এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আর্য সমস্যাঃ পর্ব ২

    Swarnendu Sil লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ | ১৬৯১ বার পঠিত
  • (পর্ব ১ এর পর )

    কালচারাল আর্যঃ

    দ্বিতীয় সম্ভাব্য উত্তরটা হতে পারে আর্যদের ডিফাইন করা একটা কালচার ( মানে কিছু স্পেসিফিক কালচারাল বৈশিষ্ট্য) দিয়ে। কিন্তু এইটা কি আমরা প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান কালচার দিয়ে করতে পারি? মানে সেই থেকে ডিরাইভড কোন একটা কালচারকে আর্য কালচার বলব, এটা কি পারি?
    এতে দুটো মুশকিল, এক হল প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান কালচার সম্পর্কে আমরা আদৌ জানব কিকরে? ভাষাটার অস্তিত্ব লজিকালি ডিরাইভ করেছি ( এখনো করিনি, আপাতত ধরে নিতে বলেছিলাম, আরও কিছুক্ষণ ধরে থাকুন ), কিন্তু আদৌ সেটা একটাই কালচার এইটাই একটা অ্যাসাম্পশন, তারপর ভাষা যেভাবে যেভাবে ব্রাঞ্চ করেছে, কালচারও সেরকম ভাবে ছড়িয়েছে, ব্রাঞ্চ করেছে, পালটেছে এরকম ভেবে নেওয়ার কোন যুক্তি সত্যিই নেই... ভাষা তার নিজের নিয়মেই সময়ের সাথে সাথে পালটায়, ডায়ালেক্টিকাল ভ্যারিয়েশন বাড়তে থাকে ও বাড়তে বাড়তে নতুন ভাষা জন্ম নেয়, কালচার মোটেও এরকম নয়- দীর্ঘ সময় ধরে তা প্রায় একই থেকে যেতে পারে, আবার নতুন কোন উদ্ভাবন বা আবিষ্কারে দুম করে প্রায় আমূল পালটে যেতে পারে। তাই কালচারের অমন ব্রাঞ্চিং ট্রি ভাবার কোন যুক্তি নেই।
    দ্বিতীয় মুশকিল হল প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাভাষী মানুষরা লিখতে জানত না ( সময়টা যাইই হোক, এটুকু নিশ্চিত যে তখন পৃথিবীতে কেউই লিখতে জানত না )। তাই যদি তাদের একটাই কালচার থেকেও থাকে আর সেই কালচারের নানান এলিমেন্ট তাদের সন্তান ভাষাগুলোয় কথা বলা মানুষদের কালচারে থাকেও, তাহলেও সরাসরি সেটা কি জানার উপায় আমাদের নেই ( একদম নেই তা নয়, কিন্তু লিঙ্গুইস্টিক রিকন্সট্রাকশনকে যদি নির্ভরযোগ্য হতে হয়, তাহলে সেই উপায়টা সেই অনুপাতেই খুব অল্প তথ্য যোগাবে, এইটায় আমরা পরে ফিরে আসব ), তাই আমাদের জানা কোন কালচার দিয়ে শুরু করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।

    এরকম কালচার কোনগুলো? সেরকম কিছু পেতে একেবারে আজকের দিনে আসতে হলে খুবই সমস্যা, কারণ আজকে এই ভাষাগোষ্ঠীর জ্যান্ত ভাষাগুলোয় কথা বলা মানুষদের মধ্যে কালচারাল ভ্যারিয়েশন বিপুল। ভাগ্যক্রমে আমাদের এইরকম দুটো ( বস্তুত একটা ) কালচার জানা আছে, যদিও অপ্রত্যক্ষভাবে।

    ঋগ্বেদ (RigVeda) আর আভেস্তা(Avesta) এই দুটো টেক্সট আমাদের হাতে আছে। ঋগ্বেদ রচনা বৈদিক সংস্কৃতে, (Vedic Sanskrit) ( বস্তুত তারও খানিক পুরনো ফর্মে, যাকে অনেকে ঋগবৈদিক সংস্কৃত ও বলেন ), আভেস্তা যে ভাষায় রচনা তার নাম আভেস্তান (Avestan), ওল্ড ইরানীয়ান ও বলা হয়। দুটো টেক্সটই দীর্ঘদিন মুখে মুখে সংরক্ষিত হয়েছে, লিখিত আকারে এসেছে অনেক পরে, কিন্তু তা সত্ত্বেও এদেরকে খুব ভালভাবেই সংরক্ষণ করা হয়েছে। বস্তুত ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋগ্বেদের যে লিখিত টেক্সট পাওয়া গেছে তাদের নিজেদের মধ্যে মিল অবাক করার মত। আসলে ছন্দ থাকার কারণে মনে রাখার সুবিধে আর পবিত্র টেক্সট হওয়ার জন্যে খুব যত্ন নিয়ে নিখুঁতভাবেই এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে হস্তান্তরিত হয়েছে। প্রসঙ্গত রামায়ণ ও মহাভারত, এরাও যদিও পবিত্র টেক্সট, কিন্তু এদের ট্রান্সমিশনের পদ্ধতি ছিল চারণকবি ট্র্যাডিশন, যা গ্রীক ইলিয়ড-ওডিসির ক্ষেত্রেও আমরা দেখি... যার ফলে সারা ভারতীয় উপমহাদেশে রামায়ণ ও মহাভারতের দুয়েরই বহু বহু আলাদা সংস্করণ পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে থেকে কোনটায় কতটা মূল টেক্সট তা বার করা বেশ কঠিন ব্যাপার, কিন্তু বেদ এর সব সংস্করণ প্রায় হুবহু এক। এটা আরোই অবাক করার মত এইজন্যেই যে বেদ যখন শেষত লিখিত হয়েছে তার বহু বহু আগে বৈদিক সংস্কৃত ভাষা হিসেবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আভেস্তার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অ্যাাকিউরেসি সামান্য কম হলেও কতকটা তাইই। আবার ঋগ্বেদের ভাষা আর আভেস্তান এতই কাছাকাছি যে দুটো একই ভাষার সামান্য আলাদা ডায়ালেক্ট বলে মনে হয়। তা এই দুটো টেক্সট থেকে যারা এই টেক্সট রচনা করেছে তাদের কালচার সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য বার করা সম্ভব। যদিও তাতে মুশকিল কম নয়, কারণ দুটো টেক্সট এর কোনটাই আদৌ সচেতনভাবে ইতিহাস লেখার জন্য লেখা নয়, এমনকি কোন ন্যারেটিভ ও নেই, কিছু গল্প-ঘটনা বা আদৌ কোন কিছুই বলতে চাওয়া হচ্ছে এমন নয়, শুধুই ছন্ডোবদ্ধ কবিতার কম্পাইলেশন, যেগুলো রিচুয়ালিস্টিকালি গাওয়া হত, এবং ভাষাটাও মৃত, তাই এ থেকে অর্থ বার করা কঠিনই। সেই চর্চার পোশাকি নাম ফিলোলজি।

    তা সে যাই হোক, ফিলোলজিস্টরা এই টেক্সট দুটো থেকে এই মানুষগুলোর ধর্মবিশ্বাস-জীবনযাপন-সমাজব্যবস্থা, অনেকক্ষেত্রে আশেপাশের ভূগোল, এইসবের একটা ছবি আমাদের দিতে পারেন। সেই কালচার যাদের মধ্যে ছিল বা যারা মেনে চলত তাদেরকেও আমরা আর্য বলতে পারি... তাদের ভাষা, অন্তত বেদ যারা রচনা করেছিল তাদের ভাষা বৈদিক সংস্কৃত ছিল বলাই বাহুল্য,কিন্তু আবারো জনগোষ্ঠীটাকে আমরা ডিফাইন করছি এক্ষেত্রে কালচার দিয়েই শুধু, তাই এদেরকে বলব আমরা কালচারাল আর্য। খেয়াল করুন এই একই কালচার নিয়ে যদি আরও পুরনো জনগোষ্ঠী থেকে থাকে, যাদের ভাষা হয়ত আরও পুরনো কিছু, বৈদিক সংস্কৃত নয়, তারাও এই ডেফিনিশনে আর্য। এইরকম কোন ডেফিনিশন যে আদৌ কাজের, সেটার জন্য এই কালচারটাকে উপমহাদেশে নতুন কিছু হতে হবে, অর্থাৎ এমন কিছু থাকতে হবে যা উপমহাদেশে এর আগে দেখা যায়নি ( খেয়াল করুন এর মানে কিন্তু কোথাও এইটা ইমপ্লাই করা হচ্ছে না যে এটা উপমহাদেশের বাইরে থেকে আসা কিছুই হতে হবে, চাষবাস প্রথম যেখানে আবিষ্কার হয়, সেখানেও কৃষিকাজ তার আগে ছিল না )। আমরা পরে দেখব যে ঋগ্বেদে যে কালচারের ছবি পাচ্ছি, তা উপমহাদেশের আর্কিওলজিকাল রেকর্ডে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর থেকেই আমরা পাচ্ছি, যা তার আগেরগুলোর থেকে বেশ আলাদা, আবার তাও সর্বত্র একই সাথে নয়, বরং প্রথম আবির্ভাবের পর তা ধীরে ধীরে উপমহাদেশের উত্তরপশ্চিম ক্রমশ পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়াচ্ছে। অর্থাৎ আলাদা কালচার হিসেবে এটাকে ট্রেস করা সম্ভব।

    জেনেটিক আর্যঃ
    লিখলাম বটে জেনেটিক, হয়ত লেখা উচিৎ ছিল ফেনোটাইপিক আর্য, কারণ এখন আর একটা যে সম্ভাবনার কথা বলব, সেটায় আমরা আর্য ডিফাইন করতে চাইব কিছু বিশেষ ফেনোটাইপ দিয়ে। সেটা করতে গেলে এদেরকে ফেনোটাইপের হিসেবে বাকিদের থেকে যথেষ্ট আলাদা হতে হবে। গায়ের রঙ, চুলের ও চোখের মণির রঙ, মুখের, খুলির বা শরীরে হাড়ের গঠনের ফারাক ইত্যাদি কিছু না কিছু। এরকম হঠাৎ হতেই বা যাবে কেন? একটা কারণ, এবং বস্তুত একমাত্র যুক্তিগ্রাহ্য কারণ এইটুকুই যে ইউরেশিয়ায় এই ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা একদিকে চীনের তারিম অববাহিকা থেকে পশ্চিম ইউরোপের অতলান্তিকের উপকূল অবধি ছড়িয়ে ছিল এই কিছুদিন আগে অবধিও ( তারিম অববাহিকার ভাষাটি, তোখারিয়ান Tocharian অবলুপ্ত, যদিও হিস্টোরিকাল রেকর্ড পাওয়া গেছে, ষষ্ঠ-অস্টম খ্রিষ্টীয় শতাব্দীর ), আর এই বিশাল ভূখণ্ডে আজকের অধিবাসীদের মধ্যে এসবের পার্থক্য প্রচুর। বাকি কারণ আসলে কিছু নেই, সেগুলো বস্তুত রেসিয়াল সুপ্রিম্যাসির প্রেজুডিস, ঔপনিবেশিক প্রভু-ইগো থেকে জন্মানো দম্ভ। তাই সেসব বিস্তারিত লেখার কিছু নেই।

    এখন এই তিন রকম ডেফিনিশনের আর্যদের মধ্যে আমরা কাকে খুঁজছি? এই রেসিয়াল প্রেজুডিসের জন্যই গোটা উনিশ শতক এবং তার সামান্য আগে ও পরে, একটা দীর্ঘ সময় জুড়ে স্কলারদের বেশিরভাগ অংশ এবং সাধারণ মানুষও এই ধারণা নিয়ে থেকেছে যে তিনটেই ইক্যুইভ্যালেন্ট, কারণ তাদের মাথায় যে ছবিটা ছিল তা হল নীল চোখের, সোনালী চুলের, সাদা চামড়ার ককেশয়েড চেহারার কিছু মানুষ, তারাই এই ভাষা বলত ও এই যাযাবর-পশুপালক কালচার, যাতে তারা আগুন, বৃষ্টি, হাওয়া এইসব প্রাকৃতিক শক্তির পুজো করত... তারাই ইউরেশিয়ার কোন এক জায়গা থেকে ছড়িয়ে পড়ে ও সারা ইউরেশিয়া দখল করে তাদের ভাষা ও কালচার কায়েম করে। সেই ন্যক্ক্বরজনক ধারণা বিদায় নিয়েছে স্কলারদের কন্সেন্সাস থেকে ধীরে ধীরে, কিন্তু ইতিমধ্যে আবারো পলিটিকাল অ্যাজেন্ডা থাকা কিছু লোক ( লোকই লিখলাম কারণ এদের মধ্যে ক্রেডিবল স্কলার বস্তুত নেই ) এই উনিশ শতকের এই রেসিয়াল প্রেজুডিসের কুমিরছানা দেখিয়েই ঠিক উলটো ছবিটা বলতে চায়, যে এই ভাষা বলা লোকগুলো ভারতীয় উপমহাদেশের আদি অধিবাসী ও ভারত থেকে বেরিয়ে তারা সারা ইউরেশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ও তাদের ভাষা ও কালচার কায়েম করেছে। খেয়াল করে দেখুন এই দুই মতের প্রচুর মিল, দুটোই ভাবে এই তিনটে ইক্যুইভ্যালেন্ট, দুটোই এমনকি এই তিনটের উত্তর ও প্রায় একই দেয়, এমনকি চামড়ার রঙ অবধি, শুধু চোখ আর চুলের রঙ ছাড়া, ( কারণ ভারতে নীল চোখ সোনালী চুলের ব্রাহ্মণ হ্যারিকেন নিয়ে বেরিয়েও মিলবে না ), দুটো মতই ভাবে সামরিকভাবে বলীয়ান ও কালচারালি 'উন্নত' এক জনগোষ্ঠী সারা ইউরেশিয়া বস্তুত দখল করেছে ভাবে, শুধু 'ইনভেশন' এর গতিপথটা উলটো।

    আমরা এই লেখায় আগের লেখা ওই তিন রকমের আর্যদেরই খুঁজব, আজকের স্কলারশিপ এর পথ ধরে। দেখব যে এই তিন রকমের ডেফিনিশনের উত্তর খুবই আলাদা আসবে এটাই আশা করা স্বাভাবিক, এবং এই তিন ধরণের আর্যদের স্ট্রিক্ট সেন্সে ইন্টারসেকশন হয় নেই নইলে থেকে থাকলেও বেশ ছোট্ট একটা জনসংখ্যা, আর সেই খোঁজার পথে এই দুরকম ন্যক্ক্বরজনক মতের পক্ষের যুক্তিগুলোকে ভাঙতে ভাঙতে যাব।

    সব প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই মেলেনি, কোন জীবন্ত জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে কখনোই মেলেও না, কিন্তু এই ক্লেদাক্ত মতগুলোকে আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলার পক্ষে আমরা এখনি যথেষ্ট জানি।

    [ চলবে-র আশা বাড়ছে ]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ অক্টোবর ২০১৬ | ১৬৯১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বয়স - Swarnendu Sil
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 116.51.27.62 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:০০58844
  • বাঃ,বাঃ। ভালো চলছে।হাত চালিয়ে লিখে যান।

    আর ঐ ইতিহাসের "হনুমানবাজী" নিয়ে বারবার লেখার দরকার নেই মনে হয়। ওটা বাদ্দ্যান।
  • avi | 113.24.86.99 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৪৪58849
  • দুটোই পড়ে ফেললাম, দুর্দান্ত হচ্ছে।
  • pi | 127.194.5.25 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:৩৫58845
  • সময় করে ভাল ক'রে পড়ব বলে জমিয়ে রাখছি। লিখতে থাক। কিন্তু একটা পর্বের নিচেই পরেরটা অ্যাপেণ্ড করলে ভাল হয়না ? নইলে অন্ততঃ আগের পর্বকে হাইপারলিঙ্ক করা দরকার।
  • রৌহিন | 113.42.125.10 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:০২58850
  • লিঙ্কের লিঙ্কটা সম্ভবতঃ অন্য কোন তর্কের প্রেক্ষিতে - এই লেখার সংগে তার কোন সম্পর্ক আমিও পেলাম না।
    কালচারাল আর্য অবধি বুঝলেও জেনেটিক বা ফেনোটাইপিক আর্য ব্যপারটা এখনো পুরো বুঝে উঠতে পারিনি। আরেকবার পড়ে দেখি।
    রেসিয়াল প্রেজুডিস বা দম্ভগুলোকে পাত্তা না দিলেও ডিসকোর্সের অঙ্গ হিসাবে আলোচনায় রাখা যেতে পারে। আর এর পরে আর্কিওলজিকাল ডিসকোর্সগুলোও সব আসবে আশা করি। আপাততঃ কদিন এই সিরিজটার জন্যই রোজ একবার করে সাইটে ঢুঁ মারতে হবে।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৪১58847
  • link কি বলতে চাইলেন বুঝলাম না... দ্বিতীয় লিঙ্কটা একটা নিউস রিপোর্টিং :D
    আর প্রথমটা অবশ্যই পেপার, দেখলাম ও , কিন্তু আমার লেখার সাথে তার কি সম্পর্ক ঠিক বুঝলাম না।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:১১58848
  • এই লেখাটা প্রথমটায় অ্যাপেন্ড করে দিয়েছি
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ১০:১৪58851
  • সব্বাইকে অনুরোধ, এইটায় আর আলোচনা না চালাতে... এইটাও পর্ব ১ এ জুড়ে তো দিয়েইছিলাম, আজ পর্ব ৩ টাও ওখানেই জুড়েছি... পরেরগুলোও তাই ই করব... তাই এই লেখা নিয়ে আলোচনা সব পর্ব ১ এর টই তেই চালান প্লিজ সবাই...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন