এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্নিগ্ধেন্দু | 125.69.142.57 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৫০574118
  • সুবিমল মিশ্র বেশ অসুস্থ। মঙ্গল বার PG তে ভর্তি করা হয়। তারপর ইু তে একদিন। প্রথম ক'দিন মূলত লালা দাই সব্সময় থাকছিলেন,যোগযোগ রাখছিলেন মুজিবর রহমান, মৌলিনাথ বিশ্বাস রা।

    গিয়ে দেখ্লাম, বেশ অসুস্থ।অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। বেশ রোগা হয়ে গ্যাছেন। যতদিন হাসপাতালে আছেন, খানিক সেবা পাবেন। বারি ফিরলেই আবার একা। তবু একটা বিষয় দেখে বেশ ভাল লাগল। তিমেস ওফ ইন্দিঅ, প্রতিদিন খবর টা করেছে। ইংরাজি যে বই টা বেরিয়েছে, তাতে দেখলাম রুচির যোশি, অমিতাভ চৌধুরিদের কমেন্ট।মেইন স্ট্রিম তাহলে কথাবার্তা বলছে একটু আধটু! উত্তম প্রস্তাব!

    মাঝে আমাদের সাথে একটু ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল। ওর ওপর একটা documentary করা নিয়ে। আমাদের সাথে কথা হলেই উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলেন। তাঁকে বিরক্ত করার কোন ইচ্ছে ছিলনা। তাই যোগযোগ বন্ধ করে দি এক সময়। filmটার কাজ মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যায়। এবার দেখা হতেই বল্লেন, বুড়ো মানুষ, কখন কি বলেছি, মনে রাগ পুষে রেখো না। শুনে বেশ খারাপ লাগলো। ভুলবোঝাবুঝির দায় তো আমাদের ও।
  • স্নিগ্ধেন্দু | 125.69.142.57 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৫১574129
  • *iccu
  • স্নিগ্ধেন্দু | 125.69.142.57 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:৩২574139
  • সুবিমল মিশ্র বেশ অসুস্থ। মঙ্গল বার তে ভর্তি করা হয়। তারপর ইু তে একদিন। প্রথম ক'দিন মূলত লালা দাই সব্সময় থাকছিলেন,যোগযোগ রাখছিলেন মুজিবর রহমান, মৌলিনাথ বিশ্বাস রা।

    গিয়ে দেখ্লাম, বেশ অসুস্থ।অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। বেশ রোগা হয়ে গ্যাছেন। যতদিন হাসপাতালে আছেন, খানিক সেবা পাবেন। বারি ফিরলেই আবার একা। তবু একটা বিষয় দেখে বেশ ভাল লাগল। times of india, সংবাদ প্রতিদিন খবর টা করেছে। ইংরাজি যে বই টা বেরিয়েছে, তাতে দেখলাম রুচির যোশি, অমিতাভ চৌধুরিদের কমেন্ট। Gentleman পত্রিকা থেকে কমেন্ট। মেইন স্ট্রিম তাহলে কথাবার্তা বলছে একটু আধটু! ভালো। উত্তম প্রস্তাব!

    মাঝে আমাদের সাথে একটু ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল। ওর ওপর একটা দোুমেন্তর‌্য করা নিয়ে। আমাদের সাথে কথা হলেই উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলেন। তাঁকে বিরক্ত করার কোন ইচ্ছে ছিলনা। তাই যোগযোগ বন্ধ করে দি এক সময়। ফিল্মটার কাজ মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যায়। এবার দেখা হতেই বল্লেন, বুড়ো মানুষ, কখন কি বলেছি, মনে রাগ পুষে রেখো না। শুনে বেশ খারাপ লাগলো। ভুলবোঝাবুঝির দায় তো আমাদের ও।

    আসলে সুবিমল মিশ্র কে নিয়ে ছবি কখনই conventional হতে পারে না। আমরা সুবিমল এর লেখা থেকে নানা শেড এর সুবিমল কে ধরে এমন একটা docu-fiction বানাতে চাইছিলাম যাতে সব চরিত্র ই সুবিমল। মানে, সুবিমল যে ভাবে আমাদের ভাষাকে ভাংতে শিখিয়েছেন, cinemaয় সেটা খানিক প্রয়োগ করার চেষ্টা আরকি!

    কিন্তু, নানা কারণে, আমাদের উদ্যোগ বিষয়ে তাঁকে convince করাতে পারিনি। দুদিন সুবিমল দার বাড়িতে যেটুকু shoot করা হয়েছিল, তা এডিট করে 12 মিনিট এর একটা incomplete ছবি বানাই। সেটাকে ছবিটার একটা trailer বলা যায় মাত্র। নাম ছিল, Subimal Mishra: Shot at Underground। youtube এ upload করে রেখেছিলাম।

    (চলবে)
  • snigdhendu | 125.69.142.57 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:৩৪574140
  • দুটো হয়ে গেল। প্রথম post টা delete করে দিলে ভাল হয়।
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৩০574141
  • সরকার-কি চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে পারে - চেষ্টা করা হয়েছে কি?
    দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই প্রার্থনা।
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.247.129 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৫৮574142
  • বাড়ি ফিরলে একা কেন? স্ত্রী, মেয়ে কোথায়?

    আর মা কি মারা গেছেন?

    ডায়াবেটিসে একটা চোখ নষ্ট হয়ে গেছিল। কিডনিও ভোগাত। .সেই রোগেই হসপিটালে কি? ..
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.247.129 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:০২574143
  • লালাদি মানে জারী বোবাযুদ্ধ কি? দুজন লালা আছে
  • Anamitra | 127.194.4.223 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:৪১574144
  • লালাদি নয়, লালা দা, মানে প্রচেতা ঘোষ। হ্যা, জারি বোবাযুদ্ধ।

    মা সম্ভবত মারা গেছেন, স্ত্রী আর মেয়ে তো বাইরে থাকতেন অনেকদিন ধরেই।

    সরকারের তরফে কিছু করা হযেছে বা কেউ আবেদন করেছিল বলে শুনিনি। সুবিমল সেই সাহায্য আদেও নিতেন কি পেলেও?
  • কেশব দাস | 233.29.198.244 | ০৬ অক্টোবর ২০১২ ২২:৩৮574145
  • সুবিমল মিশ্রের লেখালিখি সম্পর্কে এখানে কেউ কিছু জানাবেন please...online ওনার লেখা-পত্তর পাওয়া গেলে লিঙ্ক দেবেন কেউ...
  • Souva | 125.114.13.162 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১২:৩৫574120
  • লেখাটা পড়ে অবধি, স্নিগ্ধেন্দু ও অনমিত্র, অত্যন্ত অপরাধবোধে ভুগছি।

    মনে পড়লো, তখন কলেজের সেকেন্ড ইয়ার। নবারুণ, আখতারুজ্জামান, অমিয়ভূষণ, বা কমলকুমারে গ্রস্ত ও প্রথাভাঙার জ্বরে আশিরনখ আক্রান্ত। মাঝেমধ্যে দেশ পত্রিকায় দেখতাম অতনু পাল বলে কেউ সুবিমলের বইয়ের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। দেখতাম, লেখা আছে এমন একজন লেখক যিনি কখনো কোনোদিন লিটল ম্যাগের বাইরে কোনো বড় ও বাণিজ্যিক পত্রিকায় লেখেননি। দেখতাম বইয়ের নামগুলো বড় অদ্ভুত--'ওয়ান পাইস ফাদার মাদার', '৩৬ বছরের রগড়ারগড়ি', 'চেটে-চুষে-চিবিয়ে-গিলে', এইরকম। প্রথম প্রথম তেমন গা করিনি। মনে হচ্ছিল, বাংলা গদ্যের নিরীক্ষার স্থানটি বর্তমানে প্রায় মৃত। বরং আমি তখন ক্রমশ মার্কেজ, কুন্দেরা, ক্যালভিনো ও অন্যান্য পরিচিত ইউরোপীয় নামে মুগ্ধ ও ভাষাহীন।

    এরপর, একটী আশ্চর্য ব্যাপার ঘটল, ভাগ্যের পরিহাস বলে মনে হয় এখন। আনন্দবাজার পত্রিকার সোমবারের সম্পাদকীয় পাতায় তখন 'কলকাতার কড়চা' বেরোত। সেখানে দেখলুম, সুবিমল মিশ্রকে নিয়ে ছোট একটি লেখা বেরিয়েছে। তাতে তাঁর লেখার পরীক্ষানিরীক্ষার জায়গাটি নিয়ে দু-এক ছত্র লেখা। এমনকি, এ কথাও লেখা যে, নবারুণের ফ্যাতাড়ুর বহু আগে, সুবিমলই যথার্থ সাব-অলটার্ণ ভাষা ও তথাকথিত মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের ট্যাবুগুলিকে আক্রমণ করেছিলেন, তাঁর লেখায়। এর পর, একদিন 'কবিতীর্থ' পত্রিকার একটি সংখ্যায় সুবিমলের বইয়ের বিজ্ঞাপন দেখলাম, আবার। সেখানে ফোন নাম্বার দেওয়া ছিলো, লেখা ছিলো--"সুবিমলের বই এখন আর পাওয়া যায় না বললেই চলে, পেতে হলে এই নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে"।

    আমি কপাল ঠুকে ফোন করি। ও অন্যদিক থেকে এক বয়স্ক মানুষের গলা ভেসে আসে। তিনি আমাকে পরের শনিবার ধর্মতলায় মেট্রো সিনেমার নিচে দ্যাখা করতে বলেন। ফোন রাখার আগে আমি, নিতান্ত মূর্খের মতো, তাঁর পরিচয় জিজ্ঞেস করি। তিনি হাসেন ও বলেন, দ্যাখা হলে জানতে পারবে।

    বলা বাহুল্য, টেলিফোনের অন্যপ্রান্তের মানুষটিই সুবিমল মিশ্র। ততোদিন অবধি আমার ধারণা ছিলো লেখক মানে একটা মস্তো ব্যাপার। তিনি বাস ঠেঙিয়ে একজন অচেনা, ছোকরা পাঠককে বই দিতে আসবেন, এ আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারতুম না। সেই প্রথম, ভাঙার শুরু--মিথ, প্রথা, লেখার ধাঁচ, কতোকিছুই যে ভেঙে গ্যালো তারপর, সেই এক সাক্ষাতের ধাক্কায়।

    জানি না কেন, এই মানুষটি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। যতোদিন কলকাতায় ছিলুম, বহুবার দ্যাখা করেছি। সিনেমা দেখতেন পাগলের মতো। স্নিগ্ধেন্দু, অনমিত্র জানে, দ্যাখা হলেই সিনেমার ডিভিডি নিয়ে বায়না জুড়তেন। বিশেষতঃ, গোদার নিয়ে তাঁর মুগ্ধতা অবসেশনের পর্যায়ে পৌঁছে যেতো প্রায়। যতদূর সম্ভব, নানান ছবির ডিভিডি যোগাড় করে দিতাম।

    মনে আছে, উইকিপিডিয়ায় যখন তাঁর ওপর একটি লেখা লিখি, তখন ফোনে শিশুর মতো আহ্লাদ প্রকাশ করেছিলেন।

    কলকাতা ছাড়ার পরও ফোনে যোগাযোগ ছিলো। ২০০৯-১০ অবধি। কলকাতা যেতুম যখন, দুয়েকবার তাঁর বাড়িতেও গিয়েছি। সে এক আশ্চর্য বাসস্থান। শম্পা মির্জা নগরের এক সরকারি দু-কামরার ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। তার মেঝেয়, দেয়ালের তাকে, বিছানায়, টেবিলের ওপর স্তূপাকার বই আর কাগজ। কোনোদিন গোছাতেন না। বলতেন, শুধু লেখায় নয়, আমি আমার জীবনযাপনের মধ্যেও মধ্যবিত্ত মানসিকতাটি ভেঙে ফেলতে চাই--মধ্যবিত্তের গোছানো ঘরবাড়ির ধারণাটিও।সোনাগাছির কাছে একটি স্কুলে পড়াতেন। সম্ভবতঃ, অবসর নেওয়ার পর, সেই পেনশন ছাড়া তাঁর অন্য কোনো উপার্জন ছিলো না। বৌদি মেয়েকে নিয়ে হাওড়ায় নিজের বাড়িতে থাকেন, মাঝেমধ্যে শম্পা মির্জা নগরের ফ্ল্যাটেও।

    শরীর অসুস্থ বহুদিন। পেসমেকার, ডায়াবিটিসের সমস্যা, কিডনির অসুখ। মাঝেমধ্যে অবিশ্যি তাঁর বাড়াবাড়ি দেখে মনে হতো, এই অসুখ নিয়ে সুবিমলের একটা নার্সিসিজম আছে, এক ধরণের বাতিক। যদিও জানতাম, বাস্তবিকপক্ষে এর একটুও বানিয়ে বলা নয়, লোকটা সত্যিই লড়াই করছে, লেখালিখির এস্টাব্লিশমেন্টের বিরুদ্ধে, চারদিকের তুমুল অস্বীকারের বিরুদ্ধে, এমনকি নিজের শরীরের বিরুদ্ধেও। তবুও, বিশ্বসাহিত্যের সাম্প্রতিকতম খুঁটিনাটির বিষয়ে অপার আগ্রহ বরাবর লক্ষ করেছি। চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ, তবুও অনবরত পড়ছেন। শেষবার আমাকে বলেছিলেন, "ফিনেগানস ওয়েক" আবার পড়ছি, বুঝলে। এ বই যেখান থেকেই শুরু করো, পড়তে কোনো অসুবিধে হয় না। কোনো ডেফিনিট এন্ট্রি পয়েন্ট নেই এ বইয়ের, আর সেটাই এর সবচেয়ে বড়ো গুণ।

    সুবিমলের লেখালিখি নিয়ে কী বলবো? "হারাণ মাঝির বিধবা বৌয়ের মড়া বা সোনার গান্ধীমূর্তি", আজও, আমার মতে পৃথিবীর সেরা ছোটোগল্পের একটি। একই কথা, "বাগানের ঘোড়ানিমের গাছে দ্যাখনচাচা থাকতেন" বা "পরীজাতক" সম্পর্কেও বলতে পারি। "আসলে এটা রামায়ণ চামারের গল্প হয়ে উঠতে পারতো" নামে তাঁর যে উপন্যাস বা অ্যান্টি-উপন্যাস রয়েছে, তার গঠনকৌশল আজও আমাকে বিস্মিত করে। সুবিমলের পরের দিকের লেখালিখি বরং সবসময়ে আমার ভালো লাগেনি। একধরণের সরলীকরণের প্রবণতা লক্ষ করেছি। তবুও, ভাষা ও ফর্মকে ভাঙচুর করার যে দুর্বার উদ্যম ও সাহস, তার কাছে আমার আভূমি কুর্নিশ।

    তবু, অপরাধবোধ এই কারণে যে, বহুদিন হয়ে গ্যালো, লোকটার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে ফেলেছি নিজের দোষেই। নানাবিধ ব্যস্ততায় ও নিজস্ব আলস্যের দোষে ফোন করিনি। একদিন আমার হাওড়ার বাড়ির ল্যান্ডলাইনে ফোন করেছিলেন। মার মুখে শুনে ভেবেছিলুম পরে ফোন করবো, করা হয়ে ওঠেনি। সুবিমলের অনুবাদক ভি রামস্বামী মেল করেছিলেন, তার উত্তর দেওয়া হয়নি।

    বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখাটা খুব ব্যক্তিগত হয়ে গ্যালো। এসব লেখার কোনো দরকার ছিলো না। তবু, একধরণের মোক্ষণ দরকার হয়, সেটা ভেবেই।
  • Souva | 125.114.13.162 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ১২:৩৫574119
  • লেখাটা পড়ে অবধি, স্নিগ্ধেন্দু ও অনমিত্র, অত্যন্ত অপরাধবোধে ভুগছি।

    মনে পড়লো, তখন কলেজের সেকেন্ড ইয়ার। নবারুণ, আখতারুজ্জামান, অমিয়ভূষণ, বা কমলকুমারে গ্রস্ত ও প্রথাভাঙার জ্বরে আশিরনখ আক্রান্ত। মাঝেমধ্যে দেশ পত্রিকায় দেখতাম অতনু পাল বলে কেউ সুবিমলের বইয়ের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। দেখতাম, লেখা আছে এমন একজন লেখক যিনি কখনো কোনোদিন লিটল ম্যাগের বাইরে কোনো বড় ও বাণিজ্যিক পত্রিকায় লেখেননি। দেখতাম বইয়ের নামগুলো বড় অদ্ভুত--'ওয়ান পাইস ফাদার মাদার', '৩৬ বছরের রগড়ারগড়ি', 'চেটে-চুষে-চিবিয়ে-গিলে', এইরকম। প্রথম প্রথম তেমন গা করিনি। মনে হচ্ছিল, বাংলা গদ্যের নিরীক্ষার স্থানটি বর্তমানে প্রায় মৃত। বরং আমি তখন ক্রমশ মার্কেজ, কুন্দেরা, ক্যালভিনো ও অন্যান্য পরিচিত ইউরোপীয় নামে মুগ্ধ ও ভাষাহীন।

    এরপর, একটী আশ্চর্য ব্যাপার ঘটল, ভাগ্যের পরিহাস বলে মনে হয় এখন। আনন্দবাজার পত্রিকার সোমবারের সম্পাদকীয় পাতায় তখন 'কলকাতার কড়চা' বেরোত। সেখানে দেখলুম, সুবিমল মিশ্রকে নিয়ে ছোট একটি লেখা বেরিয়েছে। তাতে তাঁর লেখার পরীক্ষানিরীক্ষার জায়গাটি নিয়ে দু-এক ছত্র লেখা। এমনকি, এ কথাও লেখা যে, নবারুণের ফ্যাতাড়ুর বহু আগে, সুবিমলই যথার্থ সাব-অলটার্ণ ভাষা ও তথাকথিত মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের ট্যাবুগুলিকে আক্রমণ করেছিলেন, তাঁর লেখায়। এর পর, একদিন 'কবিতীর্থ' পত্রিকার একটি সংখ্যায় সুবিমলের বইয়ের বিজ্ঞাপন দেখলাম, আবার। সেখানে ফোন নাম্বার দেওয়া ছিলো, লেখা ছিলো--"সুবিমলের বই এখন আর পাওয়া যায় না বললেই চলে, পেতে হলে এই নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে"।

    আমি কপাল ঠুকে ফোন করি। ও অন্যদিক থেকে এক বয়স্ক মানুষের গলা ভেসে আসে। তিনি আমাকে পরের শনিবার ধর্মতলায় মেট্রো সিনেমার নিচে দ্যাখা করতে বলেন। ফোন রাখার আগে আমি, নিতান্ত মূর্খের মতো, তাঁর পরিচয় জিজ্ঞেস করি। তিনি হাসেন ও বলেন, দ্যাখা হলে জানতে পারবে।

    বলা বাহুল্য, টেলিফোনের অন্যপ্রান্তের মানুষটিই সুবিমল মিশ্র। ততোদিন অবধি আমার ধারণা ছিলো লেখক মানে একটা মস্তো ব্যাপার। তিনি বাস ঠেঙিয়ে একজন অচেনা, ছোকরা পাঠককে বই দিতে আসবেন, এ আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারতুম না। সেই প্রথম, ভাঙার শুরু--মিথ, প্রথা, লেখার ধাঁচ, কতোকিছুই যে ভেঙে গ্যালো তারপর, সেই এক সাক্ষাতের ধাক্কায়।

    জানি না কেন, এই মানুষটি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। যতোদিন কলকাতায় ছিলুম, বহুবার দ্যাখা করেছি। সিনেমা দেখতেন পাগলের মতো। স্নিগ্ধেন্দু, অনমিত্র জানে, দ্যাখা হলেই সিনেমার ডিভিডি নিয়ে বায়না জুড়তেন। বিশেষতঃ, গোদার নিয়ে তাঁর মুগ্ধতা অবসেশনের পর্যায়ে পৌঁছে যেতো প্রায়। যতদূর সম্ভব, নানান ছবির ডিভিডি যোগাড় করে দিতাম।

    মনে আছে, উইকিপিডিয়ায় যখন তাঁর ওপর একটি লেখা লিখি, তখন ফোনে শিশুর মতো আহ্লাদ প্রকাশ করেছিলেন।

    কলকাতা ছাড়ার পরও ফোনে যোগাযোগ ছিলো। ২০০৯-১০ অবধি। কলকাতা যেতুম যখন, দুয়েকবার তাঁর বাড়িতেও গিয়েছি। সে এক আশ্চর্য বাসস্থান। শম্পা মির্জা নগরের এক সরকারি দু-কামরার ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। তার মেঝেয়, দেয়ালের তাকে, বিছানায়, টেবিলের ওপর স্তূপাকার বই আর কাগজ। কোনোদিন গোছাতেন না। বলতেন, শুধু লেখায় নয়, আমি আমার জীবনযাপনের মধ্যেও মধ্যবিত্ত মানসিকতাটি ভেঙে ফেলতে চাই--মধ্যবিত্তের গোছানো ঘরবাড়ির ধারণাটিও।সোনাগাছির কাছে একটি স্কুলে পড়াতেন। সম্ভবতঃ, অবসর নেওয়ার পর, সেই পেনশন ছাড়া তাঁর অন্য কোনো উপার্জন ছিলো না। বৌদি মেয়েকে নিয়ে হাওড়ায় নিজের বাড়িতে থাকেন, মাঝেমধ্যে শম্পা মির্জা নগরের ফ্ল্যাটেও।

    শরীর অসুস্থ বহুদিন। পেসমেকার, ডায়াবিটিসের সমস্যা, কিডনির অসুখ। মাঝেমধ্যে অবিশ্যি তাঁর বাড়াবাড়ি দেখে মনে হতো, এই অসুখ নিয়ে সুবিমলের একটা নার্সিসিজম আছে, এক ধরণের বাতিক। যদিও জানতাম, বাস্তবিকপক্ষে এর একটুও বানিয়ে বলা নয়, লোকটা সত্যিই লড়াই করছে, লেখালিখির এস্টাব্লিশমেন্টের বিরুদ্ধে, চারদিকের তুমুল অস্বীকারের বিরুদ্ধে, এমনকি নিজের শরীরের বিরুদ্ধেও। তবুও, বিশ্বসাহিত্যের সাম্প্রতিকতম খুঁটিনাটির বিষয়ে অপার আগ্রহ বরাবর লক্ষ করেছি। চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ, তবুও অনবরত পড়ছেন। শেষবার আমাকে বলেছিলেন, "ফিনেগানস ওয়েক" আবার পড়ছি, বুঝলে। এ বই যেখান থেকেই শুরু করো, পড়তে কোনো অসুবিধে হয় না। কোনো ডেফিনিট এন্ট্রি পয়েন্ট নেই এ বইয়ের, আর সেটাই এর সবচেয়ে বড়ো গুণ।

    সুবিমলের লেখালিখি নিয়ে কী বলবো? "হারাণ মাঝির বিধবা বৌয়ের মড়া বা সোনার গান্ধীমূর্তি", আজও, আমার মতে পৃথিবীর সেরা ছোটোগল্পের একটি। একই কথা, "বাগানের ঘোড়ানিমের গাছে দ্যাখনচাচা থাকতেন" বা "পরীজাতক" সম্পর্কেও বলতে পারি। "আসলে এটা রামায়ণ চামারের গল্প হয়ে উঠতে পারতো" নামে তাঁর যে উপন্যাস বা অ্যান্টি-উপন্যাস রয়েছে, তার গঠনকৌশল আজও আমাকে বিস্মিত করে। সুবিমলের পরের দিকের লেখালিখি বরং সবসময়ে আমার ভালো লাগেনি। একধরণের সরলীকরণের প্রবণতা লক্ষ করেছি। তবুও, ভাষা ও ফর্মকে ভাঙচুর করার যে দুর্বার উদ্যম ও সাহস, তার কাছে আমার আভূমি কুর্নিশ।

    তবু, অপরাধবোধ এই কারণে যে, বহুদিন হয়ে গ্যালো, লোকটার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে ফেলেছি নিজের দোষেই। নানাবিধ ব্যস্ততায় ও নিজস্ব আলস্যের দোষে ফোন করিনি। একদিন আমার হাওড়ার বাড়ির ল্যান্ডলাইনে ফোন করেছিলেন। মার মুখে শুনে ভেবেছিলুম পরে ফোন করবো, করা হয়ে ওঠেনি। সুবিমলের অনুবাদক ভি রামস্বামী মেল করেছিলেন, তার উত্তর দেওয়া হয়নি।

    বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখাটা খুব ব্যক্তিগত হয়ে গ্যালো। এসব লেখার কোনো দরকার ছিলো না। তবু, একধরণের মোক্ষণ দরকার হয়, সেটা ভেবেই।
  • b | 135.20.82.164 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১০:০৯574122
  • শৌভ, ধন্যবাদ। এখন কি ওনার বই পাওয়া যাচ্ছে বাজারে?
  • Souva | 132.177.222.20 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:১৩574123
  • বাজারে সে ভাবে পাওয়া মুশকিল। তবে, হার্পার থেকে ওনার ছোটোগল্পের যে ইংরিজি অনুবাদ বেরিয়েছে, তা পাওয়া যাবে সহজেই।
  • b | 135.20.82.164 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:১৮574124
  • ইংরিজিতে পড়তে হবে? হায়।
  • pi | 127.194.8.29 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১২:৩৮574125
  • চক্রবর্তী বল্লো আনিয়ে দেবার চেষ্টা করবে। ক'সিন বাদে আবার খোঁজ নেব।
  • .... | 127.194.193.43 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০১:০০574126
  • বই পাওয়া যদিও যায়না, আর যদিও সব বইতেই নিজের সমস্ত লেখালেখির বইপত্রের ডিটেলস রাখেন, আর, যদিও তাঁকে পড়ার লোক এখানে অন্তত আর পাওয়া যাবে না, তবু, যদি কেউ কখনো খোঁজে, ব্লাইন্ডলি, আমি যেমন খুঁজেছিলাম বছর পাঁচেক আগে, এখানেই থাক, আমার কাছে যা আছে,ও যা নেই (*)ঃ

    ১) সুবিমলের বিরুদ্ধে সুবিমল এবং উস্কানিমূলক অনেককিছুই, আপাতভাবে - বাণীশিল্প - ১৯৮৮
    ২) এই আমাদের সিকি লেবু নিংড়ানি -আন্ডারগ্রাউন্ড - ১৯৯০
    ৩) সত্য উৎপাদিত হয় - আন্ডারগ্রাউন্ড - ১৯৯৭
    ৪) অ্যান্টি গল্প সংগ্রহ - বিতর্ক - ১৯৯৯
    ৫) অ্যান্টি উপন্যাস সংগ্রহ - বিতর্ক - ১৯৯৯
    ৬) ওয়ান পাইস ফাদার মাদার - বিতর্ক - ২০০০
    ৭) কাঠ খায় আঙ্রা হাগে - বিতর্ক - ২০০১
    ৮) তামাকের বাজার বনাম য়ুক্লীডের চতুষ্পার্শ এবং - বিতর্ক - ২০০২
    ৯) চেটে চুষে চিবিয়ে গিলে - বিতর্ক - ২০০৩
    ১০) ৩৬ বছরের রগড়ারগড়ি - বিতর্ক - ২০০৪
    ১১) কিকা cut out - আন্ডারগ্রাউন্ড - ২০০৬
    ১২) পোঁদের গু তিন জায়গায় লাগে / গুয়ের পোঁদ তিন জায়গায় লাগে (পুঁথি)
    ১৩) হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে শেষ হবিষ্যির মালসাভোগ .. উলুখড় - ২০১০
    ১৪) প্রেমের মরা ঘাটে ডোবে না - উলুখড় - ২০১০
    ১৫) সান অ্যান্ড মার্ডারার
    ১৬) ভাইটো পাঠার ইসটু (নাটক) (*)
    ১৭) হাড়মড়মড়ি (পান্ডুলিপি এডিশন) (*)
    ১৮) লোহার তার বাঘ ও দর্শকের মধ্যে রক্ত ভালোবাসে (*)
    ১৯) ৩৬ বছরের রগড়ারগড়ি -২ (প্রকাশিতব্য? ) (*)

    সুবিমল মিশ্র বিষয়ে
    ১) পতন অভ্যুদয় বন্ধুর পন্থা - ধীমান দাশগুপ্ত - বিতর্ক -১৯৯৯
    ২) অ-য়ে অজগর বিশেষ সংখ্যা (*)
    ৩) দ্রষ্টব্য বিশেষ সংখ্যা (বাংলাদেশ) (*)
  • ora | 121.93.163.126 | ০৯ নভেম্বর ২০১২ ১১:০২574127
  • গাঙচিল এর মতো বড় পাবলিশার সুবিমল মিত্রের অ্যান্টিগল্পের একটা মোটা সংকলন প্রকাশ করেছে।বইটি পাওয়া যাবে বইপাড়ায়।
  • ora | 121.93.163.126 | ০৯ নভেম্বর ২০১২ ১১:০৬574128
  • মিশ্র
  • Souva | 132.177.4.114 | ০৯ নভেম্বর ২০১২ ১২:০৭574130
  • বটে! এটা সত্যি জানতুম না।
  • .... | 127.194.201.232 | ০৯ নভেম্বর ২০১২ ১৫:২৮574131
  • ওটা মনে হয় অ্যান্টি গল্প সংগ্রহ-১ এর রিপ্রিন্ট। বিতর্কের জিনিসটাই।
  • % | 141.193.180.64 | ১৩ মে ২০১৩ ২৩:৪২574132
  • name: # mail: country:

    IP Address : 69.160.210.2 (*) Date:13 May 2013 -- 06:34 PM

    সুবিমল মিশ্র একটা বাড়িতে সম্পূর্ণ একা, মৃত্যুশয্যায়, ১০৫ জ্বর, কাছাকাছি কেউ কোথাও নেই ।

    কেউ কোনোভাবে সাহায্য করতে পারে না !!!

    কোলকাতায় কেউ ওনার জান্য কিচ্ছু করতে পারেন না? ফোন করে লাভ নেই, সেই অসুস্থ ওনাকেই এসে ধরতে হবে ।
  • Anamitra | 127.194.12.109 | ১৪ মে ২০১৩ ১৩:৩৬574133
  • লালা দার সাথে কথা হয়েছে। সুবিমল এর অবস্থা সত্যিই বেশ খারাপ। একজন ডাক্তার দরকার যে ওনার বাড়িতে গিয়ে ওনাকে দেখে আসতে পারে। এছাড়া একজন চেক আপ এর লোক।
    ব্যাপার টা একটু দেখাশুনা করার জন্য এমন কাউকে চাই যার হাতে সময় আছে মোটামুটিভাবে।
  • samiran modak | 120.227.89.177 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৩৩574134
  • The first issue of BAGHER BACHCHA is going to be published during kolkata pustakmela 2015 , containing evaluation of life-time works of the anti - establishment writer SUBIMAL MISRA . fans & readers of subimal misra are invited to participate in this dream project with all kinds of co - operation .

    plz contacts - samiran modak ,
    phone - 08145376369 , e-mail - [email protected]
  • samiran modak | 120.227.89.177 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৩৩574135
  • The first issue of BAGHER BACHCHA is going to be published during kolkata pustakmela 2015 , containing evaluation of life-time works of the anti - establishment writer SUBIMAL MISRA . fans & readers of subimal misra are invited to participate in this dream project with all kinds of co - operation .

    plz contacts - samiran modak ,
    phone - 08145376369 , e-mail - [email protected]
  • samiran | 192.66.53.96 | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:৫৯574136
  • হ্যাঁ,আজ,আজই
    কলকাতা বইমেলায় প্রতিষ্ঠান বিরোধি লেখক 'সুবিমল মিশ্র'কে নিয়ে
    প্রকাশিত হলো
    'সমীরণ মোদক' সম্পাদিত
    'বাঘের বাচ্চা'।
    অতএব,হে পাঠিকা একটু নড়েচড়ে বসুন প্লিইজ...
  • samiran | 192.66.53.96 | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:০১574137
  • আমরা থাকছি বইমেলায়। সাদলিক আমন্ত্রন রইল।
    স্টল - ৪৫০, ৪৭৫ এবং লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে টেবিল - ১২ এবং ১২০ তে 'বাঘের বাচ্চা'-র দেখা মিলবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন