এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যৎকিঞ্চিত ...( প্রত্যাবর্তন পর্ব)

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৯৬১ বার পঠিত
  • (গোটা তিনেক অস্ত্রোপাচারের পর সদ্য বাড়ি ফিরেছি।আমার পরিবারের এই কঠিন সময়ে যারা পাশে ছিলেন,তাদের আমার এবং সায়ন্তিকা’র তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ।সকলে খুব ভালো থাকুন।)

    কিছুদিন আগের কথা,তখন বাজারে অহেতুক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য রাজ্য প্রশাসন বেশ কিছু উদ্ভট পদক্ষেপ গ্রহণ করছিল,সেসময়ের এক রবিবারে আমি বাড়িতে পেপার ওল্টাচ্ছি,আমার ভাই অর্ক বাজার করে এসে ঘরে ঢুকলো।সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে বলল,
    ‘দাদা,এই প্রশাসনিক জটিলতার দরূণ এবার কিন্তু বাজার করাটা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে’।
    অর্ক’টা স্বভাব বাচাল এবং মাঝে মধ্যেই বাজে বকে।তবুও বাজার করার সাথে প্রসাসনিক জটিলতার কি সম্পর্ক তা বুঝে উঠতে না পেরে ভুরু কুঁচকে তাকালাম।
    ‘আরে এই যে সরকার বাজার দর ঠিক করেদিচ্ছে এতেই তো প্রবলেম টা শুরু হচ্ছে’।অর্ক বলল।
    আমি এমনিতেই কম বুঝি,তার উপরে এই হেয়াঁলী উদ্ধার না করতে পেরে জিজ্ঞেস করলাম, “ঝেড়ে কাশ তো...বাজার দরের সাথে প্রশাসনিক জটিলতার কি রিলেশন?’
    অর্ক উত্তেজিত হয়ে উঠলো, ‘কি বলছো দাদা,রীতিমত গভীর রিলেশন।এই যে ধরো আমি আজ বাজারে আলু কিনতে গিয়ে সরকারী রেটে পেলাম না।তাহলে আমি বেসরকারী আলু কিনলাম,লজিক তাই বলে।বেরোবার মুখে দেখি তোমার শ্বশুরমশাই,মানে সায়ন্তিকা বৌদি’র বাবা বাজারে সব্জিওলাকে ধমকে হাজতবাসের ভয় দেখিয়ে সরকারী রেটে আলু কিনে তা আবার গর্ব করে সবাই কে দেখাচ্ছেন। দোষের মধ্যে আমি বলেছিলাম যে কাকু আপনার তো ‘সরকারী আলু’,তাতে পাশের লোকগুলো মিচকি হাসল,আর তোমার শ্বশুর আমাকে দাঁত খিঁচিয়ে চলে গেল’।

    আমি হাই তুললাম, ‘এটা তো তোরই দোষ।ভরা বাজারে সমরেশ বসু হতে কে বলেছিল?’

    ‘আহা,একটা সরকারী লোক যদি বাজারে সরকারী রেটে আলু কেনে তাহলে তাকে কি বলা যাবেনা যে আপনার আলু সরকারী...এই তো কদিন আগে রাইটার্সে কাজ করে এক দাদা’র সাথে দেখা,মুরগি কিনে বাড়ি ফিরছে।আমি একগাল হেসে বললাম, ‌’কি দাদা খুব তো সরকারী মুরগি কিনছো?বলি,সরকারী পাঁঠা মিলবে কবে?’উত্তরে সেই দাদা হেসে বলল যে সরকারী পাঁঠা আজকাল উদ্বৃত্ত,তবে তা আর রাইটার্সে পাওয়া যায়না,নবান্নে খোঁজ নিতে হবে’।

    ‘অর্ক,এটা কিন্তু হাফ পলিটিক্যাল হয়ে গেল,তোকে না বলেছি ফেসবুকে নো পলিটিক্যাল কমেন্টস’,আমি ধমকে দিলাম।

    ‘অ,তাহলে একটা সেমি সোসিও-কালচারাল কমেন্ট চলতে পারে কি?’,অর্ক ধূর্ত চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।

    আমি খানিক না বুঝেই মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম।

    ‘এই যে ধরো,বাম আমলে নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ’কে তখনকার গন্ডমূর্খ ক্যাডার রা ‘পশুখামার’ নাটকটা করতে বাধা দিয়েছিল,তা নিয়ে সঙ্গতভাবেই বিস্তর হইচই হয়।তারপর,এই পবিত্র পরিবর্তনের আমলে এক নিরীহ পাঞ্জাবি ট্রাক ড্রাইভার যেকিনা ভুল করে মুখ্যমন্ত্রী’র কনভয়ে ঢুকে পড়েছিল,কিংবা বেচারা শিলাদিত্য থেকে আজকের কেরোসিন কান্ডের জ্যোতির্ময় বাবু অব্দি যা নিদর্শন দেখা যাচ্ছে,তাতে একদা প্রতিবাদী বর্তমানে আপাদমস্তক সরকারী লোক অর্পিতা ঘোষ যদি পশুখামার নাটকটা আবার করেন,তাহলে কি সেটাকে ‘সরকারী পশুখামার’ বলা যাবে?’

    হাতের কাছে আর কিছু না পেয়ে পেপারটাই ছুঁড়ে মারলাম,অর্ক ততক্ষণে একলাফে ঘর থেকে হাওয়া।

    সায়ন্তিকা কি একটা হাইফাই মোবাইল কিনেছে,তা কিনুক গে,নিজের বেতনে কিনেছে,আমার পকেটে তো আর হাত পড়েনি।তা সে মোবাইলে নাকি স্মাইল ডিটেক্ট করা যায়,মানে কেউ হাসলে অটোমেটিক ছবি ওঠে। তা হচ্ছেও দেখলাম।এমনকি আমার মত বিতিকিচ্ছিরি লোকও দাঁত ক্যালালেও একটা অটো স্ন্যাপ উঠে যাচ্ছে।কিন্তু সায়ন্তিকা’র বাবা’র বেলায় নাকি কিছুতেই মোবাইলের স্মাইল ডিটেকশন’ পদ্ধতিটা কাজ করছেনা।
    আমি সাহস করে বললাম, “এককাজ করো,হরর ক্যামেরাটা অন করো,দ্যাখো,তোমার বাবার অটোমেটিক ছবি উঠবে”।
    সায়ন্তিকা খুব ঠান্ডা গলায় আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “যা বললে তা আরেকবার বলো”।
    এই ভয়ঙ্কর মুড টা আমার চেনা।মুহুর্তে আমার অরিজিনাল সেলফ,মানে মেরুদন্ডহীন আধা সরকারী চাকুরে সত্ত্বায় ফিরে গিয়ে ক্যাবলা মুখটা আরো ক্যাবলা করে একটা প্রায় অর্ধেক ঢোঁক গিলে সায়ন্তিকা’র দিকে তাকিয়ে বললাম,
    ‘না,আর বলা যাবেনা,জানোই তো,ভদ্রলোকের এককথা’।
    পরের টুকু জানতে হলে আমার বাজে বুকনি পড়া দরকার নেই,নিজের জীবনের দিকে তাকান,আশা করি আমি একাই ভুক্তভোগী নই।

    খান তিনেক অপারেশন হয়েছে সদ্য আমার।কলকাতার আলিপুরের সিএমআর আই,তে।ডাক্তার ওজনটাও কমাতে বলেছেন।কিন্তু কি করে এই কঠিন কাজটা সম্ভব তা আর ভেবে পাচ্ছিনা।আমার পাশের বেডে ভর্তি ছিলেন এক বয়স্ক ভদ্রলোক।তিনি জিজ্ঞেস করলেন,’খোকা,ওজন কমাতে চাও’
    আমি সম্মতিসূচক মাথা নাড়লাম।
    উনি বললেন, ‘তাহলে বিয়ে করে নাও।শুধু বিয়ে করলে হবেনা,যাকে তুমি ভালোবাসো তাকেই বিয়ে করো।তাহলেই ওজন কমবে এবং হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারবে,পূর্ণিমা’র চাঁদেরও আরেকটা দিক আছে,যেটা নিয়ে কবিরাও কবিতা লেখেনা’।
    টোটকা টা অভূতপূর্ব সন্দেহ নেই।কিন্তু রোগা পাতলা ভদ্রলোক কে দেখে জিজ্ঞেস করা গেলনা যে উনি কি কবিতা লিখতেন নাকি নিজের প্রেমিকাকেই বিয়ে করেছিলেন।

    আমার বাড়ির চিল্ড্রেন বিগ্রেডের কথা আগেও বলেছি।আমার এক ভাগ্নের নাম মুকুট।মুকুট বাবু এখন ক্লাস টু’তে পড়ছেন,মানে তাকে জোর পূর্বক পড়ানো হচ্ছে আর কি।মোদ্দা কথাটা হচ্ছে যে মুকুট বাবু খুব মুডি এবং তার ইচ্ছে না হলে তাকে পড়ানোটা আরও শক্ত কাজ।সমস্যাটা হচ্ছে যে মুকুটের এই পড়াশোনা সংক্রান্ত ইচ্ছে হওয়া আর গর্বাচভ কে স্ট্যালিনের চুমু খাওয়া,একই রকম ব্যাপার।তাই,বাধ্য হয়েই মুকুটের মা,মানে আমার দিদি’কে বাড়িতে গৃহশিক্ষক রাখতে হয়েছে।
    মুকুট খুব জলদি শিখে যায়।বিশেষত যখনই কোনো অনুষ্ঠানে গ্রামের বাড়ি যায়,সেখান্ থেকে অগ্রহণযোগ্য কিছু শব্দ শিখে আসে এবং জায়গামত সেগুলো ব্যবহারও করে থাকে।
    মুকুটের নতুন গৃহশিক্ষক এসেছেন।ভদ্রলোক সাবেকি ব্রিটিশ নিয়মে পড়ান,মানে একই জিনিস বারংবার পড়িয়ে মুখস্থ করিয়ে দেন।এই একই জিনিস বারবার পড়াটা আবার মুকুটের বিলকুল না-পসন্দ।তা ভদ্রলোক কিছু একটা পড়িয়েছেন,তারপর সেটাই আরেকবার পড়িয়েছেন।মুকুট তা সহ্য করেছে।যখন চতুর্থবার একই জিনিস সেই গৃহশিক্ষক পড়াতে গেছেন,মুকুট আর থাকতে না পেরে গ্রাম থেকে সদ্য শিখে আসা একটি কুশব্দ সমেত বাক্যবাণ নিক্ষেপ করে ফেলেছে,
    ‘এই হারামজাদা,একই জিনিস কবার পড়ায় রে?’
    মুকুটের গৃহশিক্ষক টেঁকেনা,ক্যানো টেঁকেনা,তা বলার দরকার নেই নিশ্চয়।

    আমাদের ঠেকের দুই সদস্য আছে,সুব্রত আর বিদেশ।সুব্রত আমার ব্যাচমেট।বিদেশ আমাদের জুনিয়র।সুব্রত কথাবার্তায় কিছু চলতি স্ল্যাং ব্যবহার করে থাকে এবং মাঝেমধ্যেই বিদেশ কে যথেচ্ছ গালাগাল করে,যার জন্য আমাদের কাছেই সুব্রত বকা খায়।ঠেকে বিদেশ কিন্তু খুব বাধ্য ছেলে,সুব্রত হাজার গালাগালি দিলেও পালটা মুখ খোলেনা।মদের আসরে আবার ব্যাপারটা উলটে যায়।যারা কিঞ্চিৎ পান-টান করেন,তারা জানেন যে পানের আসরে বয়সের ফারাক গ্রাহ্য নয় এবং সেখানে প্রায়শই লোকে একে অন্যের বোনের(সে থাকুক বা না থাকুক) পতিত্ব গ্রহণ করতে চায় অথবা পিতৃমাতৃকুলের সুদূর সম্পর্ক টেনে আনে।মদের আসরে বিদেশ আবার সুব্রত কে দাদা বাদ দিয়ে সুব্রত বলেই ডাকে এবং অশ্রাব্য গালিগালাজ করে থাকে।পেনাল কোডের গেরোয় সুব্রত কিছু বলতে পারেনা।
    আমি এবং কয়েকজন যে সত্যিটা জানি তা হল,মদের আসরে বিদেশ খুব ইচ্ছাকৃতভাবেই সুব্রতকে গালাগাল দিয়ে থাকে এবং পানাসক্তির মাধ্যমে আগের গালাগালের শোধ তুলে থাকে।সুব্রত এটা জানেনা তবে আজকের এ লেখা পড়ার পর কি হবে তা বলতে পারছিনা।

    তখনও চাকরি জোটেনি,বেশ চিন্তায় ছিলাম।এমন একদিনে সায়ন্তিকা আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্যেই বলল, ‘তুমি এত চিন্তা করছ ক্যানো? জীবনে ওঠাপড়া থাকেই।জানো,আমার বাবা’র প্রতিষ্ঠার গ্রাফ জীবনে কত ওঠানামা করেছে?তবেই না আজকে...”
    প্রেম করলে খুশবন্ত সিং পড়তে নেই,সে জ্ঞানটা তখনও আমার হয়নি।বেকুবের মত জিজ্ঞাসা করেছিলাম, “তোমার বাবা কি লিফটম্যান?”
    রসিকতাটা পুরোনো হতে পারে।কিন্তু রসিকতা-পরবর্তী অভিজ্ঞতাটা আজও পুরোনো হয় নি।

    আলিপুর সিএমআরআই এর একটা অভিজ্ঞতা দিয়ে এ কিস্তি’র বাজে বকা শেষ করবো।আমার উল্টোদিকের বেডে এক বয়স্ক ভদ্রলোক ছিলেন।খুব বদ মেজাজী।আলিপুর সিএমআরআই এর সাপোর্ট স্টাফ দের ব্যবহার খুব ভালো,তাও ভদ্রলোক যেকোনো কারণে চেঁচামেচি করতেন।এও জেনেছিলাম যে উনি রিটায়ার্ড এবং অবিবাহিত।সাধারণত ওনার বন্ধুরাই দেখা করতে আসতেন।সে অর্থে বাড়ির লোক কাউকে আসতে দেখিনি।
    আমি ছাড়া পাওয়ার দুদিন আগের কথা,বিকেলে সেই ভদ্রলোকের সাথে দেখা করতে এসেছেন এক বয়স্ক মহিলা।আর কেউ নেই।খুব শান্ত চেহারার সেই মহিলা ভদ্রলোকের বেড এর পাশে বসলেন।আর আমার চেনা সে বদ মেজাজী ভদ্রলোক বাচ্চাদের মত কেঁদে উঠলেন।এরকমটা সত্যিই ভাবিনি।

    সায়ন্তিকা,আমাদের প্রত্যেকের বুকের ভিতর অনেক কান্না রয়েছে।

    কেউ কাঁদে,কেউ কাঁদেনা...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৯৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Pubদা | 209.67.140.56 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৭46120
  • চলুক চলুক ঃ)
  • Ubaidullah | 127.203.176.22 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৫:৫২46121
  • ‘এই হারামজাদা,একই জিনিস কবার পড়ায় রে?’
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন