এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়খানা বনাম পাইখানা

    r
    অন্যান্য | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ | ২৯৩৫ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 62.108.68.1 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৬:২৪499670
  • পায়খানা একটি আদি এবং অকৃত্রিম বাঙালী শব্দ (লক্ষ্য করুন, বাংলা নয়, বাঙালী)। এই শব্দের রসাভাস (আক্ষরিক অর্থে নয়) অন্যান্য সমার্থক শব্দে মেলা কঠিন। হাগু একটি অত্যন্ত নাবালক শব্দ যাতে মলত্যাগের অপরিহার্যতা এবং সুষ্ঠু গাম্ভীর্য ফুটে ওঠে না। এই শব্দের ধ্বনিগত অর্থই হল মজা। যেন, করলেও হয়, না করলেও হয়। যেন দুপুরবেলা একাদোক্কা খেলা। বাহ্যি বা বাহ্য একটি প্রায়াবলুপ্ত শব্দ। ঠাকুর এই শব্দের বহুল প্রচলন ঘটান, এবং পরবর্তীকালে কিছু নামীদামী বাঙালী কবি। কিন্তু এই শব্দের কাব্যিক ভঙ্গিমা যত, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ততোটাই অচল। কেউ বাচ্চাকে বাহ্যি করতে যাওয়ার কথা শেখানও না। আজকাল যদিও পটি নামক একটি ফঙ্গবেনে দোআঁশলা শব্দেরই অধিক প্রচলন, অন্তত: শিশুমহলে। বড়োবাইরে? খুবই ইশকুলগন্ধী শব্দ। স্মৃতি যদি বিশ্বাসঘাতকতা না করে, তাহলে শংকর হীথরো এয়ারপোর্টে নেমেই যে বাংলা হরফে বাংলা শব্দ পড়ে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলেন, সেটি হল পায়খানা। কাজেই আমাদের আজকের আলোচনা এই শব্দ নিয়েই।
  • Babaji | 213.173.163.2 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৭:০৩499681
  • পাইখানা শব্দটি মূলত: পায়খানা থেকেই এসেছে। ঘটিদের মুখে এর উচ্চারণের এরকম পরিবর্তন ঘটেছে। পায়খানা শব্দটি ক্রমশ: পায়খানা - পাইখানা - পাই এভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। পাই শব্দটা কোনো জায়গা বোঝায় না কিন্তু পায়খানা এবং পাইখানা স্থানবাচকও বটে।
    পায়খানা (পাইখানা) য় লোকে যায় এবং পায়খানা (পাইখানা) করে। ঠিক যেভাবে লোকে বাথরুম যায় ও বাথরুম করতে যায়। খানা শব্দটা যদিও জায়গা বোঝায় যেমন ছাপাখানা, জেলখানা, ভাটিখানা, আড্ডাখানা, প্রভৃতি... তা সঙ্কেÄও এই শব্দগুলো কিছু করা বোঝায় না। এখানেই পায়খানা বা বাথরুমের সঙ্গে এই শব্দগুলোর তফাৎ। "বাজ্জে" এখনও তুলনমূলক কম পশ-বাড়ীতে বাচ্চারা এখনো করে থাকে।
    গরীবমানুষ ফড়িং খাই
    ঘোড়ায় চড়ে বাজ্জে যাই
    এখনও প্রচলিত। শুধু বাঙালী নয় অন্তত: বিহারীরাও এই বাঙালী শব্দ (পায়খানা / পাখানা) ব্যাভার করে থাকে।

  • deepten | 203.101.48.172 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৭:২৩499692
  • প্রায় সাড়ে তিন দশক আগে এক নাগরিক সন্ধ্যায় বিলেত ফেরৎ ডাক্তার আমার পেট টিপিয়া প্রশ্ন করিলেন "মোশোন কিরকম?' চিকিৎসকের মুখে এমত নিউটনীয় প্রশ্নে আমি হতভম্ব হইলেতিনি সহজ বাংলায় বুঝাইয়া দেন "পেট পোষ্কার হয়?" "পেটভরে' আমি উত্তর দিলে তিনি সন্তুষ্ট হন।
    আরো স্মরন করি কুয়াসামাখা কৈশোরে পঠিত দৃষ্টিপাতে লেখকের বানী "বিংশ শতাব্দী জীবনে এনেছে বেগ, আনেনি আবেগ"। উত্তর পঞ্চাশের সম্পৃক্ত সন্ধ্যায় বুঝি লেখক জোলাপের কথা বলেছিলেন।

    প্রাত:কৃত্য শব্দটি শুনিয়া শ্রদ্ধায় মস্তক অবনত করি। ঐতিহ্য ও কৃষ্টি এই শব্দটিকে প্রতিষ্ঠা করেছে অনুভবে ও সমীহে।
  • r | 62.108.68.1 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২১:০৯499703
  • এবার আমরা শব্দের ধ্বনি খুঁজি। যখনই পায়খানা উচ্চারণ করছেন, ঠোঁটের পাশের মাংসপেশীগুলো পুরো সংকুচিত হয়েও হচ্ছে না, শ্বাসের একটু ছাড়ছেন, কিন্তু পুরোটা ছাড়ছেন না। কাজেই "আয়" উচ্চারণের ধ্বনি সীমিত, স্থির ও গম্ভীর। কিন্তু যেই "পাইখানায়" পৌঁছোলাম, অমনি "আই" উচারণে পুরো ঠোঁটটাই ছড়িয়ে গেল। ধ্বনির তীব্রতা বাড়ল, জোর বাড়ল। অতএব "পায়খানার" ধ্বনিগত রূপ হল পোষাকী, কিন্তু "পাইখানা" লৌকিক, সহজ এবং তীক্ষ্ণ। কারা "পায়খানা" বলেন এবং কারা "পাইখানা" বলেন, তা দেখলেই ধ্বনিগত মাত্রা এবং সামাজিক মাত্রার সাযুজ্য পরিষ্কার হয়ে যাবে।
  • indo | 59.94.2.233 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২১:৪১499714
  • যাঁরা যাঁরা ''পায়খানা'' শব্দটি পছন্দ করেন :
    ১। শ্রীমান বৈজয়ন্ত
    ২। ঐ সুদীপ
    ৩। ঐ ইন্দ্রনীল

    যাদের ''পাইখানা'' শব্দটিতে উল্লাসের জনজাতীয় প্রান্তিক উষ্ণ 'পীত'লতা:
    ১। রঙ্গন
    ২। দীপ্তেন
    ৩। ইন্দো
    ৪। সৈকত বাঁড়ুয্যে ও ঈশেন শর্মণ( উভয়েই পিড়িলির বামুন, সেহেতু পতিত ও 'শ্রী'হীন)

    স্যার ঘেনু অবিশ্যি তাচ্ছিল্য ও ব্যাঙ্গভরে আজো অবিচল ''নুঙ্গা'' বলে থাকেন।
    লেডীগণ(শ্রীমতী ঘেনুমা ও শ্রীমতী দময়ন্তী দেব্যা ) এ বিষয়ে নীরব। শীতল নীরবতাই তাঁদের পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট। ঘনিষ্ঠমহলে ক্কচিৎ নিতান্ত প্রয়োজনে ''পটি'' শব্দের ব্যবহারজনিত ত্রুটি মার্জনীয়।

  • Ishan | 192.128.134.68 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২২:২৫499725
  • ইয়ার্কি না। বাংলা ভাষায় একটা ব্রাহ্ম ব্রাহ্ম ভাব আছে। আমি "সরকারি' বা "শিক্ষিত' বঙ্গভাষার কথা বলছি। খুব সহজ কিছু কথা বাংলায় সহজে বলা যায়না। যেমন পেচ্ছাপ, পায়খানা। যেমন যৌনাঙ্গগুলি। লিঙ্গ বা স্তন বলে কব্যির সময় রেফার করা যায়, কিন্তু অন্য সময় বললে নিজেরই হাসি পায়। এদেরকে রেফার করতে হলে আমরা অনেকগুলি পন্থা নি ই :

    ১। ইংরিজি বলা। যথা পটি। যথা পেনিস।

    ২। বাংলায় একটু নরম করে বলা। যথা হাগু, হিসু।

    ৩। স্ল্যাং ব্যবহার করা। এটা অবশ্য রেগে গেলে, বা খিস্তি মারতে হলে, বা স্মার্ট হতে গেলে ব্যবহার করতে হয়, সবসময় করা যায়না।

    এছাড়াও আরও অন্যন্য কায়দায় বলা হতে পারে, এখুনি মাথায় আসছেনা। কিন্তু খুব সহজ ও স্বাভাবিক কায়দায় যে বলা যায়না সে নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মানে, বৌমা শ্বশুরের সামনে থেকে উঠে পড়ে বললেন "বাবা একটু বসুন, আমি হেগে এসে চা করে দিচ্ছি' , এরকম জাস্ট ভাবা যায়না।

    একটা গোটা ভাষার এইরূপ ভিক্টোরিয়ানপনা বেশ ইন্টেরেস্টিং, বিশেষ করে, যখন বঙ্গীয় "অনার্য' দের এই সমস্যা নেই।
  • Riju | 192.55.52.3 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০১:১৭499733
  • হোহোহোহোহাহাহিহিহেহেহেহ্যাহ্যা :-))))
    চাপ পড়লে "পাইখানা" করার মত সুখ দুনিয়ায় নেই।তখন মলত্যাগ জাতীয় শক্ত কথা মনেই থাকে না।
  • tareq | 211.28.40.185 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১০:৩১499734
  • অ দীপ্তেনদা,
    যাযাবরের কথাটা তো এমন ছিল নে। ওটা ছিল, বিজ্ঞান এনেছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ।
    -----------------------------

    বাকি গবেষকরা,
    কেউ তোমরা "টাট্টি' শব্দখান শোনো নাই? আমরা তো বলতাম, টাট্টি পাইছে, বা টাট্টিখানায় যামু।
  • r | 62.108.68.1 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৩:৫৬499735
  • ঈশেনবাবু একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। এর থেকেই বোঝা যায় সমার্থক শব্দেরও কিভাবে শব্দ-ধ্বনি-ব্যক্তি-সমাজ- এইভাবেই মাত্রাভেদ হতে থাকে। এবং এই মাত্রাভেদের মধ্য দিয়েই শব্দের ছবি তৈরি হয়।

    ধরুন "হাগতে জাইতাসি"- বললেই আপনার মনে হবে আলু থালু গামছা পরা মুখ বে-আগল খালি গা এক রিফিউজি বৃদ্ধ- বিজন ভট্‌চাজ্জি? কিন্তু "পাইখানায় যাচ্চি" ঠিক বাগবাজারের ধব্‌ধবে থানে টুক্‌টুকে ফর্সা বুড়ি ঠাকুমা টুক করে থান ছেড়ে গামছা পরে নিলেন। আবার "পায়খানা" যারা বলবেন তারা হয় বেজায় গম্ভীর নয় তো খুব পেয়ে গেছে।
  • deepten | 61.246.55.177 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৫:১৩499671
  • বছর চল্লিশেক আগে প্রমথ নাথ বিশী একেবারে উঠে পরে লেগেছিলেন বাংলা ভাষার কিছু শব্দের ভুল ব্যবহার নিয়ে। যেমন অপর্য্যাপ্ত, ফলশ্রুতি আর সোচ্চার।

    সোচ্চার কথাটির আভিধানিক অর্থ স+উচ্চার অর্থাৎ মলত্যাগের সহিত। আদতে একটি মেডিকেল টার্মিনোলজি।কি করে যে ওটা "প্রতিবাদ' কথাটির সংগে অমন অংগাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে পরলো কে জানে।

    হয়তো পুরাকালে কোনো পন্ডিত বলে থাকবেন "গত রাত্রে পুরোডাশের মাত্রা অধিক হইয়াছ। এক্ষনে উচ্চার অভিলাষী আমি এট্টু ঘুরে আসছি রে দাদা"
  • vikram | 147.210.156.39 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৫:৪৯499672
  • মিঠুন চক্রবরতির অমর লাইন:

    তোমার কথা শুনলে আমার হাগা পায় বিপিন।

    এর পরেও বিপ্লব হবে না?

    বিক্রম
  • Babaji | 213.173.163.2 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৬:০০499673
  • হাগার মধ্যে আছে রাগ, ঘৃণা, গাম্ভীর্য।
    হাগুর মধ্যে ছেলেমানুষী, দুষ্টুমি।
  • vikram | 147.210.156.39 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৬:০৫499674
  • বিষ্ঠা ত্যাগ নিয়ে রবিঠাকুরের একটি ক্রিটিকাল গান:

    শুধু যাওয়া আসা,
    শুধু স্রোতে ভাসা
    আ আ আ আ...

    বিক্রম
  • Babaji | 213.173.163.2 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৬:০৯499675
  • আরেকটা...
    তোমার হোলো শুরু
    আমার হোলো সারা
  • vikram | 147.210.156.39 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৬:১৭499676
  • খর বায়ু বয় বেগে
    (........) এলো হেগে
    কাছা ধরে মারো টান হাঁইও
    হাঁই মারো মারো টান হাঁইও হাঁইও হাঁইও

    বিক্রম
  • Babaji | 213.173.163.2 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৬:২২499677
  • রসিক বাঙ্গালী বেগকে আবেগে নিয়ে যেতে জানত। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে নিয়ে গোপালভাঁড় যে বেগের খেলা খেলেছিলো নৌকোয় সে গল্প থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। বেগের তাড়ায় মহারাজের সেই করুণ মুখ, রাগতে গিয়েও বেশি রাগতে পারছেন না, সেই কাকুতি মিনতি তরণী ভিড়াও তীরে.... তখন ঠিক কোন শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন মহারাজ জানতে ইচ্ছে করে। পায়খানা না হাগা না অন্যকিছু ???
  • vikram | 147.210.156.39 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৭:০১499678
  • একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম, নাম ওয়ার্ল্ডস ওয়ার্স্ট জবস। তাতে ছিলো রাজপরিবারে ইংলন্ডে রাজাদের হাগার পরে ছোচানোর জন্য নোবল কমিউনিটি থেকে একজনকে রাখা হতো। সে প্রায় সেই ডিউক ব্যারন লেভেবেলে। রাজার হাগার পরিমান ঠিক আছে কি না সে দেখতো। আবার হাগার সময় সে রাজার একা প্রহরী। অনেক সময় তাকে রাজা ছাড়াও অন্য রাজপরিবারের লোকেদের ও তদ্বির করতে হতো। গভীর রাতে সেই পায়খানার বালতি নিয়ে টেমসের দিকে উদ্দিষ্ট একটি সুড়ংগের মধ্যে প্রবেশ করে সেটি ফেলতে হতো। বলাই বাহুল্য যে সেখানে বহু বছরের হাগু জমা থাকতো। গন্ধটা কেমন হতো ভাবা যায়? অনেক টাকা অনেক সম্মান ছিলো এ চাকরির।

    বিক্রম
  • Babaji | 213.173.163.2 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৮:২৭499679
  • হাগার ওপরে এপর্যন্ত শোনা সবচেয়ে পছন্দের গান হচ্ছে,
    কচুবনে হেগেছিলো কালো কুকুরে।
    ঠিকমতো সুর আর দরদ দিয়ে গাইতে পারলে এ দুর্দান্ত গান।
    ঐ হাগাবাহকের চাকরীর মতো ফ্রেঞ্চদেরও ছিলো পেচ্ছাপবাহকের কাজ। বাগানে রাজাবাদশাদের পার্টি হচ্ছে বা খেলাধুলো এবং সেখানে একজন লোক বালতি নিয়ে ঘুরছে কার কখন হিসি পাবে তার সামনে বালতি নিয়ে দাঁড়াতে হবে। অনেকে আবার বদমাইসী করে টিপসের পয়সাটা লোকটার হাতে না দিয়ে বালতিতে ফেলে দিতো।
  • omnath | 210.212.137.6 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৯:১৮499680
  • কঁচুঁবঁনেঁ কেঁ হেঁগেঁছেঁ ছঁড়িঁয়েঁ। - এইরকম একটা ক্লাসিকাল শুনেছিলাম, সেও দীর্ঘদিন হল। তখন আমি হাফপ্যান্ট পরতুম, কিন্তু আমি ছোটবেলা থেকে চিরটাকাল পায়খানা বলেই এসেছি। এতেই প্রকাশ পায় রুচীর গভীরতা, কৃষ্টির ঐতিহ্য।
    গানটা মনে পড়তেই কেমন একটা ব্রহ্মসুখী ভাব এসে গেল হে!! অহো, চলো এক কাপ কফি খেয়ে আসি। কঁচুঁবঁনেঁ .......
  • vikram | 147.210.156.39 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২০:৩৭499682
  • গিনেস খেলে পরদিন সকালে হৃষ্টপুষ্ট লাড্ডি বেরোয় কালো রঙের।

    বিক্রম
  • vikram | 147.210.156.39 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২০:৪২499683
  • লাড্ডিকেই কি কম বাংলা জানা লোকেরা ন্যাড় বলে?

    বিক্রম
  • r | 62.108.68.1 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২১:০৬499684
  • একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন: এই বর্জ্যতঙ্কেÄর সঙ্গে লিঙ্গজনিত রাজনীতির কি কোনো সম্পর্ক আছে? নতুবা কেবল মদ্দারাই এই প্রসঙ্গে বক্তব্য উপস্থাপন করেন কেন? নাকি চিকিৎসকের অভিমতানুসারে নীরবতাও একপ্রকার বক্তব্যস্বরূপ।
  • vikram | 147.210.156.39 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২২:১২499685
  • হাগুর কথা জানি না।
    তবে বাজারে গুজব চালু আছে যে মেয়েরা নাকি পাদে না। এস্পেশালি সুন্দরী মেয়েরা হাগতেও যায় না।

    কি মিথ্যা কথা গো। এদিক ওদিক ডিম পাদ বাদাম পাদ দিয়ে বেড়াতে দেখলাম কজনকে!

    বিক্রম

  • r | 85.100.122.49 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২২:৫২499686
  • তবে ঈশেনবাবুর কথা প্রণিধানযোগ্য। শব্দের এই শ্রেণীভেদ আছে বলেই তো বাংলার মজা। নইলে এই "শিট' শব্দটাকে রগড়ে রগড়ে ছিবড়ে করে এমন বানিয়েছে যে শব্দের নিবিড় মাত্রাটাই গেছে হারিয়ে। অথচ বাংলার এই শব্দগুলোর পরতে পরতে খাঁজে খাঁজে কত গল্প, কত ছবি! তাই তো এখনও বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে......

    তাই তো এই আলোচনা শুরু হয় একুশে ফেব্রুয়ারি.....

    :-)
  • Babaji | 213.173.163.2 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১২:৪৩499687
  • সব মেয়েরাই পাদে। হারগিজ পাদে। তবে কায়দা করে লুকিয়ে আড়ালে আবডালে পাদে, এমনকি বিশ্বসুন্দরীরাও। যতই ঝিলসি আঁখে হোক না কেন তারাও পায়খানা করে এবং পাদে।
  • vikram | 147.210.156.39 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৭:৩৫499688
  • একটা গান।
    আমাদের বাবার বয়েসী লোকেরা বানিয়েছিলো।

    ডাক্তারবাবু
    কালকে আমরা
    গিয়েছিলেম মেলা দেখতে
    খেয়েছি পাঁপড়
    গোটা দশ বারো
    তেলেভাজারই সাথে

    আর সেই থেকে কিন কিন কিন কিন কিন কিন ভুট ভাট ভুট ভাট ভুট ভাট ভুট ভাট
    সর্‌র্‌র্‌র্‌র্‌র সর্‌র্‌র্‌র্‌র...

    আমি সুরটাও জানি।

    বিক্রম

  • r | 198.96.180.245 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৭:৩৭499689
  • গুরুরা অর্থনীতি, পরমাণু নীতি, সাম্রাজ্যবাদ তুলছেন। চন্ডালদের পক্ষ থেকে এটা তোলা হল।
  • Suvajit | 124.184.20.231 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৮:৫৮499690
  • এই অনন্যসাধারণ বিষয়টির উত্থাপনের জন্য চন্ডালদের সশ্রদ্ধ ধন্যবাদ। আমার ধারনায় ইহাই একমাত্র জৈবিক পদার্থ যা একই সঙ্গে কঠিন, তরল ও বায়বীয় রূপ ধারণ করিতে পারে। সময় ও ক্ষেত্রবিশেষে ইহার গতিবেগ ঘন্টায় পাঁচ কি:মি: হইতে পাঁচশো কি:মি: পর্যন্ত পরিবর্তিত হইতে পারে। রং ঘোর কৃষ্ণকায় হইতে শ্বেতশুভ্র হইতে পারে। গন্ধও নানাপ্রকার হইতে পারে। এবং সর্বোপরি ইহার উপকারিতা দক্ষিনপন্থী ও বামপন্থী উভয়েই লাভ করিয়া থাকেন।
  • r | 198.96.180.245 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৯:৩৪499691
  • ল্লে:প;!!!

    হাগু থেকে হাওয়া গু??
  • Blank | 170.153.62.251 | ১১ জুলাই ২০০৮ ১৯:৪৬499693
  • শ্বেত শুভ্র?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন