এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বঙ্গের বিধি বাম না ভাম ?

    bip
    অন্যান্য | ২৮ মে ২০১৬ | ২৮৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • বিপ | 80.192.203.190 | ২৮ মে ২০১৬ ০৯:৩১710286
  • বঙ্গের বিধি বাম ? বাম ঐক্য না মরিচীকা?
    ********************************
    (১)
    বঙ্গের বামেরা স্বভাবতই এখন গভীর মনোকষ্টে, কেউ কেউ কোমায়। মধু কবির ভাষায় --

    "কি পাপ দেখিয়া মোর, রে দারুন বিধি,
    হরিলি এ ধন তুই? হায়রে কেমনে
    সহি এ যাতনা আমি ? কে আর রাখিবে
    এবিপুল কুলমান, একাল সমরে ! "

    বামেদের মূল যন্ত্রনা, অপূর্ন অভিলাশের শুরু এই "বাম" শব্দটির ন্যারেটিভ থেকে। এটা অনেকটা মদ্যপানের মতন- কিছু কিছু মানুষ নিজেকে বাম, হিন্দু, মুসলমান, বাঙালী এলিট এইসব পরিচিতির মাদকে "হাই" ফিল করে ! এই ধরনের আইডেন্টিটি-তাদের নিজেদের কাছে গর্বের বিষয়। কারন এরা মনে করে তারা এক মহান চিন্তাধারা, মহান আদর্শের ধারক এবং বাহক। যদিও এই মনে করার পেছেন আছে অজস্র মিথ বা রূপকথার গল্প-যা ঐতিহাসিক সত্য না। তাতে সমস্যা নেই। সমস্যার শুরু যখন তারা বিশ্বপৃথিবী এবং তার চলমান ঘটনাগুলিকে কেবল মাত্র-তাদের দৃষ্টিকোন দিয়েই দেখবে। অন্য ন্যারেটিভ, কাউন্টার ন্যারেটিভ এবং ফ্যাক্টস-রামধেনু রঙে পৃথিবীটাকে দেখতে ব্যর্থ হওয়াটাই আদর্শবাদিদের পতনের মূল কারন।

    এই নির্বাচনে শুধু সিপিএম না । সুসি, সিপিয়াইএম এল সহ সব বামপন্থীরাই শুয়ে গেছে।

    প্রশ্ন হচ্ছে পশ্চিম বঙ্গে বামপন্থার ভবিষ্যত কি? গোটা বিশ্বেই বা বামপন্থার কি ভবিষ্যত?

    সিপিএমের কোন ভবিষ্যত নেই-এটা নিয়ে কোন সন্দেহই নেই। সিপিএমকে আদৌ বামপন্থী পার্টি বলা যায় না বলেই আমার বিশ্বাস এবং বিচার।

    কিন্ত তার মানে কি সামগ্রিক ভাবে পশ্চিম বঙ্গে বা ভারতে বা বিশ্বে বামপন্থার ভবিষ্যত নেই?

    (২)

    তার আগে "বামপন্থা" ন্যারেটিভটি আসলে কি ধরনের কাঁঠালের আমসত্ত্ব, তা নির্ধারন করা দরকার। আমি আমেরিকা এবং পশ্চিম বঙ্গ-দুদিক দিয়েই উদাহরণ টানছি।

    এবার আমেরিকান নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বার্নি স্যান্ডার্সের উত্থান বিরাট বড় ঘটনা। বার্নির পজিশন, সিপিএমের থেকেও অনেক বামে। প্রায় সিপিয়াই এম এলের কাছাকাছি। আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারীতে ডেমোক্রাটিক পার্টির নমিনেশন না পেলেও ( বা পাওয়ার চান্স প্রায় নেই), নিরেপেক্ষ ভোটারদের মধ্যে বার্নি, তার প্রতিদ্বন্দী হিলারীর থেকেও বেশী জনপ্রিয়। কিন্ত ডেমোক্রাটিক পার্টি সাপোর্টারদের কাছে, তার গ্রহণযোগ্যতা খুব কম-ফলে তিনি হারছেন।

    এই তথাকথিত বামপন্থি বার্নির জনপ্রিয়তা সাধারন নিরেপেক্ষ ভোটারদের কাছে-তা কি এই "ডান" "বাম" ন্যারেটিভে ব্যখ্যা করা সম্ভব??

    একদমই না।

    কারন দুটোঃ

    ক) নিরেপেক্ষ ভোটারদের পলিটিক্যাল এফিলিয়েশন নেই। এরা ডান বাম নিয়ে ভাবেন না। যেমন বার্নির সমর্থকদের ৪০% প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দেবে বলছে ( যেহেতু বার্নি নমিনেশন পাচ্ছেন না ) -ট্রাম্প সাংঘাতিক ভাবে নরেন্দ্রমোদির থেকেও অনেক বেশী দক্ষিনপন্থী। তাহলে বার্নির বেস ডান না বাম?

    খ) আরেকটা ঘটনা বলি। মেরীল্যান্ড এবং ভার্জিনিয়া পাশাপাশি দুটো রাজ্য। এর মধ্যে মেরীল্যান্ডে লেফট-সেন্টার পার্টি ডেমোক্রাটদের বেস প্রায় ৭০% ( ওবামা এখান থেকে ৭৮% লিড নিয়েছিলেন)। কিন্ত গত বছর মেরিল্যান্ডের লোকেরা কিন্ত দক্ষিনপন্থী রিপাবলিকান গর্ভনর হোগানকে জিতিয়েছে। যদিও মেরীল্যান্ডের দুটী আইন সভা এখনো ডেমোক্রাটদেরই দখলে। ভার্জিনিয়াতে হয়েছে উলটো। ওখানে আইন সভা রিপাবলিকানদের। কিন্ত গর্ভনর নির্বাচনে জিতেছে ডেমোক্রাটরা।

    বাম-ডান ন্যারেটিভ দিয়ে বার্নির উত্থান ব্যখ্যা করা যায় না। ব্যাখ্যা করা যায় না মমতার উত্থান ও। মমতা সিপিএমের থেকেও অনেক বেশী প্রমানিত বামপন্থী-যদি বামপন্থী ন্যারেটিভটার কোন ভ্যালু থাকে।

    সোজা কথা পৃথিবী যেদিকে এগোচ্ছে-তাতে এইসব ন্যারেটিভের কোন মূল্য থাকছে না। মোদ্দা কথা জনগনের দুর্দশা বাড়ছে নানান কারনে-যারা এইসব দুর্দশার কিছুটা লাঘব করার প্রতিশ্রুতি দেবেন বা সেগুলো নিয়ে কাজ করবেন-জনগণ তাকেই ভোট দেবে।

    (৩)

    আমি আমেরিকা, ভারত বা পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতিতে খুব বেশী পার্থক্য দেখছি না। সব জায়গাতেই মূল সমস্যাগুলো একধরনের -

    ক) লোকজনের আয়ের বিভেদ- মাত্র ১% লোকের হাতে ৯০% সম্পদের মালিকানা চলে যাচ্ছে। গরীব, মধ্যবিত্ত আরো গরীব হচ্ছে। ধনী এবং উচ্চবিত্ত-তাদের সম্পদ আরো বাড়াচ্ছে।

    খ) অটোমেশনের জন্য যন্ত্র বনাম মানুষের প্রশ্ন বারে বারে আসছে। অটোমেশনের দৌলতে অসংখ্য লোক কাজ হারাচ্ছে-তাদের পুনঃবাসন হচ্ছে না ঠিক ঠাক। ১% লোকেরা হাতে অধিক সম্পদ জমা হওয়ার কারন ও এই অটোমেশন।

    গ) পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। কোলকাতায় লোকজন অসম্ভব রকমের অসুস্থ। কারন বাতাস আর জলে এত দূষন । জল সম্পদ সম্পূর্ন ভাবে ধ্বংস হচ্ছে। ফলে লোকজনের জীবিকা, বেঁচে থাকাটাই আজ প্রশ্নের সম্মুখীন

    ঘ) চিকিৎসা ব্যবস্থা সাংঘাতি ব্যয়বহুল। চিকিৎসা করতে গিয়ে পরিবারের পর পরিবার দেউলিয়া হচ্ছে-কি আমেরিকা-কি ভারতে । আজকের দিনে ডাকাত এবং ডাক্তার শব্দদুটীর মধ্যে লক্ষনরেখা প্রায় বিলুপ্ত।

    ঙ) শিক্ষাও সাংঘাতিক ব্যায়বহুল। আমেরিকাতে শিক্ষা ঋন মেটাতে একজনের লাগে প্রায় কুড়ি বছর । ফলে তাদের বিয়ে সন্তানগ্রহণ সব পিছিয়ে যাচ্ছে-অধিকাংশ ছেলেমেরা চল্লিশের আগে সন্তান নিতে পারছে না। এটা রাষ্ট্রের জন্য ও ভাল না।

    মুশকিল হচ্ছে বামেরা যে ভুল করেন-বার্নিও সেই ফাঁদে পা দিয়েছেন। অর্থাৎ সব কিছুর জন্য-ক্যাপিটালিম এবং মার্কেট দায়ী!! ক্যাপিটালিজম ধ্বংস করার রাজনৈতিক বিপ্লবের স্লোগান প্রথমে কিছুদিন চললেও আস্তে আস্তে বার্নির আপিলের অসারতা প্রায় প্রমানিত।

    এই সমস্যাগুলোর জন্য ক্যাপিটালিজম দায়ী-সেটা নিয়ে বিতর্ক নেই।

    মূল বিতর্ক এখানেই -- এর সমাধান তাহলে কি?

    ক্যাপিটালিজমের ধ্বংস না উন্নততর মানবিক ক্যাপিটালিজম?

    বামেরা প্রায় সবাই মনে করেন ক্যাপিটালিজমের ধ্বংসই একমাত্র পথ। সেখানেই সব থেকে বড় ভুল। এই গ্লোবালাইজড অর্থনীতিতে "সমাজতান্ত্রিক দ্বীপ" তৈরী করে কেউ বাঁচতে পারবে না। এস ই জেড যদি আমি পশ্চিম বংগের জন্য আটকে দিলাম-অথচ হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, মহারাষ্ট্র রেখে দিল-তাহলে এস ই জেড বিরোধি বঙ্গবিপ্লবের ফল কি হইবে? সব কারখানা,চাকরি হরিয়ানা, উত্তরাখন্ডে চলে যাবে। গেছেও। গ্রীসের বামপার্টি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের বিরুদ্ধে এত হুমকি দিয়ে কি করল? পর্বতের মূষিক প্রসব। কারন গ্রীসের ক্ষমতা নেই একা একা একটা সমাজতান্ত্রিক দ্বীপ হয়ে বাঁচার।

    মুশকিল হচ্ছে বামেদের এইভুলগুলো করা উচিত না। মার্ক্স এগুলো অনেক দিন আগেই লিখে গেছেন। স্যোশালিজিম ইন ওয়ান কান্ট্রি-সম্ভব না। সমাজতন্ত্র আসার প্রাথমিক শর্ত আন্তর্জাতিকতা-এবং দেশের সার্বভৌম আইনের বিলুপ্তি। কারনটা সহজ। ভারতকে আমি সমাজতান্ত্রিক আইন দিয়ে সাজালাম। অন্যদিকে বাংলাদেশ, ভিয়েতনামে ধনতান্ত্রিক আইন চালু রইল। ভারতের ব্যবসায়ীরাই বাংলাদেশে গিয়ে ফাক্টরী খুলবে সেক্ষেত্রে।

    তবে এসব বলে কোন লাভ নেই। কোন বাঙালী বামপন্থীই মার্ক্স ভাল করে পড়ে নি। বাঙালী বামপন্থা-স্যোশাল প্রগ্রেসিভ আন্দোলনের ককটেল। বাঙালি বামপন্থা-কোন মতেই মার্ক্সবাদি না। ইন ফ্যাক্ট যারা মার্ক্স ভাল করে পড়েছেন, তারা বিলক্ষন অবগত থাকবেন, মার্ক্সকে সারাজীবন এই স্যোশাল প্রগ্রেসিভ সেকশনের বিরুদ্ধেই লিখে যেতে হয়েছিল।

    (৪)

    বামেরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাইলে-প্রথমে তাদের নিজেদের ভুলগুলো বুঝতে হবে। স্বীকার করতে হবে।

    এবং তারপরে বুঝতে হবে, মানুষ বামপন্থী বা ডানপন্থী হতে নারাজ। তারা বাঁচতে চাইছে। ন্যারেটিভে তাদের উৎসাহ নেই। সুতরাং ন্যারেটিভ বর্জন করে - ইস্যুর ভিত্তিকে একজোট হওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমি যে ইস্যুগুলো লিখলাম- চিকিৎসা, চাকরি, শিক্ষা-এগুলোতে দ্বিমত করার কিছু আছে কি?

    কিন্ত দ্বিমত হবে-যখন লোকে সমাধানের পথ খুঁজবে। এখন ধনের বৈষম্য আছে বলে যদি আমি হুটহাট করে কর্পরেট ট্যাক্স বাড়িয়ে দিলাম । জঙ্গী ট্রেড ইউনিয়ান চালালাম। কি হবে? ব্যবসা বানিজ্য-এবং তার সাথে সক্ষম জনগন রাজ্য ছেড়ে চলে যাবে। যা পশ্চিম বঙ্গে হয়েছে। ফেসবুকের বামেরা প্রায় কর্পরেট ট্যাক্স বা ছাড়ের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়েন-যেগুলো তাদের অজ্ঞানপ্রসূত বালখিল্যতার পরিচয়।

    সুতরাং বামেদের বিকল্প খুঁজতে হবে। কোয়াপরেটিভ একটি ভাল বিকল্প। ধরুন চা বাগান বন্ধ হচ্ছে। এখানে শ্রমিক আন্দোলন, রাজনীতি বৃথা। বাগানগুলো শ্রমিক কোয়াপরেটিভের হাতে তুলে দেওয়া হৌক। মাইনিং এর ক্ষেত্রেও আমি একই কথা লিখব। যেখানেই শ্রমিক শোষন বেশী-সেখানেই তা শ্রমিকদের কোয়াপরেটিভের হাতে দেওয়াই ভাল। ্ট্রেড ইউনিয়ান শ্রমিক সমস্যার কোন সমাধান না। তা হচ্ছে ঘাঁতে খুঁচিয়ে পুঁজ বার করা। এটাই ঐতিহাসিক সত্য।

    সোভিয়েতের পতনের ঠিক আগে, খনিগুলির উৎপাদন এত কমে যায়-রাষ্ট্র বাধ্য হয় শ্রমিকদের কোয়াপরেটিভ করে-সেগুলো শ্রমিকদের হাতে দিয়ে দিতে। কারন এক্ষেত্রে উৎপাদন কমলে শ্রমিকদের নিজেদের মাইনে কমবে। এই উদ্যোগের ফলে সোভিয়েত মাইনিং সেক্টরে আবার উৎপাদন ফিরে আসে।

    মোদ্দা কথা ব্যক্তিমালিকানা অস্বীকার করা যেতে পারে-কিন্ত মার্কেটকে অস্বীকার করলে, মার্কেট মহাদেব ভষ্ম করবেন। এটাই রূঢ় বাস্তব। সুতরাং কোয়াপরেটিভ আন্দোলনের মাধ্যমে বামেরা আবার জমি ফিরে পেতে পারে। কিন্ত তাদের একদম প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।

    হাসপাতাল এবং শিক্ষাকেও কমিউনিটির ভিত্তিতে ভাবতে হবে। প্রাইভেট স্কুল, প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ে খোদ আমেরিকাতেই কমিনিউটি স্কুল এবং হাসপাতাল অনেক ভাল চলে। এগুলোই আসল আন্দোলন। সেসব বাদ দিয়ে হাঁসপাতালে কোয়ার্ডিনেশন কমিটি আর স্কুলে এবিটিয়ে করাটা আসলেই একটা অতিক্ষুদ্র শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষা করা। সেগুলো যদি বামপন্থা হয়, বা বামপন্থার মূল উদ্দেশ্য হয়, পশ্চিম বঙ্গ বামমুক্ত হওয়াটাই শ্রেয়।

    মোদ্দা কথা আদ্দিকালে চিন্তাধারা থেকে না বেড়োতে পারলে, বঙ্গের বিধি "নো ভাম"।
  • Ranjan Roy | ২৮ মে ২০১৬ ১০:৩৫710297
  • প্রথমবার বিপের যুক্তিজালে বদ্ধ হইলাম।আমি কি রেনেগেড?
    নাঃ; আমিও তো বর্তমানে বঙ্গ তথা ভারতের বিকল্প ব্যব্স্থা হিসেবে কোয়ালিশন সরকার পরিচালিত ওয়েলফেয়ার স্টেটের কথা ভাবিতেছি; বিপ্লব দূর অস্ত্‌!
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ২৮ মে ২০১৬ ১৬:৫৫710308
  • মানুষ বামপন্থী হতে নারাজ বলে বিপ শেষত আদি ও অকৃত্রিম সোশ্যালিস্ট দাবী তে ফেরত এসেছেন, co-operative ও communitarian idea য়... cpm কে বাম ভাবলে এইই হবে অবশ্য। যদিও সেগুলো কিকরে হবে সে বিষয়ে কবি utopian socialist দের মতই নীরব, heavily progressive taxation এর বিরোধিতা আর co-operativism ও municipal communism সমর্থন করা, এ দুইই একই সাথে করতে বিপই পারেন।

    তবু বিপ anti-leninist বলেই বোধহয় তবু positive point গুলো, তাদের utopian ধরণটা নিয়েও আছে, রঞ্জনদার position astoundingly regressive... ( প্রাক্তন লেনিনিস্ট বলেই কি? )

    "Welfare state"???!!!!
    এর চেয়ে ভারত রাষ্ট্রের সংবিধান ও অনেক ভাল, সেখানে অন্তত socialist শব্দটি লেখা আছে, যদিও 'socialist state' এই শব্দটা 'welfare state' এর চেয়ে একটুও কম খোরাকের এমন নয়।

    এই আদ্যন্ত ধান্দাবাজ দলগুলোর কোয়ালিশন ইত্যাদি নিয়ে নাহয় নাই বা বললাম।
  • Ranjan Roy | ২৮ মে ২০১৬ ১৭:৩৮710319
  • স্বর্নেন্দু,
    সব ঠিক। কিন্তু লেনিনের প্রবাসী জীবনের প্রভাবেই বোধহয় স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোতে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট রাজনীতি, জেন্ডার / ইকোলজি ইস্যু ও হাই ট্যাক্সেশন ও বেকার/বার্ধক্য ভাতা, ফ্রি সরকারি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা এগুলো নিয়ে ভারতের নেহেরুর "সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজ" বা ইন্দিরার সংবিধানে সোশ্যালিজম শব্দ যোগ করার চেয়ে বেশি ভালো নয়?
  • Ranjan Roy | ২৮ মে ২০১৬ ১৭:৪০710330
  • ডিঃ আমি আদৌ ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর কোয়ালিশন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাসি আনবে এমন স্বপ্নেও ভাবি না। সে ওদের দলের নামের সঙ্গে যে শব্দই জোড়া থাক।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ২৮ মে ২০১৬ ২২:০৫710337
  • রঞ্জনদা,
    স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোর আজকের পলিসির সাথে লেনিনের প্রবাসী জীবনের রেফারেন্সটা বুঝলাম না, লেনিনের প্রবাসী জীবন তো পশ্চিম ইওরোপে, মিউনিখ, জেনেভা, লন্ডনেও, কিন্তু স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় তো নয়, ওই এস্তোনিয়ার কাছে রাশিয়ার যেখানে ছিলেন সেইটার কথা বলছেন কি?

    আর স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোতে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট রাজনীতি ভারতের নেহেরুর "সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজ" বা ইন্দিরার সংবিধানে সোশ্যালিজম শব্দ যোগ করার চেয়ে বেশি ভালো এ নিয়ে আমার একটুও দ্বিমত নেই, কিন্তু social democratic demands আর socialist demands এ পার্থক্য আছে, anti-left বিপ বলছেন socialism এর দাবী, আর pro-left হয়েও আপনার pessimism ও negativity এত গভীরে যে আপনি লিখছেন social democracy র কথা। observation টা striking তাই লিখে ফেললাম রঞ্জনদা, আপনাকে আঘাত দেওয়া উদ্দেশ্য নয়। আঘাত দিয়ে ফেলে থাকলে, আমি বয়সে অনেক ছোট, সেই ভেবে নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন।
  • bip | 80.192.196.155 | ২৯ মে ২০১৬ ০৭:২০710338
  • কর্পরেট টাক্সেশন ইউজলেস। ট্যাক্স ব্রেক অনেক বেশী কাজের। আর এন্ডি ক্রেডিট না থাকলে লোকে উৎসাহিত কেন হবে?

    ট্যাক্সেশন অন্যভাবেও করা যায়। যেমন রেভিনিউএর ১০% গবেষনাতে, ৫% লোকাল সাপ্লাইএরদের, ৫% স্থানীয় ছাত্রদের ইন্টার্ন হিসাবে নেওয়া-ইত্যাদি। এতে ট্যাক্সের টাকাটা ভাল খরচ হবে। ট্যাক্সেশন স্টেট ক্যাপিটালিজমের অংশ এবং তাহা কোন মতেই কমিউনিউজমের অন্তভুক্ত হতে পারে না-তাহাকে যতই স্যোশালিজম বলে চালানো হৌক না কেন।

    কমিনিউজমের ক্ষেত্রে আমাকে মৌলবাদি কমিনিউস্ট বলা যেতে পারে-কারন আমার কাছে লেনিন একজন দক্ষিন পন্থী এবং স্টেট ক্যাপিটালিজমের ভক্ত-তার রাজনৈতিক নির্দেশ আদৌ কমিনিউজম না-সম্পূর্ন ফ্যাসিজম। আসল কমিনিউস্ট এক্টিভিটি কমিউনিটি ভিত্তিক প্রোডাকশন। আমি চাই শ্রমিক সমবায়ের হাতে কারখানার ভার। কোম্পানী গুলো সমবায়ের ভিত্তিতেই চলুক। এই কাউন্সিল কমিউনিজম নিয়ে এর আগে গুরুতেই দীর্ঘ বিতর্ক হয়েছে। গুরুর লিংক এখানে

    http://www.guruchandali.com/amaderkatha/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1303126840962

    কারখানা, কোম্পানী সমবায়ের ভিত্তিতে চলা কোন ইউটোপিয়ান ধারনা না। আমেরিকাতে অনেক সার্ভিস বেসড কোম্পানী চলছে পার্টনারশিপে। উকিলরা এই ব্যপারে অগ্রনী। তাদের সবার পার্টনারশিপ কোম্পানী। এখন অনেক সফটোয়ার কোম্পানী ও ওউ ভাবে তৈরী হয়েছে বে এরিয়াতে। ধরা যাক দশ জন পার্টনার। সবাই সবাইকে চেনে। আরেকজন কিছু ইনভেস্ট করে কিছু ইক্যুইটি নিয়েছে। কিন্ত সবার ইক্যুইটি আছে। এগুলো এখন বেশ হচ্ছে স্টার্তাপ মোডে।

    আমেরিকাতে পাবলিক স্কুল সিস্টেম ত কমিউনিটি ভিত্তিক মূলত । স্কুল ডিস্ট্রিক্ত গুলো একধরনের কমিউনিটিই। ইউটোপিয়া কেন হতে যাবে?
  • PT | 213.110.242.21 | ২৯ মে ২০১৬ ১২:০৩710339
  • অনেক তাত্বিকতা ও ২০০+ এর ধুলো থিতোলে আশা করি এই সব দিকে নজর পড়বে।

    "পশ্চিমবঙ্গে ছাত্র -শিক্ষক অনুপাতের হার বিপজ্জনক জায়গায় এসে ঠেকেছে৷ প্রায় চার বছর রাজ্যের স্কুলগুলিতে কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি৷ অবিলম্বে বঙ্গের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করে সঙ্কট মোকাবিলার জন্য রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ দিল্লিতে কেন্দ্র -রাজ্য বৈঠকে সম্প্রতি শিক্ষক সঙ্কটের যে ছবি উঠে এসেছে , তা অতীতের সব পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে গিয়েছে৷ উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছাত্র -শিক্ষক অনুপাতের গ্রাহ্য মান ৩৫ ঃ১৷ সেখানে এ রাজ্যে প্রতি ৫৯ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন মাত্র শিক্ষক৷ নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা না -হলে অচিরেই স্কুলশিক্ষায় মহাসঙ্কটের আশঙ্কা করেছে কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা ও সাক্ষরতা মন্ত্রকের সচিব৷"
    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=23460&boxid=144334482

    সময়-কালটা খেয়াল করবেনঃ
    "প্রায় চার বছর রাজ্যের স্কুলগুলিতে কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি৷"
  • sm | 53.251.91.253 | ২৯ মে ২০১৬ ১২:০৭710340
  • কিছু করতে গেলেই, লোকজন কেস ঠুকে দিচ্ছে।বামেরা তো আবার তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।কোর্ট এগুলো এক্সেপ্ট করছে কেন? আর যদি করেই থাকে; অন্তত প্রসেস টাকে চালু রাখতে পারে তো? আলটিমেটলি তো কেউ ই চাকরি পাচ্ছে না। অলরেডি দুটো পরীক্ষা হয়ে গেছে; কিন্তু রেসাল্ট বের হয় নি।
  • bip | 80.192.196.155 | ২৯ মে ২০১৬ ১২:২৩710287
  • সবাই টিউশনির ওপরেই ভরসা রাখছে। পশ্চিম বঙ্গের সরকারি স্কুলে কোন পড়াশোনা হয় না। ওখানে শিক্ষক নিয়োগ করা ফালটু টাকা নষ্ট। বরং ওউটাকাতে ছাত্রদের জন্য কম্পিউটার ইন্টারনেটের ব্যবস্থা হৌক। তারা ঠিক এগোবে।
  • PT | 213.110.242.21 | ২৯ মে ২০১৬ ১২:৩৬710288
  • এবারে আর কেউ ৩৪ দেখাচ্ছে না-কি আশ্চর্য। সেই অদ্ভুত এক সময়কালেও প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে আর তারা সবাই নাকি পার্টির ধামাধরা ছিল। তো অন্যেরা কোর্টে যায় নি কেন?
    নাকি এখন জালির পরিমাণটাই এমনি পর্যায়ে গিয়েছে যে কোর্টের হাত থেকে বাঁচার কোন রাস্তা নেই যে কোন চাকরীর ব্যাপারেই?
    (এই টইকে হিরাভ করার কোন ইচ্ছে নেই। কিন্তু এই উত্তরটা না দিয়ে পারা গেল না)
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ২৯ মে ২০১৬ ১৩:১৫710289
  • @bip

    "কারখানা, কোম্পানী সমবায়ের ভিত্তিতে চলা কোন ইউটোপিয়ান ধারনা না। "

    আরে ধ্যাত, co-operative কে utopia লিখতে যাব কেন? ওইটা utopian socialism এর কথা লিখলাম, লিখলাম ই তো
    "যদিও সেগুলো কিকরে হবে সে বিষয়ে কবি utopian socialist দের মতই নীরব"।
    মার্ক্স ও এই অর্থেই সাঁ সিমো, ফ্যুরিয়ে, ওয়েন এর আইডিয়া কে utopian socialism বলেছিলেন, co-operative বা council communism কে নয়।
  • এলেবেলে | 11.39.57.25 | ২৯ মে ২০১৬ ১৪:৪৭710290
  • Name: PT

    IP Address : 213.110.242.21 (*) Date:29 May 2016 -- 12:03 PM

    অনেক তাত্বিকতা ও ২০০+ এর ধুলো থিতোলে আশা করি এই সব দিকে নজর পড়বে।

    "পশ্চিমবঙ্গে ছাত্র -শিক্ষক অনুপাতের হার বিপজ্জনক জায়গায় এসে ঠেকেছে৷ প্রায় চার বছর রাজ্যের স্কুলগুলিতে কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি৷ অবিলম্বে বঙ্গের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করে সঙ্কট মোকাবিলার জন্য রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ দিল্লিতে কেন্দ্র -রাজ্য বৈঠকে সম্প্রতি শিক্ষক সঙ্কটের যে ছবি উঠে এসেছে , তা অতীতের সব পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে গিয়েছে৷ উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছাত্র -শিক্ষক অনুপাতের গ্রাহ্য মান ৩৫ ঃ১৷ সেখানে এ রাজ্যে প্রতি ৫৯ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন মাত্র শিক্ষক৷ নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা না -হলে অচিরেই স্কুলশিক্ষায় মহাসঙ্কটের আশঙ্কা করেছে কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা ও সাক্ষরতা মন্ত্রকের সচিব৷"
    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=23460&boxid=144334482

    সময়-কালটা খেয়াল করবেনঃ
    "প্রায় চার বছর রাজ্যের স্কুলগুলিতে কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি৷"

    দেখুন তিনো সরকারকে ক্ল্যারিফাই করার দায় নিইনি ঠিকই কিন্তু তথ্যে ভুল থাকলে তা সংশোধন করা জরুরি ।

    ১. ‘প্রায় চার বছর রাজ্যের স্কুলগুলিতে কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি’ — সম্পুর্ণ বাজে কথা । শেষ এস এস সির বিজ্ঞপ্তি ১১র শেষে, প্রায় ১০হাজার শিক্ষক মাধ্যমিক ও উ মা স্কুলগুলিতে যোগ দিয়েছেন ১৩র শেষে । পাড়ার যেকোনো স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন।

    ২. ‘অবিলম্বে বঙ্গের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করে সঙ্কট মোকাবিলার জন্য রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক’ — ওঁরা পরামর্শ দিয়েই ক্ষান্ত কিন্তু স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করার সামান্যতম ব্যয়ভার বহন করেননি কোনোদিন । স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যও পাইপয়সা ঠেকাননি আজ অবধি । এ ব্যাপারেও পাড়ার যেকোনো স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন ।

    ৩. ‘উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছাত্র -শিক্ষক অনুপাতের গ্রাহ্য মান ৩৫ :১ ৷ সেখানে এ রাজ্যে প্রতি ৫৯ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন মাত্র শিক্ষক’ — সত্যি কথাটা হল এই গ্রাহ্য মান পবতে কোনকালেই ছিলনা এখনও নেই । কিন্তু একটা ব্যাপার মানতেই হবে যে এই প্রথম রাজ্যজুড়ে স্কুলগুলোতে ছাত্র অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে । ফলে শিক্ষক স্বল্পতা থাকার কারণে গ্রামের স্কুলগুলোতে ৫-৭ জন শিক্ষক একসাথে নিযুক্ত হয়েছেন অথচ শহরের স্কুলগুলোতে ছাত্র অনুপাতে শিক্ষক বেশি থাকায় একজন শিক্ষকও আসেননি এরকম উদাহরণ প্রচুর । আর সত্যি বলতে এ রাজ্যে প্রতি ৫৯ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন মাত্র শিক্ষক নয় । কারণ প্রায় প্রতিটি স্কুলে ৫ থেকে ৭ জন প্যারাটিচার আছেন যাঁরা এই হিসেবের আওতার বাইরে । এ ব্যাপারেও পাড়ার যেকোনো স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন ।

    ৪. ‘নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা না হলে অচিরেই স্কুলশিক্ষায় মহাসঙ্কটের আশঙ্কা করেছে কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা ও সাক্ষরতা মন্ত্রকের সচিব’ — কেন নিয়মিত নিয়োগ হচ্ছেনা তার কোনও দায় নেই কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা ও সাক্ষরতা মন্ত্রকের ? একের পর এক নির্দেশিকা জারি – প্রথমে টেট, তারপর ৫-৮ এবং ৯-১২ ক্লাসে পড়ানোর জন্য আলাদা আলাদা পরীক্ষা, তারপর অনার্স বা মাস্টার্সে মিনিমাম ৫০% নম্বর, তারপর বিপুল সংখ্যক in service শিক্ষকদের পরীক্ষায় বসার সুযোগটুকুও কেড়ে নেওয়া এবং সবশেষে বি এড বাধ্যতামূলক করা সবকিছুই হয়েছে এ ৫ বছরে । ফলে প্রচুর মামলা, আইনি জটিলতা এবং এস এস সি আটকে যাওয়া । এগুলো কোনও কারণ নয় ? এ ব্যাপারেও পাড়ার যেকোনো স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন ।

    ৫. এখানে নেই কিন্তু খবরটায় দেখলাম ‘সেইসঙ্গে ট্রানজিশন রেট ( অষ্টম থেকে নবম ওঠার হার ) কমে যাওয়াতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি’ — যাক্কলা ! ক্লাস এইট অবধি তো পাশফেলই উঠে গেছে অনেকদিন তার মানে অষ্টম থেকে নবম ওঠা তো automatic choice . এ ব্যাপারেও পাড়ার যেকোনো স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন । তাহলে ?

    প্রসঙ্গত , এই ইস্যুটা নিয়ে বিরোধীরা আন্দোলন করেছেন কোনোদিন ?

    কাগজের রিপোর্ট সব ঠিক বলেনা কিন্তু । আর যাঁরা সকালে উঠেই এই সময় পোস্টান তাঁদের এই খবরগুলো চোখে পড়েনা ?
    ক.
    খ.
    গ.

    অনেক তাত্ত্বিকতা ও ৩০+ এর হতাশা থিতোলে আশা করি এই সব দিকেও নজর পড়বে !
  • প্রাইমারি | 105.199.155.66 | ২৯ মে ২০১৬ ১৬:০৩710291
  • খুব সম্ভবত ১৯৯৯ সালে বা তার একটু পরেও হতে পারে আপনাদের প্রিয় বাম সরকার প্রাইমারিতে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত বাড়িয়ে ৮০ঃ১ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তখন পিটিবাবুর কী ভূমিকা ছিল জানতে ইচ্ছে করে।
  • শুনছেন ? | 212.142.76.183 | ২৯ মে ২০১৬ ১৬:২৫710292
  • পিটি বাবু তখন প্রাইমারিতে পড়তেন না , পাড়ার অটো ওয়ালা যিনি ওনার বিশ্বদর্শনের শ্রী কৃষ্ণ তাকে জিগিয়ে জানাবেন ।
  • এলেবেলে | 11.39.39.236 | ২৯ মে ২০১৬ ২১:৪৩710293
  • একটা ছোট্ট সংশোধন -২০১৩ তে শিক্ষক নিয়োগের সংখ্যা কমবেশি ৩০ হাজার । প্রায় ১০ হাজার একটা রিজিওনে । আর আগের বারের বাদ পড়ে যাওয়া লিং আবার দিলাম

    ক.

    খ.

    গ.
  • Ranjan Roy | ২৯ মে ২০১৬ ২৩:৫৬710294
  • স্বর্নেন্দু,
    এই পাতায় আমরা সবাই সমান। বয়সের পার্থক্যটা একটা ইনসিগনিফিক্যান্ট ফ্যাক্ট মাত্র। ( জোর করে খোকা সাজতে চাইছি না।ঃ)))।
    তাই ক্ষমা চাওয়া বা পাওয়ার প্রশ্ন নেই। ঃ)))
    আর আমি আদৌ মনে করি না যে শেষ কথাটি আমার জানা আছে। অনেক সময় এঁড়ে তর্কও জেদের বসে করে ফেলি।
    হ্যাঁ, এটাও সত্যি যে এই বয়সে আমার মধ্যে সিনিসিজম খুব বেশি। কোন হোলি কাউ নেই।
    ঃ "আমার কাছে লেনিন একজন দক্ষিন পন্থী এবং স্টেট ক্যাপিটালিজমের ভক্ত-তার রাজনৈতিক নির্দেশ আদৌ কমিনিউজম না-সম্পূর্ন ফ্যাসিজম। আসল কমিনিউস্ট এক্টিভিটি কমিউনিটি ভিত্তিক প্রোডাকশন। আমি চাই শ্রমিক সমবায়ের হাতে কারখানার ভার। কোম্পানী গুলো সমবায়ের ভিত্তিতেই চলুক। এই কাউন্সিল কমিউনিজম নিয়ে এর আগে গুরুতেই দীর্ঘ বিতর্ক হয়েছে।"
    বিপের এই বক্তব্যটি আমার পক্ষে উড়িয়ে দেওয়া কঠিন মনে হচ্ছে।
    এই পাতায় আসি নানান মতামত তর্কবিতর্ক শুনে ঋদ্ধ হতে। নতুন কিছু ভাবার পড়ার প্রেরণা পেতে।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ৩০ মে ২০১৬ ০০:৫৭710295
  • রঞ্জনদা,
    বিপের ওই বক্তব্যের সাথে আমিও একমতই তো, "আমি চাই শ্রমিক সমবায়ের হাতে কারখানার ভার।" অবধি। কোম্পানী থাকা আদৌ দরকার কিনা সন্দেহও আছে, depend করবে কোম্পানী বলতে কি বোঝানো হচ্ছে। কাউন্সিল কমিউনিজম নিয়েও বিপ যা লিখেছেন তার সাথে দ্বিমত নেই। আমি শুধু লিখছিলাম, এগুলো আদি ও অকৃত্রিম সোশ্যালিস্ট দাবী। লেনিনের treachery ও leninism বাদ দিয়ে দেখুন, সাঁ সিমো, ফ্যুরিয়ে, ওয়েন থেকে শুরু করে মার্ক্স হয়ে বুকচিন, চমস্কি অবধি, precisely these very demands have been called demands for socialism or socialist demands throughout history since the inception of capitalism.

    আর স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোর আজকের পলিসি social democratic মাত্র, তার সাথে socialism এর আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
    worker's democracy আর workplace democracy র তফাতের মত, worker দের common ownership, nothing less is enough. পোড়া রুটির ছোট্ট টুকরোর জায়গায় সুদৃশ্য রুটির বেশ খানিকটা নিশ্চয়ই better, but not enough.

    " চাই আমাদের গোটা কারখানাটাই "
  • Ranjan Roy | ৩০ মে ২০১৬ ০১:১৬710296
  • স্বর্নেন্দু,
    ১০০% একমত!
    মহেন্দ্র কাপুরের অনেক পুরনো একটা হিন্দি গান ছিল, লিরিক সম্ভবতঃ ফৈজ আহমেদ ফৈজ এর।
    মেহনত-করনেওয়ালে মিলকর অপনা হক যব মাঙ্গেগে,
    এক বাগ নহী, এক ফুল নহীঁ, সারে দুনিয়া মাংগেঙ্গে।।
    ( শব্দ একটা দুটো ভুল হতে পারে,)।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ৩০ মে ২০১৬ ০৩:১৪710298
  • @bip

    "ট্যাক্সেশন স্টেট ক্যাপিটালিজমের অংশ এবং তাহা কোন মতেই কমিউনিউজমের অন্তভুক্ত হতে পারে না-তাহাকে যতই স্যোশালিজম বলে চালানো হৌক না কেন।"---- আমি একমত তো এইটা নিয়ে, socialism এ taxation থাকবেই বা কেন? state ব্যাপারটাই উঠে যাবে, locality গুলো community-managed হবে তো tax দেবেই বা কাকে ও কেন?

    কিন্তু " ফেসবুকের বামেরা প্রায় কর্পরেট ট্যাক্স বা ছাড়ের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়েন-যেগুলো তাদের অজ্ঞানপ্রসূত বালখিল্যতার পরিচয়।" এইটা
    utter nonsense, আর তার কারণ আপনার ভাবনার utopian ধরণ।

    আপনি ভাবছেন আজকেরটা আর end goal টা, কিকরে যাবেন নিয়ে ভাবছেন না, তাই ভাবছেন না আজকে একটা কারখানা, একটা সংস্থা co-operative হলে, তাকে tax ছাড় দিয়ে এবং বাকি corporate structured গুলোকে না দিয়ে big capital এর against এ playing field level করার দাবী আজকের capitalist state এর কাছে, এটা আদৌ অজ্ঞানপ্রসূত বালখিল্যতা নয়, বরং either State-owned concern করে market এর monopoly দিয়ে দিতে হবে or oligarchic giant capital কে আর co-operative start-up কে একই সুবিধে দেবে state এবং এরপর খুঁটে খাক, এই দুটোর যেকোনোটার থেকেই sane দাবী।
  • PT | 213.110.242.22 | ৩০ মে ২০১৬ ২৩:০৯710299
  • "ছাত্র শিক্ষক অনুপাত বাড়িয়ে ৮০ঃ১ করার প্রস্তাব দিয়েছিল।"
    তার পরে কি হয়েছিল বাকি খবরটাও দেবেন কি? তাহলে আমার বক্তব্যটা জানাতে পারি।

    "পাড়ার যেকোনো স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন।"
    "এ ব্যাপারেও পাড়ার যেকোনো স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন ।"
    কোন পাড়া?

    "সত্যি কথাটা হল এই গ্রাহ্য মান পবতে কোনকালেই ছিলনা এখনও নেই ।"
    এটা আপনার ব্যক্তিগত মতামত তাই বাদ দিলাম।

    "কিন্তু একটা ব্যাপার মানতেই হবে যে এই প্রথম রাজ্যজুড়ে স্কুলগুলোতে ছাত্র অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ।"
    সেইজন্যে দিল্লী চিন্তিত?

    " আর সত্যি বলতে এ রাজ্যে প্রতি ৫৯ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন মাত্র শিক্ষক নয়।"
    বোঝ!! দিল্লীকে ভুলভাল সংখ্যা রাজ্য পাঠিয়েছে এলেবেলে বাবুকে কনসাল্ট না করে!!!!!

    অন্যত্র কিছু সংখ্যা পাওয়া গেল ২০১৩-র খবর থেকে। হতেই পারে যে "কাগজের রিপোর্ট সব ঠিক বলেনা" ...... এইসব স্কুলগুলো সব পাড়ার বাইরে?
    Figures released recently by the Union ministry of human resource development reveal that UP needed three lakh teachers in schools — the maximum in the country. Other states facing a severe shortage of teachers include Bihar (2.60 lakh) and West Bengal (one lakh).
    http://timesofindia.indiatimes.com/home/education/news/At-3-lakh-UP-faces-largest-teacher-shortage-in-India/articleshow/19904970.cms
  • sm | 53.251.91.253 | ৩১ মে ২০১৬ ০৯:২৮710300
  • এই রিপোর্ট থেকে একটা জিনিস ই বেরিয়ে আসে, শিক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ধ্যাসটামো ।যতদিন না পর্য্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার স্কুল শিক্ষক দের বেতনের বড় অংশ বহন করবে; ততদিন পর্যন্ত্য এই সব হাবি জাবি রিপোর্টের কোনো দাম নেই।
    কেন্দ্রীয় সরকার কর্পোরেট ট্যাক্স ছাড়,ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণ মুকুব বা স্টিমুলাস দিতে যে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা খরচা করে, তার কিছুভাগ রাজ্যগুলো কে শিক্ষা খাতে দিলে এসব নিয়ে বলার হক থাকত।
    যখন কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের 1oo শতাংশের ওপর ডি এ বারে তখন খেয়ালে থাকে কোটি কোটি অসংগঠিত কর্মচারীদের বেয়ন ,পেনশনের কি হাল!
    আর নিযুক্তি করনের ক্ষেত্রে এত বেশি কোর্ট কেস বোধ হয় অন্য কোনো রাজ্যে হয়না।বামেরা তো সলিডারিটি দেখায়।টা, এত কেস নিস্পত্তি না হলে;নিয়োগ হবে কি করে? প্রাইমারি ও উচ্চ প্রাইমারির টেট এর রেসাল্ট কবে বেরোবে? কেন বের হয় নি?
  • PT | 213.110.242.6 | ৩১ মে ২০১৬ ১১:৩০710301
  • সে এসেছে ফিরিয়াঃ কেন্দ্রীয় সরকারের ব্ঞ্চনা!!
  • এলেবেলে | 11.39.56.125 | ৩১ মে ২০১৬ ২০:৫০710302
  • @ PTবাবু, আপনাকে তিনটি সনির্বন্ধ অনুরোধ । মানা বা না-মানা আপনার মর্জি ।

    প্রথমত, এই টইতে রঞ্জনবাবু এবং স্বর্ণেন্দুবাবু চমৎকার মত বিনিময় করছেন । সেখানে অপ্রাসঙ্গিকভাবে আলটপকা পোস্ট গুঁজে দিয়ে মল্লযুদ্ধে আহ্বান না করাই শ্রেয় । বরং একটা আলাদা টই খুলুন । ওপেন ফোরামে বিতর্ক হোক ।

    দ্বিতীয়ত, পাড়ার স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি চলছে এটা ভুলে গেছিলাম । এক কাজ করুন, প্রথমে এক পাঁড় তিনো HM কে আমার পাঁচটি পয়েন্ট জিগান এবং উত্তর নিন । তারপর এক পাঁড় সিপিয়েম HM এর কাছে তা countercheck করুন । উল্টোটাও করতে পারেন । শুধু লিং না সাঁটিয়ে একটু ক্ষেত্রসমীক্ষা আর কি । শেষে সিদ্ধান্ত নিন এবং বাক্যের শেষে যতখুশি ! বসান ।

    তৃতীয়ত, নীচের খবরগুলো সত্যি ? সত্যি হলে স্বীকার করুন , না হলে কেন সত্যি নয় তা বলুন আপনার নতুন খোলা টইয়ে ।
  • PT | 213.110.242.7 | ৩১ মে ২০১৬ ২১:২০710303
  • এলেবেলে বাবুঃ

    আমি বিশেষ তত্ব বুঝিনা। Experimentalist কিনা তাই application-টা বুঝি। যারা লেনিন থেকে চমস্কি গুলে খেয়েছে তাদের মাঠে নেমে ভোট জোগাড় করতে বলবেন। "বাম পন্থার সম্মান রক্ষার্থে টর্চ চিহ্ণে ভোট " চেয়ে এই গুলে খাওয়া বাম SUCI কত % ভোট পেয়েছে সেটা ভেবে দেখবেন।

    আমি যে তথ্যগুলো দিয়েছি সেগুলো পাবলিক ফোরামে পাওয়া যায়। আর আমি রোজ সকালে প্রথমেই "এই সময়" পড়ি তাই ঐ খবরগুলো আমার সবই জানা। কিন্তু "যো জিতা ওহি সিকন্দর" দৃষ্টিকোণ থেকে পড়লে ঐ সব খবরের মনে অন্য কিছু দাঁড়ায়।

    আপনিই লিখছেন যে "কাগজের রিপোর্ট সব ঠিক বলেনা" আবার আপনিই কাগজের লিং দিচ্ছেন। আমিও তো তাই দিলাম কিন্তু আপনার প্রত্যাশার সঙ্গে মিলল না। তো আমি কি করতে পারি? এমনকি একটা study আছে যেখানে দেখানো আছে যে পব-তে প্রাইমারি শিক্ষায় 2009-10-এ pupil-teacher ratio ৩৪-এ (এটা ভাল) আর upper primary level-এ ৫১-তে (এটা ভাল না) নেমেছিল। সেসব আর দিইনি আপনার পছন্দ হবে না বলে। কারণ আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছেন যে ""সত্যি কথাটা হল এই গ্রাহ্য মান পবতে কোনকালেই ছিলনা এখনও নেই ।" আর এই তথ্যগুলো যদি আপনার আলটপকা মনে হয় তো আমি নাচার।

    http://www.wbsed.gov.in/wbsed/readwrite/55.pdf পৃঃ ৭৮।
  • অনুরোধ | 212.142.76.55 | ৩১ মে ২০১৬ ২১:২৩710304
  • পিটি বাবু এমনিতেই মুহ্যমান , সূর্য অস্তাচলে , তার ওপর ছাগলে গুঁতিয়েছে , এইসময়ে টই খোলার অনুরোধ ? ওইটি বর্তমানে পেন্ডিং রাখুন !
  • PT | 213.110.242.20 | ৩১ মে ২০১৬ ২২:৫৩710305
  • সূর্য মধ্যগগনে থাকাকালীনও পিটি কোন টই খোলেনি.......
  • application | 198.154.74.31 | ৩১ মে ২০১৬ ২৩:২৯710306
  • ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাসের অ্যাপ্লিকেশন বাজারের খাতা মেলানো হয় না। বামপন্থার অ্যাপ্লিকেশন যিনি ভাবেন 'ভোট জোগাড়' তার দৌড় যে সিপিয়েম থেকে এসইউসি এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর পিটিবাবুর ভোট জোগাড় গুরুর পাতাতেই, ও হ্যাঁ, বিশ্বদর্শনের শ্রীকৃষ্ণ ও আছেন। এক্সপেরিমেন্টালিস্ট কিনা... তাই টেস্ট কেসের বাইরে আর বেরোনো হল না।
  • PT | 213.110.242.20 | ৩১ মে ২০১৬ ২৩:৩০710307
  • আর এই আকাশবাণী করার আগে ও পরে আপনি কি করলেন?
  • ranjan roy | 192.69.76.251 | ০১ জুন ২০১৬ ০০:২৭710309
  • বামপন্থী আন্দোলনের অ্যাপ্লিকেশন এই গানটির ভাবনাকে বাদ দিয়ে?
    "পথে এবার নামো সাথী নামো,
    পথেই হবে এ পথ চেনা, সে পথ চেনা।
    অনেক্ক তো দিন গেল এবার ভীষণ ঝড়ে--ইঃ
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন