এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রবিবাবুর জন্মদিনে

    পাই
    অন্যান্য | ০৮ মে ২০১২ | ১৫৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • একক | 24.99.15.243 | ০৮ মে ২০১২ ০৫:০৫547026
  • রোবিবাবু ,

    জন্মদিনের প্রাণভরা আলিঙ্গন নেবেন . কলের বরফ আর হুইস্কি নিয়ে বসে পড়লেন, এখনো তো মধ্যযাম পেরোয়নি ! বাবামশাই দেখলে বড় কষ্ট পেতেন . অবু আসেনি এখনো ? এসে পর্বে . আর আপনার বলিহারি যাই মশাই ! ওই বিধু ভট-টাকে জুটিয়েছেন . ব্যাটা টুলো পণ্ডিত খালি বাবামশাই এর আমলের কথা কয় আর বিহারীলাল আওড়ায় . এন্ড্রুজ খাসা ছোকরা. পেন্টুলুন ছেড়ে ধুতি পরে যেন নদের নিমাই টি ! আজব চিরিয়াখানা আপনার এই বোলপুরের ইস্কুল টা . তাতা এসিচিলো শুনলাম দুদিন আগে? ছোঁড়া এখন থেকেই মন্ডা কেলাব খুলে ইআর-বক্সী নিয়ে ফুত্তি করে আর কিসব হিজিবিজি পদ্য ছাপায় .

    কী বল্লেন ? এটা ইস্কুল নয় , শান্তিনিকেতন ! বেশ , শান্তি হোক আপনার . বৌঠানের সেই রুমাল টা কী শেষ অবধি আপনি ঝেঁপে দিছিলেন ?? এখনো সঙ্গে থাকে ? শমী চলে গ্যালো. আপনি এই অন্ধকারে একা বসে কী কচ্ছেন মশাই ? নতুন কবতে লেকার মতলব আঁটছেন বুঝি ? ছ্যা , যা লেখেন একটু পড়তে পারিনে . নির্ঝরে ওটা কী লিকেচেন বলুন তো ? প্রথম কপিটাই তো পাটাতে পারতেন ছাপার জন্যে ,তা নয় এক খান ছন্দ-চচ্চরি ! আর দোহাই উপন্যাস এর নামে নবেল লেকার চেষ্টা টা ছারুন . কলম-দোয়াত মাতায় ভান্গ্লেউ আপনি চাটুজ্যে-র মতো লিকতে পার্বেন নাহ ! গান গুলো মন্দ হয়নি . কিন্তু ওসব কী নাচ সেকাচ্ছেন ছেলে-মেয়েদের ? সাঁওতাল মাগীদের মতো সামনে -পেছন দোলানো আর নইলে পটল তোলো -ঝোলায় ভর এইতো আপনার নাচ !

    তবে এসে খামখা হ্যাজাচ্ছি কেন ? হে হে আপনারও কেউ নেই , আমার ও . সারাদিনমান আপনারে গাল পারি .তাপ্পর রাত্তিরের ইষ্টিশানে রেলগাড়ি এসে দাঁড়ালে যে কোনো কামরায় উঠে বডি ফেলে দি . কেউ জিগালে কই বাড়ি যাচ্ছি বা আপিস যখন যা মর্জি . কিন্তু কোথাউ তো যাচ্ছিনে . কোথাউ যাবার নেই কো . কোন শ্যালক অপেক্কা করে আছে যে যাবো তার কাছে ! অন্ধকারে অন্ধকার হয়ে বসে তখন আবার আপনারে খেস্তাই . আপনাকেই যে মনে পরে . আপনার একমাত্তর কবতে যা আমার মাথার ভেতর মুন্ডু হয়ে থেকে গ্যালো চিরকাল .

    এ প্রাণ, রাতের রেলগাড়ি, দিল পাড়ি
    কামরায় গাড়িভরা ঘুম, রজনী নিঝুম।
    অসীম আঁধারে. কালি-লেপা কিছুনয় মনে হয় যারে.
    নিদ্রার পারে রয়েছে সে. পরিচয়হারা দেশে।

    আপনি মশাই বীট হারামী লোক . শমী চলে গ্যালো . সব্বাই চলে গ্যালো . কোথায় চোখের জলে দাড়ি ভেজাবেন তা না সান্গ্লাশে চোখ ঢেকে এইসব লিখে ফেল্লেন ?
  • riddhi | 138.62.157.121 | ০৮ মে ২০১২ ০৫:০৬547037
  • শান্তনু দেবনাথের লেখাঃ
    রোবিবাবু ,

    জন্মদিনের প্রাণভরা আলিঙ্গন নেবেন । কলের বরফ আর হুইস্কি নিয়ে বসে পড়লেন, এখনো তো মধ্যযাম পেরোয়নি ! বাবামশাই দেখলে বড় কষ্ট পেতেন । অবু আসেনি এখনো ? এসে পর্বে । আর আপনার বলিহারি যাই মশাই ! ওই বিধু ভট-টাকে জুটিয়েছেন । ব্যাটা টুলো পণ্ডিত খালি বাবামশাই এর আমলের কথা কয় আর বিহারীলাল আওড়ায় । এন্ড্রুজ খাসা ছোকরা। পেন্টুলুন ছেড়ে ধুতি পরে যেন নদের নিমাই টি ! আজব চিরিয়াখানা আপনার এই বোলপুরের ইস্কুল টা । তাতা এসিচিলো শুনলাম দুদিন আগে? ছোঁড়া এখন থেকেই মন্ডা কেলাব খুলে ইআর-বক্সী নিয়ে ফুত্তি করে আর কিসব হিজিবিজি পদ্য ছাপায় ।
    কী বল্লেন ? এটা ইস্কুল নয় , শান্তিনিকেতন ! বেশ , শান্তি হোক আপনার । বৌঠানের সেই রুমাল টা কী শেষ অবধি আপনি ঝেঁপে দিছিলেন ?? এখনো সঙ্গে থাকে ? শমী চলে গ্যালো। আপনি এই অন্ধকারে একা বসে কী কচ্ছেন মশাই ? নতুন কবতে লেকার মতলব আঁটছেন বুঝি ? ছ্যা , যা লেখেন একটু পড়তে পারিনে । নির্ঝরে ওটা কী লিকেচেন বলুন তো ? প্রথম কপিটাই তো পাটাতে পারতেন ছাপার জন্যে ,তা নয় এক খান ছন্দ-চচ্চরি ! আর দোহাই উপন্যাস এর নামে নবেল লেকার চেষ্টা টা ছারুন । পেনের দোয়াত মাতায় ভান্গ্লেউ আপনি চাটুজ্যে-র মতো লিকতে পার্বেন নাহ ! গান গুলো মন্দ হয়নি । কিন্তু ওসব কী নাচ সেকাচ্ছেন ছেলে-মেয়েদের ? সাঁওতাল মাগীদের মতো সামনে -পেছন দোলানো আর নইলে পটল তোলো -ঝোলায় ভর এইতো আপনার নাচ !
    তবে এসে খামখা হ্যাজাচ্ছি কেন ? হে হে আপনারও কেউ নেই , আমার ও । সারাদিনমান আপনারে গাল পারি ।তাপ্পর রাত্তিরের ইষ্টিশানে রেলগাড়ি এসে দাঁড়ালে যে কোনো কামরায় উঠে বডি ফেলে দি । লোকে জিগালে কই বাড়ি যাচ্ছি বা আপিস যখন যা মর্জি । কিন্তু কোথাউ তো যাচ্ছিনে । কোথাউ যাবার নেই কো । কোন শ্যালক অপেক্কা করে আছে যে যাবো তার কাছে ! অন্ধকারে অন্ধকার হয়ে বসে তখন আবার আপনারে খেস্তাই । আপনাকেই যে মনে পরে । আপনার একমাত্তর কবতে যা আমার মাথার ভেতর মুন্ডু হয়ে থেকে গ্যালো চিরকাল ।

    এ প্রাণ, রাতের রেলগাড়ি, দিল পাড়ি
    কামরায় গাড়িভরা ঘুম, রজনী নিঝুম।
    অসীম আঁধারে, কালি-লেপা কিছুনয় মনে হয় যারে।

    আপনি মশাই বীট হারামী লোক । শমী চলে গ্যালো । সব্বাই চলে গ্যালো । কোথায় চোখের জলে দাড়ি ভেজাবেন না সান্গ্লাশে চোখ ঢেকে এইসব লিখে ফেল্লেন ? ?
  • পাই | 147.187.241.4 | ০৮ মে ২০১২ ০৫:১১547048
  • যাচ্চলে ! মাইক টেস্টিং চলছিল তো ! অ্যানাউন্সমেন্টের আগেই পর্দা তুলে দেবার কী মানে, অ্যাঁ ?

    যাগ্গে। বোঝাই যাচ্ছে, শুরু হয়ে গেছে দাদুর জম্মদিনের সেলিব্রেশন। গান কবিতা পোবোন্ধো পাঠ গান আবৃত্তি নাটক, আর যা যা প্রাণ চায়, হয়ে যাক।
  • পাই | 147.187.241.4 | ০৮ মে ২০১২ ০৫:১৮547059
  • দেখতেই পাচ্ছেন, জনতার উৎসাহের আধিক্য। যাই হোক, অধিকন্তু দোষের না, দাদুই বলে গেছেন।

    নমেঃ ঈ মইলঃ ৌন্ত্র্যঃ

    ঈ আদ্দ্রেস্স ঃ ২৪।৯৯।২৪৩।২৩ (*) ডতেঃ০৮ অয় ২০১২ -- ০১ঃ১৯ আ

    দাড়িদা, আপনি একবার সুসাইড করবার কথা ভেবেছিলেন জেনে মজা লাগছে । আসছে বছর প্রকুপা-র রবিজীবনী কিনে পড়বো বলে রেজোলিউশন নিলাম।
    প্রোডেপ খেতেন না কেন? দেবেনদাদুর কাছ থেকে ধার নিয়েই খেতেন না হয় ! মেয়ের বে পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছিলেন যখন, এটুকু কি আর করতেন না !

    আপনি কি আমাদের কথা শুনতে পাচ্ছেন, দাড়িদা? আপনি কি এখন আর বাংলা পড়তে পারেন? একটু কি আউট অফ টাচ হয়ে গেছেন? বাংলা কবিতা এখন আর পড়া হয় না?

    জীবনবাবু কি কচ্ছেন ওপাড়ে? আপনার সঙ্গে পটে বলে তো মনে হয় না। সেই কবে সন্দীপন বলে গেছিলেন জীবনবাবু নাকি আপনাকে ওকাম্পো নিয়ে কটি কাঠ কাঠ কথা শুনিয়ে দিয়েছেন, আর আপনি কেঁদে ভাসিয়ে দৌড় দিয়েছেন -হা ওকাম্পে ! বলে ? সন্দীপনের কথা ধরবেন না। অমন হাপগেরস্ত লেখক বাংলায় দুটি হয় না। ওঁর ডায়েরী পড়ে খার খেয়ে গেছি।

    আসলে কি জানেন ! এত তুকতাক-সফলতা-সোসালাইজেশনসার্থকতা সত্ত্বেও আপনাকে বড় ভালোইবাসি। গান দিয়ে মেরে রেখে গেছেন। আর ক'টা উপন্যাস দিয়ে। কবিতা নিয়ে ভাববেন না , সেসবের জন্য আমাদের অন্য লোক আছে।
  • পাই | 147.187.241.4 | ০৮ মে ২০১২ ০৫:১৮547070
  • name: I mail: country:

    IP Address : 24.99.243.23 (*) Date:08 May 2012 -- 01:19 AM

    দাড়িদা, আপনি একবার সুসাইড করবার কথা ভেবেছিলেন জেনে মজা লাগছে । আসছে বছর প্রকুপা-র রবিজীবনী কিনে পড়বো বলে রেজোলিউশন নিলাম।
    প্রোডেপ খেতেন না কেন? দেবেনদাদুর কাছ থেকে ধার নিয়েই খেতেন না হয় ! মেয়ের বে পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছিলেন যখন, এটুকু কি আর করতেন না !

    আপনি কি আমাদের কথা শুনতে পাচ্ছেন, দাড়িদা? আপনি কি এখন আর বাংলা পড়তে পারেন? একটু কি আউট অফ টাচ হয়ে গেছেন? বাংলা কবিতা এখন আর পড়া হয় না?

    জীবনবাবু কি কচ্ছেন ওপাড়ে? আপনার সঙ্গে পটে বলে তো মনে হয় না। সেই কবে সন্দীপন বলে গেছিলেন জীবনবাবু নাকি আপনাকে ওকাম্পো নিয়ে কটি কাঠ কাঠ কথা শুনিয়ে দিয়েছেন, আর আপনি কেঁদে ভাসিয়ে দৌড় দিয়েছেন -হা ওকাম্পে ! বলে ? সন্দীপনের কথা ধরবেন না। অমন হাপগেরস্ত লেখক বাংলায় দুটি হয় না। ওঁর ডায়েরী পড়ে খার খেয়ে গেছি।

    আসলে কি জানেন ! এত তুকতাক-সফলতা-সোসালাইজেশনসার্থকতা সত্ত্বেও আপনাকে বড় ভালোইবাসি। গান দিয়ে মেরে রেখে গেছেন। আর ক'টা উপন্যাস দিয়ে। কবিতা নিয়ে ভাববেন না , সেসবের জন্য আমাদের অন্য লোক আছে।
  • পাই | 147.187.241.4 | ০৮ মে ২০১২ ০৫:১৯547075
  • name: মদন mail: country:

    IP Address : 108.249.6.161 (*) Date:08 May 2012 -- 01:49 AM

    দাড়িস্যার, এসে গেচি! হ্যাপি বাড্ডে! দজ্জার গোড়ায় দুটো ট্যাক্সি রেখে গেলাম, সপরিবারে মলটলের ইচ্ছে হলে ডাকবেন। জুয়োভারতীতে অ্যাট্টা ফাংসন করবো বলে রেখেচি, বিরিয়ানিফিরিয়ানি হবে, পাল্লে চলে আস্‌বেন। আর টেবিলে এক বোতল হুইস্কি রেখে গেলাম। পয়সাকড়ির এট্টু ইয়ে যাচ্ছে, নইলে আরো কিছু দিতাম। নেক্সট ইয়ার করে দেবো, মাইরি! ইয়ে, আমাদেরও এক বছর হচ্ছে, মনে আছে তো? ঝটপট দুটো গান আর চাট্টে কবিতা নামিয়ে রাখবেন, পরে এসে নিয়ে যাবো। চলি স্যার!
  • i | 134.171.30.192 | ০৮ মে ২০১২ ০৫:২৯547076
  • বেসিকালি ভিখারী তো। ঝুলি ভরে রাখে যাহা কিছু পায় যেমন হয়।
    এই লেখাটি বহুকাল আগে লিখেছিলাম-৬/৭ বচ্ছর তো হবেই। এনিথিং বেঙ্গলিতে প্রকাশিত হয় বোধ হয় ২০০৬এ। তারপর জুড়েছি, কেটেছি, কিন্তু ফেলে দেই নি। কিছু অংশ আপনাদের চেনাও লাগবে।
    বেসিকালি ভিখারি তো। মথবলের গন্ধ, আবেগ, স্লাইট ন্যাকামি -এই আমার শততালি ছেঁড়া কাঁথা-
    আর কি দেব?
  • i | 134.171.30.192 | ০৮ মে ২০১২ ০৫:৩৮547077
  • আপন গান

    শবদে শবদে বিয়া হয়, সুর বসে, গান জন্মে। কানের ভিতর দিয়া মরমে পশে, থিতু হয়, বসত করে। সুখে সঙ্গ দেয়, দুঃখে হাত ধরে। সে গান বুকের গান। আপন গান। সময়ের পলির তলে তলে গানের ফল্গুধারা-কোন্‌ মুহূর্তে কখন্‌ সে আসে, ঘর বাঁধে বুকে, কখন্‌ আবার হারিয়ে যায়,বুকে চমক দিয়ে হঠাৎ ফিরে আসে কিম্বা ধুয়ার মত ফিরে ফিরেই আসে সারাজীবন...

    সে বড় সুখের সময় ছিল না। বাতাসে বারুদের গন্ধ মেলায় নি তখনও। সদ্যোজাত বাংলাদেশ। বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ মস্তক হারাচ্ছেন ক্ষণে ক্ষণে। আমাদের শহরতলীতে শিশুরাও পরিচিত বোমা, পাইপগানের গঠনে।নিষিদ্ধ শব্দরাজিতে যুক্ত হচ্ছে পার্টি, লাশ, নকশাল এবং চারুবাবু। স্কুল যাওয়ার পথ জুড়ে উদ্বাস্তু ভিখারিনী, যাতায়াতের পথে বাসে থ্যাঁতলানো কুকুর, রেললাইনের পাশের বস্তি, কুমোরটুলির খড়ের কাঠামো,নিষিদ্ধধ্বনিমাধুর্যে পূর্ণ অজস্র দেওয়াল লিখন। নিতান্ত অনলৌকিক। শৈশব হারিয়ে ফেলার কাল সে সময়। ঠিক সেই সময়েই আমাদের ইশকুলের প্রেয়ারহলে একটি শব্দবন্ধ আমার হাত ধরে-'বিকচকমলাসনে'। লাইনটি মাথায় পাক খায় সর্বক্ষণ-'তুমি যদি থাকো মনে, বিকচকমলাসনে/.. তুমি যদি দুখ পরে রাখো কর স্নেহভরে,তুমি যদি সুখ হতে দম্ভ করহ দূর'। অলৌকিক শব্দবন্ধ, ততোধিক অলৌকিক বাক্যের গঠন, ধ্বনিমাধুর্য-শব্দ-বাক্য-সুর-গান। রবীন্দ্রনাথের গান। আপন গান। নিষিদ্ধশব্দরাজি পিছু হটে যায়।

    ক্রমে আমাদের শৈশবে ঢুকে পড়ে কালো চাকতিগুলি-থার্টিথ্রী, ফর্টিফাইভ, সেভেন্টিএইট-ছেলেটি বাঁশি হাতে অথবা প্রভুর স্বর শোনা ভক্ত কুকুরটি-ঘুরে চলে। কখনও রত্নাকর গাইছেন-'.... দেবী গো, চাহি না, চাহি না মণিময়ধুলিরাশি চাহি না ... যে বীণা শুনেছি কানে, মনপ্রাণ আছে ভোর'... অথবা চন্ডালিকা গেয়ে উঠছে 'আমার মনের মধ্যে বাজিয়ে দিয়ে গেছে জল দাও, জল দাও, জল দাও', কিম্বা মধুশ্রী ... 'যে পথে যেতে হবে সে পথে তুমি একা', কখনও শান্তা -'না বুঝে কারে তুমি ভাসালে আঁখিজলে',আর বজ্রসেন-'ক্ষমিতে পারিলাম না যে ক্ষম হে মম দীনতা, পাপীজনশরণপ্রভু'। কিছু বুঝি, কিছু না বুঝি, বুকের ভেতর কিছু একটা হয়-আপন গান জন্ম নেয়। ঠিক এইভাবে।

    এল পির কাভারে বাহারি শাল গায়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, তীক্ষ্ণনাসা সাগরসেন গাইছেন'ঐ তো মালতী ঝরে পড়ে যায় মোর আঙিনায়, শিথিলকবরীতে তোমার লও না তুলে', ট্রেমেলোটুকু বাদ দিলে চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় যেন রূপকথার রাজপুত্র, দুই সুদর্শনা সুচিত্রা, কণিকায় মোহাবিষ্ট আমরা শৈশবে, কৈশোরে। সামান্য আড়ালে চলে যাচ্ছেন প্রচারবিমুখ নীলিমা সেন,অথবা অর্ঘ্য সেন , সুবিনয় রায়-চশমা চোখে, বিরল কেশ, মৃদু কন্ঠ। কন্ঠমাধুর্য, রূপ, গ্ল্যামারে সামান্য ব্যাহত আপন গানটি বেছে নেওয়া ।

    সত্তরের মাঝামাঝি টেলিভিশন আসে। সাদা কালো। ঝিরিঝিরি পর্দা।রবিবারের বাংলা সিনেমা আর বৃহস্পতিবারের চিত্রমালা।
    'বিভাস' - এ সিনেমায় উত্তমকুমার গাইছেন, 'তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাই বা আমায় ডাকলে', অথবা 'চৌরঙ্গী'তে 'এই কথাটি মনে রেখো'র সঙ্গে ঝরা পাতার দৃশ্য, কিম্বা 'বিকেলে ভোরের ফুলে' ডুয়েটে 'আমার সকল রসের ধারা'।
    'একটুকু ছোঁয়া লাগে'তে বিশ্বজিৎ - 'প্রাঙ্গণে মোর শিরীষ শাখায়-হাওয়ায় উড়ছে অ্যালবার্ট কাট', অথবা 'নিমন্ত্রণে' টিলায় বসে নন্দিনী মালিয়া'দূরে কোথায় দূরে দূরে'-'কুহেলী'র অমোঘ ডুয়েট 'তুমি রবে নীরবে',বিশ্বজিৎ আলতো চিবুক ছোঁয়াচ্ছেন সন্ধ্যা রায়ের হাতে- 'দৌড়'এ স্বপ্নদৃশ্যে মহুয়ার ক্রাচ উড়ে যায় 'হা রে রে রে রেরে'র সঙ্গে- 'বিচারক'এর গ্রীনহাউসের জলধারার মাঝে অরুন্ধতী গাইতে থাকেন 'আমার মল্লিকাবনে'-'যদি জানতেম'এ পঙ্গু রূমা শোনান, সুখের মাঝে তোমায় দেখেছি'- 'আরোগ্যনিকেতনে' রেডিওতে বাজে 'জীবন যখন শুকায়ে যায়'-'ঠগিনী'তে অনুপকুমার তুলি হাতে গাইছেন 'যৌবনসরসীনীরে'-'নীল দিগন্তে'র সঙ্গে মাথায় স্কার্ফ, চোখে গোগো গগল্‌সএ কাবেরী বসু 'যে যেখানে দাঁড়িয়ে'তে।'শঙ্খবেলায়' বৃষ্টিস্নাত মাধবী আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে শুরু করছেন 'জানি নে জানি নে কিছুতে কেন যে মন লাগে না। ''মেঘে ঢাকা তারা'য় 'যে রাতে মোর দুয়ারগুলি'র ইন্টার্ল্যুডে কালপেঁচার ডাক-'কোমলগান্ধার'এ' 'আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে'র সেই আর্তি।সেই অর্থে অপ্রচলিত 'আমার মন বলে চাই চাই গো' আর 'কার চোখের চাওয়ার হাওয়ায়'কাছে চলে আসে 'আকাশকুসুম'এ।
    সম্পূর্ণ হৃদয়ঙ্গম না হয়েও কখনও ধ্বনিমাধুর্য্যে, কখনও প্রিয় গায়ক, অভিনেতা বা চিত্রদৃশ্যের হাত ধরে গানগুলি অবিরাম ঢুকে যেতে থাকে অন্তরমহলে, আপন গান হয়ে ওঠে ক্রমশঃ।

    পরিণত যৌবনে আপন গান তৈরী হতে থাকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, মুহূর্তে। নানা দৃশ্যকল্প জড়িয়ে যেতে থাকে গানের সঙ্গে।
    সদনে কিশোরী গায়িকার সঙ্গে হয়তো চিরকালের মতো মিশে রইল 'বড়ো বেদনার মতো বেজেছ তুমি হে'; সারাজীবন ধরে ধুয়ার মতো ফিরে ফিরে এলো '... বড়ো তৃষা, বড়ো আকিঞ্চন তোমারি লাগি', সঙ্গে হালকা গোলাপী সালোয়ার কামিজে সেই কিশোরী।ঘনঘোর বর্ষণে, শিশির মঞ্চে স্বাগতালক্ষ্মী গাইছেন 'কেন এলি রে' আর দর্শকাসনে মেয়েটি ফুঁপিয়ে কেঁদে চলেছে 'ভালোবাসিলি, ভালোবাসা পেলি নে..'র সঙ্গে-কিম্বা ট্রেনে দরজায় হেলান দিয়ে ক্লান্ত যুবক - 'সুন্দর মুখ তাবা দেখি নয়ন ভরি '-নতুন প্রতিবেশীর জানলা দিয়ে আচমকা ভেসে আসে 'ধীরে ধীরে প্রাণে আমার এসো হে'-মৃত্যুর খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে প্রিয় গায়িকা গেয়ে ওঠেন 'তুমি কিছু দিয়ে যাও'। সদ্য পিতৃহীন কিশোরী আকাশপানে মুখ তুলে গায় 'এই তারাহারা নিঃসীম অন্ধকারে কার তরণী চলে'।

    যে গান, যে গায়ক শৈশবে আকর্ষণ করে নি, সেই গান, সেই গায়ক ক্রমে প্রিয় হয়ে ওঠে। রেডিওতে রবিবার রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষার আসর। 'এই শ্রাবণবেলা বাদল-ঝরা' শেখাচ্ছেন সুবিনয়-রবিবারের সকালে ট্র্যানজিস্টারে ভেসে আসছে অদ্ভূত মায়াবী উচ্চারণ-'কোন ভোলা দিনের বিরহিণী, যেন তারে চিনি চিনি'-সুবিনয়ে আমার গায়ে কাঁটা দিল।সেই প্রথম।
    আমাদের বয়স বাড়তে লাগল, মায়েদের চুল রুপোলি-আমরা খুঁজে পেলাম মায়েদের দিনলিপির ছেঁড়া পাতা, হলদে হয়ে যাওয়া চিঠিপত্র, ন্যাপথালিনের গন্ধময় পাটকরা ওভারকোটের পকেটে প্রাচীন লবঙ্গ আর এলাচি।
    ক্রমে আমরাও মা হয়ে যাই আর সুবিনয়ের প্রেমে পড়ি প্রবলভাবে। ঐ নরম মেদুর মায়াবী কন্ঠ আমাদের আচ্ছন্ন করে। ৪৫ আর পি এম , শঙ্করলাল ভট্টাচার্য্যের প্রবন্ধ জোগাড় করি আর আবিষ্কার করতে থাকি সুবিনয়ের কন্ঠস্বর কি অদ্ভূত ভরাট হয়ে গিয়েছিল আশির দশকে।নব্বইতে আবার সেই মেদুর নরম গলা -নির্জন দুপুরে বিপণিচত্বরে ক্যাসেটের দোকান থেকে ভেসে আসছেন সুবিনয়-'তরী আমার টলোমলো ভরা জোয়ারে'।অথবা 'হাজার লোকের মাঝে /রয়েছি একলা যে...এখনো কেন সময় নাহি হল/ নাম -না-জানা-অতিথি'- সুবিনয় ভিন্ন তখন আমাকে আর কেই বা কাঁদাতে পারেন? শ্রাবণের আকুল বিষণ্ন সন্ধ্যার সঙ্গে সুবিনয় রায় অঙ্গাঙ্গী হয়ে যান ক্রমশঃ; 'যেদিন ফুটলো কমল'এ গীতা ঘটক-কে পুনরাবিষ্কার করি। এবং রমা মন্ডল ।

    সেই অর্থে রমা মন্ডলের ভক্ত কোনদিনই নই, ছিলাম না। 'যন্ত্রানুষঙ্গ ছাড়া গীত' ' নমি নমি চরণে' মোড়কবন্দী হয়েই ছিল বহুদিন। রবিবারের এক দুপুরে, একা বাড়ীতে রান্না করতে করতে মোড়কটি খুলি। প্রথম ছয়খানা গান সম্বন্ধে সেভাবে বলার কিছু নেই। নমি নমি চরণে, বরিষ ধরা মাঝে, আমার যা আছে, হে মহাজীবন এবং চিরসখা শুনতে শুনতেই ডালে সম্বার, মাছের ঝোলে হলুদ দেওয়া আমার।
    সপ্তম গানখানি-'ঘাটে বসে আছি আনমনা।'এর আগেও কতবার কতজনের গলায় শুনেছি, কিন্তু সেদিন -
    ডালে পোড়া লাগল, মাছের ঝোল শুকিয়ে গেল , স্টোভটপে ছড়িয়ে রইল হলুদগুঁড়ো, ধনে, জিরে ...
    এই অতি সাধারণ চারখানি লাইনেও এত বৈরাগ্য ভরা ছিল-
    তীর-সাথে হের শত ডোরে বাঁধা আছে মোর তরীখান-
    রশি খুলে দেবে কবে মোরে, ভাসিতে পারিলে বাঁচে প্রাণ।
    এর পর থেকে সিডির বাকি গানগুলির অদ্ভূত আবেদন এক-খেলার সাথি এবং তুমি জানো ওগো অন্তর্যামী-র পরে আমার পরাণ যাহা চায় আর তার পরেই যে রাতে মোর দুয়ারগুলি-এই কম্বিনেশনে , আমার পরাণ যাহা চায়-এর মত বহুশ্রুত প্রেমের গান অন্য মাত্রা পায়-আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন উচ্চারণ করেন রমা, আমি মৃত্যুর আবাহন শুনি।
    এর পরে একে একে আসে আরো পাঁচখানি গান।বরণমালা হাতে ভুবন দাঁড়িয়ে থাকে, গগন আমার জন্য লক্ষ প্রদীপ জ্বালায়, প্রেম জেগে থাকে-তারপর সব ছিঁড়ে টুকরো হয়ে যায়-রমা গেয়ে ওঠেন-'মরণ বলে, আমি তোমার জীবনতরী বাই।' এভাবেই কখন বহুশ্রুত গান হয়ে ওঠে আপন গান।

    এবং কখনও পূর্ণ গানটিও নয়-একটি দুটি চরণ।'নাই যদি বা এলে তুমি'-তে 'বিরহ মোর হোক না অকূল,সেই বিরহের সরোবরে মিলনকমল উঠছে দুলে অশ্রুজলের ঢেউএর পরে' চরণগুলি বড় নিÖপ্রাণ ঠেকে, গানের থেকে সরে যায় মন। তখনই বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে আসে পরের অমোঘ চরণ-'তবু তৃষায় মরে আঁখি, তোমার লাগি চেয়ে থাকি/ চোখের 'পরে পাবো না কি বুকের 'পরে পাই বলে'।
    আবার, কোন্‌ পুরাতন প্রাণের টানে গানটা দীর্ঘদিনের ব্যবধানে শোনো যদি... প্রকৃতি পর্যায়। বর্ষার গান। তুমি শুনছ। ' কোন্‌ পুরাতন প্রাণের টানে/ ছুটেছে মন মাটির পানে।' চেনা শব্দ, চেনা সুর তোমার কানে। তুমি শুনছ- 'চোখ ডুবে যায় নবীন ঘাসে, ভাবনা ভাসে পুব-বাতাসে'-তুমি শুনবে এরপর, 'মল্লারগান প্লাবন জাগায় মনের মধ্যে শ্রাবণ-গানে।' এই অবধি একদম চেনা তোমার। মাটি, পুব বাতাস, মল্লার গান। গতানুগতিক। তুমি শুনছ। আঙুলের টোকা দিচ্ছ আলতো। তাল রাখছ। তারপরেই সেই অলীক চমক। তুমি ভুলেই গেছিলে যেন এরপর সাংঘাতিক একটা বদল আছে গোটা গানে। বর্ষা সংশ্লিষ্ট শব্দরাজির বদলে তোমার কানে এল , 'লাগল যে দোল/ বনের মাঝে লাগল যে দোল।'

    আমাদের বয়স বাড়ে।
    মণিপুর আসে, আসে বেসলান, সাগর পাখির ডানা ভারী হয় কৃষ্ণতেলে। বন্ধুবিচ্ছেদ , ভোরের টেলিফোনে প্রিয় মানুষের চলে যাওয়া। তীব্র যন্ত্রণার মুহূর্তে আপন গান সঙ্গ দেয় না আর, যদিও তেমন কথা ছিল না।

    হঠাৎ আবিষ্কার করি প্রবাসী বালিকাকে , পরবর্তী প্রজন্ম। ঘুরে ঘুরে গাইছিল, 'আমার পরাণ যাহা চায়' । বারে বারে বলছিল , 'আমার পরাণ আমার পরাণ'। সেই 'বিকচ কমলাসন'এ মুগ্ধ হওয়ার মতো।

    সেই বয়স, সেই বাক্যবন্ধে অপার মুগ্ধতা।

    ফিরে আসে।
    ফিরে ফিরে আসুক।
  • Abhyu | 107.81.115.156 | ০৮ মে ২০১২ ০৫:৪৪547078
  • সুন্দর মুখ তব দেখি নয়ন ভরি
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ০৮ মে ২০১২ ০৯:০৩547027
  • ছোটাই। ভাই, নেশা ধরিয়ে দিলেন তো! রবিবাবুর গান কোনদিনও আমার প্রথম পছন্দ ছিলো না। আপনার লেখাটি আমায় প্রায় নষ্ট চরিত্র করে দিলে। এখন গানগুলি শোনার একটা আকুতি জাগছে।
    এর আগে হাতে গোনা কিছু গানের প্রতি পক্ষপাত ছিলো। কণিকার গাওয়া তোমায় নতুন করে পাবো বলে, জর্জদার নয়ন ছেড়ে গেলে চলে আর কোমল গান্ধারে আকাশ ভওরা। হ্যাঁ সত্যজিতের চিমটি সত্বেও আমার আকাশ ভওরাই ভালো লাগে, জর্জদার কোলাহল তো বারন হলো। আর হ্যাঁ, রাজেশ্বরী দত্তের যে রাতে মোর দুয়ার গুলি ভাঙ্গলো ঝড়ে। এই কটি সম্বল করে কাটিয়েছি এতোকাল, আজ আপনার লেখা আমায় বাধ্য করছে এদের বাইরে বের হতে।
    আপনাকে ধন্যবাদ।
  • তাতিন | 127.197.69.36 | ০৮ মে ২০১২ ০৯:২২547028
  • দাদু থাকবে কতক্ষণ? দাদু যাবে বিসর্জন
  • Nina | 78.34.167.250 | ০৮ মে ২০১২ ০৯:২৬547029
  • হায় | 24.96.8.175 | ০৮ মে ২০১২ ০৯:৫৬547030
  • বাঙালীর সাঁড়াশি-কামড় থেকে রবীন্দ্রনাথ মুক্তি পান।
  • সুদীপ্ত | 79.132.108.212 | ০৮ মে ২০১২ ০৯:৫৭547031
  • i, ভারী ভালো লাগল!
  • অর্ণব | 125.187.34.246 | ০৮ মে ২০১২ ১০:০৭547032
  • আজি এ পরাণে রবি-র কর, কেমনে জাগালো ডাইনোসর।
  • কুলদা রায় | 77.243.132.73 | ০৮ মে ২০১২ ১০:২১547033
  • রবীন্দ্রনাথকে আগে দূর থেকে দেখতাম। গেল বছর থেকে কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করছি। ইচ্ছে ছিল এই দেখাটা এই পঁচিশে বৈশাখে শেষ হবে। হয়নি। কখনো কি শেষ হবে?
    কিন্তু ভানুবাবু, আমাকে তো আরো অনেককে দেখতে হবে।
  • Abhyu | 107.81.115.156 | ০৮ মে ২০১২ ১০:২৩547034
  • নিনা | 78.34.167.250 | ০৮ মে ২০১২ ১০:৩০547035
  • বাহ! অভ্যু থ্যাঙ্কু।
    খুব ভাল লাগল--ক্লিকিং সাউন্ড আছে কিন্তু মনে হল সামনে বসে শুনলাম।
  • PT | 213.110.246.230 | ০৮ মে ২০১২ ১০:৫৬547036
  • প্রায় ৪০ বছরের প্রথা পরিবর্তন করে রবীন্দ্রসদনে প্রভাতি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। রবীন্দ্রসদনের সবকটা গেট তালা মেরে বন্ধ রেখে পুলিশ বসানো হয়েছে সকাল থেকে যাতে কেউ রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গনে ঢুকে কবির গলায় মালা মালা পরাতে না পারে। কিছু চ্যাংড়া ছেলে-পুলে পদযাত্রা করে সেখানে হাজির হলে পুলিশ রবি-ঠাকুরের গলায় ""মালা পরানোর অনুমতি পত্র"" দেখতে চায়। এখন নাকি প্রাঙ্গনের বাইরে রাস্তার ওপরে গান-বাজনা চলছে।

    একমাত্র বেলা দুটোর পরেই সরকারী রবীন্দ্র-জয়ন্তী পালনের সময় গেট খোলা হবে।
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.241.62 | ০৮ মে ২০১২ ১১:৩৫547038
  • বাংগালীর দুই আইকন। দাদু ঠাকুর আর দাদা ঠাকুর। ..
  • কুমু | 132.160.159.184 | ০৮ মে ২০১২ ১১:৩৫547039
  • ছোটাই,
    কেমন করিয়া জানাব,আমার জুড়ালো হৃদয় জুড়ালো।
  • tiklut | 34.7.46.251 | ০৮ মে ২০১২ ১২:৩৪547040
  • i এর 'আপন গান' ফিরে পড়লাম। নতুন করে ভাল লাগল।
  • lcm | 79.236.161.105 | ০৮ মে ২০১২ ১২:৩৯547041
  • কোথা আছো গুরুদেব, আমি জানি না
    তোমার আইকন ছাড়া কিছু চাই না
    ...
  • তাতিন | 125.249.41.218 | ০৮ মে ২০১২ ১২:৪৭547042
  • কুলদা বাবুর আর্ত চিৎকার- 'দাদু আমি দেখতে চাই' কি ঠাকুরঘরে পৌঁছোলো?
  • mri ga | 127.194.197.106 | ০৮ মে ২০১২ ১৩:৪৪547043
  • রবি গুরুর জন্মদিন এলেই আমার মনে হয় বাঙালিরা বড্ড আহ্লাদেপনা শুরু করে। সকাল থেকেই পাড়ায় বাজতে থাকে মাইক। তাতে রবিগুরুর গান। এখন তো রিমিক্সের যুগ। মিউজিক মিশিয়ে গলা চড়িয়ে অনেকেই একটা কিছু দাঁড় করাচ্ছে। তবে সেটা কিন্তু বেশ ভালো লাগছে। আগে কারো কারো সেই নেকুগলায় রবি সংগীত শুনলে মনে হত কত্ত দিন কন্সটিপেশনে ভুগে গাইতে বসেছে। সন্ধ্যা হলেই আরেক কিত্তন পাড়ার ছেলে মেয়ে বৌ বৌদি কাকিমারা ঝাঁপিয়ে পড়বেন মঞ্চে। ' এই আমাকে একটা চান্স', 'এই আমাকে আগে দে। তোদের দাদা ফিরে এলে চা বসাতে হবে।' 'এই আমার পুঁচি নতুন একটা নাচ তুলেছে' এরকম হাজার বায়নাক্কা। কোন কোন চ্যানেল থেকে আমার সুন্দরীরা বুম হাতে ধুম মাচাবে। নন্দনে বা মলে গিয়ে তরুণী তরুণ দের ফ্যাসাদে ফেলবে ' আজ কি বলত?' শালা তোকে কভার করতে না পাঠালে তুই যেন খুব জানতিস। বেচারারা হয়তো সবে একটু ঘনিষ্ঠ হব হব করছিল মাঝখান থেকে এরম আঁতলামো খেয়ে তোতলাতে থাকে। আর মাঝখানে কেস খায় বেচারা রবি। জন্মদিন আর মৃত্যুদিন গুলিয়ে ফেলে। মরিয়া প্রমাণ করিয়া গেলুম মরেছি তাও নিস্তার নেই।
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | 24.96.8.175 | ০৮ মে ২০১২ ১৭:০৮547044
  • "আদুরে ছেলের আত্মানুরাগ যেরূপ, আমাদের স্বদেশানুরাগ সেইরূপ। একটা যে হিতচেষ্টা কিংবা কঠিন কর্তব্যপালন তাহার নাম নাই–কেবল আহা উহু, কেবল কোলে কোলে নাচানো। কেবল কিছু গায়ে সয় না, কেবল চতুর্দিক ঘিরিয়া স্তবগান। কেহ যদি তাহার সম্বন্ধে একটা সামান্য অপ্রিয় কথা বলে, অমনি আদুরে স্বদেশানুরাগ ফুলিয়া ফাঁপিয়া, কাঁদিয়া, মুষ্টি উত্তোলন করিয়া অনর্থপাত করিয়া দেয়, অমনি তাহার মাতৃস্বসা এবং পিতৃস্বসা, তাহার মাতুলানী এবং পিতৃব্যানী মহা হাঁকডাক করিতে করিতে ছুটিয়া আসে এবং ছেলেটাকে কোলে তুলিয়া লইয়া, তাহার নাসাচক্ষু মোচন করিয়া তাহার চিরন্তন আদুরে নামগুলির পুনরাবৃত্তি করিয়া তাহার ব্যথিত হৃদয়ের সান্ত্বনা সাধন করে।

    আমরা আমাদের দেশের যথার্থ ভালো জিনিসগুলি লইয়া এত বাড়াবাড়ি করি যে, তাহাতে ভালো জিনিসের অমর্যাদা করা হয়। কালিদাস পৃথিবীর সকল কবির সেরা, মনুসংহিতা পৃথিবীর সকল সংহিতার শ্রেষ্ঠ, হিন্দুসমাজ পৃথিবীর সকল সমাজের উচ্চে–এরূপ করিয়া বলিয়া আমরা কালিদাস, মনুসংহিতা এবং হিন্দুসমাজের প্রতি মুরুব্বিয়ানা করি মাত্র। তাঁহারা যদি জীবিত ও উপস্থিত থাকিতেন তাহা হইলে জোড়করে বলিতেন, 'তোমরা আমাদিগকে এত কৌশল এবং এত চীৎকার করিয়া বড়ো করিয়া না তুলিলেও আমাদর বিশেষ ক্ষতি হইত না! "
  • খ্যাপার খুলি | 69.93.246.194 | ০৮ মে ২০১২ ১৭:১৬547045
  • কারো কাছে প্রাণের ঠাকুর, কারো কাছে আরও
    জানো গুরু, famous তুমি এত্তো বছর পরেও,
    তোমার লেখা গপ্প,পদ্য,নাটক,উপন্যাস
    ছেপে দিলে এখনও সব লেখক রা খায় বাঁশ,
    তোমার গুরু বেরেন খানা হেভভি ছিলো জানো?
    এমনি কি আর তোমায় বলি সাহিত্যের দানো!
    যাতেই তুমি হাত দিয়েছো, ভরেছে মন তাতে
    সৃষ্টি তোমার বাঁধন ছেড়া, কোনো কথা হবে না তাতে ।
    ছোটো বেলায় হাতে খড়ি তোমার সহজ পাঠে,
    সিলেবাস এর অর্ধেকটাই কেটেছে তোমার সাথে;
    প্রথম প্রেমে চায় যত প্রাণ, চক্ষু না চায় লজ্জায়
    লেঙ্গি খেলে আজও বাঙ্গালী তোমার গানেই গর্জায়;
    তোমার জন্য আমার মনেও হেভভি আছে সম্মান
    তোমার মত লোক গুরু একটি বার-ই জন্মান
    মোদের মাঝে না থেকেও, তুমি থাকবে চিরদিন
    গুরু তোমায় জানাই এবার শুভ জন্মদিন ।।
  • R.N.T | 233.223.134.147 | ০৮ মে ২০১২ ২১:০৩547046
  • রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য

    রবি ঠাকুর কে নিয়ে ভারি বিপদ! আজকাল সব কিছু “ সর্টে” র জমানা! সেদিন দেখি, একটা টেক্সট মেসেজ এলো আমার সেল ফোনে!

    দাদা, হোন ইজ আরএনটিস ডিবি ইন ডিস ইং ইর ১২?

    ভেবেই চলেছি। এই আর.এন.টি. আবার কে? কুলকিনারা পাচ্ছি না। আমার পুরোনো স্যার নয় তো? কিন্তু, যে পাঠিয়েছে সে তো সেদিনের ছোকরা! আমার স্যারের নাম জানবে কি করে?
    তারপর, হটাৎ চাচা চৌধুরীর মত মগজে বিদ্যুৎ খেলে গেল! আর.এন.টি মানে তো- রাভিন্দর নাথ টেগোরে!!!!!!
    আজকাল এরকমই “ উরুশ্চারণ” । বড় বড় স্কুলে নাকি শেখান হচ্ছে।
    জোব্বা পরা ভদ্রলোকের একটা আস্ত কমিক স্ট্রিপ বেরুবে বলে আশা করছে সবাই। ছেলে- মেয়ে গুলো বাংলাটা পড়তে পারে না, তাই ইংরেজী আর হিন্দিতে বেরুবে। একটা ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ আর পরেরটা সেকেণ্ড!
    বাংলা? কোনোরকমে থার্ড! ক্লাস এইটের পর আর থাকবে না! বাঁচা যায় বাবা!

    রাভিন্দর নাথ টেগোরে!!!!!! কে আর মনে রেখেছে!!!!!!! তাঁর আসল নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

    “আমসত্ত্ব দুধে ফেলি, তাহাতে কদলী দলি, সন্দেশ মাখিয়া দিয়া তাতে।
    হাপুস হুপুস শব্দ, চারিদিক নিস্তব্ধ, পিঁপড়া কাঁদিয়া যায় পাতে।।”

    এইটা যখন প্রথম পড়ি, তখন মনে হয়েছিল, মনের কথা- পেটের কথা। পেটের কথা মানে- পেটের প্রেম।
    অমৃত কাকে বলি জানি না! তবে মালদার গোপালভোগের আমসত্ত্ব দুধে ফেলে ১ ঘন্টা পর দেখেছি, সেই দুধ পুরো আমের ঘন সরবত হয়ে গেছে। তারপর সেটা ফ্রীজে রেখে ঠাণ্ডা করে, আস্তে আস্তে চুমুক মেরে মনে হয়েছে:- ওরে দুধ গোলা রে! তুঁহু মম শ্যাম সমান!

    রবি ঠাকুর ধর্মে বেম্মো ছিলেন। তবে আদতে তো বাউন। খাবারের কথা তিনি লিখবেন না তো, কি আমি লিখবো? যত্তসব!
    বাউনের কথায় মনে পড়ল- তাঁদের পরিবারের আসল পদবী ছিল, কুশারী। পঞ্চানন কুশারী ছিলেন তাঁদের আদি পুরুষ। গোঁড়া বাউন। পীর আলি বলে এক নবাব তাঁকে গরুর মাংস রান্নার গন্ধ শুঁকিয়েছিলেন। সংস্কৃতের খ্যাঁচাকলে পড়ে, মানে একটা শ্লোক ছিল
    ( কোথায় ছিল কেউ জানে না):-
    “ঘ্রাণেণ অর্দ্ধভোজনম্” মানে গন্ধ শুঁকলেই আদ্ধেক খাওয়া! তিনি পতিত বাউন হলেন। তকমা পেয়েছিলেন, পিরেলী বাউন। সে অনেক দুঃখের কথা! থাকগে!
    আমার অনুমান, তিনি প্রথম যে কবিতাটা লিখেছিলেন, সেটা ছিল:-
    লুচি পড়ে
    পাতা নড়ে!
    পরে সেটার বদল হয়েছিল ( মানে খাবারের কথাটা বোধহয় বাধো বাধো ঠেকেছিল লিখতে)
    জল পড়ে
    পাতা নড়ে
    যাক, এবার একজন রবি- ভক্তের কথা শোনাই! আমার সঙ্গে তাঁর কিছু কথোপকথন হয়েছিল।
    গুড মর্নিং স্যার.
    - সুপ্রভাত।
    - ইন ফ্যাক্ট, কাল আপনার ‌আ্যক্টিং দেখলাম।
    - ও!!!! তাই নাকি?
    - ইয়েস স্যার, ইট ওয়াজ ওয়াণ্ডারফুল
    - ধন্যবাদ।
    - ওটা, টেগোরে ড্রামা ছিল তো?
    - হ্যাঁ, রক্তকরবী!
    - দ্যাটস্ গ্রেট!
    - আপনি দেখেছেন, এটা আমার সৌভাগ্য।
    - নো নো, ইটস মাই প্লেজার!
    - বাঃ! আপনি তো বেশ রবীন্দ্র অনুরাগী!
    - দ্য ফ্যাক্ট রিমেনস্, আমি যখন লান্ডনে, তখন আমি ওখানকার বাংলা আ্যসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ছিলাম। বাংলা সাহিত্য গুলে খেয়েছি। পরে মুম্বাই এসেও বাংলা সাহিত্যের গুরু হিসেবে সবাই মানত। ইন ফ্যাক্ট, আমি কনভারশেসনে, বাঙ্গালী পেলে, ইংলিশ ওয়ার্ড ইউজই করি না। বাড়ীতেও স্ট্রীক্ট ইনস্ট্রাকশান দেওয়া আছে। আমরা পিওর বেংগলিতে কথা বলি। বাই দ্য ওয়ে, আপনার সাথে আমার ফরম্যাল ইনট্রোডাকশানই হয় নি। (হাত বাড়িয়ে) আমি জ্যাজি বোস! আসলে জয়ন্ত বোস। ওই শর্টে এ জ্যাজি বোস!
    - ও! আমি, রামকেষ্ট ভশ্চাজ!
    - প্লিজড্ টু মিট ইউ স্যার!
    - আমিও খুব খুশী আপনার মত এক গুণীর সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে!
    - থ্যাংকস! আচ্ছা গতকাল কি অকেশনে আপনারদের ড্রামা ষ্টেজড্ হলো?
    - শ্রীরবীন্দ্রনাথের সার্দ্ধ জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে আমাদের নাট্যসংস্থা “রবীচ্ছটা” র সশ্রদ্ধ নিবেদন।
    - হোয়াট্? টেগোরের শ্রাদ্ধ!!!!!!
    - না না, শ্রাদ্ধ নয়! সার্দ্ধ
    - হোয়াটস্ দ্যাট্?
    - সার্দ্ধ মানে হাফ অর্থাৎ অর্দ্ধেক। শত মানে একশ। তাহলে সার্দ্ধ জন্ম শতবর্ষ মানে ১৫০ তম জন্মদিন। আপনাকে কি আর বোঝাব,মি. বোস! আপনি তো বাংলা সাহিত্য গুলে খেয়েছেন!!!
    থ্যাংক ইউ! থ্যাংক ইউ! কাল আমাদের হাউসিং কমপ্লেক্সে একবার আসবেন?
    - কেকেকেননননননন?
    - আরে, আমরাও আমাদের কমপ্লেকসে টেগোরে সেন্টিনারি করছি। আমার মেয়ে ওখানে টোগোরের সেই বিখ্যত কবিতাটা রিসাইট করবে।
    - কোনটা?
    - ওই যে, হারুদের ডালকুকুরে এটসেটরা এটসেটরা!
    - আমার শরীর খারাপ করছে।
    - মাই গ্যাঢ! শুড আই গিভ এ টিংকল টু মাই ফ্যামিলি ডক?
    -ডক মানে? ওখানে আমাকে উঠিয়ে দেবেন নাকি?
    -কিযে বলেন!ডক মিনস ডক্টর!
    -আরে না না! বাড়িতে শুয়ে এট্টু রেষ্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে। ?
    -আরউ স্যুওর?
    -না স্যার আমি ঠিক শুয়োর নই!
    -তবে, কি হবে!
    -ও কিছু না! আপনি যান, আমি ঠিক সামলে নেব
    - ওক্কে! আ্যজ ইউ প্লিজ! টেক কেয়ার ! বাই!
    - আসুন স্যার!
    কথোপকথন শুনে কি বুঝলেন? রাভির এখন শ্রাদ্ধ হচ্ছে, কিনা!!!! মাইণ্ড ব্লোয়িং ব্যাপার স্যাপার সব!

    প্রথম প্রেম যখন করি, তখন আমার হবু বৌ একটা ছবি দিয়েছিল আমার পার্সে রাখতে।
    মন খারাপ হলেই, ছবিটা বের করে গুণগুণিয়ে গাইতাম- “তুমি কি কেবলই ছবি?” আর দেখা হলেই :- “সখী, ভালবাসা কারে কয়”
    রবিদাদু যেন জীবনে ঢুকে গিয়েছিলেন অজান্তে। তাঁর ভাষা, আমাদের মুখে।
    আজ বৃদ্ধ হয়েছি। “পুরানো সেই দিনের কথা” মনে সোডার মত ভসভসিয়ে ওঠে।
    ভাল মন্দের কথাটাও তাঁর কাছ থেকে শেখা।
    “আমার মতে জগৎটাতে ভালোটারই প্রাধান্য—
    মন্দ যদি তিন-চল্লিশ, ভালোর সংখ্যা সাতান্ন।” (শিলঙের চিঠি)
    পড়ে, মনে জোর পাই! যাক, তালে- ভালটাই বেশী।
    তখন ওনার ভাষাটাই একটু অদল- বদল করে বলি:-
    “তাই বসেছি কম্পুতে আমার, ডাক দিয়েছি গিন্নিকে,
    ‘চা লে আও, লুচি লে আও, মণ্ডা লে আও, ধাঁ কর্‌কে।”
    ( অরিজিনালটা হলো:- তাই বসেছি ডেস্কে আমার, ডাক দিয়েছি চাকরকে,
    ‘কলম লে আও, কাগজ লে আও, কালি লে আও, ধাঁ কর্‌কে।’-শিলঙের চিঠি)
    যাঁরা লেখালেখি করেন, তাঁদর জন্য সেখানেও রবীদাদু!!! নিয্যস লেখকদের মনের কথা বলছেন:-
    “এখন শুধু গদ্য লিখি, তাও আবার কদাচিৎ,
    আসল ভালো লাগে খাটে থাকতে পড়ে সদা চিৎ।
    যা হোক একটা খ্যাতি আছে অনেক দিনের তৈরি সে,
    শক্তি এখন কম পড়েছে তাই হয়েছে বৈরী সে;”

    জীবনের পরতে পরতে রবীদাদু! কমলি নেহী ছোড়তি! হুঁ হুঁ বাওয়া, যাবে কোথায়?
    সকালে উঠেই :-
    আজি এ প্রভাতে রবির কর

    কেমনে পশিল প্রাণের 'পর,

    তারপরেই চা চা করে ওঠে প্রাণটা
    আমারো পরান যাহা চায়

    চা খেয়েই:-তারপর চল বাজারে
    চুকিয়ে দেব বেচা-কেনা মিটিয়ে দেব গো , মিটিয়ে দেব গো লেনা -দেনা
    বন্ধ হবে আনা গোনা এই হাটে।

    গিন্নির হাতের ভালো রান্না খেয়ে:-
    আমি তোমারে পেয়েছি, হৃদয় মাঝে
    আর কিছু নাহি চাই গো।
    বেলা গড়িয়ে গেলে, গিন্নির আবদার মেটাতে:-
    আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে

    রাতে বিছানায়
    জাগরণে যায় বিভাবরী

    জেগে রাত কাটানর পর:-

    কেন যামিনী না যেতে জাগালে না, বেলা হল মরি লাজে

    মানে জীবনের প্রতিপদে রবীন্দ্র নাথ! ২৫ শে বৈশাখ তো শুধু একটা দিন! এরকম দিন শুধু বছরে একবারই আসে!
    রবীদাদু ৩৬৫ দিন, জীবন জুড়ে!‍
    সনাতন ধর্মে গরমকালে, শিবঠাকুর আর নারায়ণ ঠাকুরের মাথার ওপর জলের ঝোড়া টাঙ্গানো থাকে! টুপ, টুপ করে ঝরে, গরমের থেকে রেহাই পান ঠাকুরেরা!
    রবীঠাকুর, আমাদের বাঙ্গলীর জীবনে ঋতু বিচার. ধর্ম বিচার না করে, করুণাধারায় অবিরত সিঞ্চন করে চলেছেন আমাদের!
    অবিরাম ঝরছে সেই শান্তিজল! আমাদের দুই হাতের মুঠোতে ধরছে না সেই বারি!
    ভারতের সরকার আজও ২৫ শে বৈশাখ নিয়ে উদাসীন! রাভিন্দ্রনাথ তো আর জ্বালাতে আসবেন না!
    আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহলভরে—পড়ার আর বাঙালী থাকবে কিনা সন্দেহ!
    রবিঠাকুর আজ নেই- তাঁর সৌভাগ্য!!!!!!!!!
    রবিঠাকুর আজ নেই- বাঙালীর দুর্ভাগ্য!!!!!!!
  • siki | 132.177.190.72 | ০৮ মে ২০১২ ২১:২১547047
  • যদ্দূর মনে পড়ছে, পীর আলি নবাবের নাম ছিল না। গরুর মাংস শুঁকে জাত খোয়ানোর পরে পঞ্চানন কুশারীরই নাম হয় পীর আলি। সেই থেকে পিরেলি বা পিরালি বামুন।

    কেউ কনফার্ম করতে পারবেন? হুনীলের প্রথম আলো উপন্যাসে ছিল বোধ হয়।
  • sda | 127.194.193.92 | ০৮ মে ২০১২ ২২:১২547049
  • কনফার্মড।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন