এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • সিনেমার টুকরো টাকরা

    a_x
    সিনেমা | ২৫ জুন ২০০৬ | ২১৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • a_x | 207.69.137.204 | ২৫ জুন ২০০৬ ২৩:১৫602249
  • লিংক যখন রয়েইছে, ঈশান যখন খাটছেই, আর সিনেমা ও যখন দেখা হচ্ছেই, তখন এখানে থাকুক জড়ো করা সিনেমা নিয়ে ভালো লাগা না লাগা। বিক্রমের যে থ্রেড টা কাগজ পত্রের নীচে চাপা পড়ে গেছে, সেটাও রিভাইভড হোক এখানে। এবং থাকুক বিভিন্ন সিনেমা সংক্রান্ত সাইট, যা থেকে আমরা মাঝে মাঝেই টুকতে পারবো।
  • a_x | 207.69.137.40 | ২৬ জুন ২০০৬ ০৭:৪১602271
  • প্রাগ শহরে মধ্যরাতে মিলোস এক মেয়েকে দেখে হেঁটে যেতে, হাতে সুটকেস, চলা দেখে বোঝা যায় তার বাড়ি ফেরার তাড়া নেই, জুতোর দিকে তাকিয়ে হাঁটে সে, স্পষ্টতই শহরের মধ্যরাতের শারিরীক হাতছানি তার চোখে নেই। কৌতুহলী মিলোস তার সাথে অলাপ করে। পরিচয়ে বেরোয়ে উত্তর বোহেমিয়ার এক শহরের মেয়ে সে, সেই শহরে খালি মেয়েদের কাজ'ই পরে আছে, এবং প্রতি ১৬ টি মেয়ের মাথা পিছু একটি ছেলে। মেয়েরা নিতান্তই একাকী এই শহরে। এইখানে একদিনের সফরে আসা এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে তার আলাপ হয়, একরাতের শয্যাসঙ্গিনীও হয় তার। যাবার সময় ছেলেটি প্রাগে তার ঠিকানা দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে যায়। প্রাগে এসে মেয়েটি খুঁজে বুঝতে পারে, ঐ ঠিকানার অস্তিত্বই নেই।
    এই অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয় loves of a blonde (1965, 90 minutes)
    মিলোস ফোরম্যানের এই সিনেমাটি চেক নিউ ওয়েভের সময়ের। কমেডি, অথচ একধরনের বিষন্ন ভাব কাজ করে পুরো সিনেমাটা ধরে। কিছু commercial elements ডেফিনিটলি চোখে পড়ে। যদিও, অনেক "নন-অ্যাকটার" আছে এই সিনেমাতে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মিল্ডার (ইঞ্জিনিয়ার) মা। সহজ, "mood-pleasing" সিনেমাটির চাইতে, তার ব্যাকগ্রাউন্ডের গপ্পটা অবশ্যই বেশি আকর্ষণীয় আমার কাছে।
  • a_x | 207.69.137.40 | ২৬ জুন ২০০৬ ০৭:৪৬602282
  • ভুল - (বানান ভুলের পাশাপশি) সিনেমাতে মিল্ডা আদৌ ইঞ্জিনিয়ার না। সে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পিয়ানো বাজায়।
  • Samit | 59.92.154.41 | ২৬ জুন ২০০৬ ০৮:০১602293
  • http://p219.ezboard.com/bforeignfilms - আমার দেখা সম্ভবত সবচেয়ে ভালো ফিল্ম কম্যুনিটি । চেটে দেখতে পারেন একবার।
  • Samit | 59.92.154.41 | ২৬ জুন ২০০৬ ০৮:১৩602294
  • পিয়ানোবাদকের মা'কে অনেক সিনেমাতেই দেখা গ্যাছে। যেমন closely guarded/watched train-এ সেই ছাপুতে রাবার স্ট্যাম্প লাগনো মেয়েটির মা, বা fireman's ball-এ ঊপহার পাহারা দেওয়া বৃদ্ধা ।

    মহিলা মিলোসের আবিস্কার । love of blond-এই প্রথম অভিনয় এনার । মিলোস রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে মহিলাকে দ্যাখেন রাস্তায় কারোর সঙ্গে ঝগড়া করছেন । মিলোসের ঘাঘু পরিচালক চোখ এক মুহুর্তে মিল্ডার মা হিসেবে মহিলার সম্ভাবনা বুঝতে পারেন । মহিলা নাকি প্রথমে হেসে খুন হলেও পরে রাজি হন ।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৪ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:০৮602296
  • সিনেমা ভলোবাসি। কিন্তু বারবার মনে হয় বড্ডো coercive মিডিয়াম। ধরো, তুমি দেখছো একটি ছেলে ও একটি মেয়ে নিভৃতে কথা বলছে। তুমি এটা ভাবতে বাধ্য যে ওখানে আর কেউ নেই। অথচ ওদের ঘিরে অন্তত দশ বারোটা মানুষ আছে। সেটা ভাবতে গেলে সিনেমা দেখা লাটে উঠবে। কিন্তু নাটক নিয়ে এই সমস্যা নেই। সবটাই তোমার ওপর। নাটকে সকাল হচ্ছে মানে রঙীন সেলোফেন। তোমার চোখের ওপরেই ঘটছে। নাটকের সেট-প্রপ মানে বানানো। তোমায় কেউ ভাবতে বাধ্য করছে না। তুমি নিজের ইচ্ছেয় ভাবছো। তবু বলছি সিনেমা ভলোবাসি।

  • a x | 207.69.137.10 | ০৪ অক্টোবর ২০০৬ ১৮:৪৫602297
  • কল্লোল, কই না তো। মানে এমন সিনেমাও আছে, যেখানে ভাবতে বাধ্য করায়ে, যে তুমি সিনেমা দেখছো, মানে এই ভাবনাটাই বাধ্যতামূলক, ভাবতে না চাইলেও তাই ভাবাবে। প্রথমেই গদার্দের নাম মনে আসে, ভন ত্রায়ার'ও। কিম্বা কিওরাস্ত্রামি, সিনেমার শেষ, সিনেমা তোলা হচ্ছে দিয়ে। আরো অনেকে আছে। আর তাতে লাটে ওঠা তো দুর অস্ত, হেব্বি মজাই লাগে :-))
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৪ অক্টোবর ২০০৬ ১৯:০৮602250
  • দেব,
    অংরেজ বেশ বজার লেগেছে।
    আর সিনেমা হলো সিনেমা, নাঅটক হলো নাটক, বই হলো বই, ছবি হলো ছবি।
    সিনেমা জিনিসটা আমার গুচ্ছ লাগে - তবে নাটক কোনোদিন প্রায় দেখি নি হওয়াতে হয়তো এই বায়াস।

    বিক্রম
  • Deb | 170.213.132.253 | ০৪ অক্টোবর ২০০৬ ২২:৪৪602251
  • ভিকু, তোমার comments টা আমার clear হলোনা ভাই।
    binary তে বলো ভাই।।।
    ভালো না খারাপ?
    ডেব
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৫ অক্টোবর ২০০৬ ১০:৩৩602252
  • অক্ষ-আমি বোধহয় বিষয়টা ঠিক বোঝাতে পারিনি। ফিল্ম উইদিন ফিল্ম বহু হয়েছে। তাতেও ভাবতে বাধ্য করায়, যে ক্যামেরাটা তুমি ফিল্মে দেখছো, তার পেছনে আর কোন ক্যামেরা নেই। ফিল্ম উইদিন ফিল্ম লিখতে গিয়ে হঠৎ মনে পড়লো, একটু প্রসঙ্গান্তরে যাচ্ছি। কিশোরকুমারের একটা ফিল্ম আছে ""বঢ়তি কা নাম দাঢ়ি"" (১৯৭৩)। কিশোরকুমার পরিচালিত, অভিনীত এবং সুরারোপিত। অসাধারণ ব্ল্যাক কমেডি। বম্বে মেইনস্ট্রিমের পুরোদস্তুর ইনসাইডার হয়েও, মেইনস্ট্রিম ফিল্মের মেকিং নিয়ে এরকম চাবুক-যাস্ট ভাবা যায় না। সেটাও ছিলো ফিল্ম উইদিন ফিল্ম। কেউ যদি এই ফিল্মটার কোন পাতা-ঠিকানা পাও (সিডি,ডিভিডি-যা হোক) একটু জানিও।
    হ্যাঁ, যা বলছিলাম। তুমি যখন নাটক দেখছো তখন গোটা পটভূমিটা পরিস্কার। স্টেজের সীমা এমনকি স্টেজের পেছনের (গ্রীণ রুম, উইংসের পাশে/ওপরে আলোর স্ট্যান্ড ইত্যাদি ইত্যাদি) সীমাও খুব পরিস্কার। এবার কল্পনা করে নেওয়াটা তোমার ওপর। গোধুলীর আলো কমে আসছে-তুমি ডিমারের অপারেশনের কথা ভাবতে পারো - বা - গোধুলীর আলো কমে আসছেও ভাবতে পারো। তাতে নাটকের রসগ্রহণে হানি হয় না। কারন ডিমারের অপারেশনটা তোমার চোখের সামনেই ঘটছে। কিন্তু সিনেমা তোমায় বাধ্য করে গোধুলীর আলো কমে আসছে - ভাবতে। আমি এই ভাবতে বাধ্য করার সমস্যার কথাই বলতে চইছিলাম।
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৫ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:১২602253
  • দেব,
    চলনসই-খুব ভালো না, তবে হ্যাঁ পুরোটা দেখবো। দুবার দেখবো না। কাউকে ঐ বিরিয়ানি বলে র‌্যাপটা ছাড়া আর কিছু দেখতেও বলবো না।

    বিক্রম

  • r | 194.203.201.92 | ০৫ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:৪৩602254
  • কল্লোলের কথা অনুভব করি। নাটকের ক্ষেত্রে সরাসরি সংযোগের ব্যাপারটাও খুব থ্রিলিং। বিশেষ করে অভিনেতা-অভিনেত্রীর কাছে। নাটকের আর একটা মজা হল, কয়েকটা মানুষ জোগাড় করতে পারলেই নামিয়ে দেওয়া যায়। সিনেমার প্রচুর হ্যাপা। নিদেনপক্ষে একটা ক্যামেরা চাই। তবে এইটা বনাম ঐটার কোনো অর্থ নেই। কারো এইটা ভালো লগে, কারো ঐটা। হতেই পারে।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৫ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:২৪602255
  • আমি কিন্তু এটা বানাম ওটা বলছি না। এমনকি অভিনেতার জায়গা থেকেও বলছি না। একেবারে দর্শকের দৃস্টিকোন থেকে বলছি। সিনেমা বাধ্য করে কল্পনাকে তার মতো করে দেখতে, অন্য কোন মাধ্যম করে না - নাটক, গান, চিত্রকলা (ফোটোগ্রাফি, পেইন্টিং), সাহিত্য (লিখিত, মৌখিক) কোনটাই করে না।
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৫ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:৩৬602256
  • উহুঁ,
    প্রতিটা মাধ্যমই তার মতন করে কল্পনাটা দেখায়, আবার অনেকটা রিসীভারের হাতে ছেড়ে দেয়।

    আবার প্রতিটা মাধ্যমেই অনেক প্রোডাকশান হয় যাতে কল্পনার যায়গা খুব কম, খুব বেশি বা মাঝারি। এই সব জিনিসের মধ্যে যার যেটা পছন্দ হয় তখন সে বলে এটা খুব ভালো।

    বিক্রম
  • r | 194.203.201.92 | ০৫ অক্টোবর ২০০৬ ১৯:২৫602257
  • ঠিক। কিন্তু কল্লোল যেটা বলতে চাইছে তা হল: সিনেমা এমন একটা মাধ্যম যেখানে সমস্ত কিছু প্রায় আক্ষরিকভাবে দেখিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ দর্শকের কল্পনাকে প্রায় পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া সম্ভব। "প্রায়" ব্যবহার করছি কারণ সিনেমাতে অনুভবের অনেকগুলো জায়গা এখনও ধরা যায় না। কেউ সেই সুযোগ নেন, কেউ সেই সুযোগ নেন না। কিন্তু নাটকের পূর্বশর্তই হল দর্শকের কল্পনা। সিনেমাতে একটা মাঠ দেখানো হল। তখন তুমি ওটাকে মাঠ বলেই ভাববে। নাটকে মাঠ মানে একটা কাঠের পাটাতন, বা সিমেন্টের মেঝে বা খোলা জমি। দর্শক এই কল্পনার জায়গাটুকু নিজের মগজে পুরেই নাটক দেখতে ঢুকবেন।
  • a x | 207.69.137.9 | ০৫ অক্টোবর ২০০৬ ১৯:৫৬602258
  • কল্লোল, মেনেও মানতে পারছিনা :-)
    এই সিনেমা'র ইচ্ছাকৃত বাস্তবকে তুলে ধরার চেষ্টা, অর্থাৎ গোধুলির আলো মানে গোধুলির আলো-ই এইরকম ভাবার কারণ হয়ত, দুটো, এক এই একটা সাইড রিয়ালিটি তৈরি'ই উদ্দ্যেশ্য আর দ্বিতীয় সিনেমা নির্মাণের অনেকটাই ঘটছে দর্শকের চোখের বাইরে, নাটকে টা পুরোটা নয়। কিন্তু গোধুলির আলো না ভেবে ফিল্টার ব্যাবহার করছে, বা ক্যামেরার কায়দা'র কথাও অনেকেই ভেবে থাকেন তো সিনেমা দেখতে গিয়ে। আর এটা সত্যি কার সিনেমা তার ওপোর অনেকটা নির্ভরশীল আমার মনে হয়।
    খুব সীমিত জ্ঞান নিয়ে বলছি। সত্যজিত খুব ভালো সিনেমা বানাতেন, পার্ফেকশনের প্রতিমূর্তি, কিন্তু, সম্পূর্ণ পরিচালকের সিনেমা। একটা নিটোল ছবি বানিয়ে আপনাকে দিল, আপনি মুগ্‌ধ হলেন, কিন্তু আপনার নিজের বিশেষ কোনো ভূমিকা রইলনা। এখানে গোধুলির আলো গোধুলির আলো ছাড়া দর্শক আর কিছু ভাবতে পারলনা, কারণ সত্যজিত প্রাণপন চেষ্টা করছে আর কিছু না ভাবানোর এবং তাতে পুরো সফলও হচ্ছে। কিন্তু আগে যাদের নাম করেছি, আর আরো অনেকে আছে, যাদের সিনেমা দেখতে গিয়ে বার বার মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে এটা সিনেমাই, পুরোটা অর্টিফিসিয়াল, ধরুন সোজা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে অভিনেতা দর্শক কে উদ্দ্যেশ্য করেই বলছে বা আবার কিয়ারোস্তামি র সিনেমায়ে "ফর্ম" -ই যেখানে মুখ্য এখানে তো দর্শক কে তার ভাবনার বা কল্পনার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়। আমি ঠিক ফিল্ম উইদিন ফিল্ম বলছিনা, মানে ধরুন আকালের সন্ধান দেখে মনে হয়না "আর্টিফিশিয়াল" সিনেমার আবহাওয়া বা দর্শককে সচেতন রাখা, যে এটা একটা সিনেমাই, এরকম কোনো উদ্দেশ্য আছে।

    কিশোরকুমারের এই সিনেমাটি খুঁজে দেখতে হবে তো!
  • a x | 207.69.137.9 | ০৫ অক্টোবর ২০০৬ ২০:০৬602259
  • র, মানলাম, কিন্তু এমন সিনেমা যেখানে এই সমস্ত মাঠ ঘাট বাদ দিয়ে দিয়েছে তাও হচ্ছে আখছার। উদাহরণ দিয়ে বললে আমার সুবিধে হয় তাই বলছি, recent memory তে রয়েছে ডগভিল, যেখানে বাড়ি, দরজা জানলা, এসবের কোনো অস্তিত্ব-ই নেই, শুধু রয়েছে একটা ব্লু-প্রিন্ট। মূকাভিনয়ের মত অদৃশ্য অথচ বর্তমান দরজার কড়া নাড়ে অভিনেতা। এমনকি ঝোপ-ঝাড় মায় কুকুরটা পর্যন্ত চক দিয়ে আঁকা। এই সিনেমা দেখতে গিয়ে কিন্তু বারবার মনে হবে নাটকই দেখছি, অথচ সিনেমা। থিয়েটারের ফর্ম সিনেমাতে exploit করা। আপনা আপনা স্টাইল কা মামলা হ্যয় :-)
  • kallol | 221.135.208.1 | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ ০৭:০৪602261
  • র আর অক্ষ দুজনেই ব্যাপারটা ঠিকই ধরেছো দুটো আলাদা পরিপ্রেক্ষিত থেকে।
    অক্ষ-তুমি বলছো - সিনেমা দেখতে গিয়ে বার বার মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা সিনেমাই...... বা ফর্মই যেখানে মুখ্য.......
    অর্থাৎ তেমন সিনেমা কেউ কেউ ভাবনা চিন্তা করে বানান। এটা অন্য মাধ্যমগুলোর মতো (শুধু নাটক নয়) সিনেমায় স্বতস্ফুর্ত ভাবে আসে না। এটা সিনেমার ধর্ম নয়। তবু ভালোবাসি, তবু মুগ্‌ধ হই।

  • Somnath | 82.178.102.238 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৮ ২৩:২৯602263
  • বোজোর কথায় দি সাইনিং দেখলাম। ভুতের বই। বেশ ভালো।
    না ভয় লাগে নি, তবে ক্যামেরা আর অভিনয় (জ্যাক নিকলসন ?) ব্যাপক।
    কুব্রিক, আগে বলে দিলে নামাতে হত না, আমার কাছে ছিল, না খেয়াল করে আবার নামিয়ে দেখলাম।
    কয়েকটা সীন বেশ ভালো, বিশেষত: যেখানে ওর টাইপ করা কাগজ গুলো মেয়েটা দেখছে। পুরো কৌন এর মনোজ বাজপেয়ি যখন দেখল ফোনের তার কাটা সেরকম কেস।

    সাইকো আর ভুত মখামাখি। মোটামুটি র‌্যাশনাল, মেন্টাল প্রেশারে দেখা হ্যালুসিনেশন দিয়ে চালানো যেত, কিন্তু শেষে বন্ধ লোহার দরজা খুলে বেড়িয়ে আসাটা কোনো ভাবেই র‌্যাশনালাইজ করা যাচ্ছে না, এক যদি না ওর ছেলে ভুল করে খুলে দিয়ে এসেছে এমনটা ভাবা যায়। অবশ্য ওর ছেলে তখন ঘুমোচ্ছিলো দেখিয়েছে। এই একটা খিঁচ রয়ে গেল।

    ভালো বই। তবে অত ভয়ের না।

    এখন SAW ১ থেকে ৫ নামিয়েছি। একে একে দেখবো, দেখি যদি ভয় লাগে। এখন রুমমেট ও দেশে গেছে। এই সুযোগ একটু ভয় পাবার। সে তো আরো ভীতু, ভুতের সিনেমা শুনলেই অন্য দিকে হাঁটা মারে পিপির মতন।

  • Arpan | 65.194.243.232 | ০৫ ডিসেম্বর ২০০৮ ২৩:৫৫602264
  • SAW ভয় লাগবে না। তবে ঘেন্নাপিত্তি নিয়ে বেশি আদিখ্যেতা থাকলে না দেখাই ভাল।
  • shyamal | 72.24.207.153 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:১৫602265
  • স্লামডগ দেখিনি তবে শুনছি নাকি অস্কার পেতে পারে। এও শুনেছি যে মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তি নিয়ে অনেকটা গল্প।

    যখন নার্গিস রাজ্যসভার এম পি ছিলেন, তিনি বলেছিলেন ভারতীয় সেই সব সিনেমাই বিদেশে ফেস্টিভ্যাল ইত্যাদিতে কদর পায় যাতে দারিদ্র প্রচুর দেখানো আছে। তাই শুনে আমরা ভেবেছিলাম, নার্গিস আবার ভাল ছবির বোঝে কি। সত্যজিত রায়ও নার্গিসের প্রতিবাদ করেছিলেন।

    কিন্তু এখন মনে হয় নার্গিস খুব ভুল বলেন নি বোধ হয়। সত্যজিত রায়ের সিনেমার লিস্টে দেখলাম, একমাত্র পথের পাঁচালি ও অশনী সংকেত বিদেশের নামজাদা পুরষ্কার পেয়েছে। চারুলতা, ঘরে বাইরে অসাধারণ হলেও মধ্যবিত্তের গল্প। পুরষ্কার পায়নি।
    ইদানিংকালে সালাম বম্বেও পুরষ্কার পেয়েছে। তাতেও অসম্ভব, দারিদ্র, ড্রাগ অ্যাডিকশন ইত্যাদি রয়েছে। এবারে তাদের উত্তরসুরী স্লামডগ। যদিও টেকনিকালি ভারতীয় ছবি নয়।

    বিদেশী , অর্থাৎ কান, বার্লিন, লন্ডন, টোরান্টো, ভেনিসের সাদাদের কি অবচেতনে একটা আনন্দ আসে যে আমরা ওদের চেয়ে কত ভাল আছি। ভারত বা তৃতীয় বিশ্ব মানেই স্টিরিওটাইপ গরিব। এরা এ ছাড়া চিন্তাই করতে পারেনা হয়তো। ঋতুপর্ণও একটি ছবিও বাইরে মেজর পুরষ্কার পায়নি।
  • Blank | 59.93.193.139 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:২৮602266
  • আপনি কোন গুলোকে বিদেশের নামজাদা পুরষ্কার বলেন? একটা লিস্টি দি,

    অপরাজিত
    Golden Lion of St. Mark, Venice, 1957
    Cinema Nuovo Award, Venice, 1957
    Critics Award, Venice, 1957
    FIPRESCI Award, London, 1957
    Best Film and Best Direction, San Francisco, 1958
    International Critic' Award, San Francisco, 1958
    Golden Laurel for Best Foreign Film of 1958-59, USA
    Selznik Golden Laurel, Berlin, 1960
    Bodil Award: Best Non-European Film of the Year, Denmark, 1967


    অপুর সংসার

    Sutherland Award for Best Original And Imaginative Film, London, 1960
    Diploma Of Merit, 14th International Film Festival, Edinburgh, 1960
    Best Foreign Film, National Board of Review of Motion Pictures Awards, USA, 1960


    তিন কন্যা

    Golden Boomerang, Melbourne, 1962 (for the Two Daughters)
    Selznik Golden Laurel Award, Berlin, 1963


    মহানগর
    Silver Bear For Best Direction, Berlin, 1964

    চারুলতা
    Silver Bear For Best Direction, Berlin, 1965
    Catholic Award, Berlin, 1965
    Best Film, Acapulco, 1965


    নায়ক

    Critics' Prize (Unicrit award), Berlin, 1966
    Special Jury Award, Berlin, 1966


    সীমাবদ্ধ

    PIPRESCI Award, Venice, 1972

    আগন্তুক
    FIPRESCI Award, Venice, 1991
  • shyamal | 72.24.207.153 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:১৪602267
  • এইটা আমি বলতে চাইছিলাম। আজকের নিউ ইয়র্ক টাইমসের থেকে তুলে দিলাম (স্লামডগ নিয়ে) :

    Alice Miles of The Times of London goes so far as to suggest that the film is an example of “poverty porn” — where the suffering of the Indian poor is served up as a perverse form of First World voyeurism.
  • Arpan | 122.252.231.12 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:২২602268
  • শ্যামল, সিনেমাটা দেখে নিচ্ছেন না কেন?
  • a x | 143.111.22.23 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০৪602269
  • অ্যাক্রন, ওহায়ো। মাঝারি সাইজের শহর, শ্লথগতির জীবন। এখান থেকে নিউ ইয়র্ক, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, যাকে আমরা জানি হ্যাপেনিং শহর বলেই। নিউ ইয়র্ক থেকে প্যারি, সিনেমাথেক। শুরু হয় সিনেমার নেশা। সারা পৃথিবীর সিনেমার নেশা। কিন্তু তখনও ঠিক জানেননা জিম ঠিক কি করতে চান। ডিরেকশনলেস, ঠিক যেমন তাঁর সিনেমার চরিত্ররা। ফিরে আসেন নিউ ইয়র্ক, যোগ দেন এক গান-বাজনার দলে। যোগ দেন ফিল্ম স্কুলেও কিন্তু শেষ করেন না। এই ফিল্ম স্কুলের প্রজেক্ট ফিল্মই জিম জারমুশের প্রথম সিনেমা। এর পরের সিনেমা বানান উইম ওয়েন্ডার্সের থেকে ধার করা পুরোনো ফিল্মে। তৈরি হয় "stranger than paradise"। সিনেমার মধ্যে ছেয়ে থাকে লং টেক, খুব কম ক্যামেরা মুভমেন্ট, স্বল্প সেট এবং মাঝে মাঝেই ফেড টু ব্ল্যাক। এই সবই পরে বারবার ফিরে আসে জিমের সিনেমাতে। ট্রেডমার্ক স্টাইল। স্ট্রেঞ্জার দ্যান প্যারাডাইসকে অনেকে অ্যামেরিকান ইন্ডেপেন্ডেন্ট ফিল্ম জগতের এক জলবিভাজিকা (watershed) ফিল্ম বলে মনে করেন। যদিও আমার আপনার পরিচয় হয় জিমের সাথে অন্য সিনেমার ধারে। ২০০৩'এ বানানো "কফি অ্যান্ড সিগারেটস্‌"। পপ্‌ কালচারে মাখামাখি সিনেমা।

    এত গেল শুরুর শুরুর কথা। কিন্তু এখন একটা অন্য সিনেমার গল্প বলি। স্ট্রেঞ্জারের পরের সিনেমা। "ডাউন বাই ল'"।
  • a x | 143.111.22.23 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২২602270
  • "ডাউন বাই ল" নিয়ে বলতে গিয়ে আবার একটু টম ওয়েটস্‌কে নিয়ে বলতেই হবে। তোমরা টম ওয়েটস্‌এর গান শুনেছ? জ্যাজ, ব্লুসের মদে ভেজানো গুরু কি গলা! না শুনলে আগে শুনে এস -




  • a x | 143.111.22.23 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২৮602272
  • তিনটে চরিত্র। তারমধ্যে টম ওয়েটস্‌ও আছেন। আছেন মানে একেবারে খাপে খাপে আছেন। খাপে খাপ মদনার বাপ। পঞ্চার না। পঞ্চার বাপ হল বেনিনি। হ্যাঁ হ্যাঁ সেই ঘুমপাড়ানি লাইফ ইস বিউটিফুলের রবার্টো বেনিনি। সে হল দ্বিতীয় চরিত্র, ইনফ্যাক্ট ওটা বেনিনি কিম্বা লাইফ ইস বিউটিফুলের গাইদো, কিম্বা দুজনেই। গাইদোই বোধহয়, কেননা সিনেমাতে নিকোলেতাও আছে। মানে ঐ গাইদো'র বৌ হয়েছিল যে। বেনিনির নাম বেনিনি আর নিকোলেতার নাম নিকোলেতা।

    তৃতীয় চরিত্র যে, জন লুরি, সেও গান গায়, মানে আসল লোকটা। চরিত্রটা না। চরিত্রটা পিম্প, মানে দালাল।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন