এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • রাজু | 183.245.94.137 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:৩৭656605
  • বাঙালী হিন্দুরা, মূলত পশ্চিমবঙ্গ বেসড হিন্দুরা , ভাষা আন্দোলনের সাথে কতটা জড়িত থাকতো যদি তারা বাংলাদেশে থাকতো?

    নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এমন একটি প্রশ্ন যা বাঙালী জাতীয়তা, বাঙালী বাম ভাবধারা ও বাংলা ভাষাভাষী জাতির চরিত্র বিশ্লেষণে সহায়তা করবে। প্রথমেই আমরা দেখি ১৯১১ সালে সৈয়দ নওয়াব আলী রংপুর প্রাদেশিক শিক্ষা সম্মেলনে ভারতের অন্যতম ভাষা হিসাবে বাংলাভাষার গুরুত্বের কথা বলে একে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকার করার আহ্বান জানান। যেই সময়ে কলকাতাভিত্তিক বাঙালী হিন্দুর আন্দোলন মূলত ভারতকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে সেই সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষার ইস্যু নিয়ে কথা বলছেন কিন্তু একজন বাঙালী মুসলমান। আন্দোলনের প্রধান ক্ষেত্র, এক কথায় বাংলার তৎকালীন প্রাণকেন্দ্র কলকাতায় কিন্তু এ নিয়ে কোনও টুঁ শব্দ তখন নেই। তারা তখন ভারতের সাথে একটা অলিখিত অ্যালায়েন্সে ঢুকে গিয়েছেন, যার একটি অলিখিত নীতি হল নিজ নিজ স্বতন্ত্র জাতিগুলির স্বাভাবিক জাতীয়তা ত্যাগ করে একটি বৃহত্তর সাম্রাজ্যবাদী অ্যালায়েন্সের স্বার্থে এক কৃত্রিম ভূখণ্ডভিত্তিক দৈশিক জাতীয়তার আঁতুড়ঘর নির্মাণ।

    ঠিক ১৯১৮ সনেই এর পরবর্তী ধাপ হিসাবে ভাষাচার্য ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বিশ্বভারতীর এক সম্মেলনে ভারতের সাধারণ ভাষা হিসাবে বাংলাকে অধিষ্ঠিত করার আহ্বান জানান। তারপর ১৯৩৭ সালে মওলানা আকরাম খাঁ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে সরাসরিই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবী উপস্থাপন করেন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে একদিনে যখন ভারতভিত্তিক কৃত্রিম ভূখণ্ডনির্ভর জাতীয়তা তৈরি হচ্ছে তখন বাঙালীর স্বাভাবিক ভাষাগত জাতীয়তা বিকশিত হচ্ছে বাঙালী মুসলমানের নেতৃত্বে।

    বাঙালী হিন্দুদের থেকে যে এ মহতী উদ্যোগে কোনও সহায়তা পাওয়া সম্ভব হবে না এটি ছিল তখন পানির মতই স্বচ্ছ। যে কারণে ভাষাচার্য ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর প্রবন্ধে(১) মূলত বাঙালী মুসলিমের দৃষ্টিকোণ থেকেই উর্দু ভাষার বিরোধিতা করে লিখেছেন "আরবী ভাষাকেই আমি বিশ্বের মুসলমানদের রাষ্ট্রভাষা বলে মনে করি", তিনি চেষ্টা করেছেন বিশ্বনাগরিকের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে এই বলে যে "পাকিস্তান ও হিন্দুস্তান এই দুইটি ডোমিনিয়নকেই প্রগতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করিতে হইলে ইংরাজি ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে গ্রহণ করা উচিত", এরকমই বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি ভাষা সমস্যাকে বিবেচনা করেছেন। কিন্তু বাঙালী হিন্দুরা যেহেতু ভাষা আন্দোলনে কখনোই যুক্ত ছিল না এবং শুরু থেকেই তারা হিন্দুস্তানের কৃত্রিম জাতীয়তা লালন করেছে, সে কারণে ড. শহীদুল্লাহ এক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিকোণ বিচার অপ্রয়োজনীয় বিধায় আরবী ভাষার প্রসঙ্গে বাঙালী মুসলিমের চিন্তাধারা সিমুলেট করতে গিয়ে স্পষ্টই উল্লেখ করেছেন "আমরা পাকিস্তানে ইসলামের মতবাদকে কার্যে প্রযুক্ত দেখিতে চাই। এইজন্য অবিলম্বে ভারতীয় ভাষা উর্দুর পরিবর্তে আমরা ইসলামী ভাষা আরবীকেই রাষ্ট্রভাষা রূপে দেখিতে চাই। ইহাতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অমুসলিমদের ন্যয়সঙ্গত আপত্তি থাকিতে পারে না। যাঁহারা এককালে রাজভাষার খাতিরে ইংরাজী পড়িয়াছেন তাঁহারা রাষ্ট্রভাষার খাতিরে আরবী পড়িবেন", অর্থাৎ এ কথাটি দিনের আলোর মতই স্পষ্ট যে ভাষাসংগ্রামের চিন্তানায়করা বাঙালী হিন্দু সমাজের দাস মনোভাবের জন্য কমপ্রোমাইজিং নীতির সম্পর্কে অবগত ছিলেন ও তা পছন্দ করতেন না। সুতরাং তাঁদের সেই কমপ্রোমাইজ করার একটা রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া পর্যন্তই বাঙালী মুসলিমের দায়িত্ব ছিল। তার বেশি কিছু নয়।

    বাঙালী হিন্দুর কোনও অবদান ভাষা আন্দোলনে ছিলোনা, বাঙালী মুসলিমও তাই বাঙালী হিন্দুকে ভাষা আন্দোলনের গৌরবের অংশীদার করতে পারেনা, কখনোই পারবেনা। সুতরাং এ কথা দিবালোকের মতই সত্য যে ন্যূনতম সংকটের মুখোমুখি হলেই কলকাতাকেন্দ্রিক বাংলার পুরোভাগের ব্যক্তিরা কমপ্রোমাইজের চেষ্টা করবেন, যে মুহুর্তে কমপ্রোমাইজ করা সম্ভব হবে না সে মুহুর্তেই ভারতীয় বাংলার পতন হবে।

    তবে বাংলা টিকে থাকবে, বাংলাদেশে, রফিকউদ্দিন আহমদ, আবুল বরকত, আবদুস সালাম, আব্দুল জব্বার, আবদুল আওয়াল, অহিউল্লাহ এবং অন্যান্য ভাষাসৈনিকদের ঐতিহ্য বহন করে।

    পাদটীকা
    ১) পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সমস্যা, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। দৈনিজ আজাদ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশকাল ২৯ জুলাই, ১৯৪৭ সাল। উল্লেখ্য সেই একই বছর কিছু পূর্বে ভারতের আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দুর দাবি করেন। ড. শহীদুল্লাহ তাঁর প্রবন্ধে ড. আহমদের দাবীর চুলচেরা বিশ্লেষণ ও সমালোচনা করেছেন।
  • jhiki | 149.194.228.58 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:৫৩656616
  • থাকুকনা, বেশ তো।

    আপনাদের গর্বে আমরা একটু ভাগ বসাতে চাইনা ঃ)
  • Anonymous | 96.98.86.115 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০৪656627
  • মালটা বাংলা ভাষার গুনগান গেয়েও , জলকে পানি বলছে।

    চলে আঅসুন কলকাতা তে , জম্পেশ শুয়োরের মাংসের দাওয়াত দিয়ে দেব।
  • robu | 122.79.38.136 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২২656638
  • লেখাটা নিয়ে কিছু বলার মানেই হয় না। তবে পানি বাঙ্গলা শব্দ।
  • কল্লোল | 111.63.75.139 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১১:৪৫656645
  • পানি নাকি তামিল থেকে সংষ্কৃত ঘুরে বাংলায় এসেছে। তান্নি - থেকে পানি। ডিঃ - কোন লিং নাই।
  • pcm | 212.54.102.201 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১১:৫১656646
  • অ হরি আমি ভাবতাম পানীয় থেকে পানি।
  • dc | 11.39.63.253 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:০৫656647
  • কল্লোলবাবু, তান্নি থেকে পানি হয়েছে কি? কি জানি। তবে তামিলে বেশ কিছু বাংলা শব্দ (বা বাংলায় কিছু তামিল শব্দ) আছে জানেন নিশ্চয়ই। যেমন চাবি, চিনি, মাস, কষ্ট, পাত্র। আরো কিছু আছে, এখন মনে আসছেনা। তবে আমাদের আর ওদের উচ্চারন একটু আলাদা। চিনিকে এখানে বলে সিনি, চাবিকে বলে সাবি, মাসকে একটু টেনে বলে বা বলে মাসম, কষ্টকে বলে কাষ্ট, পাত্রকে বলে পাত্রম। এগুলো কিকরে কমন হলো জানতে ইচ্ছে করে।
  • dc | 11.39.63.253 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:১১656648
  • রাজুবাবু কি বাংলাদেশী? আপনি লিখেছেনঃ "বাঙালী হিন্দুরা, মূলত পশ্চিমবঙ্গ বেসড হিন্দুরা , ভাষা আন্দোলনের সাথে কতটা জড়িত থাকতো যদি তারা বাংলাদেশে থাকতো?"

    এসব কাল্পনিক প্রশ্ন, এই নিয়ে ভেবেও লাভ নেই। আমরা যারা পশ্চিম বঙ্গে থাকি তারা তো ভারতীয়, আমরা কেন বাংলাদেশের আন্দোলন করতে যাবো? বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের সেরকম কোন ইন্টারেস্টই তো নেই।
  • b | 135.20.82.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:২৪656649
  • ১৯০০ সাল নাগাদ, কংগ্রেসের প্রাদেশিক সভায় অবনীন্দ্রনাথ ও আরো কয়েকজন জোর করে বাঙলা বলা চালু করেছিলেন, ঘরোয়া না জোড়াসাঁকোর ধারে, কোন বইটায় পড়েছিলাম এখনো খেয়াল হচ্ছে না।

    আর সত্যি বলতে কি, পাকিস্তানে যে ভাবে জোর করে উর্দু চাপানো হচ্ছিলো, অথচ উর্দু দেখানে ১-২% লোকের-ও মাতৃভাষা নয়, সেখানে প্রতিক্রিয়া তো আরো তীক্ষ্ণ হবে সেটাই তো স্বাভাবিক। সেখানে এগিয়ে আসবেন ওখানকার লিডিং বুদ্ধিজীবীরা, তাঁদের লড়তে হবে ঘরে ও বাইরে, (জন্মসূত্রে যাঁরা মুসলমান)। সুতরাং এখানে বাঙালী হিন্দু নামক একটি কাকতাড়ুয়া খাড়া করার যুক্তি কোথায়?
    আমি ভাবছি এবারে একটা টই খুলবো, "কলকাতার বাঙালীর ক্যালকুলাস (কিম্বা হিলবার্ট স্পেস কিম্বা দক্ষিণ মেরু) আবিষ্কারে (অ) প্রাসঙ্গিকতা" নিয়ে।

    পুঃ অ্যানোনিমাসের পোস্ট বেশ কুরুচির পরিচায়ক।
  • b | 135.20.82.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:২৭656606
  • ডিসি,
    চিনি কে সক্কর বলে না?
    গম কে বলে গোদুমৈঃ (গোধূম থেকে)।

    যাই হোক, এসব শব্দগুলি তৎসম, বাঙলার একচেটিয়া নয়।
  • | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৪৩656607
  • রাজু,

    বর্তমানে 'বাংলাদেশ' নামক ভুখন্ডটি তো ৭১ এর আগে 'পূর্ব পাকিস্তান' নামে পরিচিত ছিল। সেখানের মুসলমান ধর্মাবলম্বী লোকেরা বেশ বড় অংশ পাকিস্তানের সাথেই যেতে চেয়েছিলেন ৪৭এর আগস্ট মাসে। তারপর বাংলাভাষী হিন্দুদের প্রচুর মেরেধরে, সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তাড়িয়েও দেওয়া হয়েছে। তো, তাঁদের বড় অংশই তো পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন এবং থেকেছেন। এরপরে যখন পাকিস্তান উর্দু চাপাল তখন ওখানে যাঁরা অধিকতর হালুয়ারুটির ভাগের জন্য থেকে গেছেন কিম্বা যারা 'শত্রুসম্পত্তি' (বিতাড়িত বাংলাভাষী হিন্দুদের সম্পত্তি) দখল করে আছেন ন্যায়তঃ তাদেরই সেই নিয়ে আন্দোলন করার কথা তো। যারা বিতাড়িত হয়েছে এবং যারা সেই বিতাড়িত লোকেদের চলে আসার পরবর্তী চাপটা সামলেছে তাদের এই নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই থাকার্ফ কথা নয়।
  • aranya | 78.38.243.218 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৪৪656608
  • ক্যালকুলাস আবিস্কার-টা ভাল হয়েছে :-)
    বাংলাদেশ নিয়ে আমার বেশ ইন্টারেস্ট আছে - ডিসি-র পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে। তবে মেজরিটি পশ্চিম বঙ্গীয় বাঙালি-র ইন্টারেস্ট আছে কিনা জানি না
  • | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৪৪656609
  • *থাকার
  • dc | 11.39.63.253 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৫৮656610
  • b, সকর ও বলে, সিনি ও বলে। "সকর কম্মি" আর "সিনি কম্মি" দুটোই চলে। তবে এ ব্যাটারা বাটারমিল্ককে বলে মোর, সেটা নিয়ে প্রথমদিকে খুব কনফিউসড থাকতাম। অনেকসময়ে দুপুরবেলা রেস্টুরেনেটে ঢুকেছি খেতে, এক সাইডে অনেক লোক বসে তামিল থালি খাচ্ছে, আর অনেকেই দেখি মাঝে মাঝে বলে উঠছে, মোর! মোর! আমি ভাবতাম ভালো, এখানে তাহলে বেশী চাইলেই আরো বেশী করে দিয়ে যাবে। এবার আমিও একদিন থালি খেতে বসেছি, আর প্রথম থেকেই চেঁচাচ্ছি মোর! মোর! তখোন পাশের একজন বলে, তুমি আগেই মোর চাইছো কেন? ওটা তো শেষে খায়! আমি অবাক হয়ে বল্লাম, মানে? তো লোকটা আরেকজনকে দেখিয়ে বললো ওই দেখো, ও কেমন দৈ আর মোর দিয়ে মেখে খাচ্ছে। তখন তাকিয়ে দেখি সে ব্যাটা বাটারমিল্কটা ভাতে ঢেলে চটকাচ্ছে।

    aranya ইন্টারেস্ট নেই বলতে, বাংলাদেশ আরেকটা দেশ, যেমন নেপাল, চীন, পাকিস্তান বা শ্রীলংকা আরেকটা দেশ, এভাবে দেখি। এসব দেশে কিছু হলে পড়ি, এই পর্য্যন্ত।
  • aranya | 78.38.243.218 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:০৪656611
  • বুঝলাম। আমার বাংলাদেশ-কে খুব কাছের মনে হয়, হয়ত পূর্ব পুরুষের জন্মভূমি বলে
  • robu | 122.79.38.136 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:০৬656612
  • চা, চিনি, লুচি আসলে চিনা শব্দ যা বাঙ্গলায় এসেছে।
    পানি উত্পত্তির দিক দিয়ে অন্য কোথাও থেকে এলেও এখন বাঙ্গলা শব্দই বলব। নইলে দাম-কে গ্রিক শব্দ বলতে হয়।
    তামিল থেকে বাঙ্গলায় আসা শব্দ হল পেট আর চুরুট।
  • কল্লোল | 125.242.149.74 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:৩৪656613
  • ডিসি। এটা একটা মজার ব্যাপার। সংষ্কৃত এর জন্য দায়ী।
    একটা প্রচলিত ধারনা আছে সংষ্কৃত ভারতীয় ভাষাগুলির জননী। আমার ও অনেকের ধারনা আসলে বিষয়টা উল্টো। সংষ্কৃত (পরে কার সংষ্কৃত - বেদের নয়, যা পরে সংষ্কার করে পাণিণী ও অন্যন্যরা আজকের রূপ দেন) ভারতীয় ভাষাগুলির কন্যা।
    বাংলাই ধরুন - জলের প্রতিশব্দগুলি কি কি?
    পানি (তামিল - তন্নি), নীর (কানাড়া - নীরু), উদক (কোংকণী - উদ্দা বা দক - সাঁওতালি)।
    সংষ্কৃত ভাষাটি যেহেতু রাজভাষা ছিলো, তাই শাসনের সুবিধার্থে এতে নানান আঞ্চলিক ভাষার শব্দ নেওয়া হয় (যেমন পরবর্তিতে ইংরাজিতেও হয়েছে)। তাতে এক অঞ্চলের শব্দ সংষ্কৃতের মধ্য দিয়ে অন্য অঞ্চলে প্রবাহিত হয়েছে। তাই নানান ভারতীয় ভাষা একে অন্যের শব্দ নিয়ে নিয়েছে।
  • dc | 11.39.60.247 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:১৫656614
  • কল্লোল, বুঝিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ। নীর কথাটা আবার তামিলেও আছে, পানীর মানে গোলাপের গন্ধ দেওয়া জল। আর ব্যাংগালোরে হানি আর মিন্ট ফ্লেভারের নারকেল জল দুয়েক জায়্গায় খেয়েছি, ওটাকেও কি একটা নীর বলে না?
  • . | 59.207.201.13 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:২৫656615
  • ধুর কল্লোল সুযোগ পেলেই ভুল ভাল বলে। এগুলি তৎসম শব্দ সবই সংস্কৃত থেকে অন্য ভাষাই এসেছে। আসলে নিজে জোর করে প্রচলিত সত্যের বিরোধী দেখানোর ইচ্ছাপ্রবল।
  • dc | 11.39.60.247 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:২৯656617
  • সেরেছে আমি এসব ব্যাপরে কিছুই জানিনা। কে ঠিক আর কে ভুল? নাকি মাঝামাঝি।
  • b | 24.139.196.6 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:০৩656618
  • ডট, কল্লোল তো ভুল বলেন , তবে আপনিও একটু রেফারেন্স দিন না।

    কল্লোলদা, আপনার "আরো অনেকে"-র মধ্যে কে আছেন? কোন পেশাদার কিম্বা শখের ভাষাতত্ত্ববিদ?
  • robu | 122.79.38.136 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:২৪656619
  • এই কল্লোলদার মতাবলম্বী অনেকেই আছেন। অন্য স্থানীয় ভাসা থেকে সঙ্গস্কার হয়ে এসেছে বলে সঙ্গস্ক্রিত।
    এমনকি, গুয়া শব্দের উত্পত্তি নিয়ে মিহির সেনগুপ্তর তপন রায়চউধুরিকে কে লেখা চিঠিতেও এই ধারণার কথা কিছুটা ছিল বলে মনে পড়ছে।
    ফোন থেকে লিখছি বলে প্রচুর বানান ঠিকঠাক লিখতে পারছি না।
  • Arpan | 125.118.25.204 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:২৮656620
  • "বাংলাদেশের বাঙালীর খাদ্য আন্দোলনে (অ)প্রাসঙ্গিকতা" - এই নামে একখান টই খোলা যাক, রাজুবাবু?

    শুরুটা এইরকম হবে - "বাঙালী মুসলিমরা, মূলত বাংলাদেশ বেসড মুসলিমরা , খাদ্য আন্দোলনের সাথে কতটা জড়িত থাকতো যদি তারা পশ্চিম বঙ্গে থাকতো?"
    ...
  • b | 24.139.196.6 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৩২656621
  • হুম। গুয়া থেকে গুবাক না কি উল্টোটা?
    সেক্ষেত্রে বৈদিক ভাষা আর ক্লাসিকাল সংস্কৃতের শব্দকোষের তুল্নামূলক পরীক্ষা করা একটি পদ্ধতি হতে পারে।
  • robu | 122.79.38.136 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৪২656622
  • এখানে অন্য গুয়ার কথা হচ্ছে ঃ-) আপনি বরিশাইল্যা না?
  • কল্লোল | 111.63.69.61 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৪৪656623
  • এক্ষুনি লিংটিং দিতে পারবো না। নানান পত্রপত্রিকায় পড়েছি ভাষা সক্রান্ত লেখালেখি। মনে পড়লো, কোরক পত্রিকা চমৎকার দুটি সংখ্যা বার করেছে - ১) পশ্চিমবঙ্গের কথ্য ভাষা ২) পূর্ববঙ্গের কথ্য ভাষা। জোগাড় করে পড়ে ফেলুন।
    এই যে নানান ভাষায় নানান শব্দ একটা বস্তুকে বোঝাতে - এটা সম্ভবতঃ ভারতীয় ভাষাগুলোতেই আছে। সংষ্কৃত এদের থেকে নিয়েছে, আর সংষ্কৃতের মাধ্যমে এরা এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ছড়িয়েছে। সে রকম বেশ কিছু আদি সংষ্কৃত শব্দ যেমন হোম, যজ্ঞ, পশুপালন সংক্রান্ত শব্দ আঞ্চলিক ভাষাগুলোয় এসেছে। আবার কৃষি সংক্রান্ত শব্দ আঞ্চলিক ভাষাগুলো থেকে সংষ্কৃত নিয়েছে, পরে নানান অঞ্চলে ছড়িয়েছে।
  • | 116.67.165.189 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৫০656624
  • এই বোধি বরিশালের নয় হনু-বোধি বরিশাল
  • robu | 122.79.38.136 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ২০:০০656625
  • আমার যেন মনে হচ্ছে কদিন আগেই লিখলেন। ভুল করছি তাহলে।
  • b | 24.139.196.6 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ২০:০২656626
  • নাঃ, ভুল করেন নাই।
  • pcm | 212.54.102.201 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৪২656628
  • একই ভাবে ইংলিশ ফ্রেঞ্চ জার্মান এসব থেকে ল্যাটিন হয়েছে। একটা ট্রীকে যেকোন নোড ধরে ঝুলিয়ে দিলে সেই নোডটাকেই রুট মনে হয়।

    পান করা, পানীয় এই ধরনের প্রয়োগগুলোকেও ব্যাখ্যা করতে হবে।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন