এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • উচ্চ শিক্ষায় গবেষণার নামে ভস্মে ঘি

    দেবব্রত
    অন্যান্য | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ২৯৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • debbrot | 212.142.76.14 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২১:১৭703845
  • ভারতের ৭০০ ইউনিভার্সিটি ৩৫০০০ কলেজ ২মিলিওনের অধিক ছাত্র ভর্তি করলেও মাত্র ১২% পোস্ট গ্র্যাড এবং মাত্র ১% গবেষণারত ছাত্রের পেছনে উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দের ৮০% ব্যয় করে । সে করুন সংখ্যাটি তাও নেহাত কম নয় । এই ১% ছাত্র সমস্ত প্রিভিলেজ , ভবিষ্যৎ সুখ এবং সম্পদের অধিকারী । দেশের মেধা আমাদের গর্ব ! সমস্ত প্রিভিলেজ প্রাপ্ত এই তথাকথিত ১% মেধাবী ছাত্রকুল যাঁদের জন্য আমাদের শিক্ষা খাতের ৮০% ব্যয় হয় তাদের টুকে মারা ,ভুলে ভরা তঞ্চকতা করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার মত পেপার প্রকাশিত হয় জালি জার্নালে ।পৃথিবীর সমস্ত জালি জার্নালের ৫০% অধিক কেবলমাত্র ভারতবর্ষে ।সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে উচ্চ শিক্ষিত প্রফেসরগণ ,ইউনিভার্সিটি এবং তথাকথিত মেধাবী ছাত্রগণের এক অশুভ অংশের সাঁট ঘাঁট এই জালি জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ করে । স্রিফ চিটিং বাজী করে পিএইচডি হাতানো হয় । অবশেষে এনারাই তঞ্চকতা করে প্রাপ্ত পিএইচডি’র বলে দেশের সমস্ত উচ্চ পদে আসীন হন । মেধা , বাকী ৯৯% গ্রাজুয়েট ,পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারীরা দাঁতের মাজন বেচেন ।
    কে এই অপচয়ের হিসাব রাখবে ? প্রফেসরকুল কার কাছে এই চিটিংবাজীর জন্য জবাব দেহী থাকবেন? ইউনিভার্সিটির অধিকর্তা যা এতদিন ধরে হয়ে এসেছে ? সে তো দাগী চোরকে গয়না পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়ার সমান। কোন বিষয়ে গবেষণা হবে কে নির্ধারিত করবে ? এই সুবিধাভোগী ,পারস্পরিক পিঠ চুলকানো চক্র ? আমাদের যদি অধিকার থাকে জনপ্রতিনিধির কাজের হিসাব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের , রাস্তায় আলোর বন্যা লাগানো ,সাইকেল এবং জুতা দানের ,ক্লাবে খয়রাতী করার হিসাব চাওয়ার তাহলে সেই অধিকারেই জু বা জেএনইউ বা প্রতিটি ইউনিভার্সিটির প্রতিটি বিভাগীয় প্রধানের কাছে গবেষণার নামে কি অশ্বডিম্ব প্রসব হচ্ছে তার হিসাব চাওয়ার অধিকার আছে । এই হিসাব প্রতিটি ছাত্রের চাওয়া উচিৎ অথবা ক্লাবে খয়রাতী নিয়ে একটি কথা বলারও নৈতিক অধিকার থাকেনা । এই সুবিধাভোগী চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বজায় থাকলে আজকে ১০০০০ লোকের মিছিল কে বিজয় বলে দেখলেও কালকে বাস্তিল দুর্গ দখলের পরিস্থিতি নিজেরাই প্রস্তুত করবেন ।

    সংলগ্নিত লেখাটি সম্প্রতি হিন্দু তে প্রকাশিত । উচ্চ শিক্ষার নামে এই চরম অপচয় এবং চরম অসততা বিষয়ক রিপোর্টটি হিমবাহের চুড়া মাত্র ।

    Fake journals: ‘Make in India’ gone wrong http://m.thehindu.com/sci-tech/fake-journals-make-in-india-gone-wrong/article7800231.ece
  • ranjan roy | 24.96.78.190 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:২৫703856
  • বিলাসপুরের গুরু ঘাসীদাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জাতীয় পিএইচডি নিজের চোখে দেখা। পয়সা ও খরচ হয় টেবিলের নীচের থেকে।
    উদাহরণঃ শেকসপীয়রের নাটকের বিশেষণ সমুহ।ঃ)))
  • বিপ | 81.244.130.85 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:৪৪703867
  • তিনো এবং বিজেপি বিরোধিতায়, বামেরা নিজেদের ইন্টালেকচুয়ালদের নিয়ে উল্লাসিত। কে কত বড় ইন্টেলেকচুয়াল সেই ফালতু চুলোচুলিতে না গিয়ে, আমি স্যার সিভি রামন, মেঘনাদ সাহা এবং সত্যেন বোসের জীবন থেকে একটি সত্য কথা বলতে চাই। স্যার রামন, ভারতে ভূমিকম্পের উৎস নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। মেঘনাদ সাহাও ভারতের নদী প্রকল্পগুলির রূপরেখা স্থাপন করেন। সত্যেন বোসও থিওরীটিক্যাল ফিজিক্সের বাইরে গিয়ে অনেক বেশী প্রাক্টিক্যাল ক্রিস্টালোগ্রাফি নিয়ে কাজ করেছেন। আবার এদের সবাই মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চাতে অবদান রেখেছেন। আমি ছোটবেলায় ত্রিকোনিমিতি শিখেছিলাম মেঘনাদ সাহার একটা বাংলা বই থেকে। যা তিনি বাচ্চাদের জন্য লিখেছিলেন।
    এদের তিনজন একটা কথা সারা জীবন বলে গেছেন। সমাজে বিজ্ঞানীর [ বা সেই অর্থে বুদ্ধিজীবি] স্থান নির্নিত হয়, সেই বিজ্ঞানী, সমাজের জন্য কি দিয়ে যেতে পারছেন। এই জন্যেই ইনারা ইনাদের নিজেদের উচ্চমানের বিজ্ঞান চর্চা ছেড়ে প্রাক্টিক্যাল সমস্যা নিয়েও কাজ করেছেন। মাতৃভাষায় বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করেছেন। একজন বিজ্ঞানী বা ইন্টেলেকচুয়াল তার সামাজিক দ্বায়িত্ব ভুললে, আস্তে আস্তে সমাজের চোখে তারা অপাংতেয় হবেন। ভারতে তাই হয়েছে।
    বিজেপিতে ইন্টেলেকচুয়াল নেই-এন্টি ইন্টেলেচুয়াল পার্টি এটা ঠিক। কিন্ত মোদির জয় কি এটাই পরিস্কার করে বলছে না-দেশের সাধারন মানুষ এণ্টি ইন্টেলেকচুয়াল?
    কারন এত শত বিজ্ঞানী, আই আই টির প্রফেসর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসররা সাধারন মানুষের জন্য কি করেছে? এখনো প্রায় সব প্রযুক্তি আমদানি করতে হয়। ১৫০ টার ওপরে কৃষি বিদ্যালয় , অথচ দেশে কৃষি প্রযুক্তি নেই। মেডিক্যাল ইকুইপেন্ট প্রায় সব আমদানী করতে হয় অথচ দেশে নাকি বছরে ৭০,০০০ পেপার বের হয় মেডিক্যাল জার্নালে।
    দেশের ইন্টেলেকচুয়ালরা দেশের জন্য করলে ত লোকেরা তাদের কথা শুনবে!!
    আমি থার্ড আর ফোর্থ ইয়ারে সাহা ইন্সটিউটে ইনটার্ন ছিলাম সামার ভেকেশনে। যে প্রফেসারের হয়ে কাজ করছিলাম, তাকে বললাম স্যার এই কাজটার এপ্লিকেশন কোথায়- উনি বল্লেন দূর। তুমি সবে একাডেমিক্সে ঢুকছ-এখানে ভাল জার্নাল-যেমন ধর পি আর এলে পাবলিশ করতে পারলে, বিদেশে ভাল ইউনিভার্সিটিতে পি এই চ ডির সুযোগ পাবে। দেখলাম, তার ছাত্ররাও আসলে পাবলিশ করে বিদেশে পোস্ট ডকের আশায় আছে। ভাবলাম বিজ্ঞানের গবেষনায় এমন হয়।
    ইঞ্জিনিয়ারিং এ পি এই চ ডি করতে এসে আশায় ছিলাম অবস্থার পরিবর্তন হবে। এখানেও সেই গুচ্ছ ইক্যুয়েশন সলভ ইত্যাদি করে যে কাজটা করছিলাম, সেই ধরনের কাজ একমাত্র আমেরিকা বা ইউরোপের টেলিকম কোম্পানীগুলো করে। ভারত তাদের কাছ থেকেই আমদানী করে। ফলে পি এই চ ডি করে আমি আমেরিকাতে ভাল চাকরি পেলাম বটে-কিন্ত ভারতের ত তাতে কিছু এল গেল না। ভারতে বাকী যারা গবেষনা করছে, তাদের ও এক অবস্থা। যা করছে, তা ভারতের জনসাধারনের কাজে লাগানোর সুযোগ কম।
    অথচ ভারতে সমস্যা প্রচুর। তাই সমাধানের জন্য প্রচুর গবেষনা দরকার। আমার মতে দুটো জিনিস দরকার -এক ভারতের সমস্যাগুলো আইডেন্টিফাই করে শুধু সেই ক্ষেত্রেই প্রোজেক্ট ফান্ডিং হৌক। দুই প্রোজেক্ট ইভ্যালুয়েশনে পাবলিকেশনের গুরুত্ব হ্রাস করে- সেই প্রযুক্তি আদৌ ভার‍তের কোন কোম্পানী কাজে লাগাচ্ছে কি না সেটা দেখা হৌক। ভারতে যেভাবে একাডেমিক্স চলে তা জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ। এবং একই কারনে ভারতে বিজ্ঞানী প্রফেসরদের স্যোশাল স্টাটাস এবং ইনফ্লুয়েন্স আমেরিকার তুলনায় অনেক কম।
  • Tim | 108.228.61.183 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:১১703876
  • যদিও বিজ্ঞানীদের সামাজিক ইম্প্যাক্ট নিয়ে আংশিক একমত, কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে এটা এড়ানোর উপায় নেই। এড়াতে গেলে আরো বেশি কেলো হবে। বিপ যা বললেন, ঠিক সেইটাই এই মুহূর্তে সেন্ট্রাল এশিয়ার কোন কোন দেশ তড়িঘড়ি দেশজ টেকনোলজি তৈরী করতে করছে। হায়ারিং এর সময় প্রোপোজাল ফান্ড করার সময় জিগ্যেস করা হচ্ছে এতে দেশের কি উপকার হবে? এর ফলে যেটা হয়েছে, অনেকেই সে দেশ ছেড়ে চলে এসেছে। বিজ্ঞানীদের বেশিরভাগ কাজ করেন বিজ্ঞানের জন্যে, একটা জিজ্ঞাসা নিয়ে, যা তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। অনেক সময় তার থেকে অ্যাপ্লিকেশন বেরিয়ে এসে একটা রিজিয়নকে ইকোনমিক বেনিফিট দেয় এবং এটা খুবই ভালো কথা। কিন্তু শুধু সেই কারণেই বিজ্ঞানকে ফান্ড করতে চাইলে খুব খারাপ মানের বিজ্ঞান হবে, কারণ ভালোরা অন্যত্র বন্দোবস্ত দেখে নেবে। তাতে দুদিকই যাবে, কারণ আপাত দৃষ্টিতে "অপ্রয়োজনীয়" বিজ্ঞানচর্চাতেও দেশের বেশ খানিকটা লাভ হয়। সাইন্টিফিক কমিউনিটিতে ভিজিবিলিটি তথা ক্রেডিবিলিটি বাড়ে, যা খুব প্রয়োজন।
  • Tim | 108.228.61.183 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:১৬703877
  • আর বাজে জার্নালে আর্টিকল পাবলিশের পপিচু কালচার একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। আমার তো মনে হয় বিজ্ঞানচর্চাকে টপিকালি রেস্ট্রিকটেড করে দিলে এটা আরো বাড়বে, কারণ যেকোনো করাপশানকে বদ্ধ ঘরে ঢাকাচাপা দিয়ে রাখলে (মানে কিনা ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের বাইরে যেতে না দিলে) সেটা করাপশানের জন্য দারুন ভালো হবে। এখন অন্তত ইন্টরন্যাশনাল জার্নালের রেফারিং আছে, তখন ইন্টারনাল একটা কমিটি এই কাজগুলো ভালো না খারাপ সেটা ঠিক করবে।
  • S | 108.127.145.201 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:৩৪703878
  • বিপদা, আপনার লেখাটা ঠিক আছে। কিন্তু কিছু কথা আমিও লিখি।

    "আই আই টির প্রফেসর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসররা সাধারন মানুষের জন্য কি করেছে?"
    আমাকে, আপনাকে পড়িয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই বিদেশ থেকে পড়ে দেশে ফিরে যান/গেছেন।

    "তার ছাত্ররাও আসলে পাবলিশ করে বিদেশে পোস্ট ডকের আশায় আছে। ভাবলাম বিজ্ঞানের গবেষনায় এমন হয়।"
    কেন এমন হয় বলে মনে হয় আপনার? সবই তো জানেন, বোঝেন।

    "বিজেপিতে ইন্টেলেকচুয়াল নেই-এন্টি ইন্টেলেচুয়াল পার্টি এটা ঠিক। কিন্ত মোদির জয় কি এটাই পরিস্কার করে বলছে না-দেশের সাধারন মানুষ এণ্টি ইন্টেলেকচুয়াল?"
    কিন্তু বিজেপিতে প্রচুর পয়সা দিয়ে পোষা মিডিয়া এক্স্পার্ট আছে। তার প্রভাব কোথায় যাবে? আরেকটা কথা লিখতাম; কাটিয়ে দিলাম।

    "দেশের ইন্টেলেকচুয়ালরা দেশের জন্য করলে ত লোকেরা তাদের কথা শুনবে!!" বিদেশে বসে থাকা দেশি ইন্টেলেকচুয়ালদের নিয়ে কি বলবেন?
  • sosen | 184.64.4.97 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:১৩703879
  • প্রযুক্তিচর্চা আদপে বিজ্ঞানচর্চা কিনা সে নিয়ে আগেও সন্দেহ ছিল, এখনো আছে।
    দেশে একাডেমিক্সে আদৌ তেমন টাকাই নেই। সরকার কোনো রিটার্ন ছাড়াই গবেষণায় টাকা ঢালছে বলে কিছুটা কাজকর্ম হচ্ছে। বড় অ্যাপ্লিকেশনে লাগার মতো টাকা সরকার দেয়না। যা দেয় তাতে নলেজবেস তৈরিই হতে পারে। এছাড়া পলিসিগত সহস্র প্রবলেম। মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট তৈরি তো ইউনিভার্সিটি করতে পারে না, বড়জোর একটা প্রোটোটাইপ তৈরি করতে পারে। সেটা কিনে ট্রায়াল লেভেলেও তৈরি করার মতো ইন্ডাস্ট্রি কই?কেউ ইচ্ছুক থাকলেও লাল ফিতের ফাঁসে সমস্ত আটকেই থেকে যায়।
    ভারত এখনো তৃতীয় বিশ্ব। গবেষণায় টাকার বড়ো অভাব। যে কোনো ব্যক্তি যিনি ভারতীয় গবেষণার জগতে কিছুদিনও কাটিয়েছেন তাঁরা ঠিকই জানেন। টাকা নষ্ট হয় এডুকেশনে, আমার নিজের কনসেপ্ট, ঠিকঠাক ভাবে সিলেবাস ও পরীক্ষাব্যবস্থা চালু হলে অধিকাংশ ছেলেমেয়ে(হয়তো আমিও) হায়ার সেকেন্ডারির পরে ডিগ্রি পেতো না। বা, ডিগ্রি পেতে অনেক বেশি খাটতে হোতো।
  • sosen | 184.64.4.97 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:১৭703880
  • আর ফেক জার্নাল স্ক্যামে চীন? ডেভিড পাবলিশিং কোং এর কথা কি সবাই ভুলে গেছে?
  • ranjan roy | 24.96.31.201 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:২৫703881
  • সোসেনের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েঃ
    ১) বিশুদ্ধ বিজ্ঞানচর্চা আর কেবল মাত্র তাৎকালিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে বা প্রযুক্তির জন্যে গবেষণা দুটোই দরকার। একে অপরের বিকল্প নয় বরং কম্প্লিমেন্টারি।
    ২) যেটা আজ বিশুদ্ধ জ্ঞানের চর্চা কাল সেটাই নতুন প্রয়োগের জায়গা খুঁজে পাবে। এর জন্যে লং টার্ম ভিশন দরকার। নইলে ক্যালকুলাসের কী হাল হোত? আমরা নিউটনের মেকানিক্স বা ইউক্লিডের জিওমেট্রিতেই আটকে থাকতাম।
    ৩) ফেক রিসার্চ বা প্লেগিয়ারিজম আলাদা ইস্যু; বিপ গুলিয়েছেন।
  • দেবব্রত | 212.142.76.14 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:১২703846
  • মুল প্রশ্ন তিনটি
    ১। এই চুরি করে টুকে মারা প্রমোশনের স্বার্থে PHD এবং চৌর্য বৃত্তির ভিত্তিতে সুবিধাভোগী শ্রেণীকে কে মনিটর করবে ? ২। এই চৌর্য বৃত্তি যে হয় তা গাইড থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি সবাই জানে এবং গিল্ড স্বার্থে গোপনীয়তা বজায় রাখে এইটা করাপশন কিনা এবং সাধারণ নাগরিকের প্রশ্ন করার অধিকার আছে কিনা ? ৩। কে ডিসাইড করবে বা কে মনিটর করবে কোনটা ভস্মে ঘি এবং অর্থের অপচয় ? ইউনিভার্সিটি এবং গাইড যখন পার্টনার অফ ক্রাইম ? হিন্দুর এই লেখাটি BMC'র একটি লেখা কে ভিত্তি করে সেই লিঙ্কটা সংযুক্ত করলাম ‘Predatory’ open access: a longitudinal study of article volumes and market characteristics http://bmcmedicine.biomedcentral.com/articles/10.1186/s12916-015-0469-2 … #bmcmedicine
  • pi | 24.139.209.3 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:১৭703847
  • ' স্রিফ চিটিং বাজী করে পিএইচডি হাতানো হয় । '

    এটা অতিমাত্রায় অতিসরলীকরণ লাগলো।
  • b | 24.139.196.6 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:২৭703848
  • আমার স্যাম্পলে সোশ্যাল সাইন্স/হিউম্যানিটিজ-এ এই জালিবাজি খুব বেশি। জমা দেবার এক সপ্তাহের মধ্যে রেফারিং হয়ে অনলাইন অ্যাকসেস এসে যাবে। অবশ্যই তার জন্যে মোটা টাকা খসাতে হবে।
  • দেবব্রত | 212.142.76.14 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩৪703849
  • পাই আমার মনে হয় ' পৃথিবীর সমস্ত জালি জার্নালের ৫০% অধিক কেবলমাত্র ভারতবর্ষে ।সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে উচ্চ শিক্ষিত প্রফেসরগণ ,ইউনিভার্সিটি এবং তথাকথিত মেধাবী ছাত্রগণের এক অশুভ অংশের সাঁট ঘাঁট এই জালি জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ করে । স্রিফ চিটিং বাজী করে পিএইচডি হাতানো হয় । অবশেষে এনারাই তঞ্চকতা করে প্রাপ্ত পিএইচডি’র বলে দেশের সমস্ত উচ্চ পদে আসীন হন । মেধা , বাকী ৯৯% গ্রাজুয়েট ,পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারীরা দাঁতের মাজন বেচেন ।'

    আমার মনে হয় যদি পোস্টের এই পুরো অংশটা পড়েন তাহলে বক্তব্য কিছুটা ক্লিয়ার হবে - ইউনিভার্সিটি এবং তথাকথিত মেধাবী ছাত্রগণের এক অশুভ অংশের সাঁট ঘাঁট এই জালি জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ করে । অর্থাৎ কিছু অসৎ গবেষক, সবাই নন , BMC'র হিসাব অনুযায়ী হার্ড সায়েন্স , লিটারেচারে এই ধরনের পেপারের সংখ্যা নগন্য, কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বাও মেডিসিন প্রচুর ।

    দ্বিতীয়ত এটি অসততা এবং দুর্নীতি কিনা ? পয়সার অপচয় কিনা ? যদি দুর্নীতি হয় তাহলে আমরা এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলব কিনা ?জালিয়াতি করে প্রোমোশনের স্বার্থে পিএইচডি হাতানো হয় কিনা ? প্রশ্ন গুলী অস্বস্তিকর হতে পারে কিন্তু প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া সমাধান কি ?
  • ... | 74.233.173.177 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৫০703850
  • Proyojononer theke koyeksho gun beshi PHD hole jaa hoy... Keranir chakrite koyek hajar PHD apply kore.
  • cm | 127.247.96.20 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২০:৫০703851
  • দেবব্রতবাবুর কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে খারাপ ঋণ সম্পর্কে কি মত?
  • দেবব্রত | 212.142.76.41 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২১:৩৮703852
  • ' দেবব্রতবাবুর কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে খারাপ ঋণ সম্পর্কে কি মত?' আমার মতে বিশুদ্ধ চুরি ,সম্মতি সহকারে লুণ্ঠন ,অনাদায়ী ঋণের দায় আমার আপনার এবং আমার পরবর্তী প্রজন্মের ( সংক্ষেপে ) কিন্তু তার সাথে এই বিষয়টির সম্পর্ক আমার ঠিক বোধগম্য হলনা -যদি না এই চুরির এবং তঞ্চকতার সাথে তুলনা টানেন !
  • sosen | 177.96.7.166 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২১:৪১703853
  • পি এইচ ডির আবার প্রয়োজনীয়তা কি?
    একটা কেরানির চাগ্রি দ্যান নটা পাঁচটার, বেঁচে যাই।
  • দেবব্রত | 212.142.76.41 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২১:৫৯703854
  • তাতেও শুনেছি পোস্ট ডক হতে হবে যা দিনকাল !
  • Ekak | 113.6.157.185 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৫৬703855
  • আমি পিএইচডি নই। এমনকি সায়েন্স এর একশ মাইলের মধ্যেও যাতায়াত নেই। কিন্তু একটা ব্যাপার অদ্ভুত লাগে, কেও কেও এরকম পিএইচডি শুনলেই পেল্লাই পেল্লাই বিজ্ঞানী দের নাম নেয় কেন ? :(( এটা একটা মিথ যেটা ওল্ড স্কুলের লোকজন বিশ্বাস করতে ভালবাসে যে চারপাশে "সায়েন্টিস্ট" পয়দা হবে রাদ্দিন আহা দেশ এগিয়ে যাবে।

    দিস ইস বেসিকালি আ মাস প্রডাকশন মেশিনারি যেখানে প্রচুর জনতা স্ট্রাকচারদ মেথড এ নলেজ বেস বিল্ডিং শিখছে এবং নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী এপ্লাই করছে। লাখে একটা ডিস্রাপটিভ ইনোভেশন হতে পারে । নাও হতে পারে । কিন্তু ঐযে সেন্ট্রাল নলেজ বেস তৈরী তে তারা কাজ করছে ওটাই তাদের জায়গা। এবার একটা মাস প্রডাকশন মেশিনে তো প্রচুর জালি পেপার ও বেরোবে । এ নিয়ে এত হাহুতাশ করার বিশেষ কারণ দেখছিনা । যতক্ষণ পর্যন্ত্য জানতে পারছেন যে জালি টা জালি ততক্ষণ আপনার ফিল্টার সিস্টেম কাজ কচ্ছে।

    আমার মনে হয় , এই পিএইচ্দি দেখলেই অন্য পেশার মানুষের এর ইনোভেশন প্রত্যাশার চুলকানি টা আখেরে গবেষক দের কাজের ক্ষতি করে। ওনারা যা কচ্ছেন কত্তে দিন। অকারণ গাল দেওয়া বা বাড় খাওয়ানো কিছুরই দক্কার নেই ।

    এবার রাষ্ট্রের খরচ। এটা একেবারেই প্রায়োরিটি বেসিস । কোনো আলটিমেট কথা বলা যায়না। যেহেতু আধুনিক বিশ্বে নলেজ বেস এর সমস্ত লাভের গুড় প্রথম বিশ্ব -ই খায় , তাই আমি পার্সোনালি চাই, যাঁদের গবেষণায় আগ্রহ তাঁরা প্রথম বিশ্বে যান। সেই টাকায়, ভারতে স্কুল ব্যবস্থা কে যদি ঢেলে সাজানো যায় ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড পাবলিক স্কুল লেভেলে , তাহলে শিক্ষিত মধ্যবিত্তের ভোট একটু প্রাথমিক ভাবে কমলেও , আখেরে লাভ হবে।

    একচুয়াল গপ্প টা তো ভোটের। গবেষণায় অনুদান বন্ধ হলে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায় কিন্তু কর্পোরেশন ইস্কুলে ছাদ দিয়ে জল পরলে সেটা নিয়ে কথা ওঠেনা। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ঐসব ইস্কুলে যায়না এবং তারা চায় ছেলে মেয়ে এদেশে উচ্চশিক্ষা করে এদেশেই থিতু হোক। বেশ "ঘরের খেয়ে" গবেষণা করুক। এই চাহিদা মোটেই অন্যায্য নয়। গণতন্ত্রে সবই ন্যায্য। এবং তার কন্সিকয়েনস ও :)

    মাঝের লেয়ারের ভোট ও তার রাজনীতি কে বাদ দিয়ে , এই "দিস্তে -দিস্তে " গবেষণা ও তার পেছনে সরকারী বিনিযোগ যুক্তিযুক্ত কিনা .....এই আলোচনা এগোবে না।
  • S | 108.127.145.201 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:২২703857
  • একক বাবু, আপনার প্রথম পার্টটা ঠিকই ছিলো। শিবাজিপার্কে প্রতিদিন কয়েক হাজার ছেলে ব্যাটিঙ্গ প্র্যাক্টিস করে বলেই কয়েক দশকে একটা শচীন বেরিয়েছে। তেমনি প্রচুর লোকজন সায়েন্স টেকনলজি বা অন্যান্য বিষয়ে উচ্চশিক্ষা করে বলেই এক আধটা ইনোভেশন বেরোয় ইত্যাদি। এক্দম একমত।

    কিন্তু সেকেন্ড পার্টে গিয়ে একটু হোঁচট খেলাম। এটা ঠিকই যে "আধুনিক বিশ্বে নলেজ বেস এর সমস্ত লাভের গুড় প্রথম বিশ্ব -ই খায়"। এইখানেই দুটো কথা আছে।

    ১)ইন্ডিয়ার কিছু নিজস্ব ডিম্যান্ড আছে - নিউক্লিয়ার রিসার্চ, স্পেস, অটোমেশন, ডিফেন্স থেকে শুরু করে সাধারণ ডেটা রিসার্চ অবধি। সেগুলোর জন্যেও কিছু সায়েন্টিস্ট/রিসার্চার দরকার হয়। এগুলোর সব বিদেশ থেকে কেনা যায়্না/ কিনতে দেয়্না/ খরচ বেশি। এখন আপনি বলতেই পারেন যে লোকে বিদেশ থেকে পড়ে ইন্ডিয়াতে এসে রিসার্চ করুক। কিছু লোকজন করছেনও - খুব ভালো কথা। কিন্তু সেইতা খুবেকটা ভরসা যোগ্য সাস্টেনেবল মডেল নয়।

    ২) আর প্রথম বিশ্বর (পড়ুন আমেরিকার) সাথে ইন্ডিয়ার রিসার্চ ইনফ্রাস্ট্রাকচারের তুলনাই হয়না। তাই এই যুক্তিও দেওয়া যায় যে প্রথম বিশ্ব ইনভেস্ট করে বলেই লাভটাও বেশি করে।

    প্রাথমিক, ইস্কুল এবং স্নাতক স্তরে শিক্ষার মান উঁচু করার ক্ষেত্রে একশত পরিমান সহমত। কিন্তু এই দুটো মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ হতে হবে বলে মনে হয়্না।
  • Ekak | 113.6.157.185 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:৩৮703858
  • দেশে গবেষণা প্রতিষ্ঠান চলা আদৌ কতটা সম্ভবপর তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তার কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের করাপশন। ব্যাপরটা এরকম নয় যে বাকি সব প্রতিষ্ঠান ধোয়া তুলসীপাতা। করাপশন সর্বর্ত্র। কিন্তু , আজকে একটা প্রাইভেট ব্যবসায় করাপশন করে বছরের পর বছর একজন নন পারফরমার এমপ্লয়ী টিঁকতে পারেন না । একাডেমিয়া তে পারেন। কারণ একাদেমিয়ার মডেল টা করাপ্তিবল । আর প্রাইভেট বিসনেস নিজেই একটা করাপ্তিং এজেন্ট বলে ,থার্ড পার্টি দ্বারা করাপ্তিবল নয় :) মজাটা এইখানেই।

    অনেকে বলেন প্রাইভেট বিনিযোগ এ গবেষণা চালানোর কথা। ওটা এদেশে ফীসিব্ল মডেল নয়। এদেশে ব্যবসা উদ্যোগ সবে দাঁড়াচ্ছে। এখন টেকনোলজি একটা ব্রেক-মেক কন্ডিশনে আছে। কিছু বড় কোম্পানি ফ্যাশন করে রিসার্চ ইউনিট খুলে রেখেছে মানেই সেখানে আদৌ কোনো লং টার্ম রিসার্চ হচ্ছে এমন কোনো মানে নেই। একাডেমিয়ার মাইন্ড সেট এর সঙ্গে, বাডিং বিসনেস কমিউনিটির মাইন্ড সেট পুরো আলাদা। দে কান্ট্ এফর্দ এইচ অদর ।

    এবার আপনি বলতে পারেন আজকের দিনে যে কোনো হাই লেভেল বিসনেস ওয়ার্ক করতে গেলেও তো রিসার্চ মাইন্ড সেট দরকার। সে অবস্যই দরকার। কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটা বিদেশ ফেরত গবেষক দিয়েই হয়ে যায় , ইন্দাস্ত্রী ফ্লোরে তাকে একটা বিসনেস স্ট্রাকচার এন্ড একুন্তেবিলিতি তে বেঁধে ফেলা যায়, যেটা একাদেমিয়া তে ফান্ড করে বাস্তবায়িত করা বেশ চাপের। ব্যাড ডেট হবার সম্ভাবনাই বেশি।
  • S | 108.127.145.201 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৩:৫৫703859
  • সেকেন্ড পয়েন্টে অলমোস্ট একমত। ইন্ডিয়াতে এখনো প্রফিট আর শর্ট টার্ম খুব ইম্পর্ট্যান্ট। তার একটা কারণ রেট অব রিটার্ণ অনেক বেশি।

    "কিন্তু সেটা বিদেশ ফেরত গবেষক দিয়েই হয়ে যায়"ঃ যেতে পারে। কিন্তু সেটাতো প্রাইভেট কোম্পানিতে হোলো। বাকি রিসার্চ ইনস্টিগুলোতে কি হবে?

    এইবারে প্রথম পয়েন্টে আসি। প্রথমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের করাপশন সর্বত্রই আছে - বিভিন্ন সাইজ ও শেপে। তার থেকেও বড় কথা হোলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রাইভেট কর্পোরেশনের কোরাপশানের তুলনা হয়্না। প্রাইভেট কর্পোরেশনে করাপশান হলে ইন্ভেস্টররা ভুগবে। সরকারী ওর্গানাইজেশনে হলে ট্যাক্স পেয়াররা ভুগবে। তাই প্রথমটা নিয়ে সার্বজনিক আলোচোনার দরকার নেই, যতক্ষন না সেই কোরাপশান পুরো সিস্টেমকে দুষিত করছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য সরকারী ডিপার্টমেন্টের করাপশনএর তুলনা করা দরকার। জল বিভাগে অনেক কোরাপশান আছে মানে জল বিভাগ তুলে দেওয়া যায়্না। কোরাপশান ইন্ডিয়ার সব থেকে বড় প্রবলেম। এবং সেটাকে সর্বিকভাবে দুর করতে হবে। সারা সমাজ যেখানে দুর্নীতিতে ভরা, সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সব পরিস্কার হবে সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই।

    কিন্তু এগুলো কোনোটাই আমার বক্তব্য নয়। কেউ যদি ভাবেন যে এইযে ট্যাক্স পেয়ারদের এতো টাকা ঢালা হচ্ছে রিসার্চে, তার কি আউটপুট। আমেরিকা বা পশ্চীমের দেশগুলোতে তো কত কত আউটপুট বেরোয়। তাহলে বলবো যে আরোআই অন্যদেশের এর থেকে ইন্ডিআর কম সেটাই বা কি করে জানা গেলো। কারণ এই দেশগুলো যে পরিমান ইনভেস্ট করে সেটাতো অনেক অনেক বেশি। তাছাড়া ইন্ডিয়ার বেস্ট ব্রেইনগুলো তো সবই ঐসব দেশেই চলে যায়। বাকিগুলো নিয়েই কাজ কারবার। আর যারা ফিরে আসে, তারাও যে সব প্রথম সারির তাও তো বলতে পারিনা।
  • দেবব্রত | 212.142.125.62 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৭:৫৫703860
  • যদি ধরুন সারা বিশ্বের ক্ষেত্রে এই রকম হয় ? ' Most scientific studies are wrong, and they are wrong because scientists are interested in funding and careers rather than truth.' এ আমাদের দেশের নয় সারা পৃথিবীর সমস্যা - এটা BMJ লিখছে !
  • Ekak | 113.6.157.185 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:১২703861
  • হতেই পারে। তাতে কি ? প্রথমত এরকম কোনো আলটিমেট "ট্রুথ " কথাও আছে বলে বিজ্ঞান বিশ্বাস করে নাকি ? সায়েন্স এর থট প্রসেস কি আদৌ তাই ? এখানে তো গবেষক আছেন অনেকে ,তাঁরা বলুন ।

    গবেষক রা যদি কারিয়ার -ফান্ডিং এর পেছনে নাও ছুটতেন তাহলেও স্যাম্পলিং ফ্যাব্রিকেশন এর প্রভাব এড়াতে পারতেন কি ? মনে হয় ,না। মাল্টিপল ইন্টারেস্ট আছে , ভেরিয়াস স্কুল অফ থট আছে যারা পরস্পরবিরোধী। মানুষ জেনে বুঝে যত না ফ্যাবিক্রেত করে না , সব্কন্শাশ্লি করে অনেক বেশি ।

    আমাদের চিন্তা কি আদৌ এটা যে সবাই "ঠিক " কিনা :) আমি তো কেও "ঠিক " না এটা ধরে নিয়েই , একাধিক "বেঠিক " এর পারস্পরিক সংঘর্ষ থেকে বেটার মডেল তুলে আনায় বিশ্বাসী। আমাদের আশার কথা এইটাই যে এরকম কোনো ট্রুথ এক্সিস্ট করেনা। করলে , সে ভারী দুশ্চিন্তা হত। " they are wrong" অবস্যই , বাট নট অফ সেম কাইন্ড।

    এইধরনের থিওরি গুলো যা কিনা দাবি করে : সবাই মিথ্যে বলছে , সবাই নাটক করছে , সব ভুল .......এরা একটা বেসিক জায়গায় প্রচন্ড ভালনারেবল । সেটা হলো ওই ধরে নেওয়া টা যে গোটা নাটক টা একজন কেও পরিচালনা করছে অর্থাত এটা একটাই নাটক । একটা অদৃশ্য হওয়া কল :) যেহেতু সেরকম কেও নেই তাই সবাই নাটক করলেও আমার কোনো দুশ্চিন্তা নেই :) :) আই এম হ্যাপী টু লীভ উইথ মাল্টিকালার ফলস হুড রাডার দান আস্কিং ফর আ সিঙ্গল উইসদম জেনেরেতর মেশিন। দ্যাটস স্টেটিস্ট।
  • Rit | 213.110.246.25 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২০:২৭703862
  • একক,
    আপনাকে ক। সব আইডিওলজিই থাকুক। 'শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে'!
    আর ভস্মে ঘি ঢালা আবার কি? চিরকালই বিজ্ঞান তাইই ছিল। মধ্যযুগে অ্যালকেমীতে কম টাকা ঢালা হয়েছিল? পারপেচুয়াল মোশন মেসিন? কয়েক শতাব্দীর ফেলিওর থেকে বেরিয়ে আসে থার্মোডায়ানামিক্স।
    বরং দুমদাম বড় বড় সাফল্য বা পয়সা উশুল হলেই বরং সেটা ভয়ের।
  • দেবব্রত | 212.142.76.249 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২১:৩৩703864
  • O আমি এই লিঙ্কটা পড়ে দেব ভেবেছিলাম ,যাক আপনি দিয়ে দিলেন । এই লিঙ্কটার ভেতরে কিছু মিডিয়া লিঙ্ক আছে যেগুলি পড়লে রিসার্চের নামে অশ্বডিম্ব , তঞ্চকতা এবং ক্যারিয়ার বানানো কি ভাবে বানানো তা স্পষ্ট । পৃথিবীর যার যা খুশী রিসার্চ করুন কেবল আমার আপনার দেশের পয়সা খরচা না করে করলেই হোল তা যখন অধিকাংশই ফলস । নিউটন অ্যালকেমি করতেন নিজের দাস ব্যবসার থেকে উপার্জনের পয়সায় , রবিঠাকুর কবিতা লিখতেন বিনা কোন ফান্ডিং । তাও যদি করতেই হয় দেশ দশের কাজে করুন কিন্তু কে মনিটর করবে ? বিজ্ঞান এবংঅধিকাংশ গবেষণা বর্তমানে যখন সারোগেট অ্যাক্টিভিটি !
  • SS | 160.148.14.4 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২১:৪০703865
  • ডেটা রিপ্রোডিউসিবিলিটি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়, বিশেষ করে প্রি ক্লিনিকাল বা ক্লিনিকাল রিসার্চে। গত বছর একটা পেপারে ইরিপ্রোডিউসিবল ডেটার একটা ডলার অ্যামাউন্ট দেখানো হয়েহ্হে। দেখা গেছে প্রি ক্লিনিকাল রিসার্চের প্রায় ৫০% ইরিপ্রোডিউসিবল ডেটা। আর তার ডলার অ্যামাউন্ট প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার।
    http://journals.plos.org/plosbiology/article?id=10.1371/journal.pbio.1002165
    এটা সামনে আসার পর NIH প্রি ক্লিনিকাল রিসার্চ রিপোর্টিং এর গাইড্লাইন বানায়। NIH এর ডিরেক্টর আর ডেপুটি ডিরেক্টর নেচারে একটা পেপার পাবলিশ করেছেন NIH এর পলিসির ব্যাপারে। অবশ্য সাথে সাথেই রিবিউটাল চলে এসেছে NIH যাতে ওয়ান সাইজ ফিটস অল পলিসি প্রোমোট না করা হয়।
    http://www.nature.com/news/policy-nih-plans-to-enhance-reproducibility-1.14586
  • দেবব্রত | 212.142.76.249 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২১:৪৪703866
  • মোর ম্যানেজমেন্ট ইস ব্যাড ম্যানেজমেন্ট , বেশী হাঁসপাতাল মানেই যেমন স্বাস্থ্য নয় ,বেশী ইউনিভার্সিটি এবং বেশী গবেষণা মানেই শিক্ষা নয় - কেবল অতি অল্পসংখ্যকের তঞ্চকতা এবং প্রোমোশনের রাস্তা , দুর্নীতি এবং বেনিয়ম । সুবিধাভোগী শ্রেণীর পারস্পরিক পিঠ চুলকানো । ভারতে ৭৮০০০ পিএইচডি বেরোয় প্রতি বৎসর এবং লাইনে থাকে তার ৬ গুন । সেই হিসাবে অত্যন্ত উচ্চ শিক্ষিত দেশ বলে গণ্য করতে হয় । দুর্ভাগ্যক্রমে ৫০% জালি জার্নাল ভারতে ।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন