)
    আরও কয়েক পিস হোক--শীতলপাটি বিছিয়ে বসলুম এইখানে ।
  • nk | 151.141.84.194 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:০৪490511
  • আহা মধুরা শুনলেই মনে পড়ে অমৃতাশ্ব।
    "কোথায় সে জনপদ অমৃতাশ্ব, ও অমৃতাশ্ব!"

  • pi | 72.83.92.218 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৭:২০490512
  • তারপর কী হইল ?
    পার্বতী ডিভোর্স ফাইল করার কথা ভাবেননি, বা নিদেনপক্ষে সেপারেশন ?
  • kiki | 59.93.205.118 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:০০490513
  • হ্যাঁ !! হ্যাঁ!! কি হলো? তারপরে?
  • Shibanshu | 59.90.221.5 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:৩৯490514
  • ধুৎ, পার্বতী কি ছিঁচ্‌কাঁদুনে বাঙালি মেয়ে নাকি? পুরো পাহাড়ি, জিনিসই আলাদা। :-)

    হ্যাঁ আবার সেই ভিন্টেজ সু, জিও...
  • ppn | 202.91.136.3 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:৪৩490515
  • এই শব্দগুলির মানে কী?

    - দীঘ্নতা
    - ত্রিবলীরেখা
  • Su | 82.198.250.66 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:৩৫490516
  • প্পন,
    এট্টু অ্যাডাল্ট মানে রে বাপু!
    আমরা যে সাবালক হইলাম রিসেন্টলি! :) দীঘ্নতা কথাটার উৎপত্তি হয়তো ইংরাজি ডিগনিটি থেকে!

  • Su | 82.198.250.66 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:৩৬490483
  • উল্টো বললাম, দীঘ্নতার মানেটা ডিগনিটির কাছাকাছি যায়!
  • ppn | 204.138.240.254 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:৩৬490484
  • সাবালক মানে? কোন প্রবলেম নেই, বাঙালি এসব ক্ষেত্রে ইঞ্জিরি প্রতিশব্দ ব্যভার করে। তাতেই হবে। :)
  • Sujata | 203.197.123.130 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:১৭490485
  • আহা!
  • siki | 123.242.248.130 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:৫৬490486
  • দীঘ্নতা দিয়ে সার্চ মারলাম গুগলে।

    একটাই রেজাল্ট এল। এই পাতাটা। :)
  • oparhar Chele | 14.99.77.65 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:১৮490487
  • ত্রিবলীরেখা = Bikini Lines
  • ppn | 216.52.215.232 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:২১490488
  • থ্যাংকু। :)
  • siki | 123.242.248.130 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:৩৫490489
  • কোনও থ্যাংকু নেই। ত্রিবলী মানে মোট্টেও বিকিনি লাইন নয়। থাকতো আজ স্যাণিনি, দেখিয়ে দিত মজা।

    শরীরের চামড়ায় কোনও ভাঁজকে বলী বলা হয়। তিনটি ভাঁজ একসাথে পড়লে, যেমন পেটে নাভির কাছে, কপালে, তাকে ত্রিবলী বলা হয়।

    ত্রিবলী অঙ্কিত দেহ প্রকাণ্ড তমাল শাল;
    কোথাও বা ঋষির মতো অশ্বত্থের গাছ যত
    দাঁড়ায়ে রয়েছে মৌন
    ছড়ায়ে আঁধার ডাল।

    পড়ো নি? ত্রিবলী লিখে গুগুল মারো। পেয়ে যাঅবে।
  • ppn | 216.52.215.232 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:৪৭490490
  • "ওপাড়ার ছেলে' ঠিকই বলেছে। এইখানে ত্রিবলীরেখা মানে crotch বোঝাচ্ছে।
  • siki | 123.242.248.130 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:৫৪490491
  • কেন, এখেনে ত্রিবলীরেখা মানে crotch বোঝাচ্ছে কেন? আমার তো দিব্যি মনে হচ্ছে নাভিমূলে ফুটে ওঠা হাল্কা ভাঁজ।

    লেখক কনফার্ম করুন।
  • kallol | 119.226.79.139 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:৫৫490492
  • ওটা ত্রিবলীর টেকনিকাল ডেফিনেশন। ত্রিবলী বলতে কোমরের তিন ভাঁজকে সাধারনত বোঝায়।
    এখানেই ভারতীয়/প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সৌন্দর্য্যবোধের তফাত।
    গ্রীক বা রোমান নারী-পুরুষের ভাষ্কর্য আর ভারতীয় ভাষ্কর্য দেখুন পরিষ্কার হয়ে যাবে। গ্রীক ও রোমান ভাষ্কর্যে পুরুষ পেশীবহুল, নারী তণ্বী। কারুর এক ফোঁটা মেদ নেই। ভারতীয় পুরুষ পেলব, ক্ষেত্র বিশেষে মেদ আছে। নারী সাধারনত মেদযুক্ত। নইলে আর ত্রিবলী হয়!
  • kallol | 119.226.79.139 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:৫৭490494
  • এটা নিয়ে প্রতিমা বেদীর একটা ভালো লেখা আছে। নাচ ও শরীর নিয়ে, সৌন্দর্য্যের ধারনা নিয়ে।
  • bibek | 195.37.234.132 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৭:২১490495
  • আমি তো দীঘ্নতা আর dignity-র মধ্যে একটা ইন্দোল্যাটিন গন্ধ পাচ্ছি। সংস্কৃত বিশারদ কেউ একটু বিস্তারিত জানান।
  • Su | 82.198.250.66 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:৪৬490496
  • ত্রিভুজাকৃতি যোনি রেখা । ইংরাজি তে বিকিনি লাইন হয়তো ঠিকই আছে। টেকনিক্যালি ক্রচ বলা যেতেই পারে। লেখার ইচ্ছে ছিলো স্বচ্ছ মেখলার মধ্য দিয়ে স্বল্প দৃশ্যমান ত্রিবলীরেখা। ইংরিজি তে triangular crotch line ই আমার মনে ছিলো বোধহয়! তবে অন্যকিছু ভাবলেও তো কোনো ক্ষতি নেই :)

    বিবেক, এরকম অনেক শব্দই তো আছে পেডেস্ট্যাল পদস্থল, লুফতহ্যানসা লুপ্তহংস, সল বা সলুশানের উৎপত্তি ও তো জল শব্দ থেকে এখানে প্রচুর জায়গা আছে সলহার্স্ট আমার খুব জলসত্র শোনায় কথাটা। এমনকি অ্যাডিসকম্ব শব্দটাও মনে হয় আদিস্তম্ভ থেকে এসেছে। মাদার, ফাদার ব্রাদার তো ছেড়েই দিলাম। এমনকি কেমিস্ট্রিতে ডেটীভ কোভ্যালেন্ট বন্ড কথাটাও ভেবে দেখুন ! যেখানে দুইখান ইলেকট্রন ই দান করে দেওয়া হয়! ডেটিভ কথাটাও দাতা শব্দের কাছাকাছি! মানেগুলো ও তো তাই।
  • nk | 151.141.84.194 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:০৯490497
  • আমার তো নামগুলোর মধ্যেও মিল মিল লাগে। শাব্দিক মিল, শব্দের ঝঙ্কারে মিল। অ্যাডাম--আদম, এডিথ--অদিতি,জুডাস-সুদাস, সক্রেতিস--সুকৃতীশ, আর্কিমিদিস-অর্কমিত্র, সামান্থা--সেবন্তী, অ্যালেক্স-অলীক, যীশান-জীষ্ণু
    :-)
  • bibek | 195.37.234.132 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:১৯490498
  • না না খালি ধ্বনিগত মিল হলেই হবেনা যেমন যতদূর মনে পড় Lufthansa-র সাথে হাঁসের কোন সম্পর্ক নেই। ওদের লোগোতে উড়ন্ত হাঁসের ছবি দেখে আমি জিজ্ঞাসা করে তেমন উত্তর পেয়েছিলাম।

    এই যে wiki বলছে,
    The name of the company is derived from Luft (the German word for "air"), and Hansa (after the Hanseatic League, a powerful medieval trading group).

    http://en.wikipedia.org/wiki/Lufthansa

    কিন্তু পোলিশে আগুন হল অগিয়েন বুঝতে অসুবিধে হয় না অগ্নি থেকে এসেছে।
  • bibeka | 195.37.234.132 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:২২490499
  • নামের মিলের প্রসঙ্গে মনে এল, ইংরিজীতে ব্রহ্মা লিখে শেষের a সামনে এনে দেখুন প্রায় আব্রাহাম হয়ে যায়।
  • Su | 86.160.9.208 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৪২490500
  • অগ্নি তো অবশ্যই শব্দমিল এবং অর্থমিল, ইগনিয়াস রক - মনে আগুনে পুড়ে যে শিলা তৈরি হয় আগ্নেয় শিলা?
    জার্মান নাম গুলো ও তাই একটি মেয়ে অ্যাগ্নেজকা কে আমার তো অগ্নিষ্কা মনে হয়, অ্যাড্রিজাও তো অদ্রিজা হতে পারে।
  • bibek | 195.37.234.132 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৪০490502
  • @ Pi লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ তবে আমি ঠিক ওটা চাইছিলাম না। খানে একটু অতিমাত্রায় extrapolation রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমার যেমন Lufthansa নিয়ে মনে হত। Oxfordএর সেই মোটা মোটা বইগুলো হাতের কাছে থাকলে সুবিধে হত।
    যাকগে টই বেলাইন হয়ে যাচ্ছে তার চেয়ে গপ্পো শুনি।
  • pi | 128.231.22.133 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৪৫490503
  • সেই জন্যই তো ওটা দিলাম। ঐ লুফতহনসা থেকেই মুদীর দোকানের ঐ ব্যাদে সবই আছে মার্কা অতিরিক্ত এক্সট্রাপোলেশন মনে পড়ে গ্যালো। ওখানে ডিডিদার পোস্টগুলো দেখুন।
  • bibek | 195.37.234.132 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৫২490505
  • কিন্তু কোন কোনটা ঠিক হতে পারে যেমন অগ্নি আর অগিয়েন এদুটো যে একই কথা তাতে আমার সন্দেহ নেই।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন