এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • একটি শীতের দুপুর, সন্ধ্যা, রাত্রি

    রোবু
    অন্যান্য | ২৪ জুলাই ২০১৬ | ১৬২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • রোবু | 233.29.204.178 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৯:৩৩716914
  • শীতের দুপুর। শনিবার। সকাল থেকেই প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম। চিলি চিকেন ফ্রায়েড রাইস এনে রাখা হয়েছে। নেশার পরে খিদেটা একটু বেশিই পায়। তার ওপর এ তো আর যেমন তেমন নেশা নয়।
    বেলায় অপেক্ষা করছি এক্সপ্রেস-ওয়ের ওপর। চা সিগারেট খাচ্ছি বাস-স্ট্যান্ড লাগোয়া দোকানে বসে। একে একে অ, শ আর ন হাজির হল। প্রজেক্ট এগজিকিউশন টিমের চারজন সবচেয়ে সিনিয়র। এ কথাটা লিখবার দরকার কেন হল, পরেই জানতে পারবেন। পঞ্চম জন দ, সে আসেনি।
    যা হোক, সবাইকে নিয়ে ঘরে আসার পরে দেখা গেল, আমুল কুল আনা হয়নি, নিয়ে আসা হল। ন বলল, এ জিনিস সে আগে খেয়েছে, বিশেষ কিছু হয় না, তাই সে ঘরে রাখা রামও খেতে চায়। ক ও বিধাতা হাসল এবং হাসলেন। যথাক্রমে। চানাচুর-ও কেনা হল, রামের জন্য। যদিও শ বলেছিল আমার টেবিলের ওপর সে চানাচুর দেখেছে, কিন্তু ওটা আসলে মুজেলি ছিল, যাজ্ঞে, ভালো করে তো দেখেনি।
    চারজনে মিলে ন’টা। দশমটা ক’এর ভালো-অর্ধেকের জন্য রাখা হল, যার ব্লেসিংস ছাড়া এই ট্রিপ সম্পূর্ণ হত না। তিনি স্কুল থেকেই কোন্নগরে চলে যাবার উদারতাও দেখিয়েছেন।
    হালকা করে ল্যাপটপে গান চালিয়ে দেওয়া হল। আমি আঁতেল বলে অফিস-মহলে সুবিদিত। তাই অনুপম বা কিশোরের বাংলা গান চালাবার রিকোয়েস্ট সহজেই কাটানো গেল। আর্লি সিক্সটিজ হিন্দি গান ঠিক করা হল, সবার মোটামুটি চলে যাবে।
    বড় একটা বাটি নিয়ে তাতে চারটে আমুল কুল মেশানো হল। কাজু, আমন্ড, পেস্তা গুঁড়ো। জিনিসটাকে একসাথে মিশিয়ে থেঁতো করে চারটে আলাদা পোরশন করা হল। আমুল কুল গুলোকে আবার বোতলে ভরে একটু একটু খেয়ে প্রত্যেক বোতলে একটা করে পোরশন ঢেলে দেওয়া হল। খেয়ে ফেলাও হল।
    আধ-ঘন্টা বা তার একটু বেশী কেটেছ। আমার যা হয়। অল্পেই নেশা। হালকা মাথা ভোঁ ভোঁ করছে। মনে হচ্ছে একেকটা গান যেন বড্ড বেশী সময় ধরে চলছ। ন বাথরুমে গ্যাছে তো গ্যাছেই। ফিরে এসি জিগ্যেস করল তোমাদের কি অবস্থা। বললাম বেশ আমোদ হচ্ছে। হ্যাটা দিল। তুমি অভিজ্ঞ, এই সেদিন নাকি বেনারসে খেলে, এখনই নেশা? হঠাত শ বলে উঠল, বাঃ, আমারো তো হয়েছে। ন একটু অ্যাব্রেসিভ। অনেকটা ওর ফেভারিট মোরিনহো বা ইব্রাহিমোভিচের মতই। বলল সে তোমাদের যা হোক, আমার কিছু হবে না। ভাল কথা। শ উঠে মুখে জল টল দিয়ে এসে বারান্দায় গিয়ে গামছায় মুখ মুছে এসে খাটের কোণে বসল। এবং এতক্ষণ ধরে যা যা বলেছিল সেগুলো রিপিট করতে লাগলো। এবং কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর বলতে লাগল, এগুলো কি আমি এর আগে বলেছি? আমরা বললাম হ্যাঁ। আমি কি এর আগে বারান্দায় গেছি? হ্যাঁ। মুখে চোখে জল দিয়েছি। হ্যাঁ। উফ কি দারুণ জিনিস। মনে হচ্ছে আমি একটা কোকুনের ভেতর ঢুকে গেছি আর বাইরে থেকে নিজেকে দেখছি। কিন্তু এর থেকে বের হতে পারব তো? বেরোতে না পারলে কি হবে? ন খিল্লি ওড়াচ্ছে। আমি চুপচাপ সাইডে বসে আছি। অ আলমারিতে হ্যালান দিয়ে। একটু আগেই একটা খালি আমুল কুল বোতলের গড়াগড়ি দেখে সবাইই বুঝে ফেলেছে আমাদের ঘরটা বামপন্থী। সেই নিয়ে কথাও হয়েছে। সে কথা শেষও হয়েছে। অ চুপচাপ ছিল, কিন্তু এতক্ষণ এই নিয়েই ভাবছিল সেটা বুঝিনি। হঠাত জানালো আমার বাড়িটা বাঁকা বলে ওর নেশা বেশী হচ্ছে। আমি আপত্তি করে জানালাম তাহলে সব বার বাঁকা বানাত। ন বলল না, তাহলে বারের লস হত, লোকে বেশী টানত না। আমি বললাম, কোনো একটা রিসার্চে পড়েছি, লোকে সেই বারেই যায় যেখানে নেশা বেশী হয়। শ শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। উঠে বলল, অ, তুমি কি এই মাত্র বললে যে বাড়িটা বাঁকা বলে নেশা বেশী হচ্ছে? নাকি পাঁচ মিনিট আগে বললে? বোঝা গ্যাল, শ টাইম ওয়ারপে পুরোপুরি ঢুকে গ্যাছে। অ বলল আমারো খুব ঘুম পাচ্ছে। দুজন-কে শুইয়ে দেওয়া হল। আমি আর ন টিভি চালালাম বসার ঘরে গিয়ে। খাবারের প্যাকেট খুলে ন খেতে আরম্ভ করল।
  • রোবু | 233.29.204.178 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ১৯:৫২716925
  • আমি ফুটবল খেলা দেখতে লাগলাম। দুটো অবস্কিওর ছোট ইস্ট ইউরোপিয়ান ক্লাবের খেলা হচ্ছিল। ইউরোপা লিগের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের হাইলাইটস। তাতেই আমার মনে হচ্ছিল এঁরা কী খেলছে! কী পাস! কী রিসিভ! কী অসাধারণ থ্রো করল। দর্শকরা কী সুন্দর হাত্তালি দিচ্ছে। বুঝলাম, ভালোই ধরেছে। ন এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম। হাপুস হুপুস করে খাচ্ছে। আমার ঘুম পেয়ে গ্যাল। অন্য ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
    অফিস এবং অফিসের বাইরেও ন এর এগজিস্টেন্স প্রচণ্ডই শব্দময়। থালা রাখল। জল খেল। ঘ্যাওক করে ঢেকুর তুলল। গান গাইছে। আমি বনফুল গো। আমি টের পাচ্ছি। আবার ঘুমুচ্ছিও।
    ওঠো ওঠো।
    কি হয়েছে?
    আমি মরে যাব মনে হচ্ছে।
    কী বলছ আবোল-তাবোল!
    সত্যি। আমায় ডাক্তারখানায় নিয়ে চল। এখনি। কী ছিল ওটা! আমি মরে গেলে কি হবে? আমার একটা বাচ্চা মেয়ে আছে। কোথায় যাবো আমি।
    মরে গেলে? ডিপেন্ডস।
    ইয়ারকি রাখো ক।
    কিছু হয়নি তোমার ন, তুমি দিব্য সুস্থ, মাঝখান থেকে আমার নেশাটা নষ্ট করছ।
    না তুমি চল, এক্ষুনি আমার সাথে। নইলে আমি চেঁচাব। ওসুধের দোকানে নিয়ে চল আমায়।
    প্লিজ, তোমার কিছু হয়নি, এখন বেরোনোর কোনও মানে হয়না।
    এইসব হ্যাজ চলল কিছুক্ষণ, অ আর শ কে ডেকে তোলা হল, তাঁদের পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝানো হল। আমি ওদের বললাম ন-কে বোঝাতে। শুনে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ল।
  • রোবু | 233.29.204.178 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২০:০৮716936
  • ন এর গায়ে খুব জোর। ভাল ক্রিকেট খ্যালে। ফুটবল-ও। ওকে আটকে রাখা গ্যালো না। প্রচন্ড ভয়ে ভয়ে বেরোলাম, বাকি দুজনকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে। আমার পাড়া, যদি উঠে আমাকে দেখতে না পেয়ে চেঁচামেচি করে তো হয়ে গ্যাল। এদিকে আমরা গাড়ি চাপা পড়তে পারি, পুলিশ ধরতে পারে, অফিসে জানাজানি হয়ে গেলে চাকরি থাকবে তো? নারকোটিক্সের কেস। ভাগ্যিস বুদ্ধি করে যে দশ নম্বরটা রেখেছিলাম সেটা পকেটে নিয়ে নিয়েছি। বাড়িতে সার্চ করে কেউ পাবে না, আর পুলিশ ধরতে এলেই ফেলে দেব।
    ন-কে নিয়ে পাড়ার বন্ধ দোকানগুলো দেখিয়ে, খোলা দোকানগুলো স্কিপ করে রাস্তা এদিক ওদিক করে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাড়ির দিকে নিয়ে এলাম। ইদিকে অ উঠেছে। ফোন করে বলছে বাড়ি চলে আসতে, কিছুতেই যেন ডাক্তারের কাছে না যাই। ওদিকে ন একই কথা বলে চলেছে। আমি যদি মরে যাই তা হলে কি হবে? মরে গেলে তো আর চাকরি করতে পারব না। তখন মাইনেও পাব না, মদ-ও খেতে পারবনা। অকাট্য।
    যশোর রোডে উঠলাম। আড়াই নম্বর গেট। হুহু করে গাড়ি চলছে। আমরা হেঁটে দু-নম্বর যাচ্ছি। ন ব্যাঙের মত থপথপ করে হাঁটছে।
    -কী হচ্ছে ন! ঠিক করে হাঁট। তোমার কিছু হয়নি।
    -আরে তুমি বুঝছ না, আমার অবস্থা খুব খারাপ, আমি ঠিক করে হাঁটতে পারছি না, পারলে কি আর হাঁটতাম না!
    বলে ন দিব্যি সুস্থ মানুষের মত হাঁটতে থাকল। একটা বাচ্চা ছেলে হাঁ করে আমাদের দেখল। তারপর মা-কে কিছু জিগ্যেস করল।
    আমি তখনো ভাবছি আর কয়েকটা বন্ধ ওষুধের দোকান দেখিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে যাব। কিন্তু ব্যাটা সেয়ানা। এদিকে অত কনফিডেন্স-ও নেই যে একটা ট্যাক্সি ডেকে উঠে পড়বে। অ ফোন করে যাচ্ছে। আমার ঘুম পাচ্ছে। আমরা হেঁটে চলেছি। একের পর এক ট্যাক্সি ছাড়ছি আর গাল খাচ্ছি।
  • রোবু | 233.29.204.178 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২০:২৫716947
  • অবশেষে, প্রায় এক ঘন্টা হাঁটা হয়ে গ্যাছে, সূর্য অস্ত যায় যায়, ঘুমে চোখ জুড়ে আসছে, আমি ট্যাক্সি ধরলাম। উঠে বললাম হসপিটাল নিয়ে চলুন। অ ওদিকে চুপ হয়ে গ্যাছে, লাস্ট আপডেট দিয়েছে ঘরের থেকে, যে শ পাশ ফিরেছে, অর্থাৎ মরে যায়নি। আমি বললাম – ও।
    উমা হসপিটাল। ন কে ভর্তি করা হল। এমারজেন্সি-তে। টাকা লাগবে। পঁচিশ হাজার। ক্রেডিট কার্ড চলবে কিনা জানিনা। বাড়ির লোকের পারমিশন লাগবে। তাঁদের ফোন করলে কতটা গালি খাব জানি না, এদিকে ফোন নম্বর পাবোই বা কি করে! ন কে তো নিয়ে চলে গ্যাছে। মোবাইল ওর কাছেই রয়ে গ্যাছে। যেখানে ন ভর্তি সেখানে গিয়ে মোবাইল নিতে হবে। সেটা চারতলায়। এদিকে ন ভর্তি আছে এমারজেন্সি ওয়ার্ডে। সেটা একতলায়। সিঁড়ি দিয়ে কি চারতলায় যাওয়া উচিত? না কি লিফট দিয়ে একতলায়? কাকে জিগ্যেস করব? আমার ঘুম পাচ্ছে। টাকা লাগবে। অ কে ফোন করলাম। সমস্যার কথা বললাম। অ বলল, ওর অ্যাকাউন্টে টাকা আছে। ওরা দুজন আসছে। আমি বললাম বেশ বেশ। কিছুক্ষণ বাদে জানাল না আসছে না, ওরা আসার অবস্থায় নেই। যদিও ওদের তালা বন্ধ করে রেখে এসেছি, কিন্তু ওরা ঘরের দরজা অবধিও আসেনি। আমাকে বলল হসপিটাল থেকে বের করে নিয়ে চলে আসতে। ঠিক আছে। আমার ঘুম পাচ্ছে। আমার বন্ধুদের ফোন করলাম। শুভ্রকে। নাগেরবাজারে থাকে। আসবে। ফোন করেই মনে পড়ল, না ওরা মাস তিনেক আগেই অজয়নগর চলে গ্যাছে। চাট্টি বাজে বকে রেখে দিলাম। সুমন্ত। ফোন করেই মনে পড়ল ওর-ও তো একটা বাচ্চা মেয়ে আছে, শনিবারের সন্ধ্যে, কেন আমাদের সাথে নষ্ট করব। চাট্টি বাজে বকে রেখে দিলাম। ঘুম পাচ্ছে। আমার নাম ধরে কেউ ডাকছে। পেশেন্টের বাবাকে ডাকুন। বৌকে ডাকুন। আমার প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে। একতলা না চারতলা?
  • রোবু | 233.29.204.178 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২০:৪৮716958
  • সৌরভ বন্দ্যোকে ফোন করলাম। হ্যাঁ ক-দা। আমি শ্মশান থেকে ফিরছি। কি? আবার হসপিটালে আসব? ওকে। আসছি। উমা হসপিটাল। পঁচিশ হাজার! আমার কাছে তো নেই। বাকিদের ফোন করব? স-দা কে ফোন করে আসতে বলছি। কাছেই তো থাকে।
    ওকে ফোন করে লাভ নেই, আমার বাড়িতে শুয়ে আছে।
    কেন কী হয়েছে? ও। বাকিদের করি?
    আর কি। করো সবাইকে ফোন।
    একে একে এল কল্যাণ, অমিতাভ, কাঞ্চন। কেউ বাবার ডেবিট কার্ড নিয়ে। কেউ বন্ধুর। কিন্তু ততক্ষণে আমি ক্রেডিট কার্ডে টাকা দিয়ে দিয়েছি। সৌরভ আর আমি গেলাম ন-এর ফোন আনতে। সেখানে ডাক্তারের সাথেও কথা হল। ডাক্তারকে সৌরভ বলল, আমার চেক-আপও করিয়ে নিতে। ডাক্তার আপাদমস্তক মেপে নিয়ে বললেন, দিব্যি খাড়া আছে, কথা বলছে, ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে, সেয়ানা ছেলে, হসপিটাল থেকে পেশেন্টের পার্স, গলার চেন ফেরত দেওয়া হচ্ছে কিনা দেখে নিচ্ছে, তাকে আবার কি ভর্তি করব! শুনে খুশি হলাম যা হোক, বিষয়ী বলে আমার বরাবর-ই সুনাম আছে।
    কিন্তু এবার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ। ন এর বাড়িতে কে ঘন্টা বাঁধবে। সবাই আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমি সবচেয়ে সিনিয়র, প্বড়দা বলে ডাকে প্রজেক্টের পাঁচজনা। কিন্তু আমি দেখেও দেখলাম না। যেন শুনতেও পাইনি। অগত্যা সৌরভ-ই ফোন করল। গড়িয়া থেকে যাত্রা শুরু করলেন ন এর বাবা। অ আর শ পুরোপুরি বিছানা কামড়ে পড়ে আছে, ওরা আউট হয়ে আমাকে বিপদে ফেলবে না প্রমিস করেছে। ধন্যবাদ দিয়ে বেঞ্চিতে বসলাম। সিগারেট নিয়ে একটা দুটো টান দিতে লাগলাম। ডাক্তার জানাল ন এর কিছুই হয়নি, ভয় পেয়েছে। তবু একবার ওয়াশ করে দেওয়া হয়েছে। আজকে অব্জারভ করে কাল দুপুরে ছাড়া হবে। ন এর বাবা বেলেঘাটা।
  • রোবু | 233.29.204.178 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২১:২৩716963
  • -এখন কেমন আছে?
    -ঠিক আছে কাকু, স্টেবল। দেখে আসুন। ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।
    কিছুক্ষণ পরে-
    -ডাক্তার তো বলল কিছুই হয়নি।
    -হ্যাঁ, আমাদেরও তাই বলল।
    -কাল ভোর পাঁচটায় আমাদের ফ্লাইট। যেতে পারব তো? কি যে করে ছেলেটা।
    -হ্যাঁ কাকু যেতে পারবেন। কোনও সমস্যা হয়নি তো। আমরা দেখব।
    -কালকে বাড়িতে কে পৌঁছে দিয়ে আসবে?
    -আমরা পৌঁছে দিয়ে আসব, আপনি চিন্তা করবেননা।
    সমস্ত কথোপকথনই হচ্ছিল সৌরভের সাথে।
    -বৌমাকে বলে গেছিল ভাং খেতে যাচ্ছে। এইসব জঘন্য জিনিস কেউ খায়? কতবার বলেছি, খেলে ভাল জিনিস খা। হুইস্কি খা। তেমন হলে বিয়ার খা। একটু নেশাভাং তো এই বয়সে সবাইই করে।
    -ভাংই তো খেয়েছিল কাকু। (আমি। অমিতাভ আমার হাতে চিমটি কাটল)
    -অ হ্যাঁ, তাই তো। আমি সেটা মিন করিনি। বলছি খেলে ভালো জিনিস খাক। এইসব আজে বাজে জিনিস কেন!
    -............
    -তা কার বাড়িতে খেয়েছিল?
    -............
    -তোমাদের কারুর বাড়িতেই তো? নাকি?
    -............
    -অ, তোমরা কেউ খাওনি? শুধু ওকেই খাইয়েছ?
    -না কাকু। আমি। আমার বাড়িতে। (আর চুপ থাকা গেল না)
    -তোমরা দুজন?
    -না,আরো দুজন ছিল।
    -তারা কোথায়?
    -আমার বাড়িতে।
    -কই, তোমার তো কিছু হয়নি। কম খেয়েছিলে?
    -না, সবাই সমান সমান।
    -আমার ছেলেটাই এই রকম। খায় চার আনার, বাওয়াল দেয় ষোল আনার। বৌমাও সেটাই বলে।
    -...............
    -তা এসব যৌবনে আমিও খেয়েছি, আমার এরকম কখনো হয়নি
    -...............
    -আমরা তো দোলের সময় খেতাম...
    -কাকু, এটা বেনারসের, ভালো জিনিস। আহ, অমিতাভ, হাতটা ছাড়।
    -কি রকম?
    -মানে কাজু টাজু দেওয়া, রাংতায় মোড়ানো।
    -অ। ভালো খেতে?
    -আমরা তো আমুল কুল দিয়ে খেলাম। পেস্তা বাটা দিয়ে। হেব্বি খেতে হয়েছিল। উফ অমিতাভ, চিমটি কাটছিস কেন? হাতটা ছাড়। আনব পরের বার আপনার জন্য একটা?
    -(কিছুক্ষণ নীরবতা) না বাবা, থাক। এসব তোমরাও খেও না। ভালো জিনিস না। হুইস্কি খাও, ঠিক আছে। ভালো হুইস্কি খেও। একেবারে সস্তা গুলো না।
    আমি আরও কিছু বলতাম, কিন্তু অমিতাভ আমাকে সিগারেট খেতে নিয়ে গ্যাল। কিছুক্ষণ বাদে ফিরলাম। আরও কিছুক্ষণ হ্যাঁ হ্যাঁ, যে আজ্ঞে, নিশ্চয়ই এর বেশী কিছু আমাকে বলতেই দেওয়া হল না। তারপর প্ল্যান ঠিক হল। ন এর বাবাকে নিশ্চিন্ত করে বাড়ি পাঠানো হল। অমিতাভ আর কল্যাণ আমার বাড়ি যাবে। সেখান থেকে অমিতাভ শ-কে কৈখালী আর কল্যাণ অ কে কোন্নগরে পৌঁছে দেবে। আগামি কাল, সৌরভ আর কাঞ্চন ন কে হসপিটাল থেকে রিলিজ করে বাড়ি পৌঁছে দেবে।
    সেই মত আমরা বাড়ি এলাম। দুজনকে বাড়ি পাঠানো হল। চিলি চিকেন আর ফ্রায়েড রাইসের প্যাকেট খুলে দেখি সব ফাঁকা। চার প্যাকেট করে আনানো হয়েছিল! অগত্যা রান্না করতে নিলাম। লিভারপুল ২-০ জিতছে। ৭৭ মিনিটে দর্শকরা টিকিটের দাম বাড়ানোয় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গ্যালো। ২-২। আমার ঘুম পাচ্ছে। কত ফোন আসছে, কাকে কি বলছি কে জানে!
    এখানেই গল্পটা শেষ। কারণ কাঞ্চন আর সৌরভ কেউ গল্প বলতে পারে না, নইলে ন এর বাড়িতে ন-এর বৌ এবং বোনের কাছে দুজনেই যথেষ্ট লাঞ্ছিত হয়েছিল শোনা যায়। সেই নিয়ে আরো বিস্তারিত লেখা যেত। কিন্তু ডিটেলের অভাব।
    তবে ন এর বাবা-মা এর আন্দামান বেড়ানো শেষমেশ ভালোই হয়েছিল।
    উমা হস্পিটাল-ও ভালো বেশ। এক্সট্রা টাকাটা কোনও রকম ভ্যান্তারা না করেই ফেরত দিয়ে দিয়েছিল।
  • | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২১:৫০716964
  • :-))))) উফ্‌ রোবুর এই নির্বিকার মুখে লোককে খিল্লি করে যাওয়া ..... বেচারা কাকু। কোন্নগরের অ মানে কি পুপের তিনি নাকি?

    আর নামটা এমন কাব্যিক টাইপ দিয়েছ,নাহলে আমার গপ্পোটাও এখানে চিপকে দিতাম।
  • Blank | 96.12.0.135 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:০০716965
  • :-D রোবু তুই আর মমি হোস না?
  • রোবু | 233.29.204.178 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:০৩716966
  • না না, এখানে আমি ইচ্ছাকৃত খিল্লি করিনি, একদম সত্যি। ইনফ্যাক্ট ঐ কনভারসেশনটা আমার তেমন মনেও ছিল না। দিন কয়েক আগে বনোজ-এ* অমিতাভ মনে করিয়ে দিল।
    *বনোজ হচ্ছে সুদীপ্ত হোটেল। বানতলার সেকেন্ড গেটের বাইরে একটা শ্যাক। রোল, চাউমিন পাওয়া যায়। আর লুকিয়ে চুরিয়ে বিয়ার। আমাদের কাঞ্চনের সাথে ঐ হোটেলের করমচারী বনমালীর খুব খাতির। তাই থেকে দোকানের নিক-নেম বনোজ। ওখানে আমরা বেরোবার আগে ফোন করে বলে দি। ১২ টা বিয়ার লাগবে। তিন প্লেট ফ্রেঞ্চ ফ্রাই (বেসিকালি এক থালা ভর্তি আলু ভাজা, চারটে আলু ভাজলে যতটা হবে, আলু বড় হলে বেশী, আলু ছোট হলে কম, নো কমপ্লেন), ২ প্লেট চিকেন পকোড়া (পিসের ব্যাপার নেই, ঐ, থালা ভর্তি)। খেয়ে ও খাইয়ে শান্তি।
    সত্যি বলতে কি, প্রোজেক্টের জুনিয়র-দের জন্য এবার খুব এনজয়-ও করছি বানপ্রস্থ।
  • রোবু | 233.29.204.178 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:০৪716915
  • মমি হবার সুযোগ আর পেলাম কোথায়!
  • রোবু | 233.29.204.178 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:০৫716916
  • আর ইয়ে, কোন্নগরের অ পুপের কেউ নন।
  • রোবু | 233.29.204.178 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:০৭716917
  • তোমার গল্পটা দিয়ে দাও দমুদি। আমিও যিনি সাইলেন্টলি গুরু পড়েন তার গল্পটা দিয়ে দেব পরের হপ্তায়।
  • Arpan | 24.195.226.95 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:১০716918
  • যা তা হয়েছে। ঃ))))

    আর এই যে এটা "তাতেই আমার মনে হচ্ছিল এঁরা কী খেলছে! কী পাস! কী রিসিভ! কী অসাধারণ থ্রো করল। দর্শকরা কী সুন্দর হাত্তালি দিচ্ছে। বুঝলাম, ভালোই ধরেছে।" - এ যে আমার কতবার হয়েছে, নেশা করলে বোধহয় ব্রেন মাল্টিটাস্কিং বন্ধ করে দেয়, যেকোন একটা কাজে ফোকাস বেশি পড়ে। আপিসে হাল্কা একটু নেশার ব্যবস্থা রাখা উচিত। এইসব কিন্তু আমার নেশার ঘোরেই মনে হয়েছিল। এমনি সময়ে ভেবে বার করতে পারতাম না মাইরি।
  • Blank | 96.12.0.135 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:১৪716919
  • যদ্দিন টেকনোপোলিসে ছিলাম, তদ্দিন রাত জেগে ডেলিভারি সামালতে হলে মধ্যে ঘন্টা খানেক টেনে আসতাম। তারপর কি পারফরমেন্স
  • Ekak | 53.224.129.54 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:১৬716920
  • আঃ দারুন হচ্ছে ! আর এই "আমি মরে যাচ্ছি " মাল একটা করে থাকবেই :(
  • Rit | 213.110.242.24 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২২:২৬716921
  • ওফফ। কি গল্প রে ভাই। নেশা হয়ে যাবে তো গল্প পড়ে।
  • dc | 132.174.105.120 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২৩:০৮716922
  • ব্যাপক। কতো কিছু যে কমন পড়ল! :d
  • Abhyu | 106.32.177.237 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২৩:০৯716923
  • অসা (যদিও কিছু কমন পড়েনি!)
  • Arpan | 24.195.236.91 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২৩:২০716924
  • সে কী!

    চিলি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস, আমূল কুল, চানাচুর - কিচ্ছু কমন পড়ল না?
  • ranjan roy | 132.162.125.198 | ২৪ জুলাই ২০১৬ ২৩:৪৫716926
  • খ্যাক খ্যাক!!
  • sinfaut | 11.23.148.199 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০০:০০716927
  • হ্যা হ্যা হ্যা, পরের বার ন কাকুর সাথেই নেশা কোরো, স্টেডি লোক।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০০:০২716928
  • আমুল কুল কী বস্তু?
    কী খেয়ে নেশা করেছিল সবাই?
    নেশার চিকিৎসা করতে পঁচিশ হাজার লাগে?
    ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্টের জন্য পেরেন্টসদের ডাকল কেন?
    এরা কি আন্ডারএজ ছিলো?
    আরো প্রশ্ন মনে পড়ছে। ইয়েস, দরজা বন্ধ অবস্থায় বাড়ির মধ্যে দুজন নেশাড়ু কি ঘাপটি মেরে ছিল? নইলে খাবারের প্যাকেট ফাঁকা করল কে/কারা?
  • R2h | 76.87.116.24 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০০:৩০716929
  • চরম। যাকে বলে নেশা 'ভাং'!
  • Abhyu | 106.32.177.237 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০১:৩২716930
  • গুড পয়েন, প্পন। তবে আমুল কুল টা সত্যিই জানি না।
  • + | 92.6.16.193 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০১:৫৭716931
  • যা-তাঃ)
  • Bhagidaar | 34.49.119.28 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০২:০৬716932
  • সার্চ মেরে দেখলাম আমূল কুল হইল ফ্লেভার্ড মিল্ক
  • Blank | 96.12.0.135 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০২:০৯716933
  • আমুল কুল হলো মিল্কোজের পাতলা ভার্সান অভ্যু দা। ভাঙের গুলি মেশাবার জন্য বেস্ট জিনিস। আমি একটু সন্দেশ ও গুলে দি ওতে।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৩:২১716934
  • কুল । একদম খু উ উ ল ।
    ঃ-)
  • amit | 213.0.3.2 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৫:০৯716935
  • ওফফ। "আমি যদি মরে যাই তা হলে কি হবে? মরে গেলে তো আর চাকরি করতে পারব না। তখন মাইনেও পাব না, মদ-ও খেতে পারবনা।" জাস্ট অসাধারণ । শুধু এই লাইনের জন্য গোবেল দেওয়া যেতে পারে।
    বৌ একবার বারণ করে দেখুক এবার কি হয়। এস্পার নয় ওস্পার।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৫:২১716937
  • নন্দী আর ভৃঙ্গী যদি এ লেখা পড়েন, একটা বিরাট আনন্দ পাবেন। আর অপেক্ষা করে থাকবেন, কবে ষষ্ঠী আসে। সেই পাঁচটা দিনই তো তেনারা ফ্রী। ঃ-)
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন