এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিশ্বভারতী

    মতি
    অন্যান্য | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ১৬৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • মতি | 233.223.143.141 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৪৪648658
  • Rape-culture at Viswa Bharati
    আরও একবার ধর্ষনের শিকার বিশ্বভারতী। আরো একবার অপচেষ্টা চলছে অপরাধ আড়াল করার। আরো একবার বিশ্বভারতী থেকে অভিমান ভরে মাথা নিচু করে ফিরে যাবেন হিমালয়ের কোল থেকে শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা ছাত্রী! এর আগে মনিপুরের এক মেয়ে, যিনি এখানে গবেষণা করছিলেন, বিচার না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান; নির্যাতনকারী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ গুপ্তকে কেবলমাত্র ডীন পদ থেকে অপসারিত করেই ব্যাপারটা ধামাচাপা দিয়েছিল কর্ত্তৃপক্ষ। বছরখানেক আগে এই কলাভবনেরই আরেক ছাত্রী যখন যৌন নির্যাতনের শিকার হন ভবনের অধ্যাপক সুমিতাভ পালের দ্বারা তখন অধ্যাপকটিকে কেবলমাত্র অন্য ভবনে সরিয়ে দিয়েই সুবিচার সমাপ্ত করেছিল কর্ত্তৃপক্ষ। বর্তমান কেসটিতে বিশ্বভারতী কর্ত্তৃপক্ষের ধর্ষন-সংস্কৃতি আরো খোলামেলা চেহারায় সামনে এল। সিকিম থেকে কলাভবনে পড়তে আসা প্রথম বর্ষের ছাত্রীটি সিনিয়র চার ছাত্রের দ্বারা উপুর্যপরি ধর্ষিতা ও ব্ল্যাকমেল হওয়ার পর অভিযোগ জানালে কর্ত্তৃপক্ষ ঝাঁপিয়ে পড়ে ছাত্রীটির মুখ বন্ধ করতে। প্রথমে কলাভবনের পরিচালকেরা টাকা নিয়ে মিটমাট করার প্রস্তাব দেয়। শেষে দুদিন বাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশাখা কমিটি’কে বিষয়টি জানান তাঁরা। নিগৃহিতা ছাত্রীর বাবা এসে পৌঁছনর পর কয়েকবারের চেষ্টায় উপাচার্যের দেখা পান। গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য সহ শীর্ষ কর্তাদের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে বেড়িয়ে বিধ্বস্ত পিতা পুলিশের কাছে যাবেন কিনা সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে কেবল চিন্তা করার সময় চান। আজ শুক্রবার তিনি মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। জানিয়েছেন যে বিশ্বভারতীর শীর্ষ কর্তারা তাঁকে পুলিশের কাছে মুখ না খুলতে চাপ দিচ্ছেন। জানিয়েছেন যে, ধর্ষনকারীদের বদলে তাঁর লাঞ্ছিত অপমানিত মেয়েটির দিকেই আঙ্গুল তুলছে বিশ্বভারতীর শীর্ষ কর্তারা।

    বিশ্বভারতীতে অধ্যাপকদের ক্ষমতার দাপট অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অনেক বেশী। অনেক ছাত্রীই এই দাপটের শিকার হন। মুখ বুজে সয়ে নেয় অনেকেই। যারা শেষ পর্যন্ত প্রকাশ করে ফেলে তাদের এখানকার পাট গুটিয়ে কেটে পড়তে হয়। অধ্যাপকদের পদাঙ্ক অনুসরন করেই এই চার সিনিয়র ছাত্র পাহাড় থেকে আসা এই নবাগতা ছাত্রীটিকে তাদের শিকার বানায়। এই ছেলেগুলো ভালো করেই জানে যে বেশী কিছু হবেনা। তারা জানে যে স্বয়ং উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তই একজন যৌন নির্যাতনের অপরাধী, যিনি সত্যেন্দ্রনাথ বোস মৌল বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রের ডিরেক্টর থাকাকালীন তাঁর সহকর্মীকে যৌন নিগ্রহ করেও শাস্তি এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদ হাসিল করেন ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর দ্বারা পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেন।

    সিকিমের মেয়েটির বাবা বলেছেন যে হাসিখুসি একটা মেয়েকে পাঠিয়েছিলেন বিশ্বভারতীতে পড়তে, ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন এক বিধ্বস্ত কন্যাকে যে সম্ভবত আর শান্তিনিকেতনে ফিরে আসবেনা। আমরা, বিশ্বভারতীর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা, তাঁকে জানাতে চাই যে আমরা তাকে হারাতে চাইনা। অত্যাচারীদের সমস্ত হুমকি উপেক্ষা করে সে শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছে। তাঁকে দরকার। বিশ্বভারতীর সমস্ত ছাত্রীর জন্য নির্ভয় স্বাধীনতার পরিবেশ তৈরীর লড়ায়ে তাঁকে দরকার। আমরা এই লড়াই লড়ব।
    --২৯ আগষ্ট, AISA-VBU এর পোষ্ট থেকে।
  • মতি | 233.223.143.141 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৪৭648669
  • মিনির গল্প, অনেকেই পড়েছেন, তবু থাক এখানে

    THE HORROR IN SANTINIKETAN - Story as told by the Girl's father

    The Darjeeling Chronicle In collaboration with The Voice of Sikkim

    Santiniketan : The Bible of 'Mini'

    31 Aug, Gangtok : The dream of Eminent Nobel Laureate cum Writer of the century ‘Gurudev’ Rabindranath Tagore to see an equal society where men and women were treated with respect – irrespective of their caste, class, creed or beliefs – lays shattered today.

    ‘Santiniketan’ which was founded by Gurudev runs a prestigious University, Vishva Bharati - which was aligned with Gurudev’s vision and philosophy of inclusion - is barely seen and felt today.

    Gurudev who always held women in highest esteem as can be adjudged from his narrations, in which he describes the strength of women, and issues surrounding women’s empowerment with great élan, must be turning in his grave today, at the shame the three students of Kala Bhawan – Anniruddha Karmakar, Arindam Giri, and Masum Molla and the University authorities have brought upon Vishva Bharati fraternity.

    A teenager girl named ‘Mini’ [we are referring to the girl as ‘Mini’ based on the character from Gurudev’s favourite story – Kabuliwala] with profound dream in her eyes, and her veneration of Gurudev came to Santiniketan a few months back. She took admission as a student of Arts in Kala Bhawan. Immediately after joining the reputed educational temple - Visva Bharati, her dreams and hopes of learning and living her life to the fullest were crushed and shattered.

    ‘Mini’ within no time experienced a hellish life, first at the hands of the three senior students of Gurudev’s Temple, then vilified by the Visva Bharati University authorities, and then by the Bolpur police who even refused to file an FIR.

    Hailing from the tiny Himalayan state of Sikkim, Mini suffocated every moment of her two months at Santiniketan - lashed, bashed and trashed by the three seniors – Anniruddha Karmakar, Arindam Giri, and Masum Molla belonging to the same Kala Bhawan.

    On 08 July, three senior students Arindam, Anirudh and Mauwa forcibly took 'Mini' from the University premise in a green Maruti Van, to an isolated place where they took advantage of her helplessness - she was unclothed and several photos of her were taken.

    The three not only sexually harassed 'Mini,' but they kicked and punched her. The culprits warned her that if she opened her mouth, then her photos in the form of MMS would be circulated everywhere.

    Mini broke down internally - the three culprits continuously kept watch on her every movement, she was traumatized, mentally harassed and abused. Mini’s freedom was sealed completely due to threat from the three culprits, they kept vigil on Mini everyday and even restricted her from speaking, talking or expressing her horrific story to her friends – let alone her parents.

    The three often took her to the nearby river, where the culprits threatened her with dire consequence. The fear of stigma continuously grew inside Mini, and at one point she even contemplated suicide, thankfully which was prevented by her friends.

    She was so broken on the inside and traumatized that she never uttered a word of the horrors she had to endure to her close ones. Her health continued to deteriorate and repeated threats by the three made her life a living nightmare.

    As if stripping her and physically abusing her were not enough, the three then started to blackmail her and extorted money from her, while threatening her to maintain her silence about it.

    Hailing from a humble class family Mini was not in that position to repeatedly feed the goons, and when she failed to pay the trio, she was physically assaulted. According to Mini, Arindam one day turned so violent that he hit her with such a force on her head that she became unconscious. Mental torture and assault continued everyday for two months.

    Fearing how heartbroken her parents would be, Mini could not bring herself to inform her family about her ordeal. During the two months Mini was admitted twice to hospital. The culprits continued to hound her even when she was battling for her life.

    Finally one fine day, after a strong persuasion by her close aide, she spoke her heart out to her friend and mentioned the entire situation she had been facing. This friend of her’s whose mother was associated with an NGO listened to Mini's plight with shock and horror and decided to speak out against it – and that is when the matter surfaced.

    The Visva Bharati authorities were informed and made aware of the situation, but it was useless, as the alleged matter was treated lightly and with disdain. When her father reached Visva Bharati to enquiry about his daughter’s plight, he was taken in for consultation by the Visva Bharati Vice Chancellor – Sushanta Duttagupta and Kala Bhawan Principal – Sisir Sahana.

    As alleged by the aggrieved father, he was monitored continuously in order to restrict his contact with Media and Police. The longer he spent time with his daughter at Santiniketan, the more vulnerable they became. The authorities from all levels maintained utmost precaution that the matter be dealt with in-house and that it never reached the public ears. Both the daughter and the father were isolated and harassed, and in fact the university authorities tried to convince the father that there was no issue at all.

    Shockingly this is not the first time a student has had to live this horror. The VC - Sushanta Duttagupta was himself found guilty of sexual harassment by a tribunal. How such an individual became the Vice-Chancellor of such a prestigious university is itself a matter of great concern. Given that the VC has such “stellar reputation” could Mini and her father ever get justice? The very presence of Mini and her father in Visva Bharati was turning into a nightmare for the authorities.

    The father informed us that his grievances were overlooked, instead of showing any apathy towards Mini or taking steps to investigate the matter and take action against the culprits. Mini’s father wanted the authorities to take up the matter seriously and help his daughter to attain justice, but from the attitude, and gestures shown by the Visva Bharati authorities, the father knew that nothing would come out of it.

    In such a condition where would an aggrieved father go to? Who would listen to his daughter’s plight? In an unfriendly and non-cooperative place the father found himself isolated as well as helpless. That is when he decided to leave for Sikkim, as he saw no hope in Bolpur. A grieving father and his traumatized daughter finally left Santiniketan – Gurudev’s pious land heartbroken and both in tears.

    Speaking to the VoS, Mini’s father at his residence in Tadong, Gangtok appealed for justice, he wants the culprits to be punished for their heinous crime and barbarism against his daughter.
    Mini who is now bedridden is so traumatized that she can hardly speak to anyone. She is under severe trauma, and is mentally distressed after the two months of horror, pain, agony and humiliation that she had to live.

    Her father says, ‘Let such situation never ever arise for those parents whose daughters are far away… I urge and request the President and Prime Minister to intervene and ensure that the authorities who tried to hush up the horror faced by my daughter are also sent to jail for covering such a heinous crime… I will lodge an FIR against those who made my innocent daughter’s life pathetic. My feeling for Shantiniketan is always high but the caretakers who are not bothered for their students welfare make my heart bleed… they should not be allowed to run such an esteemed institution.’

    He says

    “I will fight for my daughter”

    LET US KEEP HER IN OUR PRAYERS!!
  • মতি | 233.223.143.141 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৫০648680
  • ৩০ আগষ্ট শতাধিক স্টুডেন্ট ডেপুটেশনে সামিল হয়। কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত এফআইআর করে। পুলিস তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। সিকিমের ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন যে তিনি পুলিশের কাছে গেলে বিশ্ব ভারতীর কর্তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করতেন, তিনি মনে করেন ওইসব কর্তাব্যক্তিদেরও শাস্তি হওয়া উচিত্ যারা তাঁকে চুপ থাকার জন্য চাপ দিয়েছিল এবং ধর্ষকদের আড়াল করে তাঁর মেয়ের ওপরই দোষ আরোপ করার চেষ্টা করেছিল।
  • মতি | 233.223.143.141 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৫৩648691
  • এত কিছুর পরও বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানাতে পারেনি সেখানকার ছাত্রেরা। বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে! এইসব কিছু চুকে বুকে যাওয়ার পর সুশান্ত দত্তগুপ্ত এণ্ড কোং ঠাণ্ডা মাথায় প্রতিশোধ নেবে তা বলাই বাহুল্য, হাতে না মেরে ভাতে মারবে।

    এত কিছুর পরও শিক্ষক দাদারা তাদের ন্যাকরাবাজী জারী রেখেছে। কোন একজন দাদারও প্রকাশ্যে এই আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়ানর সাহস লক্ষ্য করা যায়নি, কেউ কেউ মিনমিন করে বলেছে যে যেহেতু তাঁদের কোন শিক্ষক সংসদ নেই তাই তাঁরা নাকি কিছু বলতে পারেননা, আজ ছাত্রদের জমায়েত আটকাতে সক্রিয় থেকেছেন বেশ কিছু দাদা। এনারা প্রত্যেকেই অবশ্য বছরভর নীতি শেখান ছাত্রদের।

    আজ ছাত্রদের সাথে দু'দফা আলোচনা শেষে সুশান্ত দত্তগুপ্ত ব্রিগেড জানিয়েছে যে GSCASH গঠিত হবে কিন্তু তা হবে প্রত্যেক ভবনের জন্য আলাদা আলাদা। এইভাবে কেন্দ্রীয় একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া এড়িয়ে আপাতত বিক্ষোভ প্রশমিত করতে চেয়েছে সুশান্ত চক্র। সেই সাথে ছাত্রদের মাঝে তাদের আড়কাঠিরা বিভাজন তৈরি করতে চেয়েছে- 'এটা একটা সামাজিক ইস্যু, রাজনীতি চলবেনা'- এই অবান্তর কথা তুলে।

    বিশ্বভারতীর উপাচার্য আদ্যপান্ত লম্পট এক চরিত্র এবং সত্যি কথা বলতে কি অধিকাংশ শিক্ষক যে ধরণের আধিপত্যের পরিবেশ বজায় রাখতে চায় তাতে সুশান্ত দত্তগুপ্তই তাদের যোগ্যতম নেতা।
  • মতি | 233.223.143.141 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৫৮648696
  • চিত্ত যেথা ভয় শূন্য
    উচ্চ যেথা শীর

    বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দুশ্চিন্তা ছাত্রছাত্রীদের চরিত্রের পবিত্রতা নিয়ে, আউল বাউলদের আখরায় মিশে মদ গাঞ্জায় অধ:পাতে যাওয়া আটকাতে তাই পৌষমেলার প্রতিটি আখরার অন্দরকে তিনি চব্বিশ ঘন্টা চোখে চোখে রাখার জন্য ক্লোজ সার্কিট টেলি ভিশন ক্যামেরা সেট করলেন। তিনি সব দেখছেন জানলে কেউ আর অধ:পাতে যেতে সাহস পাবেনা।

    উপাচার্য কীর্তিমান। গত বছর পৌষমেলায় বিশ্বভারতী প্রাক্তনীরা তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়, অভিযোগ: দুর্ব্যবহার, বেআইনী ভাবে বেতন ও পেনশন একসাথে ভোগ করা, দিল্লী সফরে গিয়ে যত্রতত্র মদ্যপান ও বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে তার বিল মেটানো ইত্যাদি। সত্যেন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সের ডিরেক্টর থাকাকালীন এই শুশান্ত দত্তগুপ্ত এক গবেষিকার শ্লীলতা হানি করে শেষ পর্যন্ত সেন্ট্রাল গভমেন্টের সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি মন্ত্রক দ্বারা পদ থেকে অপসারিত হন। ততকালীন এস&টি মন্ত্রী কপিল সিবাল পরবর্তিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী হয়ে আবার সেই নারী নির্যাতনকারীকেই বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেন কিভাবে তা ভাবার বিষয়। হয়ত তখন নির্ভয়া আন্দোলন শুরু হয়নি, হয়ত তখনও তেজপাল বা অশোক গাঙ্গুলীর মত উচ্চাসনের পুরুষদেরকে অধস্তন মেয়েদের ওপর যৌন হেনস্থা করার মত 'মামুলী' অপরাধে শাস্তি দেওয়াটা অভাবনীয় ছিল।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস ইউনিয়ন নেই(যদিও লিংডো সুপারিশ অনুযায়ী ইউনিয়ন ইলেকশন বাধ্যতামূলক)। ছাত্রছাত্রীদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ, প্রতিবাদ, পোষ্টার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গত পৌষ মেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর এলামনি এসোসিয়েশন ভেঙ্গে দেন উপাচার্য।
    --AISA Visva-Bharati Unit
    31 December 2013 পোষ্ট থেকে
  • মতি | 233.223.143.141 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:০০648697
  • দুনিয়া জুড়ে ছিক্কার ধিক্কারের ফলে ও, সর্বোপরি, বহু বছর অরাজনীতি আর রেজাল্ট খারাপ করিয়ে দেওয়ার দাওয়াই দিয়ে ঠান্ডা করে রাখা ছাত্রদের দ্রুত সক্রিয় ও সংগঠিত হয়ে উঠতে দেখে চাপ খেয়ে বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত এফ আই আর করে। কিন্তু ধর্ষন সংস্কৃতি থেকে তারা এক চুলও সরে আসেনি, মানসিকতা তাদের বিন্দু মাত্রও বদলায়নি। ধূর্ত ইডিয়েট গুলো এখন ছাত্রীদের ওপর আরো একধাপ আক্রমণ শানাচ্ছে। এর আগে কিছু ছাত্রী যে বিচার না পেয়ে বিশ্ব ভারতী ছেড়ে চলে গিয়েছিল সেই যাওয়াটাও ছিল একরকম প্রতিবাদ। তাদের সহপাঠিরা ভয়ে মুখ খোলেনি প্রকাশ্যে, তবু এক চাপা গুঞ্জন আকারে বেঁচে ছিল প্রতিবাদ। মিনির ক্ষেত্রে সেখানেই আটকে নেই, আমরা জানি সে ফিরে আসবে এবং লড়বে। কারন এবার সাধারণ ছাত্ররা খোলাখুলি তার প্রতিবাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলত মেয়েদের ওপর যে এজমালি আধিপত্য কায়েম রেখেছে ক্ষমতাশালী অধ্যাপক ও তাদের স্যাঙাত চক্র তা ধাক্কা খেতে পারে। আর সেই কারনেই ধূর্ত ইডিয়েট গুলো এখন ছাত্রীদের ওপর আরো একধাপ আক্রমণ শানাচ্ছে। বিশ্বভারতী ছাত্র কল্যানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক নয়া বিধিনিষেধ চালু করতে চলেছে ছাত্রীদের জন্য। জানানো হয়েছে যে সন্ধ্যার পর ছাত্রীরা আর বাইরে ঘোরাফেরা করতে পারবেনা।
  • h | 127.194.241.245 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৭:১৮648698
  • একটা পাহাড়ের মেয়েকে, সম্পূর্ন রেসিস্ট কতগুলো লুম্পেন অত্যাচার করলো, আর মেয়েদের বেরোনো বারন করবে। প্রচন্ড ফাল্তু না হলে এ জিনিশ করা যায় না, একদম বাজে লোকে ভরে গেল দেশ টা।
  • ranjan roy | 24.98.67.4 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৪৬648699
  • ছেলেদের বাইরে বেরনো চলবে? অধ্যাপকদের বাইরে বেরনো চলবে?
  • Ishan | 202.43.65.245 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:০১648700
  • এই মরাল গার্জেনগিরি তো বাড়ছে দেখি। যাদবপুরেও শুনলাম, মাল খেয়ে অসভ্যতা করার জন্য একটি কাপলকে ডেকে দাবড়ানো মারধোর করা হয়েছে। তার মধ্যে আবার "পাড়ার মেয়ে বাইরে যাবেনা" এলিমেন্টও ছিল, বোধ হচ্ছে। মার-ধোর-শ্লীলতাহানি সব চলবে, সবই "নৈতিক অবক্ষয়"এর অ্যাকাউন্টে। এখানেও সেই একই ব্যাপার। অধ্যক্ষ "নৈতিক অবক্ষয়" রুখতে ছাত্রীদের উপরেই বিধিনিষেধ জারি করবেন, সে আর আশ্চর্য কী।

    তবে সমস্যা হচ্ছে, এগুলো তো সত্যিই উপর থেকে পুরোটা চাপানো হয়না। ছাত্রছাত্রীদের এবং একটা বড়ো অংশের মানুষের কাছে এগুলো জাস্টিফায়েড। বিশেষ করে যারা ভোকাল, তাদের একটা অংশের কাছে তো বটেই। আরেকটা অংশ থাকে, যাদের এসবে কিছু যায় আসেনা। এবং আরও একটি অংশ থাকে, যাদের কাছে বিধিনিষেধগুলো নিরাপত্তার সূচক। যেমন, "সন্ধ্যে ছটায় গেট বন্ধ করে দেওয়াই তো ভালো, ব্যাপারটা সেফ"। কিংবা "বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দিনে-দুপুরে প্রেম-টেম সেরে নিলেই তো পারে বাপু"। ইত্যাদি প্রভৃতি। এসবের চক্করে "প্রতিবাদ", গ্রাউন্ড লেভেলে বিশেষ গড়ায়না।

    অবশ্য এসবই অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। অবস্থা বদলালে ভালই লাগবে। এগুলো বদলাতে রক্তক্ষয়ী কিছু সংগ্রাম লাগেনা। ছাত্রছাত্রীদের পঁচিশ শতাংশ সক্রিয়ভাবে বিরোধিতা করলেই হাওয়া অন্যদিকে ঘুরবে। নইলে আশা একটি লিমিটেড কোম্পানি।
  • kc | 198.70.60.172 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:০৮648659
  • মাল খেয়ে অসভ্যতা করলে কী করা উচিত?
  • pi | 24.97.140.130 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৩৪648660
  • মরাল গার্জেনগিরি তে মনে পড়লো। এই সুতোর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়, তবু লিখেই দি।

    আমাদের লিবারেল মিডিয়াও এখনো এই গার্জেনগিরি মোড থেকে বেরোতে পারিনি। হয়তো তেমন গোদাভাবে আর করেনা। কিন্তু সূক্ষ্ণভাবে এখনো চলে। এই ক'দিন আগের আবাপ র মহিলা-পুলিশ ও শাহরুখের নাচ বিষয়ক রিপোর্টিং মনে পড়লো। পুলিশের বিধিভঙ্গ ইঃ নিয়ে হইচই পাকিয়ে তোলার ফঁক ফোঁকর দিয়ে আপত্তির পিছ্হনে মরাল মোড়লিগিরিটাও খুব অস্পষ্ট থাকেনি। জেমন, 'নাচের তালেই শাহরুখের কোলে পা তুলে দিয়েছিলেন তিনি, নায়কও পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়েছিলেন তাঁকে! ' এহেন 'অসভ্যতা'য় প্রতিবেদকের বিস্ময়ের আর পরিসীমা নেই। বিস্ময়বোধক চিহ্নটাও আর না লাগিয়ে পারেননি !

    তারপর এই ভাটে আজ যা লিখলাম। এই সময়ের ফেবু পেজের প্রতিবেদন, 'জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী।
    পদবি 'বসু'।
    তারপরও এই 'বৃত্তি'!!
  • Ishan | 202.43.65.245 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৪৫648661
  • "অসভ্যতা"টাও কোটের ভিতরে লেখা উচিত ছিল। খবরের কাগজে যা পড়লাম, "ছাত্রীটি ওই দিন এক বন্ধুকে নিয়ে ক্যাম্পাসে হাজির হন। তাঁর সেই সঙ্গী অবশ্য যাদবপুরের পড়ুয়া নন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাঁদের দু’জনকে ঘনিষ্ঠ ভাবে বসে থাকতে দেখেন এক দল ছাত্র।"

    এইটা "অসভ্যতা"।
  • kc | 198.70.60.172 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৪৭648662
  • ওহো। তাই বল। ঠিক আছে।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৫৫648663
  • হ্যাঁ, এইটা নিয়েও কাল লিখব ভেবেছিলাম। এই মধুচক্র নিয়ে এত মরাল মাসীমাগিরির আছে টা কী? পাড়ায় অশান্তি হয়েছে? মাল খেয়ে বাওয়াল করেছে? দৃশ্যদূষণ ঘটিয়েছে? কিসুই না। পুলিশ লোক ফিট করেছে, ক্যামেরা লাগিয়ে ছবিছাব্বা তুলেছে, তারপর গ্রেপ্তার করে মরালিটির প্রতি মহান দায়িত্ব পালন করেছে। তারপর খরের কাগজরা সেন্টু জড়িয়ে খবর ছাপছে আর পাবলিক "দেকেচো কী অসভ্য" বলে গপগপিয়ে গিলছে।

    দেহব্যবসার স্বীকৃতিও চাইব, আবার মরালিটি নিয়ে এইসব ধ্যাষ্টামোও করব, একসঙ্গে চলেনা।
  • Abhyu | 78.117.214.27 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৭:৫৫648664
  • sm | 233.223.153.171 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১১:০০648665
  • এই মধুচক্র নিয়ে এত মরাল মাসীমাগিরির আছে টা কী? পাড়ায় অশান্তি হয়েছে? মাল খেয়ে বাওয়াল করেছে? দৃশ্যদূষণ ঘটিয়েছে? কিসুই না। পুলিশ লোক ফিট করেছে, ক্যামেরা লাগিয়ে ছবিছাব্বা তুলেছে, তারপর গ্রেপ্তার করে মরালিটির প্রতি মহান দায়িত্ব পালন করেছে। তারপর খরের কাগজরা সেন্টু জড়িয়ে খবর ছাপছে আর পাবলিক "দেকেচো কী অসভ্য" বলে গপগপিয়ে গিলছে।

    দেহব্যবসার স্বীকৃতিও চাইব, আবার মরালিটি নিয়ে এইসব ধ্যাষ্টামোও করব, একসঙ্গে চলেনা।
    ----
    ইশানের আপত্তিটা কার উপর, খবরের কাগজের উপর না পাড়ার লোক বা পুলিশের উপর।
    খবরের কাগজের উপর হলে কুনো কথা নাই। কারণ তারা জন্মলগ্ন থেকে দ্বিচারী। কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, দুইখান কথা আছে।
    একটি রেসিদেন্সিয়াল কোম্প্লেক্ষের ভিতর কেউ দেহ ব্যবসা বা মধুচক্র চালালে জনগনের আপত্তি থাকাই সমচীন। কারণ তিনি নিশ্চয় লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছেন না বা জানিয়ে শুনিয়েও করছেন না।
    হোটেলে হলেও একই ব্যাপার। কোনো হোটেল অফ্ফিচিয়ালি এখানে দেহব্যবসা করাহয়, জানালেই আপত্তি নেই।
    পাড়ার রেস্তুরান্তে সামনে বিরিয়ানি মাংস বিক্রি করে, ভিতরে হুক্কা বার চালালেও একই আপত্তি।
    এখন তো বহু স্পা বা ম্যাসাজ সেন্টারের আড়ালেও একই জিনিস করা হয়।
    কোনো ক্ষেত্রেই বাওবালি বা দৃশ্য দূষণ হয় না। কিন্তু সমাজ দূষণ তো হয় ই।
    গ্রামে বা মফস্বল শহরে ভিডিও পার্লারের আড়ালে নিল ছবির রমরমা।
    কোনটাতেই আপত্তি নেই যদি জানিয়ে বুঝিয়ে বা লাইসেন্সে নিয়ে হয়।
  • একক | 229.64.76.58 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:১৪648666
  • মানে কাল থেকে যদি লাইসেন্স দেওয়া হয় তাহলে পাড়ার মোরে কেও ঠোনা মেরে কিগো বসবে নাকী বললে আর সমস্যা নেই তাই তো ?
  • sm | 233.223.153.171 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:১৭648667
  • ওই লাস্ট লাইন টাই রিপিট করছি।
    কোনটাতেই আপত্তি নেই যদি জানিয়ে বুঝিয়ে বা লাইসেন্সে নিয়ে হয়।
  • একক | 229.64.76.58 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৩১648668
  • মানে লাইসেন্স থাকলে আর " সমাজ দূষণ" হয়না ?
  • Du | 230.225.0.38 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৩:০৮648670
  • ঘটনাটার মধ্যে রেসিজমটা বোধ হয় সবচেয়ে চিন্তার ব্যপার। শুধু বিশ্বভারতী নয়, আলিপুরদুয়ার পার হলেই বোধহয় এই ব্যবহার শুরু হয়ে যাচ্ছে। কখনো এইসব, কখনো বা মেরেই ফেলা।
  • মতি | 233.223.139.40 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:১৬648671
  • বিশ্বভারতী একটি প্রান্তিক কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে এখন যে 'আধুনিকতা'র যুক্তি আমদানি করা হচ্ছে তা হল 'শৈল সহরগুলিতে যদি বাবামায়েরা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পড়াতে পারে তাহলে বিশ্বভারতীতে নয় কেন?' উল্টো দিকে এই কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ে রবিঠাকুরের নামের আড়ালে ছাত্রসাধারণকে কীভাবে নিপীড়ন করা হয় তা এখন বোঝা যাচ্ছে। প্রথম বর্ষে প্রায় কেউ হস্টেল পায় না। এলাকার বাড়িওয়ালাদের ব্যবসা চাঙ্গা রাখতে এবং ছাত্রদের চাপে রাখতেই এটা করা হয়। মেসগুলিতে প্রচুর ভাড়া, গাদাগাদি করে থাকে। এবার কর্তৃপক্ষ হস্টেল চার্জ দশগুণ বাড়িয়েছে বলে খবর, অবশ্য সেটা প্রথম বর্ষের জন্য লাগু হবে যাতে সিনিয়ররা চুপ থাকে। ছাত্ররা কোন রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর জন্য সভাকক্ষ পায় না। ৮/৯ মাস আগে দেখেছি রতনপল্লীর দোকানগুলোতে বসে রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা করতেও আতঙ্ক বোধ করে ছাত্ররা। জোর করে একটা বাধ্যতামূলক মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, ওই টাকা না দিলে রেজাল্ট আটকে দেয়া হচ্ছে। 'ছাত্ররা সংঘর্ষ করে' এই বাহানায় বহু বছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিষিদ্ধ। রবীন্দ্রনাথের বিশ্ব ভারতীতে ছাত্রদের দেশ দুনিয়ার তরুণ প্রজন্মের গতিময়তা থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার কত না প্রচেষ্টা!

    দু,
    রেসিজম সত্যিই দুশ্চিন্তার বিষয়, উত্তর-পূবের পাহাড়ি এলাকা থেকে আসে যারা তাদের খুবই সহজ শিকার হিসাবে দেখে বাঙ্গালী দাদারা, এর আগে মণিপুরের ছাত্রী নিগ্রহ হয়ে ফিরে যায়, যাদবপুর হস্টেলের সেই প্রীতম সুব্বার কথাও নিশ্চয় মনে আছে আমাদের।
  • সে | 203.108.233.65 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:২৫648672
  • যৌন হেনস্থায় সর্ব্বপ্রথম তো পুলিশের কাছে যাওয়া উচিৎ। ক্যাথলিক চার্চের ব্যাপারেও দেখেছি, লোকে পুলিশের কাছে যায় না। কেন?
  • de | 190.149.51.67 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:১৩648673
  • উপাচার্য্য এমন হলে সেখানে এরকম হওয়াটা খুব ন্যাচারাল - এই ব্যক্তিটি সম্বন্ধে যত কম বলা যায় ততোই ভালো -- এসএনবোসে ডিঃ থাকাকালীন এনার নানা কীর্তিকলাপ এতো শুনেছি!
  • cb | 213.121.198.242 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৭:৩৪648674
  • সত্যি মাইরি এরকম একটা শু বা টাইপের লোককে বসিয়েছে কি ভাবে? কোথায় কোথায় লাইন করে রেখেছে তা হলে!!!
  • potke | 126.202.234.84 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৮:৫৫648675
  • অনেক লম্বা হাত এই শুঃবাঃ র
  • pi | 233.176.9.56 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৪১648676
  • T | 24.139.128.15 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:০০648678
  • খুব হতাশ লাগে। ধাপে ধাপে অ্যাত শুয়োরের বাচ্চা ঢুকে বসে আছে।
  • pi | 116.218.132.47 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০৪648679
  • যাদবপুরের ঘটনাটা নিয়ে , একজনের স্ট্যাটাস থেকে।

    'যাদবপুরের ছাত্রী নিগ্রহের তদন্তকারি দলের সদস্যারা ছাত্রীটির বাড়ি গিয়ে সেই প্রশ্নগুলোই করেছে যা মলেস্টার গ্যাং আর তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা তুলছে! মদ খাও/খেয়েছিলে কিনা, কি পোষাক পরেছিলে, কেন ওই আধো অন্ধকারে গেছিলে-- এইসব। একটু অবাক হচ্ছিলাম এই কথা শুনে যে ওই তদন্তকারি দলে যাদবপুরের মানবী বিদ্যা বিভাগের এক অধ্যাপিকাও ছিলেন। কিন্তু মনে পড়লো যে ২০০২ সালে কম্প্যারেটিভ লিটরেচারের প্রথম বর্ষের ছাত্রী যখন তার সহপাঠি ও কমরেড এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর আত্মিয় 'প্রতিশ্রুতিবান' ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনে তখন প্রায় দেড় মাস পরে, আইসার কিছু কমরেড টেবিল ফেবিল উল্টে 'বিশৃঙ্খলা' দেখানোর পরে, যে তদন্ত কমিটি তৈরি হয় তারা তদন্তে নেমে মেয়েটিকে যে প্রশ্নগুলো করে তা একই রকম ইঙ্গিতপূর্ণ। প্রিয় কবি কারা তা শুনে ওই অধ্যাপিকারা বলেনঃ "ও! শরীর কেন্দ্রীক কবিতা পড়তেই তোমার ভালো লাগে!!" অবাক হওয়ার থেকেও আঘাত পেইয়েছিলাম বেশী কারন তদন্ত দলে এমন মহিলাও ছিলেন যাদের লেখা ছিল নারী আন্দোলন প্রশ্নে আমাদের অনুপ্রেরনা। অনেক লড়েও মেয়েটি শেষ পর্যন্ত বিচার পায়নি। কোন ইউনিয়ন তার পাশে দাঁড়ায়নি। আফসুর দাঁড়ানর প্রশ্নই ছিলনা(সত্যিই ছিলনা!) কারন এস এফ আই ক্ষমতায় এবং তাদের নেতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ, তারা হোর্ডিং লিখলঃ চম্পলা সর্দার উপাখ্যান। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ বললঃ "এরর অব জাজমেন্ট, নট এনি কগনিজেবল অফেন্স।" বিদ্যমান রাজনৈতিক ক্ষমতাতন্ত্রে নিজেদের চেয়ার ধরে রাখতেই কি তারা বিসর্জন দিয়েছিল নিজেদেরই ঘোষিত ও প্রচারিত বোধ-বুদ্ধি-চেতনা? মেয়েটির লেখাপড়া চৌপট। আদালতে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু বেশীদূর এগনো যায়নি, নির্ভয়া আন্দোলন শুরু হওয়ার এক দশক আগের পরিস্থিতিতে।'
  • kumu | 52.104.34.125 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৯:৫১648681
  • বিশ্বভারতীর মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেছেন।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন