এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গুরু না সামু হায় মুগ্ধ আকালে

    taangan
    অন্যান্য | ১৭ মে ২০১৩ | ২৯৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • taangan | 120.227.112.28 | ১৭ মে ২০১৩ ২৩:৪৩603841
  • ধনও ধ্যানও দিয়ারে আর না হবে মোর, দাঁড়িয়ে আছি সেই চারে, কাটাকুটি পুঁতে রাখা খুঁটি বেয়ে উঠে আসে স্রোত, উত্তর পেছনে রেখে ডান হাতে এপাড়ে ফাঁকা বরাবর বেনাবন দুতিনটা কুল ও পীরালু গাছ শেষে ছোট্ট বাঁশছোপে ভরদুপুরে সাপ সাপিনির শঙ্খ লাগার চকিত সংবাদে রুদ্ধশ্বাস ছুটে গেলে ইতিমধ্যেই যোগাড় করে ফেলা লাল পাড় সাদা থান দুরন্ত কেউটে যুগলের ফুলশয্যারাগে বিষহরি হবে ভেবে বিছিয়ে দিতে দেখা গেছিল ধূপচী নাচের প্রতাযোগিতায় নারকেল ছোবড়ার আগুনে অপর্না মাখামাখি হওয়ায় প্রায় ভেস্তে যাওয়া আসরকে ঢাকের আড়তাল আর হুল্লোড় বাচ্ছাদের বিড়িখা ইলে হয় ক্যান্সার ধূয়োর সঙ্গতে আই য়্যাম এ ডিস্কো ড্যান্সার ফাটিয়ে নেচে বাজীমাত করে দেওয়া যে বাবড়িছাঁট গুরুর মাকে, আমি সেই গুরুর কথা বলছিনা বা সিঙ্গুরের বারো হাত কালীতলায় নভেম্বরের শেষ কটা দিন জনাই বিস্কুট ফ্যাক্টরির মজুরী খেটে ফিরে একটাই গুলতির ঝালি পরম যত্নে বুনত যে কিশোর আসেপাশে গজিয়ে ওঠা গোটা পনেরো পুলিশ ক্যাম্পের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সশস্ত্র প্রতিরোধ হিসাবে, আমি সেই সামু ওরফে সোমেশ্বরের কথাও বলছিনা। স্বরবর্ণমালার ছন্দলুপ্ত উদ্বাস্তু ৯কার শোভাশ্রয় পায় যে গুরুর পুচ্ছে সেই গুরু ও চিন্তালতায় বোনা ব্লগে ব্লগে সলতে পাকান সামুর কথা বলছিলাম। গুরু নিন্দা মহাপাতক। চণ্ডাল আমি। গরিমা গুরুর। চণ্ডালের আছে শুদ্ধ রিষ। চণ্ডা৯ কি নিছক কভার? গুরুর আবরণ আভরণ? নাকি ৯কার যথা লুপ্তপ্রায় অঙ্গ? সম্যক ঋদ্ধ গদ্যে প্রথম পাতা, নিশ্চল। ইহা ইজীন বটে, সামুর মত ব্লগার কলোনী নয়। খাদ্য-খাদক, পাঠিকা-লেখক উচ্চাকান্খা ঘোষণার কি হয়? সামু বাজারে এসময়, টৈ গুরু জয়
  • taangan | 80.39.185.82 | ১৯ মে ২০১৩ ১৫:০৯603852
  • কারন, ছোট্ট বাঁশছোপ পেরিয়ে পূবে বাঁক নেওয়ার আগেই পশ্চিমে পাড় ভেঙ্গে প্রজাপতি জাল বানিয়েছে মরা টাঙন। সেখানেই জলকেলি, ডুবে ডুবে জল খায় এখনোকি কিশোর কিশোরী? ওপারে হঠাত্‍পাড়া, এই পাড়ে কুমীর পালের এক লপ্তে বিশ বিঘা জমি।
  • I | 24.99.81.121 | ১৯ মে ২০১৩ ১৫:৪৩603863
  • বেশ। চলুক।
  • pi | 78.48.231.217 | ১৯ মে ২০১৩ ১৭:৫৪603867
  • হুঁ, চলুক ..
  • dd | 132.167.42.111 | ১৯ মে ২০১৩ ২০:২৩603868
  • ওপেনিংটা তো খাসা হোলো। এবারে বাকীটা হোক ...........
  • rivu | 140.203.154.17 | ১৯ মে ২০১৩ ২২:৪৮603869
  • বাপরে এযে ভীষণ কঠিন জিনিস। প্রথম দাঁড়ি পজ্জন্ত একখানাই বাক্য? আমি তো বাক্যহারা।
  • শ্রী সদা | 127.194.201.139 | ১৯ মে ২০১৩ ২৩:০৩603870
  • কিস্যু বুইলাম না।
  • dukhe | 127.194.237.32 | ১৯ মে ২০১৩ ২৩:১৬603871
  • কমলকুমারকে প্ল্যানচেটে ডেকে আনি।
  • taangan | 80.39.185.27 | ২০ মে ২০১৩ ০৩:২৬603872
  • ৫হর্সপাওয়ার মেসিনটা কেরোসিন ব্যারেল কেটে ঢাকা রাখা ছিল মরা টাঙনের ভরা বাঁকে ঝুঁকে পড়া যে বটগাছটার গোড়ায় সেই গাছে জাহাজের কাছিটা বেঁধে টেনে তুল্লে পর করাতে জাঁদরেল কুম্ভীরটার পেট চিরে দেখা গেল সাঁওতাল রমনী সোনার গহনাগুলি পরে ঝুড়ি উল্টে বসে বেগুন বেচছে। আটভাট বেঁধে নেমে এভাবে প্ল্যান চেটে যাওয়ায় ডমরুধর চেতে গেলেও কিছু করতে পারেনি।
  • siki | 127.200.66.204 | ২০ মে ২০১৩ ০৭:০৩603842
  • আমার পে চ্যানেল হয়ে যাচ্ছে।
  • taangan | 80.39.185.18 | ২০ মে ২০১৩ ১৩:৫২603843
  • কুমীর পাল এন্ড ব্রাদার্স এমন বেশ কয়েক লপ্ত জমি, ছোটো বড় ডজন খানেক পুকুর, তিন জোড়া তাগড়াই মোষের গাড়ি, বিশাল বসত বাড়ি পেরেছিল। তবে ইঁটের প্রাচীর ঘেরা খলিয়ানের এক কোনায় টানা গুদামের লাগোয়া সৌখিন বৈঠকখানায় জাঁকিয়ে বসতে না বসতেই মার্কিন থান পরিধান রুদ্রাক্ষ ধারন খোলে করতালে হরিবোলে সাধু হয়ে গেল কুমীর পাল। কলাইডাঙ্গা হাট সেরে গোরুর গাড়িতে ইমামনগর ফেরার পথে ফাঁকা মাঠে আঁশ শ্যাওড়া গাছটার পাশে শনিবার ভর সন্ধ্যায় দা'এর কোপে মুকুন্দ গোলদার খতম হয়েছে কিছুদিন আগে। তারও আগে প্লাবনের মত এসেছিল নোমোরা।
  • taangan | 80.39.185.10 | ২১ মে ২০১৩ ০১:১১603844
  • এই আমাদের জাবিহাবি চুপকথা বেঁটেখাটো ধুতি পাঞ্জাবি শরত্‍ বিশ্বাসের ঝোলায় ঘিয়ে রঙ প্লাস্টিক জুতোয় খচফছ ছন্দে ডোবা থেকে মারডাঙ্গা বাজারে অবতার পান্ডের দাওয়ায় চায়ের কাপ হাতে বসত যখন ততদিনে নোমো ও সাঁতালের, সড়কি আর তীরের, সম্মুখ সমর পুরান হয়ে গেছে।
  • b | 135.20.82.164 | ২১ মে ২০১৩ ১২:২১603845
  • আরো লিখুন।বড় করে আরেকটু।
  • taangan | 233.176.206.158 | ২৪ মে ২০১৩ ০১:৪৫603846
  • বাঁশখুঁটি বেস্টন করতে ঢেউবৃত্ত ভেঙ্গ ভেঙ্গে ঘূর্ণী পাকায় ছোঁমন্থন স্রোত। এইত এখানে ঘুম ভাঙ্গা তাকাতেই লন্ঠন ঝাপসা নৌকায় নদী ওপার উপরে অনেক অন্ধকার, পুতুলনাচ সেখানেই, মায়ের কোলে আন্চলে কতটুকু টাঙ্গন ভয়ের আগেই স্মরণ পায় ঘুমসুপ্ত তুলে তাকে মা বাবার দোবা যাওয়া তারই কান্নাজেদে, পুতুল কীকরে নাচে? কিশলয় কচিপাতা সাহিত্য সরণি এক দৌড়ে পার করে, কাঁদরের জল কাদা বর্ষা বুকে মরা টাঙনে ঝাঁপ দেওয়া খাঁড়ি বেয়ে নৈশ অভিযান সেরে ইন্দ্রনাথের নৌকা জেলেদের তাড়া খেয়ে তীব্র বেগে গাঙ পেয়েছিল অইত পেছনে। যেমন,
  • taangan | 80.39.185.103 | ২৪ মে ২০১৩ ০২:১১603847
  • আমি ভয় পেতে শুরু করেছিলাম ওকে। ও কাউকেই ভয় করতনা। বছর খানেক হয়ে গেল ডোবা থেকে আমাদের পাড়াতে এসেছে ও। ছিপছিপে ছোপছোপ চুপচাপ ঝাঁপঝোঁপ। কে না ওকে ভলবাসতে চাইবে, পোষ মানাতে চাইবে, সাথে নিয়ে ঘুরে আসতে চাইবে ভাদু পালের পরিত্যক্ত পুকুরপাড়ের ঝোপঝাড়ের গহনে। আমি তো চেয়েইছিলাম। ওর মসৃণ চকচকে গ্রীবায় আমার হাত রাখতে, এমনকি উঁকুন এঁটুলিও তুলে দিতে। ভ্রুক্ষেপ করেছিল, যেমন ও করে থাকে। এখনও যখন চকিত চাহন, ওর চোখের ভেতরটা আমি দেখতে পাই, দেখি ও আমার চোখের ভেতরে দেখছে। ঘৃণা আর দুরভিসন্ধি গুলো ওর খুবই চেনা। ভয় ওকে খুঁজে পেতে দেইনি কখনো। কিন্তু আক্রোশ লুকোইনা। ভীষণ ব্যস্ত ও, এই আছে এই নাই। ওর বাড়ির খোলা উঠোনের পাশে আমগাছ তলায় মাটিতে থুতনি ঠেকিয়ে শুয়েছিল দেখছি, আমিও উবু হয়ে একমনে এঁটেল মাটি ছেনে গুলি পাকাচ্ছি, হঠাত্‍ এক টুকরো কুঁইইইত্‍ আওয়াজে পেছন ফিরে দেখি সাপবেলুন আকাশের দিকে ঠ্যাং তুলে নিশ্চল, তলায় ফেলে ও নির্লিপ্ত দাঁড়িয়ে, দৃস্টি আমার দিকেই। চকিতে এক ফালি টালি হাতে উঠে দাঁড়াতে না দাঁড়াতে বারান্দার ঢালু বেয়ে গামারী গাছটার পাশ দিয়ে লাল ডাঁটার ছোট্ট খেত টপকে গোবর সার জমানোর গর্ত পেরিয়ে আবার ও আমতলায় গিয়ে উঠেছে। যাওয়ার আগে সাপবেলুনের গলার কাছে আলতো ছোবল দিয়ে যেতেও ছাড়েনি হারামজাদা কালুয়া। গুলতির গোলতা পাকানোর উদ্দেশ্য ওর কাছে তো গোপন ছিলনা। সাপবেলুনকে বাড়িতে এনে তোলার সময়ই বুঝেছিলাম ও ছাড়বেনা। আহা, সাপবেলুনকে ঘরে আনতেই কি কম কাঠখড়! নগদ ১০০ টাকা মানে কত তখন? ক্লাস সেভেন বোধ হয়, পরের বছর সপ্ত আশি বন্যা, যে প্লাবনে এই আমাদের কল্পযাদু গল্পনের মর্মান্ত হবে। খবরটা দিয়েছিল মোষগাড়ির গাড়োয়ান পাগল বিশ্বাস। সাঁতাল পাড়ায় ছিলকা মুর্মুর বাড়িতে আরেকখান আছে, বড় কালোডারে দেবেনা, ছোটোডাও কম তেজী না, বয়স একটুক বেশী, কিন্তু আনা যাবে, ছঅল যহন চায়, ওইডারেই আনেন মাস্টারমশাই। ছিলকারে রাজি অরবানে, দেড়শ কইছে একশ টাহা দিলিই হবে। সন্ধ্যার মধ্যেই গলায় গামছা বেঁধে সাপবেলুনকে এনে হাজির করে পাগল বিশ্বাস। দিদিমনির হাতে পুকুরের সিলভার কার্প এর ঝালঝোল রুটি সহযোগে বোতল, মাস্টারমশায়ও নেন এক কাপ তিনি যাকে বলেন স্পিরিট। নবাগতর রূপগুণচর্চা চলে। গলার জোর দ্যাখছেন! ন্যাজখান কেমন লম্ফা আর মোটা। এক বছর যাতি দ্যান দ্যাখফেন কালুয়ারে এইতা জব্দ করে দেবেনে। খবর রটে যাওয়ায় বাচ্চারা সকালে দেখতে এসেই কয়, লেজডা দেহিছিস! বোদা, সাপবেলুনের নালি! হাসির ছররায় সাপবেলুন নাম চাউর হয়। কালুয়া প্রথম সপ্তাহেই ওকে তিনবার ঘায়েল করে, তবু সাপবেলুনের আনন্দের কমতি নাই। কালুয়া ততদিনে এলাকার ত্রাস। উত্তর বরাবর এগিয়ে মোটা রাস্তা যেখানে শেষ হয়েছে, যেখান থেকে আলপথ ক্রমশ সরু হতে হতে এঁকে বেঁকে নেমে গেছে চারের গোড়া পর্যন্ত, সেখানকার খেজুর ঝোঁপ, ওর বাড়ির সামনে দিয়ে সোজা পশ্চিমে নব্বই ডিগ্রী বাঁক নিয়ে মোটা রাস্তা ভাদু পালের পুকুর পাড় পেরিয়ে যেখানে দক্ষিণে ঘুরে যায় সেখানকার এক লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি নিম জীগা ও জাম গাছ, পূবে বাড়ি থেকে গোটা পাঁচ ধান ক্ষেত নেমে গিয়ে মরা টাঙনের কোলে সঙ্খজোড় বাঁশছোপ বা পাড়ার দক্ষিণ প্রান্তে যে আমগাছে স্বর্ণলতা ছড়িয়ে দিতে উঠে গেছো ব্যাঙ ধরে ফেলেছিলাম অর্থাত্‍ যে আমগাছের তলায় কুমীর পালের বড় ছেলে ঢনা কোদালের এক কোপে কোমর ভেঙ্গে দেওয়া বিশাল গহমা সাপটাকে ফেলে অনেকক্ষণ খেলিয়ে খেলিয়ে শেষে আচ্ছা করে চুণ ডলা খৈনী মুখে গুঁজে দিয়ে ঘুম পারিয়ে এক পাশে কবর দিয়েছিল, সেইখানে এবং আরো কোথায় কোথায় না জানি, সর্বত্র কালুয়া তার মূত্র-নিশান ছড়িয়ে বেড়াত।
  • siki | 132.177.5.51 | ২৪ মে ২০১৩ ০৯:৪৯603848
  • দাদা, বাংলা কী কঠিন!
  • b | 135.20.82.164 | ২৪ মে ২০১৩ ১৭:১৩603849
  • ভালো হচ্ছে। লিখুন।
  • saikat | 212.54.74.119 | ২৪ মে ২০১৩ ১৭:২৭603850
  • ২৪শে মে, ২ঃ১১-র লেখাটা কিঞ্চিত "সরল" হয়ে গেল। কিন্তু চলুক।
  • taangan | 80.39.185.10 | ২৫ মে ২০১৩ ১৭:১৬603851
  • আরো অনেকেই ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বুঝতে পারছিলাম। পাল পাড়ার যে পঞ্চু পাল, ভাদু পালের ছোট ছেলে, তার বিচি বিহীন পেল্লাই টাইগারের তেলচুকচুকে জিন্দেগী খুবলে দিয়েছে কালুয়া। পঞ্চুর কাকার ছেলে পাগলা কালু ওদের গাট্টাগোট্টা মন্টুকে খাসি করার বদলে লেজের ডগা কেটে সেখানে নিয়মিত ডোজে সিঙী মাছের কাঁটার খোঁচা মারছে বলে খবর। পাগল বিশ্বাসের ছোট ছেলে কটা, যে মারবেল, কাঁচ গুলি, ডিগ্গুল, ডাংগুলি, গুলতির তাক, ঘুড্ডি, লাট্টু, পিট্টু, ছিঁবুড়ি, গোল্লাছুট, গাদ্দি, লুকোচুরি ও তার পরের ভার্সান হাসপাস ধাপ্পা ও তারো পরবর্তি ভার্সান সাতপাতা ধাপ্পা, কবাডি, হ্যান্ডবল ফুটবল ব্যাটবলে আমার জীগরি কম্পিটিটর ছিল সেই কটা কয়, মাইরি কোচ্ছি টাঙন, চুদির ভাইরে পালি হয়। কটার ভোলেভালা বাচ্ছাটা, যার নাম আমিই গাবলু দিয়েছিলাম, সেই বাচ্ছাটাকেও দয়া দেখায়নি কালুয়া। কিন্তু কায়দামত পাচ্ছিলামনা ওকে। বাড়ির উঠোনে গিয়েত আর ঝাঁপিয়ে পড়া যায়না। বিশেষত ওর বাড়ির লোক মানতেই চায়না। বৌদি বলে, হঅ। তোরাই কোস খালি, কোই আমাগেতা ত ধরেনা, দ্যখদিনি মুরগি গুলান কালুয়ার কত ধার দিয়ে ঘুরতিছে, এড্ডাও ছানা মুহি নেছে কহনো! আর, তুলসি মঞ্চে মোতার কথা কোস? ওইডা ওরা করবেই, আমাগে এহেনোও করে। ফলত, চোরাগোপ্তা হানা ছাড়া পথ ছিলনা। আমতলায় শুয়ে থাকা অবস্থায়ও একদিন টার্গেট নেয়া হয়েছিল। বাদল বোসের এ্যবানডন্ড ডিস্পেন্সরির দেয়ালের আড়াল থেকে গুলতি তাক ধুলোয় লটপট ওর বিচি দুটোকে। খাড়ায়ে থাকা জিনিসের চেয়ে মাটিতে পড়া জিনিস তাক করা অনেক কঠিন। চার আঙুল আগে ড্রপ খেয়ে গোলতা ওর পেছন বাম্প করে উঠোন টপকে অপর প্রান্তের পাটকাঠি বেড়ার রান্নাঘরের খোলা দরজায় ঢুকে পেতলের কলসিতে ঠং করে আওয়াজ তোলে। গুলতি কাজে আসেনি, পুটকির নিচের সাদা অংশে বা নাকের উপর বা কানের গোড়ায় লাগান অসাধ্য হয়ে উঠছিল। সাপবেলুনের গোটা শরীরটাই সাপবেলুনের মত হয়ে যাচ্ছিল। পূর্ণিমার আগে পিছে কয়েকটা রাত চাঁদের দিকে তাকিয়ে সাপবেলুনের একটানা ডেকে চলার সময়রেখা ক্রমাগত লম্বা হচ্ছিল, আমি কোন কোন রাত বিছানায় জেগে থেকে দেখেছি সাড়া পাড়া নিঝুম জ্যোত্‍স্না প্লাবনে একা সাপবেলুনের ভোররাত অব্দি কন্ঠসাধন। সেবারের মাহ ভাদরে দশ দিন বাদে ক্ষতবিক্ষত শরীরে সাপবেলুন ঘরে ফিরেছে। বিষ্যুদবারের হাট থেকে ফেরার পথে অনেক রাত যখন মরাপোতার কাছে নিজের মোষের গাড়ির চাকা পেটের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় মারা গেল যে দিপু মাহাত তাদের বাড়ির চেমঠির ছটা বাচ্চার গায়েই কালুয়ার সাদা কালো লিনোকাট ভেঙ্গেচুরে ফুটে উঠেছে, অতি দূর সমুদ্রের পাড়ে আমি ইতিহাসে রেনেসাঁস আরো কত মনচাঁড়ালের পথে পথে কুত্তার মত একাগ্র আনমনে কেটে গেছে, সেই সময়ে তিস্তার বাঁধভাঙ্গা হঠাত্‍ প্লাবনে জেগে দাখি সারা ডোবা আমার পাড়ায় উঠে এসেছে। বৌদির বাপের বাড়ির কযেক জনের সঙ্গে এসেছিল মঘা। লম্বায় ছোটো বলে অসম্ভব হোঁত্‍কা, পিঠের ওপর লুটিয়ে পড়েছে ল্যাজকুণ্ডলি, এক উঠোনে দাঁড়িয়ে দুজনেই দুজনার দিকে শান্ত দৃস্টি, মঘা বৌদির হাতে আদর খাচ্ছে দেখে কালুয়া পেছন ফিরে বেরিয়ে যেতে গিয়েই মর্মান্তিক ভূলটা করে বসল। হাজার ভোল্টের বিদ্যুত্‍ খেলে গেল নিশ্চয়। পেছনের দাফনার গোড়ায় মঘার চারটা দাঁত মাংস ভেদ করে হাড়ে গিয়ে ঠেকেছে দুদিক থেকেই, বৌদির বাবার ছাতার বাঁট ভেঙ্গে গেল মঘার পিঠে, মঘা সামান্য মাথা ঝাঁকিয়ে কামড়ে নির্বিকার, কালুয়ার শরীর গুটিয়ে এতটুকু হয়ে গেছে, পাগলের মত মোচড় মেরেও ছাড়াতে পারেনি বজ্র চোয়ালের আঁটুনি। কেউ একজন চ্যালাকাঠ ফাটান কুড়ুলটা তুললে অবশেষে ছাড়া পেতেই ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটে। কালুয়ার আর্তনাদ সেই যে থামল, একটুও আর শব্দ করেনি, আড়ার নিচে রাখা পাওয়ার টীলারের তলায় আশ্রয় নিয়েছিল লেংচে লেংচে। লোকজন জমে যায়, জানা যায় যে গত মস্ত্ মরশুমে তিনটাকে খতম করেছে মঘা, একটাই কৌশল ওর, পেছন থেকে নিশব্দে ছোবল মেরে বিচিদুটো ছিঁড়ে নেওয়া। কালুয়ার ক্ষেত্রে দেখা গেল বিচির থলিটা একটা দাঁত চিরে দিতে পেরেছে মাত্র, পা টা হয়ত লুলো হয়ে যাবে, তবে মরার চান্স নাই। হাতুড়ে চিকিত্‍সাও হোলো প্রাথমিক, কিন্তু কালুয়া প্রায় কিছুই খাচ্ছিল না। মাঝে মাঝে পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম। সরে যেত না, তাকাতও না আমার দিকে। ভাদ্র মাস যেতে বসল, জলটা একটু আধটু খায়। শেষ দিকে, চেমঠি খেঁদি কাল্ঠি ইত্যাদিদের উপুর্যোপরি গর্ভবতী করে মঘা যখন মারডাঙ্গা বাজারেরও ওদিকে ধর্মসাগরে আধিপত্য বিস্তার করছিল তখন আচানক খবর আসে ঘোষেদের এক পাষণ্ড ছেলে হাঁসুয়া চালিয়ে কুচ করে আলাদা করে দিয়েছে জোড় লাগা কুকুর কুকুরীকে। মঘা বাঁচেনি, কাটা পড়া লিঙ্গ প্রবিষ্ট থেকে গেছিল যার যোনিতে সেও বাঁচেনি। আমি মঘার মৃত্যু সংবাদ কালুয়াকে দিয়েছিলাম। বুঝেছিল কিনা জানিনা, আমি চেয়েছিলাম অন্তত আরেকবার ও আমার চোখের ভেতর তাকাক। দুদিন বাদে ও মারা যায়। আরো অনেক রাত সাপবেলুনকে চাঁদের দিকে তাকিয়ে সুর সাধনায় মগ্ন দেখা গেছে, চাঁদনি রাত গুলোতে বাড়ির আসপাশ ছেড়ে পাড়ার বাইরে দিগন্ত বিস্তৃত ফাঁকা মাঠের জ্যোত্‍স্না প্লাবনের দিকে সরে যেতে যেতে কোথায় যেন সে হারিয়ে যায়। কুড়ি কুড়ি বছরের পার এখন আবার লিখতে গিয়ে ভাষায় হয়ত খানিক ছাপগুরু চাপ, কিন্তু রায়গঞ্জ বন্দরে বসে কুত্তা কথাকার ছদ্মনামে বানান এই রিপোর্ট আমি তিন কুত্তা শীরনামে পোষ্যপত্র নামক ভূবন বিখ্যাত পেট ম্যাগাজিনের জীবন+কুকুর সেকশনে ছাপানর জন্য পাঠিয়েছিলাম। রিজেক্ট হয়েছিল। সম্পাদিকা একটা চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। চিঠিটা আমি হারিয়ে ফেলেছি কিন্তু তার কথাগুলো কিছু কিছু মনে আছে।
  • san | 113.21.185.62 | ২৫ মে ২০১৩ ২১:৪৬603853
  • বাঃ ভাল তো।
  • taangan | 80.39.185.10 | ২৭ মে ২০১৩ ১২:৪৮603854
  • কুপিত তিনি লিখেছিলেন যে কেবলমাত্র গৃহ পালিত পশুদের জন্য প্রকাশনা চালান তাঁরা, নেড়ি কুত্তাদের কামড়াকামড়ির জন্য নয়। আমেরিকাতেও পোষ্যপত্রের যথেষ্ট কাটতি আছে তথাপি তাঁরা অসমঞ্জস্য বাবুর বিখ্যাত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ দিশী কুকুরটির গল্প ছাপানর সিদ্ধান্ত একবার নিয়েই ফেলেছিলেন, কিন্তু তা বলে হরঅয়াক্ত ঘটে চলা এইসব উচ্ছৃঙ্খল গাঁইয়া খেয়োখেয়ি ছাপিয়ে তাঁরা পাতা নষ্ট করতে চাননা। তিনি আমাকে এই বলে শাসান যে ইউরোপ আমেরিকার মত সভ্য দেশ হলে আমার, কটার, ঘোষেদের ছেলেটার, এমনকি সিঙী কাঁটার খোঁচা মারা পাগলা কালুর হাতেও হাতকড়া পড়ত। উ: মা: পড়ি তখন করোনেশনে। নোংরা জংলা লুম্পেন মাস্তান বেশ্যাপট্টি ঘিঞ্জি বন্দরে কুঠরী নিয়েছি শৈশবে গোগ্রাসে ঐসব বম্বেটে এডভেঞ্চার গিলে খাওয়া সমুদ্রের আত্ম রতি আরতি যাদুকল্পে, যার কিছু দিন পরেই এই আমাদের মফস্বলি বিভ্রান্তে প্রবিশ্ট হবে হাল ছেড়োনা বন্ধু বরং মার্কেজ স্পন্দন, সেই স্ফুটন কালে সম্পাদিকা সুচরিতা সেনকে কালিদের বাড়ির ঘারোয়া বিড়াল যে ওই স্থানীয় সংবাদ শেষ হওয়ার পর সেই কোথায় মারডাঙ্গা বাজার থেকে এসে মিনিগুলোর সোহাগ দখল নিত এবং পরে মিনিদের হিংস্র প্রতিরোধ ফাঁকি দিয়ে মদ্দা ছানাদের মাথা খেয়ে ফেলত সেই ঘারোয়া বিড়ালকে বুড়োথবু জবু হয়ে কালিদের দাওয়ায় বসে থাকতে দেখার সবিস্তার কাহিনী পাঠাব ভেবেছিলাম। কালুয়ারা হাপিশ হয়ে যাওয়ার বহু আগে মব লগে ঘন শীহরণ বট ফড়িংয়ের লেজ ছিঁড়ে দূর্বাঘাস এরেপ্লেন বা সেই পরপর কয়েকদিন দেখতে না পাবার অধৈর্যে খেজুর গাছে নাগাড়ে তা দিয়ে চলা ঘুঘু পাখিটার বাসা খুঁচিয়ে ভেঙ্গে খোলসের ভেতর লাল টুকটুকে মটর দানার মত মুন্ডুটার বেরিয়ে আসার অন্তিম আফসোস গাঁথা শোনাব ভেবেছিলাম। নাইলনের সুক্ষ্ম ফাঁসে শুকিয়ে কাঠ সেই পায়রা মায়ের লটকে থাকা কিম্বা পাগলা কালুর হাঁসটাকে জলে ডুবিয়ে ঘন পানাকচুরীর বিশাল বিস্তারের অতলে ঠেলে দেওয়া আকুল ভাণ্ডার ইত্যাদিও লিস্টে ছিল নিশ্চয়, নইলে দিনস্বপনের দিন এখনও কাটেনা কেন, চার পার হতে মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড় অকস্মাত্‍, বূড়োতো হওনি, ওইত গোলাপ বাগান, ওইখানে নেত্য করো!
  • kulik | 233.176.204.20 | ২৯ মে ২০১৩ ১৮:০১603855
  • মর্মান্তিক বটে!!
  • kulik | 116.198.206.228 | ৩১ মে ২০১৩ ০২:০৬603856
  • পথিক কি পথ হারালেন, নাকি এখানেই মর্ম অন্ত! এই গেঁয়ো গদ্যামোর?
  • b | 142.204.220.197 | ৩১ মে ২০১৩ ০৮:১৯603857
  • টাঙনের লেখা চাই আরো।
  • aka | 80.193.131.38 | ৩১ মে ২০১৩ ০৯:৩৬603858
  • এও কিসুই বুইলাম না।
  • siki | 132.177.209.250 | ৩১ মে ২০১৩ ০৯:৩৮603859
  • আকা, বঁচালে। আমি এতক্ষণ ফ্রাস্টু খাচ্ছিলাম যে আমি বোধ হয় একাই বুঝছি না। আগাপাস্তলা কিস্যু বুইতে পারি নাই।
  • টাঙন | 233.180.162.203 | ৩১ মে ২০১৩ ২২:৪১603860
  • ওই পার থেকে সূর্য ওঠে।
    কুলিক, প্রিয় বন্ধু আমার, তোমায় কি বলেছিলাম, পূবের বারান্দা থেকে কয়েকপা নেমে পুকুর ঘাটে ফজলি গাছটার পাশে দাঁড়ালে যেখানে খেজুর পাতার ঘূর্ণী খেজুর কাঁটার শক্তসুন্দর আলে বনবন ঘুরত জোরালো হাওয়ায়, ওপাড়ে ধানক্ষেতগুলো পেরিয়ে মরা টাঙনের তরলরেখা বরাবর দাঁড়িয়ে থাকা ধূসর-সবুজ বাড়িগাছের চারিদিক ঝিকমিক করে উঠে, প্রজাপতি জালে মাছেদের ঝাঁকে সাড়া ফেলে অতিকায় পাখি ব্যাসালের বাঁশখুঁটিকল জাগিয়ে, গেছোব্যাঙ-আমগাছটার ওপর দিয়ে, তামাম এলাকার অধীশ্বর বলিষ্ঠ লাল ফুলে অঙ্গ ভরা সেইযে শিমূল গাছটার শেকড়ে বাঁধা দিপু মাহাতর মোষদুটি সকালের কাজশেষে শ্রান্তিতে জাবর কাটার সময় দুয়েকটা রসালো শিমুল ফুল মুখে তুলে নিত সেই শিমুল গাছের ঠিক মাথার ওপর এসে খানিক থমকে ঢলে পড়ত, তারও পরে, ধূলোখেলা সাঙ্গ হলে শ্বেতদ্রোণে মৌমাছি জমিগুলোর শেষে আমরা যখন দিগন্তে দাঁড়াতাম, তখন সাঁওতাল পাড়ার কপাল ছুঁয়ে নরম কালচে লাল বিষন্নতায় তোমার বুকে ডুবে গিয়ে আরব্য রজনীর প্রভাতে উদয় হত সূর্যটা?
  • rabaahuta | 172.136.192.1 | ৩১ মে ২০১৩ ২২:৫১603861
  • টাঙন আর কুলিকের মধ্যে কথোপকথন কি একটি সলিলকি? 'গেঁয়ো গদ্যামো' শব্দবন্ধ দেখে মনে হলো। যদি তাই হয়, হোক, হোক।
    ভুলও হতে পারে। যাই হোক, চলুক।
  • টাঙন | 233.180.162.203 | ৩১ মে ২০১৩ ২৩:২৩603862
  • নির্মল ভট্টাচার্য শরত বিশ্বাসের ঝোলার খবর জানতনা যেহেতু তাই অমন ভুল করেছিল। অবশ্য তাতেকি শসধর বাবুর লোম্বা হয়েছে? এয়ারফোর্সের চাকরিটা ঠিক সময়েই পেয়ে গেছিলেন তিনি।
  • টাঙন | 233.180.162.203 | ৩১ মে ২০১৩ ২৩:৪২603864
  • সেই সম্মুখ সমরে নম ও সাঁওতালের সড়কি ও তীর একে অন্যকে ঘিরে নিলেও পরস্পরকে শেষ পর্যন্ত বিদ্ধ যে করেনি তাতেই জবর ধাক্কা খায় নরেন সরকার ও কুমীর পালের বাবারা। বহু পরে, দ্বিতীয় বামফ্রন্ট আসার কিছুদিন পর নির্মল মাস্টাররা এসেছিল, তৃতীয় বারের পরও টিঁকেছিল কেবল দেবব্রত সামুই।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন