এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মীসংগঠন

    স্বাতী রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | ২৭০০ বার পঠিত
  • হায় আইটি ইন্ডাস্ট্রি! তোমার স্বর্ণযুগ ফুরাইয়াছে! জয়েন করিলেই আমেরিকায় লং টার্ম অ্যাসাইনমেন্ট নাই, পাড়া প্রতিবেশীর কাছে “বিলেত-ফেরত” আখ্যায় ভূষিত হইবার সুযোগ ক্রম-সঙ্কুচিত, তদুপরি পিতৃ-পিতামহের কালে না শোনা হায়ার-এন্ড-ফায়ার নীতির ব্যবহার শুরু ! এ যে ঘোর কলিকাল! এবং কলিকালের অন্যতম লক্ষণ যে কর্মী- সংগঠন, এখন তাহাই সকলের ভরসা!

    নাঃ এবার একটু সিরিয়াস কথা! ... বলার আগে একটু গৌর-চন্দ্রিকা প্রয়োজন। প্রথমতঃ আমার ব্যক্তিগত পরিচয় শুধু আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে, আইটিইএস সম্বন্ধে আমার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই। তাই আলোচনা সীমিত থাকবে আইটির গণ্ডীতেই। আইটিইএসের সম্বন্ধে অন্য কেউ পর্যালোচনা করলে আগ্রহ নিয়ে পড়ব। এবং আমার দেখার সময়টা বিগত পঁচিশ বছরের মধ্যে।

    ভারতে আইটির শুরুই প্রায় আউটসোর্সিং-এর হাত ধরে। ১৯৬৭ সালে যে পথ চলার শুরু, সেই পালে জোর হাওয়া লাগলো ১৯৯৮-৯৯ নাগাদ। ওয়াই-টুকে নামের বিশ্ব-জোড়া ত্রাসের হাত ধরে। অবশ্য ১৯৯১ সালের ইকোনমিক সংস্কারগুলি ততদিনে সাধারণ মানুষকে স্বপ্নদেখার সাহস জুটিয়েছে। সেই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কাঁধে ভর দিয়েই ভারত জ্যাকপট ঘরে তুলল ওয়াই-টুকে জুজুর হাত ধরে। কিন্তু খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, এই বাজার আসলে সস্তা-শ্রমের। ঠিক যে কারণে বাংলাদেশ রেডিমেড বস্ত্র রপ্তানীতে প্রচুর উন্নতি করেছে, ঠিক সেই মানব-সম্পদের কারণেই আমরাও এই আইটি আউটসোর্সিং-এর দুনিয়ায় জায়গা করে নিয়েছি। আমরা বিশ্বের বাজারে কাজ চালানর মতো ইংরাজী বলি আর বুঝিয়ে দিলে কাজটা তুলে দিতে পারি। সস্তায়। এই সস্তাটাই জরুরী। আমেরিকার বাজারে যে অ্যামেরিকানকে কাজ দিতে গেলে নিদেনপক্ষে বছরে ১০০ হাজার মার্কিন ডলার লাগে, সেই একই কাজ একজন গ্রীনকার্ড –প্রত্যাশী ভারতীয় বালককে দিয়ে (অবশ্যই কন্ট্রাক্টর হিসেবে ) ৬০-৭০ হাজার ডলারে এক সময় করিয়ে নেওয়া যেত। আর পাঁচ জনের যে টিম কাজটা গায়ে গতরে খেতে ঊতরে দেবে, তাদের পিছনে বছরে খরচ ধরা যাক মাথা পিছু তিরিশ হাজার ডলার। তাই লাভ হি লাভ। বুঝতে অসুবিধা নেই কেন সবাই হামলে পড়ে আউটসোর্সিং করতে চাইল।

    কিন্তু সমস্যা হল কিছু দিন পরেই। এটা বুঝতে গেলে আউটসোর্সিং এর অর্থনৈতিক মডেলটি বুঝতে হবে। আউটসোর্সিং হয় মুলতঃ দুই ভাবে – এক প্রজেক্ট বেসিসে আর না হলে টাইম-এন্ড-মেটেরিয়াল হিসেবে। সঠিক পরিসংখ্যান জানা না থাকলেও অনুমান এই দুয়ের মধ্যে পাল্লাটা ভারী টাইম-এন্ড-মেটেরিয়ালএর দিকে। এছাড়াও যে কম্পানী-ওনড ডেভেলপমেন্ট কেন্দ্র গুলি চলে, তাদেরও মোটামুটি যে এক্সপোর্টের হিসেব দাখিল করতে হয় তা খুব সরলভাবে দেখলে একটা গড়পড়তা কর্মী পিছু খরচের হিসেবেই। ( এগুলো খুবই মোটা ভাবে বলা - তবে মোটামুটি ছবি টা দেয় )। এর মধ্যে প্রজেক্ট মোড বাদ দিলে, অন্য মডেলে যারা কাজ করেন দেখা গেল তাদের অন-শোর আর অফ-শোর কর্মীদের কাজের আউটপুটের রেশিও ঠিক ১ঃ১ থাকছে না। সেটি ১ঃ ১.৫ থেকে শুরু করে ১ঃ২.৫ হয়ে যাচ্ছে কখনো কখনো। অথচ ভারতে আইটি ইন্ডাস্ট্রি তে বছর বছর প্রায় ৮% হারে মাইনে বেড়েছে। ফলে যে লাভের আশায় অফ-শোরে আসা, সেই লাভ আর থাকছে না। তার উপর অফ-শোর টিম ম্যানেজ করতে একটু অন্য রকম স্কিল-সেট লাগে। এক ধরণের মাল্টি কালচারাল এবিলিটি লাগে, যেটা অনেক কোম্পানিতেই বেশ দুর্লভ। এই মাল্টি কালচারাল সংবেদনশীলতা অবশ্য দু তরফেই প্রয়োজন। কিন্তু যে ব্যবসাটা দিচ্ছে, তার পক্ষে সেটা বেশি মাথাব্যথা। তার উপর দৈনিক জীবনের যে পরিবর্তন, সেটাও একটা অপরিমেয় বদল। কখনো কখনো মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী। তাহলে লাভও যদি কম হয় আর এত ঝামেলা যদি পোহাতে হয়, তাহলে ভারত-ই কেন? ঠিক এই জায়গা থেকেই এল নিয়ার- শোরিং এর ভাবনা। পেরু, আরজেন্টিনা ইত্যাদি দেশ গুলোতে, অন্ততঃ টাইমজোনের বদল নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। অথবা পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি যেমন হাঙ্গেরি , পোল্যান্ড যেখানে সংস্কৃতিগত তফাত অনেক কম। নিজস্ব অভিজ্ঞতা নেই, তবে খাস ঘোড়ার মুখের খবর যে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলির কাজের আউটপুট নাকি আমাদের থেকে অনেক বেশি। প্রত্যেকদিন আরও আরও নতুন নতুন দেশ আউটসোর্সিং এর ডেস্টিনেসন হিসেবে নাম লেখাচ্ছে। ভিয়েতনাম, আফ্রিকান দেশগুলি – এদের সবার লেবার-রেট আমাদের থেকে কম। কিছুটা অভিজ্ঞতার ফারাক আছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু ভারতের যে ধরণের স্কিলসেট, সেটা এমন কিছু ডিফারেন্সিয়েটিং না যে সেই লেভেলে আসতে অনেক বছরের সাধনা লাগবে। মানব সম্পদের দিক দিয়ে দেখলেও কিন্তু আগের তুলনায় মানের পতন হয়েছে অনেকখানি। আজকালকার স্নাতকদের এমপ্লয়বিলিটি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। তার ছাপ পড়ছে কাজের ক্ষেত্রেও। তাই রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে যাদের ভাবতে হয় এবং সেই সঙ্গে দেশজ রাজনৈতিক চাপের মোকাবিলা করতে হয়, তাঁরা কিন্তু আর আগের মত চালাও পানসি, ভারতবর্ষ বলে বসে থাকতে পারছেন না।

    আরেকটা দিক হল, সাধারণতঃ সেই সব কাজই আমাদের দেশে বেশি আসে যেগুলি একটু নীচু দরের। খুব উঁচু-দরের মাথা-ঘামান পাথ-ব্রেকিং কাজ খুব কম আসে। ফলে আমাদের সামগ্রিক স্কিল সেটেরও আর মানোন্নয়ন ঘটে না।

    এই বারে একটু ঘরের দিকে চোখ ফেরান যাক। পঞ্চাশ বছরের পূর্ণ যুবক আমাদের আইটি ইন্ডাস্ট্রি। কথায় বলে যে কোন ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে বাজারের উপর। ভারতের ডিজিটাল দুনিয়া নিয়ে অনেক চর্চা হয়। এবং আমাদের মত বিপুল জনসংখ্যার দেশে মোবাইল রেভল্যুসন একটা বিশাল বাজার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যত গরজায়, তত বর্ষায় না। আজো আমাদের মোট আইটি উতপাদনের ২৫% দেশে থাকে। এক্সপোর্ট হয় প্রায় ৭৫% শতাংশ। আমাদের দেশীয় ব্র্যান্ড হাতে গোনা। এবং যে কটি ব্র্যান্ড আছে, তারাও পৃথিবীর নামি দামি ব্র্যান্ডের তালিকায় প্রথম দিকে আসবে না। সারভিসের ব্র্যান্ড তবু আছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড খুঁজতে হলে ম্যাগ্নিফাইং গ্লাস লাগবে। কাজেই আজো আমাদের তাকিয়ে থাকতে হয় সেই বিদেশের দিকে। সেই জন্যেই বিদেশের বাজার যাতে ভীত হয়, এমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া আত্মহত্যার সামিল হবে।

    এখানেই ভয় হয় সাম্র্্তিক রাজনৈতিক চেতনার অনুপ্রবেশ দেখলে। কর্মীদের অধিকার রক্ষার জন্য সংগঠন তৈরী হচ্ছে। ভাল কথা। কিন্তু ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। মনে পড়ে যায় বাম আমলের ঘন ঘন বন্ধ ডাকা আর সেই কথা অ্যামেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধিদের জানানতে তাদের কি অসম্ভব ত্রাস! তারপরে তো শুরু হল বন্ধ মানেই অফিসে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করা। অনেক অনেক পরে মমতার কৃপায় আইটিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে ঢুকিয়ে বন্ধের আওতার বাইরে রাখার চেষ্টায় অন্তত কলকাতার সেক্টর ফাইভের ছোট বড় কোম্পানি গুলি অনেকটা হাঁফ ছেড়ে বেচেছে!

    এবার যে সংগঠনের জন্ম হচ্ছে মুলতঃ কর্মী –সংকোচনের প্রতিবাদে, তাদের কাছে অবশ্যই আম জনতার দাবী হবে যে তাঁরা নখ- দাঁত বার করে সংকোচনের প্রতিবাদ করবে। কিন্তু সেই প্রতিবাদের ম্যাক্রোস্কপিক ফল কি হবে? ধরা যাক কোম্পানি এ দশ জন কর্মীকে চাকরী থেকে বিতাড়িত করেছে। এই কর্মীদের ব্যক্তিগত ট্রমা কিন্তু আমি খাটো করে দেখছি না। কর্মী সংগঠন লড়াই করে এই কর্মীদের পুনঃনিয়োগ করাল। ভাল কথা। কিন্তু যে বিদেশী কম্পানীটির হয়ে কাজ চলছিল, তাঁরা দেখল এ তো মহা বিপদ! আমার দরকার মত আমরা কর্মী ছাঁটাই করতে পারব না! আচ্ছা তাহলে বিকল্প হিসেবে অমুক দেশে একটা ছোট খাট সেন্টার গড়ে তোলার চেষ্টা করা যাক তো! তারপরে কখন যে বিকল্প দেশটি-ই প্রথম পছন্দ হয়ে যাবে সে আর আমার-আপনার হাতে থাকবে না!

    বরং একটু বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা যেতে পারে। কর্মী সংগঠন যদি তথাকথিত দাবী আদায়ের জন্য লড়াই না করে অন্য কিছু দিকে নজর দেয়, তাহলে হয়তো লং টার্মে একটু বেশি উপকার হতে পারে। এমনিতেই লেখাটা খুব দীর্ঘ হয়ে গেছে, তাই একটু সংক্ষেপে সারব। সংগঠনের তরফ থেকে সক্রিয় ভাবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে যাতে আমাদের আভ্যন্তরীণ বাজারের দ্রুত বৃদ্ধি হয় আর আমাদের বৈদেশিক রপ্তানীর উপর নিরভরতা কমে। হায়ার এন্ড ফায়ার নীতি তখনই ব্যক্তি মানুষের কাছে বিধ্বংসী হয়, যখন পরের কাজটি পাওয়ার আর কোন সম্ভাবনা থাকে না। তাই কর্মক্ষেত্রের প্রসারনের মধ্যে দিয়েও হায়ার –এন্ড- ফায়ার নীতির মোকাবিলা করা সম্ভব। দ্বিতীয়ত বিতাড়িত কর্মীর পরবর্তী কর্ম-নিযুক্তির বিষয়ে সাহায্য করা। দরকারে তাকে সাবসিডাইজড ভাবে রিস্কিলিং করান, তার নেট-ওয়ার্কে সহায়তা দেওয়া, মানসিক বল জোগান ইত্যাদি। তৃতীয়ত আভ্যন্তরীন বাজারের ক্রেডিবিলিটি বাড়ান। ঠিক আজকের কথা জানি না, কিন্তু একটা সময়ে কেউ নেহাত ঠেকায় না পড়লে দেশের ভিতরে কাজ করতে চাইতেন না। টাকা আদায়ের সমস্যা হত। টাকা পেতে গেলে টাকা দিতেও হত। আজকে কি সেই অবস্থার খুব বদল হয়েছে? জানা নেই। তার উপর আছে দালালের সমস্যা। বিশেষতঃ সরকারী কাজ পেতে হলে এদের মাধ্যমে যেতে হত। লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে গেলে দুটো লোকের চাকরী কমে যায়। তাই সরাসরি কাজের সুযোগ পাওয়াটাও একটা চালন-স্বচ্ছতার বড় অংশ, যে স্বচ্ছতা আনার দায়িত্ব কর্মী সংগঠন নিতে পারেন। সফটওয়ার পাইরেসি বন্ধ করাও একটা বড় কাজ। এজন্য আইনি সচেতনতার সঙ্গে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। সেই দিকেও পদক্ষেপ নিতে পারেন সংগঠন। আর একটা যে বড় দায়িত্ব নিতে পারেন সেটা হল চারদিকে যে মুড়ি মিছরির মত দুটো টেবিল পাতার জায়গা পেলেই আইটি কোম্পানি খুলে ফেলছে লোকে, সেগুলির কর্মীদের যে সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বা তাদের ইনফ্রাস্ত্রাকচারের একটা ন্যূনতম মান বজায় রাখতে বাধ্য করা। ভারতের ভুঁইফোড় ছাতার মত গজিয়ে ওঠা মম-আন্ড-পপ চালিত আইটি কোম্পানিগুলি কিন্তু পুরো-দস্তুর সোয়েট-শপ। সেগুলির নিয়ন্ত্রণের প্রবল প্রয়োজন। মরে যাওয়ার পরে জল দেওয়ার চাইতে বেঁচে থাকাটা অধিকতর সহনীয় করা বেশি কাজের।

    শেষ করার আগে একটু ব্যক্তিগত কথা বলে নেই। আমার কর্মজীবনের শুরু ১৯৯৪ সালে পুণার এক আইটি কোম্পানিতে। তারপর দীর্ঘ বাইশ বছর পরে, টপাটপ বেশ কয়েকটা ধাপ চড়ে ফেলার পরে এক ফুল্ল গোধূলিতে শুনি যে মাই সার্ভিস ইজ নো লঙ্গার রিকয়ারড। তাই যারা এটা বলার জন্য মুখিয়ে আছেন যে আমি চাকরী যাওয়ার যন্ত্রণাটা বুঝি নি বলে এই সব বাতেল্লা মারছি, তাদের অনুরোধ সেটা বলবেন না। বরং আসুন একটু গঠনমুলক আলোচনা করা যাক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | ২৭০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Ishan | 202.189.128.15 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:০১61478
  • তুলে রাখলাম। পাশাপাশি থাক। পরে লিখব।
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:৪৮61479
  • খুব ভালো লাগলো লেখাটা। একদম হার্ড হিটিং ফ্যাক্টস।
  • | 52.107.72.14 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৫61480
  • আমারো কিছু বলার আছে
    পরে রাতে। মূলত ওই ছাঁটাই পলিসি নিয়েই।

    লেখাটা বেশ ভাল।
  • sm | 52.110.193.195 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:২৬61484
  • আই টি তে ইউনিয়ন হলে কি হবে?কি আর হবে? কতক গুলো চট কল তৈরি হবে। এত দিন ইউনিয়ন বাজি ছিলনা বলে ই লোকজন করে কম্মে খাচ্ছে।
    ইউনিয়ন হলে , কিছু লোক সর্দারী করবে, বন্ধ পালন করবে, অপ্রয়োজনীয় ঘেরাও হবে,ভুল লোক কে হেনস্থা করবে।
    লিডার গণ দেদার ফাঁকি মারবে। এ ওর পিছনে লাগবে।
    বিদেশি কোম্পানি হলে কিছুদিন সহ্য করবে, তারপর ঝাঁপ বন্ধ করবে।
    দেশী কোম্পানি হলে ইউনিয়ন কে উস্কে দিয়ে স্ট্রাইক করিয়ে,কোম্পানি বন্ধ করাবে। ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ দেবে না আর ঋণের টাকা বিদেশে পাচার করবে।
    হাইয়ার এন্ড ফায়ার নীতি নিয়ে বেশি কচ কচির কিছু মানে হয়না। কারণ বেশি চাপা চাপি করলে কোম্পানি ১-২ বছর করে টেম্পোরারি স্টাফ নিয়োগ করবে আর মেয়াদ শেষে পুনঃনিয়োগ করবে না। সিম্পল।
    সুতরাং আই টি তে সি টু এর মতো ইউনিয়ন চালু হলে -আম ও ছালা দুই ই যাবে।
  • S | 55.112.70.176 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৫:১১61481
  • আরে আইটি ইন্ডাস্ট্রি তৈরীই হয়েছিলো ক্যাপিটালিজমের নিয়ম মেনে। ওয়েজ রেট আর্বিট্রাজ (আপনি যেমন লিখেছেন)। যে কাজ করতে আম্রিগাতে ৬০০০০ ডলার + ইন্সিওরেন্স + হ্যানা ত্যানা দিতে হয়, সেখানে সেই কাজ ইন্ডিয়ার এক ইন্জিনিয়ারকে দিয়ে বছরে ১৫০,০০০ টাকায় করিয়ে নেওয়া যায়। অতেব লাভই লাভ।

    ভারতীয়রা ইন্জিরি জানে, অন্কটা ভালৈ পারে - অতেব কাজ চলে গেছে। রুপি ক্রমাগত ডেপ্রিশিয়েট করায় ৮-১০% করে স্যালারী ইন্ক্রিমেন্টও দেওয়া গেছে। তাছাড়া বেশি বেশি করে প্রজেক্ট আসায় লোককে ঝপাঝপ প্রোমোশনও দেওয়া হয়েছে। নইলে ৫ বছরে ট্রেনি ইন্জিনিয়ার থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজার হওয়া যায় নাকি?

    কোনও অধিকার টধিকারের পোশ্নই নেই। আমার ক্লাসমেট যখন রাজস্থানের কোনও সিমেন্ট প্লান্টে, বা মধ্যপ্রদেশের কোনও স্টীল প্লান্টে, বা ঝারখান্ডের কোনও রোড প্রজেক্টে কাজ করে মাসে ৫০০০ টাকা কামাচ্ছে আর আমি ঠান্ডা ঘরে বসে তার ৪-৫ গুন কামাচ্ছি, তখন আমার অধিকারের জন্য আবার ইউনিয়নের কি দরকার? তারপরে যেখানে ১-২ বছরের মধ্যেই আম্রিগা যাওয়া প্রায় পাকা, সেখানে আমার ইসের জন্য ঐ বাম পন্থী ছোটলোক ইউনিয়ন লীডারদের কি দরকার? ওরা কি বোঝে? ওদের কেউ আমার মতন স্যালারী থুড়ি কম্পেনসেশন প্যাকেজ পায়? ফুস।

    বিগত এক-দেড় দশকে ওয়েজ রেট বেড়েছে, আরও বেশি বেড়েছে প্রপার্টি প্রাইস। অতেব আর্বিট্রাজ কমেছে। অন্য দেশগুলো-ও এই ব্যবসা করতে শিখেছে (আপনি যেমন লিখেছেন)। ভিসা পেতে এখন অনেক বেগ পেতে হয়। আম্রিগার কোম্পানিগুলোর আউটসোর্সিঙ্গের প্রয়োজন তেমন আর বাড়েনি। আর উপরে আবার এআই। অতেব, এখন যে আইটি ডিমাইস না কি বলা হচ্ছে সেও ঐ ক্যাপিটালিজমের নিয়ম মেনেই হচ্ছে।
  • h | 213.132.214.86 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৮:৩৮61482
  • চমৎকার লেখা।
  • অরুপ | 160.107.213.62 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৯:২৯61485
  • আইটি-তে ফোর্সড রেজিগ্নেশন, ছাটাই-এর কারণ, কিভাবে কম্পেন্সেট করা হয়, কার দোষ, এই ব্যাপারে কি করা যায়, এই নিয়ে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর।

    ১) ফোর্সড রেজিগ্নেশন কেন? - Industrial Dispute Act 1947 অনুযায়ী টেকনিক্যাল বা ক্লারিক্যাল চরিত্রের কাজ হলে তাকে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে বের করা যাবে না কারণ টেকনিক্যাল বা ক্লারিক্যাল চরিত্রের কাজ হল, রিপিটেটিভ যা সময়ের সাথে সাথে আরো দক্ষ হয়ে ওঠে। একজন আইটি এমপ্লয়ি Industrial Dispute Act 1947 আওতায় পড়ে তাই তাকে পারফরমেন্সের ভাঁওতা দিয়ে বের করতে গেলে আইনি বাধা আসবে। তাই কোম্পানি গুলো এমপ্লয়িদের জোর করে রেজিগ্নেশন করায় যার ফলে আইনতভাবে কোম্পানিগুলো সেফ সাইডে থাকে। পরে সেই এমপ্লয়ি লেবার কমিশনে কেস করলে, কোম্পানি সহজেই প্রমান করে দেবে এমপ্লয়ি নিজেই রিজাইন করেছে।।

    ২) কেন ছাঁটাই? - বিভিন্ন সময়ে ছাঁটাই করার বিভিন্ন কারণ থাকে। এমনকি কোম্পানি -টুঁ - কোম্পানি, কারণগুলো পাল্টাতে থাকে। সবচেয়ে সহজে যেসব ধারনা আসে, "কোম্পানি লস-এ চলছে তাই ছাঁটাই", "খারাপ পারফর্ম করেছে তাই ছাঁটাই", "আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স মার্কেটে চলে এসছে তাই ছাঁটাই" - এসব ভুল ধারনা। গত ৩০ বছরে আইটি কোম্পানি গুলো বা বরং বলা যাক সমগ্র আইটি ইন্ডাস্ট্রি একত্রে এখনও অব্দি লস-এর মুখ দেখেনি। ৩০ বছর ধরে এখনও গ্রোথ চলছে। তবে গত কয়েক বছরে গ্রোথ-এর গাড়ি স্লো হয়ে গেছে। এই অবস্থায় লভ্যাংশের হার আগের মত রাখার জন্যেই প্রধানত কর্মি ছাঁটাই করা হয়।

    ৩) নতুন টেকনোলজি শেখানো? - এটা প্রথমবার নয় যে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন টেকনলজি (যেমন এ.আই.) এসছে। আজ থেকে ৩০ বছর আগে যেভাবে একটা কম্প্যুটার প্রোগ্রাম লেখা হত, ২০ বছর আগে সেই একই প্রোগ্রাম লেখার জন্য নতুন টেকনোলজি চলে এসছিল তাই পুরনো প্রোগ্রামারদের নতুন টেকনোলজি শেখানো হয়েছিল। একইভাবে ১০ বছর আগে একজন প্রোগ্রামারের জন্য, সেই ২০ বছর আগের টেকনোলজি অচল হয়ে গেছিলো তাই তাকেউ নতুন করে শিখতে হয়েছে। গল্পটা হল, এই নতুন করে শেখানোর ব্যাপারটা সর্বদা কোম্পানি লেভেল থেকেই করা হত। কেউ নিজের ইচ্ছায় করে থাকলে আলাদা ব্যাপার কিন্তু কোম্পানিতে সবরকম সুবিধা থাকতো। সমস্যটা হল এখন কোম্পানিগুলো আর নতুন করে ট্রেনিং দিতে বা যাকে বলে "রি-স্কিলিং" করতে ইচ্ছুক নয় কারণ তাদের কথা হল ১০ লাখ টাকা নেওয়া ৯ বছরের পুরনো এমপ্লয়িকে নতুন টেকনোলজি শেখানোর চেয়ে ৫ লাখ টাকা দিয়ে একজন ৪ বছরের নতুন এমপ্লয়ি নেওয়া ভালো। এই ডিসিশন নেওয়ার কারণ হল, ১০ বছর আগে অব্দি একেকটা কোয়াটার-এ কোম্পানির গুলো প্রফিট আগের কোয়াটারের চেয়ে ৪০%-৪৫% বেশি থাকতো যেটা এখন ২%-৩% হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রফিট বাড়াতে এমপ্লয়ি ছাঁটাই।

    ৪) এমপ্লয়িরা কেন প্রতিবাদ করে না? - শুধু যদি আইটি এমপ্লয়ি ধরি (আইটিইএস বাদ দিয়ে), তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েক শতাংশ বাদ দিলে প্রায় সবাই প্রাইভেট কলেজ থেকে। প্রাইভেট ইঞ্জিয়ারিং কলেজে কোনো ইউনিয়ন নেই তাই অধিকারের সচেতনাও নেই। এই অবস্থায় কলেজ পাস করার পর সে যখন আইটি কোম্পানি জয়েন করে তখন সেখানে ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে যা সত্য শেখানো হয় সেটাকেই ধ্রুব সত্য মেনে চলে, যেমন "পারফরমেন্সে খারাপ হলে বের করা ঠিক" বা "প্রাইভেট কোম্পানি নিজের মত করেই চলবে" ইত্যাদি। আরেকটা ব্যাপার আছে, সেটা হল "ব্লাক-লিস্ট" করা। প্রায় সমস্ত আইটি কোম্পানি ন্যাসকম-এর সদস্য। ঠিক কি ভুল জানি না তবে প্রায় সব আইটি এমপ্লয়িদের ধারনা, নাসকম এক ধরনের লিস্ট মেন্টেন করে যে লিস্ট সমস্ত কোম্পানিগুলো দেখতে পায়। এই লিস্টে যদি কারুর নাম চলে আসে তাহলে তাকে কোনো কোম্পানি চাকরি দেবে না। এই ভয়ে বেশিরভাগ এমপ্লয়ি রেজিগ্নাশন দিয়ে দেয় যখন তাকে জোর করে রেজিগ্নেশন দিতে বলা হয়।

    ৫) কম্পেন্সেশন - প্রায় সমস্ত আইটি কোম্পানিতে নোটিশ পিরিয়ড থাকে। যেহেতু ফোর্সড হলেও ব্যাপারটা রেজিগ্নেশন তাই ওই নোটিশ পিরিয়ডের টাকাটা দেয়, দিতে হবেই। তবে ব্যাস ওইটুকুই, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেসিজনেশন করতে বলা হলে, দু-এক দিনের মধ্যেই (বা তৎক্ষণাৎ) এমপ্লয়িরা রেজাইন করে দেয় তাই কোম্পানিগুলো বেশি টাকা পয়সা দেওয়ার চাপ নেয় না। তবে কেউ যদি একটু কাকুতি মিনতি করে কিংবা চাপাচাপি করে তখন হয়ত এক-দুমাস বা তিন-ছয় মাসের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। এটা সাধারনত ম্যানেজমেন্টের এমপ্লয়িদের ক্ষেত্রে হয় কারণ ম্যানেজমেন্টের থাকার দরুন তারা জানে আইনতভাবে বের করতে পারবে না বলেই ফোর্সড রিজাইন করাচ্ছে তাই তারা একটু বার্গেন করে নেয়।

    ৬) কি করা যায়? - ২০১৪ সালে ডিসেম্বর মাসে যখন টিসিএস বলল ১২ থেকে ১৮ বছরের এক্সপিরিয়েন্স ওয়ালাদের বের করে দেবে, যেটা প্রায় ২৫০০০ - ৩০০০০ মত ছিল তখন চেন্নাই-এ কয়েকজন আইটি এমপ্লয়ি মিলে ফোরাম ফর আইটি এমপ্লয়ি বা FITE বলে একটা ফোরাম বানায় এবং কয়েক মাসের মধ্যেই বেঙ্গালুরু, কোলকাতা, হায়দেরাবাদ, পুনে, কোচি ও গুরগাও-এ ফাইট-এর ফোরাম গড়ে ওঠে। মুলত আইনি ব্যাবস্থা ও মিডিয়ার মাধ্যমে ফাইট এই গন ছাঁটাই ব্যাপারটাকে সর্বসমক্ষে নিয়ে আসে যার ফলে টিসিএস পিছতে বাধ্য হয় এবং কর্মি ছাঁটাই তখনকার মত থামিয়ে দেয়। গত তিন বছরে ফাইট অনেকটাই এগিয়েছে তবে এখন মুলত চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পুনে, হায়দেরাবাদ ও কোলকাতায় সক্রিয়। চেন্নাই-এ ফাইট ইতিমধ্যে ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন পেয়ে গেছে REG. No 3598/CNI বাকি রাজ্যেও ইউনিয়নের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কোনোরকম পার্টি ও রঙ ছাড়াই ফাইট লড়ে চলেছে তাই ফাইট সম্পুর্নভাবে এমপ্লয়িদের নিজেদের সংগঠন এবং তাই কি করা যায় সেটা তার, লড়াই-এ থেকেই রাস্তা খুঁজে নেবে।

    https://www.facebook.com/FITEKolkata/
    http://fite.org.in/
  • কল্লোল | 233.227.110.184 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:৫৪61483
  • প্রাক্তন আইটি কর্মী হিসাবে লেখাটা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। কয়েকটা ধন্দ আছে -
    ১) প্রায় ১৯৮০ সাল থেকেই আইটিতে কর্মরত কর্মচারীরা "ম্যানেজমেন্ট ক্যাডারের" পর্যয়ে পড়েন। তাই তাদের ইউনিয়ান করার আইনী অধিকার নেই। তারা বড়জোর অ্যাসোসিয়েশন করতে পারেন।
    ২) ফলতঃ কর্মচারী ইউনিয়ানের যতটা আইনী অধিকার থাকে এদের তা থাকে না।
    ৩) আজকাল কোথাও কোথাও শুনি সংগঠন হচ্ছে। কিন্তু তারা কিভাবে "আমাদের আভ্যন্তরীণ বাজারের দ্রুত বৃদ্ধি হয় আর আমাদের বৈদেশিক রপ্তানীর উপর নিরভরতা" কমাবে সেটা বুঝলাম না।
    ৪) একটা কর্মচারী সংগঠন কিভাবে "সরাসরি কাজের সুযোগ পাওয়াটাও একটা চালন-স্বচ্ছতার বড় অংশ, যে স্বচ্ছতা আনার দায়িত্ব কর্মী সংগঠন নিতে পারেন। সফটওয়ার পাইরেসি বন্ধ করাও একটা বড় কাজ। এজন্য আইনি সচেতনতার সঙ্গে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। সেই দিকেও পদক্ষেপ নিতে পারেন সংগঠন। আর একটা যে বড় দায়িত্ব নিতে পারেন সেটা হল চারদিকে যে মুড়ি মিছরির মত দুটো টেবিল পাতার জায়গা পেলেই আইটি কোম্পানি খুলে ফেলছে লোকে, সেগুলির কর্মীদের যে সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বা তাদের ইনফ্রাস্ত্রাকচারের একটা ন্যূনতম মান বজায় রাখতে বাধ্য করা।" - এসব করবে?
    ৫) আজ বোধহয় খুবই দেরী হয়ে গেছে। এখন আইটি বেকারের সংখ্যাও প্রচুর, ফলে সটাসট ছাঁটাই করে পটাপট নিয়োগ করাটাও খুব সহজ।
    এই আর কি।
  • ল্যাগব্যাগর্নিস | 127.194.29.221 (*) | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৫৪61486
  • (৪) এর প্রেক্ষিতেঃ ন্যাসকম সত্যিই একটা রেজিস্ট্রি রাখে, ন্যাশনাল স্কিলস রেজিস্ট্রি বলে। তার দাবীটা বেশ মহতই - ওখানে নাম তুলে রাখলে, আর রেগুলার স্কিলসেট আপডেট করে রাখলে অন্য কোম্পানি সহজে আপনাকে খুঁজে পাবে, আর আপনার স্কিলসেটও ভেরিফায়েড থাকিবে ইত্যাদি। কিছু কোম্পানি, যেমন উইপ্রো, নতুন জয়েন করলে এই নাম্বারটা চায়। অন্যরা অনেকেই চায় না, বা বাধ্যতামূলক করেনি। তবে শিগগিরি করে দিতেই পারে - সেক্ষেত্রে এই কালো দাগটা দেওয়া সহজ হয়ে যাবে।
  • স্বাতী রায় | 127.213.184.166 (*) | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:২১61489
  • @কল্লোল - ইউনিয়ন করার আইনগত অধিকার আছে কিনা সেটা আমারও ঠিক জানা নেই। বরং কেমন ধারণা ছিল যে নেই। তবে ইঊনিয়ন ইতিমধ্যেই স্থাপিত হয়ে গেছে দেখে মনে হয়েছিল যে যারা বানিয়েছেন তাঁরা নিশ্চয় ভাবনা চিন্তা করে, আইন মেনেই করেছেন। তাই ঐ দিকটা নিয়ে কথা বলি নি।

    সংগঠন বা এ্যাসোসিয়েশন যাই হোক না, আমার তার আইনগত অধিকার নিয়েও জানা নেই। তাই ভুল ভাল বকলে ক্ষমা করে দেবেন। তবে আমি সেটিকে ঠিক ট্র্যাডিশনাল ভাবে দেখতে চাই না। একটা বড় গ্রুপ, যাদের বুদ্ধি আছে, যারা এখনো দেশের শিক্ষিততম ভাগে পড়ে, তারা যদি চায়, তাহলে অনেক কিছু করতে পারে বলে আমার ধরণা। তাই আমি সেটিকে CITU বা INTUC র ২০১৭-র সংস্করণ হিসেবে না দেখে বরং ইন্ডাস্ট্রি মডারেটিং গ্রুপ হিসেবে দেখতে চাই। তাঁরা লবিয়িং করবে, সরকারী মহলকে প্রভাবিত করে প্রয়োজনে নতুন আইন চালু করবে। তবে এই সব কিছুই হবে কর্মীদের মুখ চেয়ে। ... যেমন সেদিন একজন গুরুচন্ডালীরই ফেবু পেজে বলেছেন যে এখন সব থেকে জরুরী দরকার সেভেয়ারেন্স প্যাকেজ নির্ধারণ করা। আমার জ্ঞানমতে এমএনসি গুলিতে মোটামুটি সেটা থাকলেও দেশীয় কোম্পানিগুলিতে সেটি বোধহয় খুব পুরব- নির্ধারিত নয়। সেক্ষেত্রে একটি আইনগত পরিকাঠাম থাকলে খুব সুবিধা হয়। আইন থাকলেও
    পুরো কমপ্লায়ান্স আনা যায় না, আর আইন না থাকলে কেই বা কিছু করে! ... তবে পুরোটা কি ভাবে হবে ( ref to your point 3 &4 ) তার রূপরেখা আমার হাতে-গরম তৈরি নেই। তবে ভাবনার দিকটা এরকম।

    তবে আইটি তে প্টাপট ছাঁটাই করাটা যত সহজ, ঠিক মত লোক পেতে আজো কালঘাম ছুটে যায়। যে কোন কোম্পানির রিক্রুইটমেন্ট সেলের স্টাটিস্টিক্স দেখলেই সেটা বোঝা যায়। এক একটা পজিসন , বিশেষতঃ ৬-১২ বছরের এক্সপেরিয়েন্স লেভেলের যে সব পজিসন সেগুলি ভর্তি হওয়ার আগে কত দিন যে ফাঁকা পড়ে থাকে!
  • স্বাতী রায় | 127.213.184.166 (*) | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৪৩61490
  • @aranya - "পারফরমেন্সের ভিত্তিতে কাউকে ছাঁটাই করা যাবে না" - এটা সত্যি? প্রাইভেট কম্পানিতে খারাপ পারফরমেন্স-এর জন্য কাউকে ছাঁটাই করা বেআইনী? ... এরকমটা আমার ঠিক জানা নেই। ...

    তবে কিনা প্যারফরমেন্স আপ্রাইজ্যাল জিনিসটা আজ অবধি কাউকে খুশি করতে পারে নি, বিশেশতঃ যে সব কোম্পানি তে বেল কার্ভ ফিটিং চালু আছে। ... আর খুব সত্যি কথা বলতে বেল কারভে ফিট করার জন্যে শুধু পারফরমান্স ছাড়াও আরও হাজারটা প্যারামিটার থাকে, যেগুলো আমাদের দেশীয় এইচ আর রা কোন এক অজ্জাত কারণে কিছুতেই খোলাখুলি প্রকাশ করেন না! কেন কে জানে! এই স্বচ্ছতার অভাব শেষ পর্যন্ত কাউকেই খুশি করে না। তবুও এটা এদেশে ট্যাবু!
  • স্বাতী রায় | 127.213.184.166 (*) | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১৮61491
  • @অরূপ বাবু, "Industrial Dispute Act 1947 অনুযায়ী টেকনিক্যাল বা ক্লারিক্যাল চরিত্রের কাজ হলে তাকে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে বের করা যাবে না কারণ টেকনিক্যাল বা ক্লারিক্যাল চরিত্রের কাজ হল, রিপিটেটিভ যা সময়ের সাথে সাথে আরো দক্ষ হয়ে ওঠে। " ... এটার একটু রেফারেন্স দেবেন প্লীজ? Industrial Dispute Act 1947 টা নামিয়েছি - রেফারেন্সটা পেলে আরেকবার ভালো করে খতিয়ে পড়ব।

    টেকনিক্যাল কাজ রিপিটেটিভ যা সময়ের সাথে সাথে আরো দক্ষ হয়ে ওঠে ... এটা ঠিক মানতে পারছি না যদিও। আর রি-স্কিলিং এর ব্যাপারটাও একটু গোলমেলে। আইটির স্বর্ণযুগেও সব কোম্পানিই ট্রেনিং এর জন্য বলি প্রদত্ত থাকত না - বরং বেশির ভাগই বেশ নিরলিপ্ত থাকত। আবার অনেকের ট্রেনিং প্রোগ্রামগুলো লেজেন্ডারী ছিল। মানে যেটা বলতে চাইছি যে ভালো- মন্দ দুই-ই মেলান মেশান ছিল। এখনো তাই আছে বলেই ধারণা।

    ... আর শুধুই রিস্কিলিং -এর পয়সা বাঁচানোর জন্য কোম্পানি গুলি ছাঁটাই করে এটা একটু অতি-সরলীকরণ বলে মনে হল। এমপ্লয়ীর যেমন কাজের দরকার থাকে, কোম্পানির ও যদি কাজ থাকে তাহলে লোকের দরকার লাগে। আর লোক তো শুধু স্কিল নয়, স্কিল আর আটিট্যুডের মিশ্রণ। যে একবার প্রমাণ করেছে যে কম্পানীর পরিবেশ- পরিস্থিতি অনুযায়ী সে ডেলিভার করতে পারে, তাকে সাধারণভাবে কোন কোম্পানি ছাড়তে চায় না, যদি না অন্য কোন disabler থাকে। অবশ্য ডিপার্টমেন্ট ধরে ছাঁটাই হলে ( downsizing ) সেটা অন্য কথা। না হলে খুব ক্রিটিক্যাল স্কিল হলেও সাধারণতঃ পুরোপুরি বাইরে থেকে সদ্য কিনে আনা স্কিলের উপর কেউ নির্ভর করতে চায় না।... আর একটা লোক কে তাড়িয়ে দিয়ে তার জায়গায় বিজ্ঞাপন দিয়ে দু তিন দফার ইন্তারভিঊ করিয়ে চারটে অফার লেটারএ রিজেকসন খেয়ে ন'মাস পরে নতুন লোক পেয়ে তাকে ওরিয়েন্ট করিয়ে ঠিক থাক ভাবে প্রডাক্টিভ করতে যে খরচ আর অপরচুনিটি লস হবে, পুরোন লোকটিকে রিস্কিল করার খরচা তার থেকে কম বই বেশি হবে না। ... অবশ্য মহম্মদ বিন তুঘলক ম্যানেজমেন্ট হলে সবই সম্ভব। তবে আশা করছি ভারতের সব কোম্পানিরই ম্যানেজমেন্ট ঠিক তেমনটি নয়।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৫61487
  • 'Industrial Dispute Act 1947 অনুযায়ী টেকনিক্যাল বা ক্লারিক্যাল চরিত্রের কাজ হলে তাকে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে বের করা যাবে না কারণ টেকনিক্যাল বা ক্লারিক্যাল চরিত্রের কাজ হল, রিপিটেটিভ যা সময়ের সাথে সাথে আরো দক্ষ হয়ে ওঠে। একজন আইটি এমপ্লয়ি Industrial Dispute Act 1947 আওতায় পড়ে তাই তাকে পারফরমেন্সের ভাঁওতা দিয়ে বের করতে গেলে আইনি বাধা আসবে'

    - "পারফরমেন্সের ভিত্তিতে কাউকে ছাঁটাই করা যাবে না" - এটা সত্যি? প্রাইভেট কম্পানিতে খারাপ পারফরমেন্স-এর জন্য কাউকে ছাঁটাই করা বেআইনী?

    স্বাতীর মূল লেখাটা ভাল লাগল।
  • ল্যাগব্যাগর্নিস | 128.185.75.71 (*) | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৬61488
  • পারফর্মেন্স অ্যাপ্রেইজাল বলে এখন যে বস্তুটি চালু আছে, সেইটার ওপর নির্ভর করে ছাঁটাই করলে প্রশ্ন উঠবেই।
  • অরূপ | 126.193.134.41 (*) | ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:১৯61492
  • বাবু টাবু বলতে হবে না, অরূপ বললেই হবে।

    ২২ বছর চাকরি করার পর আপনার চিন্তাধারা ম্যানেজমেন্টের চিন্তাধারার মতই হয়ে গেছে।

    "Industrial Dispute Act 1947 অনুযায়ী টেকনিক্যাল বা ক্লারিক্যাল চরিত্রের কাজ হলে তাকে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে বের করা যাবে না কারণ টেকনিক্যাল বা ক্লারিক্যাল চরিত্রের কাজ হল, রিপিটেটিভ যা সময়ের সাথে সাথে আরো দক্ষ হয়ে ওঠে। " - আমার কাছে কোনো রেফারেন্সে নেই। বেশ কয়েকবার বারাসাত, কাঁকুড়গাছি লেবার কমিশনারের অফিস এবং নিউ সেক্রাটারিয়েট বিল্ডিং-এ ছাঁটাই হয়ে যাওয়া আইটি এমপ্লয়ীদের সাথে গিয়ে গিয়ে এবং এইসব কেস নিয়ে লেবার উকিল, লেবার কমিশনারদের সাথে কথা বলে যা জেনেছি সেটা লিখলাম। আপনি কেস ফাইল করুন আপনিও সব যেনে যাবেন, কোনো কিছু ডাউনলোড করতে হবে না।
  • h | 213.99.211.133 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:০০61493
  • পারফরমান্স মাপার পদ্ধতি এতই ডুবিয়াস এবং এতই সাবজেকটিভ, যে তার ভিত্তিতে কাউকে বের করলে, সে হাসতে হাসতে মামলা জেতার কথা। লোকে এদ্দিন চাগরি পেয়ে যেত বলে মামলা করত না। বা মিডলক্লাস নিন্দের ভয়ে হয়তো করতো না ঃ-)))

    বেসিকালি রেটিং এর সঙ্গে পারফরমান্স এর সম্পর্ক অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিনিমাল। এমনকি যেখানে মেট্রিক আনা যায় সেক্ষেত্রেও।

    নেপোটিজম, ভিক্টিমাইজেশন, জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন ইত্যাদি বাদ দিয়েও, এটা জেনুইনলি একটা সমস্যা, যে পারফর্মান্স মাপাটা সম্পূর্ণ বসের উপরে নিরভরশীল, বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে, যেখানে ইনফরমেশন ট্রান্সপেরেন্ট না। আর উইনার টেকস অল হওয়াতে, এত রোজগারে পার্থক্য হয় একই ইউনিটে, যে রিওয়ার্ড রেকগনিশন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটা পেনাল্টি দেওয়ার রাস্তা।

    কিন্তু এগুলো সারা পৃথিবী তে আনফেয়ার ডিসমিসাল ইন্ডিভিজিউয়াল কেস এ এবং বড় রিট্রেন্চমেন্ট এর স্কোপের বাইরে। অথচ ভারতে এটাকে একটা টার্গেট সংখ্যার মানুষকে তাড়াতে ব্যবহার করা হয় দীর্ঘদিন ধরে এই আইটি ইনডাস্ট্রি তে। আমি যেটাতে শিয়োর নই, সেটা হল, ইন্ডিভিজুয়াল কমিউনিকেশন এ কি বলা হচ্ছে সেটা বোঝা কঠিন। এই জন্যেই কর্পো কে , বিশেষত এইচ আর কে , আর টি আই এর আওতায় আনা জরুরী।

    সারা পৃথিবীতে এম্প্লয়ী রা অনেক ক্ষেত্রেই যেটা করেন, প্রতিটি কমিউনিকেশন এর রেকর্ড রাখেন, এবং ভার্বাল কমিউনিকেশন অ্যাভয়েড করেন। কিন্তু তাঁদের নিজের লয়ার দিয়ে রিপ্রেজেন্টেশন করানোর অধিকার টা এসটাবলিশ্ড, এটাতে কাউকে নজ্জা পেতে দেখিনি ঃ-)))) এই অধিকার টা এসটাবলিশড হওয়া জরুরী।
  • h | 213.99.211.133 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:০৫61494
  • এই অরুপ বলে যিনি লিখছেন, তাঁকে একটা কথা বলার আছে, সেটা হচ্ছে, অ্যাগ্রেসিভ হয়ে লাভ কি, আপনার কাছে তো এখনো কেউ কোন উপকার চায় নি, প্রশ্ন করেছে মাত্র। সঠিক কথা বললেও রেসপেক্ট ফুল ট্রিটমেন্ট জরুরী, যদি সত্যি ই অ্যাফেকটেড লোকের উপকার চান, যেটা চান বলেই মনে হচ্ছে। স্বাতী বলেইছেন ট্রান্সপেরেন্সির সমস্যা আছে, সেটা বলার পর বকাবকি করার দরকার আছে কি?
    অ্যাপোলোজাইস করলে ভালো হয়। আপনার ব্যাবহারে কর্মী দের অর্গানাইজ করার কাজ আপনাদেরি করতে অসুবিধে হতে পারে।
  • h | 213.99.211.133 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:০৮61495
  • আশ্চর্য্যজনক ভাবে, এই যে বস নিরভরশীলতা, সেটা আকাদেমিয়ায় আরো বেশি, এবং এই মিটু বিতর্কে অন্তত যেটা এসটাবলিশ হয়েছিল সেটা হল ক্ষমতার তারতম্য টাই মূল সমস্যা, তো সেটা এক্ষেত্রেও সত্যি, শুধু আইটি ইনডাস্ট্রি তে নয় অন্য শিল্পেও। জাস্ট অ্যাজ অ্যান অ্যাসাইড।
  • ছাগলছানা | 149.99.158.161 (*) | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:০৯61496
  • এর অনেক প্রশ্নের উত্তরে অনেক কিছু লেখা যায়. কিন্তু অপাতত শেষ দিকের কিছু কমেন্ট এর উত্তর দেওয়া অবশ্যকর্তব্য মনে হচ্ছে .

    ১. রেস্কিলিং এর দায়িত্য কোম্পানি এর - এই বক্তব্যে আমার আপত্তি আছে. আমার নিজের রেস্কিল্লিং বা স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর দায়িত্য সব সময় এ আমার নিজের. এটা কিন্ডারগার্টেন না. কোম্পানি এর বড়জোর বিভিন্ন ইন্টারনাল material বা লিন্ডা.কম জাতীয় কিছুতে সাবস্ক্রিপশন থাকতে পারে যা আমি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারি. না থাকলেও আজকের যুগে material এর অভাব নেই শেখার. সুতরাং শেখাটা সব সময়েই নিজের ওপর নিজের সময়ে. তার দায় আমি কোম্পানি এর ওপরে চাপাতে নারাজ. কোনো কোম্পানি এর রেস্কিল্লিং এর আলাদা রাস্তা পন্থা ডেডিকেটেড ব্যাপার স্যাপার থাকলে তাকে আমি ভালো এবং ব্যতিক্রম বলতে রাজি আছি, তার বেশি কিছু না.

    ২. "টেকনিক্যাল কাজ রিপিটেটিভ যা সময়ের সাথে সাথে আরো দক্ষ হয়ে ওঠে" - এটা একমাত্র সেই গোত্রের কাজ এই হয় যা automate করে দেব সম্ভব. ঠিক প্রোগ্রামিং এ সম্হব না. কাজেই এরকম কাজে হুট করে লোকের দরকার যেমন হতে পারে. হুট করে সেই দরকার তা চলেও যেতে পারে. Just the nature of the job.

    ৩. "... আর শুধুই রিস্কিলিং -এর পয়সা বাঁচানোর জন্য কোম্পানি গুলি ছাঁটাই করে এটা একটু অতি-সরলীকরণ বলে মনে হল" - সহমত. এক এক জন candidate এর সিলেকশন এ অনেক টাকা খরচ হয়, HR থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ প্রসেস, তার জন্যে interviewer দের সময় বার করা. বার বার তার ইন্টারভিউ নেওয়া, তার খরচ বহন করা, compensesation নেগোশিয়েশন, বোনাস এসবের মধ্যে বেশ ভালো খরচ হয়, এই রাস্তায় কোম্পানি তখন এ হাতে যখন তার নিজেদের লোকেদের মধ্যে কেউ "সম পরিমান দক্ষ্য" নয় (এর সঙ্গে " আমায় chance দিলে আমিও পারব" কে গুলিয়ে ফেলবেন না).
    এর সঙ্গে জাস্ট টাকা বাচানোর জন্যে লোক ছাটাই করে নতুন লোক নেওয়া তা যুক্তিগ্রাঝ্য হচ্ছেনা আমার জন্যে.
    সেটা একমত্র ফলপ্রসু যদি, কোনো বর্তমান কর্মী এর কাজ কে খান কযেক freshers কে দিয়ে রিপ্লেস করানো যায়. কিন্তু সেক্ষত্রে ভাবতেই হবে যে freshers রা কাজ তা করতে পারলে সেই কাজ টা highly skilled কাজ কখনই ছিলনা.

    পুন্সচ: যা লিখেছি তা আমার ৩ বছর ভারতীয় ITকোম্পানি এর অভিজ্ঞতা, এবং তারপর বেশ কিছুদিন বিভিন্ন জায়গায় খেপ খাটার অভিজ্ঞতা. সুতরাং ২২ বছর চাকরি আমার জন্যে applicable না
  • কল্লোল | 233.191.12.40 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:০০61497
  • আইটিতে অভিজ্ঞতা অন্তত কোডিং এর ক্ষেত্রে ঋণাত্মক। একটা মানুষের শেখার ও লিমিট আছে। কোবল এ কাজ শুরু করে ফক্সপ্রো হয়ে ওরাকল অবধি গিয়ে এস এ পি কনসালটেন্ট হয়ে কোডিংয়ের কাজ বন্ধ। এর পর আর কত শিখতে হবে?
  • ছাগলছানা | 108.201.152.130 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:৫৬61499
  • যতদিন নিজেকে রিলেভেন্ট রাখতে চায় কেউ, শিখতে হবে. শিখে যেতে হবে.
    এটা খুব সহজ সরল সত্য।
  • ছাগলছানা | 108.201.152.130 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:৫৬61498
  • যতদিন নিজেকে রিলেভেন্ট রাখতে চায় কেউ হবে.
    এটা খুব সহজ সরল সত্য।
  • nabanita | 162.79.255.200 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:৪৯61500
  • ITতে কাজ করা ভারতীয়দের মধ্যে একটা মানসিকতা দেখি USA তে - তাঁরা মনে করেন ইউনিয়ান বা যে কোনো সংগঠন তাঁদের মানহানি কারক এক ব্যাপার। কিন্তু মোদ্দা কথা হল যে কোনো ইজম দিয়েই কোম্পানী তৈরী হোক না কেন, গুটি কতক বোর্ড মেম্বাররা ছাড়া সব্বাই কিন্তু নিপাট শ্রমিক। চটকলে মেশিন চালানো, প্রোগ্রামাররা কম্পিউটার চালানো, ম্যানেজাররা বলা যায় প্রোজেক্ট ম্যানেজার আর প্রোগ্রাম চালানো।

    ডিমান্ড যতদিন থাকবে ততদিন মালিক পক্ষ আতুপুতু করে রাখবে, ডিমান্ড না থাকলে সরতে হবেই - সেটা কথা নয়। কথাটা হল সরতে হবে বা ছাঁটাই টা কী ভাবে হবে। একজন মানুষ যখন কোনো কোম্পানী তে কাজ করছেন এবং সেটা কনট্র্যাক্ট পোজিশানে নয় তখন সেই মানুষের কিছু benefits নিশ্চয়ই পাওয়া উচিৎ। কনট্র্যাক্ট পোজিশানে পয়সা বেশি পাওয়া যায় কারণ কোম্পানী কোনো রকম benefits দেয় না। কাজেই যে ভাবে আমি কনট্রাকচুয়াল কর্মচারিকে বলতে পারব যে কাল থেকে আর আসবেন না, সেই ভাবে কিন্তু এক জন পার্মানেন্ট এমপ্লয়ীকে বলতে পারব না।

    পার্মানেন্ট এমপ্লয়ীর জন্যে অন্যান্য benefits এর মত separation benefits ও থাকা উচিৎ। এই সেপারেশান বেনিফিটস ভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে এদেশে। যদি কোনো কর্মচারীকে performance not up to the mark বলে terminate করা হয়, তাহলে তিনি অনেক সুবিধাই পাবেন না। কিন্তু ডকুমেন্ট থাকতে হবে যে তাঁকে বহু বার warning, corrective measures এর সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা সত্ত্বেও পারফরমেন্স ভাল হয় নি। নয়তো এদেশে মামলা আর ম্যানেজারের জেল আটকানো অসম্ভব।
    এবার যে কর্মচারির পারফর্মেন্স satisfactory অথচ কোম্পানী তে কোনো কারণে লোক কমাতে হবে - তখন আসে separation benefits - কখনো বা যত বছর কাজ তত মাস বা তত দু-সপ্তাহের মাইনে দেওয়া, কিছু নোটিশ পিরিয়েড, সরকারি কোবরা আর আনএমপ্লয়মেন্ট এর application help, কখনো বা নতুন কাজ খোঁজার সাহায্য সবই এর মধ্যে পড়ে। বিশেষ নজর দিতে হয় যে কোনো discrimination হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে।

    এবারে এই সব সুযোগ কিন্তু এদেশেও এমনি হয় নি। যে activist দের নামে IT কর্মচারীরা লাফিয়ে ওঠেন, তাদের যত সর্বনাশ সবের জন্যে দায়ী করেন - এই সব সুবিধা এসেছে সেই activist দের continious আন্দোলনের ফলে। ইউনিয়ান থাকলে কি হয় তা নার্সদের দেখেই বুঝতে পারি - রিসেশানের বাজারে যখন সারা আমেরিকার কর্মচারিরা ২% মাইনে বাড়লেই উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করত, সেখানে নার্সদের মাইনে steadily ৩-৬% বেড়েছে - কারণ ইউনিয়ানের collective bargaining। প্রয়োজনে ছাঁটাই যে কখনো হয় নি তা নয়, কিন্তু সেখানেও ইউনিয়ান নজর রেখেছে যাতে fair deal হয়।

    এই Fair Deal টা পাওয়া নিয়েই কথা। আসলে employee আর employer এই দুই গ্রুপে ক্ষমতার বিভাজন এতই অসমান যে employee দের যদি একা একা বিচ্ছিন্ন হয়ে লড়তে হয় তবে সেখানে এই সব জবরদস্তি রিজাইন করানো, আরো অন্য অনেক অন্যায় আসবেই। দিনে ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করানো, পারিবারিক প্রয়োজনে বা শারীরিক প্রয়োজনে না ছাড়া, দু-তিন জনের কাজ এক জনকে দিয়ে করানো সবই কিন্তু human right violation। কোনো জরুরী সময়ে মানুষ ownership নিয়ে অতিরিক্ত কাজ করলে সেটা going above and beyond, কিন্তু সেই অতিরিক্ত কাজটাই নিয়ম হয়ে গেলে সেটা oppression। অন্তত: একটা association যদি থাকে, যারা collective ভাবে তাদের কথা বলতে পারে তবে এই অনিয়ম গুলো অন্তত কিছুটা হলেও কমবে।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৪৫61502
  • বাংলায় লিখতে পারেন না ?
  • ছাগলছানা | 108.201.152.130 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫২61503
  • বিপ দা বড় বড় রাজি রাজি লেখা নামাচ্ছে।
    এবং তার ও অনেক কথার সাথেই সহমত তো নোই এ, বরং প্রতিবাদ করি.

    সুতরাং একে একে,

    "Now we expect them to know system Engineering, Math , SME" সত্য। যদিও সব সময় না. কার্যের ওপর নির্ভরশীল। এবং সেটা নিয়ে আসে পরের পয়েন্ট এ

    "Unfortunately India has polluted itself in education sector. First syllabus is useless in schools and colleges. They are passing exams with marks learning nothing, no creativity at all." এই পয়েন্ট এ আমার আপত্তি আছে. কারণ, এখানে ধরে নেয়া হচ্ছে "শিক্ষা" এর মূল লক্ষ্য আমাদের "চাকরির জন্যে তৈরী করা" বা to make us employable. কারো ছোটবেলায় সহায়ক পাঠ এ পড়া কয়েকটা লাইন মনে আছে? ব্রিটিশ শিক্ষার ভিত্তি কি ছিল? ব্রিটিশ শিক্ষার ভিত্তি ছিল "এক প্রজাতির স্কীলড কেরানি তৈরী করা যারা ওদের কাজ করতে পারবে" to make them skilled clerks. তাহলে এখন আবার আশা করছি যে আমরা এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরী করবো যা আবার আমাদের সেই স্কীলড টেকনিকাল কেরানি বানাবে?

    না. আমার আপত্তি আছে এরকম শিক্ষায়। বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়ে ভুরি ভুরি লোকজন লিখে গেছে। আমায় আর কিছু লিখতে হবেনা, কিন্তু তার এরকম রিফর্ম আমার কাম্য নয়.

    এবারে আসছে বিপ দার আসল পয়েন্ট তে. কর্মক্ষেত্রে এসব স্পেসিফিক স্কিল, শিক্ষা এর প্রয়োজন হবেই এবং সেটা তখন আমাদের শিখে নিতে হবে, এটাই রেস্কিলিং। এবং এটাই আমি আগে লিখেছিলাম যে it's a continuous process, if you want to stay relevant. You have to keep doing it for your sake. এখানে কেউ সাহায্য করবেন, এবং কোনোরকম কলেজ, স্কুল এর শিক্ষা এখানে ১০% এর বেশি হেল্প করবেনা।

    তাহলে শিক্ষার দরকার টা কি? লোকে পড়াশোনা ছেড়ে দিলেই তো পারে, তাই না? (এবং বিদেশে অনেকে সেটা ভাবেও).
    আমার মতে শিক্ষার একটাই কাজ

    To open us to possibilities. To make us ready enough that we can learn and adapt the challenges to come.

    ইঞ্জিনারিং শিক্ষার দরকার কি?
    ১. Undergraduate(অস্নাতক?) Level e: ভিত্তি তৈরী করা. বিপ দা যা যা বলেছে সব এই স্তরেই শেখানো হয়. কিন্তু কোনো "রিয়েল ওয়ার্ল্ড এক্সাম্পল" এর সঙ্গে সংযোগ না রেখে। যার জন্যে কেউ উৎসাহ ও পাইনা। শেখে ও না.
    কিন্তু আমি বলবো that's ok. We may not actually learn anything at that level, but we get exposed to the concepts and what is possible. Learning the math and science behind it all is always interesting. But that we can learn when we are actually in a pinch and need to learn it. আমি "কিছু শিখি না" তাকে সব সময় খারাপ ভাবে নিতে বরাজি নয়. যতক্ষণ না আমি নিজেকে এডাপ্ট করতে পারি এবং যখন দরকার পরে শিখে নিতে পারি।

    ২. গ্রাজুয়েট (স্নাতক?) লেভেল এ: রিয়েল ওয়ার্ল্ড এ যে যে সব প্রব্লেম ফেস করে লোকের এবং ইন্ডাস্ট্রি তা সল্ভ করতে দেখা। এবং তা করার জন্যে যেকোনো প্রোগরামিং শিখতে হলে সেটা শিখতে হবে, যেকোনো অনেক করতে হলে সেটা শিখে করতে হবে , চাইলে বই পরে সিগন্যাল পোর্সসিং ও শিখে নিতে হবে ;) . হ্যা আমার অনেক বন্ধুই করেছে, সুতরঞ্জ করতেই হবে.
    প্রসঙ্গত অনেক চাকরি , কাজেও এক্সাক্টলি এই একই জিনিস করতে হয়.

    ৩. স্নতকোত্তর লেভেল এ: নিজের লিমিটেশন বোঝা। সেটা অতিক্রম করতে যা যা শিখতে হবে শেখা। failure একসেপ্ট করতে শেখা। কোনো প্রব্লেম সল্ভ করতে হলে সেটা নিয়ে পরে থাকা এবং সল্ভ করা, হাল না ছেড়ে দেয়া। এবং এক কোথায় প্রব্লেম সল্ভ করতে হলে যা যা শেখার দরকার সব শিখে সল্ভ করা.সেটা ইমপ্লিমেন্টেশন এ হোক, বা অংক এ হোক.

    লক্ষ্য করবেন এর কোনটাই সরাসরি কিন্তু আমাদের "জব রেডি" করে না. কিন্তু আমি মনে করি এগুলো invaluable.
    এবং সেই জন্যই "students will be worthless piece of shit before new rising requirements " এর আমি বিরোধিতা করি. শিক্ষার কাজ (আমার মতে) rising requirement মাথায় রেখে employable করা না. বরং ভিত্তি স্থাপন করা যাতে ওই rising requirement ছাত্রেরা নিজেরাই সামলে নিতে পারে।

    Please don't make education as another cookie cutter pipeline for whatever job you seem fit. Let them decide. "Enable" them to do it.
  • | 52.107.78.91 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩২61504
  • নবনীতার সাথে সহমত।
  • ল্যাগব্যাগর্নিস | 233.191.50.153 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৪২61505
  • হুম, একজন হবু ম্যাঞ্জারকে দেখা যাচ্ছে। সিইওও হতে পারে।
  • ছাগলছানা | 108.201.152.130 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫১61506
  • হবু ম্যানেজার তা কি বিপ দা না আমি?
    বিপ দা তো অলরেডি বোধহয় entrepreneur (যদি যার কথা ভেবে লিখছি সেই হয়).

    আর আমি তো ছাগলছানা। হবু হতে হলে CTO টাই প্রেফার করবো :P
  • ল্যাগব্যাগর্নিস | 125.112.74.130 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০২61507
  • একই ব্যাপার। গোত্র এক, গোষ্ঠী ভিন্ন।

    কিছু ক্ষেত্রে তাও নয়।
  • ছাগলছানা | 108.201.152.130 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০৬61508
  • উহু কার্যক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
    সুতরাং একেবারেই এক ব্যাপার না. দুজনেই indispensable যদিও এবং পরিপূরক (টেক কোম্পানি এর ক্ষেত্রে)
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন