এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চা না কফি?


    অন্যান্য | ০৮ জানুয়ারি ২০১৩ | ২৩১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 180.153.65.102 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৩ ১৮:২৪585473
  • চা। কোনো কারন ছারা, যাস্ট কিস্যু করার না থাকলে খাই কাকার দোকান থেকে। ভাঁড়ের চা। গরম জলের চেয়ে সামান্য বেশি খারাপ খেতে।
    নেশা র মধ্যে হুইস্কির কোনো তুলনা নেই। কফি - খাই না। ইন্স্ট্যান্ট কফি ভাল্লাগে না।
  • | 24.97.54.10 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৩ ২১:৩৫585474
  • কফি, কফি এবং কফি।
    চায়ে কেমন চা চা গন্দ। ইশশ। হ্যাঁ দুধ চিনি খুব সামান্যু সামান্য। ব্ল্যাক হলেই ভাল। আর ফিল্টার হলে তো কথাই নেই।
  • b | 135.20.82.164 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১৬:১২585475
  • কুমু, না। ওদিকে আমার বাস নয়। তবে কলকাতার ভালো চা পাতার ঠেক সম্পর্কে কিছু আইডিয়া আছে। কলেজ স্ট্রীট মার্কেটে সুবোধ ব্রাদার্স যেমন। যদিও বহুত ল্যাদখোরঃ বেলা দেড়্টার সময় বাবুরা ভাত্টাত খেয়ে এক ঘুম দিয়ে দোকান খুলতে আসেন।

    এ বারে দার্জিলিং গিয়ে দেখলাম ম্যালে বেশ কিছু টি বুটিক হয়েছে। সেখানে চা খেতে পারেন, সেরকম শখ থাকলে। বাগান/ ফ্লাশ ধরে ধরে চা-এর কাপের দাম।

    বালিগঞ্জ স্টেশনে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটা চায়ের দোকান ছিলো (৯৬/৯৭ এর কথা বলছি), জানি না আছে কি না। তাতে টি বোর্ডের একটা বড় বিজ্ঞাপন ছিল। সেই সত্যযুগে চায়ের দাম ছিলো ৩ পয়সায় এক কাপ। আর দুটো বোর্ড জুড়ে সাধু ভাষায় লেখা ছিল চা প্রস্তুত বিধি (একেবারে ইংলিশ) ও চায়ের উপকারিতা। একটা কথা এখনো মাথায় গেঁথে আছেঃ" গরম চা পান করঃ সম্পদ , সুখ, স্বাস্থ্য লাভ হইবে"। সম্পদ, সুখ ও স্বাস্থ্যের পরে এক একটি ছবি, ধনী, সুখী ও স্বাস্থ্যবান লোকের। চা পান করলে যে ম্যালেরিয়া সেরে যায় একথাও ঐ বিলবোর্ড পড়েই জানতে পারি।

    সেই থেকে আমার ভোট চা এর দিকে। আশায় বাঁচে চাষা।
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১৬:১৮585476
  • আচ্ছা, রবীন্দ্রনাথ কে দিয়ে একটি কাগজে চায়ের বিজ্ঞাপন করা হয়েছিল না? সেটার বিরোধিতা করেছিলেন বোধহয় আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়? ছোটবেলায় শোনা, পাত্র ভুল হতে পারে।
  • শ্রাবণী | 134.124.86.85 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১৭:০৩585477
  • চা দুধ চিনি ছাড়া (এমনকি লেবুও চলবে না), কফি নেসক্যাফে কখনোই নয়।
    চায়ে ভালো গন্ধ হতে হবে, পাতা চা। আমাদের বাড়িতে কখনো ফুটন্ত জলে চা পাতা ফেলা হত না। জলে অল্প ফুট ধরলে আগুন থেকে কেটলি নামিয়ে চা পাতা ভিজতে দিয়ে সময় দেখা। তারপর দুধ চিনি আলাদা আলাদা মেশানো।
    সেই কোন ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় চা বানানো শিখেছি মায়ের কাছে।
    ফুটনো চা, গুঁড়ো চা, ইত্যাদির গন্ধ বুঝতে পারি, মুখে দিতে পারিনা, তাই বাইরে দোকানে, অন্য অচেনা কারোর বাড়িতে বা রাস্তার ধারে চা খাওয়া আমার পোষায় না। এত বছরে ব্যতিক্রম সুকিয়া স্ট্রীটের লেবু চা, অবশ্য সেটা দলে পড়ে আর লেবুর শরবতের মত লাগত।

    বাইরে কফি খাই, তবে কফি নিয়েও আমার খুঁতখুঁতানি প্রচুর, ভুলভাল চা কফি খাওয়ার চেয়ে খাইনা বলে দেওয়া সোজা।
    শীতে পাহাড়ে বেড়াতে গেলে উত্তর ভারতে মশলা চা অর্থাৎ গরম দুধের শরবত খেয়ে নি (না ভালোবেসে), চা হিসেবে নয়, ঠান্ডার নিদান হিসেবে।
    আমি আজকাল বাড়িতে ফিলটার কফি রাখছি, সাবেক দক্ষিণী মতে।
  • S | 109.26.201.94 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১৭:০৪585478
  • আমি ঠান্ডা খাবো। কোলা।
  • phutki | 135.22.43.16 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১৭:২৮585479
  • শ্রাবনীদি, ফিল্টার কফি বানানো শেখাবে?
  • শ্রাবণী | 127.239.15.101 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১৭:৪২585480
  • ফুটকি,
    ফিল্টার কফি তো দোকানের মানে মিক্স আমি বাড়িতে করিনা (কফি বীনস আর চিকোরি), বাড়িতে শুধু স্টীলের ঐ ফিল্টার যন্তর। ওপরের ভাগটায় কয়েক চামচ কফি পাউডার (ফিল্টার কফি) দিয়ে , একটু বেশী করে, তার ওপরে ডান্ডা লাগানো ছাঁকনিটা চেপে বসিয়ে দি, তারপরে ফুটন্ত জল ভর্তি করে দাও ওপর ভাগে। রাতে করে রাখি, রাতভর ফিল্টারেট জমা হয় নীচের পাত্রে। তারপর সারাদিন সেখান থেকে কফি নিয়ে (তুমি যেমন কড়া খাবে) এবার দুধ জল চিনি মিশিয়ে কফি বানাও।
    চেন্নাইয়ে যে কোনো বাসনের দোকানে ঐ যন্তর টা পাবে। কফি মেশিনেও হয় তবে তা ধোয়া লেপার ঝামেলা অনেক বেশী।
  • phutki | 131.242.63.60 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১৭:৫৮585481
  • খোঁজ লাগাই তাহলে। ফিল্টার কফি বড়ো ভালবাসছি আজকাল।
  • | 233.238.82.243 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১৮:২০585483
  • b, রিষড়া বা শ্রীরমাপুর স্টেশনে ও ইরকম একটি নাতিদীর্ঘ লেখা আছে।
  • | 233.238.82.243 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১৮:২৫585484
  • ফিল্টার কফি করা আবার এমন কী হে। কফি করে বাংলা ফিল্টার করে নিলেই হল।

    আসল হল চা। ফ্লেভার আর লিকার এই ট ঠিক ঠাক করতে গেলে ঠিক কতোটা ভেজাতে হবে। কখন দুধ দিতেহবে, কতো টা চিনি এই সব সাংঘাতিক সাংঘাতিক আঁক আছে ঃ))

    ( প্রসঙ্গে ক্রমে জানিয়ে রাখা ভালো আমি হেব্বি চা করি। মুড ভালো থাকলে বাড়ি তে চা করি ছুটির দিনে । মা,বাবা এবং বৌ আমার প্রতিভা দেখে চমৎকৃত হয়)
  • শ্রী সদা | 132.176.98.243 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১৮:৩৪585485
  • আমারো এই ব্যাপারে কিঞ্চিৎ সুনাম আছে। তবে ল্যাদ কাটিয়ে উঠে বছরে দিনদশেকের বেশী করা হয় না। আমি ও "ভালো জিনিস কম খেতে হয়" - বলে কাটিয়ে দিই ;)
  • ন্যাড়া | 132.179.79.65 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:০৪585487
  • শ্রাবণীদির লেখায় হুহু করে আশির-দশকের শেষপাদ ফিরে এল। গড়পারে নাটকের-ছুতোয় আড্ডা মেরে সার্কুলার রোডে এসে মানিকতলার মোডের দিকে যেতে সেই লেবু-চা। লেবু-চা ভালই করত ঐসময়ে যাদবপুরের এইট-বি-র উল্টোদিকে সি-আই-টি মার্কেটের ভেতরে মন্টুদা। স্পেশাল বিট্নুন দিয়ে।

    আমার চায়ে হাতেখড়ি আমার ইংরিজির শিক্ষক শম্ভূবাবুর কাছে। ইংরিজির শিক্ষক বললে কিছুই বলা হয়না, জীবনের বহু পাঠ নিয়েছি ওনার থেকে। দার গ্রহণ করেননি, থাকতে বীডন রো-তে, ভাই-ভ্রাতৃবধূ-ভাইপোর সঙ্গে। ঘর করতেন বইয়ের সঙ্গে। শখ বলতে ভাল চা, কলম আর বইয়ের। বিশেষ উৎসাহ ছিল ঠমাস হার্ডিতে।

    আমাদের পরিবার আবহকালীন সুবোধ ব্রাদার্সের খদ্দের। প্রথমে কলেজ স্ট্রিট, তারপরে বিডি মর্কেট। শম্ভূবাবুও। তবে আমরা গোলা চা-খাইয়ে, শৌখীনতার ব্যাপার ছিলনা। একশ-টাকা -পাউন্ডের পাতা-চা, বা পরে আড়াইশ-টাকা-পাউন্ডের পাতা-চা। মাঝে বছর-দুয়েক যখন সংসারে টানাটানি, পাতার বদলে ফ্যানিংস - চলতি কথায় যাকে হাফ-ডাস্ট বলত। ক্কচিৎ-কদাচিৎ, বড়পিশির উত্তরবঙ্গে থাকার সুবাদে ও চা-বাগান-মহলে পরিচিতির সুবাদে ও আর এক দূর-সম্পর্কের পিশেমশাইয়ের চা-বাগানের ডাকসাইটে উচ্চপদস্থ হবার সুবাদে মকাইবাড়ি বা অমুকবাড়ি-তুশুকবাড়ি। সে সব অবশ্য পরিমিত দুধ-চিনি সহযোগে সেবনই আদিষ্ট ছিল।

    সেখানে স্কুলশিক্ষক শম্ভূবাবু হাতে করে নিয়ে আসতেন হাজার-টাকার শৌখীন পাতা, হয়ত পঞ্চাশ গ্রামই। সুবোধের ছেলে কি বৌমা দিয়েছে টেস্ট করে দেখার জন্যে। আনতেন আমাদের বাড়িতে কি নিজের বাড়িতে। আমাদের বাড়িতে হলে মা-কে বা দিদিকে স্পেশাল ইন্স্ট্রাকশান, নিজের বাড়িতে হলে কাকিমাকে। মাধ্যমিকের আগের তিনমাস প্রতি রবিবার সকালে বীড্ন রো-র বাড়িতে ইংরিজি শিখতে যেতাম, আর স্বাদ নিতাম নিত্য নতুন চায়ের। আমার মতন অর্বাচীনের মতামতও মন দিয়ে শুনতেন শম্ভূবাবু। এও বলেছিলেন টী-টেস্টার হওার সুযোগ এসেছিল। মাইনেকড়ি নাকি আশাতীতরকম ভাল হয় টেস্টিং-এ। কিন্তু খাওা-দাওার এত বিধিনিষেধ যে পোষাবে না, বলে ও পথে আর এগোননি।

    হেখাতেন শীতের সকালে অসামের ঘনবপু চা খাওা উচিত বেড টি হিসেবে, তরপর থেকে দার্জিলিং-এর ফ্লেভার-ওলা লিকার। ওই স্রবণিদি যেমন লিখেছেন, চায়ের জল খনও টগবগ করে ফুটবে না, তাতে নাকি জলের অক্সিজেন বেরিয়ে গিয়ে চায়ের স্বাদ বোদা হয়ে যাবে। জলে ফুট ধরলেই আঁচ থেকে নাবিয়ে চা পাতা দিয়ে হবে। চা পাতার আন্দাজও প্রতি খরিদে আলাদা আলাদা। প্রথম একবার-দুবার না করলে অপ্টিমাম পরিমাণ বোঝা যাবে না। ইত্যাদি।

    বিদেশে, বে-এরিয়ায় থাকতে, ভাল দার্জিলিং পাতা চা পএতাম মাউন্টেন ভিউয়ের ইরানিয়ান গ্রসারি রোজ মার্কেটে। যারা কুবিদেহ্‌ বা বার্গের লোভ যান, ওদের চা সেকশনে খোঁজ করবেন লাল টিনে দার্জিলিং চা।

    আর এক জায়গায় অব্য়্র্থ ভাল চা, ভাল করে তৈরি খেয়েছি - উত্তর্বঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইন্স্পেকশন বাংলোয়। বাবার সরকারি চাক্রির সুবাদে বেশ কিছু বাংলোয় থাকার সুযোগ ঘটেছিল কৈশোর-তক। সেখানকার মূলতঃ নেপালী কুকদের হাতের রান্নাও সুস্বাদু, চা তো একেবারে স্বর্গীয়।

    হায় সে পশ্চিমও নেই, সে বঙ্গও নেই। শুধু কৈশোর নিয়ে বেঁচে থাকা।
  • সায়ন | 170.83.96.83 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:০৪585486
  • স্পেশ্যালটি কফি শপ/ফ্লেভারগুলো নিয়ে লেখার শখ আছে কিন্তু লিখতে বসতে গেলে সময় চাই এবং তাহলে ঘোরাঘুরি কখন হবে! আপাতত টইয়ের দাবী মেটাই।

    চা, এবং ফিল্টার কফি, দুয়েই আছি।

    বেশ ছোটোবেলায় বাড়িতে "বড়োদের" চা খেতে দেখলে চায়ের কাপে ঠোঁট ছোঁয়াতে খুব ইচ্ছে করত। ছদ্ম আল্হাদ এবং প্রশ্রয় সম্মিলিত বকুনির সঙ্গে কবে থেকে যেন একটা পাওয়াও যেতে লাগল, দুধ দুধ গন্ধওয়ালা হালকা কমলা রঙের চা। যা পাই তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকি। বিদ্‌ঘুটে ম্যাঙ্গো ফ্লেভারের কমপ্ল্যানের চাইতে ঢের ভালো সেই চায়ের গন্ধলাগা দুধ। একদিন ফাঁকা বাড়িতে নিজে বানালাম। স্যসপ্যানে জল চড়িয়ে চা পাতা চিনি দুধ দিয়ে ফুটিয়ে যখন তুলি সে মোটামুটি বেশ খানিকটা, দুই গ্লাসের মত পরিমাণ। কিন্তু চায়ের মত রঙ এসেছিল। ছেঁকে নিয়ে গ্লাসে ঢেলে এক চুমুক মেরে আর এক চামচে চিনি তো দিলাম কিন্তু সেই উত্তপ্ত তরলে চুমুকমারাস্বরূপ জিভ গেল জ্বলে। তা সে স্বাদ গন্ধ নিয়ে কবেই বা মাথা ঘামিয়েছি! খাওয়া হল প্রথম "কড়া" চা। সন্ধ্যেবেলা গ্লাস ধুয়ে রাখার আগেই বামাল সমেত ধরা পড়া। কী আশ্চর্য! বকুনি একদম পড়লনা। বরং তারপর থেকে মাঝে মাঝেই সত্যিকারের চা সমেত কাপ পেতে লাগলাম। সাথে নোনতা বিস্কুট।
    "উত্তর ভারতে" গিয়ে দেখেছি "মালাই"ওয়ালা মোটা দুধের চিনি কিটকিটে চা। এবারেও উত্তরাখন্ডের আনাচে কানাচে দেখি স্যুপের মত ঘন চা। ঠান্ডায় খারাপ লাগেনা খেতে। এখন মুখ বদলেছে। তাই "লিকার" চা, দুধ চিনি ছাড়া।

    দক্ষিণে এসে দেখি চা অতিশয় "ডি-ক্লাসড" একটা ব্যাপার। লোকেদের সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন, সবাই "ফিল্টার কফি"তে বিশ্বাসী। শুধু "নর্থ ইন্ডিয়ান"রা চা খায়। কারুর বাড়িতে গেলে খুব আদরের সঙ্গে প্রোফাইলিং করে চা খাওয়ায়। ব্রুকবন্ড রেড লেবেল। সর্ষের দানার মত গুঁড়ো চা। ঘন দুধে একচামচে দিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে নিলেই তোফা গাঢ় লাল রঙ। আর তেমন কড়া। তেমন মিষ্টি। খাওয়ার পনেরো মিনিট পর পর্যন্ত মাথা ভোঁ ভোঁ করে। সারারাত জেগে থাকতে হলে ওর'ম এক কাপই যথেষ্ট!
    যারা ফিল্টার কফি খায় না, তাদের জন্য ব্রু ইনস্ট্যান্ট কফি। সে নেসকফি'র বাবা। তবে ফিল্টার কফি এমনিতেই স্ট্রং হয় বেশ, এবং খাসা জিনিস ঠিকঠাক অনুপাতে বানালে, কেউ কেউ আরও স্ট্রং চাইলে গেলাসের উপরে আরও খানিকটা "ডিককশন" ঢেলে দেওয়াই প্রথা। সে বস্তু এক চুমুক খেলে সিদ্ধিলাভ হতে বাধ্য। কেমন যেন মনে হয় জ্বোরো রুগীকে প্যারাসেটামল না দিয়ে এমন কয়েক গেলাস খাওয়ালে তার জ্বর পালাতে বাধ্য। এমন ঘাম ছোটে। শ্রীসেন্নাইয়ে দেখেছি লোকে ক্যান্টিনে, মানে আপিসের ছাতে ভরা মে'মাসে হাতে "কাপি"র গেলাস নিয়ে ঠা ঠা রোদে দাঁড়িয়ে চুমুক মারছে! গায়ে কাঁটা দেয় দেখে। ডিডিদা' পড়লে পুলকিত হবেন।

    তবে কিছু কফি বানায় সতীশদা'! কফিটাও উমদা ছিল। চিকোরি'র মিশেল একদম ঠিকঠাক। প্রত্যয় না হয়, শ্রাবণীদি'কে জিগান ঃ-)
  • সায়ন | 170.83.96.83 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:০৫585488
  • ** আহ্লাদ
  • rivu | 127.194.210.34 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:১৮585489
  • বাহ চা কফি সম্বন্ধে বেড়ে জ্ঞান লাভ হলো। যাকগে, জনতা মিডিল ইস্টার্ন রেস্টুরেন্ট পেলে টার্কিশ কফি খেয়ে দেখতে পারেন। বেড়ে জিনিস।
  • b | 135.20.82.166 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ২০:৩৬585490
  • দক্ষিণী কফি ভালো লাগে না। ও দুধ চিনি মিশিয়ে খেলেই পানযোগ্য হয়।
    ব, কফি ঠিকঠাক করার-ও কিন্তু প্রচুর ফান্ডা আছে। মানে নিজে হাতে বিনস বাছাই করে, সেটা ঠিকঠাক করে গুঁড়িয়ে (কোর্স/ফাইন/ফাইনার) তাপ্পর কফি মেশিনে জলের অনুপাত ঠিকঠাক করে ফিল্টার করা। আমার এক মাস্টারমশাই আম্রিকান কফি দেখে নাক কুঁচকাতেন।

    কিছুতেই ভুলব না ইউরোপে প্রথম কফি খাওয়ার অভিজ্ঞ্তা।। আমস্টারডাম এয়ারপোর্টে নেবিছি, পরের ফ্লাইট ৬ ঘন্টা পর। নিজেকে বেশ সাহেব সাহেব মনে হচ্ছে। তো, সাহেবরা কফি খায়। আম্মো গেলুম একটা কফি শপে। কিছুই বুঝতে পারলাম না, এক এসপ্রেসো ছাড়া। চট করে মনে পড়ে গেলো, আরে, এ জিনিশ তো দিশি বিয়েবাড়িতে হরদম খাই। স্মার্টলি আঙুল তুলে দেখালাম, একটা ছোট্ট কাপে শাদা একটা তরল এলো, মনে মনে টাকা আর গিল্ডেনের এক্সচেঞ্জ রেটের হিশেবটা দাবিয়ে রেখে আরো স্মার্টলি বিল মিটিয়ে একটা টেবিলে গিয়ে বসলাম।ওপরে শাদা জিনিসটা দেখে বুঝতে পারলাম যে গরম ফেনাওয়ালা দুধ। হবে না? হল্যান্ড তো দুধের-ই দেশ।

    এর পরে যা হল সে কহতব্য নয়। শুধু বুঝ্লাম, এ বড় কঠিন ঠাঁই।
  • ন্যাড়া | 132.179.79.65 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ২১:১২585491
  • এসপ্রেসোর চক্করে আমিও পড়েছিলাম দেহাতি অবস্থায়। অ্যামেরিকার ছাত্রাবস্থা। গায়ে দেহাতের গন্ধ বটে তবে সবজান্তার ছ্যাতলা পড়েনি তখনও। স্টারবাক্স জাঁকিয়ে বসেনি। ইস্ট কোস্টে তো একটাও দেখিনি। আমাদের কফির স্বর্গ তখনও ডানকিন ডোনাটস।

    এমতাবস্থায় মলে ইটালিয়ান ক্যাফতে ঢুকেছি শখ করে। তদ্দিনে ইটালিয়ান সাবের মোহে পড়ে গেছি - লম্বা কোল্ড সাব, ক্যালজোন আর স্ট্রমবোলির স্বাদ পেয়ে গেছি, কাজেই ইটালিয়ন ক্যাফে যে উৎকৃষ্ট হবে তাতে আর সন্দ কি? কিন্তু নাম সব বিজাতীয় - লাটে, ক্যাপুচিনো ইত্যাদি। হঠাৎ চোখে পড়ে "এসপ্রেসো"। আরে এই তো হাওড়া স্টেশনে মেশিন আছে, সোঁ করে আওয়াজ হয় আর ফ্যানাওলা কফি বেরোয়। দিলাম অর্ডার। আবার জিগেশ করে সিঙ্গল না ডবল। সিঙ্গলই হোক টুডে, ভাল লাগলে ডবল নয় টুমরো। ভুশভাস আওয়াজ করে তো তিনি এলেন। বারো হাত কাঁকড়ের তেরো হাত বিচি। ছ ইঞ্চি গেলাসে তলানি একটু মাল। মুখে দিয়ে দেখি হাকুচ! হাফ-টিএ-র গোনাগুন্তি মাসের টাকা থেকে এক ডলার না দেড় ডলার বাজে খরচা যে কী প্রাণে বাজে তা এখানকার লোকেরা আজ আর বুঝবেন বলে মনে হয় না।
  • শ্রাবণী | 69.94.104.224 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ২১:১৯585492
  • আশির শেষ নব্বইয়ের প্রথমে বন্ধুরা (আমরা ক্লাসের চারজন মেয়ে, ছেলেরা ওটা বড়লোকের জায়্গা বলত)মিলে দক্ষিণাপনে ডলি রায়ের চায়ের দোকানে সামনে মোড়ায় বসে ঠান্ডা চা বা গরম চা (লিকার অবশ্যই) সাথে স্যান্ডউইচ, আড্ডা শেষে গুর্জরীতে ঢোকা...................সে লোকে যায়ই বলুক, এখনো দক্ষিণাপনে গেলে আমি ওই দোকানে যাই। তখন তো ওনার বোধহয় শুরু, নানা চা সম্বন্ধে বলতেন আর কী সুন্দর গিফট প্যাক গুলো, তখন ভাবতাম চাকরি করে নিজের পয়সা হলে ওগুলো কিনে লোককে গিফট করব, এখন মনে হল সেরকমটা করিনি কখনো যদিও চা কিনেছি অনেকবার................ওনার কাছেই প্রথম গ্রীন টী, হোয়াইট টী এসবের উপকারিতা শুনেছি সবার আগে, এখন যেসব সর্বজনবিদিত।
  • I | 69.161.186.61 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ০০:৫৮585494
  • পলাশ বরন পালের ভাই পরাগ বরন পাল আমাদের এন আর এস-এর সভাগায়ক ছিল। সেই যে যাকে নিয়ে দেবব্রতর( বিশ্বাস) কাছে যাওয়া হয়েছিল এবং যাকে নিয়ে দেবব্রত বেশ কিছু ফাংশনে গানও গেয়েছিলেন। প্রথমে গাইতেন পরাগ বরন পাল(বৃদ্ধ পরিচয় করিয়ে দিতেন এই বলেঃ আপনারা এঁর গান শুনুন, ইনি একজন দ্বিতীয় শ্রেণীর গায়ক, কেননা ইনি এখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়েন), পরে দেবব্রত। এসব অবশ্য তখন জানতাম না, পরে জানলাম "রবিবার'' পড়ে। তখন আমাদের কাছে পরাগদা হেবি হ্যান্ডু ছেলে, তুখোর ক্যুইজ করে, আর ফাটিয়ে গান গায়। বিশেষ করে সলিল চৌধুরী। আহা, ওর সঙ্গে চোয়াল-শক্ত অতলান্তদা গিটার বাজাত, সে পরে সুইসাইড করে। অতলান্তদাকে কেউ কখনো হাসতে দেখে নি।
    সে যাই হোক গে, পরাগদা'রা পরে একটা ব্যান্ড খুলেছিল, ওদের একখানা গান ছিল " এক কাপ চা' নামে। চা নিয়ে আর কোনো ভালো বাংলা গান আমি শুনি নি। রবিঠাকুরের চা-স্পৃহ চঞ্চল-ও বলা বাহুল্য , আমি শুনিনি। শিগগিরই বোধ হয় পরাগদাদের ব্যান্ড উঠে যায়। এতদ্বারা প্রমাণিত হয়, চা নুন নয়। তার গুণ গেয়ে কোনো লাভ নেই।

    এইসব হল যাকে বলে ভ্যান্তারা। সেসব ছেড়ে আমার সংক্ষিপ্ত চায়োগ্রাফিতে আসি। আমি বেশ বড় বয়সে চা-খোর হই। আমাদের বাড়িতে ( সম্ভবতঃ আমাদের সময়ে আমাদের মত অনেক মধ্য-নিম্ন বাঙাল বাড়িতেই) ছোটবেলায় চা-খাওয়া বেশ ট্যাবু ছিল। বাবার কাছে গল্প শুনেছি বাবার ছোটবেলায় আরো-ই নাকি ছিল। ভাত খেতে বসে বাড়ির বড়দের জন্য চা হচ্ছে দেখে ও শুঁকে বিহ্বল ছোট্ট বাবা নাকি বড়পিসীকে বায়না করে বলেছিল-বড়দি আমায় একটু চা দিস, ও বড়দি আমায় একটু চা দিস! তাতে কোমলপ্রাণ বড়পিসি নাকি মধুর হেসে ভাতের থালায় এক কাপ চা ঢেলে দিয়ে মন -জুড়োনো হাসি দিয়ে বলেছিল- উঠে আর খাবি কেন, এই ভাতের সঙ্গে মেখেই খেয়ে নে। বলা বাহুল্য, বাক্যালাপ সবই হয়েছিল বিদ্যাসাগরী নয়, খাস বরিশাইল্যা বাঙাল ভাষায়। গল্পটি ( আঃ, সত্যঘটনা) পড়বার সময় পাঠক যেন এর মধ্যে তার দার্ঢ্য মিশিয়ে পাঁচ মিনিট ঢাকা চাপা দিয়ে রেখে তবে পান করেন।

    মাইধ্যমিক পাস দেবার পরে বোধ হয় চা ধরি। সবই সে সময় হাফ-ডাস্ট, আমরা তখন ফ্যানিংস জানতাম না, মকাইবাড়ির নাম ফেলুদা সুবাদে শুনে থাকলেও থাকতে পারি। না, ফেলুদা নয়, ভূগোল; ভূগোলে আমি ভালো নম্বর পেয়েছিলাম। সেই ঘন খয়েরি রঙের চিনি গোলা ক্কাথ, ওপরে সর-ভাসছে, আমার বাপ-দাদারা বেশ আমোদ করে খেতেন এবং বলতেন ঃ চায়ে হোগা তো অ্যায়্সা। মাঝেমধ্যে কাদের বাড়ির চা-কে যেন গাল পাড়তেন- ও সব ফ্যাকসা ফ্যাকসা ন্যাকড়া -ধোয়া গরম জলের মত চা, ঐডা একটা "সা'' হইল ! বলার সময় বাবার মুখভঙ্গি দর্শনীয়। আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারতাম না ,ঐ রকম চা কোথায় পাওয়া যায়, কে-ই বা খায় আর কেন! তখন আমার কৈশোর , এবং কী আশ্চর্য, বাবার যৌবন, জগৎ-ও জীবনের প্রতি অধিকারবোধ প্রবল, বিশ্বাসের মুঠি পাকড়ে ধরে আছি। নিম্ন-মধ্য বাঙালের মত জীব আর দুনিয়াতে আল্লতাল্লা দুটি পয়দা করেন নি, বাঙালদেশ দুনিয়ার সেরা দেশ, কমনিস পার্টি ফরিস্তাগণের পার্টি যাহারা গাঞ্জে নহেন এবং আমাদের বাড়ির লক্ষ্মী পূজার নাড়ু দুনিয়ার সেরা নাড়ু, তা সে যতই থান ইঁটের সাক্ষাৎ ভায়রাভাই হোন না কেন। নাড়ুর ললিতকান্ত স্বভাবে আমাদের ছিল ঘোরতর অবিশ্বাস, দাঁত দিয়ে ভাঙা যায় এমন নাড়ু-র কথা শুনে আমরা হেসে কুটিপাটি হতাম এবং সময় কত না ইতর হয়ে উঠেছে, এমনি নাড়ুও লোকে খায়- এই নিয়ে বেদনাদীর্ণ হতাম। তখনো বার্লিন পাঁচিলে চিড় ধরে নি, জ্যোতিবাবুর নামে বাঘে-গরুতে জল খায় এবং হাফ-ডাস্ট ভিন্ন অন্য কোনো চায়, যাকে সংশয় নামেও ডাকা যেতে পারে-তাতে চুমুক দিই নি।
  • Tim | 12.135.57.36 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:২৪585495
  • ইন্দোদার এই শব্দগুলো ঘুরবে মাথায় ঘুমের মধ্যে
  • I | 24.99.240.59 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:৪৮585496
  • ভালো চায়ের প্রথম সাক্ষাৎ পাই দীপাংশুর বাড়ি । বালিগঞ্জে , জামির লেনে। সেখানে অবশ্য আমি কলকাতা শহরের প্রথম সিংহেরও সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম, একটি না, সম্ভবতঃ দুটি সিংহ খাঁচায় ভরা, তাদের পি সি সরকারের বাড়ির ভেতর ঢোকানো হচ্ছিল। বিস্মিত পথচারীদের দলে আমিও ছিলাম সেদিন, নতস্কন্ধ মফঃস্বলী। যে কিনা টি-পট থেকে দামি কাপে ঢেলে দেওয়া ঈষৎ স্বর্ণাভ সুগন্ধী সেই পানীয়তে স্রেফ সংস্কারবশতঃ আনুগত্য দিতে অস্বীকার করেছিল, এবং তাকে স্বাদহীন বলে মনে মনে তিরস্কারও করে। তার সঙ্গে আমার ঠিকঠাক ঘরকন্না শুরু হবে আরো বেশ কয়েক বছর পরে, যখন পাটনাদেশে ল্যান্ড করব,এবং নর্থ ইন্ডিক কালচারাল শক থেকে , রাজপুত গাইডের স্যাডিজম থেকে, ভাষার দূরত্বজনিত একাকিত্ব থেকে সে আমায় বাঁচাবে-সেই ডানকানের রাংলি রাংলিয়ট, পরে লিপটন গ্রীন লেবেল। সাথে মার্কেজ কিম্বা গুন্টার গ্রাস।
    তবে সইত্যের পথ থেকে বিচ্যুত না হতে হলে একথা বলতেই হবে, আমি একগামী ছিলাম না কখনো, মাঝেমধ্যেই আমার আনুগত্য শিফট করত কড়া কালো কফিতে, শয়তান ও অ্যাল্প্রাজোলামের মত তেতো কফি। সেই সময় থেকে সম্ভবতঃ গ্যাসট্রাইটিসের বাড়বাড়ন্ত।

    বিলেত এসে নীলাঞ্জনাদি আর্ল গ্রে-র নেশা ধরায়। লিডিয়ার্ড রোডের সেই বাড়িতে ঝিম -ধরা দুপুরে প্ল্যাবের পড়া মুখস্ত করছি, বিষণ্ণ দুপুর গড়িয়ে চারটের দিকে নামছে, সারা শরীর দুখানি কান হয়ে বসে আছি, কখন সিঁড়িতে নীলাঞ্জনাদি'র পায়ের আওয়াজ শোনা যাবে। সত্যজিত বাবুর কাকা'র ( ? সুবিনয় রায়) নোমেনক্লেচার পদ্ধতি ফলো করে আমরা আর্ল গ্রে-র নাম দিয়েছিলাম বৈষ্ণবভোগ্য, আদরসোহাগে যা গিয়ে ঠেকে কেবল নিরাভরণ "বৈষ্ণব'-এ। চড়বড় করে তোবড়ানো বাটিতে জল ফুটছে, নীলাঞ্জনাদি ডাক দিল-ইন্দ্রনীল, বৈষ্ণব? চায়ের কাপে যেন মভ রংয়ের চলাচল, শিরায় শিরায় মভ রংয়ের চলাচল, মধ্যে একটুখানি বার্গামটের কমলা ড্যাশ, হমীন অস্ত ! আহা, সে বড় সুখের সময়, সে বড় সুখের সময় নয়।চাগড়ি নেই বাগড়ি নেই, একের পর এক পরীক্ষা সামনে, বুড়োহাবড়া ছাত্তর সব, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছি, সেসময় টিকে ছিলাম শুধু বৈষ্ণব ও ডিম্ভাত খেয়ে এবং ইস্টহ্যাম লাইব্রেরির বই পড়ে। না , মহালক্ষ্মী টেম্পলে আমি সম্বর-রসম খেতে যেতাম না, বার্কিংয়ের গুরদোয়ারাতেও আমি কদাচিৎ গেছি।

    আজকাল ভালো চায়ের কদর ভুলতে বসেছি। বাড়িতে গ্রীন টি-র প্রাদুর্ভাব হয়েছে। তারি মধ্যে দেখি লিপটনের লেমন ফ্লেভার্ড গ্রীন টি বেশ মনোহরণ করেছে, সকাল-সন্ধ্যে ঐ না হলে চলে না।ব্রুকবণ্ডের হানি-লেমন -ও ভালো, আমার গিন্নির পক্ষপাত তার দিকে , আমার অবশ্য ততটা ভালো লাগে না। পুরনো আর্ল গ্রে মাঝেমধ্যে খাই, তবে এখানকার আর্ল-গ্রেতে সেই স্বাদ নেই। সেই টিপটিপে লন্ডন, সুঁচের মত হাওয়া, কুয়াশা-ঢাকা সারাদিন, পাতা ঝরা এপ্রিল, গ্রীষ্মে ভোর তিনটেয় কটকটে রোদ্দুরে ঘর ভেসে যাওয়া, অচেনা ফুলের গন্ধ। আমাদের বাড়ির সামনের গাছটার নাম দিয়েছিলাম মেপলিশ। তার গায়ে একবার হাত বুলোতে চাই, সে আমার অনেক মন-খারাপে হলুদ পাতা বিছিয়ে দিয়েছিল।
  • Abhyu | 107.89.17.198 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:৫৫585497
  • বয়ের টই অমর হয়ে গেল।
  • kk | 78.47.250.76 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ০২:৫৬585498
  • !!!! আমার তিনজন গাছ আছে, তাদের নাম মেপ্‌লিশ, মেপ্‌লাশ আর মেপ্‌লুশকা !!

    তবু চা-কফির সুবাদে এমন লেখা এলো.... ধন্য চা-কফি।
  • ranjan roy | 24.99.182.197 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ০৮:৫৩585499
  • আহা! কি লিকেচে ডাক্তার আর শ্রাবণী! পড়ার পর হাতে ধরা গুডরিকের কালো চা আরো ভালো লাগতে লাগল।
    যেমন সিনেমা হলে হেমা মালিনী দেখে বাড়ি ফিরে বৌকে আরও ভাল লাগে, মানে কেমন বেদনা-করুণা মেশা ভালো লাগা। তোমার সে বৈভব নেই, তবু তুমি আমার, একান্তই আমার।
    ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে মা ছিলেন চেংকুরি চাবাগানে বড় দাদার অভিভাবকত্বে। ফলে মকাইবাড়ি-হ্যাপিভ্যালি এসব ওনার ঠোঁটের আগায়। বাবাও তেমনি। চা মানে দার্জিলিং, চা মানে শ্রাবণী বর্ণিত ফ্লেভার টি। টি-পটে কুসুম গরম জ্বলে গা ভেজাবে কিছু দীর্ঘাঙ্গী পাতা। তারপর তারা টি-কোজি বা ওইরকম কোন নামের লেপমুড়ি দিয়ে খানিক বাদে প্রতিকাপে ছাঁকনির মধ্যে কয়েকদানা চিনির ওপর হালকা ঝিরিঝিরি শ্রাবণধারার মতন নেমে আসবে। বেশ সেন্স্যুআল ব্যাপারস্যাপার।
    আর কফি অবশ্যই শ্রাবণী বর্ণিত সারারাত্তির ধরে ফিল্টারে চুঁইয়ে পরা ডিকক্শন। প্রায় মদ বানানোর মতন যত্ন ও ধৈর্য্য লাগে দেখে কিনতে নিরস্ত হয়েছি। তাই চিকোরি দিয়ে কাজ চালাই। নইলে ইণ্ডিয়ান কফিহাউসে যে প্যাকেটগুলো পাওয়া যায়।
  • sosen | 125.241.55.98 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ১০:০১585500
  • ডাগদারের লেখা থেকে সুগন্ধি ধোঁয়া উঠতেও দেখতে পেলুম যেন।
  • dd | 132.167.43.175 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ১০:১২585501
  • ঈস। ইন্দোদা অ্যাদ্দিন পরে লিখলো। ক্ষী ফ্লেভার, ক্ষী টেস্ট এই ল্যাখায়।

    আমার আরেকটু ট্যাকা হলেই আমি ইন্দোদাকে পুষতাম। নিয়মিত ল্যাখা না দিলে লেমোন ফ্লেভার্ড গ্রীন টি দিতেম না। বুঝতো।
  • শ্রাবণী | 69.94.105.191 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ১১:২৪585502
  • ইন্দোর লেখাও চায়ের ওপরে আরেকটা গান!

    আমার বাড়ির সবাই জানে যে আমি চায়ের দোকান খুলতে চেয়েছিলাম/চাই, সেই কবে থেকে। আগে যখন ভাবতাম বলতাম তখন মনে হত খুব একটা অভিনব ভাবনা, দু একজন পথ চলতি ছুটছাট শুনে বাহবাও দিয়েছে তবে ইদানীং লোকে মুখ বাঁকিয়ে বলে, ওঃ টী বুটিক, ও তো অনেক আছে!
    তা হবে, স্বপ্নরাও তো পুরনো হয়, কুড়ি কুড়ি বছর ধরে আমার স্বপ্ন শুধু আমাতেই বন্দি থাকবে তা কী হয়, কখন হয়ত তারা ডানা মেলে উড়েছে অন্য মনে, হয়েছে তাদের বাস্তব।
    তাও, সেরকম দু একটা দেখেও মনে হয়, না এরকম ঠিক না, অন্য কিছু চেয়েছিলাম।
    সে দোকান হবে শহরে, কিন্তু তার আত্মায় থাকবে নদীর ধারের আশুত (অশত্থ) তলার সেই চালা। দোকান ঘর নয় দুয়ার, বাঁশের খুঁটি, খড়ের চাল, মাটির নিকোনো দাওয়া, ঝিরঝিরে হাওয়া।
    দোকানঘরের রঙটা হবে মেটে, ছোট ছোট টেরাকোটা টাইলস এর চাল, চালের সামনেটা কেরালার সাবেক বাড়ির মত তেকোনা স্টাইল। দেওয়াল জুড়ে সাদা আল্পনা, বাহারী নয়, পল্লীগ্রামের সাধারণ লক্ষ্মীর পা, পদ্মফুল গোছের চিত্র সব। কাঠ আর বাঁশের তৈরী বসার ব্যবস্থা, চতুর্দিক থেকে রোদ দিনের আলো ছড়ানো, সন্ধ্যে বা বর্ষার দিনের জন্য নরম হলুদ আলো।
    চা থাকবে নানারকমের, তাদের নাম হবে নানা। খাওয়ার জন্যে গেলাস, মাটির ভাঁড়, বোন চায়নার সেট সবই থাকবে, যেমন যাতে মানায়।
    দুদন্ড এসে বসবে সেখানে লোকে, আয়েশ করে চুমুক দেবে প্রিয় পানীয়তে, তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করবে প্রতিটা চুমুক। চটজলদির কোনো ব্যাপারই থাকবেনা সেখানে, যদিও তার পাশ দিয়ে বয়ে যাবে ব্যস্ত জীবন, যেমন নদী বয়ে যায় তবু থেমে থাকে সময় ওই নদীর ধারের দোকানে।
  • kd | 69.93.211.33 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ১১:২৫585503
  • আরে ডিডি, পুষুন, পুষুন। গোটা চারেক জাহাজ আর আশিকিলো মত সোনার বাঁট বেচলেই হয়ে যাবে।

    কি ডাক্তার, ঠিক বলছি না?
  • শিবাংশু | 127.201.160.137 | ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:২৭585505
  • চা খাইনা।

    ডাগ্দার, ন্যাড়া, শ্রাবণীর লেখা পড়ে মনে হলো , খেলেও হতো...

    যাগ্গে.... ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন