এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • খেলছে শচীন, বলছে লোকে

    Abhishek Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ | ৯২৩৭ বার পঠিত
  • এটা গতকালই লিখব ভেবেছিলাম, তালেগোলে হয়ে উঠল না। মোদ্দা কথা হল, শচীন রিটায়ার করছেন, শেষের আগের টেস্টটা খোদ ইডেনে। ওঁরা - মিডিয়ার লোকজন - নানান্‌ কথা লিখবেন, প্রাক্তন ধারাভাষ্যকাররা বলবেন, সাহিত্যিকরা বলবেন, আর - আমরাও কিছু বলব।

    এর কয়েকটা ঘটনা আজ ঘটে গেছে। কয়েকটা কাল ঘটবে, কয়েকটা হয়ত ঘটবেই না। বেশিটাই আনুমানিক। তবে ঐ, লিখতে তো ক্ষতি নেই!

    ***

    বিষয়: ধোনি টস করতে গেলেন।
    আনন্দবাজার: শেষ সিরিজ। ১৯৮ টেস্টের অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও বিশ্বক্রিকেটের সবথেকে বর্ষীয়ান সদস্যের বুকও আজ ধুকপুক করছে। বুক চিরে হঠাৎই বেরিয়ে এল দীর্ঘশ্বাস। আজ যদি বিনোদটা পাশে থাকত...
    আজকাল: প্যাভিলিয়নে বসে শচীনের নিশ্চয়ই আজ সৌরভের কথা মনে পড়ছে। এই টসটা তো ওরই করতে যাওয়ার কথা ছিল।
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, টস হচ্ছে!
    বঙ্কিমচন্দ্র: হে রাজন্‌! মুদ্রাস্ফালন একপ্রকার ক্রিয়া, যা দ্বারা কাহারা কাহাদিগের উদ্দেশ্যে চর্মগোলক প্রেরণ করিবে তাহা নির্ধারিত হইয়া থাকে।
    আমরা: শচীন জানেন, টস জিতলে ব্যাটিং অবধারিত, তাই কমেন্টেটর আগে যার কাছে মাইক নিয়ে গেল তার ওপর নির্ভর করে প্যাডফ্যাড পরবেন। আর হ্যাঁ, হেলমেটটাও।

    ***

    বিষয়: ভারত ফিল্ডিং করতে নামল।
    আনন্দবাজার: নামার আগে একবার আকাশের দিকে তাকালেন সচিন। মনে পড়ল গাওস্করের মুখ, সেই প্যাডগুলো। চব্বিশ বছরের কেরিয়র নিমেষের মধ্যে চোখের সামনে সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের মত ভেসে উঠল। কমেন্ট্র বক্সের দিকে তাকিয়ে একবার তাকালেন মুখ তুলে। ঐ তো সৌরভ, রাহুল – লক্ষ্মণটা কোথায় গেল? নিশ্চয়ই পেছনে বসে আছে? এই মাঠেই তো, এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গেই, লক্ষ্মণ আর আমি, মোটে এগারো বছর আগে, ...
    আজকাল: চির-উপেক্ষিত বাংলার শামিকে পাশে নিয়ে শচীন ইডেনে নামলেন।
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, ভারত নেমে পড়েছে!
    শরৎচন্দ্র: দেবদা, তুমি যাবে না মাঠে? ওদের চ্যালেঞ্জ নিতে বারণ করবে না?
    আমরা: আগে ব্যাট পেলে ভাল হত, কিন্তু যাক্‌গে। অশ্বিন আর ওঝা ভরসা।

    ***

    বিষয়: শামির মারাত্মক তৃতীয় স্পেল।
    আনন্দবাজার: উইকেট পড়ছে না। স্যামুয়েলস-ব্রাভোর খেলায় হঠাৎ ভিভ-লয়েডের স্বাচ্ছন্দ্য। স্পিনাররা নাজেহাল, ম্যাচ নাগালের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রথম স্লিপ থেকে কোহ্‌লি ধোনির সঙ্গে গভীর আলোচনায় মগ্ন। এমন সময় সচিন এসে যোগ দিলেন, বললেন, “তুমি ভুলে যাচ্ছ মাহি, তোমার হাতে এমন একজন পেসার আছে, যে এই পিচ নিজের হাতের তালুর মত চেনে।”
    আজকাল: ছাই দিয়ে আগুন চাপা যায় না, ধোনিবাবু। বাঙালি আর কত অবিচারের শিকার হবে?
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, উইকেট পড়ছে!
    অবনীন্দ্রনাথ: অম্‌নি সারা ইডেনে যত লোক, যত লোক ছিল সব একসঙ্গে বলে উঠল “ম-হ-ম্ম-দ শা-মি!”
    আমরা: যাক্‌, অনেকদিন পর একটা ভাল পেসার এল।

    ***

    বিষয়: চন্দরপলের ব্যাটিং।
    আনন্দবাজার: ওঝার অ্যাপিল নস্যাৎ করে দিলেন আম্পায়ার। গ্যালারিতে চিৎকার উঠল। ভেসে এল টুকরো মন্তব্য – “আমরা তোমার আম্পায়ারিং দেখতে আসিনি, সচিনের ব্যাটিং দেখতে এসেছি।” বাংলা বোঝেন না, কিন্তু নিজের নাম শুনে ক্রিকেটের ঈশ্বরের মুখে দেখা দিল এক চিলতে হাসি। জায়েন্ট স্ক্রীনে তা দেখে ইডেন হাততালিতে ফেটে পড়ল।
    আজকাল: এই কুৎসিত ব্যাটিং ক্রিকেটের কলঙ্ক। মনে পড়ে সৌরভের রাজকীয় কভার ড্রাইভ?
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, চন্দরপল ব্যাট করছে!
    লীলা মজুমদার: শচীন এসে বলল, তুমি এত রান করো, এইর’ম বাজে স্টান্স কেন? চন্দরপল্‌ ফিক্‌ করে হেসে বলল, “কী করব, ওব্বেস!” এই বলে টুক্‌ করে একটা কভার ড্রাইভ করে চার মারল। এই অনাছিষ্টি কাণ্ড দেখে সবাই মুখে কুলুপ এঁটে বসে রইল।
    আমরা: এই লোকটা কোনওদিন কদর পেল না।

    ***

    বিষয়: ইডেনের দর্শক।
    আনন্দবাজার: যখনই তিনি আউটফিল্ডে যাচ্ছেন, ইডেন উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাচ্ছে। এক বল-বয়কে অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে তাঁর বুক ধক্‌ করে উঠল - একদম অর্জুনের মত দেখতে না? সই করার সময় হাতটা একটু হলেও কেঁপে গেল কী?
    আজকাল: তাঁর ছোটবাবুর শেষ টেস্ট, তিনি কি পারেন না এসে থাকতে? এই মাঠেই তো আজ থাকার কথা ছিল তাঁর।
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, ইডেন হাততালি দিচ্ছে!
    পরশুরাম: এক হতভম্ব দর্শক আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এক্সকিউজ মি প্রভু, আপনি কি ভিজেয় মার্চেন্টকে দেখেছেন?”
    আমরা: কী রে, এখানে শচীনের লাস্ট ম্যাচ, আজও এত খালি সীট?

    ***

    বিষয়: শচীনের উইকেটপ্রাপ্তি।
    আনন্দবাজার: বল হাতে নিয়ে হঠাৎ মনে পড়ল বান্দ্রার সাহিত্য সহবাস কলোনীর সেই দিনগুলোর কথা। তখন তো তিনি জোরে বল করতেন। আজ, কেরিয়রের সায়াহ্নে এসে একান্ন সেঞ্চুরির মালিক পাঁচ ফুট চারকে লেগস্পিন করতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্য!
    আজকাল: তাঁর ছোটবাবুর শেষ টেস্ট, তিনি কি পারেন না এসে থাকতে? আজ তো মাঠেই থাকার কথা ছিল তাঁর।
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, ইডেন হাততালি দিচ্ছে!
    উপেন্দ্রকিশোর: তোমরা বল করতে পারো? আমি একজন লোককে চিনতাম, সে সবরকমের বল করতে পারত। যেই সে ইডেনে একটা উইকেট নিল, অমনি সবার সে কি হাততালি!
    আমরা: আর চারটে হলেই পঞ্চাশটা। হবে?

    ***

    বিষয়: ভারতের দ্বিতীয় উইকেট পার্টনারশিপ।
    আনন্দবাজার: কমেন্ট্রি বক্সে বসে শাস্ত্রী লক্ষ্মণের কানে কানে বললেন, “শচীন এলে স্লটটা কিন্তু আমাকে ছেড়ে দিতে হবে।” মুহূর্তের জন্য থতমত খেয়ে গেলেন ৮,৭৮১ টেস্ট রানের মালিক। এই মাঠে তো তিনিই রাজত্ব করে এসেছেন বরাবর – আজ অন্যের হাতে মাইক ছেড়ে দিতে হবে?
    আজকাল: সৌরভ মাঠে থাকলে আজ উইকেট ছুঁড়ে দিতেন শচীনের স্বার্থে। কিন্তু এই তরুণ তুর্কীর দল – এরা শুধু রান বোঝে। নতুন প্রজন্মকে এই শেখালেন আপনি, ধোনিবাবু?
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, এরা এখনও ব্যাট করছে! সেই গাংচিলটা উড়েই চলেছে, উড়েই চলেছে, আরও, আরও...
    রবীন্দ্রনাথ: শচীনের আগে ব্যাট করিতে আসা বড় বালাই। তাহাদের রানও করিতে হইবে, আবার তাড়াতাড়ি আউট হইয়া শচীনকে সুযোগও দিতে হইবে। এই দুইই করিতে পারে, এমন লোক তো বড় একটা দেখি না!
    আমরা: টিকে যাক্‌; শচীন তো রইলই। হয়ে গেলে তো হয়েই গেল।

    ***

    বিষয়: শচীন অবশেষে নামলেন।
    আনন্দবাজার: একবার ঘুরে তাকালেন ড্রেসিংরুমের দিকে। আবার তিনি একা। আজ আর তিনি শ্রীকান্তের দলের ষোল বছরের বালক নন – তিনি আজ চল্লিশের প্রবীণ। বুক ফেটে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরোল ভারতীয় ক্রিকেটের সিনিয়র সিটিজেনের। এই শহর মনে রাখবে তো তাঁকে?
    আজকাল: আজ সৌরভ নেই। অচেনা তরুণবাহিনীর করতালির মধ্যে শচীন নামলেন ব্যাট করতে ইডেনে।
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, শচীন নেমে পড়েছে!
    সুকুমার রায়: আবার সে এসেছে ফিরিয়া।
    আমরা: পঞ্চাশ করে দে বস্‌, তাহলেই হবে।

    ***

    বিষয়: শচীন ব্যর্থ হলেন।
    আনন্দবাজার: যাবতীয় সংযমের বাঁধ ভেঙে রাহুল দৌড়ে যাচ্ছিলেন সচিনকে সামলাতে; সৌরভ-লক্ষ্মণেরা মনে করালেন, তাঁদের মত রাহুলেরও দিন শেষ, ড্রেসিংরুমে ঢোকার রাস্তা চিরতরে বন্ধ। একমাত্র সানিই অবিচল। তিনি তো জানেন। উঠে এসে রাহুলের কাঁধে রাখলেন সহানুভূতির হাত।
    আজকাল: শচীন আউট হতেই নেমে পড়লেন কোহ্‌লি। ভাবা যায়, শচীনের শেষ সিরিজ, ইডেনে খেলা, আর পাঁচে সৌরভ নেই? চ্যাপেলকে কোনওদিন ক্ষমা করবে ইডেন?
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, শচীন আউট!
    পূর্ণেন্দু পত্রী: ভেবেছ পালাবে গর্তে? হৃৎপিণ্ডের ভিতরে থাকে যে ঝর্ণা, দিতে হবে চান করতে।
    আমরা: ঠিক আছে, সেকেন্ড ইনিংস আছে তো!

    ***

    বিষয়: শচীন ছড়ালেন না, মোটামুটি গোটাচল্লিশ রান করে আউট হয়ে গেলেন।
    আনন্দবাজার: কাম্বলি-আমরেরা আসতে পারেননি, কিন্তু সচিন বয়ে এনেছেন আচরেকর স্যারের কোচিংএ অনেক অনেকদিন কাটানোর স্মৃতি। আজ যদি আচরেকর-স্যার মাঠে থাকতেন! তাও সচিন ব্যাট তুলে জনতার করতালি গ্রহণ করলেন, মুখ তুলে একবার তাকালেন প্যাভিলিয়নের দিকে। “এই তাকানোটা আমি ভুলব না,” শিবরামকৃষ্ণণ চোখ মুছে হেডেনকে বললেন।
    আজকাল: সম্মান জানাতে শিখলেন না, ধোনিবাবু? বেরিয়ে এসে অভ্যর্থনা জানালেন না শচীনকে? সৌরভ-জমানায় ভাবা যেত এসব?
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, শচীন আউট! কত করল?
    বিভূতিভূষণ: শচীন তেন্ডুলকর আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইডেনে সেকালের অবসান হইয়া গেল।
    আমরা: হাসি...

    ***

    বিষয়: শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে শচীন সেঞ্চুরিই করে ছাড়লেন।
    আনন্দবাজার: সচিন জানতেও পারলেন না, পুরোনো কলোনির বন্ধু, শিবাজি পার্কের মালি – সবাই আজ মানত করেছিলেন শতরানের জন্য। আকাশের তাকিয়ে ব্যাট তোলার পর সচিন ভাবলেন, ত্রিনিদাদে ঘুমিয়ে থাকা প্রিয় বন্ধু লারা জানতেও পারলেন না! যাক্‌, গিয়ে একটা এস-এম-এস ছেড়ে দিলেই হবে। কিন্তু ক্যালিস? ক্যালিস পারবে এতগুলো সেঞ্চুরি করতে?
    আজকাল: আজকের দিনেও একবার সৌরভের কথা মনে পড়ছে না শচীনের? মনে পড়ছে না, তাঁর স্বর্ণযুগ এসেছিল সৌরভের হাত ধরে? নিছক তথ্যের কচকচানিতে ধোনি-ফ্লেচাররা অনেক কথা বলতে পারেন, কিন্তু সৌরভ ছাড়া শচীন শচীন হতেন?
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, শচীন সেঞ্চুরি করেছে!
    শরদিন্দু: মা, শীগ্‌গিরি এসো, শচীন হেলমেট খুলে তাতে তিনটে-পাঁচটা চুমু খাচ্ছে!
    আমরা: কান্না...

    ***

    বিষয়: খেলা শেষ। ভারত জিতল। শচীন শেষবারের মত বেরোলেন ইডেনের দর্শকের সামনে।
    আনন্দবাজার: মাইক হাতে মাঠের মাঝখানে যাওয়ার আগে শাস্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল রোহিত শর্মার। রোহিত জিজ্ঞেস করলেন, “আমি পারব?” কান্না চেপে রেখে শাস্ত্রী সানির দিয়ে আঙুল দেখিয়ে ঢুকে গেলেন মাঠে। সচিনের বিদায়মুহূর্ত বলে কথা – সৌরভ-রাহুল-লক্ষ্মণ কারুরই চোখের জল বাঁধ মানছে না।
    আজকাল: সেঞ্চুরি করলেন শচীন, ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব নিয়ে গেলেন ধোনি। ফ্লেচার-আমলে আর কী আশা করতে পারি আমরা?
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, ভারত জিতে গেছে!
    অনিল ভৌমিক: ফ্রান্সিস কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল খেয়াল নেই। হঠাৎ খেয়াল হল কে যেন ধাক্কা দিচ্ছে। হ্যারি। “ভারত জিতে গেছে,” ওপাশ থেকে মারিয়া বলে উঠল।
    আমরা: হাসি, নস্টালজিয়া, আরও নানারকম...

    ***

    বিষয়: সৌরভের প্রতিক্রিয়া।
    আনন্দবাজার: “জীবদ্দশাতেই তো সব দিয়ে যেতে হল, বন্ধু,” দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠলেন সৌরভ। আর কেউ শুনতে পেলেন না। দ্রাবিড়-লক্ষ্মণরা তো নিজেদের মধ্যে আলোচনাতেই মগ্ন। সানি-রবি নিচে। তিনি একা বসে রইলেন নিজের মাঠে।
    আজকাল: শ্রীনিবাসনের চাপে পড়ে স্টার স্পোর্টস বাধ্য হল গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সৌরভের হাত থেকে মাইক কেড়ে নিতে।
    অজয় বসু (যদি বাঁচতেন): আকাশের বুক চিরে একটা গাংচিল উড়ে যাচ্ছে, তার দিগন্তবিস্তৃত পাখা মেলে – উড়ছে, উড়ছে, একি, সৌরভ কই!
    সত্যজিৎ: সৌরভের হৃদয় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ধূলোর মত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল, আর সেই ভগ্নস্তূপ থেকে একটা রক্ত হিম করা অশরীরী কন্ঠস্বর বলে উঠল – “অবসরের পরের অবস্থা আমি জানি!”

    আমরা: শচীনকে আজ বাড়িতে ডিনারে ডাকবে বোধহয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ | ৯২৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • T | 24.139.128.15 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০২:৫১45986
  • এটা উত্তাল। যা তা মাইরি। নোংরা লেভেল। :)
  • π | 118.22.237.132 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০২:৫২45987
  • ঃ))
  • bhabuk | 208.80.152.246 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০২:৫৮45988
  • খাসা .....
  • cb | 202.193.116.137 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০২:৫৮45989
  • এইটা মানে যাকে বলে যা তা, মানে যা তা
  • সিকি | 132.177.9.109 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:০৪45990
  • টোটাল নোংরা। একঘর।
  • Tim | 12.133.43.248 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৩৯45991
  • ইয়েস! এইটা যা তা হয়েছে। অজয় বসুর কমেন্ট্রিতে আরো একটু ভেরিয়েশন এলে আরো উত্তাল হতো। রবীন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়াটা বেস্ট! ঃ-))
  • KAUSHIK | 126.203.182.178 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৪২45992
  • সত্যি যাতা!
    সিম্পলি একঘর!
  • সিকি | 132.177.9.109 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৮45993
  • শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র, উপেন্দ্রকিশোর, সক্কলেই একেবারে খাপে খাপ।
  • dd | 132.167.34.229 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৯45994
  • লাভলি হয়েছে।
  • cb | 209.67.203.142 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:১৫45995
  • বেস্ট হল আজকাল
  • Pubদা | 209.67.138.42 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:১৭45996
  • হা হা হা হা
    একদম যাত্তা :D
  • de | 130.62.183.181 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:১৯45997
  • দারুণ হয়েছে!!
  • শঙ্খ | 169.53.174.142 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:২৪45998
  • খ্যাক খ্যাক!! হেব্বি হয়েছে ঃ-))

    তবে ঐ, অজয় বসু-র জবানি 'অতি অল্প হইল'। বাদবাকি একেবারে মাপ মত।
  • 4z | 194.148.158.110 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:২৫45999
  • দারুণ দারুণ!! শুধু উপেন্দ্রকিশোরে শেষে 'সে তো তোমরা দেখনি' থাকলেই এক্দম খাপে খাপে হয়ে যেত।
  • সিকি | 132.177.9.109 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:৩০46000
  • উপেন্দ্রকিশোরের লাইনটা গুগাবাবার প্রথম লাইন। আচ্ছা, তোমরা গান গাইতে পারো?

    এখানে সে তো তোমরা দ্যাখো নি - ছিল না।
  • 4z | 194.148.158.110 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:৩৪46001
  • গুগাবাবার লাইন তো জানি। সে তো তোমরা দ্যাখোনি টা তো ওনার পেটেন্ট স্টাইল ছিল। সেই জন্য বলছিলাম।
  • রোবু | 213.147.88.10 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:৩৫46002
  • অসাধারণ!!
  • sosen | 125.244.238.179 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:৪১46003
  • দারুণ!!! টোটাল।
  • Rit | 213.110.246.22 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৯46004
  • ঘ্যাম। মহাভারত টাও তোলা হোক এখানে।
  • Arpan | 190.215.112.78 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:৫১46005
  • আজকাল বেস্ট। আর অজয় বসুর "দ্যাখো পুষ্পেন" বড় মিস করলাম।
  • + | 213.110.246.23 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:০৫46006
  • সবই ঠিক আছে খালি ইউকেট প্রাপ্তির সময় কপি পেস্ট এরর হয়েছে বোধ্হয় । নাকি আমি ভুল ভাবছি?

    উত্তাল, নোংরা, যা-তা হয়েছেঃ)
  • শিবাংশু | 127.197.234.251 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:০৬46007
  • পার্ফেক্ট....
  • শঙ্খ | 169.53.46.143 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:১৪46008
  • এগজ্যাক্টলি। মহাভারতটার কথা বলতে যাচ্ছিলুম ঃ-))

    আহা, সে জিনিস সাংঘাতিক!
  • Ranjan Roy | 24.96.68.187 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:৫৫46009
  • অসাম শালা!!!!!
  • kk | 81.236.62.176 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:৫৬46010
  • দারুণ !!
  • lcm | 138.32.84.27 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:০৮46011
  • হা হা । দুরন্ত হয়েছে।
  • aka | 81.91.97.74 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:২৩46012
  • ওভিষেক, ভালো হয়েছে এটা, ব্লগেও পড়লাম এটা।
  • Abhishek Mukherjee | 127.194.224.100 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ১১:০৮46013
  • সবাইকে অজস্র ধন্যবাদ!
  • i | 147.157.8.253 (*) | ০৭ নভেম্বর ২০১৩ ১১:৩৫46014
  • ভীষ্ষণ ভালো লাগল। শেয়ার করি।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৩ ০২:০৯46016
  • daaaaaarun
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন