এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মেয়ের নাম ফেলি


    অন্যান্য | ১৮ আগস্ট ২০১২ | ১৩৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্রাবণী | 69.94.96.45 | ২১ আগস্ট ২০১২ ২১:১১570205
  • হ্যাঁ, আমিও এটা আগে পড়েছি ব্লগে। এই গল্পটা বোধহয় সব মেয়েদেরই এক। কত বই, অটোগ্রাফের খাতা, ডায়েরী, পছন্দের জামা, বন্ধুদের দেওয়া ছোট কিন্তু অমূল্য গিফট এক একটার সঙ্গে কত স্মৃতি জড়ানো, প্রথমে কয়েকদিন চেনা জায়গাগুলোতে ছিল, তারপরে জায়গা করতে ট্রাঙ্কে চড়ে লফটে উঠল, তারপর একদিন কোথায় হারিয়ে গেল.......নিজের বাড়ি হল, বই রাখবার জায়গা, মনে হল এবার সব গুছিয়ে নিয়ে এসে জীবনের সেই বেলাগুলোকে চিরতরে নিজের করে রেখে দিতে পারব....দেখলাম দেরী হয়ে গেছে!
  • siki | 96.98.43.85 | ২১ আগস্ট ২০১২ ২১:৩৬570206
  • ঐ একই অভিযোগ আমারও। যেদিন ঘরে জায়গা হল পুরনো আনন্দমেলাগুলোকে নিয়ে আসার জন্য, সেদিন জানলাম, সব, সব পুরনো আনন্দমেলা সেরদরে বেচে দেওয়া হয়েছে।

    মা-কে কোনওদিনও ক্ষমা করতে পারব না এটার জন্য :(
  • ব্যাঙ | 132.167.102.206 | ২১ আগস্ট ২০১২ ২১:৩৯570207
  • কিন্তু সিকি, একটা কথা বল। তোর যদি একটা দাদা বা দিদি থাকত অথবা ভাই বা বোন, যদি দেখতিস তাদের জমানো বইগুলো আছে, শুধু তোরগুলো-ই নেই??
  • শ্রাবণী | 69.94.96.45 | ২১ আগস্ট ২০১২ ২২:০০570208
  • শমীক, তোমার কারণ আর আমাদের কারণটা আলাদা, সেই চিরকালীন মেয়েরা আসলে এবাড়ির লোক নয়, পরের বাড়ির। আমাদের জায়গাটা এই ভাবে চলে যায়, জায়গাটা খালি করে দেওয়া হয়................
  • siki | 96.98.43.85 | ২১ আগস্ট ২০১২ ২৩:২৪570209
  • আমার একটা দিদি আছে তো! তবে বই পড়া বা বই জমানোর অভ্যেস তার নেই, তাই ইম্যাজিন করতে পারলাম না।
  • bb | 127.216.213.250 | ২১ আগস্ট ২০১২ ২৩:৪২570210
  • বইতো বাড়ির সবার, বাড়ির মেয়ের জন্য আলাদা কেন হবে।আমার দিদির বিয়ের পর কোন বই বিক্রি করে দেওয়া তো হয়নি?
    এখনও সব বই সেইভাবেই আছে।
  • san | 24.96.36.220 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১২:২০570211
  • এইটা ব্লগে আগেই পড়েছি, খুব কষ্ট লেগেছিল। ছাঁটা ফুলের আসন ও ....

    শ্রাবণীদি লিখলনা , এই গল্পটা বোধ হয় সব মেয়েদেরই এক ?

    এইটুকু বলতে এলাম, না , সব মেয়েদের গল্প, সব খুকীদের গল্প এমন নয়। না বললেও চলত হয়তো এমন লেখার শেষে। কিন্তু যাঁরা অন্যরকম গল্প তৈরি করেছিলেন মেয়ের জন্য , মেয়েদের জন্য - তাঁদের ঋণটুকুও স্বীকার করতে ইচ্ছে হল।
  • মিলা | 134.155.204.47 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৪:৫২570212
  • সান দি, ছাঁটা ফুলের আসন toi তে আমিও সেটাই লিখেছি
  • de | 213.197.30.4 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৬:২৩570213
  • এই লেখাটা আর ছাঁটা ফুলের আসন --দমদির দুটো লেখাই খুব সুন্দর, খুব ভালো লাগলো আবার পড়ে-- ব্লগেও পড়েছি--

    আমারো পুরানো পুজাবার্ষিকী আর আনন্দমেলাগুলো বেচে দেওয়া হয়েছিলো -- খুব কষ্ট আছে তার জন্য এখনো। তবে ঠিক মেয়ের বই বলে অবহেলা করে বেচে দেওয়া হয়নি বোধহয়! ওগুলো যে আমি আবার খুঁজবো সেটাই বাবা-কাকারা ভাবতে পারেনি --
  • 4z | 209.7.156.134 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৬:৪৯570215
  • হ্যাঁ এটা ঠিক যে মেয়ের বই বলে বেচে দেওয়া হয়নি। ঐ বইগুলো ধেড়ে বয়সেও খুঁজবো বা পড়তে চাইবো এটাই কেউ চিন্তা করেনি।
  • শ্রাবণী | 127.239.15.102 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৬:৫৯570216
  • স্যান,
    আজকাল হয়ত এক নয় কারণ বেশীরভাগ সংসারে এক, বড়জোর কোথাও দুই সন্তান। কিন্তু যেখানে দুজন বা দুইয়ের বেশী থাকত আগে তখন তো বাড়িতে জায়গাটা ফ্যাক্টর ছিল, ধর মেয়ে চলে গেছে, এদিকে ছেলের সংসার হয়েছে বা হবে সেই বাড়িতেই। কিছুদিন সব ধরে রাখা যেত কিন্তু বেশীদিন নয়
  • 4z | 209.7.156.134 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৭:০৪570217
  • এই তালে শ্রাবণীদিকে এট্টা রিকুয়েস্ট করি। শ্রাবণীদি তোমার লেখাটা আর এগোবে না?
  • শ্রাবণী | 134.124.244.107 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৭:১০570218
  • :))
    এগোতে হবে, কারণ খুব বেশী ফেলে রাখলে আমার সেই লেখা লিখতে আর ভালো লাগেনা, খেই হারিয়ে যায়। তবে ঠিক সময় আর সুযোগ হচ্ছেনা গো। এই বেড়িয়ে ফিরলাম, দেখি বসব শীগগির!
  • 4z | 209.7.156.134 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৭:১৬570219
  • সঙ্গে বেড়ানোর গল্পটাও লিখে ফেল :)
  • san | 24.96.38.118 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৭:৩২570220
  • শ্রাবণীদি আমি জানি। একভাই একবোনের মধ্যেই কত তফাৎ করা হয়ে থাকে.... তারওপর আবার বড়ো সংসার হলে। বুঝি । আমার বরং নিজেদেরই খুব প্রিভিলেজড মনে হয় , 'মেয়ে' বলে কখনও অ্যাডজাস্টমেন্ট এর প্রশ্ন আসেনি , না বাবামার সংসারে, না বরের সংসারে। এখানকার কারো কারো হয়তো আমার মতোই গল্প, কিন্তু গুরুর দুনিয়া আর বাইরের দুনিয়া ?

    কখনও পরে মায়ের গল্প, দিদিমার গল্প লিখব। বড়ো সংসারে 'মেয়ে' হবার, সকলের চোখের মণি হয়ে থাকার গল্প। তবে ও যে ব্যতিক্রম , তাও জানি।
  • pi | 82.83.82.13 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৭:৪৭570221
  • আমার বাড়িতে দাদার বইগুলো নয় নেই, নয় সেগুলো আমার জিম্মায় চলে এসেছিল।
    আমার বইগুলোতে কারুর হাত ছোঁয়ানোর সাহস হয় নাই। আর সেগুলো এখন দাদার মেয়ে পড়ে বা পড়বে এমন চেষ্টা চরিত্তির করা হয় ঃ)

    দু' কামরার ঘুপচি ফ্ল্যাটবাড়িতে আমাদের পাঁচজনের সংসারে ঐ বইগুলো একবার বিক্রির প্রস্তাব বাবদ যে অশান্তি হয়েছিল, আর তারপর ফতোয়া জারি হয়েছিল, তার জেরেই হয়ত গোড়ার দিকে সম্ভব হয়েছিল, কিন্তু পরে মা ই নিজে, অনেক চেষ্টা চরিত্তির ক'রে, জায়গা বের ক'রে, যত্ন ক'রে রেখে দিয়েছে। বলে, তুই থাকিস না, তোর বইগুলোতে হাত বুলোই।

    অবশ্যই এই গল্প সবার হবেনা, তবে আরো কারো কারো হবে।

    কোন গল্প কি সবার হয় ?
  • pi | 82.83.82.13 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৮:০০570222
  • আমার ইস্কুল কলেজ, ইউনির প্রায় সব বইখাতাই রয়ে গেছে। এখন আর অত নেই, কিন্তু একসময় যে কী মায়া ছিল ওদের উপর।

    কিছুই ফেলতে পারি না।
  • sosen | 125.241.76.40 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৮:০৮570223
  • আমি ওরকম বৈষম্য নিজের ক্ষেত্রে ঠিক দেখিনি। তবে অন্য অনেকের ক্ষেত্রে দেখেছি।
    সব বাড়িতেই একরকম তো হয়না- বৈষম্য বেদনা কিছু না পাওয়ার ক্ষোভ, এগুলো তো সব সময় ছেলে-মেয়ে হিসাবেও হয়না। দুই ছেলের মধ্যে হয়, দুই মেয়ের মধ্যে হয়। জাস্ট আদরের জিনিস গুলো যে সময়ের বহতা নদী তে কোনো একদিন হারিয়ে যায়, এটুকুই ব্যথা।
    খুব বেশি জেনারালাইজ না করাই ভালো, না কি?
  • pi | 82.83.82.13 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৮:১১570224
  • শ্রাবণীদি, ৪ঃ৫৯ এর সাথে কিছুটা ক। আবার অন্যরকমের কেসও কিন্তু কিছু হয়। বাড়ির ছেলে বাইরে চাক্রি করতে চলে গেলে আর অন্য ভাইয়ে বাড়িতে সংসার শুরু করলে বাইরে থাকা জনের বইপত্তরে কোপ পড়লো, যদি না নই সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশাবলী থাকে, এম্নি হতে দেখেছি, শুনেছি।
    এম্নি হতে দেখেছি বোন ছোট হলে আর স্থান সঙ্কুলান ঘটলেও।

    তবে, ঐ , ঐ হারিয়ে যাওয়া সবসময়ই দুঃখের। দেদি বা ফৌজির মত অনেক কেসেই ঐ পরেও পড়তে পারে, চাইতে পারে এই ব্যাপারটাই জাস্ট বাড়ির লোকজনের মাথায় আসে না।
  • pi | 82.83.82.13 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৮:১২570226
  • সোসেনকে পূর্ণ ক।
  • san | 24.96.71.34 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৮:২১570227
  • আমার মা যদি ক দিতে জানতো তো পাইদির ৫ঃ৪৭ এর পোস্টে ক দিতো ঃ-)
  • pi | 82.83.82.13 | ২২ আগস্ট ২০১২ ১৮:৩১570228
  • ঃ)
  • pipi | 139.74.191.152 | ২২ আগস্ট ২০১২ ২০:০০570229
  • এমনও তো হয়ঃ
    বেশ বড় জয়েন্ট ফ্যামিলি। ঠাকুদ্দাদার বিশাল বইএর কালেকশন। শুধু যে সমসামায়িক লেখকদের রচনা তাই নয় বহু পুরানো, অনামী অচেনা বই পত্তর এমনকি খান কতক পুঁথি অবধি সেই ভাণ্ডারে মজুত। পুরনো খবরের কাগজ, ম্যাগাজিনগুলো অবধি ঠাকুদ্দা আর তাঁর এক ছেলে মিলে বাঁধিয়ে রেখেছে সারি সারি। বাড়িতে ন-দশ খানা নাতি নাতনী। ঠাকুমার কাছে নাতনীরা অবশ্য এলের দড়ি বেলের দড়ি এক যদি না ফুটফুটে সুন্দর গোলগাল মোমের পুতুলটি না হয়। সবাই তাও মোটামুটি ঠাকুমার স্নেহের স্পর্শ পায় খামচা খানিক হলেও শুধু একজন একেবারেই সব হারাদের দলে। সে রুগ্ন, অসুস্থ, টিংটিংএ, বাকীদের সাথে সমান তালে খেলবার কি ছিনিয়ে নেবার জোর, গলার জোর কোনটাই তার নেই। তার এই রুগ্ন অসুস্থ অশক্ত শরীরের জন্য তার মাকে উল্টে কত ব্যাঁকাট্যারা কথা শুনতে হয় সেই ভেবেই সে মরমে মরে থাকে। তার উপর ভারী শান্ত। প্রতিবাদের ভাষাটাই সে জানে না। কথায় বলে না কাঁদলে মা'ও দুধ দেয় না সেখানে এমন চুপচাপ রুগ্ন মুখচোরা মেয়ের কদর আর কে করে। ঠাকুমাও কোনদিন করেন নি (বোধহয় তাঁর মনেই থাকত না যে তাঁর এই নাতনীটিও আছে) বাড়ীর অন্যরাও যে বিশেষ আহ্লাদিত ছিল এমন নয়।
    কিন্তু সবার জন্যেই বোধহয় উপরওলা কিছু না কিছু খুদকুঁড়ো জুটিয়ে দেন। এ মেয়েরও জুটল। চিচিং ফাঁকের মত ঐ বই এর রাজ্যটি সে আবিষ্কার করে বসল। এই ফেলির মতই তার যত জমে থাকা রাগ, দুঃখ, কষ্ট, কান্না স অ ব ভুলিয়ে দেবার, ভুলে থাকার জাদুকাঠিটা পড়ল হাতে। ঠাকুদ্দাকে সে বিশেষ দেখে নি। তার খুব ছোটবেলাতেই তিনি এ জগতের মায়া কাটিয়েছেন। কিন্তু ঐ তোষাখানায় ঢুকলে সেই অ-চেনা ঠাকুদ্দাদার প্রতি নাতনীর মন কৃতজ্ঞতায় ভিজে উঠত। বুড়ো জানতেও পারেন নি অজান্তেই তাঁর দৌহিত্রীকে কত দামী যৌতুক তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন।
    বাবার চাকরী সূত্রে যৌথ পরিবার ছেড়ে বাইরে বসবাস শুরু হলেও ছুটিছাটায় বাড়ী যাবার জন্যে মেয়ে যে মুখিয়ে থাকত তার কতটা ঐ বাড়ীর প্রতি বিশুদ্ধ টান আর কতটা যে ঐ আলিবাবার গুহার টানে কে বলতে পারে। অবশ্য তাই নিয়ে টিকা টিপ্পনীর অন্ত ছিল না। মেয়ে মানুষ সে থাকবে রান্না ঘরে, মা কাকীমা দের হাতের পাতের জোগাবে, ঘরের কাজকম্ম শিখবে। এ কেমন ধারা মেয়ে যে দিনরাত বই মুখে চিলেকোঠার ঘরে বসে থাকে? "কেতাবধারিনী" মেয়ের এমন অপরাধের জন্য মা বেচারীর কপালে ব্যঙ্গ বিদ্রূপের হুলটা একটা বেশীই ফুটত। উপায় না দেখে মা এসে মেয়েকে দুরমুশ করে দিত তবু কুসঙ্গ কাটাতে পারল আর কই। বাবার নিরবচ্ছিন্ন প্রশ্রয় ছিল মেয়ের উপর, পাখীর মত ডানা মেলে আগলে রাখতে পারেন নি যদিও তবু ঐ যে প্রশ্রয়ের একটু উপলব্ধি - ওটুকুই যথেষ্ট ছিল সেই মেয়ের কাছে।
    আশ্চর্য্য শুনতে হলেও ঠাকুমা কিন্তু তাঁর এই অনাদরের নাতনীটির এমন বিধঘুটে স্বভাবের জন্য তাঁর সুবি(কু)খ্যাত বচন ঝাড়েন নি কখনো। এবং আরোই আশ্চর্য্যের যে মৃত্যুশয্যায় তাঁর স্বামীর হাতে যত্নে গড়া ঐ লাইব্রেরীটি তিনি এই নাতনীটিকেই দেবার অনুরোধ করে যান! যারা ভাবছেন এই তো মধুরেন সমাপয়েৎ তাঁদের বলি কাহানীমে ট্যুইস্ট না থাকলে জমে নাকি। এ কেমন কথা যে বুড়ি তার বাকী সব নাতি নাতনীদের ফেলে ঐ ওকেই এই এত এত বই দিয়ে গেল!! হোক না মূল্যহীন তবু সামগ্রী তো বটে! আর কে না জানে অর্থমূল্যের থেকেও উদ্দেশ্যটাই আসল দামী জিনিস? তঁদের ছেলেমেয়েরা কি ফেলনা? বুড়ির নিশচয়ই ভিমরতি হয়েছিল।
    অতএব হল এই কিছুদিন পরে এক গরমের ছুটিতে এসে দেখা গেল বইএর আলমারীগুলোর চাবিটাই হারিয়ে গেছে। ঘর ভর্তি পুরনো দিনের দেয়াল আলমারী সব, তাতে সারি সারি বই আর সে সব আলমারীর একটাই চাবি। সে চাবি নাকি হারিয়ে গেছে। বহু খুঁজেও নাকি সে আর পাওয়া যায় নি। মুখচোরা মেয়ে বাবার কাছে গিয়ে কেঁদে ফেলে - চাবিওলা কে ডাকা হোক না, সে নিশচয়ই নতুন চাবি বানিয়ে দিতে পারবে। বাবাও কথাটা তুলল বটে কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল কেউই গা করল না। অতএব বন্ধুরা রয়ে গেল কাচের দেওয়ালের ওপারে। ছলছালে চোখে শুকনো মুখে ঘুরে বেড়াত লাগল মেয়ে। বন্ধ কাঁচের পাল্লায় কপাল ঠেকিয়ে জুলজুল করে খালি দেখে তার সাথীরা স্রেফ কয়েক ইঞ্চির দূরত্বে। ঠাকুদ্দা ছিলেন সংস্কৃতের পণ্ডিত। দেবনাগরী হরফে লেখা সেই বই গুলোর উপর মেয়ের ছিল বাড়তি টান। একদিন সে নিজে নিজে ঠিক ঐ বই গুলো পড়বে এই ছিল আশা। আপাতত হরফেরা সব হরপ্পার মৃত সৈনিক!
    এক যুগ পরে একদিন জানা গেল চাবি পাওয়া গেছে। আনন্দও যে কখনো কখনো গলার কাছে দলা পাকিয়ে যায় বুঝল সেইদিন যখন আলমারী খোলা হল। তার ছেলেবেলার সাথীরা সেই একরকম আছে, সেই ভীষণ চেনা ভীষন প্রিয় গন্ধ। শুধু হাতে নিয়ে মলাট খোলামাত্র ঝুরঝুর করে ঝুরো বালির মত ঝরে পড়ল তারা। তালা চাবি দিয়ে মেয়েকে আটকানো গেছে, উই বাহিনী কে নয়। অপ্রতুল খাদ্য সম্ভার - তারা মনের সুখে এই এক যুগেরও বেশী সময় ধরে নিশ্চিন্তে নিরুপদ্রবে বংশবিস্তার করেছে। কতক্ষণ সে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল ঐ ঘরে ভূতগ্রস্থের মত সে নিজেও জানে না। কিছুই আর তার মনে লাগে নি তারপর। লাগার মত মনটাও আর ছিল না যে। যখন অবশিষ্ট ক'খানিদের ছঁড়ে ফেলা হল, বস্তায় পোরা হল কাগজওলাকে বেচে দেওয়া হবে বলে তখনও না, যখন ঐ ঘর ঐ আলমারী সব হাতুড়ির ঘায়ে ভেঙ্গে ফেলা শুরু হল ঘর বাড়ানো হবে বলে তখনও। তার ঠাকুর্দার নিজের হাতে গড়া, তার ঠাকুমার দেওয়া তার উত্তরাধিকার - নাহ কিছুই আর গায়ে লাগে নি। শেষের পরে আর কিসের শোক। শুধু পরদিন বাড়ী থেকে যাবার সময় বুঝেছিল পিছনের গ্রন্থিগুলো আলগা হয়ে গেছে - মুক্ত হয়ে যাচ্ছে সে।

    এমনটাও কিন্তু হয়।
  • sosen | 125.241.76.40 | ২২ আগস্ট ২০১২ ২০:০৩570230
  • এ কি গপ্প পিপি দিদি :(
  • | 24.99.74.248 | ২২ আগস্ট ২০১২ ২০:২৯570231
  • পাই আর সোসেনের আপত্তিটা ঠিক বুঝলাম না। কোনটা জেনারেলাইজেশান এখানে?
  • | 24.99.74.248 | ২২ আগস্ট ২০১২ ২০:৩১570232
  • পিপি,

    পেটটা কিরকম খালি হয়ে গেল পড়ে। কি অদ্ভুত শূন্যতার বোধ .......
  • pi | 82.83.82.13 | ২২ আগস্ট ২০১২ ২০:৩৫570233
  • আমি তোমাকে বলি নি তো।
  • pi | 82.83.82.13 | ২২ আগস্ট ২০১২ ২০:৩৫570235
  • পিপি ঃ(
  • san | 24.96.71.34 | ২২ আগস্ট ২০১২ ২০:৩৫570234
  • পিপি ঃ-(
  • | 24.99.74.248 | ২২ আগস্ট ২০১২ ২০:৩৮570237
  • ও আচ্ছা। আসলে ছোটগল্পে এতকিছু লিখতে গেলে কিরকম বক্তৃতা টাইপ হয়ে যাবে তো, তাই জিগালাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন