এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এক বিমর্ষ শয়তান, যে একটু বাঁচতে চেয়েছিল

    উদয়ন ঘোষচৌধুরি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১২ জুন ২০১৫ | ৬০০ বার পঠিত
  • নেহাতই ছাপোষা। বউ-বাচ্চা নিয়ে জেরবার। ঘাউরা-মার্কা চোখমুখ। ভুরুটা প্রায়সময়ই কুঁচকে। তেমন কোনও প্রতিভা নেই, তেমন কোনও দক্ষতা নেই যে, সংসারটা হেসেখেলে চালাবে। কিস্যু কি নেই? একেবারেই? আছে! আখাম্বা একটা পুরুষাঙ্গ। যেটা উচ্ছ্রিত হলে লোকটা পুরো যন্ত্র বনে যায়। শুধু সেটাকেই চালনা ছাড়া অন্য কোনও কাণ্ডজ্ঞান থাকে না। হ্যাঁ, এরকমটাই তো দরকার ঝাঁঝালো পুরুষালি পর্নো বানাতে। আর হলও তাই। পরিত্যক্ত গ্যারেজে, পুলসাইডে, বাইকে ঠেস দিয়ে, ঝলসানো আলোর নিচে রগরগে সেট বানিয়ে তৈরি হতে থাকল গোছা গোছা থকথকে কামার্ত পর্নো। তারপর? ফ্লপ! একের পর এক ফ্লপ! লোকটা টাকা পেল না। প্রোডিউসার-ডিরেকটররা খালি ঘুরিয়ে মারে। কি করে চলবে সংসার! এদিকে ছেলে বড় হয়ে উঠছে। ড্রয়িংরুমের র‍্যাক ঘেঁটে সে বের করে ফেলেছে বাবার অভিনীত পর্নো ক্যাসেট। চালিয়ে দেখেও নিয়েছে কিছুটা। লোকটা চিন্তিত। ভাবে, এবার ছেড়েই দেবে এই পেশা। বউকেও ঠিকঠাক বলতে পারে না, কি কি হয় পৃথিবীর এই পরিধিতে। বউ বুঝতে চায়, থই পায় না। দাম্পত্যের এলোমেলো খুনসুটি পরিণত হয় বেদম যৌনতায়, যা খানিকটা বোবা জান্তব আর রিরংসাময়। লোকটার ভাই পুলিশ। পুলিশরা সচরাচর যেরকম, অসৎ ও মাস্তান। লোকটার বউকে সে পেতে চায় নিজের বিছানায়। অনেক তেল পুড়িয়েও বাগে না পেয়ে, টয়লেটের আয়নায় জিঘাংসার হস্তমেহনে তার আত্মদমন।

    এরকম পরিস্থিতিতে একদিন এক মহিলা, লোকটার বিগত কো-স্টার, নিয়ে আসে নতুন কাজের প্রস্তাব। একটা ‘আর্ট ফিল্ম’-এ কাস্ট হওয়ার। দোনামনা করেও শেষমেশ রাজি লোকটা; ভাবে, এইবার কিছু টাকা কামিয়ে ছেড়েছুড়ে দেবে সব। তাগড়াই সিকিউরিটিতে শুরু হয় শুট। আর এখানেই আরও জোরালো হতে থাকে ‘মানুষ’ নামে জন্তুটির মারাত্মক যৌনচেতনা। লোকটার কানে গুঁজে দেওয়া হয় ইয়ারফোন, যেটা দিয়ে অনবরত নির্দেশ আসতে থাকে সে তার পুরুষাঙ্গ কোথায় কিভাবে ব্যবহার করবে। নার্সের পোশাকে যুবতী, আইসক্রিম-চোষা নিরুত্তাপ বালিকা, বালিকার লাস্যময়ী মা – একের পর এক। লোকটা ক্লান্ত। প্রতিবাদেও রেহাই নেই। পরিচালক একদিন নিয়ে যায় নিজের ঘরে। দেওয়াল-জোড়া স্ক্রিনে শুরু হয় Newborn Porn; মানে, ডেলিভারি টেবিলে, শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে, মায়ের সামনেই, ডাক্তার সংযুক্ত হয় শিশুটিতে। পর্দায় ভেসে ওঠে সদ্য-হওয়া মায়ের স্মিতমুখ।

    একসময় লোকটার জ্ঞান চলে যায়। ড্রাগ দেওয়া হয় তাকে। ধারালো মেশিনের পৌনঃপুনিকতায় তাকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া হয় যাবতীয় যৌনব্যবহার। এমনকি, উপুড় করে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ধর্ষণের পর, ধারালো অস্ত্রের কোপে, এক নারীর মাথাও কেটে নেওয়া হয় তাকে দিয়ে। Rigor Mortis-এর আগে নারীটির দেহে যে ছিটকে ওঠা কাঁপুনি, লালসা-মাখা ক্যামেরায় তা যেন Orgasm-এর স্বাদ। অন্য একজনকে দিয়ে ড্রাগে ডুবে থাকা লোকটার পায়ুমৈথুনও করিয়ে নেয় পরিচালক। জ্ঞান ফিরলে, এসব জানতে পেরে, লোকটা পালায়। পারে না। পরিচালকের মুশকো রক্ষীরা ধরে ফ্যালে। নিয়ে আসে উপুড় করে ঢেকে-রাখা দুটো শরীরের কাছে। একটায় যুক্ত হয় মুখ-ঢাকা অন্য এক পুরুষ, অন্যটায় সে। দুজনের মধ্যে যেন তীব্রতার প্রতিযোগিতা। বীর্যপাতের আগে আগে, পরিচালক খুলে দ্যায় সকলের মুখ। দ্যাখা যায়, অন্য পুরুষটি, লোকটার সেই ভাই। তার নিচে কাৎরাচ্ছে লোকটার বউ। আর লোকটার নিচে ব্যথায় নীলচে হয়ে গেছে নিজেরই ছেলেটা, মুখ থেকে গ্যাঁজলা উঠছে। রাগে অন্ধ লোকটা থেঁতো করে দ্যায় পরিচালকের মাথা। ভাইকে মেরে ফ্যালে। গার্ডদেরও। একজনের চোখে ঢুকিয়ে দ্যায় নিজের উত্থিত স্তম্ভিত লিঙ্গ। শেষ নিঃশ্বাসের আগে পরিচালক বলে ওঠে, সিনেমার ক্লাইম্যাক্সে ঠিক এইটাই দরকার ছিল।

    এর পর? বাড়ি ফিরে বউ-বাচ্চাকে নিয়ে আত্মহত্যা করে লোকটা। গুলির আচমকা শব্দে কয়েকজন ঢুকে আসে ঘরে। একজনের হাতে ভিডিও ক্যামেরা। একজন খুলতে থাকে প্যান্টের জিপার। অন্যজন বলে ওঠে, বাচ্চাটাকে দিয়ে শুরু কর!

    কি ভাবলেন? সিনেমা শেষ? এতই সোজা? ঠিকঠাক দেখুন তো, আমার-আপনার এইসব নেকুপুসু জীবনে কি এখনও ঢুকে পড়েনি লোকটা? দুমড়ে দ্যায়নি আমাদের বেঁচে-থাকা? একুশ শতকের এই যে সময়, যেখানে কোনও-না-কোনও যন্ত্র আমাদের বেঁধে রেখেছে প্রতি পলে, আমাদের আবেগ-অনুভব সমস্তই সেই যন্ত্রগুলোতে আবর্তিত ও নিয়ন্ত্রিত, আমাদের স্পর্শ ভালবাসা স্নেহ উত্তাপ মায়া কখন কোথায় উঠবে-নামবে বলে দিচ্ছে সেই যন্ত্রেরা, তাহলে আসলে আমরা নিজেরাই কি নিজেদের অজান্তে এক-একজন কলের পুতুল নই? আমাদের আক্রোশ আর ক্রোধও কি আমাদেরই? পরিবারের আর নিজের খাবার খুঁজতে অথবা ‘আরও চাই’-মানসিকতা নিয়ে রোজগারের লোভে রোজ কি মাড়িয়ে ফিরছি না দলা দলা থুতু? আর ম্যাকডোনালডের আলুভাজায় মাখিয়ে তুলছি যে সস, সেখানেও কি লেগে নেই ওই থুতুর অংশ? ভোগ-বানিজ্যের বেড়াজালে এই যে সমাজ, ভেবে দেখুন তো, এখানে শেষ কবে নিজের মতো হেসেছি? শেষ কবে কোনও শিশু বেড়ে উঠেছে তার নিজের ইচ্ছায়? শেষ কবে রাস্তার পাশের গাছটা ফুল ফুটিয়ে ভয় পায়নি কর্পোরেশনের কুড়ুলকে? ‘সুস্থতা’-র নামে, বোধশক্তিহীন এই রাষ্ট্রযন্ত্র কখনও কি গলা টিপে মারেনি / মারে না আমাদের ভাল-থাকাগুলো? অহিংস-সহিংস যেকোনও প্রতিবাদ দাবিয়ে দেওয়া হয় না পেটে পা তুলে? আত্মাহীন ‘রাষ্ট্র’ আমাকে দিয়ে যা যা করিয়ে নেয়, কখনও কি সে জানতে চায়, আমি সেসবে ইচ্ছুক কি না? দুনিয়াশুদ্ধু যদি ‘প্রেম’-এরই এত আস্ফালন, তবে কেন এত বিচ্ছেদ? কান্নাকাটি? আত্মহত্যা? নিপীড়ন? পৃথিবী-ভরা ‘উন্নতি’-র আড়ালে কেন এত খুন? ধর্ষণ? ফাঁসি? ঝাঁ-চকচকে বেশ্যাবৃত্তি? তাহলে, ‘পর্নোগ্রাফি’ আদতে কোনটা? পরিচালক স্পাসোজেভিক এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “It's (this film) about the monolithic power of leaders who hypnotize you to do things you don't want to do. You have to feel the violence to know what it's about.” [The Wall Street Journal, মার্চ ১৫, ২০১০]। আর এইখানেই সিনেমাটি তার নামকরণ ছাড়িয়ে হয়ে ওঠে বিশ্বজনীন। স্পাসোজেভিক যে সার্বিয়ান সমাজ ও সরকারকে বিদ্রূপ করতে চেয়েছেন, আসলে সেই একই ছবি কি গোটা দুনিয়াতেই চলছে না? সরকার – রাজতন্ত্র বা গণতন্ত্র, যে রূপেই থাক – তার কৌশলের পরতে পরতে?

    সিনেমাটি হরর-থ্রিলার ক্যাটেগরির। তবে এটি সেই ‘হরর’ নয় যে, ড্রয়িংরুমের সোফায় ডুবে, ভুট্টাভাজা খেতে খেতে থ্রিল করে আঁতকে উঠবেন, আর আপনার হানি গালে হামি খেয়ে স্বান্ত্বনা পুরস্কার দেবে! বরং একাকী কোনও ঘুমহীন বিছানায় অথবা বাথরুমের নিষ্ঠুর বেআব্রু সঙ্গহীনতায় জ্বালিয়ে খাবে এই ‘হরর’! আলো, ক্যামেরা, টেকনিক – এসব ঠিকঠাক। বা এ-ও বলা যেতে পারে, খুউব সাংঘাতিক কোনও ক্যারদানি মনে হয়নি। ডায়লগের ব্যবহারে দারুণ মুনশিয়ানা। শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে, স্ত্রী যখন স্বামীকে বলে, ছেলেকে গান শেখানোর জন্যে কিছু টাকা দরকার – নিমেষে বুঝে ফ্যালা যায় ঘরের আর্থিক দুর্দশা। অভিনয়ে সকলেই যথাযথ। স্ক্রিপ্টে প্রোটাগনিস্ট ছাড়া আর কাউকেই মাল্টি-ডাইমেনশনাল বানানো হয়নি। আর সেখানে দুরন্ত চার-ছয় হাঁকিয়েছেন অভিনেতা-গায়ক স্রান তোদোরোভিক।

    সিনেমাটিকে কেউই, কয়েকজন ছাড়া, খুব একটা কল্কে দ্যাননি। কেউ ভয় পেয়েছেন এর বীভৎসতায়। ভালও বেসেছেন কেউ কেউ। সমালোচক স্কট উইনবার্গ বলেছেনঃ “The film is tragic, sickening, disturbing, twisted, absurd, infuriated, and actually quite intelligent… it's one of the most legitimately fascinating films I've ever seen. I admire and detest it at the same time.” [Fearnet, মার্চ ১৬, ২০১০]।

    স্বাভাবিকভাবেই ফিল্মটির ওপর, গোটা পৃথিবী জুড়ে, যথেচ্ছ চলেছে কাঁচির উল্লাস, Necrophilia ও Pedophilia-র অজুহাতে। নরওয়ে, স্পেন, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, নিউ জিল্যান্ড ইত্যাদি বহু (উন্নত) দেশে। এক ইউকে-তেই ছেঁটে ফ্যালা দৃশ্য মোট পাঁচ মিনিটের। সার্বিয়া সরকারের নির্দেশে তদন্তও হয়েছিল, ফিল্মের শিশু-অভিনেতাদের নিয়ে সত্যিই যৌনব্যবহার করা হয়েছিল কি না! (অদ্ভুতভাবে, কোনও যুবতীর ধর্ষণ-দৃশ্যে কেউ কোথাও এই প্রশ্ন তোলে না! তাহলে কি মেনে নেব, সরকার ও সমাজ সেটা স্বাভাবিক ধরে নেয়?)

    বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : বমির প্রবণতা থাকলে ফিল্মটি না দ্যাখাই ভাল।

    সিনেমা : আ সার্বিয়ান ফিল্ম (২০১০) / পরিচালক : স্রজান স্পাসোজেভিক / লেখক : আলেক্সান্দার রাদিভোজেভিক ও স্রজান স্পাসোজেভিক / দেশ : সার্বিয়া
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১২ জুন ২০১৫ | ৬০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shibir | 59.206.169.238 (*) | ১২ জুন ২০১৫ ০৪:০০67540
  • মুভিটা ঘটনাচক্রে আমি দেখেছিলাম । এক কথায় ডিস্টার্বিং । এই মুভিটা আমাদের পলিটিকাল কারেক্টনেস কেও প্রশ্ন করে
  • bheetu | 122.79.38.26 (*) | ১২ জুন ২০১৫ ০৭:১৭67541
  • লোকটা যখন প্যান্টের জিপার খোলে , অদূরে কোথাও ক্ষীণ ম্যান্ডলিন এর শব্দ শোনা যায় l দেখতে দেখতে ওই জীর্ণ বাড়িটা একটা বাগান হয়ে ওঠে l আর বাচ্চাটা একটা চেরি ফুল l লোকগুলো ওর মায়ের ছেড়া গাউন ধরে টানতে চেষ্টা করে l পারেনা l হু হু হাওয়া বইতে থাকে চারপাশে l আর সে কী বিদ্যুতের ঝলকানি ! বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা লোকগুলোর গায়ে এসে পড়তেই ওরা হয়ে যায় ছোট্ট ছোট্ট একেকটা নুড়ি l আর ম্যান্ডলিনটা বাজতেই থাকে... বাজতেই থাকে...

    বমি পাচ্ছিল, তাই এসব হাবিজাবি, সিনেমায় যা নেই... :)
  • কল্লোল | 125.242.164.104 (*) | ১২ জুন ২০১৫ ১১:২৮67537
  • এই ফিল্ম দেখতেও বেশ হিম্মত লাগে। আমার বোধহয় নেই।
  • quark | 24.139.199.12 (*) | ১২ জুন ২০১৫ ১১:৪১67538
  • অন্য অনেক কাজ আছে করার মত।
  • ranjan roy | 192.69.154.221 (*) | ১২ জুন ২০১৫ ১২:৫৯67539
  • বর্তমান সমাজ ও রাষ্ট্রকে এবং নিজেকে চাবকাতে এছাড়া আর কোন পন্থা নেই? মানে আর্টিস্টিক ফর্ম বা কনটেন্ট? এও একধরনের মর্ষকাম নয়? কী জানি!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন