এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মৈনাক সরকারকে কি আমরা চিনতাম ?

    bip
    অন্যান্য | ০৪ জুন ২০১৬ | ৭৩৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 192.66.30.253 | ০৬ জুন ২০১৬ ১০:৪৮710164
  • ভাটে এই টপিক নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল। একজায়গায় থাকলে আলোচনার সুবিধে হয়, পরেও খুঁজে পেতে সুবিধে হয় বলে এক জায়গায় রেখে দিলাম, যেটুকু যা চোখে পড়ল।

    name: kiki mail: country:

    IP Address : 113.238.241.45 (*) Date:06 Jun 2016 -- 03:11 AM

    বিপের মৈনাক সরকারের টই পড়ে মনে হলো খুব সত্যি বলেছে। আমাদের তিন প্রানের বন্ধু ছিলাম। আমার ছেলে সাধারণ , সেটা ছোট থেকেই বোঝা যেত (সেই জন্য আমি জেলাস, এটাও হতে পারে) । একটু ভদ্র ও ছিলো, সেটাও বিরাট অপরাধ। তো, আমার সামনেই ওকে জড় পদার্থ, এসব বলা হত। তাদের বাচ্চারা ছটফটে এবং আমার চোখে বেশ বেশ অসভ্য। তাদের একটির মেয়ে এবার বোর্ড দিয়েছে, ৯৭% পেয়েছে। ICSE তে। আগেরবার ঋভু যখন বোর্ড দিলো, রেজাল্ট বেরোনোর আগের দিন রাত্রে আমায় ফোন করলো, করে ডিরেক্ট জিগালো, হ্যাঁরে এখন এর রেজাল্ট তার ঘাড়ে চাপে? প্রথমে আমার বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিলো, পরে বুঝলাম আমার ছেলে ভালো রেজাল্ট করলে সেটা ঐ উধোর পিন্ডি বুধো বলে ধরা হবে। এত ই পাব্লিক টেন্সড।

    এবার সে ফিটজি তে ভর্তি হয়েছে। সেসব শুনলাম সেদিন। তো সে প্রচুর স্কলারশিপ টিপ পেয়ে একলাখ আশি দিয়ে ভর্তি হয়েছে। আবার কে নারায়নতে ভর্তি হয়েছে ছলাখ দিয়ে, তাতেও সে বেচারী মেয়ে এসি ঘর পায়নি। আবার ফিটজিতে জেলা থেকে যেসব বাচ্চারা আসে, তারা বাংলা ছাড়া আর কিছু জানেনা, যেখানে ক্লাসে কেবল হিন্দি আর ইংলিশ চলে, এসব ও শুনলাম। প্যারেন্ট্সরা নাকি সিঁড়িতে গরমে বসে থাকে। এসব শুনে আমি হাঁ করে জিগালাম, সেকিরে? সবাইকেই আই আই টি তে যেতে হবে নাকি? তাতে লোকজন খুব সহানুভুতি নিয়ে আমার দিকে তাকালো অবশ্য। আর এও বললো, ওখানে না গেলে ঠিক করে কিছু শেখা যাবে না, মানে এমনি তো ধরুন অঙ্ক জানে, কিন্তু সেটাকে স্টেপ জাম্প করে কিভাবে করতে হবে, ওখানে শিখছে। আমার কেমন মনে হলো শয়ে শয়ে রোবট তৈরী হচ্ছে। এবং ঠিক তখন ই আমার সাধারণ ছেলে নিয়ে হীনমন্যতাটা কেটেও গেলো বটে। কেবল একটা জিনিস মন খারাপ করে দিলো, আমি বরাবর স্টেপ জাম্প করে অঙ্ক করতাম, ক্যালকুলাস এমন ও হত, স্যর বকবেন বলে প্রথম আর শেষ লাইনের মাঝে একটা স্টেপ বাধ্য হয়েই লিখতাম, তার জন্য অসম্ভব বকা সহ্য করতে হত, মানে আমার কুঁড়েমোর জন্য। আজকাল লোকে পয়সা দিয়ে এসব শেখে। আমার কেমন ধারনা ছিলো চাকরির পরীক্ষার জন্য এরকম ভাবে অঙ্ক করতে হয়।

    name: Tim mail: country:

    IP Address : 108.228.61.183 (*) Date:06 Jun 2016 -- 03:44 AM

    বিপের কথাগুলো পুরোনো, খানিকটা সত্যি তো বটেই। কিন্তু এর নানা লেয়ার আছে। বিপের থিওরি পড়লে আমার সেই প্রফের কথা মনে পড়ে যিনি সবাইকে নম্বর নয় সাবজেক্ট শেখার কথা বলতেন, আর সেমের শেষে গ্রেড দেওয়ার সময় নম্বরটাকেই প্রাধান্য দিতেন। এর ফলে যে বেশ ভালো বুঝেছে, জানে অথচ মিডটার্মে ছড়িয়েছিলো তার চেয়ে খাতায় কলমে এগিয়ে যেত তথাকথিত রোবোটেরা।

    এইযে আমরা কথায় কথায় বক্তিমে দিই, জীবনের মানে ইত্যাদি গ্রাম্ভারি কথা কই, কতজন নিজেদের প্রাইমে স্রোতের বিরুদ্ধে গেছি? নিজে যখন চত্ব তখন গাঁতিয়ে আইআইটি বাগালাম, কেরিয়ার করলাম শেষে মধ্যবয়সে সেটল করে আহা আজকালকার বাচ্চাদের বাবামায়েরা রোবোট কচ্ছে বলে লেকচার দিলাম, এইটা কেমন একটু লাগেনা?

    দুই, আমাদের দেশে তো গলাকাটা প্রতিযোগিতা। "সাধারণ" হয়ে জীবন যাপন করা যায়? সারভাইভালই তো আস্তে আস্তে কঠিন হয়ে আসছে। খুব, খুব চাপের ব্যাপার। ইশকুল ইত্যাদির যা গল্প গুরুতে শুনি, আতঙ্ক হয়। বাচ্চাগুলোর জন্য খারাপ লাগে। বাবা মায়েদের জন্যেও। থিওরি দিলেই হলো, প্রেক্ষিত দেখতে হবেনা?

    শেষে, মৈনাক সরকার মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষ ছিলো। মানসিক ভারসাম্য হারানোর জন্য কাউকে পিএইচডি করতে হয়না, আইআইটি যেতে হয়না, রিসার্চ করতে তো হয়ইনা। বাড়িতে বসে বসে, নিরুপদ্রব জীবনে থেকে মানুষ সিরিয়াল কিলার হতে পারে। আমি তো গুরুতেই কতজনের মানসিক ভারসাম্যের অভাব দেখি মাঝে মাঝে, তারা আইআইটিয়ান থেকে মৎস্যজীবী ইত্যাদি যা যা আফনাদের চাঁদমারিতে আছে সব ক্ষেত্রেরই হয়। অন্য দেশ বাদই দিলাম, স্রেফ আমেরিকায় গ্র্যাডস্কুল শেষ করেছে এরকম ভারতীয়ের সংখ্যার অনুপাতে মৈনাক সরকার, প্রসেনজিত পোদ্দারেরা কতজন দেখলে বোঝা যাবে অমানবিক স্ট্রেসের মধ্যে থেকেও গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টরা সাইকো হয়ে যায়নি।

    যাগ্গে, দিন তো গেল ইত্যাদি।

    name: Ekak mail: country:

    IP Address : 53.224.129.58 (*) Date:06 Jun 2016 -- 03:55 AM

    টিম কে ক । নিজের দৌড়টা দিব্য দৌড়ে নিয়ে বয়েসকালে মর্কট বৈরাগ্য দেখলে বিরক্ত লাগে ।

    name: sosen mail: country:

    IP Address : 50.128.208.34 (*) Date:06 Jun 2016 -- 05:42 AM

    বিরক্ত লাগে? আমার তো বেজায় হাসি পায়। গরুর রচনা লেখা কি সোজা!! যেখান থেকেই শুরু করো না কেন শেষ অব্দি চতুর্দিকের লোক কতো কুটিল আর আমি ও আমার প্রিয়জনেরা কতো নিষ্পাপ সেখানে এসে পৌঁছনো সম্ভব। বাদবাকি পি এইচ ডি, আই টি, পলিটিক্স, আম্রিগা, ভারত, চাড্ডি এসব প্রেক্ষিতেরা বদলে যেতে থাকবে।

    মুশকিল আমাদের মতো সেল্ফ ক্রিটিসাইজিং পাবলিকেরই শুধু। গ্লানি গুরুর পাতায় রচনা লিখে কিম্বা পার্সিকিউশন ম্যানিয়ার আড়াল নিয়ে ঘোচাতে পারি না যারা।

    name: kaushik mail: country:

    IP Address : 126.202.219.214 (*) Date:06 Jun 2016 -- 07:44 AM

    টিমের সাথে একমত - নিজের দৌড়টা দৌড়ে নিয়ে নির্মোহী বাবা হয়ে যাও - এই প্যাটার্নটা আমিও খুব দেখছি আজকাল।

    name: TB mail: country:

    IP Address : 118.171.131.189 (*) Date:06 Jun 2016 -- 08:01 AM

    সেল্ফ ক্রিটিসাইজিং পাবলিকেরা তো আসলে পারফেক্সানিস্ট। সেজন্য দুঃখ করেন কেন?
    গৌতমবাবু অবশ্য তারও নিদান দিয়ে গেছেন। যক্ষুনি ধরতে পারবেন সেল্ফ ক্রিটিসাইজ করছেন, অমনি নিজেকে বলবেন, আহা, আমার মত এমন চাম্পু লোক আর দুটি নেই! চাট্টি ব্যাগড়াবাদি কি বলল তাই নিয়ে ভাবলে আমার চলবে?

    name: kaushik mail: country:

    IP Address : 126.202.219.214 (*) Date:06 Jun 2016 -- 08:27 AM

    আমার কেন জানি মনে হয়, সেল্ফ ক্রিটিসিজিমের মধ্যেও একটু "হোলিয়ার দ্যান দাও" গন্ধ থাকে।

    name: dd mail: country:

    IP Address : 116.51.24.238 (*) Date:06 Jun 2016 -- 08:34 AM

    আচ্ছা, কাল রারা রাতের পোস্টের উপর আমার কমেন্টারী পড়ে নিন টুক করে ঃ

    মুষ্কিল হচ্ছে আপনেরা ভাম নন। " কম্পিটিশনের রথের তলায় পিষ্ট হচ্ছে এই প্রজন্ম, হায় আমরাও ক্ষি এরমটাই করি নি ?। এইসব আত্মজিজ্ঞাসা কাদের ? না, যারা টেনে টুনে চল্লিশও হতে পারেন নি। লজ্জার কথা।

    সে ছিলো আমাদের সময়ে। সস্তাও ছিলো খাবার দাবার সোয়াদও ছিলো দারুন। তখন সত্যি বলছি ছেলে এনজিনীয়ারিং পড়ছে না শুনলে লোকে আঁৎকে উঠতো না মোটেই। হাল হামেশা পুরুষ মানুষে ইকনমিক্স, হিস্ট্রি,ইংরেজী ইঃ মানে আর্ট্স পড়তো। আর পিওর সায়েন্স তো পড়তোই।। মে মানুষদের তো কথাই নেই।ইয়েস। বাংলা বা সংস্কৃত ডেফিনিটলি কম গ্লেমারাস ছিলো। ঐ টুকুই।

    সেরম খুনোখুনি কম্পিটিশন, কেলাস এইট থেকেই কোচিন' ক্লাস - এগুলো আরো পরের ঘটনা।

    name: S mail: country:

    IP Address : 74.234.95.160 (*) Date:06 Jun 2016 -- 08:45 AM

    আমরা এই গুরুতেই নিজেদের সিভি/হলধর/মাইনে নিয়ে প্রায়শই রেষারেষি করি আর জীবনে সবই মায়া অতেব দৌঁড়িয়ো না বলে চিল্লামেল্লি করাটা ন্যাকামো।

    name: Arpan mail: country:

    IP Address : 24.195.238.212 (*) Date:06 Jun 2016 -- 08:51 AM

    আমি ওয়েট করে ছিলাম আমি এতজন লোকের এমপ্লয়মেন্ট ক্রিয়েট করেছি এইটা কখন আসে। লম্বা লেখা, তাও একটু স্ক্রোল করতেই ঢাকটা চোখে পড়ল।

    সব গোরু ঘরেই ফেরে।

    name: aranya mail: country:

    IP Address : 154.160.226.92 (*) Date:06 Jun 2016 -- 08:52 AM

    কনটেক্স্ট জানি নে কো, তবে র‌্যাট রেস থেকে বেরোতে পারলে তো ভালই হয়। কঠিন কাজ অবশ্যই
    আর গুরুতে মাইনে ইঃ নিয়ে রেষারেষিও হয় না কি !! অমন তো হওয়ার কথা না

    name: Tim mail: country:

    IP Address : 108.228.61.183 (*) Date:06 Jun 2016 -- 08:54 AM

    র‌্যাট রেস থেকে বেরোলে কার ভালো হয় অরণ্যদা?

    name: lcm mail: country:

    IP Address : 83.162.22.190 (*) Date:06 Jun 2016 -- 08:57 AM

    র‌্যাট রেসে ভয়ের কিছু নেই, ইঁদুর আর কত জোরেই বা দৌড়োবে। আর দৌড়ে কদ্দুরই বা যাবে, গত্তের এদিক নইলে ওদিক।

    name: aranya mail: country:

    IP Address : 154.160.226.92 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:00 AM

    তবে ইভেনচুয়ালি চাগ্রি-বাগ্রি কী করে পাবে, নাকি ব্যবসা করবে - উপার্জন কেইসে হবে তা জানি না

    name: Tim mail: country:

    IP Address : 108.228.61.183 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:01 AM

    এগজ্যাক্টলি। শাঁখের করাত

    name: lcm mail: country:

    IP Address : 83.162.22.190 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:01 AM

    আমাদের যুগে বড়লোকদের এত চিন্তা ছিল না। আজকাল বড়লোকরাও খুব চিন্তিত। বড়লোক হয়েও রেহাই নেই।
    সুনীল গাঙ্গুলী লিখেছিলেন না - বড়লোকদের কেউ জিগ্গেস করে আপনি কি পাশ, কটা ডিগ্রি?

    name: pi mail: country:

    IP Address : 192.66.30.253 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:12 AM

    টিম, বিপ কী ভেবে বা নিজে কী করে লিখেচেন জানিনা, ওঁর লেখা আমি সেরকম সিরিয়াসলি পড়িনা বা অনেক কিছু ইগনোরও করি। এট তোমার পোস্ট পড়ে ইন জেনেরাল জিগাচ্ছি। কেউ নিজে আইআইটিয়ান হয়ে এই সিস্টেমের সমালোচনা করতে পারেনা কি ? সিস্টেমের ভিতরে থেকে বা তার মধ্যে গিয়ে বেরিয়ে তার সমালোচনা করা যায়না কি ?
    এছাড়াও, প্রতিযোগিতা খুব বেশি, তাই ইন্জিনীয়ারিং, ডাক্তারি ইঃ বিনে গতি নাই আর তার জন্য এই বীভৎস ইঁদুর দৌড় ছাড়া গত্যন্তর নাই, এই নিয়ে কিছু সমালোচনা করা যাবেনা, তা তো নয়। এর বিকল্প কী হতে পারে, তার কী অসুবিধে সেই নিয়েও সাথে কথা হোক না। এগুলো নিয়ে কিছু না বললে তো এই সাঙ্ঘাতিক অবস্থা চলতেই থাকবে। দেদি, কিকিদিদের পোস্ট থেকে, আশেপাশের কিছু লোকজনের যা অবস্থা দেখি, সেটাকে সাঙ্ঘাতিক ছাড়া কী বলব জানিনা। পি এইচ ডি স্কলাররা কতজন মানসিক ভারসাম্য হারালো, সে শতাংশ হিসেবে কত কম ,সে তো পরের কথা, এই নাইন-টেন থেকে টুয়েল্ভ পর্বে কী অমানুষিক স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তার জন্য কী পরিমাণ মানসিক চাপ ও অসুস্থতা তৈরি হয়, কতজন এক্স্ট্রিম ডিসিশন অব্দি ন্যায়, তার শতাংশ হিসেব করলে তো নেহাত কম হবেনা।

    এই সমস্ত মিডিয়াতে ( এমনকি দাদাগিরির মত প্রোগ্রামেও) এই র‌্যান্ক, নম্বর, সাফল্য নিয়ে এই পরিমাণ মাতামাতি , হাইপ এবং যেগুলো প্রতি পদে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এগুলো না হলে, না পেলে জীবনের ষোলোআনাই ফাঁকি, আর এসব থেকে যে পিয়ার প্রেশার তৈরি হয়, সেগুলো নিয়ে তো আপত্তি করাই যায়। করে যদিও কত কী হবে জানিনা, মিডিয়ার টক শো গুলোতে এসব ইস্যু কি আসবে কোনোদিন ? তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব চাপ তৈরি হলে হয়তো এই চাপ কিছু কিছু তৈরি হতেও পারে।

    তবে ঢাক আর কেই বা পেটাই না ?

    তবে এই পোস্টগুলো ঐ টইতে হলেই ভাল হত মনে হয়। টইয়ের পোস্ট নিয়েই কথা যখন। আলোচনাও একজায়গায় থাকতো। আর কাউকে স্পেসিফিকালি বললে বা কাউকে নিয়ে কথা হলে সেও তার পোস্টের সাথে হলেই বেটার হয় বলে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়।

    name: sosen mail: country:

    IP Address : 50.128.208.34 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:16 AM

    সেল্ফ ক্রিটিসিজম পাতার পর পাতা আর্টিকেল লিখে করলে কিছুটা বানানো কিছুটা হোলিয়ার দ্যান দাউ মনে হবে বইকি

    যদিও কোনো জেনারালাইজেশনেরই মানে হয় না।

    name: pi mail: country:

    IP Address : 192.66.30.253 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:18 AM

    গত কয়েক ঘণ্টা ধরে হেডলাইন হিসেবে ফ্ল্যাশ হয়ে চলেছে, জয়েন্টের মেধা তালিকায় পাঁচ জন কোলকাতার। উত্তীর্ণে কোলকাতা শীর্ষে। এইসব।

    যাহোক, এখান থেকে দুইজন আইআইএসসি আর চেন্নাইতে ম্যাড সায়েন্সে যাবে শুনে তাও ভাল লাগল।

    name: Tim mail: country:

    IP Address : 108.228.61.183 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:24 AM

    পাই আমি কিকিদির পোস্টের উত্তরে এখানে লিখেছি। ওখানেও লিখছি সময় সুযোগ মতন। সিস্টেমের মধ্যে থেকে সমালোচনা হতো, যদি কেউ পড়তে পড়তেই ছেড়ে দিয়ে বলতেন নাহ এসব গার্বেজ। সুতরাং এটা বাইরে থেকেই বলা, অবশ্য থিওরাইজ যারা করেন, এরকমই করেন।

    name: pi mail: country:

    IP Address : 192.66.30.253 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:26 AM

    না না সেটা বুঝেছি। সেতো আমিও এখানেই লিখলাম। আমি বলছিলাম, পুরোটাই ওখানে গেলে ভাল হত। একজায়গায় থাকতো। কেউ তুলে দিলেও হয়।

    name: Tim mail: country:

    IP Address : 108.228.61.183 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:28 AM

    হ্যাঁ অল্টারনেটিভ নিয়ে কথা হোক না। আমি খুবই ইচ্ছুক শুনতে, প্রতিযোগিতাকে অগ্রাহ্য করে, সুস্থ ও ভালো মানুষ হওয়ার ওপর জোর দিয়ে এই সময়ে দাঁড়িয়ে একজন মানুষ কিভাবে বাঁচবে?

    name: aranya mail: country:

    IP Address : 154.160.226.92 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:31 AM

    দেশে কি ফোটোগ্রাফি নিয়ে ব্যাচেলার্স ডিগ্রী জাতীয় কিছু করা যায়?
    আমার ভাইপো-র প্যাশন ফোটোগ্রাফি , তাকেও জয়েন্ট ইঃ নিয়ে লড়তে হচ্ছে, দুঃখের ব্যাপার

    name: pi mail: country:

    IP Address : 192.66.30.253 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:31 AM

    সেটা নির্ভর করছে, বাঁচা কাকে বলা হবে, তার উপরে। বছরে কত লাখ রোজগার হলে, কী কী অ্যাচিভ করলে, কী কী হলে, কী কী পেলে বাঁচা বলা হবে তার উপর।

    যাগ্গে, এগুলো তো সব ঐ টই রিলেটেডই । ওখানেই নিয়ে যাই বরম।

    name: Rit mail: country:

    IP Address : 213.110.242.5 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:43 AM

    একটা অন্য ইস্যু নিয়ে কথা বলি।

    সরকার চাইছে আই আই টি, এন আই টি দের আর টাকা না দিতে। তাই এবার আই আই টি র ফি দুম করে বেড়ে গেলো। মানে বছরে ৯০ হাজার থেকে বছরে ২ লাখ। অবশ্যই রিজার্ভড ক্যাটেগরি তে অনেক কম। সুতরাং ৪ বছরে কম করে ১০ লাখ টাকা খরচ হবে আই আই টি থেকে বিটেক করতে।

    এখন আই আই টি থেকে ক্যাম্পাসিং এর স্যালারি কেমন? মিডিয়া শুধু লেখে গুগল দিলো ৬০ লাখ, ফেসবুক দিলো ১ কোটি। কিন্তু সেগুলো পায় ১৩০০ জনের মধ্যে ৪-৫ জন। তাও কম্পিউটার সায়েন্স বা ইলেকট্রনিক্স এর লাকি ফিউ। এর বাইরে?

    কেও ঐ ১০ লাখ টাকা দিয়ে আই আই টি খড়্গপুরে মাইনিং বা এগ্রিকালচার পড়ে কি চাকরী পাবে? আর রাজ্য সরকারী কলেজের সাথে তুলনায় এটা আরো চোখে পড়ছে।

    অ্যাভারেজ স্যালারি কিন্তু এখনও খুবই কম।

    ডিপ্রেশনের আর দোষ কি? নারায়ণী সেনা যে সংশপ্তক হবে তাতেই আর আশ্চর্য্য কি?

    name: Tim mail: country:

    IP Address : 108.228.61.183 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:43 AM

    পাইয়ের পোস্টে একমত, যে বাঁচার নানা রকমফের হয়। কিন্তু বাঁচতে শেখার জন্য লাগে আত্মবিশ্বাস, নইলে পীয়ার প্রেশারে চেপ্টে যেতে হয়। সবার থাকেনা। এ জিনিস তো সিলেবাসে নেই।

    name: T mail: country:

    IP Address : 165.69.172.204 (*) Date:06 Jun 2016 -- 09:47 AM

    এডুকেশন সেক্টরে সাবসিডি ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া যদ্দুর জানি ডাব্লু টি ও র নির্দেশিকা।

    name: T mail: country:

    IP Address : 165.69.172.204 (*) Date:06 Jun 2016 -- 10:27 AM

    পাইদি, গ্যাট চুক্তির যে মূল ডকুমেন্ট তাতে এডুকেশনকে অ্যাজ আ সার্ভিস হিসেবে বলা আছে। গ্যাট চুক্তির কন্ডিশনাল অবলিগেশনে কোনো দেশ তার নির্দিষ্ট সার্ভিসগুলোকে আইডেন্টিফাই করে সেটাকে ডাব্লু টি ওর আওতাধীন করতে পারে। যেখানে আফ্রিকান ইউনিয়ন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া এডুকেশনকে সেক্টরকে গ্যাট চুক্তির জন্য খুলে দেয়নি। ভারত করেছে। এই চুক্তির 'ন্যাশনাল ট্রিটমেন্ট' অনুযায়ী সরকার যদি সরকারী প্রতিষ্ঠান বা ইন্সটিট্যুটগুলোকে অনুদান দেয় তবে বেসরকারী ইন্সটিট্যুটগুলোকেও সেম টাকা দিতে হবে। রেগুলেটরি অথোরিটি গুলোকে তুলে দিয়ে একটিই অথরিটি (ক্রস বর্ডার) থাকতে হবে ইত্যাদি।
  • Neutral | 83.15.8.184 | ০৬ জুন ২০১৬ ১১:০৪710165
  • এখানে তো সত্যি কথাটা বিপ ই বলেন! লক্ষ্য করে দেখবেন বিপের শেষ কিছু পোস্টের আর কেউ কাউন্টার করেন না। কারণ বলার মত পয়েন্ট কারুর নেই। কিছু আবাল আছে এক লাইন লিখে খিল্লি করার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউ আর তিন চার প্যারাগ্রাফ লিখে কাউন্টার ও করেন না। এলেম আছে কি? সন্দেহ জাগে।
  • pi | 192.66.30.253 | ০৬ জুন ২০১৬ ১১:২৮710166
  • এখানেই লিখি।

    টি, আচ্ছা। থ্যাঙ্কু।

    গ্যাট চুক্তি নিয়ে কত কথা, প্রতিবাদ আগে হত। তার্পর সব চুপচাপ। তারপর দেখ্লাম, সেই নিয়ে প্রতিবাদের খিল্লি ছাড়া আর কথা নাই। তলে তলে কী হয়েছে, সেসব এখন এভাবে সামনে আসবে। কেন হয়েছে, সেসব আসবেনা। অনেকেই এখন মাইনে বাড়া নিয়ে প্রচুর অসুবিধেয় পড়বেন, ভুক্তভোগী হয়ে বা না হয়েও হয়তো প্রতিবাদ করবেন ( যদিও তেমন কিছু এখনো দেখছিনা), কিন্তু উদারীকরণ, গ্যাট চুক্তি এসব সেখানে আসবেই না।
  • pi | 192.66.30.253 | ০৬ জুন ২০১৬ ১১:৩৫710167
  • ওহো, ঋতর এই পোস্টটা বাদ গেছিল।

    name: Rit mail: country:

    IP Address : 213.110.242.5 (*) Date:06 Jun 2016 -- 10:02 AM

    ধরা যাক একজন আই আই টি থেকে বিটেক করে আই আই টি তেই পি এইচ ডি করতে চায় , তারপর আই আই টি তেই পড়াতে চায়।

    বিটেকে খরচঃ ১০-১২ লাখ - ৪ বছর
    পি এইচ ডি তে স্কলারশিপঃ মাসে ২৫০০০ করে, কিন্তু সেখানেও ফি আছে। জমবে না কিছু। ৫ বছর।

    ফ্যাকাল্টির স্যালারি ঃ মাসে ৬০,০০০ করে শুরু। ২০ হাজারও যদি মাসে জমায়, তাহলে ১২ লাখ শোধ হতে লাগবে কম করে ৫ বছর।

    ব্রেক ইভেন হবে ৩৩ এ গিয়ে।

    আই আই টি বিটেক করে আর কেও রিসার্চ করবে না। বা যারা রিসার্চ করবে তারা আই আই টি তে পড়বে না।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১১:৫৭710168
  • সবাই ডাক্তারি আর ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে এরকম অবসেসড হয়ে থাকে কেন সত্যিই বুঝিনা। আমার তো মনে হয় ইঞ্জিনিয়ারিং একেবারেই পুরনো দিনের সাবজেক্ট, এখনকার বাচ্ছাদের টার্গেট হওয়া উচিত ন্যানোটেকনোলজি, বায়োমেকানিক্স, গ্রিন বায়োলজি, মলিকিউলার বায়োলজি, স্ট্যাটিস্টিকাল বায়োলজি, অ্যাস্ট্রোনমি ইত্যাদি এইসব নিয়ে পড়া। সায়েন্স, ইকনমিক্স, কমিউনিকেশান ইত্যাদি ক্রস ডিসিপ্লিনারি স্টাডিতে যাওয়া। তা না করে সেই কোন আদ্যিকালের ইঞ্জিনিয়ারিং আর সেই আদ্যিকালের ফিটজি!
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১২:০১710169
  • আজকের টাইমসে কেরিয়ার বিভাগে অংক নিয়ে পড়ার নানান উপায় নিয়ে লিখেছে। কোন কোন কলেজে অংক নিয়ে পড়া যায়, কাট অফ, প্রস্পেক্ট ইত্যাদি। পেপারটা ঘরের সবাইকে দেখালাম। আমি কিছুতেই মেয়েকে ফিটজিতে অ্যাডমিট করাবো না, সেই নিয়ে এদ্দিন আমাকে সবাই হ্যাটা করত। আজকে আমিও দেখিয়ে দিলাম, ফিটজি না করেও দিব্যি ভালো কেরিয়ার বানানো যায়। আর অংকে ভালো হলে তো কথাই নেই, সব কেরিয়ারের চাবি ওটাই।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১২:০৯710170
  • অংক আর স্ট্যাটস। অবশ্য স্ট্যাটস তো অংকের সাবসেট। তবে শুধু স্ট্যাট্সটা ভালো করে শিখে নিতে পারলেও কেল্লা ফতে।
  • T | 165.69.172.204 | ০৬ জুন ২০১৬ ১২:২২710171
  • সেই, লাইফ খুব ইজি। অংক শিখে নাও আর কেল্লা ফতে করে ফ্যালো। মাইরি!
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১২:২৮710172
  • কিজানি আমার তো রকমই মনে হয়। অন্তত ইঞ্জিনিয়ারিংএর ইঁদুর দৌড়ে না গিয়ে অন্যভাবে কেরিয়ার গড়া যায়।
  • Rit | 213.110.242.6 | ০৬ জুন ২০১৬ ১২:৩৫710174
  • T,
    হে হে।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১২:৩৬710175
  • টুকি বাবুর একটা কোট না দিয়ে থাকতে পারলাম নাঃ "The best thing about being a statistician is that you get to play in everyone’s backyard" ঃ) এইচএসডি অবধি শিখে ফেলতে পারলেও চাকরি পাওয়া সম্ভব, সাথে ভালো করে কয়েকটা প্যাকেজ যেমন স্টাটা আর আর।
  • Rit | 213.110.242.6 | ০৬ জুন ২০১৬ ১২:৪০710176
  • dc,
    ন্যানোর কথা আর বলবেন না। আম্রিগাতে রিসার্চ ফান্ডিং প্রচুর ছিল গত ১০ বছরে, তাই প্রচুর পি এইচ ডি তৈরী হয়েছে ন্যানো তে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিয়াল চাকরী নেই। এখন বার্কলি থেকেও পি এইচ ডি করে লোকে আম্রিগাতে চাকরী পাচ্ছে না। আর এরকম ডোমেন হল কোয়ান্টাম কম্পিউটার-কমিউনিকেশন।

    এখনও ন্যানোর চেয়ে কমিউনিকেশন সেফার বেট। 5G, IoT তে চাকরী হবে।
  • Rit | 213.110.242.6 | ০৬ জুন ২০১৬ ১২:৪৩710177
  • তবে ৯০-০০ এর দশকে সিলিকন ভ্যালী তে ভি এল এস আই আর আই টি যে আনপ্রেসিডেন্টেড সাকসেস উপভোগ করেছে সেটা সব সময় রিপিট করা চাপ আছে। সব ভালোরই তো শেষ আছে।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১২:৪৯710178
  • Rit আচ্ছা, এটা জানতাম না। তবে ব্রড কেরিয়ার অপশানস তো আস্তে আস্তে পাল্টায়, আমাদের ছেলেমেয়েরা যখন বড়ো হবে তখন হয়তো এই কেরিয়ার অপশানস গুলো একটু পাল্টাবে। আর হ্যাঁ কমিউনিকেশান্স নিয়ে তো প্রচুর কাজ হচ্ছেই। ন্যানো, কিউডি এসব নিয়েও তো গাদা কাজ হচ্ছে দেখি। ন্যানোবায়ো ইন্টারফেস নিয়েও হচ্ছে। ওভারল মনে হয় ইঞ্জিনিয়ারিংএর পেছনে পড়ে না থেকে অংক আর স্ট্যাটসে বেস বানিয়ে ফেলে তারপর সায়েন্স বা সোশ্যাল এর কোন স্ট্রিম নিয়ে পড়েও কেরিয়ার বানানো সম্ভব। T বাবু অবশ্য তাতে মাইরি বলতেও পারেন ঃ)
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১২:৫১710179
  • "সব ভালোরই তো শেষ আছে" এটা এক্কেবারে আমার মনের কথা বলেছেন। একেকটা এরিয়া কিছুদিন ধরে হট কেরিয়ার অপশন হয়, আস্তে আস্তে স্যাচুরেশান আসে, আরেকটা নতুন কেরিয়ার অপরচুনিটি খুলে যায়। পরিবর্তন হতেই থাকে।
  • bip | 183.67.3.44 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৫:৪৬710180
  • কে কোন সাবজেক্ট পড়ল, তার থেকেও বেসিক ভাল রাখাটাই জরুরী। আরো জরুরী কম্পীটিশনের থেকেও কনস্টান্ট উপযোগী ব্যপারগুলো শিখে যাওয়া গভীরে। আজ থেকে ২০ বছর বাদে চাকরী কোথায় হবে, কেউ জানে না। সুতরাং বেসিক স্ট্রং করে রাখাটাই একমাত্র সমাধান । বেসিক মানে কিছুটা গণিত, স্টাট, কোডিং, ইলেক্ট্রনিক্স, সিগন্যাল প্রসেসিং এর বেসিক, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেসিকস -এগুলো একটু গভীরে জেনে রাখা ভাল।

    আমি আই আই টিতে ইঞ্জিনিয়ারিং এর এরোনটিক্যাল পাচ্ছিলাম, তার বদলে ৫ বছরের ইন্ট্রিগেটেড এমসি ফিজিক্স নিয়ে ঢুকলাম। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা কোনকালেই ছিল না-খারাপ র‍্যাঙ্ক করায়-সেই সুবিধা আরো প্রশস্ত হয়।

    কিন্ত আই আই টিতে প্রথম বছরটা পুরো কমন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সই পড়তে হত, দ্বিতীয় বছরের অর্ধেকটাও ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং।

    শালা পড়তে গেলাম হাইজেনবার্গ- ফিজিক্সের খোঁজ নেই- আর এদিকে ওয়ার্কশপে মেটাল মোল্ডিং, লেদ মেশিন চালানো শিখতে হচ্ছে। ভীষন হতাশার সময়।

    প্রফেসর এইচ এন আচারিয়া ছিলেন আমাদের মেন্টর-উনাকে আমি হতাশার কথা বল্লাম। উনি বল্লেন বেটা-ঝড়ে কোন গাছ ভাঙে জান? সব থেকে লম্বা গাছটা। যে গাছের গুড়ি মোটা তা ভাঙে না। মানে যত গুলো সাবজেক্টের বেসিক শেখা শিখে নাও-শুধু ফিজিক্স ফিজিক্স করে লাফিও না।

    খুব খুশী হয় নি উনার কথা শুনে সেদিন।

    কিন্ত আজ বহুদিন বাদের উনার কথার মর্মাথ যথাযত উপলদ্ধি করেছি। আই আই টিতে ওই প্রথম একবছর গাঁতিইয়ে ছটা মেকানিকাল ওয়ার্কশপ করা খুব কাজে এসেছে জীবনে। প্রকৃত ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে মেক্যানিকাল ওয়ার্কশপের বেসিক আর ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রিং এর অভিজ্ঞতা সবারই থাকা দরকার।

    পরবর্তীকালে যখন টেলিকমে পি এই চ ডি করি-আসলে গন্ডাই পিন্ডেই শুধু ইক্যুয়েশন সলভ করেছি। আবার নিজের ফিল্ডে ইন্ডাস্ত্রিতে ঢুকে বুঝেছি-আমার গাইড জানতেনই না ( ইনি কেন, বাকীদের অক অবস্থা) ইন্ডাস্ট্রিতে কি চলছে। তবে এক্ষেত্রে আমি ভাগ্যবান। ইটালিতে তুরিন পলিটেকনিকে আমার লোকাল গাইড ছিলেন পিয়ারুলুইজি বলে এক ভদ্রলোক-যিনি ইন্ড্রাস্টী থেকে এসেছিলেন । উনার কাছে গেছি তিন বছর আই আই টিতে পি এইচ ডি হওয়ার পরে- উনি আমার কাজ দেখে বল্লেন এসব তাত্ত্বিক করলে-কিস্যু হবে না, ইন্ডাস্ট্রিতে এসবের দরকার নেই। তোমাকে নতুন প্রবলেম দিচ্ছি-এইদিকে কাজ কর। উনি আমায় বাঁচিয়েছিলেন। সত্যিই পি এই চ ডির পরে আমার চাকরির অভাব হয় নি। আই আই টি তে পি এই চ ডি শেষ করেও আমেরিকাতে চারটে চাকরি পেয়েছিলাম যা আমেরিকাতে পি এই চ ডি করা ছেলেরা পায় না। কারন পিয়ারুলিজি। উনি পথ দেখিয়েছিলেন ইন্ড্রাস্ট্রি কি চায়।

    সুতরাং ট্যালেন্ট কম্পিটিশন এসব অর্থহীন জিনিস। ক্যাপিটালিজমে টিকে থাকার লড়াই এ মূল বক্তব্য হচ্ছে মার্কেট যে স্কিল ইনোভেশন চাইছে, সেই দিকে সর্বদা ইম্প্রোভাইজ করে যাও।
  • pi | 192.66.40.166 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৬:১৫710181
  • কারুর বাংলা, ইতিহাস, পল সায়েন্স , সোশিওলজি বা আঁকাজোখা এসব ভালো লাগলে কী করবে ? মার্কেট এসব নিয়ে কোন স্কিল ইনোভেশন না চাইলে ?
    আর এসব লাইনে পড়লেই এখনো চাকুরি পাওয়ার গ্রান্টি নেই কি সেফ বেট নয় বলে সেগুলো পড়তে ডিসকারেজ করা হবে ?
  • bip | 183.67.3.44 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৬:৪১710182
  • একদমই না। তাদের উৎসাহিত করতে হবে। কিন্ত দেখতে হবে, তাদের এক্সেল করার মতন এলেম আছে কিনা।

    তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যায় চাকরির অবস্থা ইতিহাসের থেকে ভাল কিছু না। এবার আমার ব্যাচের যেকটা তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার মোহে সব কিছু ত্যাগ করে ওতেই পড়েছিল-একমাত্র সৌগত বসু ছাড়া ( যে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হয়েছে মাত্র ৩০ বছর বয়সে) বাকী সবাই ৭ বছর পি এই চ ডি ৬ বছরে তিনটে পোস্টডক্ট করে আল্টিমেটলি নিউয়ার্ক নইলে লন্ডন স্টক এক্সজেঞ্জে ম্যাথ মডেলিং করছে। সুতরাং ১৩ বছর ওদের জীবনে নষ্ট হয়েছে । কারন ওদের কারুর সৌগতর লেভেলে ক্যালি ছিল না।

    সুতরাং ইতিহাস, সঙ্গীত, দর্শন এসব নিয়ে পড়তে চাইলে, প্রথমেই দেখতে হবে এলেম আছে কি না। না হলে, অবশ্যই উৎসাহিত করা উচিত না। এলেম থাকলে, সব রকমের সাহায্য দিতে হবে।
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৬:৪৩710183
  • প্রথমত এইযে ভাগগুলো দিয়ে আমরা "সাবজেক্ট" চিনি , এগুলোই মার্কেট ক্রিয়েটেদ । একেক সময়ে একেক রকম চাহিদা তৈরী হয়েছে , লোকে সেইদিকে ফোকাস করে একটা আলাদা সাবজেক্ট হিসেবে নাম দিয়েছে । আদি অনন্ত ধরে সাবজেক্ট গুলো ছিল এখন মার্কেট এসে তাদের অনাথ করে দিচ্ছে এমন আদৌ না :))

    এবার চাহিদা শিফট করতে থাকে এবং স্কিল ডেফিনিশন বদলে বদলে যায় ফলত আমরা সেই পুরনো সাবজেক্ট এর নাম দিয়ে নতুন স্কিল ডেফিনিশন কে ম্যাপ করতে পারিনা । যদি বলি "বাংলা " নিয়ে পড়ে কি হবে ? সিরিয়াসলি কোনো উত্তর নেই একাদেমিয়ায় চাকরি ছাড়া । কিন্তু স্কিল টার কিন্তু ছোট হলেও মার্কেট আছে । যদি মার্কেট টা সত্যি স্যাচুরেট করে যেত তাহলে সিরিয়ালের কন্টেন্ট রাইটিং থেকে এড এর বাংলা ভার্সন , সিনেমা এই সমস্ত মিডিয়া তে এত ভুল বাংলার ছড়াছড়ি দেখতুম না । এই ব্যাঙ্গালোরেই একটা কোম্পানি আমাদের অফিসের নীচের ফ্লোরে ছিল যাদের কাজ সমস্ত ইন্ডিয়ান ল্যন্গুএজ এ সাব টাইটল আর কন্টেন্ট বানানো । কন্নর-বাংলা -ওরিয়া সমস্ত ভাষার চাকরি হয় ।

    তারপর ইতিহাস । ইতিহাস পড়ে একাদেমিয়ার বাইরে কি হবে ? আমার পরিচিত দুজন আছে হিস্ট্রি তে মাস্টার্স করে জর্মন আর ফ্রেন্চ শিখে হিস্টরিকাল টুরের সরকারী গাইড । বিশাল রোজগার ও সম্মান । ফরেন ডেলিগেট এলেই এরকম গাইড এর দরকার পড়ে ।

    আঁকাজোকার কদর তো মিডিয়া থেকে ডিসাইনিং সর্বর্ত্র আছে । আঁকা থেকে ফটোগ্রাফি এই পুরো ফিল্ড টা এখন মাস্টার অফ ফাইন আর্টস এর আওতায় পড়ে । যারা ইন্ডিয়া থেকে বিয়েফে করে বিদেশ থেকে এমেফে করে এসেছে তাদের কাওকে বসে থাকতে দেখিনা । অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে চুটিয়ে কনসাল্টেন্সি করেছে ।

    সাবজেক্ট এর নাম ধরে এনকারেজ বা ডিসকারেজ দুটো করাই চাপের । স্কিল ডেফিনিশন ধরে ম্যাপ করলে দেখা যাবে মার্কেটে কোনো না কোনো ফিল্ডে চাহিদা থেকে যায় , এক বা একাধিক সাবজেক্ট এর অংশবিশেষ জুড়ে বাস্কেট গুলো পাল্টাতে থাকে শুধু ।
  • বিপ | 183.67.3.44 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৬:৪৫710185
  • ফ্রাংলি, ৫ বছর ফিজিক্স পড়ে, টেলিকমে পি এই চডি করার এটাও একটা কারন ছিল যে, আমি বুঝেছিলাম একাডেমিশিয়ান হতে গেলে যে ডেডিকেশন, স্যাক্রিফাইস লাগে, সেটা আমার দ্বারা হবে না। শুধু বুদ্ধি বা ট্যালেন্টের প্রশ্ন না-গান, চিত্রকলা, অভিনয়, ইতিহাস, এসব সাবজেক্টে টিকে থাকতে গেলে যে স্যাক্রিফাইস, ডেডিকেশন লাগে-সেগুলোও দেখতে হবে।

    সুতরাং যারা এইসব লাইনে যেতে চাইছে -দেখতে হবে ইচ্ছার সাথে সাথে এলেমটাও যেন থাকে। নইলে "না"।
  • বিপ | 183.67.3.44 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৬:৪৬710186
  • তারপর ইতিহাস । ইতিহাস পড়ে একাদেমিয়ার বাইরে কি হবে ? আমার পরিচিত দুজন আছে হিস্ট্রি তে মাস্টার্স করে জর্মন আর ফ্রেন্চ শিখে হিস্টরিকাল টুরের সরকারী গাইড । বিশাল রোজগার ও সম্মান । ফরেন ডেলিগেট এলেই এরকম গাইড এর দরকার পড়ে ।
    >>
    একদম ঠিক। আমি গেথিসবার্গে সিভিল ওয়ারের টুর নিলাম আগের মাসে। আমার গাইড ছিল ইতিহাসের পি এই চ ডি। দারুন লেগেছে/
  • pi | 192.66.40.166 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৬:৫২710187
  • সেই তো। তাহলে এই বিষয়গুলোর নাম বাদ কেন ? বা, ইঞ্জিনীয়ারিং , ডাক্তারি বাদ দিলেও সেই কয়েকটি বিষয়ই কেন ? গুরুতেই একবার ইংরাজী পড়তে চাইলে দেওয়া উচিত না এরকম কোন লাইনে বক্তব্য দেখেছিলাম।
    আর কেউ কোন বিষয় নিয়ে প্যাশনেট হলে শেষমেশ কিছু না কিছু করতে পারেই। দরকার, তেমন কিছু করার অপশন চোখের সামনেই নেই বলে বা সবাই সেই পড়ে হাঁটছে বা বলে সেটাকে ডিসকারেজ না করে, কী কী করতে পারে সেগুলোকে আরো সামনে আনা। নইলে পুরো ভিশাস সাইকেলে ঘোরাঘুরি হয়ে যায়।
  • pi | 192.66.40.166 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৬:৫৪710188
  • আর যে বিষয়ে পড়া হচ্ছে, সব কাজে সেই পড়া খুব স্পেসিফিকালি কাজে লাগে, এমনও না।
    আনালিটিকাল স্কিল ডেভেলপ করতে শেখালে, পড়ানোর প্রসেসে সেটায় এনকারেজ করলে, পরে শিখে নিয়ে নিজের ইচ্ছেমতন কাজও ( অনেক ক্ষেত্রেই, সব নয়) করা যায়।
  • বিপ | 183.67.3.44 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৭:০৬710189
  • আর কেউ কোন বিষয় নিয়ে প্যাশনেট হলে শেষমেশ কিছু না কিছু করতে পারেই
    >>
    এই লাইনটার সাথে একমত না। তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্দের জন্য তাও স্টক মার্কেট আছে। সেখানেই আশ্রয় নেয় ৯০% তাত্বিক পদার্থবিদ।

    যারা গান বা ইতিহাস বা দর্শন নিয়ে পড়ছে, তাদের ফল ব্যাক অপশন অনেক কম। গানের জন্য যেসব মেয়েরা স্যাক্তিফাইস করেছে, তাদের ৯৫% এর স্থান এখন গানের টিউশনি। এবং হতাশা। ইতিহাস দর্শনে সেই ফলব্যাক অপশন ও নেই। মেয়ে হলে বৌ হিসাবে ঘরকন্না উদ্ধার করা। এগুলোকে অপশন বলা যায় কি না জানি না।
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৭:০৭710190
  • কারণ ওই ফীল্ড গুলোতে গড় সাকসেস রেট্ টেকনিকাল বা মেডিক্যাল ফিল্ডের তুলনায় কম । আর্টস নিয়ে পড়ে সাকসেস পেতে গেলে মাল্টিডিসিপ্লিনারি হতে হয় , প্রতি মুহুর্তে খোঁজ রাখতে হয় ইন্দাস্ত্রী তে আর্ট এর ব্যবহার কিভাবে হচ্ছে । একটা মেডিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্টুডেন্ট যেমন বেরিয়েই চাকরির সুযোগ পায় সেটা নেই। ন্যাচেরালি সবার পারিবারিক অবস্থা সেটা টানতে পারেনা ।

    একজন ইন্জিনারের বা একজন ডাক্তারের কারিয়ার গ্রাফ ব্যাচেলর করে থেকেই শুরু হয়ে যায় । সেখনে একজন যদি ফটোগ্রাফি আঁকড়ে পড়ে থাকে তাহলে বম্বে বা দিল্লি থেকে বিয়েফে করো তারপর বিদেশ থেকে এমেফে । এখন এমেফে তে চান্স পাওয়া কঠিন । ইয়েল ইউনিভার্সিটির মত জায়গায় কজন আর ঢুকতে পারে । এই জায়গাগুলোতে ইন্দুর দৌড় নেই তা নয় । কত ছেলেমেয়ে হতে চেয়েছিল পেইন্টার তারপর শেষে কিউরেটর এর চাকরি করছে । ডাক্তারি -ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ক্রেজ এর মূল কারণ লোকের মাথায় একটা ধারণা আছে যে জীবনের কয়েক বছর ভালো করে গান্তালে ঠিক দাঁড়িয়ে যাওয়া যাবে । অন্যদিকে আর্ট ফিল্ডে এই লড়াই টা অনেক বেশি । মধ্যবিত্ত পরিবারে চটপট উপার্জনশীল হওয়া একটা ফ্যাক্টর । সেটা এড়ানো সম্ভব না । আর্ট ফিল্ডের উন্নতি সেই দেশেই হয় যেখানে এফ্লুএন্ত ফ্যামিলি বেশি । মিডিয়া -এন্তর্তেইন্মেন্ত এ টাকা আছে । আমাদের দেশে পুনে থেকে সিনেমাটোগ্রাফি করে সংসার চালানোর মত জায়গায় পৌছতে চুল দাড়ি পেকে যায় । যেমন দেশ সেরকমই পেশা নির্বাচন হবে ।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৭:০৮710191
  • বিপের সাথে একমত। যার যেটায় এবিলিটি আছে বা যে যে বিষয় শিখতে আগ্রহী, অবশ্যই তাকে সেই বিষয় নিয়েই প্ড়ার উৎসাহ দেওয়া উচিত। আসলে আমি প্রথমে অংকের কথা বলেছিলাম এইজন্য যে অংকে যদি কেউ ভালো হয় তো সে প্রায় যেকোন এরিয়াতেই তার কেরিয়ার গড়ে নিতে পারে (তাতে অবশ্য T খুবই বিস্মিত হয়ে মাইরি বলে ফেলেছেন)। অ্যানালিটিকাল স্কিল ভালো হলে যেকোন পড়াশোনায় অ্যাপ্লাই করা যেতে পারে, বা পরে কেরিয়ারে উন্নতি করা যেতে পারে। অবশ্যই সবার অ্যানালিটিকাল স্কিল সমমানে হবেনা, কিন্তু তাহলেও সে যে বিষয় শিখতে উৎসাহী তাকে সেই বিষয় নিয়েই পড়ানো উচিত।

    তবে কিনা এমনকি সোশ্যাল সায়েন্সেও স্ট্যাটস ভালো জানলে সুবিধে, একবার পি ভ্যালু আর কোহেনবাবুর ডি বার করে ফেলতে পারলে কেল্লা ফতে। আবার একক ইতিহাসের উদাহরন দিলেন, এই তো আজকেই খবরে দেখলাম আর্কিওলজিস্ট, ফিজিসিস্ট আর সোশিওলজিস্টরা মিলে বলছে হরপ্পার ইতিহাস নাকি এখন যেরকম ভাবা হয় তার থেকেও প্রাচীন। এখন ক্রস ডিসিপ্লিনারি স্টাডির বাজার ভালো।
  • pi | 192.66.29.162 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৭:২২710192
  • কিন্তু কিউরেটরের চাকরি করে তো কেউ আইটি তে যাবার থেকে বেশি আনন্দ পেতেই পারে। সেই অপশনটা রাখা হয় কোথায় ? মানে, পিয়ার প্রেশারের ঠ্যালায়, যে তোমাকে এই কেরিয়ারটাই নিতে হবে, এই চাকরিটাই পদস্থ , এই রকম মাইনে না হলে মুখ দেখানো যাবে না, এই এই এই জিনিস না করতে পারলে কি কিনতে পারলে , জীবনে এই এই ইরকম লাইফস্টাইল মেইন্টেইন করতে না পারলে আর কী ই বা হল ইঃ ইঃ ।এই 'এই' গুলো নির্ধারণ করে দেওয়া না বদলালে কিছুই বদলাবে না।
    আমি এরকম কাউকেও জানি যে কোন এক 'ভাল' বিষয়ে সবচে নামকরা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ে বিদেশে পড়াশুনো করে, দেশে ফিরে সেরকম প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর চাকরি নেবার কথাতে চিন্তায় পড়ে যায়। বোধহয় এখানেই একবার কোন আলোচনা হয়েছিল, যেখানে অনেকে বলেছিলেন, কত কত মাইনে না হলে চালানো যায় না, কত কত না জমাতে না পারলে চলবেই না। এগুলো কি এভাবে বলা যায় ? মানে বললেই তো একটা নির্দিষ্ট জিনিস সেট করে দেওয়া হল, যাকে 'ভাল থাকা, ' ভালোভাবে বাঁচা' বলে। টিমের সকালের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এটা মনে পড়ল।
  • dc | 120.227.229.40 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৭:৩২710193
  • এতে এক্কেবারে একমত - এই পিয়ার প্রেশারের থেকে ভয়ানক জিনিস আর হয়না। পিয়ার প্রেশার বা এক্সপেক্টেশান বা সামাজিক চাহিদা। আর সমাজে থাকতে গেলে এই এক্সপেক্টেশানগুলো কি একেবারে উপেক্ষা করা সম্ভব? জানিনা। তবে এটা দেখি মিডিয়া ভীষন ভাবে এই এক্সপেক্টেশানগুলো রিইনফোর্স করেই চলে, এই প্রত্যাশার চাপ বেড়েই চলে, স্টিরিওটাইপিং হয়েই চলে। এগুলোকে কমাতে পারলে ভালো হতো।
  • @ | 133.242.242.17 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৭:৪২710194
  • ধুস, সিম্পল জেনারেল ম্যানেজার হয়েই কি মন্দ আছি। ইঞ্জিনিয়ারিং কবে ভুলে গেছি (কি হাতি ঘোড়া ক্ষতি হয়েছে?), আইটি তে কোডিং করতেও হয় নি, কিন্তু ম্যাঃ বনে গেছি। কিছু ছেলে-চরিয়ে জীবন ভালই চলছে। বিদেশে ঘোরাও হয়, মাসগেলে মাইনে ঠিকঠাক আর তার দৌলতে বাড়ী, গাড়ি আর বুকুনি মারি। ছেলে মেয়ের ভাল স্কুলে পড়ার খরচও তো এই চাকরী দৌলতেই। কোনটা কার জন্য ভাল যদি এত সহজে বলা যেত!
  • Ekak | 53.224.129.51 | ০৬ জুন ২০১৬ ১৮:০৫710196
  • একটা লেভেলের নীচে সত্যি চালানো যায়না । ওরকম নিজের মত ভালো থাকা বলে কিছু হয়না কারণ বেসিক খরচ খরচা গুলো আমার নিজের মত করে কম টাকায় মেটানো সম্ভব না । এই লেভেলের যার যার নিজের মত এরকম ও না । একটা গাড়ি , একটা বাড়ি কিছু বেসিক ফেসিলিতিস এগুলো একজন মানুষেরই মিনিমাম দরকার । যদি না কাজের পার্কস হিসেবে অলরেডি পায় । রেগুলার মোটা অঙ্কের মেদিক্লেম ভরা দরকার । সংসার -ছেলে মেয়ে হলে তো আরও অনেক অনেক বেশি দায়ীত্ব । যে বাড়ির যত মনিটরি ব্যাকাপ তাদের ছেলেমেয়ে তত বেশিদিন ধরে পড়াশোনা টানতে পারে , কারিয়ার নিয়ে পরীক্ষানীরিক্ষা করতে পারে ।

    পেইন্টার হতে চেয়ে কিউরেটর হওয়ার কথা বোল্লুম কারণ আর্টের লাইনে এসপিরেশন টা অন্যরকম । ওখানে এন্তার্প্রেনীয়রালরাই শুধু করে খেতে পারে । একজন ফটোগ্রাফার ভাবে করে তার এক্সিবিশন হবে । একজন পেইন্টার ভাবে কবে তার ছবি অমুক পেইন্টার এর মত দামে বিকোবে । ওখানে সেলিব্রিটি হওয়াটা লক্ষ্য কাজেই হতাশা ও বেশি ।

    উল্টোদিকে আইটির জনতারা বিন্দাস থাকে কারণ তারা ওসব কিছু হতে টোতে চায়নি । যখন যেমন দরকার পড়েছে টেকনোলজি শিফট করেছে , চাকরি করেছে , মাইনে বাড়াবার চেষ্টা করেছে এবং তাই নিয়ে কম বেশি ফুল্ফিল্ড । আর্ট এ আইদার তুমি বিশাল কিছু হবে এবং তার সঙ্গে পয়সাও হবে । নৈলে কেও তোমায় চিনবেনা এবং পয়সাও হবেনা । বড্ড বেশি এন্তার্প্রেনীয়রাল জগত ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন