এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রাচীণ ভারতীয় দর্শন

    Somnath
    অন্যান্য | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | ৪৬৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • for Ranjan Roy | 59.160.210.2 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৪:৪০531807
  • Name:ranjanroyMail:Country:

    IPAddress:115.118.159.175Date:14Feb2012 -- 01:15AM

    সবাইকে বলছি :
    .... সংক্ষেপে ভারতীয় ষড়দর্শন ও তিনটে হেরেটিক দর্শন নিয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত আলুচোনা করলে হয় না?
    আসলে আমার পাশ্চাত্ত্য থেকে প্রাচ্য দর্শনে আগ্রহ বেশি।আকিন্তু আমার সীমিত পড়াশুনো তিরিশ বছরের পুরনো। আর্থিক এবং প্রপার পিয়ারগ্রুপ না পাওয়ার কারণে অ্যাদ্দিন কিছুই হয় নি।
    ভাবছি, আবার ঝালিয়ে নেবো। নতুন ব্যাখ্যা পেলে আগ্রহের সঙ্গে পড়বো।
    এখানে যে কেউ আমাকে শুধরে দিলে আমি সমৃদ্ধ হব। কোন মনান্তর হবে না। আজ ঘুমোতে যাচ্ছি, কাল সকালে একটু ন্যায়-বৈশেষিক নিয়ে যত্‌সামান্য আলোচনা শুরু করতে চাই। তারপর সাংখ্য যোগ ও পূর্বমীমাংসা। বৌদ্ধ ও বেদান্ত ইত্যাদি।
    এখানে আমার জানা অন্তত : দুজন আছেন যাঁরা এ বিষয়ে অনেক বেশি অধিকারী, বিস্তৃত ও গভীর অধ্যয়নের জোরে।
    তাঁরা হলেন শিবাংশু দে ও দীপ্তেন। জানি না ওঁদের টেনে আনতে পারবো কিনা, আসলে ভালো লাগবে।
    আর অজানা অনেকে এখাঅনে আছেন যাঁরা এই অধমের চেয়ে অনেক বেশি দখল রাখেন। চাইবো সবার সহযোগে এইটই সমৃদ্ধ হোক, যেমনটি হয়েছিল FDI নিয়ে আলোচনায়।
  • lcm | 69.236.174.254 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৪:৪৪531818
  • cut and paste from উপনিষদ
  • for Ranjan Roy | 59.160.210.2 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৫:০৩531829
  • Name:ranjanroyMail:Country:

    IPAddress:14.97.251.133Date:14Feb2012 -- 12:32PM

    সমস্ত দর্শনেরই দুটো পার্ট আছে। এক, মেটাফিজিক্স -যাতে সৃষ্টিতঙ্কÄ ও অন্যান্য দার্শনিক প্রশ্ন ও ক্যাটেগরি নিয়ে ডিসকোর্স থাকে। দুই, এপিস্টেমোলজি বা জ্ঞানতঙ্কÄ-- যাতে কোন দার্শনিক স্কুল কাক মধ্যে কাকে প্রমাণ হিসেবে মানবে। যেমন প্রত্যক্ষ ও অনুমান অধিকাংশ দার্শনিক স্কুলে কমন; কিন্তু আস্তিক ষড়দর্শন আবার আপ্তবাক্য-বেদকে প্রমাণ মানে। তিনটে হেরেটিক স্কুল ( চার্বাক, বৌদ্ধ ও জৈন)আবার বেদকে অথরিটি মানে না।

    এদিকে, মেটাফিসিক্স দেখলে ষড়দর্শনের মধ্যে সাংখ্য ও যোগ সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরকে মানে না। ন্যায়-বৈশেষিকেও ঈশ্বর উপাদান-কারণ(মেটেরিয়াল কজ) ন'ন; কিন্তু নিমিত্ত কারণ(এফিশিয়েন্ট কজ ) বটেন। পূর্ব-মীমাংসা কর্মকান্ড /উইচ ক্‌র্‌যাফটে বিশ্বাস করে , ওদের মতে দেবতা
    শব্দময়ী, আসলে শব্দের অতিরিক্ত ইন্দ্র বা অন্য কোন দেবতা নেই। সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর নেই। উত্তর-মীমাংসা বা বেদান্তদর্শন বাস্তবে একমাত্র কনসিস্টেন্টলি ঈশ্বরবাদী দর্শন। এরা মনে করেন ঈশ্বর সত্য, জগত মিথ্যা। কিন্তু এই মিথ্যা জগতের স্বরূপ নিয়ে এদের মধ্যে মতভেদ থাকায় অদ্বৈতবাদ(শংকর), বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ( রামানুজ) আর দ্বৈতবাদ(মধ্বাচার্য্য) তিনটি আলাদা স্কুল আছে। সাধারণত: অদ্বৈতবেদান্তের অনুগামীরা শৈব, আর বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ ও দ্বৈতবাদের অনুযায়ীরা বৈষ্ণব ধর্মানুবলম্বী।
    আজকে ব্যাপক হিন্দুধর্মের মধ্যে যতগুলো সম্প্রদায় আছে তাঁরা অধিকাংশই বেদান্তের বিভিন্ন ব্যাখ্যার ওপর আশ্রিত। বাকি পাঁচটি আস্তিক (অর্থাত বেদকে অথরিটি মানা দার্শনিক স্কুল)দর্শনের কোন অনুগামী নেই। যা আছে শুধু ইন্টেলেকচুয়াল কিওরিসিটি।
    এছাড়া আছেন চার্বাকপন্থী যাদের সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় নি। আর আছেন জৈন দর্শনের অহিংসার ধর্ম ও দর্শনে অনেকান্তবাদ ও স্যাদবাদ, বৌদ্ধদর্শনে আদিরূপে হীনযানে দু:খ থেকে নির্বাণের কল্পনা , কিন্তু মহাযানের মধ্যে শূন্যবাদ(নাগার্জুন) ও বিজ্ঞানবাদ ( অসঙ্গ-বসুবন্ধু)আবার অদ্বৈত বেদান্তকে প্রভাবিত করেছে কোন কোন বিন্দুতে। কিন্তু এর মধ্যে পরে ঢুকে গেল তন্ত্রের হাত ধরে বজ্রযান, যোগিনীযান হয়ে মালা জপা, ভূতপ্রেত ইত্যাদি। জৈন বৌদ্ধদর্শন কিন্তু মূলরূপে দেহের অতিরিক্ত আত্মার অস্তিত্বে বিউশ্বাস করে না। তাই তারা নিজেদের বলে অনাত্মবাদিন।

    তাহলে হাতে রৈলো কি? পেনসিল? মোটেই নয়।
    রয়েছে এইসব দার্শনিক স্কুলগুলোর মধ্যে বিতর্কের এক অত্যন্ত রিচ কনটেন্ট যুক্ত মহান পরম্পরা। এদের সবার একটি বিতর্কের সর্বমান্য পন্থা আছে।
    প্রথম যিনি বলবেন তাঁকে বলা হবে পূর্বপক্ষ, জবাব দেবেন উত্তর্পক্ষ। কিন্তু জবাব দেবার আগে ওনাকে আগে পূর্বপক্ষের বক্তব্যটি রি-স্টেট করতে হবে, অর্থাত আমি আমার বিরোধী মতকে ঠিকমত ওর মতন করে বুঝেছি কি না তা আগে বলতে হবে।
    সব মিলিয়ে যা আছে তা আজকের জেনারেশনের জন্যেও স্বাদু মননের উপাদান।
    বাকি রাত্তিরে। অন্যরা সব সময় আমাকে কন্টাডিক্ট করতে পারেন, সহযোগ দিতে পারেন, কারণ আমি ঝালিয়ে নিতে চাইছি, বুজ্‌হ্‌ট্‌ট চাইছি।
  • tatin | 122.252.251.244 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:০১531834
  • সাংখ্য বেদকে স্বীকার করে না। রাদার বেদ (বেদান্ত, শেতাশ্বেতর) সাংখ্যকে স্বীকার করে।
    যোগ (পাতঞ্জল) খুব সামান্য পড়েছি, কিন্তু তা তো ঈশ্বর (সৃষ্টিকর্তা)কে স্বীকার করে।
    আর, মক্ষলি গোশাল প্রমুখ অদৃষ্টবাদীদের প্রসংগও কেউ আলোচনা করলে ভালো লাগবে
  • ranjan roy | 115.118.230.149 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৩৫531835
  • সরি তাতিন,
    তোমার বক্তব্য ঠিক নয়। পাশ্চাত্ত্য দর্শনের বিপ্রতীপে ভারতীয় দর্শনে আস্তিক্য ও নাস্তিক্য দর্শন একদম আলাদা একটি স্পেসিফিক অর্থেই ব্যবহৃত হয়।
    এখানে আস্তিক ও নাস্তিক দর্শন মানে ঈশ্বরে বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী নয়। এখানে আস্তিক্য দর্শন মানে যারা বেদকে প্রমাণ মানে, আর নাস্তিক্য দর্শন মানে যারা বেদকে প্রমাণ মানে না।
    তাই সাংখ্য-যোগ-ন্যায়-বৈশেষিক-পূর্বমীমাংসা-উত্তর মীমাংসা(বেদান্ত) ইত্যাদি ছয়টি হল আস্তিক ষড়দর্শন; আর বেদবিরোধী তিনটে , চার্বাক-বৌদ্ধ-জৈন, হল নাস্তিক্য দর্শন।
    তাই সাংখ্যের মতন ঈশ্বরে অবিশ্বাসী বা পূর্বমীমাংসার মত সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরে অবিশ্বাসী দর্শন
    অগুলোকেও বেদকে অথরিটি মানার সুবাদে আস্তিক দর্শন বলা হয়। আবার মহাযানী বৌদ্ধ দর্শনকে( বিজ্ঞানবাদী) দেবদেবী বিশুদ্ধ চৈতন্য, জ্ঞাতা-জ্ঞেয়র অভেদ মাননেওলা হওয়া সঙ্কেÄও স্রেফ বেদবিরোধী বলে নাস্তিক দর্শন বলা হয়।
    এই জন্যেই ভগবদগীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের নামই হল "সাংখ্যযোগ'।
    আর যোগদর্শনের ঈশ্বর আদৌ বেদান্তের মত সবকিছুর আদিকারণ নয়, বা ন্যায়ের ঈশ্বরের মতন নিমিত্তকারণ( ক্যাটালিস্ট ) নয়। যোগদর্শনের উদ্দেশ্য হল চিত্তবৃত্তিনিরোধের মাধ্যমে পুরুষকে প্রকৃতির প্রভাব থেকে মুক্ত করে তাকে তার বিশুদ্ধ রূপে ফিরিয়ে আনা। এখানে সাংখ্য ও যোগে কোন বিভেদ নেই। ফারাক হল এর জন্যে সাংখ্য সম্যক জ্ঞানের মাধ্যমে এটা সম্ভব মনে করে। আর যোগদর্শন একই লক্ষ্যপ্রাপ্তির জন্যে যোগাসনের দ্বারা এটা সম্ভব মনে করে। এখানে আটটি বিকল্প পথের মধ্যে একটি হল "" ঈশ্বরপ্রণিধানাৎ বা''। এই "বা' অব্যয়ের ব্যবহারে এটি স্পষ্ট যে ঈশ্বরপ্রণিধান একমাত্র রাস্তা নয়, শ্রেষ্ঠ রাস্তাও নয়। অনেকের মধ্যে একটি।
    কারণ, যোগের ঈশ্বর "'পুরুষবিশেষ'', যার ক্লেশ-বিকৃতি ইত্যাদি নেই।
    যোগ ও সাংখ্য বেদান্তের মত একটি পুরুষের বদলে বহু পুরুষের কল্পনা করে।

    আসলে সাংখ্য সবচেয়ে প্রাচীন দর্শন। সাংখ্যের পুরুষ-প্রকৃতি তঙ্কেÄর ছায়া অনেক জায়গায় পড়েছে। এলিট ব্রাহ্মণ্যধর্মের পাশাপাশি লোকায়ত ও তন্ত্রসাধনায় এই তঙ্কÄ সামান্য রূপ বদলে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। তাই এর উল্লেখ খুব পাওয়া যায়। এমনকি বেদান্তদর্শনের মূল গ্রন্থ ব্রহ্মসূত্রের দ্বিতীয় খন্ডের প্রথম দুটো অধ্যায়, যেখানে সমস্ত বিপরীত মত খন্ডন করার প্রচেষ্টা হয়েছে, সেখানেও সাংখ্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে বলা হয়েছে "" প্রধানমল্লনিপাত''। অর্থাৎ, যেমন কোন আখড়ার সবচেয়ে বড় পালোয়ানকে হারিয়ে দিলে মনে করা হয় গোটা আখড়া পরাজয় স্বীকার করেছে। তেমনি বাদরায়ণ মনে করছিলেন যে সাংখ্যদর্শনকে তর্কে হারাতে পারলে যেন সব বিরোধী মতকে হারানো হয়ে গেল, এমনি সাংখ্যের ওজন।
    সাধে কি বিদ্যেসাগর মশাইকে সংস্কৃত কলেজের সিলেবাস রিভাইস করতে গিয়ে বলতে হয়েছিল যে সাংখ্য ও বেদান্ত- দুটৈ ভুল দর্শন। কিন্তু হিন্দুমনে এদের প্রভাব এত বেশি যে এদের কোর্স থেকে বাদ দেয়া চলবে না। কিন্তু এদের অ্যান্টিডোট হিসেবে জেমস্‌ স্টুয়ার্ট মিলের লজিক পড়াতে হবে।:))))
  • ranjan roy | 115.118.230.149 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:১৮531836
  • তাতিন,
    ভারতীয় দর্শনের স্কুলগুলো বহু হাজার বছর ধরে আগে-পিছে পাশাপাশি চলেছে। একে অপরকে জিততে-হারাতে গিয়ে প্রভাবিত করেছে, একে অন্যের থেকে নিয়েছে। তাই একই শব্দ , যেমন ঈশ্বর, আত্মা বা কার্যকারণ , পুরুষ বা প্রকৃতি বা সৃষ্টিতঙ্কÄ সব দর্শন নিজের মত করে ডিফাইন করেছে। সেটা খেয়াল না করলে মুশকিল হবে। তুমি দেখলাম যোগদর্শনে ,"সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের'' কথা বলেছ; গোটা পাতঞ্জল যোগদর্শন
    খুঁজে দেখ;-- কোথাও " সৃষ্টিকর্তা' ঈশ্বর পাবে না।

    তাই শুরুতে দু-তিনটে মূল দার্শনিক প্রশ্নে এই চিন্তাধারাগুলো কে কী অবস্থান নিয়েছে সেটা আলোচনা করলে ভালো হয়।
    যেমন ঈশ্বর ও সৃষ্টিতঙ্কÄ।
    এখানে বলে রাখতে চাই যে কোন অ্যাবস্ট্রাক্ট দর্শন চিন্তাও আকাশ থেকে পড়ে না। তুমি যতই উদ্ভট কল্পনা করতে চেষ্টা কর দেখতে পাবে যে তোমার চিন্তার বা মডেলের রূপ ইউনিক হলেও তার এলিমেন্ট গুলো সব চেনাজানা দুনিয়া থেকেই নেয়া।
    সেজন্যেই সমস্ত দার্শনিক স্কুলকেই দেখি নিজেদের দার্শনিক অবস্থান বোঝাতে তাদের সমসাময়িক সমাজের ক্র্যাফট থেকে উদাহরণ দিতে। যেমন সবচেয়ে আদি কারিগর হল কুমোর, তারপরে ছুতোর। ফলে ভারতীয় দার্শনিক বিতর্কে কুমোরের কলসী গড়ার টেকনিক বা ছুতোরের কাঠের জিনিস তৈরির বা স্যাকরার উদাহরণ হরদম দেখা যায়।

    ন্যায়-বৈশেষিকে ঈশ্বর উপাদান কারণ(মেটিরিয়াল কজ) ন'ন। কারণ তিনি আকাশ(স্পেস) বা অণু (অ্যাটম) তৈরি করতে পারেন না।সেগুলো আগে থেকেই আছে।
    ঈশ্বর হলেন নিমিত্ত- কারন( এফিশিয়েন্ট কজ বা ক্যাটালিস্ট)।
    ওনার কাজ দুটো অণু জুড়ে দ্ব্যণুক(ডায়োড) বা তিনটে দ্ব্যণুক
    জুড়ে ত্রসরেণু(ট্রায়োড) তৈরি করা। যেভাবে কুমোর চাক, মাটি, লাঠি এবং সূতো দিয়ে কলসী তৈরি করে। কিন্তু মাটি বা চাক কুমোর তৈরি করে না।
  • ranjan roy | 115.118.230.149 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:২৬531837
  • মক্‌খলি গোশাল, পুরাণ কাশ্যপ বা অজিত কেশকম্বলিনরা কোন পূর্ণাঙ্গ মেটাফিজিকস বা লজিক তৈরি করতে পারেন নি। এঁদের আদি উপনিষদের পরে , কিন্তু বৌদ্ধ ও জৈন দর্শনের উদ্ভবের সমসাময়িক ধরা হয়। এরা কেউ স্বভাববাদ( অর্থাৎ যা হচ্ছে তা বস্তুর স্বভাব থেকে হচ্ছে, আগুন বা জলের ধর্ম তার স্বভাব), কেউ নিয়তিবাদ ( যা হবার তা হবেই, মানবপ্রচেষ্টা অর্থহীন) কেউ কোন কার্যকারন সম্পর্ক খোঁজা অর্থহীন ইত্যাদি প্রচার করে গেছেন। এদের চিন্তাগুলোর কিছু উপাদান বিভিন্ন দার্শনিক স্কুলে সাঙ্গীকৃত হয়ে গেছে। ভারতীয় দার্শনিক পরম্পরায় এদের দীর্ঘকালীন স্থায়ী অবদান আছে এমন কথা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছেনা।
  • tatin | 117.197.71.26 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:৪০531838
  • রঞ্জনদা, পাতঞ্জল নিয়ে আমার পড়াশোনা খুবই লিমিটেড- ওটা ২০১২র প্রজেক্ট। কিন্তু সাংখ্য বেদকে মানছে এইটা কোথায় পেলেন?
    বিজ্ঞানভিক্ষু কিঞ্চিৎ চেষ্টা করেছিলেন মনে হয়, কিন্তু সাংখ্যকারিকা বা তার অন্যান্য ভাষ্যে কি বেদকে স্বীকার করা হয়?
  • maximin | 59.93.206.61 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৩:৩৩531839
  • শক্ত লাগছে রঞ্জন। আরেকটু ধীরে।
  • ranjan roy | 14.97.126.165 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৪:১৭531808
  • এলিমেন্টারি ওয়াটসন!
    ভারতীয় দর্শনের ওপর যেকোন বই শুরুই হয় এই ক'টি কথা দিয়ে যে এখানে ""আস্তিক'' মানে পাশ্চাত্ত্য দর্শনের মতন ""ঈশ্বরবিশ্বাসী'' নয়। আর ""নাস্তিক' মানে ঈশ্বরে অবিশ্বাসী নয়।
    ভারতীয় সন্দর্ভে আস্তিক মানে বেদবিশ্বাসী, আর নাস্তিক মানে বেদকে চ্যালেঞ্জ করা সম্প্রদায়।
    জায়গার অভাবে আমি একটা কোট করছি: রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিট্যুট অফ কালচার, কোলকাতা প্রকাশিত তিন ভল্যুমের দ্য কালচারাল হেরিটেজ অফ ইন্ডিয়া, ভল্যুম-ওয়ান, পার্ট-ফোর, পৃ ৩৮৯ থেকে।
    "" The philosophical schools of India, speaking broadly, may be grouped as Brahmanic and non- Brahmanic, the former being referred to as astika and the latter nastika.
    Astika denotes the systems which recognise the Vedas and their branches as supreme authority. It does not, as in the west, denote "theism'.
    Samkhya, for instance, is an atheistic philosophy, yet it is regarded as a Brahmnic system, since it has accepted the authority of the Vedas.''

    বলতেই পারো-- কোট করলে হবে না, সাংখ্য কোথায় বেদ মানছে দেখা দিকি!
    ঠিক কথা।
    মানছে ওদের জ্ঞানতঙ্কÄ বা এপিস্টেমোলজিতে। অর্থাৎ সাংখ্যের হিসেবে কোনগুলো প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে, সেখানে।
    ওরা প্রত্যক্ষ(perception), অনুমান(ইনফারেন্স) ছাড়াও বেদকে অথরিটি হিসেবে মানছে। এখন কথা হল ষড়দর্শন বা ছটা আলাদা দর্শন, সবাই বেদকে মানছে, এটা কেমন করে হয়!
    আসলে বৈদিক সাহিত্য বিশাল। সবাই নিজেদের দরকার মত এখান ওখান থেকে কোট করে বা একই শ্লোকের নিজের মত করে ব্যাখ্যা করে। তাই নিরীশ্বরবাদী সাংখ্য বা ঈশ্বরবাদী বেদান্ত সবাই নিজের নিজের অবস্থানের পক্ষে বেদের দোহাই দেয়।
    একেবারে মার্ক্সের হাল!
    ম্যাক্সি'র জন্যে আলাদা করে লিখছি।
  • khyaa | 59.93.204.252 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৪:৩৩531809
  • সাংখ্যের বহু প্রমানে রেফারেন্স ধরা হয়েছে শ্রুতি কে। যেমন,

    ১। আত্মা সর্ব্বপ্রকার সঙ্গবর্জ্জিত - রেফারেন্স শ্রুতি
    অসঙ্গোহয়ং পুরুষ ইতি
    ২। ক্ষণিকঙ্কÄবাদ অসত্য প্রমান করার জন্য শ্রুতির রেফারেন্স আছে।
    ৩। পুরুষের নির্গুণত্ব প্রমানের সময় বলা হয়েছে - শ্রুতিতে পুরুষের নির্গুণত্ব সিদ্ধ থাকাতে তা মিথ্যা হতে পারে না।
    ৪। ইন্দ্রিয় সকলের উৎপত্তি, বিনাশ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও শ্রুতির রেফারেন্স

    আবার এও আছে যে,
    বেদোক্ত যাগাদি কর্ম্ম দ্বারাও মোক্ষলাভ হয় না; কারণ কর্ম্ম পরিমিত এবং তদফল সকল সবই অনিত্য; সেই ফলভোগ শেষ হলে পুনরায় দু:খময় সংসারে আবৃত্তি হয়।
  • ranjan roy | 121.245.131.208 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৫:২০531810
  • একদম ঠিক।
    কাজেই আমার মনে হয় সব কিছু ঘেঁটে যাওয়ার আগে আমরা বিভিন্নদর্শনের মূল মেটাফিজিক্যাল স্ট্যান্ডপয়েন্ট গুলো, যেমন ঈশ্বর, আত্মা, মোক্ষ, সৃষ্টিতঙ্কÄ এগুলো নিয়ে কে কি বলছেন সংক্ষেপে দেখি।
    তারপর দেখা যাবে এদের নিজেদের মধ্যে পরমত খন্ডন বিতর্কগুলো, অবশ্যই খুব সংক্ষেপে।
  • ranjan roy | 121.245.131.208 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৫:২৪531811
  • দেখলে তাতিন?
    খ্যেয় চমৎকার ভাবে দেখিয়েছেন যে বৌদ্ধদর্শনের ক্ষণিকত্ববাদ বা অন্য অনেক প্রশ্নে সাংখ্য সোজা বেদ কোট করে বলছে --ব্যস্‌, বেদ এই বলছে, এটাই যথেষ্ট, কোন কথা হবে না! অর্থাৎ বেদ স্বত:প্রমাণ, এর জন্যে আলাদা মানে বইয়ের দরকার নেই।:)))
  • tatin | 117.197.75.21 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:১৭531812
  • এইটা কোন প্রমাণে, কার বই থেকে খ্য দিলেন?
    স্পেশ্যালি শ্রুতি থেকে পুরুষের নির্গূণত্ব প্রমাণ করার দরকার সাংখ্যের কেন পড়ছে বুঝছিনা।
    এগুলো কি ঈশ্বরকৃষ্ণের সাংখ্যকারিকায়? না গীতা বা অন্যান্য টীকা থেকে, যেখানে মূলগত ভাবে আস্তিকরা সাংখ্য ব্যাখ্যা করছেন?

    লাস্ট লাইনটা তো বেদকে অভ্রান্ত বলছে এরকম না
  • maximin | 59.93.202.212 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১২:৪৩531813
  • ইয়েওয়ালা টই হাম ফলো করেগা।
  • siki | 155.136.80.81 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১২:৪৬531814
  • অ্যাতোদিন কাঁহাপর থে?
  • ranjan roy | 115.118.228.122 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৪:০৮531815
  • তাতিন,
    আমার কাছে ভিলাইয়ে কোন মূল বই নেই। ফলে তুমি যা চাইছ তা খ্যে দিতে পারবেন। আপাতত: আমি আর একজন প্রবাদপ্রতিম অধ্যাপক ড: সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের( ন হন্যতের মৈত্রেয়ী দেবীর পিতৃদেব) A History of Indian Philosophy,Vol-1,p-67 থেকে কোট করছি।
    '' The Hindus classify the systems of philosophy into two classes, namely, the nastika and the astika. The nastika are those which neither regards the Vedas as infallible nor try to establish their own validity on their authority. These are principally three in number, the Buddhist, Jaina and the Carvaka. The Astk -mat or orthodox schools are six in number, Samkhya, Yoga, Vedanta, Mimamsa, Nyaya and Vaisesika, generally known as the six systems(saddarshana).

  • paapaai | 111.93.163.126 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৪:২২531816
  • বৈশেষিক অর মীমাংসা স্কুলের ভগবান ভাবনাটি কেমন?
  • ranjan roy | 14.97.124.6 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:৫২531817
  • কদিন এনজিও কাজে বাইরে ছিলাম।
    ন্যায়-বৈশেষিকে ঈশ্বর:
    প্রথমে বলি যে দুটোর মেটাফিজিক্যাল পার্ট একই। বৈশেষিক জোর দিয়েছে বৈশিষ্ট্য বা পার্টিকুলারিটি দিয়ে পদার্থের ক্লাসিফিকেশন করতে( খানিকটা প্রাচীন অ্যালকেমিস্টের মত কি?)।
    ওর মতে ক্ষুদ্রতম বস্তু কণা হল অণু, দুটো অণু মিলে হয়
    দ্ব্যণুক(diode), দুটো দ্ব্যণুক মিলে হয় ত্র্যসরেণু(triode)। সেগুলোর সংখ্যা মিলে ক্রমশ: স্থুল থেকে স্থুলতর বস্তুজগত উৎপন্ন হয়। এই হল গোদা বাংলায় বৈশেষিকের অ্যাটমিজম।
    এখানে ঈশ্বর কোথায় আচেন? আছেন ক্যাটালিস্ট বা নিমিত্তকারণ হিসেবে(efficient cause)
    অর্থাৎ বেদান্তে ঈশ্বর যেমন আদি-অন্ত সমস্ত কারণ(উপাদান বা নিমিত্ত) এখানে ওনার ভূমিকা খুবই সীমিত। কারণ, আকাশ(স্পেস) বা অণু( অ্যাটম) উনি বানান নি। ওগুলো ওনার মতই শুরু থেকে আছে(axiomatic)। উনি শুধু দুটো অণু
    জুড়ে দ্ব্যণুক, দুটো দ্ব্যণুক জুড়ে ত্র্যসরেণু এবং সেগুলো নানা কম্বিনেশনে জুড়ে এই যে বিশ্বজগতের নির্মাণ তাতে ওই জোড়ার কাজটুকু করেছেন।
    এবার একটা ব্যাপার দেখুন। বৈশেষিক তো এটা করল। ন্যায় ব্যস্ত রইল একটি সম্পূর্ণ জ্ঞানতঙ্কÄ ( এপিস্টেমোলজি)নির্মাণের কাজে। সেটার প্রথম স্টেপ হিসেবে কনস্ট্রাক্ট করা হল অ্যারিস্টটলীয় ত্রিপদী সিলজিসমের জায়গায় ফাইভস্টেপ সিলজিসম, যাতে বাস্তব জীবন থেকে উদাহরণের মূল্য
    অপরিসীম।
    ধরুন, আপনি বল্লেন যে যেখানে ধোঁয়া, সেখানেই আগুন, উদাহরণ দিলেন যেমন রান্নাঘরে। তখন আমি যদি সর্বস্বীকৃত মাত্র একটি উদাহরণ দেখাতে পারি যেখানে ধোঁয়া থাকলেও আগুন থাকে না তাহলে আপনার আর্গুমেন্ট বাতিল। কারণ এখানে লিঙ্গ( ধোঁয়া) আর লিঙ্গীর( আগুন) সহাবস্থান ব্যতিক্রমবিহীন বা ইউনিভার্সাল হল না। এটাকে বলা হবে অবাপ্য( নন- ইউনিভার্সালিটি) দোষ।
    এভবেই ন্যায়-বৈশেষিকের দল ঈশ্বরের ব্যাপারটা বোঝাতে গিয়ে উদাহরণ দেন মানবসভ্যতার আদি কারিগর কুমোরদের উৎপাদন পদ্ধতির। ওনারা বলেন কুমোর মাটির তাল, চাক, সূতো, লাঠি দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মৃৎপাত্র গড়ে বটে, কিন্তু
    কুমোর মাটির তাল, চাক, লাঠি , সূতো কিছুই তৈরি করে না। ওগুলো অলরেডি গিভেন ফ্যাক্টর। তেমনি ঈশ্বর আকাশ, অণু ইত্যাদির সৃষ্টিকর্তা নন, ওগুলো নিয়ে জুড়ে বিশ্বব্রহ্মান্ড বানান মাত্র।
    এর ফলে ন্যায়ের ঋষি গৌতমকে ব্যঙ্গ করে বলা হত অক্ষপাদ, অর্থাৎ যার চোখ পায়ের দিকে।( আকাশের দিকে নয়? এ কেমন দার্শনিক:))))। আর বৈশেষিকের ঋষি
    উলুক(পেঁচা?) নাম পেলেন কণাদ।ধুলিকণার কারবারি। ভারতে অ্যাটমিজমের জনকের যোগ্য টাইটেলই বটে!
    তবে পরবর্তী ন্যায়ের সময় অনেক বড় লজিসিয়ান এসেছিলেন-উদয়নাচার্য্য।
    উনি লজিকের ফ্যালাসি ইত্যাদির ওপর ভালো কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে ন্যায় দর্শনে ঈশ্বরবাদের জায়গা অনেক বাড়িয়ে দেন। তবে উনি ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ হিসেবে যে দশটি তর্ক দিয়েছিলেন সেগুলোর অধিকাংশই আজ গ্রাহ্য হবে না।
    যেমন আকাশের গায়ে যে তারার দল সেঁটে আছে আলগা হয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে না তা ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ!!!
    মীমাংসায় ঈশ্বর নিয়ে কাল সকালে।

  • ranjan roy | 14.97.119.221 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:৫৫531819
  • পাপাই,
    মীমাংসা দর্শনের ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং। পূর্ব-মীমাংসা ও উত্তর- মীমাংসা। বেদকে প্রমাণ মাননেওয়ালা এই দুটো দার্শনিক স্কুলকে পাশাপাশি দেখা যাক।
    একই বেদের জৈমিনী সূত্র জন্ম দিয়েছে পূর্ব-মীমাংসা বা মীমাংসা দর্শনের। আর বাদরায়ণ সূত্র জন্ম দিয়েছে উত্তর-মীমাংসা বা বেদান্তদর্শনের।
    আজকের ধার্মিক হিন্দুরা দুটোকে খুব সহজে বেদের ক্রমশ: কর্মকান্ডের ব্যাখ্যা এবং জ্ঞানকান্ডের ব্যাখ্যা বলে চালিয়ে দেন। কিন্তু ব্যাপারটা অত সরল আদৌ নয়।
    প্রথম পাঠে মনে হবে বেদান্ত জোর দিয়েছে বেদের উপনিষদের জ্ঞানমার্গীয় প্রশ্ন গুলো নিয়ে আর মীমাংসা জোর দিয়েছে যজুর্বেদ ও অথর্ববেদের আচার-অনুষ্ঠান, তুকতাক ইত্যাদি কর্মকান্ডের ওপর। তাহলে তো ঠিকই বলা হয়।
    কিন্তু দুই দর্শনেরই আলাদা স্পষ্ট সৃষ্টিতঙ্কÄ আছে যে!
    একটু বিস্তারিত বলি।
    বেদান্তমতে ব্রহ্মান্ড বহুবার ধ্বংস হয়ে আবার কল্পকালে পরমেশ্বরের প্রণব মন্ত্র উচ্চারনে সৃষ্ট হয়।
    কেন? কারণ উনি মনে করিলেন -একোহং বহুস্যাম্‌। ছিলেম একা, হব বহু।
    কেন? বাদরায়ণ মনে করেন এটা ঈশ্বরের লীলা, এর কোন কেন নেই।
    [ ডি: শংকরাচার্য্যের অদ্বৈত বেদান্ত বা মায়াবাদের সাবজেক্টিভ ভাববাদ অনেক পরের ব্যাখ্যা, এই প্রসংগে সেই আলোচনা অপ্রাসংগিক।]
    বেদ সত্য। কেন? কারণ, বেদ অপৌরুষেয়। ওটাকে কোনো মাঈকা লাল পুরুষ উচ্চারণ করে এঁটো করতে পারেনি।
    সমগ্র বেদমন্ত্র ঈশ্বরের মুখ দিয়ে বেরিয়েছে, কোন মানবকের মুখ দিয়ে নয়। সেকি? তাহলে প্রত্যেক সূক্তের আগে যে কবি ঋষিদের নাম দেয়া আছে, তাঁরা কারা? তাঁরা কি বেদের কবিতাগুলোর রচনাকার ন'ন?
    -- না,- বৈদান্তিকের স্পষ্ট উত্তর। ঋষিরা বেদমন্ত্রের রচয়িতা নন। তাঁরা দ্রষ্টা মাত্র। বেদ এদের অনেক আগেই ঈশ্বর সৃষ্ট, এঁরা পরে জন্ম নিয়েছেন। এঁরা বিভিন্ন সময়ে আলাদা করে একেকটি সূক্ত কে ঈশ্বরকৃপায় দেখতে পেয়েছেন, তাই এঁদের নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে।
    এবার এইসব ভাইটাল প্রশ্নে মীমাংসা দর্শনের স্ট্যান্ড কি দেখা যাক।
  • dd | 122.167.34.146 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:১৪531820
  • আমার লেখার কথা নয় এই টইতে, তাও ও এট্টু দাগ কেটে দি। সেই যে ঋষি ছিলেন (কেউ খুব চাইলে নামটা লিখে দেবো, কালকে, এখন খ্যাল হচ্ছে না)যে বেদ হচ্ছে অপৌরেষেয়, কেনো খামোখা কল্প,নিরুক্ত ইত্যাদি বেদান্ত দিয়ে স্ত্রোত্রদের "মানে" খুঁজবার চেষ্টা চলছে?

    কোনো দরকার নেই। এ গুলি ভগবানের মুখ নি:সৃত বাণী। শুধু ঠিক ঠাক উচ্চারণই যথেষ্ট,তাতেই মোক্ষ হবে। মানে বুঝবার কোনো প্রয়োজন নেই।

    ঠাকুর এই এগজাম্পল দিয়ে বলেছেন "পোদোরে, নিজের যুক্তি বুদ্ধি বিসর্জনের ব্ল্যাংক চেকটা বুঝলি? অনুধাবন কল্লি? হৃদয়ঙ্গম হোলো তো?"
    পোদো ফিসফিসিয়ে কইলো "সে আপনি য্যামোন বলেন স্যার।"

  • ranjan roy | 14.97.119.221 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:১৯531821
  • যাগযজ্ঞ নিয়ে মেতে থাকা মীমাংসা কী বলছে দেখা যাক।
    মীমাংসা মতে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ড কখনই একসাথে ডিম ভেঙে যাওয়ার মত ধ্বংস হয় না, আবার হাঁসের ডিম পাড়ার মত সৃষ্ট হয় না। তাহলে কী হয়?
    সবসময় গোটা ব্রহ্মান্ডের কোন না কোন অংশ ক্ষয় হছে, আবার কোন না কোন অংশ জন্মাচ্ছে। কাজেই প্রলয়কালে গোটা সৃষ্টি ধ্বংসের কল্পনা ভূল। তাই সৃষ্টিকর্তা কোন ঈশ্বর নেই, ওটা ক¾ট্রাডিক্‌শন-ইন-টার্মস্‌।
    তাহলে বেদ? অপৌরুষেয় নয়। কে বলেছে ? অবশ্যই
    অপৌরুষেয়। এজন্যে নয় যে ওটা ঈশ্বরের মুখ: নিসৃত বাণী বলে, এজন্যে যে ওটা বিশ্বব্রহ্মান্ডের সঙ্গে শুরু থেকেই অনন্তকাল ধরে আছে, সহাবস্থান করছে।
    তো এমন বাপ-মা ছাড়া বেদকে মানবো কেন?
    মানতে হবে কারণ বেদ সত্যি। কারণ, বেদে যে সব আচার-
    অনুষ্ঠান বলা আছে সেগুলো ঠিক ঠাক ভাবে নিয়ম মেনে করলে ফল প্রাপ্তি হয়। যেমন পুত্রেষ্টি-যজ্ঞ করলে পুত্রলাভ হয়। ওটা মন্ত্রের গুণ, এখানে ভগবানের কোন রোল নেই।
    কিন্তু অনেকসময় দেখা গেছে যে পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করেও ফল পাওয়া যায় নি, তাহলে?
    -অনুষ্ঠান বিধিবৎ নিয়ম মেনে হয় নি। কোথাও ত্রুটি হয়েছে , তাতে বেদ মিথ্যে হয় না।
    -- ব্যাপারটা কি রকম?
    -- দেখ, শুধু মন্ত্রপড়া নয়, স্ত্রী-সমাগম এবং যজ্ঞ করা,--- সবটা মিলে একটি কমপ্লিট রিচুয়াল, একটি সাইকল্‌। এর মধ্যে কোনটাই অপূর্ণ থাকলে চলবে না। তুমি ঠিকমত পত্নীসমাগম করলে না, খালি অং-বং করলে, অথবা, খালি পত্নীতেই মজে রইলে , শুদ্ধ উচ্চারণে মন্ত্র পড়লে না,-- তাতেও ফলপ্রাপ্তি হবে না।
  • ranjan roy | 14.97.119.221 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:৫৪531822
  • ডিডিকে:
    মাছ চার ঠোকরালো কি?:))))))))
    আবার মীমাংসা:
    সব তো বুঝলাম। কিন্তু বেদের অধিকাংশ স্তোত্র তো কোন -না-কোন দেবতার উদ্দেশ্যে বন্দনা, তাঁর প্রীতি, বর লাভের চেষ্টা। এমনকি যাগযজ্ঞের মন্ত্রগুলো পর্য্যন্ত, খামোকা ভগবান নেই বল্লেই হবে? ( জ্বরব্যাধি, অক্ষ এইসব অপবাদকে বাদ দিলেও)।
    --- উঁহু! বেদের মন্ত্রে দেবতা হলেন শব্দময়ী। অর্থাৎ শুধু শব্দটা, সেটার সঠিক উচ্চারণই বেদের অভিপ্রেত। কারণ ওই শব্দের আছে ম্যাজিক্যাল পাওয়ার। ওই নামের পেছনে কোন ডিভাইন পুরুষকে পাদ্য-অর্ঘ্য দেয়া হছে না। কোন দেবতাকে পূজো দেয়া হচ্ছে না।
    -- এটা কেমন কথা হল? একটি স্তোত্রে আমি ইন্দ্রদেবতাকে
    খুশিকরার জন্যে প্রার্থনা করলাম। তিনি খুশি হবেন, তবে তো বৃষ্টি নামবে।
    -- মোটেই না।মন্ত্রটা ঠিক মত উচ্চারণ করলেই বৃষ্টি নামবে, কোন অদৃশ্য দেবতা খুশি হলে নয়। বুঝিয়ে বলছি। দেখ, যদি ইন্দ্র বলে কোন দেবতা থাকতো, তাহলে সে তার গাদাগুচ্ছের নামগুলোর কোন একটা, যেমন পুরন্দর, শক্র, দেবরাজ ইত্যাদি কোন একটা ধরে ডাকলেই সাড়া দিত। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন
    অনুষ্ঠানে ওনার যে নাম মন্ত্রে লেখা আছে শুধু সেই নামে ডাকলেই ফল [পাওয়া যাবে, যে কোন নামে ডাকলে নয়। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে কোন দেবতা নয়, শব্দটির ম্যাজিক্যাল পাওয়ারই অভীষ্ট ফল দিচ্ছে।
    এই হল মীমাংসকমত।
    এদের গীতায়, রামায়ণে বেদবাদিন্‌ বলে গাল দেয়া হয়েছে, এঁরা খালি বেদমন্ত্রের শব্দের খোসাটুকু আঁকড়ে আছেন বলে বলা হয়েছে। কিন্তু আমার মত হরিদাসপালের ওনাদের সমগ্র
    বিশ্বব্রহ্মান্ড একসঙ্গে না-সৃষ্ট-না-ধ্বংস হয়, সর্বদা কোন অংশ ক্ষয় হচ্ছে, কোন নতুন অংশ জন্ম নিচ্ছে,-- এই আইডিয়াটাই হেব্বি লেগেছে। খানিকটা টিস্যুর মত কি?:))

    আরো আছে:
    -যদি বল দেবতা কিছু নেই, শব্দমাত্র, তাহলে ভোগ চড়ালে কে খেয়ে যায়?
    -- কেউ খায় না।
    -- তাই বুঝি? তাহলে ভোগ দেয়ার কিছু সময় পরে বা পরের দিন আমরা ভোগসামগ্রীর মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাই কেন?
    --- ওটা সময় ও জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষয় বা বিকৃতিপ্রাপ্ত হয়, কেউ খায়-টায় না।
    বেদান্তের ডাকসাইটে দার্শনিক হলেন শংকরাচার্য্য; নম্বুদ্রি ব্রাহ্মণ। সিপিএমের প্রয়াত নাম্বুদ্রিপাদও একই পরম্পরার।
    তেমনি মীমাংসকদের সবচেয়ে জাঁদরেল দার্শনিক হলেন
    কুমারিল ভট্ট, যাঁর থেকে মীমাংসা দর্শনের ভাট্ট মত ব্যাখ্যা প্রচলিত হয়েছে।
    উনি একটি টীকাগ্রন্থে ( তঙ্কÄদীপিকা না তঙ্কÄবার্তিক?) বলেছেন যে চোখবুঁজে ইন্দ্রিয়ের দ্বার বন্ধ করে ধ্যানে বসে জ্ঞানলাভের চেষ্টা বন্ধ্যানারীর সঙ্গে সঙ্গম করে সন্তানপ্রাপ্তির আশা করার মতন আত্মপ্রবঞ্চনা মাত্র!

    ডি: তিরিশবছর আগে সামান্য পড়ে যতটুকু বুঝেছিলাম, উগরে দিলাম। এর মধ্যে অনেক ফাঁকি, অক্ষমতা থাকতেই পারে। জীবনের শেষভাগে এসে ইচ্ছে অপূর্ণতাকে শুধরে নেবার। কেউ শুধরে দিলে ভালো লাগবে।
    আসলে ভারতীয় দর্শনের বিভিন্নস্কুলগুলোর আন্তরিক বিতর্ক আমার খুব ইন্টারেস্টিং লাগে, টইপত্তরের মতই:))))।
  • paapaai | 111.93.163.126 | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৪:৪৭531823
  • দারুন লাগছে এই টৈটা।রঞ্জনবাবুকে অনেক ধন্যবাদ।এই নিয়ে লিখুন।
    ন্যায় ও বৈশেষিক স্কুলের ঈশ্বর ভাবনা মধ্যে বেসিক পর্থক্য টা ঠিক পরিষ্কার হল না।এরা কি পরে মিশে গিয়ে একটি স্কুল হয়ে গিয়েছিলো?

  • PM | 86.96.228.84 | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৫:৫৬531824
  • আমিও এই টইটা মনোযোগ সহকারে ফলো করছি
  • ranjan roy | 14.97.241.234 | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:৪৮531825
  • পাপাই,
    ন্যায়-বৈশেষিক সম্প্রদায়:
    হ্যাঁ, যেমন সাংখ্য ও যোগের মূলদর্শন সাংখ্যের প্রকৃতি-পুরুষ তঙ্কÄ ( বা তার থেকে উদ্ভুত চতুর্বিংশতি/পঞ্চবিংশতি তঙ্কÄ); যোগদর্শনের আলাদা করে কোন মৌলিক দর্শন নেই। যোগদর্শন জোর দেয় অষ্টাংগ যোগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্তবৃত্তিনিরোধ করে পুরুষকে প্রকৃতির বাঁধন থেকে মুক্ত করে তার শুদ্ধ রূপে নিয়ে আসতে। তবে সাংখ্য দর্শনে প্রমাণের অভাবে ঈশ্বর অসিদ্ধ; কিন্তু যোগদর্শনে ঈশ্বর এসেছেন একটি বিশেষ পুরুষ হিসেবে, যে পুরুষ ক্লেশ-দু:খ-বিকৃতি রহিত।
    খেয়াল করা দরকার বেদান্তের বিপরীতে সাংখ্য ও যোগ দর্শনে আত্মা(পুরুষ) একটি নয়, অনেক।
    তেমনি ন্যায় ও বৈশেষিক মিলে একটিই দার্শনিক স্কুল ধরে নিয়ে ভারতীয় দর্শনে আলোচনা করা হয়, কারণ মূল মেটাফিজিক্যাল সমস্ত প্রশ্নে ওদের একই স্ট্যান্ড।
    তা হল আকাশ, অণু-পরমাণু ইত্যাদি বেদের মতই নিত্য। ঈশ্বরও নিত্য। কিন্তু ঈশ্বর অণু-পরমাণু-বা বেদের সৃষ্টিকর্তা ন'ন( বেদান্তের বিপরীত)। উনি উপাদান কারণ না হয়ে নিমিত্ত কারণ( ক্যাটালিস্ট) মাত্র।
    এখানে কণাদের বৈশেষিক দর্শন বিশেষ আলোচনা করে বস্তুর ক্লাসিফিকেশন অণু-পরমাণু ইত্যাদি নিয়ে। আর ন্যায় দর্শন আলোচনা করে সিস্টেম অফ লজিক নিয়ে,যাকে মহর্ষি গৌতম বলছেন "" আণ্বীক্ষিকী''বিদ্যা( অ্যানালিটিক্যাল সায়েন্স)।
  • ranjan roy | 14.97.241.234 | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০৬531826
  • এখন সব প্রশ্নেই ন্যায় ও বৈশেষিক আলাদা করে বক্তব্য রাখলেও সেগুলো একে অন্যের পরিপূরক, বিরোধী নয়।
    একটি উদাহরণ দিই:
    কেন কোন বিশেষ শাস্ত্র বা বিদ্যা আমাদের পড়তে হবে? না পড়লে কি ঘোড়ার ডিম হবে?
    এ বিষয়ে আমার ফেবারিট মীমাংসাচার্য কুমারিল ভট্ট বলেছেন--
    "" সর্বস্যৈব হি শাস্ত্রস্য কর্মণো বাপি কস্যচিৎ।
    যাবৎ প্রয়োজনং নোক্তং তাবৎ তৎ কেন গৃহ্যতে?''
    শ্লোকবার্তিক, দ্বাদশ শ্লোক।
    অর্থাৎ, সমস্ত শাস্ত্রেরই এবং যে কোন কর্মেরই যে পর্য্যন্ত প্রয়োজন জানানো হয় না, সে পর্য্যন্ত সেটা কেউ গ্রহণ করতে চায় না।
    এরপর উনি সপ্তদশ শ্লোকে বলছেন -- তাই কোন শাস্ত্রের শুরুতেই সেই শাস্তের প্রয়োজন ও তার সঙ্গে সেই শাস্ত্রের সম্বন্ধ ও প্রতিপাদ্য বিষয় আগে ভাগেই বলে নিতে হবে।
    সেই ট্র্যাডিশন ধরে মহর্ষি গৌতম ন্যায়দর্শনের প্রথম সূত্র বলছেন:
    "" প্রমাণ-প্রমেয়-সংশয়- প্রয়োজন-দৃষ্টান্ত-সিদ্ধান্তা-বয়ব-তর্ক-নির্ণয়-বাদ-জল্প-বিতন্ডা-হেত্বাভাস-চ্ছল-জাতি-নিগ্রহস্থানানাং তঙ্কÄ-জ্ঞানান্নি:শ্রেয়সাধিগম:।'
    এইবার ইন্টারেস্টিং পার্টটা দেখুন।
    পুরো শ্লোকটাই লজিকের বিভিন্ন টারমস্‌। বলা হচ্ছে যে প্রমাণ-প্রমেয়-তর্ক-নির্ণয় ইত্যাদি ষোলরকমের পদার্থের ব্যাপারে তঙ্কÄজ্ঞান লাভ করলে শেষে "নি:শ্রেয়স'' বা মুক্তি পাওয়া যাবে। এটাই ন্যায়দর্শনের লক্ষ্য। ঈশ্বরপ্রাপ্তি নয়।
  • ranjan roy | 14.97.211.160 | ০১ মার্চ ২০১২ ০৭:৩৮531827
  • গৌতম দ্বিতীয় সূত্রে বলেছেন:
    দু:খ-জন্ম-প্রবৃত্তি-দোষ-মিথ্যাজ্ঞানানা-
    মুত্তরোত্তরাপায়ে তদনন্তরাপায়াদর্পবর্গ:।।
    অর্থাৎ প্রমাণ-প্রমেয়-তর্ক-সিদ্ধান্ত ইত্যাদির ব্যাপারে তঙ্কÄজ্ঞান এবং দু:খ-জন্ম-প্রবৃত্তি ইত্যাদি প্রমেয় বিষয়ের ব্যাপারে মিথ্যাজ্ঞানের নিবৃত্তি-- এগুলো মিলেই অপবর্গ লাভ হবে, এটাই এই শাস্ত্রের মুখ্য প্রয়োজন।
    এখন "নি:শ্রেয়স'' এবং "অপবর্গ' বলতে গৌতম কি বুঝিয়েছেন তা নিয়ে মতভেদ আছে।
    কারণ, পরবর্তীকালে ষড়দর্শনের মধ্যে কেবল বেদান্তের
    অনুগামীরাই টিঁকে ছিলেন। তাই পরবর্তী কালে যাঁরাই অন্যদর্শনের ব্যাখ্যা করেছেন , চেষ্টা করেছেন তাতে বেদান্তদর্শনের কনসেপ্টকে ঢুকিয়ে দেয়ার।
    ঠিক যেমন ভক্তকবি জয়দেব দশাবতার স্তোত্রে বুদ্ধ, রাম, কল্কি সবাইকে বিষ্ণুরই কোন-না-কোন অবতার বলে দেখাতে চেষ্টা করেছেন !
    বিজ্ঞানভিক্ষুর মত বেদান্তীরা চেষ্টা করেছেন নি:শ্রেয়স অর্থে কেবল মুক্তি বোঝাতে। কিন্তু নৈয়ায়িকরা দৃঢ়নিশ্চয় যে মহর্ষি
    গৌতম শুধু আধ্যাত্মিক ''মুক্তি'' নয়, সবরকমের মিথ্যাজ্ঞানের থেকে মুক্তির কথা বলেছেন।
    বাৎস্যান ন্যায়শাস্ত্রকে সর্ব বিদ্যার প্রদীপ, সর্ব কর্মের উপায় ও সর্ব ধর্মের আশ্রয় বলেছেন। কারণ, ন্যায়-শাস্ত্রের সাহায্য ছাড়া বিচার করে কোন শাস্ত্রার্থ বোঝা যায় না।
    [ এদিকে ঠাকুর বলছেন -- আর বিচার করবে? বলছেন, আমার সব বিচার ভুলিয়ে দে মা। বলছেন, কলিতে নারদীয় ভক্তি একমাত্র পথ। কি গেরো!]
    গৌতম বলছেন-- সমস্ত দু:খের আত্যন্তিক নিবৃত্তিই অপবর্গ। ১/১/২২
    এবার কণাদ বলছেন:
    জীবের ধর্ম ও অধর্মরূপ সমস্ত অদৃষ্টের অভাব এবং পুনর্বার অন্য শরীরাদির অনুৎপত্তি হল মুক্তি। ৫/২/১৮।।
    এনিয়ে পরে বিস্তারিত বলছি।
  • paapaai | 111.93.163.126 | ০৪ মার্চ ২০১২ ১৪:৩৪531828
  • ভাবতেও ভালোলাগে যে আজ থেকে অত বছর আগে এই সব জ্ঞানচর্চায় এই ভুমি ঋদ্ধ ছিলো।আজ কী পরিমান কূপমণ্ডুকতায় আচ্ছন্ন এই সমজ।হয় ব্যক্তি কুৎঅসা নয় পলিটিক্স।কিছুকাল আগে অরিন্দম চক্রবর্তীর "মঞ্জুশ্রীর তরবারি" নামে একটা প্রবন্ধ পড়েছিলাম।তাতা একটা বৌদ্ধ পাঠশালার গল্প থেকে লেখক পৌছে দিয়েছিলেন নাগার্জুণের শূন্যতাবাদে।সমস্ত যুক্তি তর্ক পার করে উটিয়েছিলেন "সহস্রদল জ্ঞানের পদ্ম'।
  • Ram Sankar | 125.187.58.254 | ২১ নভেম্বর ২০১৩ ১৩:১৪531830
  • নতুন ঢুকেছি। প্রথমেই এই আলোচনার দিকে চোখ গেল। সুন্দর লেখা হচ্ছিল, কিন্তু হটাৎ আলোচনা শেষ দেখছি। চললে ভাল লাগত।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন