এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আইটি কোম্পানি এবং দেশের আইন

    Arup Keshri লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২৫ জুন ২০১৬ | ৭৮১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Arup Keshri | ২৫ জুন ২০১৬ ২২:৪১707834
  • কলকাতায় একটা নামি আই.টি কোম্পানির অফিস তিন জায়গায়। সল্টলেক, রাজারহাট আর বানতলা। এর মধ্যে সল্টলেক এবং রাজারহাট-এ ভোট ছিল ২৫ এপ্রিল মানে সোমবার। তাই ইলেকশন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী ঐ দুটো অফিস বন্ধ ছিল। বানতলায় ভোট ছিল ৩০ এপ্রিল, শনিবার তাই ছুটি দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
    কিছুদিন আগে কলকাতা এমপ্লয়ীদের জন্য মেল এসেছে ২৫ জুন অফিস আসতে হবে। কারণ লেখা আছে "বিজনেস কন্সিডারেশান"। অথচ সবাই জানে কারণটা কি? কারণটা হলো ভোটের জন্য একদিন ছুটি দিয়েছিলো তাই। এখানে আমি এই তর্কে যাবো না বানতলার এমপ্লয়ীরা ছুটি পায়নি তাই তাদের আসতে বলা উচিত নয়, সল্টলেক এবং রাজারহাট অফিসের এমপ্লয়ীদের আসতে বলা উচিত। এমপ্লয়ীদের মধ্যে বিভাজন করা হচ্ছে পুঁজিখোর কর্পোরেটদের কাজ। আমি এখানে অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে চাই।
    একটা প্রাইভেট কোম্পানি, যে দেশের আইন মেনে চলে না, তার নিজের প্রফিটের জন্য দেশের আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অন্যভাবে রাস্তা বের করে নেয় সেই সব কোম্পানিকে দেশের জিডিপি বাড়ানোর কর্ণধার হিসেবে দেখানো হচ্ছে এবং দেশের জনগণকে বোঝানো হচ্ছে বহুসংখক এঞ্জিনেয়ারদের চাকরি দিয়ে এই কোম্পানি গুলো কত মহান কাজ করছে।
    চিনে শুনেছি আমাদের এখানকার এস.ই.জেড-এর মতো একটা গল্প আছে সেটা এখানকার এস.ই.জেড থেকেও নাকি ভয়ঙ্কর। ঐ এস.ই.জেড-এর মতো এলাকার ভেতরে দেশের আইন কাজ করে না। সেখানে কাউকে মেরে দিলেও নাকি সাধারণ আইন লাগু হয় না। আমাদের এখানকার এস.ই.জেড-এ বহু শ্রম আইন লাগু হয় না। তার উপরন্তু আই.টি. কোম্পানি গুলো এমনিতেই শ্রম আইনের বাইরে। তাহলে এস.ই.জেড-এর ভেতরে যেসব আই.টি কোম্পানি গুলো আছে সেগুলো আর কয়েকটা বছরে চীনের এস.ই.জেড গুলোর মতো হয়ে যাবে না কি?
    এইসব কোম্পানিকে এমনভাবে মহান দেখানো হয় যেন এরা দেশের প্রকৃত উন্নতি করেছে অথচ আসলে এরা দেশের মানুষকে ক্রীতদাসের চেয়ে বেশি কিছুই ভাবে না এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল এদের কাছে দেশ বলেও কিছু নেই। এদের কাছে ভারতীয় সরকার হলো শুধু একটা বিজনেস এজেন্ট। ভালো দরকষাকষি করতে পারলে এই এজেন্টের সাথে বিজনেস করবে নইলে সমস্ত পুঁজি নিয়ে অন্য জায়গায় দোকান খুলবে। যেমন বিজয় মাল্য। পুঁজিপতিরা কারুর নিজের না। ওরা কারুর মঙ্গল করে না। ওদের কাছে রাষ্ট্র, জীবিকা, মনুষত্ব বলে কিছু হয় না। ওরা শুধু জোঁকের মতো রক্ত খেতে জানে। আজ এই দেশ, কাল ঐ দেশ। এরাই আসলে গ্লোবাল সিটিজেন। সমগ্র বিশ্বের মানুষ এদের কাছে ক্রীতদাসের চেয়ে বেশি কিছু না।

    বি:দ্রঃ: বামপন্থী হয়ে পুঁজিপতি আর শ্রমিকদের কথা বলতে দারুন লাগে। যুক্তিযুক্ত সাম্যবাদের কথা। কিন্তু তা বলে কি নিজের মধ্যে কন্ট্রাডিকশন খুঁজে দেখতে হবে না? দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ কি শুধু অন্যদের জন্য প্রযোজ্য? নিজের বা নিজের সংগঠনের ওপর ডায়ালেক্টিকাল ম্যাটেরিয়ালিজম প্রয়োগ করেও তো দেখতে হবে।
    এই প্রসঙ্গে বলি, ২৫ এপ্রিল আমার বাড়ির খাবার বানানোর দিদিরও ভোট ছিল। ওনার ভোট কেন্দ্র ওনার এখনকার ভাড়া বাড়ি থেকে বেশ দূর। আগে যেখানে ভাড়া থাকতেন ওখানে। আমাকে বলেছিল সকাল সকাল যাবে ভোট দিতে তবে হয়তো আসতে দেরি হয়ে যাবে। সেদিন সকালে ফোনে করে যখন আসবার কথা বলে ততক্ষনে আমার অফিস বেরোনোর সময় হয়ে গেছে। আমি বললাম আসতে হবে না আমি বেরিয়ে যাচ্ছি। বললো সন্ধ্যে বেলায় আমার অফিস থেকে ফেরার সময় ওনার বাড়ির ওখান দিয়ে আমি রুটি তরকারি নিয়ে যাই, উনি বাড়িতে বানিয়ে রাখবেন (এবং সেটাই করেছিল)। আমি ভেবেছিলাম ওনাকে বলবো মাসে নির্ধারিত ৩ দিনের ছুটি থেকে একদিন বাদ দিতে। তখন বলিনি। পরে বলবো বলে ফেলে রেখেছিলাম ব্যাপারটা। এখন আর বলবো না। আমাকে কেউ ভন্ড বলতেই পারে। বলুক। হয়তো ভন্ড ছিলাম সেই ব্যাপারে। এবং হয়তো বেশ কিছু ব্যাপারে আছি এখনো। তবে নারীমুক্তির কথা বললে যৌনতার বিষয়ে নিজের বৌয়ের সম্মতির কথাও ভাবতে হবে সেটাই শিখেছি। নিজেকে কন্ট্রাডিক্ট করতে শিখেছি। আশা করি বাকি ভণ্ডামি গুলো দূর হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
  • Arup Keshri | ২৫ জুন ২০১৬ ২২:৪১707845
  • কলকাতায় একটা নামি আই.টি কোম্পানির অফিস তিন জায়গায়। সল্টলেক, রাজারহাট আর বানতলা। এর মধ্যে সল্টলেক এবং রাজারহাট-এ ভোট ছিল ২৫ এপ্রিল মানে সোমবার। তাই ইলেকশন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী ঐ দুটো অফিস বন্ধ ছিল। বানতলায় ভোট ছিল ৩০ এপ্রিল, শনিবার তাই ছুটি দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
    কিছুদিন আগে কলকাতা এমপ্লয়ীদের জন্য মেল এসেছে ২৫ জুন অফিস আসতে হবে। কারণ লেখা আছে "বিজনেস কন্সিডারেশান"। অথচ সবাই জানে কারণটা কি? কারণটা হলো ভোটের জন্য একদিন ছুটি দিয়েছিলো তাই। এখানে আমি এই তর্কে যাবো না বানতলার এমপ্লয়ীরা ছুটি পায়নি তাই তাদের আসতে বলা উচিত নয়, সল্টলেক এবং রাজারহাট অফিসের এমপ্লয়ীদের আসতে বলা উচিত। এমপ্লয়ীদের মধ্যে বিভাজন করা হচ্ছে পুঁজিখোর কর্পোরেটদের কাজ। আমি এখানে অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে চাই।
    একটা প্রাইভেট কোম্পানি, যে দেশের আইন মেনে চলে না, তার নিজের প্রফিটের জন্য দেশের আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অন্যভাবে রাস্তা বের করে নেয় সেই সব কোম্পানিকে দেশের জিডিপি বাড়ানোর কর্ণধার হিসেবে দেখানো হচ্ছে এবং দেশের জনগণকে বোঝানো হচ্ছে বহুসংখক এঞ্জিনেয়ারদের চাকরি দিয়ে এই কোম্পানি গুলো কত মহান কাজ করছে।
    চিনে শুনেছি আমাদের এখানকার এস.ই.জেড-এর মতো একটা গল্প আছে সেটা এখানকার এস.ই.জেড থেকেও নাকি ভয়ঙ্কর। ঐ এস.ই.জেড-এর মতো এলাকার ভেতরে দেশের আইন কাজ করে না। সেখানে কাউকে মেরে দিলেও নাকি সাধারণ আইন লাগু হয় না। আমাদের এখানকার এস.ই.জেড-এ বহু শ্রম আইন লাগু হয় না। তার উপরন্তু আই.টি. কোম্পানি গুলো এমনিতেই শ্রম আইনের বাইরে। তাহলে এস.ই.জেড-এর ভেতরে যেসব আই.টি কোম্পানি গুলো আছে সেগুলো আর কয়েকটা বছরে চীনের এস.ই.জেড গুলোর মতো হয়ে যাবে না কি?
    এইসব কোম্পানিকে এমনভাবে মহান দেখানো হয় যেন এরা দেশের প্রকৃত উন্নতি করেছে অথচ আসলে এরা দেশের মানুষকে ক্রীতদাসের চেয়ে বেশি কিছুই ভাবে না এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল এদের কাছে দেশ বলেও কিছু নেই। এদের কাছে ভারতীয় সরকার হলো শুধু একটা বিজনেস এজেন্ট। ভালো দরকষাকষি করতে পারলে এই এজেন্টের সাথে বিজনেস করবে নইলে সমস্ত পুঁজি নিয়ে অন্য জায়গায় দোকান খুলবে। যেমন বিজয় মাল্য। পুঁজিপতিরা কারুর নিজের না। ওরা কারুর মঙ্গল করে না। ওদের কাছে রাষ্ট্র, জীবিকা, মনুষত্ব বলে কিছু হয় না। ওরা শুধু জোঁকের মতো রক্ত খেতে জানে। আজ এই দেশ, কাল ঐ দেশ। এরাই আসলে গ্লোবাল সিটিজেন। সমগ্র বিশ্বের মানুষ এদের কাছে ক্রীতদাসের চেয়ে বেশি কিছু না।

    বি:দ্রঃ: বামপন্থী হয়ে পুঁজিপতি আর শ্রমিকদের কথা বলতে দারুন লাগে। যুক্তিযুক্ত সাম্যবাদের কথা। কিন্তু তা বলে কি নিজের মধ্যে কন্ট্রাডিকশন খুঁজে দেখতে হবে না? দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ কি শুধু অন্যদের জন্য প্রযোজ্য? নিজের বা নিজের সংগঠনের ওপর ডায়ালেক্টিকাল ম্যাটেরিয়ালিজম প্রয়োগ করেও তো দেখতে হবে।
    এই প্রসঙ্গে বলি, ২৫ এপ্রিল আমার বাড়ির খাবার বানানোর দিদিরও ভোট ছিল। ওনার ভোট কেন্দ্র ওনার এখনকার ভাড়া বাড়ি থেকে বেশ দূর। আগে যেখানে ভাড়া থাকতেন ওখানে। আমাকে বলেছিল সকাল সকাল যাবে ভোট দিতে তবে হয়তো আসতে দেরি হয়ে যাবে। সেদিন সকালে ফোনে করে যখন আসবার কথা বলে ততক্ষনে আমার অফিস বেরোনোর সময় হয়ে গেছে। আমি বললাম আসতে হবে না আমি বেরিয়ে যাচ্ছি। বললো সন্ধ্যে বেলায় আমার অফিস থেকে ফেরার সময় ওনার বাড়ির ওখান দিয়ে আমি রুটি তরকারি নিয়ে যাই, উনি বাড়িতে বানিয়ে রাখবেন (এবং সেটাই করেছিল)। আমি ভেবেছিলাম ওনাকে বলবো মাসে নির্ধারিত ৩ দিনের ছুটি থেকে একদিন বাদ দিতে। তখন বলিনি। পরে বলবো বলে ফেলে রেখেছিলাম ব্যাপারটা। এখন আর বলবো না। আমাকে কেউ ভন্ড বলতেই পারে। বলুক। হয়তো ভন্ড ছিলাম সেই ব্যাপারে। এবং হয়তো বেশ কিছু ব্যাপারে আছি এখনো। তবে নারীমুক্তির কথা বললে যৌনতার বিষয়ে নিজের বৌয়ের সম্মতির কথাও ভাবতে হবে সেটাই শিখেছি। নিজেকে কন্ট্রাডিক্ট করতে শিখেছি। আশা করি বাকি ভণ্ডামি গুলো দূর হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৫ জুন ২০১৬ ২২:৫৯707856
  • এই ব্যাপারটা আগেও অন্য কয়েকজনের কাছে শুনেছিলাম।
    SEZ এর মধ্যে এরকম নিয়ম তা জানতাম না।
    তবে চীনের মত হতে আরো সময় লাগবে মনে হয়, ওখানে ব্যাংক এম্পলয়ীদের পারফরমেন্স ভালো না হলে মারধোর করে। যাকে বলে ফিজিকাল পানিশমেন্ট। টিভিতে দেখাচ্ছিল সেদিন, লাইন করে দাঁড় করিয়ে নারীপুরুষ নির্বিশেষে পাছায় বেত মারছে।
  • ঢাকঢাক | 207.231.221.211 | ২৬ জুন ২০১৬ ০৮:৫৯707878
  • সরাসরি কগনিজ্যান্ট লিখতে অসুবিধেটা কি ?
  • | ২৬ জুন ২০১৬ ০৯:০৬707881
  • বক্তব্য বুঝলাম না। আপনার কাজের মাসি বাড়ীতে থাকলেও আপনার রুটি তরকারী বাড়ী বসেই বানিয়ে রেখেছেন, অর্থাৎ পুরো ছুটি তিনি পান নি। আপনারও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধে থাকলে করতে পারেন। শনিবার অফিস যেতে ইচ্ছে না হলে ছুটিও নিতে পারেন। (আমি কলকাতায় থাকাকালীন বন্ধ বা ভোটের জন্য শনিবার ওয়ার্কিং হলে চিরকাল ছুটি অ্যাপ্লাই করেছি)

    ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বা আমেরিকায় ভোট দিয়েও অফিস যেতে সমস্যা হয় না উন্নত ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য। ভারতে সেটা অনেকক্ষেত্রেই হয় না, তাই ঐদিন ছুটি দিয়ে বদলে আরেকটি ওয়ার্কিং ঘোষণা করা হয়। কোম্পানি ডিক্লেয়ার্ড ছুটি তো বছরে নির্দিষ্ট, সেটা ন্যাচারাল ক্যালামিটি ছাড়া বদলানোর কোনও কারণ আমি দেখছি না।
    এই ব্রেক্সিটের দিন আমাদের ক্লায়েন্ট ইউকেতে ফুল অপারেশনাল ছিল। কেউ একটু দেরীতে এসেছেন কেউ মাঝে কিছুক্ষণ অফ নিয়েছেন ইত্যাদি। ওঁদের পুরো ছুটি দিতে হয় নি। ভারতে ইনফ্রাস্ট্রাকচার অপ্রতুলতার কারণে সেটায় অসুবিধে আছে।

    বানতলা অফিসে ভোটের অফ না থেকে থাকলে শনিবারে যাওয়ারও কথা নয়। বানতলা অফিসের লোকাল এইচ আরের সাথে কথা বলুন, ওঁরা ঠিক মেল সার্কুলেট করে দেবেন। না দিলে সেইটে নিয়ে বরং বলতে পারেন লজিক্যাল হয়। বাকীটা লজিক্যাল নয়।

    আর আপনার মাসের শনি-রবি আট ছুটির একটা কমপ্রোমাইজ করার সম্ভাবনাতেই প্রবন্ধ ফেঁদে ফেললেন, এদিকে আপনার কাজের মাসির মোটে তিনটে ছুটি?
  • | ২৬ জুন ২০১৬ ০৯:১৪707882
  • আর sez এ লেবার ল না মানা একটা সিরিয়াস ইস্যু, সেটাকে নিজের স্বার্থের সাথে গুলিয়ে দেওয়াটা ভাল প্র্যাকটিস নয়। SEZ এ যখন সাফাইকর্মীদের ঠিকা হিসেবে নিয়োগ করে, সপ্তাহে সাতদিনই খাটায়, কোনও মেডিকেল বেনিফিট দেয় না, আপনার কোম্পানি স্রেফ কনট্রাক্টে তাদের নিয়োগ করে আপনাদের ডেস্ক , বাথরুম সাফ রাখে আর কর্মীদের উচচহারে বেতন দেয় --- তখন SEZ এর কুফল নিয়ে কথা বলার সময় এগুলোও বলা উচিৎ নয়?
  • না | 132.177.30.116 | ২৬ জুন ২০১৬ ০৯:৩৩707883
  • প্রশ্নটা ঠিক নিজের স্বার্থ দেখার গল্প নয়। ভারতের আইন অনুযায়ীই, ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকার সমস্ত অফিসে পেইড হলিডে ডিক্লেয়ার করতে হয়, অলরেডি ডিক্লেয়ার্ড হলিডেগুলোর বাইরে। এই নোটিফিকেশন অনেক আগেই এসে যায় ফলে ক্লায়েন্টকে জানিয়ে দেবারও যথেষ্ট সময় থাকে। একেবারে ক্রিটিকাল কেস ছাড়া সাধারণভাবে এই ছুটিটা ভারতে পাবার কথা, কোনও অল্টারনেট দিনে অফিস করার ক্লজ ছাড়াই। কোম্পানিটি নিজেও জানে এই নিয়মটা, তাই কারণ হিসেবে ভোটের দিনের ছুটি দেখায় নি। ভোটের ছুটি কারণ হিসেবে দেখালে কোম্পানি কেস খেয়ে যেত।

    এখানে ব্রিটেনের ইনফ্রার তুলনা করাটা ঠিক হবে না। ব্রিটেনের নিয়ম ব্রিটেনে, ভারতের নিয়ম ভারতে।
  • dc | 132.164.226.156 | ২৬ জুন ২০১৬ ০৯:৪৮707884
  • রচনাটা এমনিতে ভালোই, বেশ কিছু ইস্যুও উল্লেখ করা হয়েছে - যেমন পুঁজিখোর কর্পোরেট, চীনা ও ভারতীয় SEZএর তুলনা, সাম্যবাদ, ডায়ালেক্টিকাল ম্যাটেরিয়ালিজম, কাজের দিদির ছুটি, নারীমুক্তি ও যৌনতা, ঘরে বানানো রুটি তরকারি ইত্যাদি। কিন্তু আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুচ্চারিত থেকে গেছে, যেমন অর্গানিক ফার্মিং, পরিবেশ দূষণ, বিদ্যুতের অপব্যাবহার, সিআইয়ের ষড়যন্ত্র আর অস্ট্রেলিয়ার অ্যাবোরিজিনদের দুর্দশা। এই অসম্পূর্ণতার জন্য রচনাটিকে আপাতত দশের মধ্যে ছয় দিলাম।
  • Abhyu | 34.158.252.181 | ২৬ জুন ২০১৬ ১০:০০707835
  • ডিসি তারাপদ স্যার হবার চেষ্টা করছে!
  • | ২৬ জুন ২০১৬ ১০:০৫707836
  • সেক্ষেত্রে ভারতের নিয়মটা দেখিয়ে এইচ আরের কাছে জানতে চাওয়া উচিৎ কেন আসতে বলা হচ্ছে?
    কাজের মাসির তিনদিন ছুটি থেকে একদিন কাটবেন না বলে উনিই জানিয়েছেন, তাই জানতে চাইলাম মাসে ৮ দিন ছুটি নয় কেন?
  • cb | 11.39.36.33 | ২৬ জুন ২০১৬ ১১:৩৬707837
  • আমিও দ দির মত শনিবারে ছুটি নি এরকম হলে। বাল যাব!!!
  • শ্রেণীশত্রু | 205.154.90.122 | ২৬ জুন ২০১৬ ১১:৪৭707838
  • কাজের মাসিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কর্পোরেটের বেআইনি কাজকে জাস্টিফাই করার উদ্যোগ প্রশংসনীয় । এরপর আশা করি কাজের মাসির পিএফ নেই বলে চাবাগানে পিএফের টাকা মেরে দেওয়াও যুক্তিসিদ্ধ হবে ।

    (1) Every person employed in any business, trade, industrial undertaking or any other establishment and entitled to vote at an election to the House of the People or the Legislative Assembly of a State Shall, on the day of poll, be granted a holiday.

    (2) No deduction or abatement of the wages of any such person shall be made on account of a holiday having been granted in accordance with sub-section (1) and if such person is employed on the basis that he would not ordinarily receive wages for such a day, he shall nonetheless be paid for such day the wages he would have drawn had not a holiday been granted to him on that day.

    (3) If an employer contravenes the provision of sub-section (1) or sub-section (2), then such employer shall be punishable with fine which may extend to five hundred rupees.

    (4) This section shall not apply to any elector whose absence may cause danger or substantial loss in respect of the employment in which he is engaged.

    135C. Liquor not to be sold, given or distributed on polling day

    http://eci.nic.in/archive/handbook/CANDIDATES/cap14/cap14_6.htm
  • | ২৬ জুন ২০১৬ ১২:০৫707839
  • (খিক! এইটাই ভাবছিলাম যে এইবার সব অ্যানোনিমাসের পশ্চাতে মুখ লুকানো পোস্ট আসবে। )

    কাজের মাসিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ ও সুবিধা দেখা আবার নিজেকে মহান দেখানোর জন্য তিইনদিন ছুটি মঞ্জুর করার বাগাড়ম্বর খুব একটা প্রশংসনীয় নয়।

    উপরের কোট করা অংশগুলো এখানে না কপচে মুরোদ থাকলে এইচ আরকে লেখার কথা।আর তার জন্য কাজের মাসির ছুটি মকুব করার ঢাল দরকার নেই।
  • দেব | 113.193.60.156 | ২৬ জুন ২০১৬ ১২:১৪707840
  • তাহলে অরুপবাবু একবার এইচ আরকে মেল করে দেখুন না ওঁরা কি ব্যাখ্যা দেন। আইন যদি এটাই হয়।
  • এবাবা | 204.150.168.95 | ২৬ জুন ২০১৬ ১২:২৯707841
  • "(আমি কলকাতায় থাকাকালীন বন্ধ বা ভোটের জন্য শনিবার ওয়ার্কিং হলে চিরকাল ছুটি অ্যাপ্লাই করেছি)
    "

    সে কি ! বিপ্লবীদের এইচারের কৈফিয়ৎ চাওয়া মানা নাকি ?

    ঐজন্যই তো এইচার 'ভোটের দিন পুষিয়ে দিতে অফিস' বলে না মা ঠাকরুন । 'অনিবার্য কারণে' অফিস খোলা রাখা হয় ।

    খিকখিক ।
  • | ২৬ জুন ২০১৬ ১২:৪৩707842
  • খ্যাখ্যাখ্যা
    (আহাগো কাজের মাসির ঢালটা এমনি করে ফেঁসে গেল)! খুব রাগ হয়েছে)

    এঁজ্ঞে এইচ আরের উত্তর নিয়েই নিজের যা পোষায় করেছি তো। আর ছি ছি ছি আমার মত শ্রেণীশত্রু সুবিধেবাদীকে বিপ্লবী ফিপ্লবী বলবেন না। বরম কাঁঠালপাতা মাছি ইত্যাদিতে যেতে পারেন।

    'অনিবার্য কারণ' কী সেটা জানতে চাইতে খুউপ্প বাধা আছে বুঝলাম।
    নিজের স্বার্থে সুবিধায় একটুও টসকানোর সম্ভাবনা দেখলেই বেতনে, সুযোগ সুবিধায় হাজারগুণে এগিয়ে থাকা লোকজনের এই কাজের মাসিদের সাথে নিজেদের তুলনা টানা আখাম্বা ভন্ডামী।
    এ বিষয়ে আর কিচ্ছুটি বলার নাই। নিন এবার চিড়বিড়িয়ে আরো কটা পোস্ট করে ফেলুন।
  • Ela | 104.15.47.191 | ২৬ জুন ২০১৬ ১৩:২৬707843
  • সব কোম্পানি এ রকম কোথায় করে? সল্টলেক-রাজারহাটে ভোট হলে অফিস বন্ধ থাকে আমাদের, যাদের ঐ দিন ভোট না তারা বাড়ি থেকে কাজ করে। যাদের বাড়ি থেকে সম্ভব না তারা কোন একটা শনিবার আসে। নিজের এলাকায় ভোটের দিনে সবাই ছুটি পায়। এ ব্যবস্থায় আপত্তির কিছু দেখি না।

    দ তো ঠিক উল্টোটা বলতে চাইলেন। কাজের মাসির পিএফ নেই বলে আমার পিএফ বন্ধ হোক নয়, আমার পিএফ আছে বলে কাজের মাসিরও পিএফ হোক -- সেটা তো ভালই বলেছেন।

    গত বছর এক তথাকথিত আইটি কোম্পানির জনতা ঐ কন্ট্রাক্ট স্টাফেদের জন্য মেডিক্লেম চালু করার প্রস্তাব দেয়। কোম্পানির ইনোভেশন চ্যালেন্জে এই প্রপোজাল আসে। ম্যানেজমেন্ট থেকে এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে কিন্তু। এর জন্য 'বিপ্লবী' হতে হয়নি কাউকে।
  • ছুটিছুটি | 56.166.190.228 | ২৬ জুন ২০১৬ ১৩:৫৬707844
  • এইত্তো বুঝেছেন । এমপ্লয়ি তার কাজের মাসিকে ছুটি দেয় কিনা, তার সঙ্গে সেজের নিয়ম বা কোম্পানির অনিয়মের কোনো সম্পর্ক নেই ।

    "এঁজ্ঞে এইচ আরের উত্তর নিয়েই নিজের যা পোষায় করেছি তো।"

    আহা চিড়বিড়ানির কি আছে - এইচারের মহান যুক্তিপরম্পরায় (সেটা কি - জানতে বেজায় কৌতূহল হচ্ছে) উদবুদ্ধ হয়ে যেদিন ছুটি থাকার কথা, সেদিন ছুটির আবেদন করতেই পারেন । এমনকি সবকটা রবিবা্রেও ছুটির আবেদন করতে পারেন । তাতে করেই বেআইনটা আইন হয় না । সবাই তো এরকম নিবেদিতপ্রাণ নয় গো দিদি ।

    "কাজের মাসির পিএফ নেই বলে আমার পিএফ বন্ধ হোক নয়, আমার পিএফ আছে বলে কাজের মাসিরও পিএফ হোক -- সেটা তো ভালই বলেছেন।"

    খুব ভালো প্রস্তাব, কিন্তু যতদিন তা না হচ্ছে ততদিন কোম্পানি পিএফ মেরে দিতেই পারে, সেটা নিয়ে লেখালেখি আখাম্বা ভণ্ডামী - এইটা মানতে পারলাম না ।
  • বাস্তুঘুঘু | 87.247.181.163 | ২৬ জুন ২০১৬ ১৪:০৫707846
  • ধুর মশাই । নতুন লোককে যদি সমবেত howling এর সামনে পরতে না হল তো আর গুরু কিসের ?
  • | ২৬ জুন ২০১৬ ১৪:১৪707847
  • বাহ এদ্দিনে একটা নতুন গালি খেলাম 'বাস্তুঘুঘু'
    বেশ বেশ
  • Arpan | 233.227.8.49 | ২৬ জুন ২০১৬ ১৬:০২707848
  • ইসে, 'সমবেত' টা কোথায় দেখলেন যদি একটু বুঝতে সাহায্য করেন ...

    নইলে সবই ঐ গোরুকে শ্মশানে চরাতে নিয়ে যাবার কেস হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
  • Musca domestica | 127.248.138.143 | ২৬ জুন ২০১৬ ১৭:১৮707849
  • সব কোম্পানি করে না, আমাদেরই তো ছুটি ছিলো, আর আলাদা করে শনিবার যেতে হয়নি। সেটা শুধু স্ট্রাইকের ক্ষেত্রে হয় - তাও কম্পেনসেট করা বাধ্যতামূলক নয়, চাইলে ছুটি নেওয়া যায়।

    আরো আছে - সদ্য শুনলাম যে আমাদের পলিসি আছে - বাস, ক্যান্টীন, সিকিউরিটি ইত্যাদির ক্ষেত্রে এমন কনট্র্যাক্টরকেই দায়িত্ব দেওয়া যাবে যে তার এমপ্লয়ীদের পিএফ ইত্যাদি দেয়। এরকম মনে হয় বেশি নেইও।
  • Ela | 104.15.47.191 | ২৬ জুন ২০১৬ ১৭:২৫707850
  • 'পলিসি আছে - বাস, ক্যান্টীন, সিকিউরিটি ইত্যাদির ক্ষেত্রে এমন কনট্র্যাক্টরকেই দায়িত্ব দেওয়া যাবে যে তার এমপ্লয়ীদের পিএফ ইত্যাদি দেয়। এরকম মনে হয় বেশি নেইও।'

    ঠিক, আমাদেরও জানতাম তাই, এখনই একজনের সাথে কথা হল, সেও কনফার্ম করল।
  • Arup Keshri | ২৬ জুন ২০১৬ ১৯:৫৮707851
  • ৫টা এইচ আর-এর কাছ থেকে ঘুরে এসে উত্তর পাওয়া গেলো "It is a management decision taken for Business Consideration". যেহেতু ইলেকশনের কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি তাই সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না।
    আমেরিকায় একজন ইঞ্জিনিয়ারকে ঘন্টায় ৪০ ডলার দেওয়া হয়। ভারতে পায় ৩ ডলার প্রতি ঘন্টা। তাই ইউরোপ, আমেরিকা কি মারাচ্ছে সেটা দেখে লাভ নেই। এই দেশের আইন হলো ভোটের দিন ছুটি দেওয়া, তার বদলে "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" বা অন্য দিন আসা, না।
    উইপ্রো-তে ৫ বছর আগে বাথরুম পরিষ্কার করার কর্মচারীদের মাইনে ছিল ৩০০০ টাকা। কগ্নিজান্ট-এ আই.টি এমপ্লয়ী বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত এমপ্লয়ী কন্ট্রাক্টে। তবে আইটি এমপ্লয়ী কন্ট্রাক্টে নেওয়া রেগুলার হয়ে যাবে আর কয়েক বছরে। আইবিএম (কলকাতা) এখন আর নিজের পেরোলে প্রায় নেয় না বললেই চলে, সব কন্ট্রাক্ট ইন্জিনিয়ার।
    বাড়িতে কাজের লোককে হেনস্থা করা, তাদের নিয়ে ইয়ার্কি মারা বাঙালিদের জন্য নতুন গল্প নয়। তাদেরকে বাথরুম ব্যবহার করতে না দেওয়া, চা খাওয়ার জন্য অন্য কাপ দেওয়া, বিছানায় বসতে না দেওয়া থেকে শুরু করে বহু অচ্ছুৎ প্র্যাক্টিস বাঙালিরা যুগযুগ ধরে চালিয়ে আসছে। পশ্চিমবঙ্গ হলো দেশের একমাত্র জায়গা যেখানে জাতিবাদ (Casteism)-কে প্রগতিশীলতার মোড়কে এমনভাবে মুড়ে দেওয়া হয়েছে যে বাইরের রাজ্যের লোক মনে করে এখানে জাতিবাদ বলে কিচ্ছু নেই। অথচ প্রায় সমস্ত কাজের লোকেরা OBC বা SC/ST. কিন্তু বাবু বাঙালি এসব নিয়ে ভাবে না কারণ আমরা খেউরি করা ছাড়া আর কি শিখেছি?
    খাবার বানানোর দিদির উদাহরণ দেওয়াটা হলো এটা দেখানোর জন্য , একজন নিজের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হলেও সে একিই ইস্যুতে অন্যের অধিকার উলঙ্ঘন করছে। বামপন্থী মনোভাবীরা হামেশা অন্যদের অধিকারের বিষয়ে কথা বলে, নিজের মধ্যে কন্ট্রাডিকশন খোঁজার প্রয়োজন মনে করে না। নিজেকে আদর্শ বামপন্থী দাবি করলে নিজেকেই ধোকা দেওয়া হবে। এসইজেড, পুঁজিবাদ, ডোমেস্টিক ল্যেবার, নারীবাদ সব মিলিয়ে দারুন প্রবন্ধ হয়েছে বৈকি তবে যারা প্রবন্ধ পড়তে ইচ্ছুক তাদের কাছে গোটা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস আছে। আমাকে লেখক ভাবলেও কিন্তু আমি তাকে পাঠক ভাববো না।
  • Aparup | 116.51.143.104 | ২৬ জুন ২০১৬ ২২:২৩707852
  • কাজের লোক সম্পর্কিত এই কথা গুলো interesting-
    1. তাদেরকে বাথরুম ব্যবহার করতে না দেওয়া,
    2. চা খাওয়ার জন্য অন্য কাপ দেওয়া,
    3. বিছানায় বসতে না দেওয়া থেকে শুরু করে বহু অচ্ছুৎ প্র্যাক্টিস বাঙালিরা যুগযুগ ধরে চালিয়ে আসছে। ...................

    1. আমার টা কেন? মানে আমার বেডরুমের বদলে অন্যটা ব্যবহার করুক? একদম না দিলে তো বাড়ীই নোংরা হয়ে যেতে পারে।
    2. নিশ্চয়ই অন্য কাপ দেব, আমারটা কখনও নয়। আমার গেস্ট এলেও অন্য কাপ দিই।
    3. একিরে? কাজের লোক বা প্রতিবেশী বা বসের বাড়ীর লোককে বিছানায় আনতে হবে? না আনার অচ্ছ্যুৎ প্র্যাক্টিসটা না রাখলে তো চরিত্র নিয়ে টানাটানি পড়বে? কাজের লোককে বিছানায় টেনে বিপ্লব আনাটা কঠিন লাগছে যে। আলাদা চেয়ারে বসতে দিলে হবেনা?
  • sm | 53.251.91.253 | ২৬ জুন ২০১৬ ২৩:০৮707853
  • আরে আমার মতে, কাজের লোকের বাড়ি সপ্তাহে একদিন গিয়ে তার কাজ কম্মো করে দিলেই; সব রকম শুদ্ধি হয়ে যাবে।
    নয়তো আমার মতো কাজের লোক কে কাজের লোকের মতোই ট্রীট করুন। সে কাজ করুক; বিনিময়ে পয়সা দিন।
    যেমন কাজ, তেমন পয়সা।
    বাদ বাকি যা কিছু বক্তব্য সব হলো গিয়ে বাতেলা।যেমন;আমি না, কাজের মাসি কে খাবার টেবিল এ বসিয়ে খেতে বলি।
    আমাদের কাজের মাসি না, বাথরুমে চান করে আর সব টয়লেটারিস ইউজ করে।
  • কল্লোল | 125.185.157.239 | ২৭ জুন ২০১৬ ০৭:৫৮707854
  • আমি একটা অন্য কথা বলি?
    ভোটের দিন ছুটি কেন থাকে? ব্যাঙ্গালোরে থাকে না। হয় ভোট দিয়ে এসে অপিস করে, নয় অপিস থেকে একটু আগে বের হয়ে ভোট দেয়।
  • Musca domestica | 151.0.12.125 | ২৭ জুন ২০১৬ ০৮:১৩707855
  • ভোটের দিন ছুটি তো সরকারি নিয়ম। সাংবিধানিক অধিকার ইত্যাদি।
  • Ranjan Roy | ২৭ জুন ২০১৬ ১০:০৬707857
  • কল্লোল ,
    পিপলস রিপ্রেজেন্টেশন অ্যাক্ট এ ব্যাপারে কড়া। ভোটের দিন ছুটি। নইলে কে কোথায় বুথে গিয়ে লাইন লাগিয়ে ক'টায় ভোট দিয়ে ফ্রি হবে তার কোন হিসেব নেই। প্রাইভেট কোম্পানিতে কেউ এ নিয়ে কম্প্লেন করে না তাই। তারপর যে লুরুতে চাকরি করছে তার হয়ত চেন্নাইয়ে ভোট কেন্দ্র। সেদিন লুরুতে ভোট না থাকলেও ওই একজনকে পেইড লীভ দিতে হবে যাতে সে চেন্নাইয়ে গিয়ে ভোট দিয়ে পরের দিন এসে ডিউটি করতে পারে।

    কাজের লোক ইত্যাদিঃ
    ------------------------
    ১) বিছানা একান্ত ব্যক্তিগত জিনিস, যেমন গামছা, টুথব্রাশ, আন্ডারওয়ার। খুব বিষম পরিস্থিতি না হলে অন্য কেউ বিছানায় বসবে কেন? ঘনিষ্ঠ আত্মীয়/বন্ধু নিপাতনে বসবে। সেখানেও বেড কভারের ওপর। আমি নিজে অন্যের বাড়িতে গেলে একইরকম ব্যবহার প্রত্যাশা করি।
    ২) কাজের লোক সোফায় চেয়ারে বসবে, যেমন কোন বাইরের লোক বসে।
    ৩) ওদের চা খাওয়ার জন্যে আলাদা কাপ নেই। যে কাপে অভ্যাগতরা খায় তাতেই খাবে। এই নিয়ে মা'র সঙ্গে ঝামেলা হয়ে ছিল। উনি অ্যাজ এ ক্লাস, কাজের লোকদের আন-হাইজেনিক মনে করতেন।
    ৪) বাসি বা খারাপ হয়ে যাওয়া খাবার, অর্থাৎ যা আমি নিজে খাব না, তা কাজের লোককেও দেব না। ব্যতিক্রম, মাছের মুড়ো ও মাছের তেল-- ও দুটো আমি খেতে পারি না।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন