এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ব্যাঙ, লামা ও হানুদার গল্প

    Abhyu
    অন্যান্য | ১২ জানুয়ারি ২০১৬ | ৪৪৮৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Byaang | 233.187.156.230 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:১৩688836
  • কুমুদি দুর্দান্ত হচ্ছে। ঃ))))
  • de | 69.185.236.55 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:২৬688837
  • দমদির হাত নিতে চোর এসেছিলো - আর চোরের হাতও দমদি খুলে নিতে চাইছিলো ঃ)) - হাতে কিছু কি ছিলো?

    এই গুরুদেবের কথা শুনে মনে পড়লো -

    আমার দোর্দন্ডপ্রতাপ ঠাকুমার একজন ধুতিপরা খালিগায়ে রুদ্রাক্ষের মালা জড়ানো গুরুদেব ছিলেন। সেই গুরুদেব সম্পর্কে আমি বছর তিনেক বয়সে একবার অসুব্য একটি রেফারেন্স দেওয়ায় ঠাকুমা আমার ভবিষ্যত সম্বন্ধে একদম সিওর হয়ে গেসলেন! ঠাকুমা পুজো হয়ে গেলে অনেকক্ষণ নীচু হয়ে গুরুদেবের ছবিতে পায়ের কাছে মাথা ঠুকে ঠুকে বিড়বিড় করে ওনাকে যাবতীয় অভিযোগ, অনুযোগ ইঃ জানাতেন। সেই সময়ে কেউ একজন বাড়িতে এসে ঠাকুমার খোঁজ করায় আমি বলে দিয়েছিলাম, ঐ তো দুদুবাবার ছবিতে মাথা ঠুকছে -

    সেই নিয়ে পোচ্চুর হাসাহাসি এবং অভিমান ইঃ হয়েছিলো - ওই নামকরণটা এতো স্পনটেনিয়াসলি হয়েছিলো!
  • Lama | 213.132.214.84 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:৩৩688838
  • গুরুপদ নিরুদ্দিষ্ট ছিল শুধু পুলিশের খাতায়। পাড়ায় অবশ্য সবাই তার ল্যাটাচি লঙাচি জানত। পেশায় সে ছিল ফরেস্ট গার্ড। সম্ভবত বন্যপ্রাণীর চোরাচালান করত।হুতোর বন্ধু জগন্নাথ মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ি খেলতে আসত- হরেদরে হয়তো মাসে নিদেনপক্ষে পঁচিশবার। জগন্নাথ মাঝে মাঝে বলত "আজ গুরুপদদার বাড়ি হরিণ (জগন্নাথ অবশ্য ফড়িংকেও 'হরিণ' বলত) এসেছে" বা "আজ টিংকুদের (গুরুপদদার মেয়ে) বাড়ি চিতাবাঘ এসেছিল" ইত্যাদি। আমরা বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু যেদিন জগন্নাথ ভালুকের গল্প দিল সেদিন ভাবলাম চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জন করে আসি। গিয়ে দেখি সত্যিকারের বাচ্চা ভালুক চটের বস্তা গায়ে জ্বরে কাঁপছে আর গুরুপদর মা দুধ পাঁউরুটি খাওয়াচ্ছে। তখন চিতা, ময়াল, হরিণ এসব না দেখার জন্য খুব পস্তালাম
  • d | 144.159.168.72 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ ১৩:১১688839
  • দুদুবাবা :-)))))
  • kumu | 11.39.28.132 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ ১৫:১৪688840
  • অল্প একটু বাকী,সেটা ঐ কুমুদি টইতে লিখে দেব।
  • rabaahuta | 215.174.22.27 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:০৪688841
  • হ্যাঁ, ঐজন্যেই বলে অবিশ্বাসীর স্বর্গরাজ্যে স্থান হয় না। জগন্নাথকে অবিশ্বাস না করলে গৃহপালিত চিতাবাঘ বুনো শূয়োর হরিন অনেককিছু দেখা যেত। কিন্তু বিশ্বাস করার উপায়ও ছিল না। জগন্নাথের গল্প শুরুই হতো এইরকম ভাবে - সে যেবার আমার কাকা খুন হলো - এদিকে কাকা কিন্তু জ্বলজ্যান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর দুবেলা জগন্নাথকে ঠ্যাঙাচ্ছেন।
    খুন হওয়ার উপক্রম একবার হয়েছিল বটে, তবে সে অন্য গল্প।
  • ব্যাং | 132.172.162.231 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:৫২688842
  • ঃ)))
  • Lama | 126.203.155.191 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:০৮688843
  • কাকা না বোধ হয়, জেঠু। যিনি একবার আমাদের পিসেমশাই হবার উপক্রম হয়েছিল শুনেছি। একটা গম্ভীর মত ঘরে একা থাকতেন আর মাঝে মাঝে পুরনো শিশিবোতলওয়ালার কাছে রামের খালি পাঁইট বেচতেন।

    জগন্নাথের আরেকটা গল্প ছিল- ওর দাদু বাড়ি মেরামত করাচ্ছিলেন, হঠাৎ করে পৌনে এগারোটা নাগাদ তাঁর চোখে ছানি পড়ল।

    তবে ফড়িঙের নাচটা দেখাত বেড়ে
  • rabaahuta | 215.174.22.27 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:২০688844
  • হুম। সত্যি বলতে কি আমাদের পিসেমশাই না হতে পারা এবং রামের পাঁইট বেচার মধ্যে একটা বোধয় ইয়ে মানে ঐ আরকি।

    তবে জগন্নাথ তার ভিন্ন মাত্রার বাস্তব নির্মানের গুণটা পেয়েছিলো তার ঠাকুমার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে।

    সেইসময় আমরা রোজ সন্ধ্যেবেলা গলা ছেড়ে 'অলকে কলপ দিও না' বলে একটা গান গাইতাম। এমন সময় একদিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে জগন্নাথদের কিছু পরিশীলিত আত্মীয় বেড়াতে আসে, যেমন তেমন নয়, খোদ কবিগুরুর পদরেণুধন্য পুণ্যধাম শান্তিনিকেতনে তাঁদের বাস। সেই পরিবারের প্রধানের নাম ছিল অলকবাবু।
  • Lama | 126.203.155.191 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:৩৮688846
  • অলককুমার চট্টোপাধ্যায়। রেডিওতে একবার গুর্জরি টোড়ি গেয়েছিলেন। 'দেশ' এর 'আলোচনাঃ শিল্প সংস্কৃতি' বিভাগে ছবি বেরিয়েছিল। জগন্নাথের পিসে। তস্য পত্নী রাখিপিসি, তিনি আবার রবীন্দ্রসঙ্গীতজগতের।

    আগরতলার লোকেরা কিছুদিনের জন্য জেনে গিয়েছিল 'ক্লাসিক্যাল' নমে একধরণের গান হয়। আর সেটা গাইতে গেলে আকাশবানীর লোকেরা রেকর্ডিঙের আগে আদা চা খেতে দেয়
  • Abhyu | 85.137.4.219 | ১১ মার্চ ২০১৬ ১৮:২৩688847
  • name: Byaang mail: country:

    IP Address : 132.172.42.1 (*) Date:11 Mar 2016 -- 12:01 PM

    কবিহুতোর মত আমিও এম্নিধারার এক সামাজিক অন্যায়ের শিকার। খুবই অপমানিত বোধ করেছিলাম।
    বাবামায়ের সঙ্গে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মিউজিয়াম দেখতে গেছিলাম। অত বড় মাঠ দেখে ইতিউতি ঘুরছিলাম। বাবামায়ের থেকে বেশ খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখেই। বোধ হয় ৭৯সালের কথা। দেখি এক গাছের ছায়ায় একজন ফুলশার্ট আর ফুলপ্যান্ট পরে আর আরেকজন শাড়ি পরে বসে খুব গল্প করছে। আমার দেখে খুবই ভালো লেগে যাওয়ায় আমি শাড়িপরা মানুষটিকে গিয়ে বলি "আমি তোমাদের পাশে বসি?" দুইজনের কেউই সাড়া দেয় না প্রথমে। আমাকে দেখতে থাকে। শাড়িপরিহিতা আমার গাল টিপে আমার নাম জিজ্ঞেস করে। আমি নাম বললে, আমি কার সাথে এসেছি জানতে চায়। এবার আমি খুবই বিরক্ত হয়ে বলি "আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। এক্ষুনি মা এসে নিয়ে চলে যাবে। আমি তোমাদের গল্প শুনতে এসেছি। তোমরা তাড়াতাড়ি গল্প কর।" তখন দুজনেই ফিসফিস করে একে অপরের কানে কানে কিছু বলে, আমি সেই দেখে হাঁ হাঁ করে বলি "তোমরা একটু জোরে জোরে গল্প করো, আমি কিছুই শুনতে পাচ্ছি না।"

    এটা বলায় দুজনেই উঠে পড়ে জোরে জোরে হন্হন করে হাঁটা দেয়। আমি তাদের পিছনে দৌড়ালে তারা আরো জোরে জোরে হাঁটতে থাকে। এমন সময় মা এসে আমার নড়া ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে যায়।

    name: Byaang mail: country:

    IP Address : 132.172.42.1 (*) Date:11 Mar 2016 -- 01:27 PM

    শুনুন তবে। সে ছিল ৫০এর দশক। অগ্নিপরীক্ষা রিলিজ করেছেন কিনা জানতে চাইবেন না। অত ডিটেল আমি জানি না। মূল গল্পে আগ্রহ থাকলে তবেই শুনুন। নির্মলমেসোর শ্বশুরমশাই তখন বেশ এক উঁচুগোছের সরকারি ইঞ্জিনীয়ার। এমন সময়ে ভীষণ কলরব, পাইকপাড়ার লোকেরা তো নর্দার্ন অ্যাভিনিউ অবরোধই করে ফেলল, কলের জলে নাকি বদখত দুর্গন্ধ। এমনকি শৌচেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না সেই জল।

    তো সরকারি এক দল গেল, বিশেষ পর্যবেক্ষণে। এমনকি ইলেক্টিরিক আপিসের লোকজনও গাড়ি বোঝাই করে এল। কেন কে জানে! তারা বলল ইমার্জেন্সিতে হাজির থাকাই নাকি তাদের দস্তুর। যাই হোক, মেজো ইন্জিনীয়ার, বড় সুপারভাইজার, মেজো সুপারভাইজার ইত্যাদিরা গেলেন তদন্তে। বড় ইঞ্জিনীয়ার ব্যস্ত থাকলেন এলাকাবাসীর রোষ প্রশমণ করতে। কিছুক্ষণ বাদে মেজো সুপারভাইজার এসে এলাকাবাসীর সামনেই বড় ইঞ্জিনীয়ারকে বললেন "স্যার, কারণ পাওয়া গেছে। দুটো ইয়াব্বড় ইয়াব্বড় ব্যাকটিরিয়া পাওয়া গেছে জলের মধ্যে। ও এক্ষুনি কড়া ডোজের ওষুধ দিয়ে দেব জলে। ব্যাকটিরিয়া দুদিনেই মরে যাবে। আর গন্ধ পাওয়া যাবে না। যান যান সবাই বাড়ি যান। বাড়ি গিয়ে চান খাওয়া করুন। দুইদিনে ব্যাকটিরিয়া দুটোকে মেরে দেবো।"

    শ্রোতাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন আস্তিন গুটিয়ে এগিয়ে এলেন "রসিকতা করার জায়গা পান নি মশাই? ভরদুপুরে মশকরা হচ্ছে?"
    মেজো সুপারভাইজার এক হাত জীভ কেটে বললেন "ছি ছি এমনটা কখনও করতে পারি? অত বড় ব্যাকটিরিয়া কি আমিই কখনও এর আগে খালি চোখে দেখেছি? অপরাধ নেবেন্না, এইতো বড়স্যার রয়েছেন উনি সব ঠিক করে দেবেন।"
    বড় ইঞ্জিনীয়ার বলেন "সান্যাল, মাথা খারাপ হয়েছে নাকি তোমার? তুমি খালি চোখে ব্যাকটিরিয়া গুনলে?"
    এরপর বড় ইঞ্জিনীয়ার আর কয়েকজন আস্তিন গোটানো মুরুব্বি গিয়ে নাকি দেখেন দুটো ইয়াব্বড় বড় মুখপোড়া হনুমানের মৃতদেহ জলে ভাসছে।
  • | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১৯:৫৮688848
  • এরাকেউ আর গল্প বলে না কেন রে বাপু?
  • Abhyu | 34.181.5.110 | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০০:১৯688849
  • তুলে দিলাম। নায়ক নাইকারা একটু লিখুন
  • Byaang | 132.171.104.37 | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৫688850
  • একটা মেয়ে আর তার মা বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিল শেয়ালদায়। তারা গেছিল কৃষ্ণামাসির বাড়ি। ট্যাংরায়। ট্যাংরা হাউসিং থেকে হেঁটে বৈশালী সিনেমা। সেখান থেকে একটা বাস ধরে শেয়ালদা। শেয়ালদা থেকে আরেকট বাস ধরে তারা বাড়ি ফিরবে। বেশ রাত হয়ে গেছে। পৌনে দশটা। আশির দশকের গোড়ার দিকের পক্ষে বেশ ভালো-ই রাত। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক পাখিওয়ালা। সেও বাড়ি ফিরছে নিশ্চয়ই। কী জানি কোথায়?

    অন্যদিন এই সময়টায় মেয়েটা ঘুমিয়ে কাদা হয়ে যেতে চায় আর মেয়েটার মা তার ঘাড় চেপে ধরে মুখে মাছমাখা ভাত ঠুসে দিতে থাকে। মেয়েটা গিলতে গিয়ে বিষম খায়, বমি করে। রোজ। কিন্তু আজকে মেয়েটার তেমন ঘুম পাচ্ছে না। পাখিওয়ালা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছে, পাশে বেশ কয়েকটা খাঁচা নামিয়ে রেখেছে। নীচে তিনটে খাঁচা, তার উপর দুটো খাঁচা, তার উপর আরো দুটো খাঁচা। একদম উপরের খাঁচা দুটো খালি। নীচের দিকের খাঁচাগুলোর উপর কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা।

    মেয়েটা আপনমনে বকবক করতে করতে কালো কাপড় সরিয়ে খাঁচার ভিতর কী আছে, দেখতে থাকে। পাখিওয়ালা কিছু বলে না। হয়তো সে খুব ক্লান্ত। অথবা মেয়েটাকে তার কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। শুধু মেয়েটার মা বলে "কাপড় সরিয়ো না, ওদের চোখে আলো লাগবে। ওদের ঘুমোতে দাও। এই মামা বকবে কিন্তু।" পাখিওয়ালা কিছু বলে না। মেয়েটা মনে মনে ভাবে - পাখিদের ঘুমের জন্য কত চিন্তা! আর আমাকে রোজ ঘুম ভাঙিয়ে জোর করে ভাত খাওয়ায়!

    একদম নীচের খাঁচা তিনটেয় রয়েছে শ্যামসুন্দর আর মাঝের দুটো খাঁচায় দুটো কালো ময়না। শ্যামসুন্দর পাখি মেয়েটা খুব চেনে, সিউড়িতে কৌশিকমামাদের বাড়িতে বিশাল এক কাঠের খাঁচায় অনেক শ্যামসুন্দর আর বদ্রীকা পাখি একসঙ্গে থাকে। কিন্তু এই পাখিওয়ালার শ্যামসুন্দরগুলোর সব কটাই একটু বেশি মোটা। পেটের দিকটা বেশ গোল । শ্যামসুন্দরদের এত গোল পেট হয় না। এদের কিচমিচটা শ্যামসুন্দরদের কিচিমিচির মত শোনাচ্ছে না। আর ময়নাদুটোও কেমন রোগা রোগা যেন, ঝগড়ুটে ঝগড়ুটে। মেয়েটা বলে "বল তো রাধাগোবিন্দ খুরানা?"
    "পারবি না? আচ্ছা। তাহলে বল তো কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরি হরি, মনে শুধু কী হরি কী হরি?"
    ময়নাদুটো কিচ্ছু বলে না। মেয়েটা তবুও দমে যায় না।
    "এটাও পারবি না? তাহলে বল জয় জগন্নাথ, ঠুঁটো তোর হাত।"
    ময়নাদুটো তবু কিছু বলে না। শুধু পাখিওয়ালা খুবই করুণগলায় বলে, " মা-জী?"
    মেয়েটার মা বিরক্ত হয়ে বলে "আঃ ! কী হচ্ছে? ওদের এখন ঘুম পেয়েছে, ওরা এখন অকথা-কুকথা বলতে পারবে না। হাত ধরে চুপ করে দাঁড়াও। ওদের ঘুমোতে দাও।"
    মেয়েটা অবাক হয়ে ভাবে, পরশু রাতে যখন খুব ঘুম পেয়েছিল তখন এই মা-ই সাতের নামতা জিজ্ঞেস করেছিল আর না পারায় খুব বকেছিল।

    মেয়েটা মায়ের কথার উত্তর দেয় না। মন দিয়ে পাখিগুলোকে দেখতে থাকে। তারপর হঠাৎ পাখিওয়ালাকে জিজ্ঞেস করে "হাতে ঠুকরে দেয় নি জোরে? গাং শালিকগুলোকে যখন ধরে কালো রঙ করেছিলে, ওরা ঠুকরে দেয় নি? ওদের ঠোঁটের খুব জোর। কেমন বড় আর বাঁকানো ঠোঁট!! ঠোকরালে রক্ত পড়ে। অবশ্য চড়াইরা বেশি জোরে ঠোকরায় না। ওদের তো বেশি বড় ঠোঁট হয় না। চড়াইগুলোকে যখন রঙ করে শ্যামসুন্দর বানালে ওরা তখন খুব ছোটো ছিল, তাই না? আমাকে যদি কেউ একটা চড়াই রঙ করে শ্যামসুন্দর করতে দিত! "

    এবার পাখিওয়ালা আর পারে না। এগিয়ে এসে ভালো করে খাঁচাগুলো ঢাকাঢুকি দিতে থাকে কালো কাপড় দিয়ে।

    মেয়েটার মা কড়াচোখে মেয়ের দিকে তাকায়, বলে "আর একটাও কথা নয়। চুপ করে দাঁড়াও এখানে।" কিন্তু মেয়েটা যখন কথা বলতে শুরু করে, তখন ওর একটুও ভয় লাগে না।

    মেয়েটা পাখিওয়ালাকে জিজ্ঞেস করে "অত মোটা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছ কেন? যাতে বৃষ্টি হলে ওদের রঙ ধুয়ে না যায়?"

    এবার আর কেউ কোনো কথা বলে না। মেয়েটার মা অন্যদিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে মুখে আঁচল চাপা দিয়ে। পাখিওয়ালাও একটিও কথা না বলে খাঁচাগুলো কাঁধে তুলে নিয়ে পরের বাসস্টপের দিকে হাঁটতে থাকে।

    মেয়েটা ওখানেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে সে একটা সাদা রঙের পায়রাকে একটা তুলি দিয়ে গোলাপি রঙের পায়রা করে দিচ্ছে।
  • avi | 233.191.63.96 | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০৪:২৮688851
  • যাআআআ তাআআআ!
  • Abhyu | 106.32.190.75 | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০৪:৪৯688852
  • রাধাগোবিন্দ খুরানা?
  • Byaang | 132.171.104.37 | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫৩688853
  • কেন? শুধু হরগোবিন্দর পদবীই খুরানা হতে পারে? রাধাগোবিন্দের পদবী খুরানা হতে পারে না?
  • Abhyu | 34.181.5.110 | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০৭:০৪688854
  • তা পারে। এদিকে ব্যাঙাচির কি খবর?
  • Lama | 785612.119.560112.119 | ০৩ জুলাই ২০১৮ ২২:০০688855
  • তুলি
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৪ জুলাই ২০১৮ ০১:৫২688857
  • রাধাগোবিন্দ হয়তো হরগোবিন্দের ভাই । নিজের না হলেও খুড়তুতো বা জ্যাঠতুতো । ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন