এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রয়োজনীয়তা

    সত্য সন্ধানী লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ৯৮৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সত্য সন্ধানী | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২০:৪৪704073
  • হিন্দু জাতীয়তাবাদ হিন্দু ঐক্যের প্রতিক | ঐক্য ছাড়া কোনো জাতির সংস্কৃতি ও কৃষ্টি লোপ পায় | পুরো জাতিটা ছিন্নমূল হয়ে ভেসে যায় | নিজেদের সংস্কৃতি বিশ্বজগতে নিজেদের পরিচয় | সুতরাং জাতীয়তাবাদ প্রতিটি জাতির প্রয়োজন | জাতীয়তাবাদ সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-কৃষ্টিকে রক্ষা করে | জাতির পরিচয়ে ওই জাতির সদস্য ব্যক্তির পরিচয় হয় | সুতরাং জাতীয়তাবাদ না থাকলে ব্যক্তির কোনো পরিচয় থাকে না | জাতীয়তাবাদ এতটাই প্রয়োজন | একই কথা হিন্দু জাতির ক্ষেত্রেও খাটে | আজকের এই মুসলিম সন্ত্রাসের যুগে হিন্দু জাতির ঐক্যবদ্ধ হবার খুব প্রয়োজন আছে | বিদেশী বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিরা যেখানে হিন্দু জাতিকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে সেখানে হিন্দু জাতীয়তাবাদই পারে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে |

    সুতরাং হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রয়োজন আছে |

    অন্যদিকে হিন্দু জাতীয়তাবাদ কি ? প্রাচীন হিন্দু সংস্কৃতি ছাড়া হিন্দু জাতীয়তাবাদ বলে কিছু নেই | ওই সংস্কৃতি হয়ত এইযুগে অচল | সুতরাং ওই অচল সংস্কৃতিকে বয়ে বেড়ানোর কোনো মানে হয় কি ? শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন বেদে সবকথা লেখা নেই | যা সময়োপযোগী তাই নির্ণয় করা উচিত | উনি নির্ণয়ের উপায়ও বলে দিয়েছিলেন |

    সুতরাং আমাদের রিফর্ম করতে হবে | হিন্দু সংস্কৃতির মধ্যে অনেক কুসংস্কার ঢুকে আছে | সেগুলিকে বর্জন করতে হবে | এই সংস্কৃতির মধ্যে যা কিছু ভালো, চিরন্তন, যুগোপযোগী তা গ্রহণ করতে হবে | যদি যুগোপযোগী কিছু না থাকে তাহলে তা বানিয়ে নিতে হবে | যুগ যুগ ধরে মুসলমান ও বহিঃশত্রুদের দ্বারা বহু কুসংস্কার এই হিন্দু সংস্কৃতিতে ঢুকে আছে , সেগুলোকে তাড়াতে হবে | এইভাবে পরিশুদ্ধ করে নিলে যে হিন্দু সংস্কৃতি আমরা পাব তা হবে অজেয় আর চলমান আর সেই সংস্কৃতিই আমাদেরকে বাঁচাতে পারবে | হিন্দু জাতিকে রক্ষা করতে পারবে বাইরের শত্রুদের হাত থেকে |

    এই ভাবে আমরা যদি হিন্দু জাতীয়তাবাদকে পুনর্গঠন করে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমরা হিন্দুরা রক্ষা পাব |
  • Kallol | 233.227.170.6 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪৭704084
  • হিন্দু জাতি বলে কিছু হয় কি? ভারত এক বহুজাতিক দেশ। এখনে সাওতাল। কোল, ভীল, মুন্ডা, ওরাও, অসমিয়া, বাঙ্গালী, ওড়িয়া, তেলেগু, কন্নড, তামিল, গুজরাটি, মারাঠি এরকম বহু জাতির বাস। তাদের কেউ ধর্মবিশ্বাসে হিন্দু, কেউ মুসলমান, কেউ অন্যকিছু। হিন্দু জাতি, মুসলমান জাতি বলে কিছু হয় না।
  • Kallol | 233.227.170.6 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪৮704095
  • হিন্দু জাতি বলে কিছু হয় কি? ভারত এক বহুজাতিক দেশ। এখনে সাওতাল। কোল, ভীল, মুন্ডা, ওরাও, অসমিয়া, বাঙ্গালী, ওড়িয়া, তেলেগু, কন্নড, তামিল, গুজরাটি, মারাঠি এরকম বহু জাতির বাস। তাদের কেউ ধর্মবিশ্বাসে হিন্দু, কেউ মুসলমান, কেউ অন্যকিছু। হিন্দু জাতি, মুসলমান জাতি বলে কিছু হয় না।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৫৬704106
  • চাকরি ঐক্যের প্রতীক। চাকরি ছাড়া কোনো জাতির সংস্কৃতি ও কৃষ্টি লোপ পায়। পুরো জাতিটা ছিন্নমূল হয়ে ভেসে যায়। চাকরি বিশ্বজগতে নিজেদের পরিচয়। সুতরাং চাকরি প্রতিটি জাতির প্রয়োজন। চাকরি সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-কৃষ্টিকে রক্ষা করে। চাকরির পরিচয়ে ব্যক্তির পরিচয় হয়। সুতরাং চাকরি না থাকলে ব্যক্তির কোনো পরিচয় থাকে না। চাকরির এতটাই প্রয়োজন। একমাত্র চাকরিই পারে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে।
    সুতরাং চাকরির প্রয়োজন আছে।

    (গত কয়দিন ধরে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হল যারা চাকরি খুঁজছে)
  • avi | 113.24.84.135 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৫:৪৫704117
  • প্রতীক আবার কী? লিখুন "প্রতিক"। এরম বানাম্ভুল কল্লে চাগ্রি পাবেন্না।
  • cm | 127.247.96.253 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৭:১৯704128
  • যা বলতে চাই সবাই জেনে গেছে তাই আর লিখলামনা। যদি কারু জানা না থাকে বলবেন লিখে দেব।
  • সত্য সন্ধানী | 233.191.22.34 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:০৩704139
  • তাই নাকি ? হিন্দু জাতি বলে কিছু হয় না ? তা জাতি বলতে তো আমি সংস্কৃতিকে বুঝিয়েছি | ভারতে অজস্র লোক আছে বটে কিন্তু তাদের সংস্কৃতি আলাদা আলাদা এটুকু তো মানবেন ? হিন্দু সংস্কৃতি আর মুসলিম সংস্কৃতি এক নয় এটুকু তো মানবেন ?

    আমি জানি না আপনাদের বামুদের কোনো সংস্কৃতি আছে কি না | থাকলে তা নিঃসন্দেহে ভেঙ্গে ফেলা আর বন্ধ করার সংস্কৃতি যা ৩৪ বছর ধরে এই বঙ্গে আমরা দেখে আসছি |
  • avi | 113.24.84.135 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪১704145
  • সত্যসন্ধানী যেভাবে 'প্রতিবাদী মাওবাদী হতে বাধ্য' ট্রেন্ডটা চালাচ্ছেন, তাতে কিন্তু বামেদেরই লাভ হচ্ছে। প্রচুর লোক আছে, যারা বাম নয়, কিন্তু বিজেপির স্ট্যান্ড সাপোর্ট করে না। তাদের জোর করে বাম বলে দাগিয়ে মূর্খের মত তর্ক করলে তারা একসময় তাই হয়ে যাবে। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন। উনি আরও বলেছিলেন, মূর্খ ভারতবাসী কারো ভাই না। :)
  • bip | 81.244.130.85 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:৩৯704146
  • জেন এন ইউ কেন্দ্রিক, জাতীয়তাবাদ বিতর্ক বড়ই বিরক্তিকর এবং সময়ের অপচয়। পৃথিবীতে প্রথম দেশ তৈরী হয় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে-মেসোপটেমিয়ায়। সেই প্রাক আক্কাডিয়ান সভ্যতায় ছিল অনেক সিটিস্টেট বা শহর রাজ্য। শহরের শাসক শ্রেনী সম্পদ এবং নারীর জন্য একে অন্যের সাথে লড়ত। কিন্ত মজার ব্যপার হল ঐতিহাসিকরা বলছেন-সিটিজেন গেভ এ ড্যাম। জনগন মনে করত, রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে-তাতে আমার কি। কারন যেই আসুক- কর বসাবে-লুঠ করবে-ঘর থেকে মেয়ে তুলে নিয়ে যাবে! দেশ আমার মাতা বা পিতা-এই জাতিবাদি ধারনার বয়স দেড়শো বছর ও না! তার আগে পর্যন্ত রাজা ধণে প্রানে বাঁচিয়ে রাখলেই বর্তে যেত লোকজন।

    জাতীয়তাবাদের শুরু উনবিংশ শতকে। যেহেতু আলোচনা ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে-এশিয়ান দেশগুলি -যেমন চীন বা জাপানের সাথে ভারতে জাতিয়তাবাদের তুলনা করাটাই ঠিক ঠাক হবে। চীন এবং জাপান-দুটো ক্ষেত্রেই জাতীয়তাবাদের উত্থানের মূল কারন কলোনিয়াল শক্তিগুলি-বিশেষত আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের কাছ থেকে স্বাধীন থাকার জন্য উন্নত মিলিটারী শক্তির প্রয়োজনিয়তা। প্রথম আফিং যুদ্ধে বৃটেনের কাছে হেরে, ন্যাংকিঙের চুক্তি সম্পাদন করা মাত্র চীনের কুইং রাজবংশ পরিস্কার বুঝতে পারে মিলিটারী উন্নত না হলে সব গেল। সুতরাং যুদ্ধাস্ত্র কিনে মিলিটারী ঊন্নত করার চেষ্টা চললো। তাতে কিস্যুই হল না- জাপান থেকে সব ইউরোপিয়ান শক্তির কাছে গোহারা হারা বন্ধ হল না।

    এই পরিপ্রেক্ষিতে সম্রাট গুয়াংজু বুঝতে পারেন শুধু অস্ত্র দিয়ে একটা দেশ উন্নত হয় না-তার জন্যে চাই শিক্ষা, শিল্প, রাজনীতিতে আমূল আধুনিক সংস্কার-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যপক প্রয়োগ। উনি বিখ্যাত ১০০ দিনের সংস্কার শুরু করলেন চীনে-যদিও তা রাজমাতার জন্য বন্ধ হবে। কিন্ত ওই ১০০ দিনের সংস্কার চীনের আধুনিক জাতিয়তাবাদের মূল সূচক-যা সান ইয়েৎ সানের কুয়োমিংটাং পার্টির ভিত্তি। ১৯২০-৩০ সালে চতুর্থ মের জাতীয়তাবাদি আন্দোলন নামে খ্যাত এই বিদ্রোহ, চীনের জাতিয়তাবাদি আন্দোলনকে সংজ্ঞায়িত করে এই ভাবে

    ""Nationalism, patriotism, progress, science, democracy, and freedom were the goals; imperialism, feudalism, warlordism, autocracy, patriarchy, and blind adherence to tradition where the enemies. Intellectuals struggled with how to be strong and modern and yet Chinese, how to preserve China as a political entity in the world of competing nations."

    জাপান কিন্তু এই ভুল করে নি। আমেরিকান নৌসেনাপতি ম্যাথ্যু পেরির গানবোটের ধাক্কায় (১৮৫৩), সম্রাট মেইজি বুঝেছিলেন জাপানের অতীতে মৌজে থাকলে জাপানও চীনের মতন বিদেশীদের গর্ভে চলে যাবে। ফলে মেইজি সংস্কারে (১৮৬৮-১৯১২)মিলিটারী সংস্কারের সাথে সাথে প্রথমেই চললো শিক্ষার সংস্কার। সবার জন্য বিনা পয়সায় আধুনিক শিক্ষা। তার জন্য ইউরোপ থেকে শিক্ষক আনো। প্রচুর প্রোপার্টি ট্যাক্স বসানো হল স্কুলের ফান্ডিং এর জন্য । জাপানের স্থানীয় জনগণ রেগে গিয়ে ২০০০ স্কুল পুড়িয়েছিল সেকালে। পরে বোঝে শিক্ষা হচ্ছে একটা জাতির আসল শক্তির উৎস।

    আমি চীন এবং জাপানের জাতিয়তাবাদের ইতিহাস এই জন্য আনলাম, এটা বোঝাতে ভারতে যারা নিজেদের জাতিয়তাবাদি বলছেন- যেসব বিজেপি বা আর এস এসের লোকেরা নিজেদের জাতিয়তাবাদি বলে দাবি করেন-আমি তাদের জাতিয়তাবাদি শক্তি বলে মানতে নারাজ। বিজেপি আদৌ কোন জাতিয়তাবাদি পার্টিই না-শ্রেফ মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা দিয়ে কোন জাতিয়তাবাদি পার্টি হয় না। কারন পৃথিবীতে চীন, জাপান বা জার্মানির জাতিয়তাবাদের ইতিহাসে দেখা যাবে জাতিয়তাবাদের পাঁচটি স্তম্ভ

    (১) প্রথম স্তম্ভ- শিক্ষা । জাপান, চীন সর্বত্র প্রথমে বিনা পয়সায় সার্বজনীন শিক্ষার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি পুরো উলটো রথে। শিক্ষার প্রাইভেটাইজেশন করতেই ব্যস্ত। সার্বজনীন শিক্ষার পেছনে টাকা খরচ করবে না। শিক্ষা খাতে বাজেট কমাচ্ছে। অথচ মেইজি সংস্কারে শিক্ষার পেছনে টাকা ঢালার জন্য এত ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছিল জনগণ রেগে গিয়ে স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল। সার্বজনীন সরকারি শিক্ষার প্রতি বিজেপির নেতিবাচক মনোভাব- প্রথম প্রমান-এরা জাতিয়তাবাদ কিস্যুই বোঝে না।

    (২) দ্বিতীয় হচ্ছে-ম্যানুফ্যাকচারিং এবং শিল্পে স্বয়ং সম্পূর্নতা। এই ব্যপারে মোদির ঘোষিত নীতি হচ্ছে মেইড ইন ইন্ডিয়া। এটা পাতি স্লোগান। ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য যা ইনফ্রাস্টাকচর এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্রেইন্ডলি আইন দরকার-তা এখনো ভারতে নেই-চারি দিকে লাল ফিঁতের ফাঁস। কংগ্রেস আমল থেকে কোন পরিবর্তন হয় নি। হবেও না । কারন লাল ফিতেই দিল্লীর দালালদের ইনকামের উৎস। বিজেপি এই মৌতাত ভাংবে না। কারন ইহাই সকল রাজনৈতিক নেতাদের ইনকামের ইৎস।

    (৩) মহিলা শক্তির উত্থান - মেইজি সংস্কার এবং চীন-সবর্ত্রই জাতিয়তাবাদের একটা গুরুত্বপূর্ন দিক ছিল -নারীশিক্ষা। কারন মা শিক্ষিত না হলে, ছেলে মেয়েরা শিক্ষিত হবে না। পৃথিবীতে সব থেকে বেশী নিরক্ষর ভারতে। নিরক্ষরতা দুরীকরন অভিযানে বিজেপিকে কখনোত দেখিনি। মেয়েদের বাইরের কাজে, আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে উৎসাহিত করতেও দেখিনি-বরং এই ক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদির পার্টিগুলোর ভূমিকা মেয়েদের ঘরে ঢোকানোতেই উৎসাহিত করেছে বেশী।

    (৪) নিজেদের সংস্কারের ভাল জিনিসগুলি রেখে বাজে জিনিসগুলি বর্জন-পাশ্চাত্য সভ্যতার ভালগুনগুলি অর্জন। এইব্যপারে ল্যান্ডমার্ক কাজ করেছিলেন জাপানী বুদ্ধিজীবি ইকুচি ফুকুজুয়া (১৮৮৮)। উনি ঘোষনা করলে, জাপানকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমেরিকা আর ইউরোপের দিকে তাকাতে হবে-চীন আর কোরিয়ারদিকে তাকিয়ে থাকলে জাপান ও তাদের মতন স্বাধীনতা হারাবে। কোন জাতিয়তাবাদ বলে না নিজের সংস্কার বা নিজের অতীতে আঁকড়ে থেকে আরো পিছিয়ে যাও। ভারতে জাতীয়তাবাদের নামে যা চলছে-তা হচ্ছে ভারতের অতীতের সব কিছু মহান এবং ভাল ছিল। পাশ্চাত্যের সব কিছু খারাপ। চীন বা জাপানের জাতিয়তাবাদি ইতিহাস পুরো উলটো। চীন এবং জাপানের জাতিয়তাবাদি নেতারা স্বীকার করে নিয়েছিলেন-তাদের অতীত তাদের বাঁচাবে না। জাতির স্বার্থে হাজার হাজার বছরের পুরাতন সংস্কার ছাড়তে হবে। এইভাবেই মেইজি সংস্কারে সামুরাই প্রথার মতন ঐতিহ্যকে বাতিল করা হয়।

    এর মূল কারন চীন এবং জাপানের তাগিদ ছিল ইউরোপের হাত থেকে বাঁচার। ভারত বৃটেনের কল্যানে একটা আধুনিক ইউরোপিয়ান ইনফ্রাস্ত্রাকচার পেয়েছে-ফলে রক্ষনশীলদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জাতিয়তাবাদের মাধ্যমে ইউরোপিয়ান এনলাইট্মেন্ট ভারতে আসে নি-এসেছে কলোনিয়ালিজমের মাধ্যমে।

    ইতিহাসের এই টুইস্টটা ভারতের জাতীয়তাবাদের সব থেকে বেশী ক্ষতি করেছে-ভারতের জাতিয়তাবাদ মানে পাশ্চাত্যের এনলাইট্মেন্ট বর্জন। সব এনলাইট্মেন্টের অধিকারি ভারতীয় দর্শন! এই ধরনের মনোভাব রক্ষনশীল চিন্তা-এবং তা কোন ভাবেই জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞায়িত হতে পারে না।

    (৫) বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং যুক্তিবাদের দিকে অগ্রসর- ইউরোপ, চীন এবং জাপানের জাতিয়তাবাদে ধর্ম কোন ভূমিকা রাখে নি- বরং সব রাষ্ট্রই নিজেদের শক্তিশালি করার জন্য বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির পেছনে প্রচুর টাক্স মানি ঢেলেছে। ভারতে বিজেপি বিজ্ঞান বলতে বোঝে সব ব্যাদে আছে-সব প্রাচীন ভারতে ছিল। বিজেপির আমলে ভারতের বিজ্ঞান কংগ্রেস তামাসাতে পরিনত -এটা নোবেল বিজয়ী ভারতীয় বিজ্ঞানী ভেঙ্কটরামন রামাকৃষ্ণানের কথা। হিন্দু কুসংস্কার নিয়ে মাতামাতি করে জাতিয়তাবাদ হয় না। সম্ভব না।

    সুতরাং আমি যদি পৃথিবীর জাতিয়তাবাদের ইতিহাস ঠিক ঠাক পড়ে থাকি, বিজেপি বা আর এস এসকে জাতিয়তাবাদি শক্তি মানতে নারাজ।

    পাশাপাশি জেন এন ইউ ইস্যুতে বামেরা যে ভাষায় জাতিয়তাবাদের গালাগাল করেছে, সেটাও তাদের এস ইউজ্যুয়াল অজ্ঞানতার পরিচয়। ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদি শক্তি বোমা ফাটানো শুরু করলে-যেটা সবার প্রথমে হবে- বিদেশী কোম্পানীগুলো তাদের ব্যাক ওফিস ভারত থেকে তুলে নেবে। সুতরাং এখন যেমন ফেবুকের বাম পুঙ্গবরা আমেরিকান কোম্পানীর পা চেটে গরম গরম লিখে চলেছেন-তখন মারোয়াড়ি কোম্পানীর হয়ে কাজ করলে-লেখার সময় পাবেন ত?

    জাতিয়তাবাদ অর্থনৈতিক যুক্তির বিচারে থাকার কথা না। কারন দেশের বর্ডার মার্কেট ছোট করে। কিন্ত তবুও বিজ্ঞানীরা বলছেন জাতীয়তাবাদের জনপ্রিয়তার মূল কারন- সিকিউরিটি এবং স্ট্যাবিলিটি। নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল সমাজের দরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যই।

    বিজেপি জাতিয়তাবাদি শক্তি না-এটি একটি সামন্ততান্ত্রিক ঘোঁটেল-যার উৎস ভারতের অন্য পার্টিগুলির ইসলামিক মৌলবাদের তোষন। ইসলামিক মৌলবাদ ভারতের জন্য, হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য খুব ভয়ঙ্কর-এটা ঐতিহাসিক ভাবেই প্রমানিত। চীন এবং জাপানের জাতিয়তাবাদের উৎস ছিল বৃটেন এবং আমেরিকার কাছে স্বাধীনতা হারানোর ভয়। হিন্দু জাতিয়তাবাদের উৎস মুসলমানদের হাতে মার খেয়ে জমি সম্পতি হারানোর ভয়। জাপান পাশ্চাত্য শক্তির হাতে জমি হারানোর ভয়ে, পাশ্চাত্যের পূজারি হয়। হিন্দু জাতীয়তাবাদিরাও মুসলমানদের হাতে জমি হারানোর ভয়ে মুসলমান হওয়ার চেষ্টা করছে। ফলে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদি আন্দোলনে কোন পাশ্চাত্য এনলাইট্মেন্ট নেই-আছে ইসলামের বর্বরতার ধর্মীয় অন্ধ অনুকরন। কিন্ত এর জন্যেও ভারতের সোকল্ড সেকুলার রাজনীতিই দায়ী। যা ইসলামিক মৌলবাদকে আস্কারা দিয়েছে প্রথম থেকেই।

    ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে, হিন্দু মৌলবাদিদের আটকানো যাবে না
  • সন্ধানীকে | 192.69.250.130 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৩:২২704074
  • "হিন্দু সংস্কৃতি আর মুসলিম সংস্কৃতি এক নয় এটুকু তো মানবেন ?"

    প্রশ্নটাই ভুলভাল, তার মানা আর না মানা। হিন্দু সংস্কৃতি কারে কয়? আর মুসলিম সংস্কৃতি কারে কয় এট্টু কইবেন?
  • কল্লোল | 125.241.124.134 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৮:৩৯704075
  • হিন্দু সংস্কৃতি, একটু ব্যখ্যা করলে ভালো হয়।
    হিন্দু সংস্কৃতি - বাঙ্গালী, অসমিয়া ব্রাহ্মণ মাছ মাংস খায়, ভারতের অন্য জাতের ব্রাহ্মণেরা নিরামিশাসী। তামিল ও মালায়ালী হিন্দুদের মধ্যে মামা-ভাগ্নীর বিয়ে খুব স্বাভাবিক। ভারতের অন্য জাতের হিন্দুদের মধ্যে এটা নিন্দনীয়। দক্ষিন ভারতে (তেলেগু, তামিল, মলয়লী ও কন্নড ব্রাহ্মণেরা) রীতিমত ভাত খেয়ে (সকালে পোঙ্গল বা অন্ন-সম্বর খেয়ে) যাগযজ্ঞ, পূজা সব নিজেরা করে। অন্য জাতির ব্রাহ্মণেরা উপোষ করে থাকে।
    হিন্দু সংস্কৃতি কোনটা?
  • কল্লোল | 125.241.124.134 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৮:৪২704076
  • কাদের হিন্দু বলা হবে - ১৮৭২-এর জনগণনা সংজ্ঞা অনুযায়ী , হিন্দু হলো ভারতের সেই অধিবাসী যারা ইউরোপীয়, আর্মেনীয়, মুঘল, পারসীয় বা অন্য কোন বিদেশী জাতি থেকে উদ্ভুত নয় , যাদের জাতিগত অবস্থান হিন্দু ধর্ম অনুমোদিত যে কোন একটি জাত-এর ভিতর , যারা ব্রাহ্মণের আধ্যাত্মিক আধিপত্য স্বীকার করে , যারা গোহত্যা করে না ।
    আগ্রা-অওধ যুক্তপ্রদেশের জনগণনা কর্তা জর্জ গ্যারিসনের মতে, হিন্দি অর্থ ভারতের সমস্ত অধিবাসী । হিন্দু অর্থ ভারতের অ-মুসলমান অধিবাসী ।
    শুধু হিন্দু নয়, শুদ্ধ হিন্দু কে তাই নিয়েও মাথা ঘামিয়েছে জনগণনা । ১৯১১-য় বলা হলো সেই সব গোষ্ঠীকে হিন্দুদের থেকে আলাদা করে দেখাতে , যারা - ১) ব্রাহ্মণের আধ্যাত্মিক আধিপত্য স্বীকার করে না , ২) ব্রাহ্মণের বা হিন্দুধর্ম অনুমোদিত অন্য কোন গুরুর থেকে মন্ত্রদীক্ষা নেয় না , ৩) বেদের কর্তৃত্ব স্বীকার করে না , ৪) প্রধান হিন্দু দেবদেবীর পূজা করে না , ৫) কোন ব্রাহ্মণ যাদের যজমান হিসাবে গ্রহন করে না , ৬) হিন্দু মন্দিরে যাদের প্রবেশাধিকার নেই , ৭) যাদের ছুঁলে বা যারা কাছে এলেই হিন্দুরা অশুদ্ধ বোধ করে , ৮) যারা মৃতদেহ কবর দেয় এবং ৯) যারা গোমাংস খায় বা গরুর পূজা করে না ।

    এই করতে গিয়ে দেখা গেল , মধ্যপ্রদেশের বেরার-এ যাদের হিন্দু বলে ধরা হয়েছিলো তাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ ব্রাহ্মণের/বেদের কর্তৃত্ব স্বীকার করে না । ৫০ শতাংশ ব্রাহ্মণের বা হিন্দুধর্ম অনুমোদিত অন্য কোন গুরুর থেকে মন্ত্রদীক্ষা নেয় না । ২৫ শতাংশ প্রধান হিন্দু দেবদেবীর পূজা করে না । ৩৩ শতাংশের মন্দিরে প্রবেশাধিকার নেই । ২৫ শতাংশ অচ্ছুত । ১৪ শতাংশ মৃতদেহ কবর দেয় । ৪০ শতাংশ গোমাংস খায় ।
    বাংলা বিহার উড়িষ্যায় ৫৯টি হিন্দু জাতের মধ্যে ৭টি জাত, যাদের সংখ্যা তখন ১০ লক্ষেরও বেশী, যারা এই ৯টি বৈশিষ্টের কোন একটির অধিকারী । প্রায় ১৪টি জাত গোমাংস খায় এবং হিন্দু মন্দিরে যাদের প্রবেশাধিকার নেই । এদের অশুদ্ধ হিন্দু বা অংশত হিন্দু বলা হল ।
    এছাড়াও তখন ভারতীয় উপমহাদেশে এরকম অজস্র গোষ্ঠী বিরাজ করতো যারা নিজেদের হিন্দু বলতো অথচ তারা মুসলমান ধর্মের বহু আচার আচরণ মেনে চলতো । আবার ঠিক এর উল্টোটাও বিরল ছিলো না যারা নিজেদের মুসলমান বলতো অথচ হিন্দু ধর্মের বহু আচার আচরণ পালন করতো । বাংলাতেই এরকম - আউল, বাউল, ফকির, দরবেশ, কর্তাভজা, লালনপন্থী আরও অগুণতি এমন গোষ্ঠী আজও বিরাজ করে ।
    কোথায় পেলাম ঃ
    ১) সেনসাস, কমিউনালিজম, জেন্ডার এন্ড আইডেন্টিটি - চারু গুপ্ত
    ই।পি।ডব্লিউ সেপ্টেম্বর ২০০৪ সংখ্যা
    ২) ফ্যাক্ট এন্ড ফিকশন অফ হিন্দুত্ব ক্লেইমস্ - আর বি ভগৎ
    ই।পি।ডব্লিউ সেপ্টেম্বর ২০০৪ সংখ্যা
    ৩) সেনসাস এন্ড দ্য কনস্ষ্ট্রাকশন অফ কমিউনালিজম ইন ইন্ডিয়া - আর বি ভগৎ
    ই।পি।ডব্লিউ সেপ্টেম্বর ২০০৪ সংখ্যা
    ৪) দ্য সেনসাস ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া-নিউ পার্সপেটভিস্ - মনোহর
    নিউ দিল্লী পাবলিকেশন
    ৫) দ্য কনস্ষ্ট্রাকশন অফ কমিউনালিজম ইন কলোনিয়াল ইন্ডিয়া - জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে
    অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস
    ৬) ভিসনস্ অফ আ ডেমোগ্রাফিক ডুমস্ ডে - কেওনার্ড এলস্ট
    ভয়েস অফ ইন্ডিয়া
  • dd | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:০০704078
  • ইটি খুবই ভালো লেখা। আম্মো একটা বইউ পড়েছিলেম - এখন আর কিছুই মনে নেই। সেটিতে বেংগলে একটা - ঠিক সেন্সাস নয় ,বলা যায় একটা সার্ভে নিয়ে।ঐ ১৯১১'র আগে পাশে।

    একই কথা লেখা ছিলো। যাহা মুসলমান বা খ্রীষ্টান(তখন সামান্যই) নয় - তারাই হিন্দু। সেইটা করতে গিয়ে সাহেব দেখেন "হিন্দু" কথাটা প্রায় বলাই যাচ্ছে না কেনো না প্রায় ৫০% হিন্দুই ,হিন্দুত্বের ক্রাইটেরিয়া মানছে না।

    দেখছি চেষ্টা করে বইএর নামটা মনে পড়ে না কি?
  • cm | 127.247.98.107 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:০০704077
  • এই রে কাম সারছে। হিন্দু ইলডিফাইন্ড হইলে বর্ণ ওয়েল ডিফাইন্ড তো?
  • lcm | 83.162.22.190 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:২৩704079
  • সংস্কৃতি বলতে যদি বোঝায়, ভাষা, খাদ্যাভাস, পোষাক, সঙ্গীত, শিল্পকলা চর্চা, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ইত্যাদি, তাহলে বলতে হয় কোনো বিশেষ অঞ্চলের হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতি প্রায় ৮০% এক।

    তামিলনাড়ুর হিন্দু-মুসলিম উভয়েই তামিল ভাষা জানে, ইডলি-দোসা-রসম খায়, ইল্লাইয়ারাজা-বালসুব্রহ্মনিয়ম-যেসুদাস এর গান শোনে, কমলহাসান-রজনীকান্তর সিনেমা দেখে, তামিল সাহিত্য পড়ে ।
    আর, তামিলনাড়ুর মুসলিমের সঙ্গে অসমের মুসলিমের সংস্কৃতির মিল নাই। হিন্দুদেরও নাই।
    ধর্মীয় আচার ইত্যাদিতে কিছু তফাৎ থাকে, কিন্তু ইন জেনারেল আঞ্চলিক ও আর্থ্সামাজিক প্রভাব যে পরিমান থাকে তার তুলনায় ধর্মীয় প্রভাব খুবই সামান্য।
  • pi | 24.139.209.3 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৩৯704080
  • আদিবাসী ( ত্রিপুরী, চাকমা, দেববর্মা কি কার্বি বা মুণ্ডা , ওরাং) দের মধ্যে যা দেখি হিন্দু, খ্রীষ্টান দুইই আছে ( মুসলিম প্রায় নেইই , কেন নেই এটা আমার কাছে প্রশ্ন) , এবার ধর্ম অনুযায়ী ধর্মীয় ( অবভিয়াসলি), সামাজিক অনুষ্ঠান বদলে যায়, কিন্তু খাদ্যাভাস বা চাষবাস বা ঘর বানানোর পদ্ধতি, পোশাক আশাক, খেলাধুলো, এসব বদলায়না। এগুলো ট্রাইব টু ট্রাইব বদলায়। ঘরে ঢুকে যিশুর ছবি বা শিব দুর্গা লক্ষ্মীর বড় বড় পোস্টার আছে না দেখলে , এমনি বাকি নানা প্রশ্ন করলে বোঝাই যায় না সেরকম, কে খ্রীষ্টান, কে হিন্দু। আমি নিজে কী ধর্ম, সেই প্রশ্ন সাধারণতঃ সব শেষে করি। তবে বিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে শাঁখা পলায় অবশ্য বোঝা যায়।

    তবে হ্যাঁ, ত্রিপুরায় অন্ততঃ বহু আদিবাসী ঘরেই একজনের পোস্টার কমন। একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামেও। গেস করুন দেখি, কে ? ঃ)
  • cm | 127.247.98.107 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:০৮704081
  • নৃপেন চক্রবর্ত্তী?
  • pi | 24.139.209.3 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩১704082
  • উঁহু !
  • cm | 127.247.98.107 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৩২704083
  • শচীন দেববর্মণ?
  • ? | 192.69.250.130 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪০704085
  • শর্মিলা চানু?

    সাঁইবাবা?
  • pi | 24.139.209.3 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৩:২৪704086
  • হলনা, হলনা ঃ)
  • মাকরস | 84.12.2.241 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৩:৪১704087
  • ছাড়া আর কে?
  • pi | 24.139.209.3 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:০৮704088
  • কোন মার্কস দেওয়া গেল না ঃ(

    আর , আর ? ঃ)
  • lcm | 83.162.22.190 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:১৪704089
  • ত্রিপুরাসুন্দরী
  • pi | 24.139.209.3 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:২৬704090
  • নাহি, নাহি
  • avi | 113.24.84.135 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:৩৬704091
  • বিরিঞ্চিবাবা? নেবুচাদনেজার? মিসিং লিঙ্ক?
  • S | 108.127.145.201 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:৪০704092
  • বলিউডের কেউ?
  • | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:৪৮704093
  • রবিথাকুর?
    রাজ কাপুর?
  • dc | 132.164.128.243 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:৪৯704094
  • চেয়ারম্যান না তো? সে নাকি এখানে ওখানে চেয়ার পেতে বসে পড়ে।
  • kc | 198.71.232.203 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:৫৪704096
  • মানিক সরকার?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন