এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • পার্থ প্রতিম রায় | 125.249.145.122 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১২:৫৫623523
  • বঙ্গে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী
    +++++++++++++++++++

    পঞ্চদশ শতাব্দীতে কবি বিপ্রদাস পিপিলাই মনসামঙ্গলে লিখে গেছেন ‘গঙ্গা আর সরস্বতী/ যমুনা বিশাল অতি/ অধিষ্ঠান উমা মহেশ্বরী।’ ১৬৬০ সালে ভূতাত্ত্বিক ভ্যান ডি ব্রুক ভারতের, বিশেষত অবিভক্ত বঙ্গদেশের অনেকগুলি নকশা এঁকে গেছেন। কালের স্রোতে তার থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্নসুত্র থেকে একদম শুরুর কথা যা পাওয়া যায় তা হোল জুরাসিক যুগে প্রায় ১৮ কোটি বছর আগে যখন গণ্ডয়ানা অনেকগুলো টুকরোয় ভেঙ্গে যায়, তখন সৃষ্টি হয় গঙ্গা ও ব্ৰহ্মপুত্ৰের। ধীরে ধীরে পলি জমে সৃষ্টি হয় অন্তর্বর্তী বদ্বীপের এবং আরও পরে গঠন হয় বঙ্গোপসাগরের তটরেখার। পৌরাণিক মতে গঙ্গা নদী নয় – একটি খাল। এটির খনন করেছিলেন কোশালার (অধুনা উত্তরপ্রদেশের অবধ) সাগর রাজার ছেলে ভগীরথ। এই বিতর্কের মধ্যে এখন না গিয়ে দেখে নেওয়া যাক গত পাঁচশ বছরে এই গুরুত্বপূর্ণ নদী ও তার শাখানদীগুলির আদি পথ এবং পরবর্তী গতি পরিবর্তন।

    হুগলী জেলার সপ্তগ্রাম ও ত্রিবেণী ঐতিহাসিক এবং ভৌগলিক দুদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তগ্রাম ছিল একটি প্রধান নদীবন্দর, প্রধান শহর এবং প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় সময়ে কখনও কখনও দক্ষিণ বাংলার রাজধানী। ত্রিবেণী হোল গঙ্গা ও তার দুই প্রধান শাখানদী যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থল। ষোড়শ শতকেও ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণ পশ্চিম দিক ধরে সপ্তগ্রাম হয়ে বয়ে চলত সরস্বতী নদী। যমুনা বইত দক্ষিণ পূর্ব দিক ধরে। আর মূলধারা ভাগীরথী বা হুগলী নাম নিয়ে বইত মাঝামাঝি। খোঁজ করলে ত্রিবেণী (Tribeni) নামটিকে অনেকগুলি জায়গায় পাওয়া যাবে। যেমন নেপালে দুটি ত্রিবেণী (Tribeni) আছে – একটি ধবলগিরি অঞ্চলে পারবাত জেলায়, অন্যটি রাপ্তি অঞ্চলে সাল্যান জেলায়। ভারতেও দুটি ত্রিবেণী আছে – একটি এই হুগলীর, অন্যটি ঘটনাচক্রে এলাহাবাদের কাছে গঙ্গা ও উত্তর ভারতের যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলের নামও ত্রিবেণী (Triveni) সঙ্গম।

    সপ্তগ্রাম তৈরী সাতখানি গ্রাম নিয়ে – বাঁশবেড়িয়া, কৃষ্টপুর, বাসুদেবপুর, নিত্যানন্দপুর, শিবপুর, সাম্বাচোরা ও বলদঘাটি। সপ্তগ্রাম ও ত্রিবেণী ঘিরে একটি পৌরাণিক কাহিনী আছে। কন্নৌজের রাজা প্রিয়বান্তার সাত পুত্র ছিল –অগ্নিত্র, মেধাতিথি, বাপুষ্মান, জ্যোতিষ্মান, দ্যুতিষ্মান, সবান এবং ভাব্য। এঁরা রাজকীয় জীবনযাত্রা ও ভোগবিলাসে বিরক্ত হয়ে বেড়িয়ে পরেন এক নতুন জায়গার খোঁজে – যেখানে ওঁরা ধ্যানযোগ করতে পারেন। ঘুরতে ঘুরতে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে এসে জায়গাটি এতো পছন্দ হয়ে যায় যে তপস্বীর জীবনযাপন করার জন্যে তাঁরা সাতখানি গ্রাম স্থাপন করেন। এই সপ্তগ্রামের অবস্থান বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলী জেলার মুখ্য শহর ও রেল জংশন ব্যান্ডেল থেকে মাত্র ৪ কিমি দুরত্বে। যদিও উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে – যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত ধরে ভারতে রেল বিপ্লব ঘটেনি – তখন এখানে কয়েকটি মাত্র কুঁড়ে ঘর ছিল। কারণ এটি যে সরস্বতী নদীর তীরবর্তী বন্দর ছিল – সেই নদীটির কালের গর্ভে মজে যাওয়া এবং জব চার্নকের হাত ধরে কলকাতা বন্দরের শ্রীবৃদ্ধি।

    সরস্বতীর (Saraswati) প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মনসামঙ্গল কাব্যে – সংস্কৃত আর বাংলা বানান এক হলেও এটি ঋগবেদে উল্লিখিত উত্তর ভারতের সরস্বতী (Sarasvati) নদী নয়। মনসামঙ্গল প্রথম লিখেছিলেন ত্রয়োদশ শতাব্দীতে কানা হরিদত্ত – যেটি খুঁজে পাওয়া যায় নি। এরপরে ১৪৮৪-৮৫ সালে নতুনকরে মনসামঙ্গল লেখেন বিজয়গুপ্ত ও পুরুষোত্তম – নাম দেন পদ্মপুরান। একই নামে পরে এটি লেখেন নারায়নদেব। ১৪৯৫-৯৬ সালে বিপ্রদাস পিপিলাই লেখেন মনসাবিজয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে আরও কিছু কবি মনসামঙ্গল রচনা করেছিলেন – যেমন কেতকাদাস ক্ষমানন্দ, জগজীবন ঘোষাল, জীবনকৃষ্ণ মিত্র প্রমুখ।

    মনসামঙ্গল অনুসারে চাঁদ সওদাগর ছিলেন অধুনা আসামের কামরূপ জেলার ছয়গাও তথা তৎকালীন চম্পক নগরের প্রভাবশালী বণিক। ছয়গাও (ছয়গাঁ) ও সপ্তগ্রাম (সাতগাঁ)-এর মাঝামাঝি ব্ৰহ্মপুত্ৰের তীরবর্তী জনপদ ছিল অধুনা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বগুড়া – যেখানে বেহুলা ও লখিন্দরের লোহার বাসরের প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই রচনাটি মনসামঙ্গলের উপর নয় – কিন্তু তথ্যগুলি উল্ল্যেখ করা হল যাতে তখন নদীমাতৃক বঙ্গদেশের বানিজ্য পথগুলির একটা ধারনা করা যায়। পরিশেষে চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্যপোতের সাগরযাত্রার পথটি ছিল – সপ্তগ্রাম থেকে উজানে ত্রিবেণী সঙ্গম। সেখান থেকে চিৎপুর – সালকিয়া - বেতড় (অধুনা শিবপুর – ব্যাতাইতলা, যা গার্ডেনরিচের ঠিক উল্টোদিকে) – কালিঘাট – চুরাঘাট – বারুইপুর – ছাত্রভোগ - বদ্রিকুণ্ড – হাথিয়াগড় – চৌমুখী – শতমুখী – সাগর সঙ্গম (অধুনা বোড়াল, নরেন্দ্রপুর, কোদালিয়া, মহিনগর, জয়নগর, লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা)।

    পাঠককে অনুরোধ করবো তৎকালীন ভাগীরথী বরাবর যাত্রাপথটি খেয়াল করতে। তখন গঙ্গা বা ভগীরথীর অভিমুখ ছিল বেতড় থেকে কালীঘাটের দিকে। এখন যেটি শিবপুর থেকে সাঁকরাইল, বজবজ, উলুবেড়িয়া, ফলতা, নুরপুর (রূপনারায়নের সঙ্গম), ডায়মন্ড হারবার, কুলপি, হলদিয়া, নয়াচর, কাকদ্বীপ হয়ে সাগরে গিয়ে পড়েছে। সরস্বতী নদী ত্রিবেণী থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমদিকে ভাগীরথীর সমান্তরাল ভাবে বইত আন্দুল - সাঁকরাইল হয়ে অধুনা গঙ্গার পথ – মানে বজবজ, উলুবেড়িয়া হয়ে। দ্বাদশ শতকের শুরুর দিকে পশ্চিমে আন্দুল থেকে বেতড় এসে সরস্বতী একটি লুপ তৈরী করে আবার দক্ষিণপূর্ব দিকে বইত। বিশ্বাস করা হয় সরস্বতী অধুনা রূপনারায়নের খাত বরাবর বয়ে মোহনায় পড়ত তাম্রলিপ্ত (অধুনা তমলুক) হয়ে। তখন সরস্বতীর উপনদী ছিল রূপনারায়ন, দামোদরসহ অনেক ছোট নদনদী। বলাই বাহুল্য তাম্রলিপ্ত আগে একটি সমৃদ্ধ সমুদ্রবন্দর ছিল। সরস্বতীর একটি মজে যাওয়া শাখা আন্দুলে প্রভু জগৎবন্ধু কলেজের ডানপাশ হয়ে এখনও বইছে।

    সপ্তম শতাব্দী থেকে ধীরে ধীরে সরস্বতীর উৎপত্তিস্থলে পলি জমতে শুরু করে এবং ধীরেধীরে ষোড়শ শতক নাগাদ সরস্বতী প্রায় শুকিয়ে যায়। এরফলে সরস্বতীর জল ভাগীরথী হয়ে সাঁকরাইল থেকে সরস্বতীর নিম্নভাগ দিয়ে বইতে শুরু করে। অনেকে মনে করেন সরস্বতীর উপড়ভাগ শুকিয়ে যাবার ফলে নবাব আলীবর্দি খাঁ কৃত্রিমভাবে বেতড় থেকে সাঁকরাইল পর্যন্ত্য জুড়ে দেন –যাতে বনিকদের নৌবহরগুলি সহজে সাগরে যেতে পারে। অর্থাৎ অধুনা গঙ্গা বেতড় পর্যন্ত্য ভাগীরথীর এবং জুড়ে দেওয়া অংশ ধরে সাঁকরাইল থেকে সরস্বতীর খাত ধরে বইছে। এর ফলে ভাগীরথীর আদি পরিত্যক্ত ধারাটিও শুকিয়ে যায় যেটি আমরা আদিগঙ্গা বলে জানি। অন্যমতে সরস্বতী থেকে আদিগঙ্গার মধ্যে একটি জোয়ারের খাড়ি ছিল। ওলন্দাজ নাবিকরা সাগর অভিমুখী বানিজ্যতরী যাতায়াতের জন্যে এই অংশটি গভীর করে খনন করে।

    অষ্টাদশ শতকের শুরুতে আদিগঙ্গা গোবিন্দপুর খাড়ি বলে পরিচিত ছিল – যা ছিল গোবিন্দপুর গ্রামের দক্ষিণ সীমানা। ১৭২০-র দশকে এডওয়ার্ড স্যুরমান এটির সংস্কার করেন। তাই কিছুদিন আদিগঙ্গার নাম হয় স্যুরমান নালা। ১৭৭৩ সালে উইলিয়াম টলি এটি আরও গভীর করেন ও সার্কুলার ক্যানালের সাথে জুড়ে দেন - নতুন নাম হয় টলি নালা। ১৭৭৫ সালে টলি এটিকে বিদ্যাধরী নদীর সাথে জুড়ে দেন। এটি তখন নাব্য থাকলেও ক্রমাগত অবহেলা ও শহরান্নোয়নের কুফল হিসেবে আস্তে আস্তে মজে যায় এবং একটি নিকাশিনালার চেহারা নেয়। গার্ডেনরিচ থেকে খিদিরপুর হয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার পাশ দিয়ে কালীঘাট, সিরিটি, টলিগঞ্জ, আজাদগড়, রাণীকুঠি, নেতাজীনগর, বাঁশদ্রোণী, রথতলা (অধুনা বৈষ্ণবঘাটা), গড়িয়া, বোড়াল, মহামায়াতলা, নরেন্দ্রপুর, রাজপুর, হরিনাভি, কোদালিয়া, চাঙ্গারিপোতা (অধুনা সুভাষগ্রাম), অতিসারা গ্রাম (অধুনা মহিনগর ও বারুইপুর), জয়নগর ও মজিলপুর হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। কলকাতা মেট্রোর সম্প্রসারণ হবার সময় টলিগঞ্জ থেকে গড়িয়া অংশ আদিগঙ্গার উপর দিয়ে গেছে। আদিগঙ্গার সংস্কারের অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হলেও পরিবেশবিদদের মতে মেট্রোর সম্প্রসারণ আদিগঙ্গার শেষ ত্বরান্বিত করবে।

    পরিশেষে আসা যাক যমুনার (Jamuna) কথায়। বলাই বাহুল্য এটি উত্তর ভারতের যমুনা (Yamuna) বা বাংলাদেশে একই নামে অন্যান্য নদীর থেকে আলদা। শুরুতে ত্রিবেণী থেকে গঙ্গার অন্যতম শাখানদী হিসেবে যমুনা বইত দক্ষিণ পূর্ব দিক ধরে। যদিও সময়ের সঙ্গে হুগলী নদীর সাথে যমুনার যোগসূত্রটি শুকিয়ে গিয়ে এটি এখন একটি স্বতন্ত্র নদী হিসেবে পরিচিত – যার উৎপত্তি নদীয়া জেলার দক্ষিনে হরিণঘাটা মাদার ডেয়ারি কেন্দ্র এবং সঙ্গম উত্তর চব্বিশ পরগনার চারঘাটের কাছে বাংলাদেশের অন্যতম নদী ইছামতি। মুলনদীটি ত্রিবেণীর গঙ্গা থেকে উৎপন্ন হয়ে অধুনা উৎপত্তি হরিণঘাটা থেকে আঁকাবাঁকা পথ ও অনেকগুলি তীক্ষ্ণ মোড় ঘুরে নাগারুখ্রা, গাইঘাটা, গোবরডাঙ্গা, মছলন্দপুর হয়ে চারঘাটে ইছামতিতে পড়ত। এই নদীর তীরে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আছে যেমন – ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশান অ্যান্ড রিসার্চ, গাইঘাটা শ্মশান, গোবরডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতাল, গোবরডাঙ্গা শিশু হাসপাতাল, গোবরডাঙ্গা রাজবাড়ী ইত্যাদি।

    গুরুত্বপূর্ণ নদী হলেও এখন আদিগঙ্গার মতো যমুনাও প্রচণ্ড দূষিত একটি নদী। সময়ের সাথে দিক পরিবর্তন করায় যমুনার অনেকগুলি অশ্মক্ষুরাকৃতি হ্রদ তৈরী হয়েছে – যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোল গোবরডাঙ্গার কঙ্কনা ঝিল। কঙ্কনা ঝিলকে বেষ্টন করে আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান – যেমন গোবরডাঙ্গা জমিদার বাড়ী, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, বিখ্যাত চণ্ডীমন্দির যেখানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রাজা রামমোহন রায়ের উদ্যোগে প্রথম বিধবা বিবাহ হয়েছিলো। এছাড়াও এটি মৎস্যশিকার ও নৌকাবিহারের সুবিধাযুক্ত সর্ষেখেত ও নারিকেল বাগানে ঘেরা একটি সম্ভবনাময় শস্যশ্যামলা পর্যটনকেন্দ্র। এই নদীগুলির সংস্কার ও পর্যটনের প্রসারের জন্যে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি দরকার জনসচেতনতা।
  • sch | 132.160.114.140 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৩:১৭623534
  • পারলে একটা ম্যাপ দিন না সেই সময়কার - খুব ভালো বোঝা যায় তাহলে
  • সিকি | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৪:৪২623545
  • হুগলি জেলার ইতিহাস বলে একটা মচৎকার বই আছে দু তিন খণ্ডের। কার লেখা মনে নাই, তবে তাতে ম্যাপ ট্যাপ সমেত একটা যা-তা ইতিহাস ছিল। পড়ে খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।

    বহুকাল আগে লাইব্রেরি থেকে ছেঁড়াখোঁড়া অবস্থায় পেয়েছিলাম, এখন আর মনে নেই কার লেখা, কোন প্রকাশনী।
  • b | 135.20.82.164 | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৬:২১623553
  • ১। "মনসামঙ্গল অনুসারে চাঁদ সওদাগর ছিলেন অধুনা আসামের কামরূপ জেলার ছয়গাও তথা তৎকালীন চম্পক নগরের প্রভাবশালী বণিক। ছয়গাও (ছয়গাঁ) ও সপ্তগ্রাম (সাতগাঁ)-এর মাঝামাঝি ব্ৰহ্মপুত্ৰের তীরবর্তী জনপদ ছিল অধুনা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বগুড়া – যেখানে বেহুলা ও লখিন্দরের লোহার বাসরের প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে।"

    চাঁদ সদাগর যে আসামের লোক সে বিষয়ে মনসামঙ্গলের রেফারেন্স, বা কোট দেবেন? আর ছয়্গাও থেকে সপ্তগ্রাম অবধি রুটটি কি মনসামঙ্গলে দেওয়া আছে?

    ২। "ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রাজা রামমোহন রায়ের উদ্যোগে প্রথম বিধবা বিবাহ হয়েছিলো।"
    একটু ঘেঁটে গেলাম।

    ৩। "এই নদীর তীরে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আছে যেমন – ,গাইঘাটা শ্মশান, গোবরডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতাল, গোবরডাঙ্গা শিশু হাসপাতাল, গোবরডাঙ্গা রাজবাড়ী ইত্যাদি।"

    এগুলো ঠিক গুরুত্বপুর্ণ বলে স্বীকার করতে পারলাম না। তবে লেখকের মনে হতেই পারে।

    ৪। বোড়াল শ্মশানে একটি অতি প্রাচীন শিব মন্দির আছে। সেখানে লেখা আছে চাঁদ সদাগরের প্রতিষ্ঠিত। গল্প না গুল্প জানি না।
  • Blank | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১৮:৪২623557
  • আটিসারা (চন্দ্রবিন্দু আছে) গ্রাম - আতিসারা নয়। মাহীনগর গ্রাম বহু প্রাচীন আর আটিসারা মাহীনগর দুটি আলাদা গ্রাম। আটিসারা পরে বরুইপুর হয়েছে। মাহিনগর এরিয়া আগে সুভাষ চন্দ্রের পুর্বপুরুষদের হাতে ছিল।
  • কল্লোল | 125.242.239.87 | ০৫ নভেম্বর ২০১৩ ১১:০৩623524
  • আদিগঙ্গা নিয়ে কিছু কথা।
    http://vasundhara.webnode.com/adi-ganga/
    ছবিগুলো নেটে পেলাম না। সিকি আপলোডিয়েছিলো। সে বলতে পারবে।
  • সিকি | ০৫ নভেম্বর ২০১৩ ১১:৩৮623525
  • হ্যাঁ, সে অনেককাল আগে আপলোডিয়েছিলাম। কোন টইতে ছিল যেন?
  • gaja | 121.93.163.126 | ০৫ নভেম্বর ২০১৩ ১৪:৩১623526
  • হুগলী জেলার ইতিহাসে কিছুটা থাকলেও এই নিয়ে সম্পুর্ণ কিছু কাজ আছে বলে জানা নেই। এখানে চর্চা হলে খুবই ভালো কাজ হবে। এই নদী তিনটির স্মৃতি নিয়ে বহু ইতিহাস ঘুমিয়ে আছে।
    সাতগাঁ থেকে সুতানুটি - ভাষ্কর দাসগুপ্ত - (পাব) এম সি সরকার
    এই বইয়ে কিছুটা আছে।
  • b | 135.20.82.164 | ০৫ নভেম্বর ২০১৩ ১৬:২৫623527
  • পার্থবাবু, সময় সুযোগ পেলে একটু রেফারেন্সগুলো (Date:04 Nov 2013 -- 04:21 PM) দেবেন। বুড়ো বয়স, হাতে অখন্ড অবসর। এট্টু। পড়াশুনো করি ঃ)।
  • তাতিন | 127.197.75.196 | ০৫ নভেম্বর ২০১৩ ২৩:০৯623528
  • সিরিটি শ্মশানের মন্দিরে তো লেখা শ্রীমন্ত সদাগর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত।।
  • b | 135.20.82.164 | ০৬ নভেম্বর ২০১৩ ১০:০০623529
  • হ্যাঁ সরি। শ্রীমন্ত সদাগর।
  • তাতিন | 127.197.77.133 | ০৬ নভেম্বর ২০১৩ ১০:২২623530
  • শ্রীমন্ত ঐতিহাসিক চরিত্র
  • পার্থ প্রতিম রায় | 233.239.171.87 | ০৬ নভেম্বর ২০১৩ ২১:০৯623531
  • এখানে কি করে ম্যাপ পোষ্ট করবো কেউ বলবেন?

    আপনাদের মতামতের জন্যে ধন্যবাদ।
  • siki | 132.177.153.230 | ০৬ নভেম্বর ২০১৩ ২১:৩৭623532
  • ড্রপবক্স বা পোস্টইমেজ সাইটে আপলোড করে এখানে ডিরেক্ট লিংক দিন। লিংক যেন .jpg বা .png বা .jpeg বা ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে শেষ হয়।

    সেই লিংকটা এখানে কপি পেস্ট করে দিলেই ছবি চলে আসবে।
  • π | ০৬ নভেম্বর ২০১৩ ২১:৩৯623533
  • বা, কোন সাইটের ছবি হলে ছবিতে রাইট ক্লিক করে copy image url টা এখানে পোস্ট করে দিন।
  • পার্থ প্রতিম রায় | 125.249.145.122 | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৪৭623535
  • ছবিগুলির একটি কোলাজ দিলামঃ

  • সিকি | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৫৫623536
  • ছবিটা আসছে না তো। ড্রপবক্সের পাবলিক ফোল্ডারে রেখেছিলেন ছবিটা?
  • পার্থ প্রতিম রায় | 125.249.145.122 | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ১৭:৪৩623537
  • কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করছি এখানেঃ

    Name: sch

    ম্যাপ দিয়েছি।

    Name: সিকি

    ধন্যবাদ আপনার রেফারেন্সের জন্য।

    Name: b

    ক।। চাঁদসওদাগরের উপাখ্যান শুরু এই লাইনগুলি দিয়েঃ

    চম্পকনগরে ঘর চাঁদ সদাগর।
    মনসা সহিত বাদ করে নিরন্তর।।

    একটু খুঁজলেই পাওয়া যাবে চম্পকনগরের অবস্থান আসাম আগরতলা রাস্তার উপর। তেহশিল ছয়গাঁও, জেলা কামরূপ, রাজ্য আসাম, এস টি ডি কোড ০৩৬২১, পিন কোড ৭৮১০১৮, পোষ্ট অফিস বিনোভানগর।

    ছয়্গাও থেকে সপ্তগ্রাম অবধি রুটটি দেওয়া না থাকলেও বাসরঘর রাজশাহী জেলার বগুড়ায় তার প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। গুগল বা উইকিতে খোঁজ করতে পারেন। তাছাড়া চাঁদ সদাগরের বিচরণক্ষেত্র হিসেবে বগুড়া, সাতালি পর্বত বা কালিদহের উল্লেখ আছে। যেমনঃ

    চাঁদের আদেশ পাইয়া কাণ্ডারী চলিল।
    সাত ডিঙ্গা লয়ে কালিদহে উত্তরিল।।

    অথবা

    ঘন পড়ে ঝঞ্ঝনাভাসিল ফাতনা
    ভেসে গেল কালীদহ জলে ।
    ডিঙ্গা হৈল ডুবু ডুবু মনসার নাম তবু
    সদাগর মুখে নাহি বলে ।।

    অথবা

    শিরে হস্ত দিয়া কাঁদে সকল বাঙ্গাল।
    সকল ডুবিল জলে হইনু কাঙ্গাল।।

    অথবা

    সনকার ভয় জানি বিশ্বকর্ম্মে ডাকি আনি
    আরতি করেন সদাগর।
    কহে সাধু যোড় হাতে যাও সাতালি পর্ব্বতে
    নির্ম্মান করহ বাসর ঘর।।

    এই কালিদহ বা সাতালি পর্বত বগুড়ার অদুরে মহাস্থানগড়ে অবস্থিত।

    খ।। "ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রাজা রামমোহন রায়ের উদ্যোগে প্রথম বিধবা বিবাহ হয়েছিলো।" - এই তথ্য উইকি এবং গোবরডাঙ্গা নিবাসী এক পরিচিতের কাছ থেকে পাওয়া। ওই চণ্ডীমন্দিরে নাকি একটি লেখাও আছে। যদিও আমি নিজে সেখানে যাই নি।

    গ।। মেনে নিলাম, গুরুত্বপূর্ণ না হোক উল্লেখযোগ্য অথবা কম গুরুত্বপূর্ণ।

    ঘ।। এটা শুনেছি, তবে লেখা যখন আছে তখন সত্যি হবার সম্ভবনা কিছু বেশী।

    Name: sp

    ধন্যবাদ, মন্তব্য ও লিঙ্কের জন্যে।

    Name: Blank

    ধন্যবাদ, শুধরে দেবার জন্য।

    Name: কল্লোল

    ধন্যবাদ, মন্তব্য ও লিঙ্কের জন্যে।

    Name: gaja

    ধন্যবাদ, মন্তব্য ও লিঙ্কের জন্যে।

    Name: b

    যা জানি দিলাম। আরও কিছু জানার থাকলে আপনি আমায় ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন https://www.facebook.com/pproy76 অথবা ইমেল করুন [email protected] -এ।

    Name: তাতিন

    ঠিক তাই, নিজে দেখেছি।

    Name: siki ও Name: π

    ছবি তোলার পদ্ধতি জানানোর জন্য।
  • পার্থ প্রতিম রায় | 125.249.145.122 | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ১৭:৪৫623538
  • এটা দেখুন তো

  • সিকি | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ১৮:৩৭623539
  • হ্যাঁ, দেখা যাচ্ছে।

    রামমোহনের প্রধান কীর্তি সতীদাহ প্রথা বন্ধ করা। বিধবাবিবাহ তার অনেক পরের কথা। বিদ্যাসাগর ছিলেন বিধবাবিবাহ প্রথা প্রচলনের প্রধান হোতা, রামমোহন ততদিন আর বেঁচে নেই।

    উইকিকে সর্বদা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করবেন না। :)

    লেখাটা খুব খুব ভালো হচ্ছে। আরও চাই।
  • b | 135.20.82.166 | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ২০:০৬623540
  • বাহ। বেশ। নদীর ইতিহাস প্রচন্ড প্রিয় বিষয়গুলির মধ্যে একটি। বস্তুত গুগল স্যাটেলাইট ম্যাপে মুর্শীদাবাদ-নদীয়া-হুগলী-হাওড়া-চব্বিশ পরগণার নদী আঁচড়ানো টোপোগ্রাফি এখনো বুঝতে পারা যায়।

    তবে উইকিতেই দেখছি চাঁদের অসমীয়া অরিজিনের ওপরে কিছু সন্দেহঃ কারাণ কেউ কেউ বলছেন চাঁদ অংগ, অর্থাৎ ভাগলপুর অঞ্চল থেকে এসেছেন। নেতি ধোপানির ঘাট ধুবুরীতেও আছে আবার সুন্দরবনেও আছে।
  • sosen | 125.241.44.142 | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ২০:১৫623541
  • এ সম্বন্ধে কিছুই জানিনা। ভালো লাগছে, লেখা ও মতামত দুই-ই । পড়ছি, জানিয়ে গেলাম।
    ব্ল্যান্কি একটু ঝুলি উপুড় করলেও তো পারিস।
  • 4z | 194.148.158.110 | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ২১:২৩623542
  • ভালো লাগছে। ম্যাপ ধরে ধরে যদি এগুলো পুরো এক্সপ্লোর করা যেত...
  • B Nayak | 139.10.44.62 | ০৮ নভেম্বর ২০১৩ ০০:৪০623543
  • Khub interesting topic er eta amaro priyo bishoy. Gonga'r old course er upor eita pore dekhte paren:

    "In 1860 Dinabandhu Mitra in his poem Suradhuni wrote: “Rajpur, Kodalia, Malanchanagare/Gangar noyon nire Ganga ghore ghore.”

    http://www.telegraphindia.com/1090705/jsp/calcutta/story_11185529.jsp

    Hooghly Jelar itihaas net e ache, Delhi'r ek public library'r soujonye, link ta pore dicchi.

    Echara Dirom Grey Crawford er "A Brief history of Hooghly District" ta pore dekhte paren, google books e freely available er khub information rich. Hooghly area ke keno "Nadia Kharij region" bole ta oi Dirom saheb er boi porei jenechilam.

    Alibordi je canal ta ketechilen bole khobor, taake "kati gonga" bole.Otar beshirbhag records naaki dhongso hoye jaay hooghly'r fauzdar er doptor e borgi akromon fol e. Kati ganga'r upor kichu alochona:

    http://groups.yahoo.com/neo/groups/kolkata-railfans/conversations/topics/4227

    Saraswati'r nabyota kome jawar arekta boro karon Damodar er goti poriborton. Hooghly'r mogra'r kache Nayasarai e Damodar er ekta major flow discharged hoto. Mogra onchol e je osonkhyo bali-khad dekha jaay ogulo er kichui noy, damodar er purono gotipoth er oboshesh matro.
  • anirban | 34.5.197.153 | ০৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৮:৫৪623544
  • একটা মাইনর পয়েন্ট। "বিভিন্নসুত্র থেকে একদম শুরুর কথা যা পাওয়া যায় তা হোল জুরাসিক যুগে প্রায় ১৮ কোটি বছর আগে যখন গণ্ডয়ানা অনেকগুলো টুকরোয় ভেঙ্গে যায়, তখন সৃষ্টি হয় গঙ্গা ও ব্ৰহ্মপুত্ৰের।" - এই লাইনটা-তে তথ্যগত ভ্রান্তি আছে। জুরাসিকের অনেক পরে (মায়োসিন যুগের মাঝামাঝি) হিমায়লের উথ্থান ও তার পরে গঙ্গার জন্ম। কিন্তু এই লাইনটা বাদ দিলেও কোনো সমস্যা নেই।
  • BNayak | 209.254.238.44 | ০৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:১৮623546
  • "Hooghly Zila'r Itihas" boi ta paben nimnobornito site theke. Boi er patagulo scanned 'tiff' image file, tai 'alternatiff' bole ekta plugin download kore nite hobe. Kono hassle nei, amar Chrome browser e dibbyi chole.Duto edition ache 1948 er 1960( 2 Vols). 1960 ta dilam. Baki pete hole main site e giye Author field e "mitra sudhirkumar" search korun.

    http://tinyurl.com/mmc6s28
    http://tinyurl.com/kzzv2zp

    Boi duto porle onek kichu jante parben definitely. Bisheshoto Nil-bidroho'r prekkhapot, Lobon(salt) ain er Bangla'r Moslin ei bishoye jante gele oboshoyi porben. Lobon ain er, Moslin sommondhe erokom tothyo age kothao pai ni. Ei duto topic highly recommended.

    Boi ta recently reprinted hoyeche, Deys publishing theke, daam around 1400 INR.Songrohe rakhar moto boi nissondehe.
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন