এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী

    Biplob Rahman
    অন্যান্য | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ | ৬৫১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Biplob Rahman | 117.18.231.16 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:২২507192
  • পাহাড়ের মুক্তিযুদ্ধ: অন্য আলোয় দেখা-০১
    লিখেছেন: বিপ্লব রহমান
    ...................................................................................
    [সাবেক চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধকে বহুবছর ধরে বিভ্রান্তির ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে। খাটো করে দেখা হয়েছে পাহাড়ি জনগণের মুক্তিযুদ্ধ তথা ১৯৭১ সালে তাদের সব ধরণের চরম আত্নত্যাগের ইতিহাস। একই সঙ্গে সারাদেশে আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্নত্যাগকেও অনেক ক্ষেত্রে অবমূল্যায়ন করার অপপ্রস চালানো হয়। এ কারণে লেখার শিরোনামে 'অন্য আলোয় দেখা' কথাটি যুক্ত করা হয়েছে। বলা ভালো, এটি মুক্তিযুদ্ধের ওপর কোনো গুঢ় গবেষণাকর্ম নয়; এটি নিছকই পাহাড়ের মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি আলোচনার অবতারণা মাত্র।]

    পাহাড়ের হত্যাযজ্ঞ পর্ব: একটি অপ্রকাশিত দলিল

    ১৯৬০ কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে কাপ্তাই জলবিদ্যুত নির্মাণ করা হলে প্রায় এক লাখ পাহাড়ি মানুষ সহায়-সম্বল হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েন। তাদের অনেকেই প্রধানত ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরামে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ত্রিপুরা রাজার সঙ্গে সাআতে এলে ত্রিপুরার পাহাড়ি শরণার্থীরা আট পৃষ্ঠার পুস্তিকা আকারে তাকে একটি স্মারক লিপি হস্তান্তর করেন। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি ১৯৭১-৭২ সালে পাকিস্তানী বাহিনী, কতিপয় বিপথগামী মুক্তিবাহিনী ও বাংলাদেশ রাইফেলস, বিডিআর (এখন বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ, বিজিবি) সদস্য কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরস্ত্র পাহাড়ি জনপদে চালানো একাধিক একাধিক হত্যাযজ্ঞ, লুঠতরাজ ও অপারেশনের রোমহর্ষক বর্ণনা দেওয়া হয়।

    ১৯৭১ সালে ত্‌ৎকালীন চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় যেমন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন, তেমনি মং রাজা মং প্র“ সেইন আবার মুক্তিযুদ্ধের পে কাজ করেছেন। সে সময় রাজা মং প্র“ সেইন মুক্তিবাহিনীর জন্য নিজ প্রাসাদ উজাড় করে দেন। মুক্তিযোদ্ধারা তার প্রাসাদে থেকেই যুদ্ধ করেছিলেন, বহু সাহায্য পেয়েছিলেন। এছাড়া পাহাড়ি নেতা এমএন লারমা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন। চাকমা রাজার কাকা শ্রী কেকে রায়ও ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। কিন্তু শুধু সন্দেহের বশে তাকে ত্রিপুরায় আটক করা হয়েছিল। স্মারকলিপিটিতে এসব বিষয়ও তুলে ধরা হয়। এই অধ্যায়টি আমরা পরের পর্বগুলোতে আলোচনা করবো।

    এই লেখক ১৯৯৬-৯৭ সালে এপারের পাহাড়ি শরণার্থীদের ওপর সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরির জন্য তথ্য-সাংবাদিকতার পেশাগত কাজে একাধিকবার ত্রিপুরা রাজ্য সফর করেন। সে সময় ত্রিপুরার স্থায়ী বাসিন্দা, স্কুল শিক ও বর্ষিয়ান পাহাড়ি নেতা শ্র“তরঞ্জন (এসআর) খীসা লেখককে দুর্লভ স্মারকলিপির একটি কপি হস্তান্তর করেন। এসআর খীসার ছোট ভাই ভবদত্ত খীসা ছিলেন রাঙামাটির একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক।

    প্রসঙ্গত, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে পাহাড়িদের যে প্রতিনিধি দল ঐ স্মারকলিপিটি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে এসআর খীসা নিজেও ছিলেন। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও পরে তা আর কখনৈ পূরণ হয়নি। দৃশ্যত, তিনি হয়তো এ নিয়ে তখন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানকে বিব্রত করতে চাননি। পাহাড়ের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোঙ্কÄল ইতিহাসের পাশাপাশি চাপা পড়ে গেছে ঐ চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন পর্বটিও।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দেওয়া ইংরেজী স্মারকলিপিটির প্রচ্ছদে লেখা হয়:

    MEMORANDUMOFTHETRIBALPEOPLEOFTRIPURATOTHEPRIMEMINISTEROFINDIA.

    ON

    POLITICALDEVELOPMENTINTHECHITTAGONGHILLTRACTSFROM1947-1972.

    ON

    Killing, raps, arsonandlootcommittedbytheMUKTIBAHINIandtheBANGLADESHRIFELSbeforeandtheafterliberationofBangladesh.TheforcefuloccupationofTriballandsbytheMuslimofBangladesh.

    ON

    ViolationoftheCHARATEROFHUMANRIGHTSandthePrincipalsofSecularism

    ON

    Stoppageofrisingtheheightofthe‘KAPTAIHYDELPROJECTDAM’tosupplyelectricitytoTripuraandMizoram.

    ON

    HumblesuggestionputforthbytheTribalsofTripuraforimplementationintheChittagongHillTracts.

    এতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের প্রত্য মদদে ১৯৭১ সালের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়া হয়। যেখানে দেখা যায় রাজাকার নিধনের নামে চাকমাদের সে সময় স্রেফ জবাই করা হয়েছিল! এতে বলা হয়:

    ….DuringthistimeMr.KKRoy, anuncleofChakmaChiefandanAwamiLeaguenomineetotheprovincialAssemblyfromfromChittagongHillTractscrossedintoIndiawithanintentionofcontactingAwamiLeaguehierarchyandexplainingmatters.ButhewasapprehendedandarrestedbyTripurapoliceatSubrumonApril22, ontheinstructionofHTIMAMandB.Rahman, theSPofChittagongHillTracts.

    Mr.ImamaftercrossingintotheIndiabecametheadministratoroftheBangladeshEasternZonalofficeinTripura.InabsoluteviolationoftheprincipalsofsecularismheunleashedinIndiaaviciousanti-Chakmacampaign.LeadingdailiespublishedatrandomhisfabricatedstoriesopenlydenouncingtheChakmaandtheirchiefasPak-Mizocollaborators.HemaliciouspropagandaincitedandencouragedtheMuktiBahinitoadopttheinhumanslogan‘SLAUGHTERTHECHAKMAS’.Asaresultofthispolicyhundredsoftribals, mainlyChakmas, havebeenbutchered, theirhomesburned, theirplaceofreligionransacked, theirwomenrapedandtheirlandforciblyoccupied…

    এরপর স্মারকলিপিতে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয় আওয়ামী লীগ, মুক্তিবাহিনী, বিডিআর নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসীরা একের পর এক গণহত্যা, গণধর্ষণ, লুণ্ঠন ও জ্বালাও-পোড়াও অপারেশনের সব নৃশংস ঘটনা।

    এর মধ্যে ১৯৭১ এর মে মাসে ক্যাপ্টেন খালেক ও জমাদার খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে রাঙামাটির তবলছড়ি, তনদাং, রামসিরা, দেওয়ানপাড়া এবং রামগড় অপারেশন, ৫ ডিসেম্বর পানছড়ির শীলাছড়ি অপারেশন (৩২ জন নিহত), ১৪ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি অপারেশন (২২জন নিহত), ২১ ডিসেম্বর দীঘিনালার তারাবনিয়া অপারেশন ( নয়জন নিহত) উল্লেখ যোগ্য। ১৯৭২ সালের ফেব্র“য়ারিতে রাঙামাটি থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে বিডিআর সদস্যরা বিস্তৃর্ণ পাহাড়ে দফায় দফায় অপারেশন চালিয়ে হত্যা, ধর্ষন ও লুঠতরাজ করে। এরমধ্যে ২২ মার্চ ধালিয়া গ্রামে, ২২ ও ২৩ এপ্রিল বরইরাগি বাজারে, ৩০ এপ্রিল মাইচছড়িতে, ৮ মে খাগড়াছড়ির তারাবনিয়া, লোগাং বাজার অপারেশন উল্লেখযোগ্য। ২৯ মার্চ ১৯৭২ সালে প্রায় ২০০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী রামগড়ের মানিকছড়ি, চিকনপাড়া, সাঙ্গুপাড়া, পাক্কামুড়া ও গোদাতলা গ্রামে একযোগে অপারেশন চালায়। ঘটনার তদন্তের নামে ২ এপ্রিল পুলিশ বাহিনী একই গ্রামগুলোতে আবারো তল্লাসী অভিযান চালায়। …

    রাঙামাটি মুক্ত হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতারা রাজকার আখ্যা দিয়ে বহু সংখ্যক পাহাড়ি জনসাধারণকে আটক করে। সে সময় মং রাজা ও সরকারের আদিবাসী উপদেষ্টা প্রু সেইন আটকৃতদের মুক্তি দাবি করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানকে টেলিগ্রাম করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখিত টেলিগ্রামটি নিম্নরূপ:

    ‘VISITEDRANGAMATIONSIXTHINSTANTSTOPEXTREMELYAGGRIEVEDTOFINDINNOCENTTRIBALPEOPLEARRESTEDINDISCRIMINATELYASALLEGEDCOLLABORATORSSTOPEARNESTLYREQUESTEDINSTRUCTCIVILADMINISTRATIONIMMEDIATERELEASEOFALLTRIBALSSOFARARRESTEDWITHOUTPREJUDICEANDFURTHERARRESTBECEASEDSTOP=MONGRAJAANDTHETRIBALADVISORTOBANGLADESH’

    —
    আগামী পর্বে থাকছে: ত্রিদিব রায়ের ভূমিকা, ১৯৭১ এবং পাহাড়িদের প্রতিরোধ লড়াই, ১৯৭১।
    —
    লিংক http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=20676
  • Biplob Rahman | 117.18.231.16 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:২৬507203
  • দেশের একমাত্র আদিবাসী বীরবিক্রম ইউকেচিং
    এস বাসু দাশ, জেলা প্রতিনিধি
    বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
    ...................................................................................
    বান্দরবান : বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি এই ৩ পার্বত্য জেলাসহ সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ইউকেচিং হচ্ছেন একমাত্র বীরবিক্রম উপাধিপ্রাপ্ত আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা।

    মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদানের কথা এসে যায় ইতিহাসের পাতা উল্টালেই। যদিও
    অভাব-অনটন এখন ৭৭ বছর বয়সী এই বীরবিক্রমের নিত্য সঙ্গী। তিনি এখন চিন্তিত তার বাকি জীবন ও সন্তানদের ভবিষ্‌য়্‌ৎ নিয়ে।

    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে তিনি যুদ্ধে যোগ দেন। ২৫ মার্চ ইপিআরের নায়েক হিসেবে তিনি রংপুরের হাতিবান্ধা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে রংপুর ৬ নম্বর সেক্টরে মেজর বাশারের নেতৃত্বে ৯ বাংলাদেশি ইপিআর সৈনিককে নিয়ে পাটগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ করেন। দেশকে পাক হানাদার মুক্ত করতে বিওপিতে কর্মরত ১ বিহারি ও ২ পাঞ্জাবিকে হত্যা করেন তিনি। টানা নয় মাস সম্মুখ যুদ্ধ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করেন তিনি।

    বাংলাদেশ সরকারের দেয়া খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৭৬ জন। এর মধ্যে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জন বীরউত্তম, ১৭৫ জন বীরবিক্রম ও ৪২৬ জনকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করে সরকার।

    স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ইউকেচিংকে বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত করে সরকার।

    ইউকেচিং বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

    বীরবিক্রম ইউকেচিং বাংলানিউজকে জানান, অভাব নিত্যসঙ্গী হলেও তিনি তার ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দেননি কোনদিন, কারও কাছে হাত পাতেননি। ২ ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে তার বেশ কষ্ট হয়। তার ছেলে মেয়েরা সাঙ্গু নদীর চরে অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোন মতে প্রতিদিনের আহারের জোগাড় হচ্ছে।

    বান্দরবানের সাঙ্গু নদীর তীর ঘেঁষে পাহাড়ের পাদদেশে লাংগিপাড়ায় ১ জীর্ণশীর্ণ ঘরে পরিবার নিয়ে বাস করতেন ইউকেচিং। পরে ২০১০ সালে বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের পক্ষ থেকে তার বাড়িটি পুননির্মাণ করে দেয়া হয়। গত বছর তার নামে স্থানীয় ১টি সড়কেরও নামকরণ করা হয়।

    গত বছরের ১৩ অক্টোবর তার হাতে দেড় লক্ষ টাকার চেক তুলে দেয় জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মাননা ভাতা পেলেও এর বাইরে তেমন কোন আর্থিক সহায়তা পাননি তিনি।

    এরপরও এই বীরবিক্রম বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশমাতৃকার জন্য যুদ্ধ করে আমি মহাখুশি, ১টি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, নতুন লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে।’

    তবে স্থানীয় অনেকে মনে করেন, দেশের অন্য বীরবিক্রম উপাধিপ্রাপ্তদের মতো ইউকেচিংয়ের সম্মান এবং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি।

    বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১১
    ---
    লিংক http://www.banglanews24.com/l/details.php?nssl=601ae2494ebe4209648c3b6d750350d4
  • Biplob Rahman | 117.18.231.16 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:৫১507214
  • অপলেখনি তথা বদ্ধচিন্তা থেকে উপেক্ষিত হন ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদান রাখা এমএন লারমা বা মং রাজা রাজা মং প্রু সাইন। আদিবাসী লেখক মঙ্গল কুমার চাকমা তার ‘মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্যাঞ্চলের জুম্ম জনগণ ও প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয়’ লেখায় জানাচ্ছেন:

    "......সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে জুম্ম ছাত্র-যুবকরাও আন্দোলনে যোগ দিতে সংগঠিত হতে থাকে। ত্‌ৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জুম্ম ছাত্র-যুবকদেরও উদ্বুদ্ধ করেন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য। ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী-লীগের প্রাথী কোকনদাক্ষ রায়ও (রাজা ত্রিদিব রায়ের কাকা) মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গিয়েছিলেন। এ-সময় কয়েকশো জুম্ম ছাত্র-যুবকও মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে ত্রিপুরা রাজ্যে গিয়েছিলো। প্রথম অবস্থায় তারা অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণও করেছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে এইচ টি ইমামের প্ররোচনায় জুম্ম ছাত্র-যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ-সময় ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কোকনদাক্ষ রায়কেও কোনো অজুহাত ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়। ফলে অনেক জুম্ম ছাত্র-যুবক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে না পেরে পার্বত্য চট্টগ্রামে ফেরত আসে।"

    তিনি আরো জানান:

    "মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন মং সার্কেলের ত্‌ৎকালীন রাজা মং প্রু সাইন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে-সাথে যখন শতো-শতো লোক পরিবার-পরিজন নিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে যাচ্ছিল, তখন তিনি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িস্থ রাজবাড়ীতে তাদের খাওয়া-দাওয়া-সহ নানাভাবে সহায়তা প্রদান করেন। পাক-সেনারা রামগড় দখল করার পূর্বেই তিনি ত্রিপুরা পালিয়ে যান। সেখানে গিয়েও তিনি বসে থাকেননি। কর্ণেলের ব্যাজ পরে তিনি কুমিল্লার আখাউড়াতে যুদ্ধ করেছিলেন। সেজন্য পাক সেনারা মানিকছড়িতে এসে রাজবাড়ী, ত্‌ৎসংলগ্ন বৌদ্ধ মন্দির ও গ্রামের জুম্মদের ঘারবাড়ী ধ্বংস ও লুটপাট করে।

    ত্‌ৎসময়ে ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেল (ইপিআর) বাহিনীতে কিছু জুম্ম ছিলো। তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে রমণী রঞ্জন চাকমা রামগড় সেক্টরে পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধে নিহত হন। সিপাহী হেমরঞ্জন চাকমা বগুড়া সেক্টরে নিখোঁজ হন। তার লাশও পাওয়া যায়নি। সিপাই অ্যামি মারমাও বগুড়া সেক্টরে যুদ্ধে শহীদ হন। পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অসম সাহসিকতার জন্য বান্দরবানের অধিবাসী ত্‌ৎকালীন ইপিআরের রাইফেলম্যান উখ্য জিং মারমাকে যুদ্ধের পরে বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়। তিনি এখনও বেঁচে আছেন। অভাব-অনটনের মধ্যে কষ্টকর জীবন অতিবাহিত করছেন বান্দরবান শহরে।

    সে-সময় পূর্ব পাকিস্তান পুলিস-বাহিনীতেও কিছু জুম্ম চাকরীরত ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম বিমলেশ্বর দেওয়ান ও ত্রিপুরা কান্তি চাকমা-সহ ২০/২২ জন জুম্ম সিভিল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এঁদের মধ্যে বরেন ত্রিপুরা, কৃপাসুখ চাকমা ও আনন্দ বাঁশী চাকমা ছিলেন অন্যতম।

    মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মেজর জিয়াউর রহমান তাঁর বাহিনী ও ইপিআর বাহিনী নিয়ে রাঙ্গামাটি হয়ে ত্রিপুরা পাড়ি দিয়েছিলেন। জিয়া বাহিনী-সহ রাঙ্গামাটি পৌঁছলে জুম্ম জনগণই তাদেরকে খাদ্য ও অন্যান্য রসদ যুগিয়েছিলো। রাঙ্গামাটি জেলার বন্দুকভাঙ্গায় যেখানে বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফের সমাধিক্ষেত্র রয়েছে, সেখানে পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধের পর মেজর জিয়া তাঁর বাহিনী নিয়ে জুম্মদের গ্রামের ভিতর দিয়ে নানিয়ারচর, মহালছড়ি ও খাগড়াছড়ি হয়ে রামগড় সীমান্তে চলে যান। সে-সময় গ্রামে-গ্রামে জুম্ম গ্রামবাসীরা মেজর জিয়ার বাহিনীকে খাদ্য-সহ নানাভাবে সহায়তা করেছিলো। কথিত আছে, খাগড়াছড়ি জেলার কমলছড়ি গ্রামের পাশ দিয়ে চেঙ্গী নদী পার হওয়ার সময় নদীতে হাঁটু পানি থাকায় যাতে জুতা-প্যান্ট ভিজে নষ্ট না হয় সে-জন্য কমলছড়ি গ্রামের জনৈক মৃগাঙ্গ চাকমা মেজর জিয়াকে পিঠে তুলে নদী পার করে দেন। জিয়ার বাহিনীকে সহায়তা দেয়ার জন্য পাক-বাহিনী মহালছড়ির সভ্য মহাজন, গৌরাঙ্গ দেওয়ান ও চিত্তরঞ্জন কার্বারীকে ধরে নিয়ে যায়। পাকবাহিনী তাদেরকে আর ফেরত দেয়নি। তাদের লাশও পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, এজন্য অনেক জুম্ম নারী বিভিন্ন জায়গায় পাক সেনা সদস্যের ধর্ষণেরও শিকার হয়।"
    ------
    লিংক http://portal.ukbengali.com/node/96

  • Biplob Rahman | 117.18.231.16 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:০১507225
  • অমি রহমান পিয়াল
    জুন ২৫, ২০১১ at:৫৯ অপরাহ্‌ণ লিঙ্ক
    http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=16949#comment-60129

    সুপ্রিয় বিপ্লব রহমান, আপনার মেইল পেয়ে পোস্টটি পড়লাম এবং অনুরোধ রাখতেই আমার বক্তব্য রাখলাম। বিব্রতবোধ করছি এইজন্য যে সে বক্তব্য আপনার পোস্টের বক্তব্য সমর্থন নাও করতে পারে। তার আগে বলে নিচ্ছি যে আমি আরাফাতুর রহমানের লেখাটা পড়িনি। আপনারটা পড়েই আমার যা বলার বলছি। কোনো বাতুলতা নিজগুণে ক্ষমা করবেন।

    প্রথমে আসি আদিবাসী রাজাকার প্রসঙ্গে।অবাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলো। পক্ষে এবং বিপক্ষে। এখানে লক্ষণীয় তাদের বসবাসের জায়গাটা সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় সেখানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনী- দুইপক্ষই ছিলো ভীষণভাবে ত্‌ৎপর। এই পর্যায়ে এসে আদিবাসীরা গোষ্ঠীগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় তারা কোন পক্ষে যাবে। সাওতাল এবং গারোরা সরাসরি পাকিস্তানের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। চাকমারা পক্ষে।(মগরা নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেও তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছে আবার পাকিস্তানীদের বার্মায় পালাতেও সাহায্য করেছে।)এটা গোষ্ঠীগত সিদ্ধান্ত, গোষ্ঠী প্রধানের নির্দেশ। এখানে সমর্থন অর্থে বলা হয়েছে। এই সমর্থনের অর্থ ইনটেলিজেন্স, আশ্রয় এবং লোকবল দিয়ে সহায়তা।

    প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে মুক্তিবাহিনীর হয়ে গারোরা লড়েছেন, সাওতালরা লড়েছেন। ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ এবং ইপিআরের সদস্য যেসব আদিবাসী ছিলেন তারা লড়েছেন। এদের মধ্যে মারমা-মুরং-গারো-লুসাই সব গোষ্ঠীই ছিলেন,ছিলেন চাকমারাও। তারা তাদের সম্প্রদায়গত সিদ্ধান্তের বদলে প্রায়োরিটি দিয়েছেন কর্তব্যবোধ এবং ক্যামোরেডরিকে।

    চাকমাদের জন্য এই সিদ্ধান্তটা এসেছে রাজা ত্রিদিব রায়ের তরফে।অতিনি গোষ্ঠীপ্রধান। এপ্রিলের শুরুতেই রাঙ্গামাটিতে পাকিস্তান থার্ড কমান্ডো ব্যাটেলিয়ান অবস্থান নেয়। স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের এলিট কমান্ডোদের প্রধান মেজর জহির আলম খান (শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করেছিলেন তিনিই) ত্রিদিব রায়ের সঙ্গে দেখা করে সবধরণের সহায়তার প্রতিশ্রুতি পান। সঙ্গে যোগ দেয় লালডেঙ্গার নেতৃত্বাধীন মিজোদের একটি ব্রিগেড। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে মুক্তিবাহিনী এবং বিএসএফের সম্ভাব্য ত্‌ৎপরতা এবং তা ঠেকানোর জন্য সহায়তার কথা ছিলো সে প্রতিশ্রুতিতে। শুধু ত্রিদিব রায়ের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী দলই নয়, রাঙ্গামাটিতে ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সেস (ইপিসিঈফ) প্রাথমিকভাবে যোগ দেয় প্রায় শ’তিনেক চাকমা। যুদ্ধশেষে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের সংখ্যাটা এক মাসে ছিলো দেড় হাজারের ওপর। যদিও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় তাদের সবাইকেই পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    এমনকি দুর্গমতার কারণে পাহাড়ের অধিকাংশ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের কোনো ঢেউই লাগেনি- আপনার এই কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। ৩ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার অনেক আগে থেকেই পাহাড় ছিলো উত্তাল। এখানে অপারেশনাল ছিলো মেজর জেনারেল সুজয় সিং উবানের তত্বাবধানে থাকা মুজিব বাহিনীর একটা অংশ (শেখ মনির নেতৃত্বাধীন) এবং উদ্বাস্তু তিব্বতীদের নিয়ে গড়া স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স। চেহারায় সাদৃশ্য থাকার কারণে (মঙ্গোলয়েড) তিব্বতীরা নভেম্বরের শুরু থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশনে নামে (অপারেশন মাউন্টেন ঈগল)। এই লড়াইয়ে পাকিস্তানীদের পাহাড়ে গাইড এবং ইন্টেলিজেন্স দিয়ে সহায়তার দায়িত্ব পালন করে ইপিসিঈফের চাকমারা।

    এখন ত্রিদিব রায়কে আপনি স্রেফ পাকিস্তানের একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক বা যে তকমাই দিতে চান না কেনো, তার প্রাথমিক পরিচয় তিনি চাকমাদের রাজা। এমন যদি হতো তিনি শুধু রাঙ্গামাটির চাকমাদের রাজা, বা অন্যরা তাকে রাজা বলে স্বীকার করতো না তাহলে ভিন্ন কথা। কিন্তু রাজার দায় তার গোষ্ঠীর ওপর খানিকটা বর্তায় বৈকি!পার্বত্য চট্টগ্রামের দুয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে (সেগুলো বেশ চমকপ্রদ একদিন শেয়ার করা যাবে) চাকমারা তাই রাজার নির্দেশই পালন করেছে। কিংবা সে নির্দেশের বিপক্ষে যায়নি। ত্রিদিব রায় শুধু তার গোষ্ঠীকেই সহায়তার নির্দেশ দিয়ে বসে থাকেননি। নিজে মাঠে নেমেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক সমর্থন আদায় করতে গেছেন কলম্বো, সেখানে সিংহলীজ ছাত্রদের ধিক্কার শুনে ফিরেছেন। স্বাধীনতার পরপর পাকিস্তানকে সহায়তার জন্য যে ১২ জনের নাগরিকত্ব বাতিল এবং সহায়সম্পত্তি ক্রোক করা হয় আদালতের নির্দেশে সে তালিকায় গোলাম আজমের সঙ্গে রাজা ত্রিদিব রায়ও আছেন। তিনি নাগরিকত্ব ফিরে পেতে কোনো তদবির করেননি। যদিও সহায়সম্পত্তি ফিরে পেয়েছেন।

    প্রশ্ন উঠতে পারে যে যুক্তিতে গোলাম আজমের বিচার করা যায়, সেই একই যুক্তিতে ত্রিদিব রায়কেও আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় কিনা।অআমার ধারণা যায়, যদিও তিনি পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে সে দেশেই রয়ে গেছেন, কয়েকদফা মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ধরাছোয়ার বাইরেই। বাকি থাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তাকারী অক্সিলারি ফোর্সের চাকমারা। এরা সাধারণ ক্ষমা পেয়েছে। এদের কারো বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ এব লুটপাটের অভিযোগ ছিলো না। দে জাস্ট মার্চড এলং ফলৈং দেয়ার কিং। তবে সেরকম কোনো প্রমাণ নিয়ে কেউ যদি আসে, তাহলে নিশ্চয়ই তাদেরও বিচার করা যাবে। ব্যাস এটুকুই।
    -----
  • Biplob Rahman | 117.18.231.16 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:১৩507233
  • "৭১ এর মার্চ মাসে রাঙ্গামাটি জেলা সদরে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিল রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের ত্‌ৎকালীন ছাত্রনেতা গৌতম দেওয়ান এবং সুনীল কান্তি দে এর নেতৃত্বে।

    মুক্তিযুদ্ধকালীন রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়িতে অবস্থিত ফারুয়া ও শুকরছড়ির মোহনায় পাক সামরিক ঘাঁটি ছিল। সেখানে পাঞ্জাবী, রাজাকার, আলবদরসহ ২৫০ জন সৈন্য অবস্থান করত। সেখানে পাক সেনাবাহিনীর কয়েকটি স্টীমার ও গানবোটও ছিল। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পাইলট মান্নানসহ মুক্তি বাহিনীর একটি দল পাহাড়ী এলাকায় পথ হারিয়ে রাতের অন্ধকারে ফারুয়াস্থ পাক বাহিনীর ক্যাম্পের অভ্যন্তরে এসে পড়ে। তারা চাকমাদের সহায়তায় নৌকায় করে শুকরছড়ি এলাকায় নিরাপদ স্থানে পৌঁছে যায়।

    ১৭ ডিসেম্বর মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চল কমান্ডের অধিনায়ক জেনারেল সিং ওভান এবং শেখ ফজলুল হক মনি ভারতীয় হেলিকপ্টারযোগে রাঙ্গামাটির পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং মাঠে অবতরণ করেন। এখানে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান ত্‌ৎকালীন ছাত্রনেতা গৌতম দেওয়ান, আবদুর রশীদ, মো: ফিরোজ আহম্মদ, মনীষ দেওয়ান (পরবর্তীতে কর্ণেল)সহ হাজারো ছাত্র-জনতা।"

    http://www.dcrangamati.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=83&Itemid=94

  • Biplob Rahman | 117.18.231.16 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:৩৪507234
  • মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী
    লিখেছেন MithusilakMurmuonApril22, 2011
    ...................................................................................
    ২৫শে মার্চ ১৯৭১ । মধ্যরাতের সামান্য পর অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষোনা দিলেন । ইতোপূর্বে ৭ মার্চ ১৯৭১ রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমূদ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এই দিনেই বাংলার সর্বস্তরের মানুষ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল । প্রস্তুত হয়েছিল দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়সমূহ।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানাতেই ৬২ জন আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা পাওয়া যায় । শহীদ ফাদার উইলিয়াম ইভান্স এবং হারুণ-অর-রশিদ এর লেখা থেকে জানা যায় দিনাজপুর জেলার ওরাঁও ও সান্তালদের ১০০০ জনের সমন্বয়ে বিশাল মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা হয়েছিল ।

    ময়মন্সিংহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, নেত্রকোণা এলাকার গারো, হাজং, কোচ জনগোষ্ঠীগুলো থেকে প্রায় পনেরশত আদিবাসী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন । ১১৫ জন ছিল শুধু হালূয়াঘাট এলাকা থেকেই ।

    বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরিদের মধ্যেই কমপক্ষে ৫০ জনের অধিক সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন । অনেকে জীবন দিয়েছেন দেশের জন্য, তাদের মধ্যে গিরিশ সিংহ ও ভুবন সিংহ উল্লেখযোগ্য । সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, বড়লেখা, চুনারুঘাট, মাধবপুর, বৈকন্ঠপুর, গোয়াইনঘাট সিলেট সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ৮৩টি বাগান এলাকার আদিবাসী ও চা জনগষ্ঠীর কমপক্ষে ৬০২ জন শহীদ, আহত ৪৩, নির্যাতিত ৮৩ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকে ।

    মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল পুরো বাগানের কর্মী, কর্মকর্তা এবং সাধারণ জনগণ ।

    মুক্তিযোদ্ধা ভদ্র ম্রং বলেন, ‘দেশ স্বাধীন করার জন্যই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম অন্য কোন কারণে নয় । তাই মৃত্যূ কিংবা অন্য কোন কিছুই বড় বিষয় ছিল না । দেশ স্বাধীন করাই তখন মূল লক্ষ্য ছিল । তাছাড়াও যোদ্ধারা আদর্শ নিয়ে যুদ্ধ করে’ । তিনি আরও বলেন, ‘শরণার্থী শিবির থেকে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে দেশ মাতৃকার জন্য মহ্‌ৎ কাজ বলে প্রতীয়মান হয়েছিল’ । মনিপুরী কবি ‘নীলচান’‘কারাম নীলবাবু সিংহ’ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, কমপক্ষে একজন পাকি খাকসেনাকে হত্যা না করা পর্যন্ত অন্নের সাথে ব্যঞ্জন খাবেন না । বা কোন কিছু খাবেন না, স্রেফ নুনভাত খাবেন । নীলবাবু আর নীলচানকে ব্যঞ্জনের জন্য দীর্ঘদীন অপেক্ষা করতে হয় নি ।

    মৌলভীবাজার কমলগঞ্জের আনন্দমোহন সিংহ বলেন, ‘আমার চারজন সহযোদ্ধা এ লড়াইয়ে শহীদ হন । মৃত্যূকালে তাদের বাবা-মাকে দেখাশোনা করার কথা বলেছিল সহযোদ্ধা বন্ধুরা । কিন্তু যুদ্ধশেষে তাদের বাড়ি ফিরে বাড়ির কোন চিহ্নই খুজে পাওয়া যায় নি । তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে নিজের বাড়িই অচেনা লাগছিল নিজের কাছে । শুধু ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই ছিলো না’

    ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনি আত্মসমর্পন করলে বিজয়ের বেশে ঘরে ফিরলে মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র রিছিল দেখেছিলেন, ঘরবাড়ি ভূ-সম্পত্তি, ক্ষেতের ফসল ও গবাদি পশুসহ আরও অনেক কিছুই ফিরে পান নি । পাকি বাহিনী ও তাদের দোসররা তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে যায় । ক্ষেতের ফসল ও গরু বাছুর নিয়ে যায় । ক্ষয় ক্ষতির পরিমান ছিলো ১ লক্ষ্য ৫০ হাজার তাকার মত ।

    দেশমাতৃকার টানেই আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধারা কোমল কর্মক্ষম হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল, কোন অংশেই তাদের অংশগ্রহণকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই । শত্রুর হাতে জীবন উৎসর্গ করেছেন লড়াই করে, শারীরিক পঙ্গুত্ব নিয়ে অনেকে জীবিত রয়েছেন । হিন্দু অভিদা নিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য আদিবাসীকে নিজ বসতভিতা থেকে বিতাড়ন করেছে, হারিয়েছে সহায়-সম্পদসহ সবকিছুই । ধর্ষিত হয়েছে অগণিত নারী ।

    শহীদ ফাদার উইলিয়াম ইভান্স এবং হারুণ-অর-রশিদ এর লেখা থেকে আরও জানা যায়,পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীরা বিভিন্ন জনকে চিঠিতে জানিয়েছিলেন ‘Hindusareenemiesofourcountry.Theywillbedrivenoutofthecountry.Thosewhogivethemshelterwillalsobedrivenoutofthecountry.’ ভারতের মাটিতে শরণার্থী হিসেবে লক্ষ্য লক্ষ্য আদিবাসী আশ্রয় নিয়েছে, অনাহার অর্ধাহারে, রোগে শোকে, চিকিৎসার অভাবে নিরাময়যোগ্য রগে হারিয়ে গেছে পরিবার থেকে চিরদিনের জন্য । মুক্তিযুদ্ধে নি:সংগ হয়েছে মায়ের কোল, স্ত্রীর ভালবাসা, সন্তানের অপেক্ষমান হৃদয় ।

    দেশ স্বাধিন হয়েছে, স্বাধীন বাংলার মুক্তির ইতিহাস রচনায় আদিবাসীরা উপেক্ষিত, বাদ পড়েছে বা তাদের বিষয়ে লেখার দরকার নেই । পবিত্র সংবিধানে তাইতো আদিবাসীদের স্থান সংকুলান হয় নি ।

    বাংলাদেশ শত্রু শক্তির কবল থেকে মুক্ত হয়েছে কিন্তু যুদ্ধের সৈনিকদের অবদান জাতি,দেশ জানতে পারে নি । ইতিহাস লেখক, গবেষকগণ এড়িয়ে গেছেন নিভৃতচারী এসব আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসীপূর্ণ অবদানগুলো । ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত গবেষণার জন্য প্রধান উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ১৫ খন্ডের দলীলপত্র ।

    এসব দলীলের মধ্যে আদিবাসীদের ভুমিকার কথা বলতে গেলে উল্লেখমাত্র নেই । কেবল ভারতের ত্‌ৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধী মেঘালয় সফরে গেলে সে সময় বাংলাদেশের গারো শরনার্থীরা তাকে যে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন তা মুদ্রিত হয়েছে । আর রয়েছে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার অভিমত যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের কাজে আদিবাসীদের সহায়তা দরকার । এই পর্যন্তই।

    মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যেমন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ কর্তৃক ‘শ্রেষ্ঠ ইতিহাস গ্রন্থের মর্যাদাপ্রাপ্ত মাইদুল হাসান লিখিত মূলধারা-৭১’ সেখানেও আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধারা উপেক্ষিত । মাইদুল হাসান ছিলেন একাত্তরের প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের সচিব । অথচ স্মৃতিসম্ভার এবং দুস্প্রাপ্য ডকুমেন্টস-এ সমৃদ্ধ এই গ্রন্থটিতেও আদিবাসীর ঠাই হয় নি ।

    তাই এই ব্লগের প্রধান সমর সরেন সহ ব্লগ সঞ্চালকদের মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের অবদান নিয়ে একটি বিভাগ খোলার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি ।
    ----
    http://w4study.com/?p=1503মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী
    লিখেছেন MithusilakMurmuonApril22, 2011
    ...................................................................................
    ২৫শে মার্চ ১৯৭১ । মধ্যরাতের সামান্য পর অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষোনা দিলেন । ইতোপূর্বে ৭ মার্চ ১৯৭১ রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমূদ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এই দিনেই বাংলার সর্বস্তরের মানুষ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল । প্রস্তুত হয়েছিল দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়সমূহ।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানাতেই ৬২ জন আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা পাওয়া যায় । শহীদ ফাদার উইলিয়াম ইভান্স এবং হারুণ-অর-রশিদ এর লেখা থেকে জানা যায় দিনাজপুর জেলার ওরাঁও ও সান্তালদের ১০০০ জনের সমন্বয়ে বিশাল মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা হয়েছিল ।

    ময়মন্সিংহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, নেত্রকোণা এলাকার গারো, হাজং, কোচ জনগোষ্ঠীগুলো থেকে প্রায় পনেরশত আদিবাসী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন । ১১৫ জন ছিল শুধু হালূয়াঘাট এলাকা থেকেই ।

    বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরিদের মধ্যেই কমপক্ষে ৫০ জনের অধিক সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন । অনেকে জীবন দিয়েছেন দেশের জন্য, তাদের মধ্যে গিরিশ সিংহ ও ভুবন সিংহ উল্লেখযোগ্য । সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, বড়লেখা, চুনারুঘাট, মাধবপুর, বৈকন্ঠপুর, গোয়াইনঘাট সিলেট সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ৮৩টি বাগান এলাকার আদিবাসী ও চা জনগষ্ঠীর কমপক্ষে ৬০২ জন শহীদ, আহত ৪৩, নির্যাতিত ৮৩ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকে ।

    মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল পুরো বাগানের কর্মী, কর্মকর্তা এবং সাধারণ জনগণ ।

    মুক্তিযোদ্ধা ভদ্র ম্রং বলেন, ‘দেশ স্বাধীন করার জন্যই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম অন্য কোন কারণে নয় । তাই মৃত্যূ কিংবা অন্য কোন কিছুই বড় বিষয় ছিল না । দেশ স্বাধীন করাই তখন মূল লক্ষ্য ছিল । তাছাড়াও যোদ্ধারা আদর্শ নিয়ে যুদ্ধ করে’ । তিনি আরও বলেন, ‘শরণার্থী শিবির থেকে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে দেশ মাতৃকার জন্য মহ্‌ৎ কাজ বলে প্রতীয়মান হয়েছিল’ । মনিপুরী কবি ‘নীলচান’‘কারাম নীলবাবু সিংহ’ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, কমপক্ষে একজন পাকি খাকসেনাকে হত্যা না করা পর্যন্ত অন্নের সাথে ব্যঞ্জন খাবেন না । বা কোন কিছু খাবেন না, স্রেফ নুনভাত খাবেন । নীলবাবু আর নীলচানকে ব্যঞ্জনের জন্য দীর্ঘদীন অপেক্ষা করতে হয় নি ।

    মৌলভীবাজার কমলগঞ্জের আনন্দমোহন সিংহ বলেন, ‘আমার চারজন সহযোদ্ধা এ লড়াইয়ে শহীদ হন । মৃত্যূকালে তাদের বাবা-মাকে দেখাশোনা করার কথা বলেছিল সহযোদ্ধা বন্ধুরা । কিন্তু যুদ্ধশেষে তাদের বাড়ি ফিরে বাড়ির কোন চিহ্নই খুজে পাওয়া যায় নি । তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে নিজের বাড়িই অচেনা লাগছিল নিজের কাছে । শুধু ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই ছিলো না’

    ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনি আত্মসমর্পন করলে বিজয়ের বেশে ঘরে ফিরলে মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র রিছিল দেখেছিলেন, ঘরবাড়ি ভূ-সম্পত্তি, ক্ষেতের ফসল ও গবাদি পশুসহ আরও অনেক কিছুই ফিরে পান নি । পাকি বাহিনী ও তাদের দোসররা তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে যায় । ক্ষেতের ফসল ও গরু বাছুর নিয়ে যায় । ক্ষয় ক্ষতির পরিমান ছিলো ১ লক্ষ্য ৫০ হাজার তাকার মত ।

    দেশমাতৃকার টানেই আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধারা কোমল কর্মক্ষম হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল, কোন অংশেই তাদের অংশগ্রহণকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই । শত্রুর হাতে জীবন উৎসর্গ করেছেন লড়াই করে, শারীরিক পঙ্গুত্ব নিয়ে অনেকে জীবিত রয়েছেন । হিন্দু অভিদা নিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য আদিবাসীকে নিজ বসতভিতা থেকে বিতাড়ন করেছে, হারিয়েছে সহায়-সম্পদসহ সবকিছুই । ধর্ষিত হয়েছে অগণিত নারী ।

    শহীদ ফাদার উইলিয়াম ইভান্স এবং হারুণ-অর-রশিদ এর লেখা থেকে আরও জানা যায়,পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীরা বিভিন্ন জনকে চিঠিতে জানিয়েছিলেন ‘Hindusareenemiesofourcountry.Theywillbedrivenoutofthecountry.Thosewhogivethemshelterwillalsobedrivenoutofthecountry.’ ভারতের মাটিতে শরণার্থী হিসেবে লক্ষ্য লক্ষ্য আদিবাসী আশ্রয় নিয়েছে, অনাহার অর্ধাহারে, রোগে শোকে, চিকিৎসার অভাবে নিরাময়যোগ্য রগে হারিয়ে গেছে পরিবার থেকে চিরদিনের জন্য । মুক্তিযুদ্ধে নি:সংগ হয়েছে মায়ের কোল, স্ত্রীর ভালবাসা, সন্তানের অপেক্ষমান হৃদয় ।

    দেশ স্বাধিন হয়েছে, স্বাধীন বাংলার মুক্তির ইতিহাস রচনায় আদিবাসীরা উপেক্ষিত, বাদ পড়েছে বা তাদের বিষয়ে লেখার দরকার নেই । পবিত্র সংবিধানে তাইতো আদিবাসীদের স্থান সংকুলান হয় নি ।

    বাংলাদেশ শত্রু শক্তির কবল থেকে মুক্ত হয়েছে কিন্তু যুদ্ধের সৈনিকদের অবদান জাতি,দেশ জানতে পারে নি । ইতিহাস লেখক, গবেষকগণ এড়িয়ে গেছেন নিভৃতচারী এসব আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসীপূর্ণ অবদানগুলো । ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত গবেষণার জন্য প্রধান উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ১৫ খন্ডের দলীলপত্র ।

    এসব দলীলের মধ্যে আদিবাসীদের ভুমিকার কথা বলতে গেলে উল্লেখমাত্র নেই । কেবল ভারতের ত্‌ৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধী মেঘালয় সফরে গেলে সে সময় বাংলাদেশের গারো শরনার্থীরা তাকে যে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন তা মুদ্রিত হয়েছে । আর রয়েছে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার অভিমত যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের কাজে আদিবাসীদের সহায়তা দরকার । এই পর্যন্তই।

    মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যেমন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ কর্তৃক ‘শ্রেষ্ঠ ইতিহাস গ্রন্থের মর্যাদাপ্রাপ্ত মাইদুল হাসান লিখিত মূলধারা-৭১’ সেখানেও আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধারা উপেক্ষিত । মাইদুল হাসান ছিলেন একাত্তরের প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের সচিব । অথচ স্মৃতিসম্ভার এবং দুস্প্রাপ্য ডকুমেন্টস-এ সমৃদ্ধ এই গ্রন্থটিতেও আদিবাসীর ঠাই হয় নি ।

    তাই এই ব্লগের প্রধান সমর সরেন সহ ব্লগ সঞ্চালকদের মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের অবদান নিয়ে একটি বিভাগ খোলার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি ।
    ----
    http://w4study.com/?p=1503
  • achintyarup | 59.93.243.15 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০৩:০৫507235
  • কিছুই জানতাম না এ সব
  • kallol | 115.242.254.167 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:৩৭507236
  • অসাধারণ কাজ। বিপ্লবকে অন্তরের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানালাম।
  • kallol | 115.242.254.167 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:৩৮507237
  • আরও জানতে চাই।
  • aranya | 144.160.130.16 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:০৯507193
  • বড় দরকারী লেখা, বিপ্লব ভাই। মন থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনার এই প্রয়াসকে।
  • pi | 72.83.83.28 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:২৯507194
  • বিপ্লবভাই, সংকলনটার জন্য অনেক ধন্যবাদ :)
    আদিবাসীদের মধ্যে আরো অনেকেই নানা লেখা দিচ্ছেন। লেখাগুলো ফেসবুকে তো সব হারিয়ে যাচ্ছে। এখানে পোস্ট করতে বোধহয় ওঁদের কোন টেকনিক্যাল অসুবিধা হচ্ছে। পারলে ওঁদের একটু পোস্ট করতে সাহায্য করবেন ?
  • shipu | 203.153.223.88 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:৪১507195
  • ঈ য়ৌল্‌দ লিকে তো থন্‌ক থোসে য়ে্‌হা অরে ওপেনেদ ইত।
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:০৯507196
  • @ অচিন্ত্য অরূপ, আপনার বিনীত পাঠ ও মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আগামীতেও সঙ্গে থাকার অনুরোধ।

    @ কল্লোল দা, চণ্ডাল আপনার একনিষ্ঠ পাঠক। এই ছোট্ট প্রসটি যে আপনার চোখে পড়েছে, এই-ই যথেষ্ট। আগামীতেও সঙ্গে থাকার বিনীত অনুরোধ রইলো।

    @ অরণ্য, আপনাকেও আগামীদিনে সঙ্গে চাই। অনেক শুভেচ্ছা।

    @ পাই, অবশ্যই। এ জন্য আন্তরিক চেষ্টা থাকবে। আপনার তাগিদ ছাড়া এই ছোট্ট, অথচ গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হয়তো হতৈ না। এজন্য চণ্ডালের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন। চলুক।
  • Tandra Chakma | 180.234.117.215 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:৪০507197
  • য অর্বরি: ০#২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৭৬;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৭৯; #২৪৩৭;#২৪৬২;#২৫০৯;#২৪৫৮;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৭৯;#২৫০৮;#২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭০;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৪৬৯;#২৪৯৪; #২৪৩৮;#২৪৮৮;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৫৩;#২৪৭২;#২৫০৭; #২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৪৫৩;#২৪৩৯; #২৪৭৪;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৭৪;#২৪৯৮;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৬৭; #২৪৬৮;#২৪৬৯;#২৫০৯;#২৪৭৯; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩; #২৪৩৮;#২৪৮৮;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৫০৩; #২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৭২;#২৪৯৪; !#২৪৩৭;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৬৮; #২৪৮৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৮;#২৪৮৬;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৭৬;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৮৬;#২৫০৩;#২৪৮৭;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৩৭;#২৪৭৬;#২৪৭০;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৪৫৩;#২৫০৩; #২৪৫৩;#২৫০৩;#২৪৭২; #২৪৪৭;#২৪৬৫;#২৪৯২;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩; #২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৫১;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৪৯৪; #২৪৮৯;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৫; #২৪৭৬;#২৪৯৭;#২৪৬০;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৪৯৪; ! #২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৪৯৫; #২৪৩৮;#২৪৫১;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৪৯৪;#২৪৭৮;#২৫০৩;#২৪৮২;#২৪৯৫;#২৪৫৫; #২৪৫৩;#২৪৯৫;#২৪৩৪;#২৪৭৬;#২৪৯৪; #২৪৭৬;#২৪৯৫; #২৪৪৭;#২৪৭২; #২৪৭৪;#২৪৯৫;#২৪৮০; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৭৯;#২৪৯৭;#২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭১;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৮০;#২৪৫৮;#২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৪৭;#২৪৫৩; #২৪৭২;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৩৮;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৪৭৮;#২৪৯৫;#২৪৪১;#২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪৮৮;#২৫০৯;#২৪৬৩;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৭৭;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭২; #২৪৭১;#২৪৯৪;#২৪৮৮;#২৫০৩; #২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৩৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫;#২৪৮৯;#২৪৯৪;#২৪৮৮; #২৪৬৮;#২৪৯৭;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৭১;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৭২; ! #২৪৫৩;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৭; #২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮৯;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৬০;#২৪৯৭;#২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৩৭;#২৪৭৬;#২৪৭০;#২৪৯৪;#২৪৭২; #২৪৫৩;#২৫০৩; #২৪৫৩;#২৪৭২;#২৫০৭; #২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৪৫৩; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪৮০;#২৪৭৪;#২৫০৩;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৮৭; #২৪৭০;#২৪৯৯;#২৪৮৭;#২৫০৯;#২৪৬৩;#২৪৯৫;#২৪৭৭;#২৪৫৭;#২৫০৯;#২৪৫৫;#২৪৯৫; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩; #২৪৫৫;#২৪৭৭;#২৫০৩;#২৪৮৭;#২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৫৮;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৩; #২৪৭৪;#২৫০৩;#২৪৬৫;#২৪৯২;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৫০৩; #২৪৭৬;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৭৮;#২৪৭২;#২৫০৩; #২৪৮৯;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৪৭২;#২৪৯৪; !#২৪৪৭;#২৪৫৪;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৫০৩; #২৪৩৭;#২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৫৩; #২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৪৫৩; #২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৬০;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৪৯৪; #২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৪৯৬;#২৪৬৮;#২৪৯৪; #২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৭৯;#২৫০৩; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৭৯;#২৪৯৭;#২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭১;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৮৮;#২৪৩৪;#২৪৫৫;#২৪৬৪;#২৪৫৩; #২৪৮৯;#২৪৯৫;#২৪৮৮;#২৪৯৪;#২৪৭৬;#২৫০৩; #২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৬০; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৫০৩;#২৪৭২; #২৪৬৮;#২৪৯৪; #২৪৪১;#২৪৮২;#২৫০৯;#২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৫৪; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৭২; #২৪৭২;#২৪৯৫; !#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৬৩;#২৫০৩;#২৪৭২; #২৪৩৭;#২৪৮৬;#২৫০৭;#২৪৫৩; #২৪৭৮;#২৪৯৫;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৬;#২৪৮০; #২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৭৮; #২৪৪১;#২৪৮২;#২৫০৯;#২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৫৪; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৮৯;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৪৭২;#২৪৯৫; #২৪৪৭;#২৪৭৬;#২৪৩৪; #২৪৮০;#২৪৭২; #২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৭৮; #২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৭৪;#২৪৯৭;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৫৩;#২৫০৩; #২৪৪৭;#২৪৩৯; #২৪৩৭;#২৪৩৪;#২৪৮৬;#২৫০৩; #২৪৬৮;#২৪৯৭;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৭১;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৮৯;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৭২;#২৪৯৫; #২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৭৯;#২৪৯৭;#২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭১;#২৫০৩; #২৪৮৮;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৩৭;#২৪৩৪;#২৪৮৬; #২৪৫৫;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৮৯;#২৪৭২; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৫০৩;#২৪৭২; #২৪৩৭;#২৪৬৯;#২৪৫৮; #২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৪; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮৯;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪৫৩;#২৫০৩; #২৪৫৬;#২৪৯৪;#২৪৬৩; #২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৫০৩; #২৪৭০;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩; #২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৬৫;#২৪৯২;#২৪৯৫; #২৪৮৮;#২৪৯৫;#২৪৫৫;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৬৩; #২৪৫৩;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৫০৩; #২৪৭০;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৪৯৫;#২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৭২; #২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৮০;#২৪৫৩;#২৫০৩; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৭৯;#২৫০৮;#২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭০;#২৪৯৪; #২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৫০৭; #২৪৮৯;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৫০৩; !
    ৫৯ মিনুতেস অগো | ঊনি্‌লকে | ২
    টন্দ্র হক্ম য অর্বরি ১০০ % অগ্রীদ। আমি চক্রিজিবি তই লেখলেখিতে ইপ্লোব ঋঅহ্মন এর মোতো সোমোয় পইন। টচর অমর কধে বিসল দয়িত্তো। এই অকে অমি জুম্ম মুক্তিজোদ্দদের কোথ তুলে ধোর্তে পর্বো অস কোরি। আপ্নি জদের কোথ বোলেচেন সোবর কোথ জনি। ঋওনো ইক্রোম দ সধিনোতর পোর র কৈজোন শোহোজোদ্ধ নিয়ে প্রোথোম অমদের বসই উথেচিলো। আমর বব তোখোন ণোঅখলি এর প। অবর কোথ ওঙ্গল দদর বৈতে অচেও ওরোদিন্দু অবুর বৈতে অচে।
    ৩৪ মিনুতেস অগো | ইকে | ১

    য অর্বরি #২৪৫৩;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৭; #২৪৩৭;#২৪৮৬;#২৫০৭;#২৪৫৩; #২৪৭৮;#২৪৯৫;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৫; #২৪৫৩;#২৪৯৫; #২৪৩৭;#২৪৭৪;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৭১; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৫০৩;#২৪৭২; #২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৭৮; #২৪৮৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৮;#২৪৮৬;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৪৭;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩; #২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৫১;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৪৯৪; #২৪৮৯;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৭২;#২৪৯৫; ?#২৪৪৭;#২৪৭৬;#২৪৩৪; #২৪৫৫;#২৫০৭;#২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮২; #২৪৫৩;#২৪৯৯;#২৪৮৭;#২৫০৯;#২৪৬৭; #২৪৫৮;#২৪৯৪;#২৪৫৩;#২৪৭৮;#২৪৯৪; #২৪৭৯;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৪৯৫; #২৪৭৭;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৬৮;#২৪৯৬;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮৯;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৪৯৬;#২৪৬৮;#২৫০৩; #২৪৬৯;#২৫০৩;#২৪৫৩;#২৫০৩;#২৪৫১; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৭৯;#২৫০৮;#২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭০;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৩৭;#২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৫৩; #২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৮৭;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৮৭;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৬৯;#২৫০৩;#২৪৫৩;#২৫০৩; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৩৩;#২৪৫৮;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৫০৩;#২৪৭২; !
    ২৫ মিনুতেস অগো | ঊনি্‌লকে | ২
    টন্দ্র হক্ম এসের জোন অমর বোরো মম। আমর ময়ের অপোন বোরো অই।
    ২৩ মিনুতেস অগো | ইকে | ২
    টন্দ্র হক্ম আমি ঈতিহসের চত্রি, অমি চেস্ত কোর্চি প্রোক্ক্রিতো ইতিহস লিখে্‌ত জনিন পর্বো কিন।
    ২২ মিনুতেস অগো | ইকে | ২
    টন্দ্র হক্ম অর্বরি দদ এই বিসোয় ত নিয়ে অমকে সোহোজোগিত কোর্লে অলো হোতো। ইত অমর কচে এক নোতুন জুদ্ধোখেত্রো। টোবে অপ্নি অমর মমর নম উল লিখেচেন উনর নম,'' ওপল উশন হক্ম''। । ঊনি পন্‌চরি ও পুজ্‌গঙ্গ এলকই এসে ওনেক জুম্ম কে বচিয়েচেন।
    ৯ মিনুতেস অগো | ইকে | ২
    টন্দ্র হক্ম আমর র ওন্নো জুম্ম অই বোন্দের হোতস হোয়র কিচু নেই অপ্নর ও অমর মোতো কিচু মনুশ থক্লে অমর সোব প্রোতিবোনোকোত জৈ কোর্তে পর্বো। টই এতো হোতসই অমি কোখোনো হোতস নৈ।
    ৬ মিনুতেস অগো | ইকে | ১

    য অর্বরি #২৪৪১;#২৪৭২;#২৪৯৫; #২৪৩৮;#২৪৭৪;#২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৪৭;#২৪৫৩;#২৪৬০;#২৪৭২; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪৫৩;#২৪৬৩;#২৪৬৮;#২৪৭৮; #২৪৩৮;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৭৮;#২৪৯৬;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৫; #২৪৬০;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৪৯৫; !#২৪৮৬;#২৪৯৭;#২৪৭১;#২৪৯৭; #২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮৯;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৬; #২৪৮০;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৮৭;#২৪৯৪; #২৪৭২;#২৪৭৯;#২৪৯২; #২৪৪১;#২৪৭২;#২৪৯৫; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৬০;#২৫০৮;#২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭০;#২৪৯৪; #২৪৮০;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৮৭;#২৪৯৪; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৪৯৫;#২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৭২;! #২৪৪১;#২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪৬০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৪;#২৫০৩; #২৪৮৬;#২৫০৭;#২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৪১;#২৪৭২;#২৪৯৫; #২৪৭৫;#২৫০৭;#২৪৮০;#২৪৮৮; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩; #২৪৬৪;#২৪৯৫;#২৪৫৩; #২৪৮৮;#২৪৭৮;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩; #২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৭৪;#২৫০৮;#২৪৫৯;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৫৩; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮৯;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৪৯৬; #২৪৫৪;#২৪৯৪;#২৪৫৫;#২৪৬৫;#২৪৯২;#২৪৯৪;#২৪৫৯;#২৪৬৫;#২৪৯২;#২৪৯৫;#২৪৮০; #২৪৩৮;#২৪৮২;#২৪৯৭; #২৪৬৩;#২৪৯৫;#২৪৮২;#২৪৯৪; #২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮৯;#২৪৯৫;#২৪৬৭;#২৪৯৬;#২৪৮০; #২৪৭৪;#২৪৯৭;#২৪৮০; #২৪৪৭;#২৪৫৩;#২৪৬৩;#২৪৯৪; #২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৬৩;#২৪৯৭;#২৪৭২; #২৪৪১;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩; #২৪৭০;#২৪৯৫;#২৪৬৮; !
    অবৌত অ মিনুতে অগো | ইকে | ১

    ইপ্লোব ঋঅহ্মন #৮২০৬;য অর্বরি #২৪৭০;#২৪৯৪;#২৪৭০;#২৪৯৪; #২৪৪৭;#২৪৭৬;#২৪৩৪; টন্দ্র হক্ম #২৪৭০;#২৪৯৫;#২৪৭০;#২৪৯৫;, #২৪৩৮;#২৪৭৪;#২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৩৮;#২৪৫৫;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৮৯; #২৪৫১; #২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৪৯৬;#২৪৬৮; #২৪৭৮;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৭৬;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৮০; #২৪৬০;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭৯; #২৪৩৭;#২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৫৩; #২৪৭১;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৭০;#২৪০৪; #২৪৫৪;#২৪৯৭;#২৪৭৬; #২৪৭৭;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৫০৭; #২৪৮৯;#২৪৭৯;#২৪৯২;, #২৪৭৯;#২৪৭০;#২৪৯৫; #২৪৪৭;#২৪৫৩;#২৪৬৩;#২৪৯৭; #২৪৫৩;#২৪৮৭;#২৫০৯;#২৪৬৩; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৫০৩; #২৪৫১;#২৪৭৪;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৮২;#২৪৯৫;#২৪৩৪;#২৪৫৩; #২৪৭৪;#২৫০৭;#২৪৮৮;#২৫০৯;#২৪৬৩;#২৫০৩; #২৪৫৫;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩; #২৪৭৮;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৭৬;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৫৫;#২৪৯৭;#২৪৮২;#২৫০৭; #২৪৮২;#২৪৯৫;#২৪৫৪;#২৫০৩; #২৪৭০;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৪০৪; #২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৬৭; #২৪৮৮;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৪৯৪;#২৪৭৪;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০; #২৪৮৮;#২৫০৯;#২৪৬৯;#২৪৯৪;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৪৯৬;, #২৪৭৫;#২৫০৩;#২৪৮৮;#২৪৭৬;#২৪৯৭;#২৪৫৩; #২৪৫৫;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৭;#২৪৭৪;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৪৯৪;#২৪৭৪;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০; #২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৪৩৯; #২৪৮৯;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৫০৩; #২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৭৯;#২৪৯২;#২৪০৪; #২৪৩৭;#২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৫৩; #২৪৮৬;#২৪৯৭;#২৪৭৭;#২৫০৩;#২৪৫৮;#২৫০৯;#২৪৫৯;#২৪৯৪;#২৪০৪; #৯৮২৯;
    অবৌত অ মিনুতে অগো | ইকে
    টন্দ্র হক্ম ঠন্‌ক্‌স য কর্বরি।
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:৪৫507198
  • মহাকাব্যের অগ্রন্থিত কবিতা : মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী
    লিখেছেন: চারু হক
    .....................................
    গণহত্যার ইতিহাসে স্বল্পতম সময়ে সর্বাধিক মানুষ নিহত হয়েছে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান কর্তৃক গণহত্যায়। কল্পনাকে ছাড়িয়ে যাওয়া এই নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছিল এদেশের আপামর জনসাধারণ; এদেশের বাঙালি ছাড়াও অর্ধশতাধিক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ, যারা কখনো আদিবাসী, কখনো উপজাতি, কখনো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন অভিধায় অভিহিত। অস্তিত্বে জড়িয়ে থাকা, চেতনায় মিশে থাকা প্রতিবাদের ভাষা দিয়ে ইতিহাসের অধ্যায়ে অধ্যায়ে সংগ্রামী মহাকাব্যের এ স্রষ্টারাই ভারতবর্ষে বিদেশী শাসকদের বিরুদ্ধে ১ম বিদ্রোহ করেছিল। সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৬০- ১৮০০), গারো বিদ্রোহ (১৭৭৫-১৮০২), চাকমা বিদ্রোহ (১৭৮০-১৮০০), খাসি বিদ্রোহ (১৭৮৩), ময়মনসিংহের কৃষক বিদ্রোহ (১৮১২-১৮৩০), সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫-১৮৫৭), মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৫৭), তেভাগা বিদ্রোহ (১৯৪৬-১৯৪৭), টংক বিদ্রোহ, নাচোল বিদ্রোহ প্রভৃতির পথ ধরেই তাঁদের সমুখে আসে মুক্তিযুদ্ধ (১৯৭১)।

    এ মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর বাঙালি জাতির পাশাপাশি রক্ত ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সনাতনসব অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত সমরদক্ষ পাকিস্তানী সেনাদের সমুখে দাঁড়িয়েছে বাঙালি ছাড়াও অর্ধ-শতাধিক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ- সাঁওতাল, চাকমা, মারমা, মুরং, ত্রিপুরা, গারো, হাজং প্রভৃতি।

    উপমহাদেশের বিদ্রোহ-সংগ্রামের ইতিহাসে সমুঙ্কÄল সাঁওতালদের বাংলাদেশে বসতি উত্তরবঙ্গের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে। উত্তরবঙ্গে পাকিস্তানীদের প্রধান ঘাঁটি রংপুর ক্যান্টনমেন্টে ছিল ২৩তম ব্রিগেড হেড-কোয়ার্টার। ২৩ মার্চ পাকিস্তানি লে. আব্বাসের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রংপুরসহ সমগ্র উত্তরবঙ্গে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হিন্দু বিবেচনা করে পার্শ্ববর্তী সাঁওতাল গ্রামগুলোতে চালায় অত্যাচারের স্টীমরোলার। এ পরিস্থিতিতে দা-কুড়াল, তীর-ধনুকের মতো আদিম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রংপুর সেনানিবাস আক্রমণের মতো দু:সাহসিক কাজে এগিয়ে আসে সাঁওতালরা। ২৮ মার্চ হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ বাঙালি ও আদিবাসী সকাল ১১ টায় ক্যান্টনমেন্টের দিকে অগ্রসর হয়। গোপন চর মারফত আগেভাগেই ঘেরাও-এর কথা জেনে যাওয়া পাকিস্তানীরা রাতেই সেখানকার বাঙালি অফিসার ও সেনাদের বন্দি করে এবং ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার প্রস্ততি নেয়। পদব্রজে সহস্র মানুষের অগ্রগামী স্রোত দেখে পাশবিক আক্রোশে গর্জে ওঠে তাদের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। শত শত বাঙালি ও আদিবাসীর রক্তে রক্ত-বর্ণ হয়ে যায় ঘাঘট নদীর জল। এদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় ৩০ হাজার সাঁওতাল। তিনশ’রও বেশি সাঁওতাল কেবল রংপুর থেকেই প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দিনাজপুরের ওরাওঁ ও সাঁওতাল মিলে প্রায় ১০০০ জনের একটি বিশাল মুক্তিবাহিনী ঐ এলাকায় অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা পালন করে। একইভাবে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, নেত্রকোণার গারো-হাজং-কোচ-ডালু প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৫০০ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। সাঁওতালদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রেরণা যোগান সাঁওতালনেতা সাগরাম মাঝি। গোদাগাড়ি রাজশাহীর বিশ্বনাথ টুডু ছিলেন প্লাটুন কমান্ডার। মক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় সাঁওতাল খ্রিষ্টান যাজক ফাদার লুকাশ মারান্ডিকে, রাজশাহীর কাশিঘুটুতে ১১ জনকে এবং রংপুরের উপকণ্ঠে ২০০ জন সাঁওতালকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নির্মম লৈঙ্গিক নির্যাতন করা হয় গোদাগাড়ির আদাড়পাড়া গ্রামের মালতী টুডুসহ বেশ কয়েকজন নারীকে।

    মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধপর্বেই মণিপুরী-অধ্যুষিত মৌলভিবাজারের ভানুগাছ, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, ছাতকের কোম্পানিগঞ্জ ও সিলেটে পাকসেনারা নৃশংসভাবে হত্যা করে নিরপরাধ ছাত্র, যুবা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে। আদিম লালসার শিকার হয় অসংখ্য মণিপুরী নারী। ১২ আগস্ট মৌলভীবাজারের ভানুবিলের মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া ব্রাহ্মণ সার্বভৌম শর্মাকে হত্যা করা হয়। নিহত হন মাধবপুর গ্রামের গিরীন্দ্র সিংহ, গিরীন্দ্র সিংহ প্রমুখ। এভাবে মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, বড়লেখা, চুনারুঘাট, মাধবপুর, বৈকুণ্ঠপুর, গোয়াইনঘাট, হবিগঞ্জের কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, সিলেট সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ৮৩ টি বাগান এলাকার আদিবাসী চা-জনগোষ্ঠীর কমপক্ষে ৬০২ জনকে হত্যা করে। কামারছড়ায় পাকসেনাদের ক্যাম্পে বাংকার খনন ও জঙ্গল পরিষ্কার করার জন্যে পালাক্রমে স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ্য করা হত ভানুবিলের প্রতিটি মণিপুরীকে। জঙ্গলে কাজ করতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষ্ণ কুমার সিংহ, কুলেশ্বর সিংহসহ বেশ কয়েকজন আদিবাসী যুবক পালিয়ে ভারত গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। কেবল গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধ নয়, শব্দশিল্প, চিত্রশিল্প, নৃত্যশিল্প প্রভৃতির মধ্যদিয়েও মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক সহায়তা করেছেন অনিতা সিংহ, সাধন সিংহ, বানী সিনহা প্রমুখ। নন্দেশ্বর সিংহ, বিজয় সিংহ প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক কয়েকশত মুক্তিসেনার বাহিনী গড়ে তুলতে অসীম ভূমিকা রাখেন।

    বর্মিদের অত্যাচারে সবকিছু হারিয়ে এদেশে স্থিতু হয়েছিল রাখাইনরা। অভিজ্ঞতায় স্বাধীনতা হারানোর বেদনা, চেতনায় পরাধীনতা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। সেই আকাঙ্ক্ষার বশেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্ব রাখেন অসংখ্য রাখাইন। তেমন কয়েকজন উল্লেখযোগ্য বীরযোদ্ধা- কক্সবাজারের উ-মংয়াইন, উ-ক্যহ্লাচিং, পটুয়াখালী-বরগুনার উ-উসিটমং, রামুর মংয়াইন, মহেশখালীর মংহ্লা প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধকালে রাখাইনদের কেউ কেউ নিজেদের ‘চায়না বৌদ্ধ’ পরিচয় দিয়ে রক্ষা পেলেও পাকিস্তানি নৃশংসতায় নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল অধিকাংশ রাখাইন জনপদ। মে মাসে মহেশখালীর ঠাকুরতলা বৌদ্ধ বিহারে পাকসেনারা অনুপ্রবেশ করে বিনা অপরাধে বিহারের মহাথেরো উ-তেজিন্দাসহ ছয় জনকে গুলি করে হত্যা করে। বৌদ্ধ বিহারের ৬২টি রৌপ্য মূর্তি লুণ্ঠন ও কয়েকটি শ্বেত পাথরের মূর্তি ধ্বংস করে। দক্ষিণ রাখাইন পাড়ার বৌদ্ধ বিহারের সেবায় নিয়োজিত তিনজন নিরপরাধ রাখাইনকে আগুণে পুড়ে হত্যা করে।

    অন্যদিকে চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় একাত্তরে পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়ে কাজ করায় সকল চাকমাদের ঢালাওভাবে পাকিস্তানের দালাল বলা হয়। পাকিস্তানপর্বে এদেরকে ভারতপন্থী, আবার ’৭১ ও পরবর্তীপর্বে বলা হয় পাকিস্তানপন্থী। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন রকম। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকার কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাকমারা। ১ লক্ষ চাকমা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। তাদের মধ্যে পাকসরকারের প্রতি ক্ষোভ ছিল সহজাত। তাই চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় ’৭১-এ পাকিস্তানের পক্ষ নিলেও চাকমা রাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য কে. কে রায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রখ্যাত চাকমা নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার নেতৃত্বে সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রস্তুতি নিয়েছিল অসংখ্য চাকমা ছাত্র ও যুবক। তাঁদের ভাষ্যমতে, পার্বত্য চট্টগ্রামের তদানীন্তন জেলা প্রশাসক এইচ.টি.ইমাম এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাইদুর রহমানের ষড়যন্ত্রে চাকমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। এর অনেক প্রামাণ্য উদাহরণের মধ্যে উল্লেখ্য- রসময় চাকমা, তাতিন্দ্রলাল চাকমা প্রমুখ। প্রশিক্ষণের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারত গিয়েও বিফল মনোরথে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁদের। সঙ্গে ছিলেন আরও অনেক আদিবাসী তরুণ যুবক। যুদ্ধে অংশ নিতে না পেরে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদের সনাতন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সুযোগ বুঝে বিচ্ছিন্নভাবে পাকিস্তানীদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন এবং অন্যদিকে কেউ কেউ হতাশ হয়ে পাকিস্তানীদের ইন্ধনে রাজাকার বাহিনীতে নিযুক্ত হয়েছেন। অথচ পরবর্তী সময়ে এ কতিপয় চাকমা রাজাকারের জন্য নির্মম মাশুল দিতে হয়েছে আপামর চাকমা জনগোষ্ঠীকে।

    মুক্তিযুদ্ধের বিজয়োত্তর অব্যাহতিকালেই মুক্তিযোদ্ধা নামধারী কতিপয় দল চাকমাপ্রধান কুকিছড়া, পানছড়ি, কানুনগোপাড়ায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গণহত্যা ও লুটপাটের মহোৎসব চালায়। খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গার আসালং, বড়বিল, তাইন্দ্যং এবং তবলছড়ি মৌড়ার গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ শেষে যে দলটি মাটিরাঙ্গা হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে, সে দলটি পানছড়ি এবং দীঘিনালার বেশ কয়েকটি আদিবাসী গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় এবং কিছুসংখ্যক আদিবাসীকে হত্যা করে। আবার বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যেসকল চাকমা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাঁদের প্রতি পরবর্তীতে শীতল আচরণ করা হয়। যুদ্ধকালীন বীরত্বের স্বীকৃতির রেকর্ড অনুযায়ী ৩ জন চাকমা মুক্তিযোদ্ধাকে বিধান মোতাবেক খেতাবে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, পরবর্তীতে তা অকার্যকর রয়ে যায়।

    খাগড়াছড়ি মং রাজা মং প্রু সেইন সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। যুদ্ধকালে মানিকছড়ি রাজবাড়িতে আশ্রয়শিবির এবং ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, মুজিবনগর সরকারকে অর্থ-সহায়তা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিজের কয়েকটি গাড়ি এবং ত্রিশটির বেশি আগ্নেয়াস্ত্র প্রদান করেছেন। এরপর তিনি ত্রিপুরার সাব্রুম এবং সেখান থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে রূপাইছড়ি শরণার্থী-শিবিরে অবস্থান গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের কাজে নিয়োজিত হন। এরপর নিরাপত্তার খাতিরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে আগরতলায় পাঠিয়ে অনারারি কর্নেল উপাধি দেয়। এসময় তিনি আখাউড়া অপারেশনসহ বেশ কয়েকটি সফল অপারেশনে পুরোভাগে থেকে বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ করেন।

    অথচ সংবিধানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব অস্বীকার করার মতই মক্তিযুদ্ধে তাঁদের ত্যাগ ও অবদানকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ইতিহাসবিদ ও গবেষকগণ এড়িয়ে গেছেন মুক্তিযুদ্ধের এ সাহসী উপাদানগুলো। মুক্তিযুদ্ধ গবেষণার আকড়গ্রন্থ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ১৫ খন্ডের দলিলপত্রে উল্লেখ নেই এঁদের অবদানগাঁথা। এমনকি বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ কর্তৃক শ্রেষ্ঠ ইতিহাস গ্রন্থের মর্যাদা লাভকারী মূলধারা ’৭১ (মঈদুল হাসান) এও আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান ঊপেক্ষিত।

    http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=20828#comments
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:০৯507199
  • "পাক বাহিনীরা পার্বত্য জেলা সদর রাঙ্গামাটি ও মহকুমা সদর রামগড় এবং বান্দরবান দখল করার পর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে ঘাঁটি স্থাপন করে এবং ঘাঁটিসমূহ সুদৃঢ় করে নেয়। তারা বিভিন্ন এলাকায় শাখা কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকায় রাজাকার বাহিনী ও হিলরাজ বাহিনী গঠন করে এবং বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে বর্বর অত্যাচার চালায় ও ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দেয়। পাকবাহিনী রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়িসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে পাহাড়ী রমনীদের জোর পূর্বক ধরে নিয়ে অমানুষিকভাবে ধর্ষণ করে এবং ক্যাম্পে উলঙ্গ অবস্থায় বন্দী করে রাখে।

    "১নং সেক্টরের আওতায় সর্বপ্রথম ৫ মে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দল গঠন করা হয়। এই দল গঠনের নেতৃত্ব দেন হেমদা রঞ্জন ত্রিপুরা। এটি পরবর্তীতে একটি পূর্ণাঙ্গ কোম্পানী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। শ্রী ত্রিপুরাকে কোম্পানী কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এই কোম্পানীর অধীনে গ্রুপ নং- ৯১, ৯২, ৯৩, ৯৪ এবং ৯৫ সংযুক্ত করা হয়। উক্ত গ্রুপগুলির ট্রেনিং কেন্দ্র ছিল ভারতের অম্পি নগর এবং ১নং সেক্টর হেডকোয়ার্টার হরিণা। ১নং সেক্টরের অধীনে হরিণা থেকে ৩০ কি: মি: দূরবর্তী সীমান্ত এলাকা ভারতের বৈষ্ণবপুরে আগস্ট মাসের প্রথম দিকে সাব-সেক্টর স্থাপন করা হয়। সেখানে অবস্থানরত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় গেরিলা আক্রমণ পরিচালনা করা হয়।

    "পার্বত্য এলাকায় অবস্থানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের চলাচলের সুবিধা, শত্রুপক্ষের ঘাঁটি আক্রমণ এবং পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত নাকাপা, কুমারীপাড়া, পাগলা পাড়া, মানিকছড়ি, ডাইনছড়ি, যোগ্যাছলা ও গাড়ীটানা এলাকার গহীন অরণ্যে মুক্তিবাহিনীর গোপন ক্যাম্প বা আশ্রয়স্থল করা হয়। এই সমস্ত গোপন গেরিলা ক্যাম্পে ঐ এলাকার হেডম্যান কার্বারীসহ সকল স্তরের জনগণ খাদ্যশস্য সরবরাহ করত এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ঐ সমস্ত এলাকার জনগণ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পাকবাহিনীর গতিবিধি এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে সাহায্য করত।"

    http://www.dcrangamati.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=83&Itemid=94
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:১৫507200
  • @ শিপু, @ তন্দ্রা চাকমা দিদি, এখানে ইউনিকোডে বাংলায় লিখতে হয়। আর না হয় ইংরেজী/ রোমানেই লিখুন।

    আপনাদের আগ্রহের জন্য অনেক ধন্যবাদ। চলুক। :)
  • Ranadipam Basu | 180.149.31.253 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:১৭507201
  • #২৪৭১;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৭০; #২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮২;#২৪৭৬; #২৪৭০;#২৪৯৪;, #২৪৪৭;#২৪৩৯; #২৪৫৮;#২৪৭৮;#২৫১০;#২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৬৯;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৬৫;#২৪৬৩;#২৪৯৫;#২৪৮০; #২৪৬০;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪০৪; #২৪৪৭; #২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৮৭;#২৫২৭;#২৫০৩; #২৪৭৯;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৫০৩; #২৪৭৯;#২৪৯৪; #২৪৩৮;#২৪৫৯;#২৫০৩; #২৪৫৩;#২৪৯৫;#২৪৩৪;#২৪৭৬;#২৪৯৪; #২৪৭৯;#২৫০৩; #২৪৭৯;#২৪৯৪; #২৪৬০;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৭২; #২৪৬৮;#২৪৯৪; #২৪৮৮;#২৪৩৪;#২৪৫৫;#২৪৯৯;#২৪৮৯;#২৪৯৫;#২৪৬৮; #২৪৮৯;#২৪৫১;#২৫২৭;#২৪৯৪; #২৪৬০;#২৪৮০;#২৪৯৭;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪০৪; #২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৭৯;#২৪৯৪; #২৪৩৭;#২৪৭৬;#২৪৭০;#২৪৯৪;#২৪৭২; #২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৮৮;#২৫০৯;#২৪৭৬;#২৪৯৬;#২৪৫৩;#২৪৯৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৫১; #২৪৮৮;#২৪৩৪;#২৪৮০;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৮৭;#২৪৬৭; #২৪৭৯;#২৪৬৯;#২৪৯৪;#২৪৭৯;#২৪৬৯; #২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৮৯;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৩৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫;#২৪৮৯;#২৪৯৪;#২৪৮৮;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭৪;#২৪৯৮;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৬৭;#২৪৯৪;#২৪৫৭;#২৫০৯;#২৪৫৫;#২৪৬৮;#২৪৯৪; #২৪৩৮;#২৪৮৮;#২৪৭৬;#২৫০৩; #২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪০৪; #২৪৭৯;#২৪৭০;#২৪৯৫;#২৪৫১; #২৪৪৭;#২৪৩৯; #২৪৭৪;#২৪৯৮;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৬৭;#২৪৯৪;#২৪৫৭;#২৫০৯;#২৪৫৫;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৩৮;#২৪৮৬;#২৪৯৪; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৬৩;#২৪৯৪;#২৪৩৯; #২৪৪৭;#২৪৫৩;#২৪৬৩;#২৪৯৪; #২৪৪১;#২৪৫৮;#২৫০৯;#২৪৫৮;#২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৮৮;#২৪৯৬; #২৪৫৩;#২৪৮২;#২৫০৯;#২৪৭৪;#২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৮৯;#২৫২৭;#২৪৬৮;#২৫০৭;, #২৪৬৮;#২৪৭৬;#২৪৯৭; #২৪৭৯;#২৪৬৮;#২৪৬৩;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৪৯৭; #২৪৮২;#২৪৯৫;#২৪৭৪;#২৪৯৫;#২৪৭৬;#২৪৭০;#২৫০৯;#২৪৭১; #২৪৭৬;#২৪৯৪; #২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৮৬;#২৪৯৫;#২৪৬৮; #২৪৮৯;#২৪৭৬;#২৫০৩; #২৪৮৮;#২৫০৩;#২৪৬৩;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৪৯৭;#২৪৩৯; #২৪৭৯;#২৪৯৭;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮; #২৪৮৯;#২৪৭৬;#২৫০৩; #২৪৩৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫;#২৪৮৯;#২৪৯৪;#২৪৮৮;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৭০;#২৪৯৯;#২৪৮৬;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৭২; #২৪৮৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৫০৭;#২৪৬৮;#২৫০৩;#২৪০৪; #২৪৪৭;#২৪৩৯; #২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৫২৭;#২৪৯৪;#২৪৮৮; #২৪৫৮;#২৪৮২;#২৪৯৭;#২৪৫৩;।।।।।#২৪০৪;

    #২৪৮৬;#২৪৯৭;#২৪৭৭;#২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৭৮;#২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৮৮;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৩৯;#২৪৫৩;#২৫০৩;#২৪০৪;
  • Ranadipam Basu | 180.149.31.253 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:২১507202
  • #২৪৭৬;#২৪৯৭;#২৪৬১;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৭৮; #২৪৭২;#২৪৯৪; ! #২৪৮২;#২৪৯৫;#২৪৫৪;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৭৮; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৩৪;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৫২৭;, #২৪৮৯;#২৫২৭;#২৫০৩; #২৪৫৫;#২৫০৩;#২৪৮২;#২৫০৭; #২৪৫৩;#২৪৬৮;#২৪৫৩;#২৪৫৫;#২৪৯৭;#২৪৮২;#২৫০৭; #২৪৮৮;#২৪৩৪;#২৪৫৪;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৯৪; !!
    ওম্মেন্ত ইখ্‌লম বন্‌গ্‌লয় আরতে, হোয়ে গেলো কোতোক্‌গুলি সোন্‌খ্‌য় !!
  • pi | 128.231.22.133 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:২৬507204
  • আপনারা পাতার উপরে গিয়ে ইউনিকোড ভার্শন সিলেক্ট করে তাতে লিখুন, ঠিক আসবে।
  • Sushanta | 117.198.57.21 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:১১507205
  • ভালো দলিল। চালিয়ে যান।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:০৫507206
  • তন্দ্রা চাকমা ও রনদিপম বসু -র পোস্ট গুলো কি উদ্ধার করা যায়। খুব আফশোস হচ্ছে পড়ে না পারার জন্য।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:০৬507207
  • * পড়তে
  • pi | 72.83.83.28 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩৭507208
  • ওহো, কাল এখান থেকে কিছু পোস্ট উড়ে গেছে। বিপ্লবদা কিছু লিখেছিলেন :(

    ওঁদের এখানে আবার লেখার চেষ্টা করতে বলতে হবে।

    যাহোক, আপাতত ফেসবুক গ্রুপে ওঁরা যা লিখছিলেন, দিয়ে দিলাম।

  • pi | 72.83.83.28 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩৮507209
  • #
    JRKarbari পার্বত্য অঞ্চলে মুক্তি যৌদ্দার কথা আসলে কনো লেখকই পরিপূর্ণ তথ্য নিয়ে আস্তে পারেনা !অত্যন্ত সুকৌশলে ব্যক্তি বিশেষের অবদানকে কেন এড়িয়ে যাওয়া হয় আমি বুজিনা ! মানি আওয়ামেলিগ কিংবা বি এন পির মুক্তি যুদ্ধের রচনা এক নয় আবার কমিউনিস্টরা ভিন্ন ধাসে তাদের ইতিহাস তুলে ধরেন ! কিন্তু পাহারিদের মুক্তি জুদ্দের অবদান কে কনো লেখক নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গভেষনা চালাতে পেড়েছে বলে আমার মনে হয়না !এখানে অনেক লেখক রাজমাতা বিনীতা রায় যে মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক হিসাবে কাজ করেছেন তা উল্লেখ করেন নি !ক্যাপ্টেন অশোক মিত্র কারবারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি এবং রন বিক্রম ত্রিপুরাকে এই অংশে তুলে ধরা হয় নি যারা মুক্তি যুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেছেন অথচ যারা মুক্তি বাহিনিকে ঘাট পার করে দিয়ে বিড়ি সিগারেট কিনে দিয়েছিলেন তাদেরকে মুক্তি যৌদ্দা দেখানো হয়েছে !
    18hoursago·LikeUnlike·2
    #
    TandraChakmaJKKarbari100%agreed.AmichakrijibitailekhalekhiteBiplobRahmanermotosomoypaina.Tacharaamarkadhebisaldayitto.Seifakeamijummamuktijoddaderkothatuledhorteparboasakori.Apnijaderkothabolechensobarkothajani.RonoBikromdasadhinotarporrkoijonshohojoddhaniyeprothomamaderbasaiuthechilo.AmarbabatokhonNoakhalierSp.BabarkothaMongaldadarboiteacheoSorodinduBaburboiteache.
    18hoursago·LikeUnlike·1
    #
    JRKarbari কিন্তু অশোক মিত্র কারবারি কি অপরাধ করেছেন তার নাম সুকৌশলে এরিয়ে যাওয়া হয় নি ?এবং গোপাল কৃষ্ণ চাকমা যিনি ভারতীয় বাহিনীতে থেকেও মুক্তি যৌদ্দার অনেক ক্ষয় ক্ষতি থেকে বাঁচিয়েছেন !
    18hoursago·LikeUnlike·2
    #
    TandraChakmaSeserjonamarboromama.Amarmayeraponborovai.
    18hoursago·LikeUnlike·2
    #
    TandraChakmaAmiItihaserchatri, amichestakorchiprokkritoitihaslikhtejaninaparbokina.
    18hoursago·LikeUnlike·2
    #
    TandraChakmaKarbaridadaeibisoytaniyeamakesohojogitakorlevalohoto.Eitaamarkacheeknotunjuddhokhetro.Tobeapniamarmamarnamvullikhechenunarnam,'' GopalVushanChakma''..Unipanchariopujgangelakaieseonekjummakebachiyechen.
    18hoursago·LikeUnlike·2
    #
    TandraChakmaAmarronnojummavaibonderhotashowarkichuneiapnaroamarmotokichumanushthakleamarasobprotibonokotajoikorteparbo.Taietohotasaiamikokhonohotasnoi.
    18hoursago·LikeUnlike·1
    #
    JRKarbari উনি আপনার একজন নিকটতম আত্মীয় আমি জানি !শুধু পাহারী রক্ষা নয় উনি মুক্তি জৌদ্দা রক্ষা করেছিলেন! উনার নিজের মুখে শোনা উনি ফোরস নিয়ে ঠিক সময়ে না পৌছলে পাক বাহিনী খাগড়াছড়ির আলু টিলা মুক্তি বাহিণীর পুর একটা প্লাটুন উরিয়ে দিত !....

    #
    #
    BiplobRahman‎JRKarbari দাদা এবং TandraChakma দিদি, আপনাদের আগ্রহ ও বিনীত মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুব ভালো হয়, যদি একটু কষ্ট করে ওপরের লিংক পোস্টে গিয়ে মন্তব্যগুলো লিখে দিন। কারণ সেখানের লেখাপত্র স্থায়ী, ফেসবুক গ্রুপের লেখাপত্র প্রায়ই হারিয়ে যায়। অনেক শুভেচ্ছা।
    17hoursago·LikeUnlike
    #
    TandraChakmaThanksJKkarbari.
    17hoursago·LikeUnlike·1
    #
    TandraChakmaOnekjhamela.eikhanejevabeachekeoekjonpostkoredilevalohoto.
    17hoursago·LikeUnlike·2
    #
    BiplobRahman‎TandraChakma, দিদি, একটু কষ্ট করে ট্রাই করো না প্লিজ! ...ইংরেজী, বাংলা, রোমান হরফ -- যে ভাবে পারো...মতামতটি জানানো খুব জরুরি। ...
    17hoursago·LikeUnlike
    #

    TandraChakmaPostkoratabesjhamelakisobemailchai.Amichachchiamadercommentgulocopypestkorte.
    17hoursago·LikeUnlike·1
    #

    TandraChakmaPostkorechikintukichuaseni.
    17hoursago·LikeUnlike·1
    #
    TandraChakmaPleasebolokivabecopypestkorbo.Otherwisetumipostkoro.
    17hoursago·LikeUnlike·1
    #
    BiplobRahman‎TandraChakma দিদি, ওখানে প্রথমে ইউনিকোড ভার্সন (সর্ব উপরে) ঠিক করে নাও। পরে ফেসবুকে তোমার পছন্দ মতো মন্তব্যগুলো কপি-পেস্ট করো। আর না হয় ইংরেজী/ রোমানে আবার টাইপ করে মন্তব্য দিও। ...
    17hoursago·LikeUnlike
    #
    TandraChakmaporediboamibasainabaireachi.

    #
    BiplobRahman‎TandraChakma আচ্ছা দিদি, আপাতত আমিই করে দিচ্ছি। কিন্তু তুমি পরে আবার চেষ্টা করো, কেমন? আদিবাসীরা নিজেদের কথা নিজেরাই বললে কণ্ঠস্বরটি আরো উচ্চকিত হয়। শুভেচ্ছা।
    17hoursago·LikeUnlike·1

    ...MintuAnwar মুক্তিযুদ্ধের পর এ দেশটা শাসনের নামে যাদের খপ্পরে পরেছিল, তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পৌণেবারটা বাজিয়ে দিয়েছিল। এর পর বারটা বাজতে আর দেড়ি হয়নি। পরবর্তি প্রজন্ম নিশ্চই এর কারণ খুজবে প্রতিকারের জন্য। আজ যারা মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষ এবং বীর বলে গলার রগ ফুলাচ্ছেন, তারা তো ২৫ মার্চেই ভারত অভিমুখে অলিম্পিক দৌড় প্রতিযোগীতায় ব্যাস্ত ছিলেন। তারা কে কোন সেক্টরে যুদ্ধ করে ছিলেন তা তো এনারা নিজেরাও জানেন না। ভারতের নিরাপদ মাটিতে গান-নাটক-গড়ের মাঠে চিনাবাদাম চিবানো মুক্তিযোদ্ধা, আর পাকিস্তানী হানাদারদের মোকাবেলায় অস্ত্র হাতে যুদ্ধে বীর বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা'র মধ্যে মৌলিক ব্যাবধান বিদ্যমান। আনফরচুনেটলি তারাই আজ ইতিহাসের রক্ষক যদের ইতিহাস রচনায় সক্রিয় ভূমিকা নেই। আর আদিরাসী বলে মুক্তি যোদ্ধা বা শহীদদের আলাদা করার কোন মানে হয় না বলে আমি মনে করি।
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:০৬507210
  • @ রণো দা, আপাতত দু:খ প্রকাশ করা ছাড়া আর কোনো গত্যান্তর নেই। কেমনে কী? :(

    অনেক শুভেচ্ছা।

    @ সুশান্ত, মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ফেসবুক, জি+, বিভিন্ন ব্লগ ও গুরুর পাতায় আপনার পাঠ ও প্রতিক্রিয়া চণ্ডালকে সব সময়ই উৎসাহিত করে।

    আচ্ছা, আসামেও মুক্তিযুদ্ধের ঢেউ লেগেছিল।... অহমীয়া আদিবাসীরা কেউ কেউ পূর্ব বাংলার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে ট্রেনিং-ও নিয়েছিলেন বলে শোনা যায়।

    এ সর্ম্পকে এই পাতায় দু-চার কথা লিখে জানালে খুব উপকার হতো। ...

    @ কল্লোল দা, ফেসবুকে তন্দ্রা দি, রণোদাসহ কয়েকজন জানাচ্ছেন, গুরুর এই পাতায় বাংলা/ইংরেজী/রোমানে মন্তব্য করার চেষ্টা করেও তারা সফল হননি; ফ্রন্ট উলোট-পালট হয়ে কিম্ভুতাকার হয়ে যাচ্ছে। :(

    গুরুর কারিগরদের খুব দ্রুত এই ত্রুটি কাটিয়ে ওঠার অনুরোধ জানাই। একই সঙ্গে চণ্ডালের দাবি, গুরুচণ্ডালি ডটকম'কে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্লগ সাইটে পরিনত করার। অনেক ধন্যবাদ।

    @ পাই, ফেসবুকের কপি-পেস্ট পোস্টটি উড়ে যাওয়ার বিষয়টি সত্যিই খুব ভাবনার কথা। যাইহোক, আপনি নিজেই আবার কপি-পেস্ট পোস্টটি তুলে দিয়ে খুব ভালো করেছেন। আপনার কাছে চণ্ডালের ঋণ আরো খানিকটা বাড়লো বৈকি। অনেক ধন্যবাদ।
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:১৮507211
  • ফেসবুকের নিজস্ব প্রোফাইল পাতা ও ফেসবুক গ্রুপ এবং জি+ এর পেইজ 'পাহাড়ের রূদ্ধকণ্ঠ ' এ এই পাতার লিংকটি শেয়ার করার পর কয়েকটি মন্তব্য:
    ---
    OmiRahmanPial একটু ফ্রি হয়ে নিই, তার আগে পড়তে বা কমেন্ট করতে পারতেছি না।
    23hoursago·Unlike·1

    RanadipamBasu বিপ্লব দা, ওখানে গিয়ে পড়ে কমেন্ট করলাম বাংলায় অভ্রতে, হয়ে গেলো কতকগুলি সংখ্যার মিছিল !! এই কাহিনী দেখে পরে আবার অনুভূতি প্রকাশ করলাম বাংলায় ও রোমান হরফে। বাংলাগুলো হয়ে গেলো সংখ্যা আর ইংরেজি ফন্টগুলো মিলে হলো অদ্ভুত বাঙালা !! হা হা হা !!
    20hoursago·Unlike·1

    BiplobRahmanDada, yes, it'sverycritical.Thenyoucanwritethereinenglishorbanglish.:)
    20hoursago·Like

    RanadipamBasu শেষের কমেন্টে টেস্ট করার জন্য দুলাইন বাংলিশ লিখছিলাম। সেটা হয়ে গেছে অদ্ভুত বাঙালা !! ডরাইছি !! হা হা হা !!
    20hoursago·Unlike·1

    SamarMichaelSorendadaamilekhatanoteakarepublishkortecai.....
    20hoursago·Unlike·1

    BiplobRahman‎@Ranoda, AA!!
    :D@Samar, yes, youcandoit, butplsatfirstmakesomecommentsthere.Cheers!
    19hoursago·Like

    SamarMichaelSoren ঠিক আছে... আমাদের মিথু দা'র লেখা একটি গ্রন্থ আমার হাতে পেয়েছি "বীরগাথা মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের অবদান" সেখানেও প্রচুর তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে...
    19hoursago·Unlike·1

    RanadipamBasu‎@SamarMichaelSoren, বইটা কি ঢাকায় পাওয়া যায় ? গেলে কোথায় তা কি বলা যাবে ?
    19hoursago·Unlike·1

    SamarMichaelSoren প্রকাশক: নওরোজ কিতাবিস্তান, ৫ বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০
    17hoursago·Unlike·1

    SamarMichaelSoren অথবা আদিবাসী কালচারাল একাডেমীগুলোতে খোঁজ করতে পারেন...
    17hoursago·Unlike·1

    MonjurulHaque আর আদিবাসী! যেখানে আপন মায়ের পেটের চাষাভুষো ভাই বিস্মৃত হয়ে দূর সম্পর্কের জ্ঞাতি জলপাই নাম খোদাই হচ্ছে, সেখানে 'আদিবাসীরাও মুক্তিযুদ্ধ করেছে' বলার ধৃষ্ঠতা দেখায় কোন শর্মা???
    17hoursago·Unlike·2

    BiplobRahman‎@Samar, IreadtheblogofMithuda.Hedidn'twroteanythingaboutCHT, thehistoricalrollin1971.Thanks.
    7hoursago·Like

    BiplobRahman‎@Manjuvai, plstrytowritesomethingatthatlinkpost.Thanks.
    7hoursago·Like
    ---
    TareqAhmed‎@BiplobRahman.netorblogekatakhaniashchejanina.kintukajtohocche.recentlyMuktijuddheadibashinameAyubhossainerlekhaektiboydekhlam.arohoytolekhahocche,hoeche--amaderjananey.
    19hoursago·Unlike·1

    AnubhabChangmaThankusomuchdada, carryonplease
    18hoursago·Unlike·1

    BiplobRahman‎@TareqAhmedvai, @AnubhabChangmababu, somanythanksforyouropinion.Plsmakesomecommentsatthatmainlinkpostalso.Cheers!
    ---
    SubhroKBasu - মেইন্সট্রিম ইতিহাসচর্চার জগতে পরম্পরাগতভাবেই আদিবাসীরা উপেক্ষিত। ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রেও একসময় স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসীদের ভুমিকাকে এড়িয়ে যাওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে সারা পৃথিবীর ইতিহাসচর্চার ঝোঁক সামাজিক ইতিহাস রচনার দিকে - রমরমা সাব-অলটার্ন স্টাডিজের। তাই, সাঁওতাল বিদ্রোহসহ নানা আদিবাসী সংগ্রামের কথা কিন্তু গুরুত্ব পাচ্ছে এখানে এখন। তাই, বাংলাদেশের ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান সন্বন্ধে আজও এত নিস্পৃহতা কিছুটা বিস্ময়কর...

    ---

  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:২২507212
  • * ফেসবুক গ্রুপ এবং জি+ এর পেইজ 'পাহাড়ের রূদ্ধকণ্ঠ CHTVoice'
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:০০507213
  • কাঁকন বিবি: খাসিয়া মুক্তি বেটি
    ইফতেখার আমিন
    ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮
    .....................................................................................
    পাকিস্তানী মেজর তাঁকে দেখে বলেছিলেন- একেতো বাঙালী মনে হয়না, মনে হয় অন্য জাত। হ্যাঁ তিনি বাঙালী নন, তিনি খাসিয়া নারী। খাসিয়া মুক্তি বেটি হিসেবেই তিনি অধিক পরিচিত তাঁর এলাকায়। জাতিগত পরিচয়ের বাইরে তিনি নিজেকে মানুষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন মুক্তির কাতারে। অথচ এই সংগ্রামী আদিবাসী যোদ্ধার কছে পৌছাতে আমাদের সময় লেগেছে যুগের বেশী। সে সমস্যা কাঁকন বিবির নয়. সমস্যা আমাদের। অতি স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী সম্মাননা এবং আর্থিক সাহায্য তুলে দেন এই মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনার হাতে। এই বীরমাতার প্রতি বিনম্র শোদ্ধায় আজকের লেখা।

    মাতৃসূত্রীয় খাসিয়া পরিবারে জন্ম এই কাঁকনের। বর্তমানে তিনি কাঁকন বিবি হিসেবে অধিক পরিচিত এই খাসিয়া নরীর নাম কাকাত হেনইঞ্চিতা। ১৯৪৮ সালে সুনামগঞ্জের সীমান্তের কাছে নওত্রই গ্রামে এক খাসিয়া পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবার নাম নেহা ও মায়ের নাম দামেলি নেয়তা। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট কাঁকন। মায়ের গর্ভে থাকতে বাবাকে আর জন্মের দেড় মাস পরে মাকে হারান তিনি। তারপর নানীর হাত ঘুরে বড় বোনের কাছে হয় তাঁর আশ্রয়।

    তাঁর বড় বোন কাপলি নিয়তা আনসার বাহিনীতে কর্মরত এক মুসলমান কমান্ডারকে বিয়ে করেন। সেই সূত্রে বোনের সাথে কাতলবাড়ীতে কাটে কাঁকন বিবির শৈশবের বেশী আর কৈশরের একটা বড় অংশ। হঠাৎ করেই বড় বোনের উদ্যোগে ধর্মপরিবর্তন করে মুসলমান হয়ে যান কাঁকন। তখন তার নাম হয় নুরজাহান। এরপর সুনামগঞ্জে ফিরে বিয়ে করেন শহীদ উদ্দিনকে। বিয়ের পরপরই একটি ছেলে হয়ে মারা যায় কাঁকন বিবির। শুধু তাই নয় এভাবে পাঁচ পাঁচটি ছেলে মারা যাবার পর একমাত্র কন্যা সখিনা পেটে থাকা অবস্থায় তাঁর প্রথম স্বামী তাঁকে তালাক দেন। পরবর্তীতে বোনের উদ্যোগে বোগলা ক্যাম্পের সীমান্ত রক্ষী আব্দুল মজিদ খানকে বিয়ে করেন কাঁকন।

    একাত্তরের শুরুতে কাঁকন বিবির স্বামী তার দেশ পাকিস্তানকে রক্ষা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ভুলে যান স্ত্রী কাঁকনের কথা। এই অবস্থায় কাঁকন বিবি অর্থনৈতিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করেন। তখন পর্যন্ত এই যুদ্ধ এবং যুদ্ধের কারণ নিয়ে মাথা ঘামানের মতো অবস্থা তাঁর ছিলনা। তবে এই খোঁজার মধ্যে দিয়েই কাঁকন বিবি আবিস্কার করেন ভনক এক পৃথিবীতে। দেখেন শ্রেষ্ঠ জল্লাদখানা গুলোর অত্যাচার। এই ব্যাপারে তিনি বলেন- আমি খানা খোরাক লাগি তাকে তালাশ করি, যেয়ে দেখি মা বোনরে ধরিয়া ধরিয়া আনিছে, ওরা বয়স একবারেই ছুটু ছুটু। এই ছুটু ছুটু মেয়ে থাইকা ধরিয়া ধরিয়া আনিছে রাজাকাররা, শুধু আনিয়াই থুইনাই, রাইখা রাইখা তাগো ইজ্জত মারিতেছে, এইডা বলিতে অহনু শরম লাগে, মনে অহনও কেমন কেমন লাগে, কচি কচি মুকগুইলি মন টানে। স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে কাঁকন বিবি একদিন ধরা পরে পাকিস্তানীদের হাতে। রাজাকাররা তাঁকে ধর্ষণসহ নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করে। পাকিস্তানী সৈন্যরা তাঁকে টেংরা ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং মুক্তিবাহিনীর লোক হিসেবে সন্দেহ করে নির্মম অত্যাচার চালায়। লোহার শিক গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ঢুকিয়ে দিয়ে তথ্য আদায়ের চেষ্ট করে। কাঁকন বিবি বলেন যে তার স্বামী পাঞ্জাবী সৈন্য কিন্তু এখন তিনি স্বামীর কোন ঠিকানা জানেন না। এরপর পাকিস্তানীরা ওয়ালেসের মাধ্যমে খবর নিয়ে কাঁকন বিবির কথার সত্যতা খুঁজে পায়।

    এরপর তারা ভাবে তাঁর স্বামী যেহেতু পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করে তাহলে কাঁকনও তাদের পক্ষে কাজ করতে অবাধ্য হবেনা। তারা কাঁকন বিবিকে একটি কাগজ দিয়ে বলে পাকিস্তানীরা ধরলে এই কাগজ দেখাতে, কিন্তু মুক্তিবাহিনী ধরলে না দেখাতে। তারা তাঁকে ভিক্ষুক সেজে গ্রামে গ্রামে ঘুরে মুক্তিযোদ্ধাদের খবর সংগ্রহ করতে বলে। প্রথমে ভয়ে কাঁকন বিবি তাতে রাজি হয় কারণ সে বুঝতে পারে এটা না করলে তাঁকে হত্যা করা হবে।

    এরপর থেকে তাঁকে হাজিরা দিতে হতো বিভিন্ন পাকিস্তানী ক্যাম্পে। কেননা হাজিরা না দিলে তাঁর জীবনের ভয় ছিল। কিন্তু পাকিস্তানী সেনা ক্যাম্পে যাতায়াতের সুবাদে তিনি দেখেন বাঙালী নারীদের উপর ভবহ অত্যাচার, দেখেন কীভাবে বাঙালী লোকজনকে ধরে এনে অত্যাচার করছে। এরপর হঠাৎই তাঁর মত পাল্টে যায়। এতোদিনের যাপিত ভয় কোথায় যেন পালিয়ে যায়। তিনি হয়ে ওঠেন অসম্ভব সাহসী এক নারী। এরপর তিনি মুক্তিবাহিনীর কাছে এসে সব খুলে বলেন। মুক্তিবাহিনীও তাকে কাজে লাগাবার চেষ্টা করে এবং সফল হয়। তারপরই মুক্তিযোদ্ধারা দেখেন কাঁকন বিবির সব ভবহ রুপ। এরপর থেকে কাঁকন বিবি নিয়মিত ভাবে খবর সংগ্রহ করতে থাকেন মুক্তিবাহিনীর কাছে, পাকিস্তানীরা কোথায় ক্যাম্প গেড়েছে, কোথায় কখন কিভাবে আক্রমনের পরিকল্পনা করছে, এইসব। যা মুক্তিবাহিনীকে সফলতা এনে দেয়। এরপর কাঁকন বিবি চলে আসেন ৫ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলী এবং ক্যাপ্টেন হেলাল উদ্দিনের কাছে। সেখানে গিয়ে তিনি ৫নং সেক্টরের লক্ষীপুর ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য কারার সুযোগ পান। এরপর সুযোগ পেয়ে যান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাজ করার। শহীদ কোম্পানীতে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার ও অস্ত্র সরবারহ করতেন।

    আগষ্টে এই অঞ্চলে পাকিস্তানীদের প্রতিরোধের পরিকল্পনা চলছিল। মুক্তবাহিনী গভীর রাতে ব্রিজ ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং এর পুরো দায়িত্ব পড়ে কাঁকনের উপর। কাঁকন অপারেশন সফল করার জন্য কলাগাছের ভেলায় করে বোমা, অস্ত্র ও অন্যান্য রসদ বহন করে একাই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জার্ডিয়া সেতুর কাছে পৌছান। তাঁর সিগন্যাল পেয়ে অন্য কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সেখানে পৌছান। মাইন বিস্ফোরণে এই সেতু ধ্বংসের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব কাঁকন বিবির। এই এলাকার সবগুলো গেরিলা অপারেশন এ অংশ নেনে তিনি। মহব্বতপুর, কান্দাগাঁয়ের যুদ্ধ,বসরাই টেংরাটিলার যুদ্ধ, বেটিরগাঁও নুরপুরের যুদ্ধ, দোয়ারাবাজারের যুদ্ধ, টেবলাইয়ের যুদ্ধ, সিলাইর পাড়ের যুদ্ধ, পূর্ব বাংলার যুদ্ধ এই রকম ২০টির মতো যুদ্ধে তিনি সামনে থেকে অংশগ্রহন করেন। তিনি অস্ত্র চালাননি সত্যি কিন্তু গোলা বারুদ অস্ত্র বয়ে বেড়িয়েছেন। এমনকি পাকিস্তানীদের গোলাবারুদ চুরি করে পৌছে দিয়েছেন মুক্তিবাহিনীর কছে।

    নভেম্বর মাসের দিকে তিনি গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। তারপর তার উপর যে নির্মম পৈচাশিক অত্যাচার চালানো হয় তার যন্ত্রণা হয়তো ভুলে গেছেন তিনি কিন্তু সেই নির্মমতার চিহ্ন এখনো মুছে যায়নি তাঁর শরীর থেকে।

    বাংলাদের স্বাধীন হবার পর এলাকায় খাসিয়া মুক্তিবেটি নামে পরিচিত হলেও তাঁর ওপর দিয়ে বয়ে যায় অসংখ্য ঝড়। একপ্রকার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন এই অসীম সাহসী নারী। এমনকি ভাইদের কাছে গেলেও তারা তাঁকে গ্রহণ করেনি।অভীষণ লজ্জার হলেও সত্য আশ্রয়হীন এই সাহসী যোদ্ধা জীবনধারনের জন্য একসময় শুরু করেন ভিক্ষাবৃত্তি। এসময় লক্ষীপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুল করিম যে ঘরটায় হাঁস মুরগী রাখতেন সেই ঘরে তাঁর কাঁকন বিবিকে থাকতে আশ্রয় দেন।

    দৈনিক সংবাদ প্রথম মিডিয়াতে তুলে আনে এই বীর সাহসী নারীকে। তার ফলশ্র“তিতে ১৯৯৭ সালে নারী প্রগতি সংঘ তাঁকে ঢাকায় এনে সংবর্ধিত করে। বর্তমানে একমাত্র কন্যা সখিনার স্বামী আব্দুল রফিকের কাছে থাকেন কাঁকন বিবি। শেষ জীবনে যুদ্ধের বীরগাঁথার স্মৃতি, অত্যাচারের যন্ত্রণা, নির্মমতার চিহ্ন, অনেক যোগ্য সম্মান না পাওয়ার অক্ষেপ, দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত জীবন নিয়ে মৃত্যুর দিন গুনছেন আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন, আদিবাসী খাসিয়া নারী, খাসিয়া মুক্তিবেটি- কাঁকন বিবি।

    http://www.somewhereinblog.net/blog/shobdoshoily/29066020#c7399292
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ২০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:১০507215
  • মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি নেই
    মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা ইউ কে চিং মৃত!
    নওশাদ জামিল
    .....................................................................................
    বাঙালিদের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ ছিল আদিবাসীদেরও লড়াই। গবেষণা তথ্যে জানা যায়, বৃহত্তর রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অসংখ্য আদিবাসী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁদের মধ্যে দুজন পান রাষ্ট্রীয় খেতাব। তবে অধিকাংশ আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় নেই। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়েও এ বিষয়ে নেই কোনো তথ্য-উপাত্ত।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পূর্ণ তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের () কোথাও পাওয়া যায়নি আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, নাম কিংবা ছবি। আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা ইউ কে চিং বীর বিক্রম সম্পর্কে দেওয়া হয়েছে ভুল তথ্য। সাইটটির 'বীর বিক্রম' তালিকায় তাঁকে মৃত বলা হয়েছে! লেখা আছে, 'মরহুম নায়েক সুবাদার ইউ কে চিং বীর বিক্রম'।

    অন্য আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি বীর প্রতীক সম্পর্কে ওয়েবসাইটে কোনো তথ্য নেই। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম জানান, তালিকা সম্পূর্ণ নয়। এতে কিছু ভুল-ভ্রান্তি আছে। ইউ কে চিংকে মৃত বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'খুবই অন্যায় হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে এটা ঠিক করা হবে।'

    মুক্তিযুদ্ধের উপ-সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ বলেন, 'কয়েকজন আদিবাসী নেতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু অধিকাংশ আদিবাসী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। তাঁদের মধ্যে অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মাননা দেওয়া উচিত।'

    গবেষক আইয়ুব হোসেন ও চারু হকের 'মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী' শীর্ষক বইয়ে আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম পাওয়া যায়। মাঠপর্যায়ে গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে তাঁরা তালিকা প্রস্তুত করেন। বইটিতে ২৪ জন আদিবাসী মণিপুরী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও ঠিকানা রয়েছে। মণিপুরীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন ১০ জন। গারো মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আছে ১৯০ জনের নাম ও ঠিকানা। সাঁওতাল, মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, ওঁরাও, মুণ্ডা ও রাখাইন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় যথাক্রমে ৮৯, ৬৯, ১২, ২৭, ৪, ৪ ও ৭ জনের নাম-ঠিকানা রয়েছে।

    গবেষক আইয়ুব হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রাথমিকভাবে এ তালিকা করা হয়েছে। এটা পূর্ণাঙ্গ নয়। আমরা মাঠপর্যায়ে গবেষণা করে আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছি।'

    আদিবাসী নেতা সঞ্জীব দ্রং বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক আদিবাসীর ঘরবাড়িতে লুটপাট ও ধ্বংস করা হয়েছিল। অসংখ্য আদিবাসী নারী নির্যাতিত হন। কিন্তু আদিবাসীদের অসামান্য অবদান আজও সেভাবে স্বীকৃত নয়।'

    গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলেন, 'আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার এত বছর পরেও অবহেলিত ও বঞ্চিত। তাঁরা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়ও দিতে চান না। সামাজিকভাবেও তাঁরা পাননি কোনো মর্যাদা।'

    খেতাবপ্রাপ্ত দুই আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা ইউ কে চিং বীর বিক্রম ও কাঁকন বিবি ভালো নেই। অসুস্থতা তাঁদের নিত্যসঙ্গী। আর্থিক টানাপড়েন তো আছেই। টাকার অভাবে চিকিৎসা পাননি ইউ কে চিং।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউ কে চিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'পাহাড়ে-জঙ্গলে থাকি। বছরে দুইটা দিন এলে শুধু খোঁজ নেয়।' মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পরিবেশিত তথ্য শুনে তিনি হাসেন। এরপর অভিমানের সুরে বলেন, 'আমি তো মৃতের মতৈ বেঁচে আছি।

    দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২৭ মার্চ ২০১০।
    http://www.kalerkantho.com/~dailykal/?view=details&archiev=yes&arch_date=27-03-2010&type=gold&data=Loan&pub_no=117&cat_id=1&menu_id=17&news_type_id=1&index=0
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন