এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যতকিঞ্চিৎ (৩)

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১২ অক্টোবর ২০১৩ | ৯১১ বার পঠিত
  • আমার প্রাজ্ঞ বন্ধুবর,অম্লান দত্ত সম্প্রতি বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছবি ‘নায়িকা সংবাদ’ দেখতে বহরমপুরের ঋত্বিক সদনে গিয়েছিলেন।সেখানে গিয়ে দেখলেন যে একটি বলিউডি ছবি ‘গ্র্যান্ড মস্তি’ প্রদর্শিত হচ্ছে।অতএব অম্লান দত্ত বিরক্ত হয়ে ফিরে এসে ঋত্বিক ফিল্ম সোসাইটি’র উপর নিজের ক্ষোভ জানাচ্ছিলেন।জানাবার সঙ্গত কারণ আছে বইকি।ঋত্বিক ফিল্ম সোসাইটি সারাবছর কমার্শিয়াল বলিউডি আর হলিউডি মুভি দেখিয়ে বেড়ায়।বহরমপুরে বসে অন্য ধাঁচের সিনেমা দেখা এবং একটি শিক্ষিত আবহ তৈরী করাটা ঋত্বিক ফিল্ম সোসাইটি’র উদ্দেশ্যের মধ্যে থাকা উচিত ছিল,যদিও তাদের কাজকর্মে তার কোনো ছাপ দেখতে পাওয়া যায় না।যাইহোক,অম্লান দত্তের ক্ষোভ শুনে অর্ক,আমার ভাই বললো,
    “অম্লানদা’র গ্র্যান্ড মস্তি দেখলেও কিছু অভিজ্ঞতার হেরফের হত না”
    আমি বললাম, “ক্যানো রে?একথা বলার কারণ?”
    অর্ক হেসে বলল, “ গ্র্যান্ড মস্তি দেখে অম্লান দা কিছু বুঝতে পারতো না,আর এম্নিতে বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিনেমা দেখেও কিছু বোঝা যায় না।এফেক্ট তো একই রইল দাদা”।
    অর্কের কথা ছেড়ে দিন।ও একটা এঁচোড়ে পাকা ছেলে।বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত কুশলী পরিচালক।হাতের কাছে থাকা কাগজটা পাকিয়ে ছুঁড়ে মারতে যাবো,অর্ক হাত তুলে বলল,
    “দাদা,এটা গণতন্ত্র।আমারও নিজের কথা বলার রাইট আছে’।
    “কথা বলার রাইট আছে,কিন্তু বাজে বকার নেই,আর তোর বাজে বকার বয়সও নেই’।
    ‘কি যে বলো দাদা,আমি তো সবে বাইশ।আর এদিকে রাহুল গান্ধী যে চল্লিশেও খোকা সেজে বাজে বকে পার পেয়ে যাচ্ছে,তার বেলা?”
    আমি মাথাটাথা চুলকে বললাম, “আরে উনি যে পলিটিশিয়ান”।
    অকাট্য যুক্তি।অর্ক আর কথা খুঁজে পেলো না।
    তখন মোবাইল এতটা সহজলভ্য ছিল না।সায়ন্তিকা’র সাথে ট্যুইশন আর কলেজের ফাঁকে দেখা করা ছাড়া আরেকটা পন্থা ছিল ল্যান্ডফোন।ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি।ধরুন,দুপুর বারোটায় সায়ন্তিকাদের ল্যান্ডফোন তিনবার বেজে উঠলো। আপনি যদি মুঘলে আজমের পৃথ্বীরাজ কাপুর হোন,তাহলে ভাববেন এটা নেহাতই যান্ত্রিক গোলোযোগ,কিন্তু ওদিকে দিলীপকুমার আর এদিকে নিদেন পক্ষে পাড়ার পার্মানেন্ট প্রেমিক পাঁচু হলেও বুঝতেন যে এটা আসলে এনকোডেড মেসেজ,যার মর্মার্থ গোয়েবলস এর মানস সন্তান সায়ন্তিকা’র বাবা নয়,মাধবীলতা’রাই বুঝতে পারে।যাকগে,ভরদুপুরে তিনবার ফোনের ঘন্টা বাজা মানে পড়ার ঘরে ব্যস্ত সায়ন্তিকা কে বলা হল “ওগো,আর পাঁচ মিনিট পর তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাবো।একবার বারান্দায় আসতে পারবে?”
    জবাবে যদি মিনিট খানেকের মধ্যে আমার বাড়ি’র ফোনটা একবার বেজেই থেমে যায়,তাহলে বুঝতে হবে যে আজ আর বারান্দায় আসা হবেনা।সায়ন্তিকা তার কুচক্রী বাবা অথবা মায়ের সাথে কোনো কাজে ব্যস্ত আছে।আর যদি না আসে তাহলে মৌনাঞ্চমি সম্মতি লক্ষণাম, চটজলদি চপ্পলটা পায়ে গলিয়ে বেরিয়ে পড়া।যেন কিছুই জানিনা।আর মা যে কাজেই পাঠাক,ইলেকট্রিকের বিল দিতে কিংবা গ্যাস বুক করতে,আমার রাস্তাটা ঘুরে ফিরে সায়ন্তিকা দের বাড়ির সামনে দিয়েই যেত।এলোচুলের যে আয়তাক্ষী বারান্দায় সন্ত্রস্ত পায়ে এসে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া অবিন্যস্ত চেহারার শ্যামলা ছেলেটার দিকে উজ্জ্বল হাসি ছুঁড়ে দিয়েই মিলিয়ে যেত নিমেষে,সেই মুহুর্তের জন্য হাজার বছর অপেক্ষা করা যায়।
    এখন আমি যদি আপনাদের সব কটা টেলিফোনিক মেসেজের ব্যখ্যা দিতে বসি,তাহলে সায়ন্তিকা’র কাছে প্রভূত ঝাড় খাওয়ার সম্ভবনা আছে।আর আমার আপনাদের কল্পনাশক্তি’র উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে।যাই হোক,এরকমই একদিন ফোন বাজিয়ে সায়ন্তিকা’র বাড়ির সামনে এসেছি,বার্তা অনুসারে সায়ন্তিকা’র বারান্দায় আসার কথা।বাড়ির সামনে আসা মাত্র,দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন মহব্বতের বাঁচি।পিছন থেকে কড়া গলায় ডাক এলো,
    “এই ছেলে, শোনো এদিকে”
    আমি পোলট্রি মুরগি’র মত ফিরলাম।ফায়ারিং স্কোয়াডে’র সামনে দাঁড়ানো দস্তভয়েস্কি’র মত বললাম, “আমাকে ডাকছেন,কাকু”
    “হ্যাঁ,রাস্তাই তোমাকে ছাড়া তো আর কাউকে দেখা যাচ্ছেনা,তাহলে তোমাকেই ডাকছি”
    শরবিদ্ধ ভীষ্মের মত বললাম, “বলুন”।
    “কদিন ধরে খেয়াল করছি আমার বাড়ির ফোনের ঘন্টা বাজে আর তুমি রাস্তায় ভগ্নদূতের মত উদয় হও আর ওদিকে আমার মেয়েটাও পড়ার টেবিল ছেড়ে বারান্দায় আসার জন্য ব্যকুল হয়ে যায়।তুমি বলতে পারো কি এর মধ্যে কোনো কার্য কারণ সম্পর্ক আছে কিনা?’
    আমার তখন হাঁ করা অবস্থা,হিন্দি সিনেমাতে সানি দেওল অভিনয় করার চেষ্টা করলে যেমনটা দেখায় আর কি,কোনোরকমে ঢোঁক গিলে বললাম, “আজ্ঞে,জানিনা তো”
    সায়ন্তিকা’র বাবা কড়া গলায় ধমকে দিলেন, “কি জানোনা?”
    “আজ্ঞে,তাও জানিনা তো”,সাক্ষাত বিনয়চন্দ্র পাপোষ হয়ে আমার আপোষমূলক সক্রেটিসমার্কা উত্তর।
    সায়ন্তিকা’র বাবা খুব কড়া চোখে আমার দিকে তাকালেন,দিশী মুরগি গোটা হিসেবে কেনার আগে খদ্দের যেমন মাংস কতটা হবে তা পরখ করার চেষ্টা করে।খানিক পর একটা লম্বা শ্বাস ছেড়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “না,তুমি সে ছেলে নও যার জন্য আমার মেয়ে ফিজিকসের বই ছেড়ে বারান্দায় ছুটে আসে।তোমার মত ক্যাবলা নিধিরাম সর্দার মার্কা ছেলেকে আমার মেয়ে পছন্দই করতে পারেনা।যাকগে,যাও,নিজের কাজে যাও”,এই বলে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলেন।
    আমি সদ্যলধ্ব পরিত্রাণের আনন্দে আটখানা হবো নাকি এটাকে আমার পার্সোনালিটির উপর ইনসাল্ট ভেবে নেবো তা ভাবতে ভাবতে ঠেকের দিকে রওনা দিলাম।
    পরদিন কলেজ থেকে ফেরার সময় সায়ন্তিকা’র মুখোমুখি।একটা কথা বলে রাখা ভালো যে আমি কিন্তু সাক্ষাত কাপুরুষ।কিন্তু সায়ন্তিকা বেশ তেজস্বিনী মেয়ে।খোদাতালার এই আজব দুনিয়াতে সায়ন্তিকা আরশোলা ছাড়া আর কিচ্ছুকে ভয় পায় না।আমায় দেখে চোখ পাকিয়ে বললো,
    ‘কাল বাবার সামনে অমন হাঁদা ক্যাবলার মিউ মিউ করছিলে ক্যানো?”
    আমি মুখে হাসি ফুটিয়ে বললাম, ‘কই,নাতো...”
    “বললেই হবে,আমি নিজের চোখে দেখেছি।বলি,আমার বাবা কি বাঘ না ভাল্লুক?”
    আমি চিন্তিত হয়ে বললাম, “ তোমার বাবা’র নখ আছে দেখেছি,তবে ল্যাজ তো প্রকাশ্যে দেখিনি,তাই যথার্থভাবে বলাটা মুশকিল যে উনি কি...”
    “আবার বাজে কথা...”,ঝাঁঝিয়ে উঠলো সায়ন্তিকা।
    এসব পরিস্থিতিতে যেকোনো বুদ্ধিমান ছেলেই চুপ করে যায়। আর আমি তো বুদ্ধিমানই,তাই চুপ করে গেলাম।সায়ন্তিকা চোখে চোখ রেখে বলল,
    “আমি বাবাকে বলে দিয়েছি যে আমি তোমাকে ভালোবাসি”।
    “অ্যাঁ...বলে দিয়েছো...কি সব্বোনাশ...তারপর?”
    ঠোঁট বাকিয়ে সায়ন্তিকা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল।
    “তারপর আবার কি? বাবা বলেছে ওরকম অপদার্থ ছেলেকে কোনোদিন জামাই হিসেবে মেনে নেবেনা”
    “তাহলে কি হবে?”,আমার সকাতর জিজ্ঞাসা...
    “কি আর হবে?বাড়ি থেকে পালাবো।তুমি না বলেছিলে ঘোড়ায় চেপে পালিয়ে বিয়ে করবে।তুমিই তো বলো যে পালিয়ে বিয়ে করার থ্রিলই আলাদা”।
    দিনটা ছিল অষ্টমী।এরপর গঙ্গা দিয়ে বেশ কিছুটা জল বয়ে গেছে। ঘোড়ায় চড়ে পালাবার পক্ষে আমরাও কিছুটা বড় হয়ে গেছি।সায়ন্তিকা কলেজে পড়ায় আর আমি তো ইস্কুল মাস্টার।সায়ন্তিকা’র বাবা,একটি শাঁসালো সরকারী দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর,এখনও সেই ক্যাবলা নিধিরাম সর্দার মার্কা ছেলেটাকে মেনে নেন নি,অদূর ভব্যিষতে মেনে নেবেন এমন সম্ভবনাও কম। তার বিদূষী এবং পরমাসুন্দরী কন্যা,ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ছেড়ে আমার মত পাতি ইস্কুল মাস্টার কে পছন্দ করতে ফেলবে এ সার সত্যটা তিনি হজম করে উঠতে পারেন নি এখনও।
    “কাফের,তোমাকে ভালোবাসলাম বলে,
    অকালবোধনে বসন্ত এলো...
    কৃষ্ণচূড়া অবনত হল ফুলে”

    আমার আর সায়ন্তিকার তরফ থেকে সকলকে শারদ শুভেচ্ছা রইলো।সকলে ভালো থাকুন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১২ অক্টোবর ২০১৩ | ৯১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • s | 182.0.249.87 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:৪৭47567
  • দারুন লাগলো।
  • I | 24.99.115.216 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:১৫47568
  • বেশ!
  • | 24.97.116.196 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:২৪47569
  • অষ্টমীর দিন কলেজ!!!
  • Ranjan Roy | 24.99.156.82 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:২৫47570
  • দময়ন্তী যেন কী! জুলিয়াস সীজারে কেন দেয়াল ঘড়ি বাজে জিগ্যেস করতে আছে?
  • π | 118.12.173.94 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:৩২47571
  • বেশ লাগলো ঃ)
  • জিগীষা | 127.194.115.106 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:০৮47572
  • বেশ লাগল রাণা দা ঃ)
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৪০47574
  • এখুনি অঞ্জলি দিয়ে প্রার্থনা করে এলাম, মা দুগ্গা, তুমি তো হিন্দু মুসলিম সবারই দেবতা, বিজেপি/আরেসেস, জামাত - যতেক মৌলবাদীর হাত থেকে তোমার সন্তান-দের রক্ষা কর। এপারে ন মো , ওপারে কসাই মোল্লা-রা যেন জিততে না পারে
    পুজোর মধ্যে কাজাতে আপিসে এসে এই লেখাটা পড়লাম। প্রেম ধর্ম মানে না, এটাও মা দুগ্গা জানেন বলেই মনে হয়। রাণা-সায়ন্তিকা, তোমাদের সব স্বপ্ন যেন সত্যি হয়ে যায়।
  • Rana Alam | 111.210.20.171 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৩ ১০:১১47573
  • অষ্টমী'র দিনে কলেজ হয়না।একদম ঠিক।আসলে বহরমপুরে গার্লস কলেজের ঠিক সামনেই পূজো হয় বড় মাপের।গার্লস কলেজ ছাড়িয়ে রবীন্দ্রসদনের সামনে সমরদা'র চায়ের দোকানে আড্ডা দিতাম আমি ( সব উঠতি আঁতেলরাই ওখানে আড্ডা দেয়)।সায়ন্তিকাদের গ্যাং টা ওই গার্লস কলেজের সামনের পূজোতেই আড্ডা দিত।ও সেখান থেকেই ফিরছিল।আমি সেটা উল্লেখ করতে গিয়েই ভুলটা হয়েছে।
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৫৬47575
  • বঢ়িয়া হুয়া। লেকিন, ঐ প্রথম অংশের ঋত্বিক-বাপাদিত্য-অর্ক অংশের সঙ্গে বাকি অংশকা সম্পর্ক কেয়া মালুম নেহি হুয়া।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন