এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • নিঃশব্দ পাহাড়

    saikat
    বইপত্তর | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ | ৬৩৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৈকত | 126.203.177.167 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:১২574027
  • আপনারা যারা বই-টই পড়েন, গুরুগম্ভীর তত্বকথা না, সাহিত্য পড়েন, উপন্যাস পড়েন, প্রথিতযশা লেখকদের লেখাই শুধু নয়, একদম নাম না জানা লেখকের উপন্যাস যোগাড় করে পড়ে ফেলার ইচ্ছে করেন, বিদেশী ভাষার কথা বলছি না, বাংলায় লেখা উপন্যাসের কথাই বলছি, তারা, দেরী না করে, শুভদীপ বড়ুয়ার লেখা 'নিঃশব্দ পাহাড়" নামে উপন্যাসের প্রথম খন্ডটা জোগাড় করে পড়ে ফেলুন। এ জিনিশ বাংলা ভাষায় পড়েননি বলেই মনে করি।
  • Blank | 69.93.195.110 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:১৫574038
  • পাবো কোথায়?
  • সৈকত | 126.203.177.167 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:২৩574049
  • উপন্যাস পড়ার লোভ আমার এ জীবনে যাওয়ার নয়। একটা উপন্যাসের মধ্যে ডুবে যাওয়া, পড়তে গিয়ে বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হওয়ার মত অনুভূতির মধ্যে ঢুকে যাওয়ার লোভ আমার সাথে সাথেই আছে , সে কতদিন ধরে। সেই জন্যই খুঁজে বেড়াই উপন্যাস, আর সেই ভাবেই হাতে উঠে এসেছে অখ্যাত-অনামী লেখকদের উপন্যাস, অথবা পরবর্তী কালে যারা কিঞ্চিত যশলাভ করেছেন। এই ভাবেই রবিশংকর বলের লেখালেখি, কিংবা সাদিক হোসেনের "মোমেন ও মোমেনা"। এই ভাবেই গত শনিবার থেকে হাতে নিয়ে ঘুরছি এই 'নিঃশব্দ পাহাড়" উপন্যাসখানি। আনন্দবাজারে পুস্তক পরিচিত বিভাগে , দুই লাইনের খবর দেখি, "পরিকথা" পত্রিকায় একটি উপন্যাস প্রকাশ হয়েছে। শুধু এই উপন্যাসটি নিয়েই এই সংখ্যাটি। ঐ যে বললাম, নাম না জানা লেখকের উপন্যাস পড়ার লোভ, সেই লোভই আমাকে বাধ্য করে, ঐ দিনই পাতিরামে যেতে ও পরিকথা-র সংখ্যাটি কিনতে।
  • kc | 188.61.96.29 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৩২574060
  • আজকে ইটিভিতে সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের শেষ সাক্ষাৎকারটি দেখাল, সেখানে তিনি এই লেখাটার খুবই প্রশংসা করলেন। দেখি কি করে জোগাড় করা যায়!!!!
    ব্ল্যাম্কি, আফগানিস্তানের বর্তমান পট্ভূমিতে লেখা।
  • Blank | 69.93.195.110 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৪০574071
  • পরিকথা এখনো পাওয়া গেলে আমি তুল নেবো
  • সৈকত | 126.203.177.167 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৪৪574082
  • এই উপন্যাসের বিষয়্বস্তু ঠিক কী? সোজা ভাবে বলতে গেলে স্যামুয়েল পিটার্স নামে এক আমেরিকান ক্রীড়া সাংবাদিকের, সত্তর দশকের শেষের দিকে, আফঘানিস্তানে দু'বার যাওয়া ও তৎসংক্রান্ত অভিজ্ঞতার বিবরণ। আর একটু বাড়িয়ে বলতে গেলে, এই উপন্যাসের বিষয় ষাটের দশকের উদ্দাম আমেরিকার বিবরণও, যে আমেরিকায় স্যাম বড় হয়ে ওঠে। আরও একটু বাড়িয়ে বললে বলা যায়, এই উপন্যাস সেই সুদূর খ্রীঃপূঃ ৩২৯-এর আলেকজান্ডারের আফঘানিস্তান অঞ্চলে আসা ও হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রমের চেষ্টা থেকে ১৯৭৯-এ সোভিয়েটের আফঘানিস্তান আক্রমণের বিবরণ। অথবা এই উপন্যাস, বোর্হেস লিখিত "আলেফ" যার মধ্যে দিয়ে যাবতীয় সময় আর স্থানকে দেখা যাচ্ছে, কিংবা হতে পারে এই উপন্যাস মানবচেতনার সেই অন্ধকার স্রোতের বিবরণ, যার মধ্যে জ্বলানেভা করে কিছু জোনাকির আলো, যা দেখেছিলেন ডস্টভয়েস্কি, কাফকা অথবা জীবনানন্দ।
  • pinaki | 132.164.233.158 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:০০574091
  • শুভদীপ আমার ক্লাসমেট। জ্জিও শুভদীপ। হাতে পেলেই বইটা পড়ে ফেলব।
  • | 24.99.212.163 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:০৬574092
  • সৈকত,

    এইটা যোগাড় করে ফেলব। ধন্যবাদ। আরেকটু বিস্তারিত হবে না?

    আমি সম্প্রতি পড়লাম 'কনফেশান বক্সের ভেতর। অটাম দিনের গান' লেখক সাগুফতা শারমিন তানিয়া। অদ্ভুত ভাল লেগেছে। পেলেই পড়ে ফেলো।
  • h | 127.194.232.3 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৪০574028
  • প্রতিটি বই ই চাই, কপি চাই। কি করতে হবে?
  • Blank | 69.93.193.166 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:১২574029
  • জেরক্স
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:১২574030
  • দারুণ বই মনে হচ্ছে, নিঃশব্দ পাহাড়, পড়তে হবে। এটা কি মৌলিক রচনা না কোন ইংরেজী লেখা র অনুবাদ / ভাবানুবাদ ?
  • সৈকত | 126.203.211.192 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১২:৩৬574031
  • দ, আর একটু লেখার ইচ্ছে আছে কিন্তু বইটা পুরো পড়া হয়ে ওঠেনি, তার মধ্যেই লোকজনকে বইটার কথা জানাবার ইচ্ছে হল বলে লিখে ফেললাম। কিন্তু তুমি যে লেখাটার কথা বলেছ সেটা কোথায় পাব?

    এই লেখাটা, পরিকথা-র সংখ্যা ছাড়াও মনে হয় বই হিসেবে বের হয়েছে, বইটার ফেবু পাতায় উল্লেখ আছে দেখেছিলাম, প্রকাশক আর দামের। আর হনু নিতান্ত যোগাড় করে উঠতে না পারলে আমকে বলুক, পড়া হয়ে গেলে দিতে পারি।

    অরণ্য, হ্যাঁ, এটা বাংলা ভাষাতেই লেখা, লেখকের মনে হয় ইচ্ছে আছে, ইংরেজীতে অনুবাদের। আমি যে লেখাটা পড়ছি সেটা আসলে তিন খন্ডে সমাপ্য উপন্যাসের প্রথম খন্ড। প্রায় শ'তিনেক পাতার। তিন খন্ডে শেষ হলে আকারে বইটা কি 'ওয়ার অ্যান্ড পিস'-কেও ছাড়িয়ে যাবে না?
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৩:০৬574032
  • সৈকত। যদি কলকাতায় থাকেন, তো বলি।
    পরিকথায় যখন একবার গেছেন, তখন আরেকবার যেতে পারবেন কি?
    আমার জন্য এক কপি "নিঃশব্দ পাহাড়" আর আপনার জন্য পরিকথার "বিংশ শতাব্দীর বাংলা উপন্যাস" সংখ্যা কিনে নেবেন।
  • সৈকত | 126.203.223.189 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৩:১৫574033
  • কল্লোলদা,

    শনিবারের আগে পাতিরাম যাওয়া হবে না। কিনে নেব আপনার জন্য। আর আমার জন্য যেটা কিনতে বললেন সেটা কেন কিনব? মানে সমালোচনা সংখ্যা কি?
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৪:২৪574034
  • বইটা পাওয়া গেলে কিনে নেবেন, সমালোচনা সংখ্যাটাও চাই।
    পরিকথার সম্পাদকের ফোন্নং তো পরিকথাতেই আছে। ওঁকে ফোন করে জিগান পরিকথার বিংশ শতাব্দির বাংলা উপন্যাস সংখ্যাটি আছে কিনা। এখন পাওয়া যায় না এমন কিছু অনামী লেখকের উপন্যাসের ওপর আলোচনা পরতে পাবেন।
    আমার মেল আইডি [email protected]এ মেল করুন। আপনার সাথে আলাপ করতে ইচ্ছে করছে।
  • | 69.161.142.49 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৪:৪০574035
  • সৈকত, নয়া উদ্যোগে পাবে হয়ত। আমাকে আসলে অদিতি কবির তাঁর নিজের কপিটা দিয়ে দিয়েছেন। না পেলে আমারটা ধার নিয়ে পড়তে পার। :-)
  • সৈকত | 126.203.204.223 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:১৮574036
  • কল্লোলদা, দেখব পাওয়া যায় কিনা দুটো বইই। উপন্যাস সংখ্যাটা মনে হয় আগে উল্টেপাল্টে দেখেছিলাম। আসলে এই রকম সংখ্যা আমি সাধারনতঃ কিনিনা, তার বদলে সূচীপত্র থেকে নোট করে নিই কোন বইগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, পরে সেগুলোর খোঁজ খবর করি। মেল করেছি।

    আর দ, নয়া উদ্যোগে খুব একটা ভরসা করি না। কলকাতা শহরে বসেই বাংলাদেশের নতুন লেখালেখি পাওয়া যে কী চাপ, সে যারা চেষ্টা করে তারা জানে।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৩১574037
  • পরিকথার ঐ সংখ্যাটা কিনতে বলার একটাই উদ্দেশ্য, অনেক বইয়ের আলোচনা আছে যা আর এখন পাওয়া যায় না।
  • h | 213.99.212.54 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৪২574039
  • সৈকত, বল্লাম, মেল ও করছি। বই গুলো চাই। পড়ে ফেরত দেবো। আর তোমারে ফোনে করে ঠিকানা ইত্যাদি জেনে নেবো।

    বাই দ্য ওয়ে, তোমার জন্য আমি একটা কোট জমিয়ে রেখেছি। ফোন নাম্বার হারিয়ে ফেলেছি বলে ফোন এ পড়ে শোনাতে পারিনি।

    I think it was my last year in Barcelona. The scorn I felt for mainstream literature was great though only a little greater than my scorn for marginal literature. But still I believed in literature or rather I didn't believe in arrivisme or opportunism or the whispering of sycophants.
    -Antwerp, Roberto Bolano
  • সিদ্ধার্থ | 103.57.87.26 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৭:৪১574040
  • দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়, পরিকথার সম্পাদকের ফোন নাম্বার 953218260203.

    বিংশ শতাব্দীর বাংলা উপন্যাস বই হয়ে বেরিয়েছে, দেজ থেকে।

    আর দুখানা দারুণ সংখ্যা হল বাংলাদেশের উপন্যাস, আর বাংগালীর মনন চর্চা। জোগার করে ফেলুন। ....
  • aranya | 78.38.243.161 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:৫৮574041
  • আফগানিস্তান-কে কেন্দ্র করে বাংলায় উপন্যাস লেখা হচ্ছে, কোন বিদেশী লেখকের রচনার অনুবাদ নয়, মৌলিক উপন্যাস - এই ব্যাপারটা দারুণ লাগছে।
  • সৈকত | 126.203.181.187 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:১২574042
  • আসলে বাংলা উপন্যাসের ভূগোল আর কতদূরই বা বিস্তৃত? উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিনবঙ্গ মুলতঃ। পশ্চিমদিকে কিছুটা সরে গিয়ে সাঁওতাল ও অন্যান্য উপজাতিদের নিয়ে, তাদের ওপর শোষণ আর তাদের প্রতিবাদের কাহিনী। মোটামুটি এই। পঞ্চাশ বছর আগে হলে, কিছুটা ভাগলপুর-পূর্ণিয়া। বাংলা উপন্যাসের সেরা কাজগুলো এই ভূগোলের মধ্যেই স্থিত। ঐতিহাসিক উপন্যাসের কথা বলছি না, উপন্যাসের বিষয়বস্তু মোটামুটি ভাবে বর্তমান, তো, এই পরিস্থিতিতে একজন লেখক, পঞ্চাশের দশকের মিউনিখ, ষাটের দশকের আমেরিকা আর দাবার বোর্ডের মত সত্তর দশকের আফগানিস্তান (যে দাবা খেলাটা এখনও শেষ হয়নি), এইসব নিয়ে একটা উপন্যাস বানিয়ে তুলছেন সেটা যেমন চমকপ্রদ তেমনি আরও চমকপ্রদ এই তথ্যটি , যদি সেটা ঠিক হয়, যে লেখক আফগানিস্তান কিংবা আমেরিকা কোন না জায়গাতেই যাননি। কাছ থেকে না দেখলে উপন্যাস লেখা যায়্না, আঁকাড়া অভিজ্ঞতা না থাকলে উপন্যাস লেখা যায়্না, এই সব মতকে যেন অস্বীকার করে এই যে লেখাটি লিখে ফেলেছেন সেটা এটাই প্রমাণ করে যে শুধুমাত্র বই পড়ে, কথা ভেবে আর কল্পনাপ্রতিভা দিয়েও উপন্যাস লিখে ফেলা যায়।

    ঔপন্যাসিকের কাজ সময়কে সার্ভ করা, এই রকম একটা ক্থা বলা হয়ে থাকে। উহ্য থাকে সময়'এর আগে "এই" শব্দটি। কিন্তু শুধু মাত্র এই সময় নিয়ে লিখলে, খুব তাড়াতাড়ি ঐ লেখা ঐ সময়তে আঁটকে যেতে পারে। আবার নাও পারে। মাণিক বন্দ্যোপাধায়ের "চিহ্ন"-র মত উপন্যাসের যে সময়, সেটা আমাদের জীবিতকালে যে আমরা দেখতে পাব না, তার কোন স্থিরতা নেই। আসলে বড় সময় নিয়ে লেখকের ধারণাটা ঠিক কীরকম, কোন কোন লেখায় সেই ব্যাপারটাও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মজা হল, অনতিঅতীতের সময় নিয়ে এই উপন্যাসটা লেখা হলেও, উপন্যাসটার প্রথম পরিচ্ছেদ, যা শিরোনামহীন, ঘটনার দিক দিয়ে যার সাথে মূল উপন্যাসের ঘটনার কোন যোগই নেই, বিষয়ের দিক দিয়ে আছে, সেই অংশের ঘটনাটা কিন্তু ঘটছে উপন্যাসের সময় থেকে আরও এগিয়ে এসে, একদম বর্তমানেই বলা যায়। কাশ্মীর উপত্যকার উধমপুরে, তাওয়াই নদীর ধারের এক ধ্পিআ, দুরন ধোবি, ঐ অন্চলে আসা একটি পুরুষ, তার সাথের এক মহিলা (যে হয়ত তার রক্ষিতা, হয়ত না) আর একটি ছোট ছেলেকে সন্দেহ করে তারা পাকিস্তান থেকে আসা সন্ত্রাসবাদী। ছেলেটির সাথে কথা বলে দুরন জানতে পারে যে তারা নাকি আগে থাকত বরামুলায়, আগুন লেগে সব পুড়ে গেলে তারা নীচে নেমে আসে। এরপর কোথায় যাবে জানতে চাইলে ছেলেটি দার্শনিকের মত উত্তর দেয়, "ক্রুহ সাসাহ" যার অর্থ শয়ে শয়ে ক্রোশ ! তাদের যাত্রা এখনও বাকী, যাবে তারা অনেক দূর, কিন্তু কোথায়? দুরন শেষ পর্যন্ত এদের সম্বন্ধে পুলিশে খবর দেয়। দেয় কিন্তু একটু দুঃখিতও হয়ে পড়ে। পরিচ্ছেদটির শেষ অংশে দেখা যায়, ঐ তিনটি মানুষ গভীর রাতে তাদের মহল্লা থেকে বেরিয়ে এসেছে পুলিশের তল্লাশীর ভয়ে, নাদের ধারে গর্ত খুঁড়ে একটি কোরানকে মাটিতে পুঁতে দেয়, কারণ সেই কোরানে আছে পেশোয়ারের এক প্রকাশকের নাম-ঠিকানা। ভারতের পুলিশের হাতে পড়লে সেটা হবে তাদের পক্ষে বিপজ্জনক। তারপর তারা দীর্ঘ জীবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ক্রুহ সাসাহ। তারপর তারা "নিরাপদে পার হয়ে চলেছে একের পর এক বিপদসঙ্কুল বাঁক, খাড়া করা পাহাড়ি ঢাল, গুরুত্বপূর্ণ সব চেকপোস্ট, আর ফাঁড়ি।"

    সত্যি সত্যি কোথা থেকে এসেছিল, কারা তারা, কিছুই বলা হয়না, উপন্যাসের বাকী অংশে এরা আর ফিরে আসেও না। দরকারও নেই, কারণ এরা প্রতীকমাত্র, ইতিহাস জুড়ে ঘটে চলা অন্তহীন মাইগ্রেশনের সাক্ষী।

    আর এর পরের পরিচ্ছেদের শিরোনাম হয় "পরিযাত্রাপথে প্রথম স্বপ্নপুরী" - স্যাম আফঘানিস্তানে প্রবেশ করে। যাত্রা আর স্বপ্ন এখানেও জুড়ে থাকে।

    সময় সম্বন্ধে লেখকের ধারনাটা যেন এই। যাত্রা আর স্বপ্ন। মানুষের। কিন্তু পুরোটাই যেন ঘটে চলেছে একটা দাবার বোর্ডের ওপর। তার কথা পরে।
  • সৈকত | 126.203.181.187 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:১৮574043
  • * আফগানিস্তান বা আমেরিকা কোন জায়গাতেই যাননি।

    * ঐতিহাসিক উপন্যাসের কথা বলছি না, উপন্যাসের বিষয়বস্তু মোটামুটিভাবে বর্তমান, সেই রকম উপন্যাসের কথাই বলছি। তো, এই পরিস্থিতিতে .....

    * তাওয়াই নদীর ধারের এক ধোপা

    * নদীর ধারে গর্ত খুঁড়ে
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৫:৩৪574044
  • সৈকত, বড় সুন্দর লিখেছেন। এই শীতে কলকাতা যাব, তখন 'নিঃশব্দ পাহাড়' অবশ্যই সংগ্রহ করব। আপনার অনবদ্য লেখার গুণে বইটা পড়ার আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে।

    শ্রদ্ধেয় আলী সাহেবের বই আছে - আফগানিস্তানের পট্ভূমিতে, উনি অবশ্য ওখানে ছিলেন বেশ কিছুদিন। একটা জায়গায় না গিয়ে শুধু লাইব্রেরী ওয়ার্ক + কল্পনার ভিত্তিতে বাংলায় উচ্চমানের লেখা কিছুই বোধহয় নেই, একমাত্র চাঁদের পাহড় মনে পড়ছে, বিভূতিভূষণের ক্লাসিক।
  • h | 127.194.229.99 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৬:২৯574045
  • পড়ছি। আরো লিখো সৈকত।
  • h | 127.194.225.127 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:৩৮574046
  • সৈকত(২য়) ভুলে যেও না, লিখো।
    দমু, তুমি এই নতুন বইগুলোর রিভিউ লিখলে লিংকটা মেল এ বা এইখানে দিও।
  • b | 135.20.82.166 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৩:২৮574047
  • অরণ্য, বিদেশ নিয়ে উপন্যাসের লিস্ট বোলে তো বিভূতিভূষণের 'মরণের ডংকা বাজে' ( ২য় বিশ্বযুদ্ধ, চীন) আর অবশ্যই ঘনাদার তস্য তস্য উপন্যাস।

    তবে সমালোচকরা বরাবর-ই একটু নাক কুঁচকে জানিয়েছেন "এ হে হে হে। কিশোরপাঠ্য!'
  • সৈকত | 126.203.190.78 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৪০574048
  • এই মাত্র শেষ করলাম বইটা। শুধু একটা কথাই উঁচু গলায় বলে যাব - কী আশ্চর্য এক উপন্যাস লিখেছেন, শুভদীপ বাবু ! কোন দিন আলাপ হলে, একবার হাতদুটো দেখব। অনুভূতিদেশ থেকে আলো না পেলে এই লেখা সম্ভব হয় না। আফঘানিস্তান নিয়ে লেখা উপন্যাস বললে, কিছুই বলা হয় না, খন্ডিত করে দেওয়া হয় এই আশ্চর্য লেখাটিকে।
  • সৈকত | 126.203.209.205 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৪৫574050
  • লক্ষ্য করে দেখবেন, দশমবর্ষীয় বালকটিই, দুরনকে বলে "ক্রুহ সাসাহ"-র কথা। পৃথিবী বুড়ি হয়ে যায়, সভ্যতাও পরিপক্ক হয় কিন্তু একটি বালকের সামনে শয়ে শয়ে ক্রোশ পড়ে থাকে ! আর পেছনে থাকে আগুন, যে আগুন লেগে বরামুলাতে তাদের সবই পুড়ে গেছিল। এই আগুন, যা আসলে ইতিহাসেরই অন্তহীন আগুন আর তা থেকে মানুষের পালিয়ে বেড়ান, এই ব্যাপারটা বিশদে এসেছে "উশবতী ও খরাবতী" নামে ৭ নং পরিচ্ছেদে। অধীত জ্ঞান আর কল্পনার মিশেলে গড়ে তোলা এই অংশটি উপন্যাসের মূল সুরটাকে স্পষ্ট করে। উশব্তীরা ছিল পুতুল, সেই প্রাচীন মিশরে তাদের গড়া হত ছোট্ট মমির মত করেই আর ঢুকিয়ে দেওয়া হত রাজা-রাজাড়াদের সমাধির মধ্যে। তাদের কাজ ছিল, মৃত আত্মার মনের তাবৎ কৌতহল মেটানো, মৃত আত্মার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। মৃত আত্মার শেষ বিচারের সময়ে এরাই উত্তর দিত মৃতদের হয়ে আর সেই উত্তরে সন্তুষ্ট হলেই মৃত্যুদেবতা ওসিরিস পাতালপুরী পার হবার অনুমতি দিতেন মৃতকে। আলেকজান্ডারের মিশর আক্রমণের পরে, কিছু পুতুল চলে আসে পূবে, হিরাট-কান্দাহার-বালখ অঞ্চলে। এইরকমই একটি ছোট্ট পুতুলকে নিয়ে মহসীন খানের পূর্বপুরুষদের সাথে সাথে ঘুরে বেড়াতে থাকি চেঙ্গিজ খানের বিধ্বংসী আক্রমণ আর তৈমুর লং-এর জন্য মৃতের মাথা দিয়ে তৈরী করা আঠাশটা স্তুপে ধরিয়ে দেওয়া আগুনের মধ্যে দিয়ে। পারস্যে সাভাভি রাজবংশের উত্থান আর পূবে মুঘলদের প্রভাব, নাদির শাহের লুন্ঠন আর তৃতীয় পাণিপথের যুদ্ধ, আফঘানিস্তানের উত্তরের "কাফিরিস্থান"কে দমন করার জন্য পাশতুনদের আক্রমণ - অজস্র হিংস্রতার মধ্যে দিয়ে কোন রকমে মাথা বাঁচিয়ে চলতে থাকা মানুষগুলো যখনই নরক দর্শনের জায়্গায় পৌছয় তখনই দিব্য নীল আলোতে ভরে যায় ঐ পুতুল আর কথা বলে ওঠে। নরক থেকে বের হয়ে কীভাবে কোনক্রমে বেঁচে থাকা যায় তার হদিশ দেয়।

    আর মহসীন খান ছিল আফঘানিস্তানের "মিনিস্ট্রি অফ ইন্টিরিয়রের"-র উচ্চপদস্থ কর্মচারী, স্যামের সাথে তার আলাপ হয় যখন স্যাম প্রথমবার কাবুলে পৌছয় ১৯৭৫ সালে, যার দু'বছর আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আফঘানিস্তানে। মহসীন খানের মেয়ে মাহিলের সাথে পুতুলটি যখন কথা বলা শুরু করে সেই সময়ে রাশিয়া আর আমেরিকা, উভয়ের চাপে পড়ে গনতান্ত্রিক সরকার টালমাটাল। কমিউনিস্টদের একটি ভাগ, পরচমি, যাদের সাহায্য নিয়ে রাজতন্ত্রকে সরিয়ে দিয়ে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়, সেই পরচমি আর সরকারের এতটুকু বিরোধী যারা তাদের সরে যেতে হয়, মহসীন খানকেও। মাহসীন খান বুঝেছিল, পরিবর্তনের নামে ক্ষমতার স্ব্চ্ছতার প্রকাশ ঘটে আর মানুষ হয়ে ওঠে ইতিহাসের সেই নিষ্ঠুরতম জীব যে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে চাইছে। সেই ইতিহাসে ক্ষুধা-ন্যায়-নীতি-ব্যাভিচার আর লক্ষ লক্ষ সেনা, যারই স্থান হোক না কেন, মহসীন খান সরে যেতে চেয়েছিল। শুধু একটু যন্ত্রনা পেতে হয়েছিল। দাবার বোর্ডের ওপর মানুষের বোড়ে হয়ে যাওয়া, আগুন আর নরকের দৃশ্যগুলো ফিরে আসতে থাকে আফঘানিস্তানে। আর পুতুলটি মাহিলকে বলে, তোমার বংশে পতিতাবৃত্তির প্রবল সম্ভাবনা আছে, তুমি এক আদিম পতিতা। মাহিল একটু বিহ্বল হয়ে পড়েছিল, পাশতু ভাশায় "খরাব" শব্দটিকে নেড়েচেড়ে দেখে তার শুনতে লাগে - খরাবতী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন