এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • অনিকেত | 212.54.54.240 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৬:০৪619483
  • শিক্ষক দিবস ও আমাদের দ্বিচারিতা
    ---------------------------------
    শিক্ষক দিবসে নানারূপ রস-কষ-সিঙ্গারা-বুলবুলি ঠাসা মস্তকে যে দু-একটি কথা আনাগোনা করছে সোজা-সাপ্টা বলে ফেলি। দেখুন গোটা সমাজটা কে ‘যারা শিক্ষক’ আর ‘যারা শিক্ষক নয়’ এই দুটো ভাগে ভাগ করে ফেলা কিছুতেই সম্ভব নয় কারণ শিক্ষক কোন বিশেষ প্রজাতি নয়, নানারূপে সম্মুখে তোমার...। সকালে যিনি শিক্ষক হয়ে পরিষেবা দেন বিকেলে তিনিই উপভোক্তা (মানে ছাত্রের মা/বাবা, এমনকি ছাত্রও হতে পারেন বড়ো মাপে, যেমন গবেষক)। আবার উপভোক্তারাও মানে ছাত্রের মা-বাবা-অভিভাবক অনেক জায়গায় শিক্ষকের মা-বাবা-স্বামী-স্ত্রী-পরিজন। এই জটিল জালিকাবিন্যাসের মধ্যে শুধু ওই দাতা-গ্রহীতা এক্কেবারে সরাসরি চেয়ার-বদল হচ্ছে না বলে এই ‘যেমন খুশী বল’ খেলায় যে যেমন পারে ফাউল করে চলেছে !
    হ্যাঁ, ফাউল করা ছাড়া কিই বা বলি, শুধু সমালোচনা হলে তো এত ভাবতে হত না। এই যেমন শিক্ষকদের কথা উঠলেই একটা হতাশার আওয়াজ ‘আমাদের সময় কি সব টিচার ছিলেন, এখন আর সেই রকম কোথায় !’ ঠিক কেমন ছিলেন ‘তখনকার’ মাষ্টারমশাইরা, সবাইই কি একইরকম ভালো ছিলেন, সেইরকমই কি এখন আপনার ছেলে-মেয়ের জন্যও চান, এইসব প্রশ্ন করলে কিন্তু ঠিক ঠাক উত্তর পাবেন না ! আর শিক্ষক মানেই তাদের কাছ থেকে যে একটা ‘অন্যরকম’ কিছু আমরা আশা করে ফেলি, সেই আশাটা সোচ্চারে প্রকাশ করে ফেলি, এইটা কতদুর সঙ্গত সেটাও একটু ভাবুন। দেখতে গেলে সব পেশাই সব পেশা থেকে অন্যরকম, নিজের কাজটা ঠিকঠাক করাই যে কোন পেশার দায়বদ্ধতা। অন্যরকম না হলে তার দায়বদ্ধতা কমে যায় এমন তো নয়, তা হলে শিক্ষকতা কে আমরা আর পাঁচটা পেশার মত একটা পেশা হিসেবে, শিক্ষককে একজন ‘পেশাদার’ হিসেবেই দেখবো না কেন ! আপনার আমার ঘরের বাবা কাকারাই সেকালের শিক্ষক ছিলেন আর আমরাই আমাদের ছেলেমেয়েরাই এখনকার শিক্ষক হচ্ছেন; তাই শিক্ষকদের মধ্যেও চিরদিনই ভালো-মন্দ ছিল, আজও আছে এইটা মেনে নিতে আসুবিধে কোথায় ?
    শিক্ষককে আমরা ‘মানুষ গড়ার কারিগর’ বলেছি (সে তো ঝাড়ুদারকেও সমাজের বন্ধু বলেছি !) সে আমাদের সখ, কিন্তু তাতে তো তিনি মানুষ হিসেবে আসাধারণ হয়ে যাননি, তার জীবন ও জীবিকার স্বাভাবিক চাহিদাগুলোও মিটে যায়নি। কিন্তু তাঁকে ‘আলাদা সম্মান’ দিয়েছি বলে যে কোন আলোচনায় শিক্ষকের বেতনক্রম নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারি এই ধারণা আমাদের কোথা থেকে হল বলতে পারেন ? হ্যাঁ, শিক্ষকরাই সেই প্রজাতি যাদের মাইনে কত সবাই জানে, তাঁদের মাইনে নিয়ে, পোষাক নিয়ে, আচরণবিধি নিয়ে, যে কেউ কথা বলার, মতামত দেবার অধিকারি, আমনকি ছাত্ররাও ! শিক্ষকদের নিয়ে যে কোন আলোচনায় খুব সংবেদনশীল (অন্য বিষয়ে) লোকের মুখেও (কলমেও) আমি তাদের মাইনে বাড়ার উল্লেখ পাই, আর তার বিরুদ্ধে একটিও স্বর শুনি না। যেন শিক্ষকের মাইনে বাড়াটা ‘আবশ্যক’ ছিল না নেহাত ‘ঐচ্ছিক’, মাইনে বেড়েছে বলেই আমরা তাঁদের কাছ থেকে যা খুশি আশা করতে পারি ! হ্যাঁ গড়পরতা শিক্ষক বলতে আমরা ওই মাইনে বাড়া শিক্ষক মানে হাইস্কুলের শিক্ষকদেরই বুঝি আর ‘জাস্ট’ তাদের মাইনে বেড়েছে বলে আমরা আশা করতে পারি তিনি সব রকম অসাধ্য সাধন করতে পারবেন। প্রাথমিক শিক্ষায় যে কিচ্ছু শেখেনি এমন একদল ছাত্রছাত্রীকে ‘ধরে ধরে সব কিছু শিখিয়ে’ উঁচুক্লাসের উপযুক্ত করে তোলাটা আমি একজন হাইস্কুল শিক্ষকের দায়িত্ব বলে মনে করতে পারি কারণ ‘মাসকাবারি তিরিশ-চল্লিশ হাজার বেতন মুখ দেখে দেওয়া হয় না !’ এটা গুরুচন্ডালীর একটা সাম্প্রতিক পোস্ট থেকে লিখলাম। আর এখন যে শিক্ষকরা গরমের ছুটি কাটাতে সিঙ্গাপুর যেতে পারেন সেই কথা দু’বছর আগে এই শিক্ষক দিবসে আ বা প তে এক বিজ্ঞানী (তিনি নিজেও একটা পর্যায়ের শিক্ষক)লিখেছিলেন...সেদিনও মনে হয়েছিল শিক্ষক মানে কি তাহলে ময়লা ধুতি, মলিন শাড়ি, ক্লান্ত চেহারা এই মডেলকেই আমরা অন্যরকম মনে করি !
    আর একটা কথা। শিক্ষকদের আচরণবিধি নিয়ে অনেক বিধিনিষেধ চালু হয়েছে। ভালোই হয়েছে। তবে যে আমরা মানে আভিভাবকরা ছেলে-মেয়ের পড়ার চাপ নিয়ে চিন্তা করি, শিক্ষকের আচরনে তার মনে আঘাত লাগার ভয়ে শিক্ষকের বকাবকির ওপরেও নিষেধ জারী করি সেই আমরাই শিশুকে হাত ধরে নিয়ে যাই ‘রিয়ালিটি শো’-তে, যেখানে সে প্রাণের ওপর উঠে পরিশ্রম করে, তার পরও খোলা পাতায় নির্মম বকুনি খায়, অপমানিত হয়, সেই শো-এর সেই অংশ বার বার দেখানো হয়, তার কোমল মনে কি পরিমাণ চাপ পড়ছে তা সেই সময়ে আমাদের কাছে তুচ্ছ হয়ে যায় ! তাই আমাদের আচরণকে দ্বিচারিতা না বলে ভন্ডামী বললেই বোধহয় ঠিক হত।
    তাই সবশেষে বলি, শিক্ষকদের মানুষ ভাবুন, তাদের ভালোমন্দ নিয়ে আলোচনা করুন যে ভাবে আর পাঁচটা পেশা নিয়ে করেন। শিক্ষকদের আলাদা করে সম্মান দেখাবার দরকার নেই, তাদের কাছ থেকে অতিমানবিক কিছু দাবি করাও ঠিক নয়।
  • arindam | 24.139.193.79 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৬:১৫619494
  • ছকের বাইরে গেলে...ছক্কা।
    কবি হলে ঝুল পাঞ্জাবি। খোঁচা খোঁচা দাড়ি। শিক্ষক হলে বুক পকেটে কালি...মুদির দোকানে বাকি।
    মহিলা শিক্ষক হলে সে তো আজ আবাপ তে বিশ্বজিত রায় লিখেই দিলেন...
    ব্যস্‌।

    লেখাটা দুরন্ত।
  • Blank | 180.153.65.102 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:০২619505
  • গড় পাড়তা শিক্ষক মানে কোনো মতে কিছুক্ষন ইস্কুলে থাকেন। ক্লাশ না নিলে সমস্যা হতে পারে তাই ক্লাশ নেন। আর বাকি সময় বাড়িতে প্রাইভেট ইস্কুল চালান একটি পয়সা ট্যাক্সো না দিয়ে।
  • de | 69.185.236.51 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:১৮619516
  • একদম সত্যি কথা! সমাজের আর বাকি অন্যান্য জীবিকার লোকেদের যেন মানে বাড়ে নি! তবে এই -- টীচারদের মাইনে খুব বেড়েছে আর তাও তারা পড়ায় না-- বলে মধ্যবিত্তের আক্ষেপ পঃবঃ তেই বেশী শুনি। বাকি অন্যান্য রাজ্যে হা হুতাশ একটু কমই হয়!
  • Ekak | 125.115.139.226 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:৫৫619523
  • এ এক অদ্ভূত জগত । ছুতব্যালায় শুনতুম "অমুক পুরো প্রফেশনাল হয়ে গ্যাছে ,ভালো করে পড়ায় না " । কোনদিন মাথায় ঢুকলো না "প্রফেসনালিস্ম " মানে ফাঁকিবাজি কিকরে হয় !!!

    তা এইত আমরা । একদিকে কাক-পন্ডিত আরেকদিকে "প্রফেশনাল " টিচার রা :)

    সততা আর পেশাদারিত্ব যে এক ই গুনের দুই রূপ তা আমাদের মাথায় ঢোকেনা । কারন ? কিছুটা হলেও টিচার সমাজ বৈকি । এইযে ছোটবেলায় অদ্ভূত দ্বিচারিতা মাথায় ঢুকে যায় পেশাদারিত্ব সম্বন্ধে তার বিষ সারাজীবন বয়ে চলে ।

    আমি কোনদিন টিচার হতে চাইতুম না । মনে হত একটা গোটা জনগোষ্ঠী কে এক্সট্রা হ্যালো দিয়ে বোকা বানিয়ে রাখা হয়েছে । নতুন জ্ঞান নিয়ে অব্যহিত নয় । সেই থোর-বড়ি-খাড়া বছরের পর বছর । মেড টু বি কুপমোন্দুক্স !

    ওবিশ্যী ,পরে বুঝেছি নিজের ইচ্ছেয় সীমানা না ডিঙ্গোলে সব পেশাই তাই । জীনস এর প্যান্ট বাজারে এলে পকেটমার কেও শিখতে হয় কতটা প্রেসার দিয়ে ব্লেড চালাবে । টিচার রা আলাদা কিছু নন ।

    কিন্তু তবু একটু আলাদা । আমি সারাজীবনে সাপ-ব্যাং কী কল্লুম তা দিয়ে কোনো ইন্ডিভিজুয়াল এর কিসসু যাবে আসবে না । টিচার যদি আপ্দেতেদ না থাকেন প্রচুর যাবে আসবে । টিচার যদি নিজের কাজ দিয়ে বোঝাতে না পারেন প্রফেশনাল এতিচ্যুদ কী তাহলে পঙ্গু প্রজন্ম তৈরী হবে ।

    যাঁরা গবেষণা থেকে শিক্ষকতায় আসেন তাঁদের কথা আলাদা । কিন্তু সেত মুষ্টিমেয় !

    গ্রামে-গঞ্জে -বুনিয়াদী -মাধ্যমিকে -কালেজে -ইউনিভ এ আয়ুক্ষয় করা এই দেশের হাজার হাজার শিক্ষক কে শিক্ষক দিবসের অভিনন্দন এবং অনুরোধ : জোব্বা টা ছাড়ুন । নইলে ওই জোব্বা ভূত হয়ে ঘাড়ে চাপবে । আর হ্যা , কেলাশে আসার আগে হোমটাস্ক করতে ভুলবেন না কিন্তু :)
  • Ekak | 125.115.139.226 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:৫৬619524
  • এঃ , অবহিত হবা । মানে পাল্টে গ্যাসে :P
  • de | 190.149.51.69 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৮:০১619525
  • * মাইনে
  • arindam | 69.93.195.126 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৯:৫৭619526
  • একক
    মাইরি পুরো মনের কথা। পেশাদারিত্ব বা প্রফেশ্যানালিজম শব্দের মধ্যে আছে পারফেকশান.. যে কাজটা যখন করবে নিখুঁত করে করে করবে...
    এইটা আজও বুঝিনি আমরা। পেশাদারিত্ব বলতে বুঝি ...টাকা ছাড়া কিছু বোঝেনা আরও সরল করে বললে... শুধু টাকা গুনে নেয় কাজ করে না...

    কলেজ শিক্ষকদের । যারা গবেষণা থেকে ঐ পথে গেছেন কী করুন দশা!
    একটা কোর্স আছে নাম "রিফ্রেশার কোর্স" বাংলায় উজ্জীবনী পাঠশালা। এখানে যোগদান বাধ্যতামূলক না হলে পদোন্নতি হবে না।
    এইসব কোর্সে ক'জন উজ্জীবীত হন সন্দেহ আছে। মনে পাপক্ষয় করতে এসেছেন।
    আর মনে হবে নাই বা কেন যদি পঞ্চাশটা সপ্তাহ তাঁদেরকে চর্বিত চর্বণ করতে বলা হয় এবং বাকি সপ্তাহ বলা হয় নতুন জ্ঞানের কথা শোনো, সেটা নাওয়ার মানসিকতা কারুর থাকে না।
    কখনই বা নিজে শিখবেন, নিজে পড়বেন? তারপর তো ছাত্রদের উজ্জীবীত করা!
    ধুস্‌
    আমরা এগুলো দেখিনা। বুঝিনা। শুনিনা। শুধু চীৎকার করি...
    "এত টাকা মাইনে পায় কী কাজ করে!!!"
  • ! | 132.252.237.34 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২০:১৩619527
  • সপ্তাহে একদিন বোধহয় নিজে শেখার জন্য থাকে।
  • anirban | 34.5.197.153 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২১:৪৮619484
  • লেখাটি ভালো। আবার দেখুন কত নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (পঃ বঃ -রই) কত লোকে দলীয় আনুগত্যের জন্য ঢুকেছেন। তাঁরা কখ্নও রিসার্চ তো করেনই নি, এমনকি রেজাল্টও ভালো নয়। পড়াতেও পারেন না। যাদবপুরেই এই রকম অনেক উদাহরণ। একবার তো এই রকম একটি শিক্ষক-নিয়োগের বিরুদ্ধে ম্যাথ-বিভাগের হেড নিজেই আদালতে কেস করলেন। যাদবপুরেই, ফিজিক্সের ছাত্ররা ২০০৫-৬ নাগাদ বিশেষ কিছু শিক্ষকের পড়ানো নিয়ে হাসাহাসি করত। ফলে শিক্ষকদের এই বদনামের পেছনে এই রকম অনেকের অনেক অবদানও রয়েছে।
  • anirban | 146.152.6.209 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:১৫619485
  • গত সপ্তাহে বাঁকুড়া ক্রীশ্চান কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ ছিল। তালিকায় যার সবার ওপরে নাম ছিল তার কাছে ৮ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। এই নিয়ে একটি বাংলা সংবাদপত্রে খবরও হয়েছে। চেয়েছেন কলেজ পরিচালনের সঙ্গে যুক্ত লোকেরা। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার শিক্ষক। এস এস সি-র ইন্টারভিউতেও একই অবস্থা। টাকা চাওয়া হয় অনেক জায়গাতেই। ফলে শিক্ষকদের কাছে অতিমানবিক দাবী নয়, কিছু মানবিক দাবী রাখাই যেতে পারে।
  • pi | 118.22.237.164 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৫৪619486
  • ঃ)
  • অনিকেত | 212.54.54.240 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৫:১৪619487
  • যে কারনে কাল এই লেখা লিখেছিলাম তা কিন্ত 'শিক্ষক’-দের পক্ষ নিয়ে বলা নয়, বরং চেয়েছিলাম সাধারণভাবে ‘শিক্ষক’ গোষ্ঠীর সম্পর্কে আমাদের অবস্থানটা কি আর সেটা কতটা সঙ্গত তা নিয়ে একটু ভাবা। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে শিক্ষকদের ওপর আমাদের প্রত্যাশা সীমাহীন কিন্ত তাঁদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নগণ্য। শিক্ষকতাও যে আসলে একটা পেশা, তারও নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে, তারও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে এবং শিক্ষকও যে আসলে একজন পেশাদার মানুষ যাঁর কিছু বাস্তব চাহিদা ও প্রাপ্য আছে, সে কথা আমাদের জানতে চাইবার পরিধির বাইরে পড়ে। ‘এন্ড ইউসার’ হিসেবে শিক্ষকদের থেকে কি কি পাই না, আমরা শুধু সেই দিকেই নজর রাখি অন্য রাজ্য বা অন্য দেশের তুলনা করি হরদম কিন্তু শিক্ষকদের আমরা পরিকাঠামোগতভাবে কি কি দিতে পারিনি, তার জন্য তাঁদের কি কি অসুবিধের মধ্যে পড়তে হয়, তা আমরা কেউ জানার চেষ্টাই করি না। আমরা দাবী করি টিচার অন্য পেশার লোকের চেয়ে ‘অন্যরকম’ হবেন, সব সময় সব ছাত্রের ভালোমন্দ নিয়েও ভাববেন, আবার থোড়-বড়ি-খাড়াও পড়িয়ে চলবেন, কারণ সেটাই তাঁর ধরাবাঁধা ‘ডিউটি’। প্রয়োজনে হাইস্কুলের শিক্ষক ছাত্রদের ধরে ধরে প্রাথমিক শিক্ষাও দেবেন আবার ‘আপডেটেড’ থাকবেন পড়ানোর বিষয় নিয়েও। কিন্তু আমরা জানতে চাইবো না ক্লাসে পড়াতে গেলে তাঁর ন্যূনতম কি কি দরকার, সেটুকু তাঁর আছে কিনা ! সর্বাধিক কতগুলো ছাত্রকে সামলানো সম্ভব আর কতগুলোকে সামলাতে হয়। এসব কিচ্ছু আমাদের জানার দরকার নেই কারণ ‘আমরা’ ওঁদের মাসে মাসে ‘তিরিশ-চল্লিশ হাজার করে বেতন তো মুখ দেখতে দিই না !’ আমি নিজে সাপ-ব্যঙ যাই করি আশা করব ওঁরা অন্যরকম হবেন (কারণ ওঁদের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে) কিন্তু ওঁদের মূল্যায়ন করার সময় আমরা একটুও অন্যরকম হব না, অর্থমূল্যেই বিচার করব (যদিও ওঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিচারে মূল্যটা সরকারি কর্মীদের তুলনায় একটুও বেশি নয়), এইটাই আমাদের দ্বিচারিতার মূল !
    কিন্তু আলোচনার মধ্যে ইস্কুল থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকে গুলিয়ে গেল। অভিযোগ গুলো উঠে এল শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম, ইন্টারভিউ বোর্ডে টাকা চাওয়া এই রকম সব বিষয়ের ওপরে যে গুলো দিয়ে সরাসরি শিক্ষকের পারদর্শীতার কোন বিচার হয় না। আমরা ওঁদের জোব্বাটা ছাড়ার উপদেশ দিলাম (যেন ওঁরা স্বেচ্ছায় জোব্বাটা পড়েছেন !) ওঁদের হোমওয়ার্ক করে ক্লাসে আসার উপদেশ দিলাম (অর্থাৎ আমাদের জানা সেইটাই একমাত্র সমস্যা) কিন্তু ওঁদের দিক থেকে কিছু ভাবার দরকার মনে করলাম না । সব শিক্ষক ভালো হন না, আবার সব শিক্ষকই সর্ব অর্থে খারাপ হন না, কেউ ভালো পড়ান কিন্ত রাগী, কেউ হাসিখুশি কিন্তু ক্লাস ম্যানেজ করতে পারেন না ঠিকমত, কেউ দারুণ পড়ান কিন্তু সাঙ্ঘাতিক ফাঁকিবাজ। কিন্তু আমাদের কথায় মনে হল আমরা ইস্কুল কলেজে মিছিমিছিই গেছি ! এই যে ব্ল্যাঙ্ক লিখেছেন ‘গড়-পরতা’ শিক্ষকের সংজ্ঞা, জানতে ইচ্ছে হয় উনি ছোট থেকে যতজন শিক্ষকের কাছে পড়েছে তাঁদের মধ্যে কতজন ঠিক এই ছবির মত ?এই হল শিক্ষকশ্রেনীর প্রতি আমাদের ‘বিশেষ সম্মান’। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে যে সব অসঙ্গতির কথা জানা যায়, তার পেছনে বিভিন্ন রকমের খেলা (মূলতঃ রাজনৈতিক)থাকে কিন্তু সরাসরি , -র মাধ্যমে ইস্কুল-কলেজে চাকরী পেতে কেউ অনির্বাণ যেমন বলছেন, তেমন ‘ডোনেশন’ দিয়েছেন বলে শুনিনি, যদি না তিনি কিছু undue সুবিধে দাবী করে থাকেন ! কিন্তু এই সব বিষয়ের সঙ্গে শিক্ষকের কাছে মানবিক / অতিমানবিক দাবী রাখার কি সম্পর্ক বুঝলাম না ! সে যাই হোক, শিক্ষক দিবসে অন্ততঃ শিক্ষকের দিকে শুধু আঙুল না তুলে তাঁদের ভালো-মন্দ নিয়ে একটু নিরপেক্ষ বিচার হলে সেটাই হত এই দিবসের সবচেয়ে বড়ো সার্থকতা। হল না।
  • de | 190.149.51.68 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৫:২৮619488
  • শিক্ষকরা তো আর মহাকাশ থেকে এসে টুপ করে পরেননি -- এই সমাজেরই অংশ তাঁরাও -- আমাদের, আমাদের সমাজের যা কিছু দোষ-গুণ তা তাঁদেরও থাকবে। ব্যাপারটা তো আর এমন নয় যে আমাদের সমাজে বাকী পেশার সমস্ত লোকগুলি প্রচন্ড প্রফেশনাল, আপডেটেড ইঃ, শুধু আমাদের শিক্ষকরাই যথাযথ কাজগুলি করেন না!

    একই আর্গুমেন্ট কিছুদিন আগে এলসিএম্দা আর কল্লোলদার মধ্যে হয়েছিলো -- পুলিশ নিয়ে!

    ডাক্তারদের নিয়ে, সরকারী চাকুরে দের নিয়ে, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফদের নিয়েও এমন মন্তব্য প্রায়ই করা হয়। মন্তব্য করার সময়ে লোকে আয়নার সামনে দাঁড়ায় না!
  • অনিকেত | 212.54.54.240 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৫:৩৫619489
  • সরাসরি SSC, CSC-র মাধ্যমে ইস্কুল, কলেজে চাকরী পেতে কেউ...

    (SSC, CSC- বাদ পড়েছিল)
  • Ekak | 125.115.139.226 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৬:১৭619490
  • শিক্ষক সমাজ কি লক্ষীর হাঁস যে মাটি দিয়ে বানানো থেকে পয়সা ফেলা সব ই "আমরা " করে দেব ?
    ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়ে শিক্ষক রা কটা আন্দোলন করেছেন , যেমন করেছেন ডিএ বারবার সময় !
    লাইব্রেরি তে কোন নতুন বই থাকা উচিত , কোন কোন জার্নাল এর সাবস্ক্রিপশন জরুরি এগুলো তো শিক্ষকরাই বলবেন ,নাকি ।
    যে সার্ভিসের উপভোক্তা সেই আবার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও বানিয়ে দেবে এটা একটু হাস্যকর হলো না ,,,
  • অনিকেত | 212.54.54.240 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৬:৪৫619491
  • না, একক, একটুও হাস্যকর হল না। হাসতে গেলে আগে জানতে হয়। আগে জানুন, আপনি নিজে কোন শিক্ষকের কথা বলছেন, ইস্কুল, কলেজ না বিশ্ববিদ্যালয় ? তারপর খোঁজ নিন কোন পর্যায়ে কোনটা দরকারি ? কার জন্য আগে একটা ক্লাস ঘর দরকার না জেনে শুধু লাইব্রেরী আর জার্নালের কথা ভাবলে চলবে ! শিক্ষকরা শুধু বললেই কোথায় কতটুকু পরিকাঠামো হয়...একটু জানার চেষ্টা করুন। আপনি না হয় টিচার হতে চাননি, হননি, তাই বলে কিচ্ছু না জেনে শুধু শিক্ষকের দিকে আঙুল তুলবেন এটাই হাস্যকর।
    বারো ক্লাসে ১২০ জন (হ্যাঁ, ১২০ জন !) ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পড়ান যে শিক্ষক তাঁর আগে দরকার একটা বড় ঘর দু-চারটে পাখা আর একটা মাইক্রোফোন। কলেজে (বিজ্ঞান হলে) আগে দরকার একটা চলনসই ল্যাবরেটরী। কলেজে জার্নাল তো শিক্ষকের নিজের গবেষণা ছাড়া লাগে না ! আপনার কথায় সব যে গুলিয়ে গেল ! কিন্তু আপনি কি জানেন এইগুলো সব শিক্ষক বললেই হয়ে যায় ?
  • Ekak | 125.115.139.226 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৬:৫৫619492
  • পয়েন্টে উত্তর দিন ।
    শিক্ষকরা এযাবত বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করেছেন ।
    তারমধ্যে কত শতাংশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার বেতার্মেন্ট এর জন্যে ?

    "শিক্ষক বললেই হয়ে" যাবে সেকথা তো বলিনি । প্রশ্ন হচ্ছে এনারা যতবার সংগঠিত হয়েছেন তার মধ্যে কতগুলো ক্ষেত্রে পাখা-মাইক্রোফোন ইত্যাদি চেয়ে ? সংখ্যাটা খুঁজুন । হাসি কিসে পায় নিজেই বুঝবেন ।
    সঠিক সময়ে মাইনের দাবি তে বা পেনশন ক্লিয়ার করার দাবিতে পিএফ আটকে না রেখে দেবার দাবিতে আন্দোলন কে একশ ভাগ সমর্থন জানাই ।কিন্তু বাকি গুলো কনসার্ন নয় ? একত্র হয়েছেন তাই নিয়ে ? আন্দোলন হয়েছে ?
  • cm | 233.231.145.131 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:১৬619493
  • এখন যে চাকরির দর ৮ বামজমানায় তা কতছিল কেউ জানেন?
  • Ekak | 125.115.139.226 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:১৯619495
  • আর একটা কথা । অনেকেই বলছেন শিক্ষক রা সমাজের আর পাঁচ জনের মতই ।
    উত্তর হ্যা এবং না ।
    নিম্ন বুনিয়াদী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এই লেভেলে যে শিক্ষক রা আছেন তাঁরা একটা বিশাল সুবিধা ভোগ করেন তা হলো পারফরম্যান্স এগনস্তিক ইনক্রিমেন্ট পলিসি ।
    ছাত্র দের পরীক্ষা হয় , শিক্ষক দের জন্যে ৩৬০ ডিগ্রী কোনো পলিসি নেই ।
    কেপিআই টা কী একটু বুঝিয়ে বলবেন কেও ?
    বছরের পর পর চূড়ান্ত খারাপ পারফর্ম করেও কীকরে বহু শিক্ষকের চাকরি টিঁকে থাকে ?
    শুধু তাই নয় সময় অন্তর প্রমোশন ও হয় ।

    অন্য চাকরির ক্ষেত্রে চাকরি যায় যদি আমাদের মত কুলি-কামিনের চাগ্রি হয় আর সরকারী চাকরি হলে প্রমোশন আটকায় , সাসপেনশন হয় পারফরম্যান্স গ্রাউন্ড এ ।

    নিম্ন বুনিয়াদী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এই লেভেলে পারফরম্যান্স এর স্বচ্ছতা নেই কেন ?
    এর ওপরের লেভেল এ কিছুটা আছে বলেই জানি । আরও উঁচু লেভেলে তো যথেষ্টই আছে ।
    কিন্তু যে সময়টা আসল ভিত গড়ে ওঠে সেখানে তালে গোলে horrible চলছে ।

    বলতে গেলেই "বাকি সমাজ " ।আরে বাকি সমাজের তো দিবস নেই । মুচি দিবস নেই ,ম্যানজার দিবস ও নেই । শিক্ষক আছে ।কাজেই একটু শুনুন :)
  • অনিকেত | 212.54.54.240 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:৩২619496
  • আপনার লেখা পড়ে এক বছর আগের সুগত মারজিতের একটা লেখা (আবাপ) মনে পড়ে গেল। উনিও এক্কেবারে এক-ই কথা বলেছিলেন, ক'টা আন্দোলন কি জন্য সেই হিসেব চেয়েছিলেন। আমি ধরেই নিলাম শিক্ষকেরা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটাও আন্দোলন করেন নি। কিন্তু তাহলে শিক্ষকদের ওপর অভিযোগ কোনটা ? তাঁরা নিজের কাজ করেন না এইটা, নাকি তাঁরা প্রাথমিক পরিকাঠামো চেয়ে আন্দোলন করেন না, এইটা ? আমি আন্দোলনের শতাংশের হিসেব দেব না, বরং জানতে চাইব, প্রাথমিক পরিকাঠামো পেতে আন্দোলন পর্যন্ত যেতে হবে কেন আর না গেলে আমি তার দিকে আঙুল তুলব কেন ? (তাঁদের প্রাপ্য বেতন-পেনশন ইত্যাদি পেতে গেলেই বা আন্দোলনে কেন যেতে হল, তাতে আমরা লজ্জা না পেয়ে সেটাকে তাদের বিরুদ্ধে পয়েন্ট হিসেবে তুলছি কেন এই প্রশ্ন আর নাই বা করলাম !) পরিকাঠামো নেই বলে শিক্ষকরা শুধু বসে নেই, সীমিত ক্ষমতায় যা করা যায়, করছেন, তার মধ্যেও ভালো-মন্দ-বেশি-কম আছে। সেটা যথেষ্ট হচ্ছে না বলে আমরা অভিযোগ করছি কিন্তু সমস্যাগুলোর কথা জানছি না, বোঝা তো পরের কথা !
    অভিযোগ করতে কিচ্ছু লাগে না কিন্তু শুধু অভিযোগ দিয়ে কিচ্ছু পাওয়া যায় না, অভিযুক্ত-র কথাও কিছু শুনতে হয়, এই ক্ষেত্রে আমরা শুনি না কিন্তু যথেচ্ছ মন্তব্য (কটুক্তি) করি, এটাই খারাপ লাগার বিষয়।
  • cm | 233.231.145.131 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:৩৩619497
  • এখন শিক্ষকদের পক্ষে কেউ নামুন দিনি খেলা জমে।
  • de | 190.149.51.68 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:৩৯619498
  • বল্লেই হোলো ডে' নাই!! হগ্গলডির আছে --

    ১। ডাগদার

    http://en.wikipedia.org/wiki/National_Doctors%27_Day

    ২। এঞ্জিনিয়র

    http://en.wikipedia.org/wiki/Engineer%27s_Day
    ৩। ম্যাঞ্জার
    http://www.volunteeringhb.org.nz/news/international_manages_appreciation_day/index.htm

    এই অব্দি এসে ভাবলাম বুঝি মুচিরো থাগবে -- মুচি ডে র সার্চ দিয়ে কি বেরোলো দ্যাখেন --
    http://www.punchbowl.com/holidays/national-cherry-cobbler-day

    পারফরম্যান্সের বিচার কি কিছুই হয় না রাজ্য সরকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে? কেভি বা আইএসসির স্কুলে তো পারফরম্যান্সের বিচার হয় বলেই শুনেছি। সেই অনুযায়ী প্রোমোশান ইঃ হয়। এক্কেবারে কিছুই যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই ভাবা উচিত।
  • অনিকেত | 212.54.54.240 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:৪৫619499
  • এককের পরের পোস্ট নিয়ে ঃ
    পড়াশোনা শেষ করে দুটো পর্যায়ে পরীক্ষা পাশ করে (ইস্কুল ও কলেজ) যিনি পড়াতে যান আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর তো তিনি দিতে পারবেন না ! তাঁর মূল্যায়নে স্বচ্ছতা বলতে আপনি কি দেখতে চান সে তো অন্য প্রসঙ্গ, সে জন্য শিক্ষামন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব রাখা যায়, জবাব চাওয়া যায়, সে সব ঝামেলায় আমরা কেউই তো যাই না ! কিন্ত তার জন্য সরাসরি শিক্ষকদের দায়ী করে কি লাভ ! দিনে ৬-৭ টা করে ক্লাসে গড়ে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী সামলালে কিছুটা বোঝা যায় শিক্ষকের পারফর্ম্যান্স (তা সাপ-ব্যঙ হলেও) আর অন্য পেশায় তফাৎ কি !
  • cm | 233.231.145.131 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:৪৬619500
  • de র 3:28 পড়ে প্রশ্ন জাগছে যে পেরাইভেটে যারা তারা বুঝি সমাজের বাইরে? তাগো কিত্তি লইয়া কারু মনে সওয়াল নাই? এইযে দেখি রাস্তা দিয়া প্যাটন ট্যাঙ্ক নিয়া ঘোরতাছেন তারা কোন সোনার ডিম দিতাছেন শুনি?
  • de | 190.149.51.68 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:৪৬619501
  • আরো একটা কথা -- বেসরকারী এবং সরকারী অন্য কোন কর্মচারীরা বেতন, ডিএ ইঃ বাড়ানোর দাবীদাওয়া করে না? তাহলে শুধু শিক্ষকদের দিকে আঙুল তোলা কেন?
  • de | 190.149.51.68 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১৭:৫০619502
  • অবশ্যই আমি এটা বলছি না যে শিক্ষকরা সব্বাই খুব ভালো, তাদের কোন গলতি নেই -- কিন্তু অনর্থক গ্লোরিফিকেশনে আপত্তি আছে, শিক্ষকতাও আর পাঁচটা পেশার মতো আরো একটা পেশা। বাকী পেশার লোকগুলি সব যা খুশী তাই করে বেড়াবে, আর শিক্ষকরা একাই কি কলুর বলদ?
  • arindam | 69.93.203.40 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২২:০১619503
  • একক
    খুব জনতে ইচ্ছে করছে..সরকারী হাসপাতালের ডাক্তাররা মিছিল করে( হ্যাঁ করে, যখন হাউস স্টাফদের ওপর আক্রমন হয়)?
    হাসপাতালে রক্ত নেই, ও.টি খালি নেই... জীবনদায়ী ওষুধ নেই...
    বৈশাখ ও ভাদ্র মাসে ব্লাড বাংকে রক্ত কম! কেন কেন কেন?
    এইসব ইস্যুতে ডাক্তাররা মিছিল করেনা কেন?

    একটা কেস শুরু হয়েছে। বাবা কেস করেছে.. টেঁসে গিয়ে তার ছেলে লড়ে যাচ্ছে। ছেলেও গেল।
    হরিবোল।
    একটা কেস সমাধান করতে "এতদিন" কেন সময় লাগে?
    উত্তর নেই। কারণ সে..উকিল।
    আইনজীবিরা মিছিল করেনা কেন?
    জানতে ইচ্ছে করে।
    ঃ)
  • sm | 122.79.36.139 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২২:৩৫619504
  • শিক্ষক দের জন্যে দু পয়সা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক লেভেল এর ছাত্র ছাত্রী দের খারাপ পারফরমেন্স হলে সবসময় ছাত্রদের দোষ দেয় লোকে। কেন ? শিক্ষক রা দিনের পার দিন ক্লাস ফাঁকি দেন, মিছিলে যান (যেতেন), বস্তা পঁচা নোট দেন,কিছু কিছু question লিক করে প্রাইভেট tution এ lure করেন এগুলো ভীষণ ভাবে সত্য। এগুলো অস্বিইকার করা যায় না। রোগীর খারাপ হলে ডাক্তার মার খায় কিন্তু ছাত্র ফেল করলে সুদুই একতরফা তিরস্কার জোটে তার উপর ।
    জুনিয়র ডাক্তার এ রা হাসপাতাল এ ২৪ ঘন্টা ecg /xray / জীবন দায়ী মেডিসিন ও পরিকাঠামো র জন্যে প্রচুর আন্দোলন করেছে ও করে। এগোলো না মানলে সত্যের অপলাপ হবে।
    কলেজ এ বহু শিক্ষক syllabus শেষ করেন না এবং সপ্তহে মোট দশ বারো টা ক্লাস নেন। একদিন অফ নিয়ে মোট তিন দিন ছুটি থাকে per week এ ।
    অন্য দিকে পার্ট টাইম টিচার দের ৩-৪ হজার টাকা বেতন নিয়ে সন্তুষ্ট থাক তে হয়, কিন্তু পার্মানেন্ট স্টাফ রা এ নিয়ে আন্দোলন করেন না।
  • Blank | 180.153.65.102 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২২:৫৭619506
  • শিক্ষক দের নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি যত শিক্ষক দেখেছি ছোটবেলা থেকে, তারা সবাই প্রাইভেট টিউশানি করেন - কেউ বাড়িতে স্কুল বসান, কেউ অল্প ছাত্র পড়ান; কেউ ক্লাশ কাটেন কেউ মাঝে মাঝে মুড ভালো থাকলে ক্লাশেও পড়ান - কিন্তু এদের একজন ও প্রাইভেট পড়ানোর জন্য একটা পয়সা ইনকাম ট্যাক্স দেন না।
    শহর থেকে মফস্বল - এই এরিয়ার ম্যাক্সিমাম টীচারদের স্কুলের মাইনে তো ব্যাঙ্কেই জমে। টিউশানি তে ওর চারগুন রোজগার। জয়েন্টের ক্লাশ নিলে তো কথাই নেই , তাদের কাছে ভর্তি হতে গেলে আলাদা অ্যাডমিশান টেস্ট লাগে।
    তো এসব কিছুতেই আমার আপত্তি নেই - আমিও ট্যাক্স মারতে পারলে বেঁচে যাই। আমার আপত্তি শুধু এই শিক্ষক দিবস টিবস নিয়ে আর এই শিক্ষক রা যখন 'শ্রদ্ধা' দাবী করেন তখন। কিসের 'শ্রদ্ধা' অ্যাঁ? ওনারা একটা সার্ভিস দেন, যাদের সেই ক্রয় ক্ষমতা আছে তারা সেটা কেনে। ব্যাস হয়ে গেলো। এখানে শ্রদ্ধা আসে কোত্থেকে?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন