এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কলকাতার ‘কিডনি ‘ঃ- মহামান্য মেয়র এবং রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী

    দেবব্রত
    অন্যান্য | ১৯ জুন ২০১৬ | ৩৩৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • দেবব্রত | 212.142.91.169 | ১৯ জুন ২০১৬ ১২:২৪708064
  • শ্রী যুক্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় মহাশয় কেবলমাত্র কলকাতার মেয়র মাত্র নন বর্তমানে আমাদের রাজ্যের মহামান্য পরিবেশমন্ত্রীও বটে । তা সিংহাসনে অধীন হওয়ার এবং প্রমোশন প্রাপ্তির দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই তিনি সম্প্রতি পূর্ব কলকাতা জলাভূমির আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ 'রামসার ‘ স্বীকৃতির বিষয়ে ভীষণ উষ্মা প্রকাশ করেছেন । ১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিগুলির সংরক্ষণ এবং যুক্তিসঙ্গত দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের স্বার্থে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশগুলি নিজেদের মধ্যে এক চুক্তি সম্পাদন করে । ১৯৮২ সালে ভারতবর্ষ এই রামসার চুক্তির সাথে যুক্ত হয় এবং আমাদের রাজ্যের অন্যতম ,আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইকোলজিস্ট ধ্রুবজ্যোতি ঘোষের উদ্যোগে ২০০২ সালে পূর্ব কোলকাতার জলাভূমি 'রামসার’ স্বীকৃতি পায় । আপনারা জানেন সারা পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ২২০০ গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি রামসার তালিকা ভুক্ত , ভারতের মাত্র ২৬ টি জলাভূমি এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অধিকারী এবং তার মধ্যে অন্যতম আমাদের ‘পূর্ব কোলকাতার জলাভূমি’ । উল্লেখ্য আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যার ভিতর কনিকা ম্যানগ্রোভ অরণ্য এবং জলাভূমিও এই রামসার তালিকাভুক্ত ।

    আমাদের পরিবেশ মন্ত্রী বলেছেন 'রামসার ‘তালিকায় নাম থাকার দরুন পূর্ব কলকাতা জলভূমি এলাকায় ঠিক ঠাক উন্নতি করতে পারছেননা এদিকে কলকাতার প্রতিটি প্রবেশপথে বিশাল হোর্ডিং ঝুলছে “Come to Bengal Ride the Growth “। আমাদের রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রীর মতে কলকাতা মিউনিসিপ্যালিটির বিভিন্ন ইনফ্রাস্টাকচার প্রোজেক্ট , উন্নয়নের নীল নকশা পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ জমি আন্তর্জাতিক গুরুত্ব সম্পন্ন জলাভূমি রামসার স্বীকৃতির কারনে ব্যবহার করা যাচ্ছেনা । কলকাতার মেয়র হিসাবে তার বক্তব্য, রামসার স্বীকৃতির সময়ে এই বিষয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের সাথে পরামর্শ করা হয়নি অথচ ২০০২ সালে বিভিন্ন ব্যক্তির প্রয়াসে এই বিস্তীর্ণ জলাভূমি যখন রামসার তালিকাভুক্ত হয় তখন কলকাতা কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ ছিল তৃনমূলের হাতে এবং কলকাতার মেয়র ছিলেন সুব্রত মুখার্জি।

    আমাদের পরিবেশ মন্ত্রী বুঝতেই পারছেন না যে এই পূর্ব কলকাতার জলাভূমির ভেতরের ভেড়ি এবং চাষিদের কাছ থেকে উচিৎ মূল্যে জমি গুলি কিনে নিয়ে সেখানে উনি বিভিন্ন প্রোজেক্ট করতে পারবেন না কেন ? একদিকে কোলকাতার মেয়র হিসাবে তিনি রামসার স্বীকৃতি বাতিল করার জন্য দরবার করছেন অন্যদিকে ওনার অধীনে অন্য ডিপার্টমেন্ট পরিবেশ দপ্তর পরিবেশের ভারসাম্যের কথা মাথায় রেখে পূর্ব কলকাতার জলাভূমির অভূতপূর্ব চরিত্র বজায় রাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত ।

    শোভন বাবুর হাতে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক , এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং জাইকা'র কোটি কোটি টাকার প্রজেক্ট। বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানির প্রলোভন অথচ জমির অভাবে সেই প্রোজেক্টগুলি বাস্তবায়িত হতে পারছেনা । বাইপাসের পশ্চিমদিকে যখন হোটেল ,হাউসিং কমপ্লেক্স সমেত বড় বড় প্রজেক্ট তখন বাইপাসের পূর্বদিকে বিপুল পরিমাণ জমি জলাভূমি সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক চুক্তি রামসার স্বীকৃতি প্রাপ্ত হওয়ায় হুড় মুড়িয়ে উন্নয়নের রথ চালানো যাচ্ছেনা । আর যথারীতি বাকি রাজনৈতিক নেতাদের মত রাগ গিয়ে পড়ছে পরিবেশবিদ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ এর নামে উন্নয়ন বিরোধী মতামতের ওপর । অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতাদের মত আমাদের কোলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মনে করেন পরিবেশ বাঁচানো এক অর্থহীন প্রয়াস এবং সেটা উচ্চারণ করতে তিনি বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা বোধ করেন না , তিনি বলেন জলাভূমি সংরক্ষণ “means little to the common man”.

    কলকাতার পূর্ব প্রান্তের প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্ট ১২৫০০ হেক্টরের এই জলাভূমি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এবং অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক কিডনি । পূর্ব কোলকাতার জলাভূমি ময়লা জল এবং জঞ্জাল পুনঃব্যবহার ,পরিশোধন এবং বর্জ্য থেকে উৎপাদনের অনন্যসাধারণ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা পৃথিবীর প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম নজির । ঐতিহাসিক কাল থেকে বর্তমানের লবনহ্রদ অঞ্চল থেকে পিয়ালি পর্যন্ত বিদ্যাধরী নদীর একটি খাত বজায় ছিল এবং ব্রিটিশ জমানার প্রাথমিক যুগে সেন্ট্রাল লেক চ্যানেল মারফৎ কোলকাতার নিকাশি ব্যবস্থা এই বিদ্যাধরী খাতের সঙ্গে যুক্ত ছিল । পরবর্তীতে বিভিন্ন কারনে বিদ্যাধরীর এই খাত মজে যাওয়ায় ক্রমশ কোলকাতার নিকাশি ব্যবস্থা সঙ্কটগ্রস্ত হয়ে পরে । অবশেষে ক্লার্ক সাহেবের পরিকল্পনায় কোলকাতা শহরের ময়লা জল হুগলী নদীতে ফেলার পরিবর্তে ১৮৭৫ সালে কোলকাতা শহরের ভূগর্ভ পয়ঃপ্রণালী তৈরি হয় । ৩৮ মাইলের ইঁটের এবং ৩৭ মাইলের পাইপের পয়ঃপ্রণালী কোলকাতা শহর ছেয়ে ফেলে । শহরের সমস্ত ময়লা জল বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে পাম্প করে সেন্ট্রাল চ্যানেলের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হতে থাকে বিদ্যাধরী নদীর মুখে । পরবর্তীতে গঙ্গাদূষনের কারন অনুসন্ধানে দেখা গেল যে গঙ্গার তীরের প্রতিটি বড় শহর যখন শহরের বর্জ্য সরাসরি গঙ্গায় ফেলে গঙ্গা দূষণ ঘটাচ্ছে তখন একমাত্র কোলকাতা শহর গঙ্গার পরিবর্তে শহরের বর্জ্য এবং ময়লা জল আজ থেকে ১০০বছর আগে থেকেই শহরের পূর্বপ্রান্তের বিস্তীর্ণ জলাভূমির মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে শোধন করে গঙ্গার উল্টোদিকে চালান করেছে । দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী এই অসাধারণ দৃষ্টান্ত বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ ।

    বর্তমানে আমাদের শহর প্রত্যেকদিন প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন লিটার ময়লা জল এবং ২৫০০ টন কঠিন জঞ্জাল উৎপন্ন করে । কলকাতা শহর স্থাপিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়নি - শহরের সমস্ত নোংরা জল খোলা এবং ভূগর্ভের পয়ঃপ্রণালীর মাধ্যমে বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশনে গিয়ে জমা হয় , পাম্পিং স্টেশনগুলি সেই জল বিন্দুমাত্র শোধন না করে পাম্প করে তিলজলা , তপসিয়া ,বেলেঘাটা ,কেস্টপুর ,বাগজোলা খাল ইত্যাদি খালে ফেলে আর সেই খালের পচা , অপরিশোধিত প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন লিটার ময়লা জল প্রত্যহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক , মনুষ্যসৃষ্ট খাল ,উপখালের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় প্রায় ২৫০’র ওপর ভেড়িতে ,এবং অবশেষে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রায় পরিশোধিত অবস্থায় ব্যবহৃত হয় চাষের জমিতে , মিলে যায় কুলটি গাঙে এবং বিদ্যাধরী নদীতে।

    ১৯৫৬ সালে কলকাতার পূর্বপ্রান্তে এইরকম ময়লা জলে মাছ চাষ করার ভেড়ি ছিল প্রায় ৮০০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে ,তার পর থেকে অপরিকল্পিত উন্নয়নের ঠেলায় শুরু হয়েছে কমার পালা । আজথেকে প্রায় ৪০-৪৫ বছর পূর্বে কলকাতার এই অমূল্য কিডনির পচন ধরা শুরু হয়েছিল সল্টলেক স্থাপনের মাধ্যমে , প্রাকৃতিক ভারসাম্যর কথা মাথায় না রেখে , এই সমস্ত ভেড়ি , জলাভূমি বুজিয়ে প্রথমে গড়ে ওঠে পরিকল্পিত নগরী বিধান নগর , তার পরে সেক্টর ফাইভ , ইস্টার্ন মেট্রপলিটান বাইপাস , কসবা শিল্পাঞ্চল , মুকুন্দপুর এবং রাজারহাটের একটি অংশ । ১৯৯২ সাল নাগাদ বামফ্রন্ট সরকার এই অমূল্য জলাভূমীর ২২৭ একর এলাকা বুঁজিয়ে এক আন্তর্জাতিক বিজনেস সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন অবশেষে এই অদূরদর্শী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বনানী কক্করের পি আই এলের ফলে কলকাতা হাইকোর্ট এক যুগান্তকারী রায় দেন সেই থেকে একদল বিজ্ঞান সচেতন মানুষ আমাদের কলকাতা শহরের এই প্রাকৃতিক কিডনি রক্ষা করার প্রয়াস চালাচ্ছেন আর সরকার বদল হলেও সেই একই মানসিকতায় রাজনৈতিক দলগুলি অদূরদর্শী উন্নয়নের নামে এই অমূল্য সম্পদ বেচে দেওয়ার চক্রান্ত চালাচ্ছেন ।

    বর্তমানে ১২৫০০ হেক্টরের পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই প্রাকৃতিক কিডনির মধ্যে ৫৮৫২ হেক্টর জলাজমি এবং ভেড়ি (জলকর ) ৪৭১৮ হেক্টরের মত নিচু ধানের জমি , ৬০২ হেক্টর মত বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং চাষের জমি এবং মধ্যে মধ্যে ১৩২৬ হেক্টরের মত বসত জমি । দুই ভেড়ির মাঝে চলার পথ , মানুষের বসতি ,ছোট ছোট গ্রাম বর্তমান । কলকাতা শহরের প্রত্যহ ৭৫০ মিলিয়ন লিটার ময়লা জল বিনা পয়সায় শোধন হয়ে যায় এই প্রাকৃতিক জলাভূমির মাধ্যমে । অনবদ্য দক্ষতায় অঞ্চলের মৎস্যচাষিরা কলকাতা শহরকে এই দুষিত জলের ভেড়ি থেকে উপহার দেয় ১১০০০ টনের থেকেও বেশী মিষ্টি জলের মাছ । রুই ,কাতলা ,তেলাপিয়া ,মৃগেল ,সিলভার কার্প , চারা পোনা ,ট্যাংরা ,গ্রাস কার্প গরীব মানুষের পাতে সস্তায় প্রোটিন যোগায়।এই অনবদ্য দক্ষ চাষিদের কারনে কলকাতা শহরে এখনো মাত্র ৩০ টাকায় মাছ ভাত এবং ২০ টাকায় সবজী ভাত পাওয়া যায় । জলা জমির কচুরিপানা শোষণ করে নেয় ময়লা জলের তেল । কঠিন জঞ্জালের সারের ফলে উৎপাদন হয় ৩৭০০০ টনের ওপর চাল এবং কলকাতা শহরের প্রায় অর্ধেক টাটকা সবজি , কলা সরবরাহ হয় এই অঞ্চল থেকে ।

    প্রায় ১২৮০-১৩০০ কোটি টাকার সম্পদ সৃষ্টি হয় এই প্রাকৃতিক কিডনির সহায়তায় । মেকানিক্যাল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের বিপুল খরচা বাঁচায় কর্পোরেশন এবং বিপুল পরিমাণ কার্বন শোষণ করে এই বিস্তীর্ণ জলাভূমী অঞ্চল । আর এই বিপুল কর্মকাণ্ডের পেছনে ব্যাঙ্কের কোন অনুদান নেই , বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিগত কোন সাহায্য নেই , এলাকার রাজবংশি,বাগদি ,আদিবাসী এবং নমশূদ্র জনসম্প্রদায়ের দক্ষতা ,ভুপৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্য ,সৌরশক্তির এক চমৎকার সংযোজনে গড়ে উঠেছে এই স্বনির্ভর প্রযুক্তির অনুকরণীয় নজির । এই অঞ্চলের ওপর নির্ভর প্রায় ১০০,০০০ অধিবাসী ,রাজ্যের অন্যান্য কৃষক বা কৃষি শ্রমিকের তুলনায় ইর্শনীয় পরিমাণ বেশী অর্থ উপার্জন করেন , কলকাতা শহরের টাটকা সবছি ,মাছ ইত্যাদির দাম সস্তা রাখতে সাহায্য করেন এবং বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নিজ দক্ষতায় ভুপৃষ্টের বৈশিষ্ট্যে পরিষ্কার করেন । সাধারণ জনতার এই জ্ঞান এবং দক্ষতার পরিচয় অনুভব করতে যে কোন কলকাতা বাসী একবার বানতলা চর্মনগরী ঘুরে আসতে পারেন -সেখানে বসানো হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সেডিমেন্টেসন ট্যাঙ্ক ,কিন্তু নিশ্চল নিথর । অন্যদিকে শয়ে শয়ে সচল ভেড়ির মধ্যে পরে আছে বানতলা চর্মনগরীর অচল যন্ত্রদানব ।

    পূর্ব কলকাতার জলাভূমি একধারে ফ্রি সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট , অভূতপূর্ব জলজ বাগান এবং বন্যা প্রতিরক্ষার উপায় । এই প্রসঙ্গে গত বছর নভেম্বরের চেন্নাই বন্যার কথায় আসি , আজ থেকে ২০ বছর পূর্বে চেন্নাইতে ৬৫০'র ওপর ছোট বড় জলাভূমি ছিল ,আজকের দিনে উন্নয়নের ঠেলায় সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৭এ তার ফলে বিপুল বর্ষার জল নিকাসের ,শোষণের উপায় না থাকতে চকচকে এয়ারপোর্ট থেকে আধুনিক ভবনের প্রান্তর ভাসিয়েছে অসময়ে বৃষ্টি । কলকাতাও চেন্নাইয়ের মত নিচু এলাকা , সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ মিটার উঁচু পূর্ব কলকাতার জলাভূমির বিলুপ্তি এই শহরের বাসযোগ্যতা যে বিপদের মুখে ঠেলছে তার পরিণাম অনুমান করার ক্ষমতা দুঃখজনক ভাবে আমাদের পরিবেশ মন্ত্রীর অনুপস্থিত ।

    রামসার চুক্তি অনুসার স্থানীয় সরকার এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এবং কলকাতা কর্পোরেশনের ৬ মাসের মধ্যে জলাভূমি সংরক্ষণ এবং ম্যানেজমেন্টের প্ল্যান প্রস্তুত করার কথা ছিল কিন্তু ইতিমধ্যে ১৪ বছর অতিক্রান্ত আমাদের রাজ্য সরকার এবং কলকাতা কর্পোরেশন আজ পর্যন্ত কলকাতার এই অমূল্য সম্পদ রক্ষা করা এবং ম্যানেজমেন্টের প্ল্যান প্রস্তুত করে উঠতে পারেনি উল্টে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিগত দফায় ক্ষমতায় আসার পরে এই বিস্তীর্ণ জলভূমিতে বেআইনি ভাবে গড়ে ওঠা ২৫০০০ বেআইনি বিল্ডিংকে আইনানুগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছেন । আর আমাদের রাজ্যের বর্তমান পরিবেশ মন্ত্রীর স্টেটমেন্ট আরও সাংঘাতিক, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক ডেলিগেশন কে তিনি বলছেন সাধারণ মানুষের কাছে জলাভূমি সংরক্ষণের তুলনায় সিভিক সার্ভিস বেশী গুরুত্বপূর্ণ ।

    বিগত ৩০-৩৫ বছর ধরে সমস্ত রাজনৈতিক নেতা ,সমস্ত রাজনৈতিক দল কলকাতাবাসীর বিপুল ক্ষতি করে একটি একটু করে এই অমূল্য সম্পদ নষ্ট হয়ে যেতে , দখল করে নিতে , আইনি স্বীকৃতি দিয়ে অধিগ্রহণে উৎসাহ দিচ্ছেন আর অতি দ্রুত পুরো কলকাতাকে ঠেলে দিচ্ছেন এক ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের দিকে । কলকাতা শহরের ঢালই পূর্বদিকে , অতি বর্ষা জমা জলের স্বাভাবিক গতিপথ পূর্বদিকে , এই গতি রুদ্ধ করে দিলে কলকাতা জলে ভাসবে , গরমে অতিস্ট হবে , ১০০,০০০ মৎস্যজীবী , কৃষিজীবী বাস্তুচ্যুত হবে এবংরাজনৈতিক নেতাদের অদূরদর্শিতার পাল্লায় গোটা কলকাতা তার বাসযোগ্যতা হারাবে ।

    উন্নতির মরীচিকায় বাঙ্গালোর আগামী ২০২৫ সালের পরে বাসযোগ্য থাকবে কিনা এই বিষয়ে যখন সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে , জলাভূমি বুঁজিয়ে উন্নতির কুফল হিসাবে যখন আমাদের চেন্নাইয়ের বন্যা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ তখন আমাদের মেয়র এবং রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী আমাদের পূর্ব কলকাতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত অমূল্য বাস্তুতন্ত্রের মৃত্যুর জয়ডঙ্কা বাজাচ্ছেন । আমাদের উদাসীনতার ফয়দা ওঠাচ্ছেন অবিবেচক রাজনৈতিক নেতৃত্ব সমূহ আর এরই ফাঁকে কলকাতার প্রাকৃতিক কিডনি বেচে দেওয়ার পরিকল্পনা রচনা করছেন রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী ।
  • PT | 213.110.242.5 | ১৯ জুন ২০১৬ ১৩:৪৫708075
  • "সিংহাসনে অধীন হওয়ার এবং প্রমোশন প্রাপ্তির দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই তিনি সম্প্রতি পূর্ব কলকাতা জলাভূমির আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ 'রামসার ‘ স্বীকৃতির বিষয়ে ভীষণ উষ্মা প্রকাশ করেছেন ।"

    তথ্যটি আংশিক সত্যঃ

    এটা ২০১৫-র খবরঃ
    Addressing a gathering in the neighbourhood in Mukundapur off EM Bypass on Wednesday, Mamata said she had cleared a long-pending file that will allow KMC to extend its services, including water supply and drainage, to moujas that were within the EKW ambit but had been urbanized in recent years.

    কাজেই এখনকার পরিবেশ মন্ত্রীকে গাল দিয়ে কি হবে? তাঁর ঘাড়ে কটা মাথা (নাকি পেটে কটা কিডনি) আছে এই নির্দেশ অমান্য করার? আদেশানুযায়ী তাঁর যা করণীয় তিনি সেটা পরিবেশ মন্ত্রী হওয়ার বহু আগেই স্থির করে নিয়েছেনঃ

    "Chatterjee justified Mamata's decision to regularize construction at EKW by claiming that the wetlands meant little to the common man who needed civic services more than environmental niceties."
    http://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/Wetland-woes-move-Ramsar-official/articleshow/46327397.cms

    আর অহেতুক চিন্তা করবেন না। ২০২৫-এর পরেও মানুষজন ব্যাঙ্গালোরে বসবাস করবে। দরকার হলে বাঙ্গালীরাই সেই জায়গাটি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবে। কারণ নিকট ভবিষ্যতে পব-র বাঙ্গালীর বেঙ্গল উরুতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।
  • দেবব্রত | 212.142.91.169 | ১৯ জুন ২০১৬ ১৯:২৯708086
  • না PT বাবু , পরিবেশ মন্ত্রী অতি সম্প্রতি বলেছেন । আপনি যদি গত সপ্তাহের টাইমস অফ ইন্ডিয়া এবং 'এই সময়' দেখেন দেখবেন আমাদের মেয়র এবং পরিবেশ মন্ত্রী এই সমস্ত জোরের সাথে বলছেন । বর্তমানের এই উদ্যোগের পেছনে নাটের গুরু যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সেই বিষয়েও সন্দেহ নেই , লিখছি মুল লেখাটিতে । আর উচ্চবিত্ত /মধ্যবিত্ত ব্যাঙ্গালোর কেন আমেরিকাতেও চলে যেতে পারে তাঁদের সেই সংযোগ এবং সুযোগ বর্তমান । কিন্তু প্রায় ১,০০,০০০ মানুষ যারা প্রত্যক্ষ ভাবে এই জলাভূমির সাথে যুক্ত তারা তাঁদের রুটি রুজি এবং বাসস্থান হারাবে । অসংখ্য কোলকাতা বাসীর পক্ষে এই জলাভূমি -যা এখনো বেঁচে আছে তা হারানো ভীষণ ক্ষতিকর তারা তো কোথাও যেতে পারবেন না ।
  • PT | 213.110.242.24 | ১৯ জুন ২০১৬ ২০:৩৭708097
  • "the wetlands meant little to the common man who needed civic services more than environmental niceties".......
    আপনি নিশ্চিত থাকুন যে যারা এখনো এই ব্যাপারটা বোঝেনি তাদের "বুঝিয়ে" দেওয়াও হবে।
  • দেবব্রত | 212.142.91.169 | ১৯ জুন ২০১৬ ২০:৫৫708101
  • সেটাই তো সমস্যা । বিপক্ষ দল নীরব কারন তারাও তো একই কাজ করেছে ।
  • PT | 213.110.242.24 | ১৯ জুন ২০১৬ ২৩:২৪708102
  • " ১৯৮২ সালে ভারতবর্ষ এই রামসার চুক্তির সাথে যুক্ত হয় এবং আমাদের রাজ্যের অন্যতম ,আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইকোলজিস্ট ধ্রুবজ্যোতি ঘোষের উদ্যোগে ২০০২ সালে পূর্ব কোলকাতার জলাভূমি 'রামসার’ স্বীকৃতি পায় । "

    এটা আপনার লেখা তো?
    ২০০২-তে কারা যেন ক্ষমতায় ছিল? অর্থাৎ কিনা এখন যারা বিরোধী দল তাদের সরকারের আমলেই ঐ জলাভূমি "রামসার" স্বীকৃতি পেয়েছে।
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৯ জুন ২০১৬ ২৩:২৯708103
  • রামসার স্বীকৃতি পাওয়া জলাগুলো বোজাতে চান - কদিন আগে শোভনের এই বিবৃতি পড়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
    দেবব্রত-কে অনেক ধন্যবাদ, এই বিষয় গুলো নিয়ে লেখার জন্য
  • আর | 209.116.174.51 | ২০ জুন ২০১৬ ১০:৩৩708104
  • " আজথেকে প্রায় ৪০-৪৫ বছর পূর্বে কলকাতার এই অমূল্য কিডনির পচন ধরা শুরু হয়েছিল সল্টলেক স্থাপনের মাধ্যমে , প্রাকৃতিক ভারসাম্যর কথা মাথায় না রেখে , এই সমস্ত ভেড়ি , জলাভূমি বুজিয়ে প্রথমে গড়ে ওঠে পরিকল্পিত নগরী বিধান নগর , তার পরে সেক্টর ফাইভ , ইস্টার্ন মেট্রপলিটান বাইপাস , কসবা শিল্পাঞ্চল , মুকুন্দপুর এবং রাজারহাটের একটি অংশ । ১৯৯২ সাল নাগাদ বামফ্রন্ট সরকার এই অমূল্য জলাভূমীর ২২৭ একর এলাকা বুঁজিয়ে এক আন্তর্জাতিক বিজনেস সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন অবশেষে এই অদূরদর্শী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বনানী কক্করের পি আই এলের ফলে কলকাতা হাইকোর্ট এক যুগান্তকারী রায় দেন সেই থেকে একদল বিজ্ঞান সচেতন মানুষ আমাদের কলকাতা শহরের এই প্রাকৃতিক কিডনি রক্ষা করার প্রয়াস চালাচ্ছেন আর সরকার বদল হলেও সেই একই মানসিকতায় রাজনৈতিক দলগুলি অদূরদর্শী উন্নয়নের নামে এই অমূল্য সম্পদ বেচে দেওয়ার চক্রান্ত চালাচ্ছেন ।"

    পিটি বাবু এটা চোখে পড়ে নি ? হায় ইতিহাস বাম
  • PT | 213.110.242.4 | ২০ জুন ২০১৬ ১২:২১708105
  • পড়বে না কেন?
    কিন্তু পিল পিল করে যে পরিমাণে মানুষ বাড়ছে কলকাতায় তারা কোথায় স্থান পাবে? সে ব্যাপারে যদি কিছু বাণী দেন তো তাহলে বাধিত হই।
    "চোখে আঙুল দাদা" নাটকটি বোধহয় দেখেননি?
  • সেয়ানা পাগল | 103.115.95.201 | ২০ জুন ২০১৬ ১৩:১৩708065
  • এইসব মানুষকে স্থান দেওয়ার জন্য ২০০২ সালে কারা যেন সরকারে ছিল, তাদের আমলে জলাভূমিকে রামসার স্বীকৃতি দেওয়া হয় ।
  • PT | 213.110.242.4 | ২০ জুন ২০১৬ ১৩:২১708066
  • "চোখে আঙুল দাদা" নাটকটি বোধহয় দেখেননি?
  • শোভন | 95.25.103.69 | ২০ জুন ২০১৬ ১৩:২৮708067
  • পরিবেশবাদী চোখে আঙুল দাদাদের উৎপাত অগ্রাহ্য করে মা-মাটি-মানুষের ইচ্ছায় আমরা সব জলাভূমি বুজিয়ে দেব ঠিক করেছি । সাধে কি পিটিবাবু আমাদের সমর্থক ?
  • chi chi | 30.139.66.64 | ২০ জুন ২০১৬ ১৪:২১708068
  • নাটক না দেখে তক্ক! যতসব ছাগল। হায় হায় !! :(
  • de | 69.185.236.54 | ২০ জুন ২০১৬ ১৪:৫৭708069
  • এই জলাভূমি বোজানোর বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন গড়ে তুলুন না - মানুষকে সাথে নিয়ে -

    থাকার জায়গায় তো অভাব নেই, ওই জলাভূমি তো অমূল্য -
  • PT | 213.110.242.4 | ২০ জুন ২০১৬ ১৬:৩৬708070
  • তার জন্যে তো সবুজ বিপ্লবীরা আছে......
  • sch | 126.203.178.253 | ২০ জুন ২০১৬ ১৬:৫০708071
  • অনেক তথ্যগত ভুলভাল আছে লেখাটায়।

    "কলকাতা শহর স্থাপিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়নি "

    কলকাতায় তিনটে sewage treatment plant achhe. 1) Garden Reach, 2) Bangur, 3) SOuth suburban east. সব মিলিয়ে ক্যাপাসিটি ১৪০ মিলিয়ন লিটারের কাছা কাছি। প্রথম দুটো কলকাতা মিউনিসিপালিটির বাইরে হলে ও প্রথমটা বোরো ১ এর নোংরা জল নেয়, দ্বিতীয়টা বোরো 9,13, 14, 15 র কিছু অংশের জল নেয়, আর শেষ প্ল্যান্টটা কে এম সি এরিয়ার মধ্যেই - এখানে আসে বোড়ো ১০, ১১ আর ১৩ র জল। বালি মূল কলকাতার সব জলই যায় ঘুষিঘাটা, DWF চ্যানেল দিয়ে। এটা দেখতে চাইলে সায়য়েনশ সিটি পার হয়ে আম্বেদকার ব্রীজে উঠে পড়ুন, পাশা পাশি DWF ar SWF চ্যানেল দেখতে পাবেন। DWF দিয়ে যায়নোংরা জল বা সুয়েজ আর অন্যটা দিয়ে বৃষ্টির জলের একটা বড়ো অংশ।
    -----------------------------------------------------------------------------
    "হরের সমস্ত নোংরা জল খোলা এবং ভূগর্ভের পয়ঃপ্রণালীর মাধ্যমে বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশনে গিয়ে জমা হয় , পাম্পিং স্টেশনগুলি সেই জল বিন্দুমাত্র শোধন না করে পাম্প করে তিলজলা , তপসিয়া ,বেলেঘাটা ,কেস্টপুর ,বাগজোলা খাল ইত্যাদি খালে ফেলে"

    কলকাতার সুয়ারেজ সিস্টেম কম্বাইন্ড। অর্থাৎ এখানে একই পাইপ দিয়ে নোংরা জল আর বৃষ্টির জল যায়। শুকনো সময়ে মানে ড্রাই পিরিয়েডে সুয়েজকে বিশেষ ভাবে ইন্টারসেপ্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে বা DWF চ্যানলে। বিষয়টা বুঝতে হলে http://www.indiawaterportal.org/articles/east-kolkata-wetland-system-low-cost-efficient-ecological-water-treatment লিঙ্কে দ্বিতীয় ছবিটা দেখুন, তিনটী মূল পাম্পিং স্টেশান - ধাপা লক, বালিগ্নজ ড্রেনেজ আর পামের বাজার থেকে জল আসে DWF channel এ। বৃষ্টির সময় অবশ্যই অন্য রকম হয়, তখন সব জলই যায় কাছের খালে - সেটি এই ধরণের সিস্টেমে স্বাভাবিক

    ------------------------------------------------------------------------------------------
    " যে কোন কলকাতা বাসী একবার বানতলা চর্মনগরী ঘুরে আসতে পারেন -সেখানে বসানো হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সেডিমেন্টেসন ট্যাঙ্ক ,কিন্তু নিশ্চল নিথর । অন্যদিকে শয়ে শয়ে সচল ভেড়ির মধ্যে পরে আছে বানতলা চর্মনগরীর অচল যন্ত্রদানব ।"

    বাণতলায় চর্মনগরীতে কোনো ভারতের বৃহত্তম সেদিমেন্টেশান ট্যাঙ্ক নেই । ওটা CETP - common effluent treatment plant - capacity 30 mld. ওই সাইজের প্ল্যান্টের সেদিমেন্টেশান ট্যাঙ্ক ভারতে স দুয়েক আছে। যেটার উল্লখে করতে চেষ্টা করা হয়েছে সেটা বানতলা রেগুলেটারের কাছের অধুনা অচল সেদীমেন্টেশান ট্যাঙ্ক। ১৯৪০ এ তৈরী । স্বাভাবিক ভাবেই নষ্ট হয়ে গেছে।
    এই লিঙ্কটা দেখুন
    http://www.dli.gov.in/rawdataupload/upload/insa/INSA_1/20005b8d_443.pdf
    এই পেপারটা ১৯৪৪ এর এখানে এর একটা রেফারেন্স পাবেন । চর্ম নগ্রীর ট্রিট্মেন্ট প্ল্যাণ্টে সুয়েজ ট্রিট করা হয় না।
    আর এখানে আরো একটা কথা আছে - বিদ্যাধরীর হালত দেখে ১৯২৮ সালেই ব্রিটিশ সরকার ড্রেঞ্জের জন্য বিদ্যাধরীকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন সল্টলেক টেক কিচ্ছু হয় নি

    ------------------------------------------
    "শোভন বাবুর হাতে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক , এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং জাইকা'র কোটি কোটি টাকার প্রজেক্ট।"

    kolokata miunisipality র সাথে কোনো প্রজেক্ট JICA বা WOrld Bank করছে না এই মুহুর্তে। নেক্সট দু বছরে হবে না - চান্স নেই। ADB r KEIIP চলছে। কিন্তু তাতে রামসার সাইটে জায়গা নেবার দরকার কেন হবে বুঝতে পারছি না। এই ফেজের কাজ মেনলি আগের KEIP র ড্রেনেজের কাজ কমপ্লিট করা আর কিছু জলের পাইপের কাজ। আর ADB র এনভার্রন্মেন্টাল সেফগার্ড নর্মস খুব কড়া। কোনো রেস্ট্রিকটেড সাইটের জমি অধিগ্রহণ আলাঊ করা হয় না। রিভার ডলফিনের গপ্পের জন্য ভাগলপুর গংগায় এডিবি প্রজেক্টের ইন্টেক বাতিল হয়ে গেছিল। কাজেই এখানে এডিবি রামসার সাইটের জমি অধিগ্রহণ করতে দেবে না।

    আসল খেলোয়াড় রিয়েল এশটেটের লোকেরা
    ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

    মেয়র চাইলেও রামসারের জমি নিতে পারবেন না। তবে জমির পাট্টা জালি করে কিছু জমি আসলে জলাভূমির অংশ ছিল না দেখানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু PIL হবে - শেষ অব্দি মেয়রের নোংরা গাঁড়টা কোর্টে মারা যাবে।

    আর PT বিক্রমগড় ঝিলএর একটা অংশ বুজিয়ে সাউথ সিটি কাদের আমলে হয়েছিল জানি ? বাণ্ডূ আমলে না? পলিটিশিয়ানরা সবাই হারামি - দল নির্বিশেষে অথবা হারামি না হলে পলিটিশীয়ান হওয়া যায় না।
  • PT | 213.110.242.4 | ২০ জুন ২০১৬ ১৭:১৮708072
  • "পলিটিশিয়ানরা সবাই হারামি" বলে কি গা কিংবা ঝিল কোনটাই বাঁচানো যাবে?
    লোকে তাদেরকেই ভোট দিচ্ছে যারা ঝিল ভরাট করতে চায়। তারপর ভরাট করা ঝিলের ওপরে তৈরি করা বাড়িতে থেকে এন্তার শহরের "বিভৎস মজা" লুঠছে।
    ডিম্যান্ড আছে বলেই না সাপ্লাই লাইন খোলা আছে.......?
  • কল্লোল | 125.242.152.0 | ২০ জুন ২০১৬ ১৭:৩১708073
  • "লোকে তাদেরকেই ভোট দিচ্ছে যারা ঝিল ভরাট করতে চায়" - সত্য কথা, বহুদিন ধরেই দিচ্ছে, কারন, উপায় নেই। এরা ছাড়া অন্য কোন কেউ ভোটে কখনো সখনো দাঁড়ালেও, তারা কোনদিনই সরকার গড়ার মতো সংখ্যায় দাঁড়ায় না। কারন, তাদের অতো টাকা নেই।
    ডিম্যান্ড আছে বলেই সাপ্লাই হতে দিতে হবে, বেআইনী হলেও, এটা সরকার আটকাবে না - এমন বক্তব্য হজম হলো না। ডিমান্ড তো কতো কিছুরই আছে - এই ধরা যাক শস্তার নেশার বস্তু, চোলাই। তাহলে সরকার যত্রতত্র চোলাইএর ভাটি গড়তে সাহায্য করবে কি?
  • sch | 126.203.178.253 | ২০ জুন ২০১৬ ১৮:০২708074
  • কল্লোল-দা এটাকে প্লিস বাম - তিনোর ঝগড়ায় নিয়ে যাবেন না । আপনি থামতে জানেন তাই আপনাকে বললাম ।
    মোদ্দা কথা দুটো ।
    ১) এই ধরণের লেখার উদ্দেশ্য যদি মানুষকে বিষয়টা জানানো হয়, তাহলে তথ্য মন গড়া না দেওয়াই ভালো
    ২) একটা জায়গা থাকা উচিত যেটা কন্সট্রাক্টইভ কিছু সাজেসট করে। এখানে যদি জানা থাকে কেউ ওই নোংরা মেয়রটার বিরুদ্ধে PIL করছে - এখানে জানাবেন - কেসের ফান্ডিং এ যারা ইচ্ছুক তারা হেল্প করবেন।

    @PT
    "পলিটিশিয়ানরা সবাই হারামি" বলে কি গা কিংবা ঝিল কোনটাই বাঁচানো যাবে? আমিা গা বাঁচাই কি না জানলেন কি করে। অনেকে করলেও এই ফোরামটাকে আমি ঠিক লিঙ্কড ইন বা নোকরির মতো নিজের এক্টিভিটীর আদ দেবার কাজে লাগাই না। পলিটিশিয়ানদের সাধ্যমতো বাঁস দিয়ে তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে দেওয়ার কাজ আগেও করেছি এখনো করার চেষ্টা করি। পরে দায়িত্ব কমে গেলে, একটু একলা হলে - দুচারটে পলিটিশিয়ানের লাশ নামিয়ে দেব মরার আগে প্রমিস। ভাববেন না।
  • kc | 198.71.199.219 | ২০ জুন ২০১৬ ১৮:১১708076
  • সচ, 4:50 এর লেখাটা খুবই ভালো লাগল। সুন্দর, গোছানো।
  • PT | 213.110.242.4 | ২০ জুন ২০১৬ ১৮:৪৮708077
  • কল্লোলদা
    চোলাই ও বাসস্থানের চাহিদার তুলনা হয়না সেটা তুমি ভালই জান। বাঙ্গালী যত "fringe"-এ সরে যেতে বাধ্য হবে তত পুকুর ভরাট চলবে। আমি ১৯৭২-এ ঢাকুরিয়াতে বাস করতে এসেছিলাম। তখনও অনেক পুকুর ছিল। একে একে সেসব এখন উধাও।

    ২০১৪-র এই খবরটা পড়ে মানুষের বাসস্থানের প্রয়োজন ও তার সঙ্গে পুকুর ভরাটের একটা সম্পর্ক পেতে পার। এবং সেখানে শুধু বাঙ্গালী নয়, অন্য রাজ্য থেকে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষও বাসস্থানের দাবীদার।

    "Bengalis formed 64% of the city's population in 1991. In 2001, this fell to 55% and presently it has further dropped to 47%,....

    .....from 1991 to 2014......Kolkata emerged as the favourite migration destination for neighbouring states.

    There has been significant movement among the so-called 'elite' and middle-class Bengalis from the city proper to the fringes.

    Naturally, promoters have taken over and created vertical structures either for business or for residences that have gone beyond the reach of the Bengali middle-class...... "

    http://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/Melting-pot-of-cultures-in-city-of-joy/articleshow/42473385.cms

    আগে বানতলার চর্মশিল্প নিয়ে কথা উঠেছে বলে বানতলার চর্মশিল্প সংক্রান্ত এই খবরটাও এখানে দিয়ে রাখলামঃ

    "সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের চর্মশিল্প ৷ দেশের পূর্বাঞ্চলে আগের অর্থবর্ষে রন্তানি কমেছে পৌনে সাতশো কোটি টাকার কাছাকাছি ৷ গো -হত্যা নিয়ে বিতর্কের জেরে চর্মশিল্পের প্রধান কাঁচামাল চামড়ার জোগান কমে যাওয়ার জন্যই রন্তানি কমেছে বলে মনে করছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লোকজন ৷......এক ঝটকায় গুজরাট , মহারাষ্ট্র , ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রয়োজন -মাফিক চামড়াই পাচ্ছে না এই রাজ্যের চর্মশিল্প ৷"
    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=23937&boxid=145115703
  • | ২০ জুন ২০১৬ ২২:০০708078
  • জলাজমি কিডনী কেন? জল উৎপন্ন করে বলে? তাইলে তো দুষিত জলই থাকার কথা না?
    বীভৎস উপমা।
  • Ela | 15.69.121.183 | ২০ জুন ২০১৬ ২৩:৫৬708079
  • স্চয়ের লেখা খুব ভাল লাগল।
  • Blank | 96.12.0.135 | ২১ জুন ২০১৬ ০০:৫৫708080
  • স্চ দা মনে হয় এই নিয়ে একটা বড় সড় তথ্য বহুল লেখা লিখতে পারেন। সঠিক ছবিটা বোঝা যাবে
  • কল্লোল | 125.242.143.53 | ২১ জুন ২০১৬ ০৭:০৭708081
  • দুষিত জল প্রাকৃতিক উপায়ে শোধিত হয় এই জলাভূমিতে, তাই কিডনি।

    ব্ল্যাঙ্কিকে ক। স্চ, বড় করে লেখো। এবার বই মেলায় এই বিষয় নিয়ে একটা আলোচনা সভা হয়েছিলো, ধ্রুববাবুও ছিলেন। সম্ভবতঃ উৎস মানুষ পত্রিকা আয়োজন করেছিলো।
  • sch | 113.252.167.130 | ২১ জুন ২০১৬ ০৯:১৫708082
  • পশ্চিমবংগ সরকার ২০০৬ সালে একটি আইন প্রণয়ন করে।
    THE EAST KOLKATA WETLANDS (CONSERVATION AND MANAGEMENT) ACT, 2006
    কেউ আগ্রহী হলে এখানে পুরোটা আছে।
    http://www.elaw.in/wetland/ecwact.html
    প্রাথমিক ভাবে যে সব মৌজা এর অন্তর্গত তার একটা সম্পূর্ন তালিকা রয়েছে এই লিঙ্কে।একটা ম্যাপও আছে। যদি কেউ দেখতে চান দেখতে পারেন। মজা হল এই যে ১২৫০০ হেকটার জায়গার কথা বলা হচ্ছে, তার সবটাতেই কিন্তু মাছের চাষ হয় না বা ভেড়ী নেই ।
    পাঁচ ধরণের জমি রয়েছে এখানে - জমি ব্যবহারের প্রকৃতি অনু্যায়ী
    ১। মূলত জলাশয় ভিত্তিক জলাভূমি ৫৮৫২,১৪ হেক্টার
    ২। কৃষি জমি ৪৭১৮.৫৬ হেক্টার
    ৩। বসত জমি (শহুরে/ গ্রামীন) ১৩২৬.৫২ হেক্টার।
    ৪। garbage farming land যেখানে শহরের কঠিন বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে চাষ করা হয়। ৬০২.৭৮ হেক্টার
    ৫। উপকণ্ঠের জমি (peripheral area) ২৪১.৩০ হেক্টার

    দু নম্বরের এরিয়াতে একটা সময় মূলতঃ সুয়েজকে কাজে লাগিয়ে চাষ করা হত কিন্তু নানা কারণে এখন সেই চিরাচরিত চাষবাসের কাজই হয়। আমার মনে হয় মেয়রের নজরে ওই পেরিফেরাল এরিয়া।

    ইনশটিটিউট অফ ওয়েটল্যান্ড ্ম্যানেজমেন্ট এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডঃ নিতাই কুণ্ডূর একটি পেপার রয়েছে এই লিঙ্কে - বিশদ ভাবে আলোচনা করেছেন ইতিহাস ভূগোল সব কিছু নিয়ে,

    বেশ সহজ লেখা - খুব জটিল টেকনিক্যাল না অথচ প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বৃদ্ধ। পড়ে দেখতে পারেন। পুরো ধারণা হয়ে যাবে এই পূর্ব কলকাতার জলাভূমি নিয়ে

    কল্লোল-দা কোনো বিষয়ে লেখার অধিকারী হতে হয় - ইষ্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ডের উপর লেখার প্রথম অধিকারী ডঃ ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ। একমেবদ্বিতীয়ম। আর তারপর হয়তো মোহিত রায়, নিতাই কুন্ডুর মতো মানুষরা। হাতে কলম/কি বোর্ড থাকলেই কি আর লেখার অধিকারী হওয়া যায়। কিছু রেলিভ্যান্ট লিঙ্ক দিলাম। আশা করি এতেই যাদের তেষ্টা মেটানোর মিটিয়ে নিতে পারবেন। আরো কিছু জানার ইচ্ছে হুলে কেউ এখানে লিখতে পারেন - আমি সাধ্য মতো রেফারেন্স দেওয়ার চেষ্টা করে দেখব
  • কল্লোল | 125.242.135.111 | ২১ জুন ২০১৬ ১০:১৬708083
  • স্চ। অধিকার বিষয়ক ভাবনায় তোমার সাথে একমত। কিন্তু ধ্রুববাবু, নিতাইবাবু বা মোহিতকে এখানে লেখার জন্য আর পাচ্ছি কোথায়? তাই তুমিই ভরসা। লিংক-টিংক সব ঠিক আছে, কিন্তু আমরা তো দোয়ানো দুধ খেতে অভ্যস্থ। দুধ দুইয়ে খেতে বল্লে আর খাওয়াই হয় না। তাই..........
  • বুড়া | 55.64.223.41 | ২১ জুন ২০১৬ ১২:১৫708084
  • জানতাম পিটি ঘোরতর তৃণমূল বিরোধী। এখন দেখছি মানুষের থাকার জায়গার জন্য জলাভূমি ভরাটের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে মেয়র সাহেবের সঙ্গে একমত।
    মেলাবেন, তিনি মেলাবেন...
  • sch | 126.202.204.163 | ২১ জুন ২০১৬ ১২:২২708085
  • এই ছবিটা কি দেখা যাছে?
  • ranjan roy | 132.180.220.170 | ২১ জুন ২০১৬ ১৮:৪১708087
  • ইয়েস, দেখা যাচ্ছে।
    অনেক ধন্যবাদ শ্চ!!
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন