এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উত্কর্ষ – পিছিয়ে থাকা নিয়ে কিছু ভাবনা

    Garga Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ | ৫৭৭৭ বার পঠিত
  • প্রতি বছর বিশ্বের কিছু নামী সংস্থা দুনিয়ার সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশাল রেঙ্কিং তালিকা এনে উপস্থিত করেন। কোন বছরেই কোন তালিকাতেই সেখানে ভারতীয় সংঘরাষ্ট্রের কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ২০০-র মধ্যে আসে না। সেই নিয়ে এখানকার কিছু লোক একটু চিন্তা ব্যক্ত করেন। আর কেউ কেউ বলেন ওসব রেঙ্কিং আসলে পশ্চিমা দুনিয়ার চক্রান্ত, যাতে কিনা আমাদেরকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয় (তারা বেমালুম চেপে যান যে শ্রেষ্ঠ ২০০-র তালিকায় একাধিক এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে, থাকে চীনের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়)। যেসব পন্ডিত মনে করেন যে সমগ্র বিশ্ব একমাত্র আমাদেরকে কোণঠাসা করার জন্য এই শ্রেষ্ঠত্বের তালিকা থেকে আমাদেরগুলিকে বাদ দ্যান, তাদের জানা উচিত, এই ধরণের বিশ্ব-ষড়যন্ত্র মার্কা ধারণা গভীর মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ। অনেক ক্ষেত্রে কিছু রাজনৈতিক ধারা বা ধর্মীয় ধারা এমন ভাবে নিজেদের সকল বিশ্বের ষড়যন্ত্রের স্বীকার বলে প্রচার চালায়। এই সব সেয়ানা কারবারীদের চেনা প্রয়োজন। এরা কেউ অসুস্থ নয় – ষড়যন্ত্রের শাঁক দিয়ে নিজেদের ভেতরের পচনের মাছ ঢাকার একটা নিষ্ফলা চেষ্টা করেন এরা। এর ফলে বন্গায়ে শিয়াল রাজা হয়ে অন্যান্য রদ্দি শেয়ালদের থেকে বাহবা পাওয়া যায়, কিন্তু বিশ্ব-দরবারের বেঞ্চিতে এক ইঞ্চি জায়গা-ও জোটে না।

    এই ধরা যাক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৫০-টা বিশ্ববিদ্যালয় – সেগুলির কিছু বৈশিষ্টের দিকে একটু মন দিয়ে দেখি। তারপর নিজেদের সাথে তুলনা করি। আপাতত টাইমস হায়ার এডুকেশন রেন্কিং মেনে চলি, যদিও কিউ.এস এবং এ.আর.ডাব্লু.ইউ, এই দুটিও যথেষ্ট খ্যাতনামা। আমাদের সঙ্গে সবচেয়ে বড় একটা তফাত হলো যে এই শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্নাতক স্তরের কোর্সগুলো মূলতঃ হয় সেই দেশের প্রচলিত মাতৃভাষায়। এবং সেই দেশে ইস্কুল্গুলির, পাঠ্যবই-এর মধ্যেও মাতৃভাষার দাপট-ই বেশি – এটা কোরিয়ান, ম্যান্ডারিন চৈনিক, সুইডিশ, ইংরেজি, জাপানি, জার্মান, অর্থাত যে সব দেশের মাতৃভাষার দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শ্রেষ্ঠ ৫০-এর তালিকায় আছে, এই সকল ভাষার ক্ষেত্রেই সত্যি। আমাদের এই বাংলাদেশে তথা দিল্লি-তে অনেক পন্ডিত বলেন যে মাতৃভাষায় ব উচ্চ-শিক্ষা হলে সমাজ পিছিয়ে পড়বে। তথাকথিত এক আন্তর্জাতিক পরিসরের দোহাই দিয়ে বলা হয় এইসব। তথ্য থেকে এটা পরিষ্কার যে মাতৃভাষা-হীন উচ্চ-শিক্ষা দিয়ে ইংরেজি-ভাষা প্রচলিত দেশের জন্য প্রযুক্তি-ব্যবসার ঝাঁকা-মুটে বা মূলতঃ শ্বেতাঙ্গ বাচ্চাদের আমদানি করা ‘বৈচিত্রময়’ অধ্যাপক হওয়া সম্ভব, কিন্তু নিজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাতৃভাষাকে দুরে রেখে উত্কর্ষ তৈরী কঠিন। রাজনৈতিক নেতারা যতই ‘সেন্টার ও এক্সেলেন্স’ লেখা শ্বেতপাথর উদ্বোধন করে জনগণ-কে ধোঁকা দিন, এক্সেলেন্স-হীনতার এই ফাঁকি এইসব রেঙ্কিং তালিকায় ধরা পড়ে যায়। এছাড়াও এর ফলে মাতৃভাষায় শিক্ষিত ইস্কুলের গন্ডি পেরুনো যে শিক্ষার্থী-সমাজ, যারা কিনা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাদেরকে অবহেলা করে, প্রান্তিক করে দিয়ে, হীনমন্যতায় ভুগিয়ে তাদের মেধা সম্পদ নষ্ট করা হয়। এই সম্পদ থেকে বঞ্চিত হয় দেশ ও জাতি। অবশ্যই এর পিছনে রয়েছে আমার মতো ইংরেজিতে পরা ভদ্রলোকের বাচ্চার কায়েমী স্বার্থ। এই মাতৃভাষায় শিক্ষিত সমাজকে প্রান্তিক করে রাখা নিয়ে রেঙ্কিং হলে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়-গুলি যে বিশ্বে প্রথম ৫০-টি স্থান অধিকার করবে, এ নিয়ে আমার সন্দেহ নেই। তবে নিজেদের কায়েমী স্বার্থকে কি করে সর্বসাধারণের স্বার্থ হিসেবে দেখিয়ে ক্ষমতা ও প্রাধান্য ধরে রাখতে হয়, তার ইন্টেলেকচুয়াল ট্রেনিং দিতে আমরা ওস্তাদ। পশ্চিমবঙ্গে অধ্যাপকের চাকরি লোভনীয়। নানা দেশের অধ্যাপকের মাস মাইনের সঠিক তুলনা (অর্থাৎ সেই পরিমাণ অর্থের সেই দেশে ক্রয়ক্ষমতা – যাকে বলে পারচেসিং পাওয়ার) করলে দেখা যায় যে এদেশের অধ্যাপকেরা গড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, ফ্রান্স, জাপান প্রভৃতি দেশের অধ্যাপকদের থেকে বেশি ক্রয়ক্ষমতার অধিকারী। আমাদের পিছিয়ে থাকাটা টাকাকড়ির কারণে না।

    কি কি দেখা হয়েছে এই সব রেন্কিং-এ ? রয়েছে গবেষনার খ্যাতি ও পরিমাণ, শিক্ষা-দানের খ্যাতি, তবে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ‘সাইটেশন ইম্পেক্ট’-এ। অর্থাৎ এই যে জনগণের টাকা নিয়ে বিদ্যাচর্চা ও গবেষণার আয়োজন, তাতে যা পয়দা হচ্ছে, তা কি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিশ্বে অন্যদের নজরে আসছে, তারা কি সেগুলির কথা বলছেন, নিজেদের কাছে ব্যবহার করছেন ? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মূলতঃ জ্ঞান দেবার জায়গা, নতুন জ্ঞান তৈরী অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গৌণ। এর ফল খুব সহজ। আমরা এখুনো হা-পিত্যেশ করে বসে থাকি সাহেব-মেম-রা নতুন কি বার করলো। যেহেতু নিজেদের উঠোনে হয়না সেসব কাজ, তাই আমদানি করা জ্ঞান সিলেবাস ভুক্ত করতেও হয়ে যায় বিরাট সময়ের ব্যবধান। আর এই কারণেই চলে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি-ছাটার সময়ে দেশে আশা স্বজাতীয় পরিযায়ী পাখি অধ্যাপকদের নিয়ে একটা আদেখলাপনা। সাফল্যের মাপকাঠি হয়ে ওঠে বিদেশে কে কত নাম করলো। ফলে গবেষনার বিষয়-গুলিও মূলতঃ হয়ে যায় বিদেশের সমাজের মাথাব্যথার উপশম করার ‘আন্তর্জাতিক’ প্রকল্পে হাত লাগানো বা শ্বেতাঙ্গ পন্ডিতকুলের আভ্যন্তরীণ বিতর্কে নাক গলিয়ে জাতে ওঠার চেষ্টা। আমাদের দুর্ভাগ্য যে এদেশের ব্যবস্থা ঠিক এই ধরনের আচরণ-কে পুরস্কৃত করে।

    অথচ এহেন গুরুদের প্রশ্নবিদ্ধ করার সংস্কৃতিকেও এখানে বেশ জোর দিয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়। যেখা চিত্ত হওয়ার কথা ভয়-শূন্য, সেখানে সামন্ত্রতান্ত্রিক গুরুবাদের ঠেলায় তৈরী হয় ত্রাসের পরিবেশ। প্রশ্ন করতে নেই, নিলে স্যার রেগে যাবেন, তারপর স্যার তার ক্ষমতা-মতো ‘দেখে নেবেন’, তখন কে বাঁচাবে ? জ্ঞানচর্চা ও গবেষণা এমন এক জিনিস, যেখানে সব কিছুকে অনাবৃত করতে হয়। যেখানে যুক্তির শানিত ব্যবহারে অধ্যাপক-কে কাছাখোলা করাটাই শ্রেয়, সেইসব ক্ষেত্রে গুরুর ঘরের সামনে মাথা নোয়ানোকে মনে করা হয় আদর্শ ব্যবহার। মেধার বিকাশের জন্য গুরু-ভজনা নয়, গুরু-মারা বিদ্যা আয়ত্ত করা প্রয়োজন। এবং দরকার সেই ধরনের গুরু, যারা ছাত্রদের গুরু-মারা জ্ঞানচর্চা করতে উত্সাহিত বোধ করেন, ‘আমি জানি না’ -পরিষ্কারভাবে এই বাক্যটি ভাবে বলতে পারেন সকলের সামনে। এক্সেলেন্স ফলে মানুষের মাঝে মুক্তচিন্তার অঙ্গনে, শিক্ষামন্ত্রীর বাণীতে না, ফলকে না, অধ্যাপকের চেয়ারে রাখা তোয়ালের নিষ্ফলা ‘মর্যাদা’তেও না।

    মতান্তর ও বিতর্ক হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। ক্ষমতার সান্নিধ্য মুক্ত-চিন্তার কাছে বিষময়। ঠিক সে কারণেই চিরকাল-ই প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ত্বের সাথে মেধা ও উত্কর্ষের একটা সম্পর্ক থেকেছে আর ক্যাম্পাসে সরকারপন্থী ছড়ি ঘোরানোর রাজনীতি জন্ম দিয়েছে গতদিনের প্রফেসর অনিল ও আজকের প্রফেসর শঙ্কুদের। এই বাংলার অন্যতম ভালো বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা-সভা করতে অনুমতি দেওয়া হয়না, উপাচার্যের টুকলি-করা গবেষণা-পত্র ধরা পড়েও চাকরি থেকে সে বরখাস্ত হয় না – সসম্মানে ফিরে যায়ে পুরনো আস্তানায় – আরেক ‘উত্কর্ষ’ কেন্দ্রে, নিরাপত্তার নাম করে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর সিসিটিভি নজরদারী চালানো হয়। যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তা ও আলোচনার বিষয় কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষ, অধ্যাপক-বেশী চোরেরা আসল অধ্যাপকদের দন্ডমুন্ডের কর্তা হয়ে বসেন, খাঁকি জামাপরা পুরুষ সরকারী কর্মীরা
    সুরক্ষার নামে যুবক-যুবতীরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে কখন-কোথায়-কি করছে, তা টিভি-তে দেখার মত অশ্লীল কাজে লিপ্ত থাকে, সে দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় যে বিশ্ব-বরেণ্য তালিকায় নেই, এতে এত আশ্চর্যের কি আছে। তবুও এর মধ্যেই যাদবপুরের নয়া উপাচার্য্য সুরঞ্জন দাস যাদবপুরে সিসিটিভি-গুলি নামিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। শুরুটি ভালো। কার তাতে কি, আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ | ৫৭৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • a | 213.219.201.58 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৫৪69441
  • "প্রযুক্তি-ব্যবসার ঝাঁকা-মুটে" এই পংক্তি খন্ডটি ব্যখ্যা করা যায়?
  • Arpan | 125.118.40.216 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:২৬69442
  • ইংরেজি-ভাষা প্রচলিত দেশের জন্য প্রযুক্তি-ব্যবসার কথা যখন হচ্ছে তখন তথ্য প্রযুক্তিই হবে। আর কে না জানে তথ্যপ্রযুক্তি হল গিয়ে মন্দিরের ঘন্টার মত, চেতন ভগত থেকে শুরু করে বঙ্গীয় শিক্ষাবিদ সবাইকেই সেই ঘন্টায় একবার নাড়া দিতেই হয়, নইলে বক্তব্যে উচ্চকিত "যোশ"-টি আসে না।

    আর ঝাঁটা-মুটের প্রতীকটি না বোঝারও তো কিছু নেই। উৎকর্ষের বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে গতানুগতিক দুনিয়ায় অবস্থিত প্রান্তিক গোষ্ঠী।

    এহ বাহ্য। তবে তথ্যপ্রযুক্তি নামক বেঁড়ে ব্যাটার ওপর ঝাল ঝাড়তে গিয়ে লেখক উক্ত পেশার লোকজনকে অবমাননা না করলেই পারতেন। জানি সজ্ঞানে করেননি, তবুও।
  • শ্রী সদা | 113.16.71.15 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:১৪69443
  • পাতি ফ্রাস্ট্রু নামানো আর কি ঃ)
  • Rivu | 108.235.164.224 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৯:৫০69444
  • টাইমস র্যাঙ্কিং এর মেথডলজি তুলে দিলাম উইকি পেজ থেকে:

    "The inaugural 2010-2011 methodology is 13 separate indicators grouped under five categories: Teaching (30 percent of final score), research (30 percent), citations (research impact) (worth 32.5 percent), international mix (5 percent), industry income (2.5 percent). The number of indicators is up from the Times-QS rankings published between 2004 and 2009, which used six indicators.[16]

    A draft of the methodology was released on 3 June 2010. The draft stated that 13 indicators would first be used and that this could rise to 16 in future rankings, and laid out the categories of indicators as "research indicators" (55 percent), "institutional indicators" (25 percent), "economic activity/innovation" (10 percent), and "international diversity" (10 percent).[17] The names of the categories and the weighting of each was modified in the final methodology, released on 16 September 2010.[16] The final methodology also included the weighting signed to each of the 13 indicators, shown below:[16]

    Overall indicatorIndividual indicatorPercentage weighting
    Industry Income – innovation
    Research income from industry (per academic staff)
    2.5%
    International diversity
    Ratio of international to domestic staff
    Ratio of international to domestic students
    3%
    2%
    Teaching – the learning environment
    Reputational survey (teaching)
    PhDs awards per academic
    Undergrad. admitted per academic
    Income per academic
    PhDs/undergraduate degrees awarded
    15%
    6%
    4.5%
    2.25%
    2.25%
    Research – volume, income and reputation
    Reputational survey (research)
    Research income (scaled)
    Papers per research and academic staff
    Public research income/ total research income
    19.5%
    5.25%
    4.5%
    0.75%
    Citations – research influence
    Citation impact (normalised average citation per paper)
    32.5%
    The Times Higher Education billed the methodology as "robust, transparent and sophisticated," stating that the final methodology was selected after considering 10 months of "detailed consultation with leading experts in global higher education," 250 pages of feedback from "50 senior figures across every continent" and 300 postings on its website.[16] The overall ranking score was calculated by making Z-scores all datasets to standardize different data types on a common scale to better make comparisons among data.[16]

    The reputational component of the rankings (34.5 percent of the overall score – 15 percent for teaching and 19.5 percent for research) came from an Academic Reputation Survey conducted by Thomson Reuters in spring 2010. The survey gathered 13,388 responses among scholars "statistically representative of global higher education's geographical and subject mix."[16] The magazine's category for "industry income – innovation" came from a sole indicator, institution's research income from industry scaled against the number of academic staff." The magazine stated that it used this data as "proxy for high-quality knowledge transfer" and planned to add more indicators for the category in future years.[16]

    Data for citation impact (measured as a normalized average citation per paper), comprising 32.5 percent of the overall score, came from 12,000 academic journals indexed by Thomson Reuters' large Web of Science database over the five years from 2004 to 2008. The Times stated that articles published in 2009–2010 have not yet completely accumulated in the database.[16] The normalization of the data differed from the previous rankings system and is intended to "reflect variations in citation volume between different subject areas," so that institutions with high levels of research activity in the life sciences and other areas with high citation counts will not have an unfair advantage over institutions with high levels of research activity in the social sciences, which tend to use fewer citations on average.[16]

    The magazine announced on 5 September 2011 that its 2011–2012 World University Rankings would be published on 6 October 2011.[18] At the same time, the magazine revealed changes to the ranking formula that will be introduced with the new rankings. The methodology will continue to use 13 indicators across five broad categories and will keep its "fundamental foundations," but with some changes. Teaching and research will each remain 30 percent of the overall score, and industry income will remain at 2.5 percent. However, a new "international outlook – staff, students and research" will be introduced and will make up 7.5 percent of the final score. This category will include the proportion of international staff and students at each institution (included in the 2011–2012 ranking under the category of "international diversity"), but will also add the proportion of research papers published by each institution that are co-authored with at least one international partner. One 2011–2012 indicator, the institution's public research income, will be dropped.[18]

    On 13 September 2011, the Times Higher Education announced that its 2011–2012 list will only rank the top 200 institutions. Phil Baty wrote that this was in the "interests of fairness," because "the lower down the tables you go, the more the data bunch up and the less meaningful the differentials between institutions become." However, Baty wrote that the rankings would include 200 institutions that fall immediately outside the official top 200 according to its data and methodology, but this "best of the rest" list from 201 to 400 would be unranked and listed alphabetically. Baty wrote that the magazine intentionally only ranks around 1 percent of the world's universities in a recognition that "not every university should aspire to be one of the global research elite."[19]

    The methodology of the rankings has been refined during the 2011-12 rankings process, the details of the new methodology can be found here.[20] Phil Baty, the rankings editor, has said that the THE World University Rankings are the only global university rankings to examine a university's teaching environment, as others focus purely on research.[21] Baty has also written that the THE World University Rankings are the only rankings to put arts and humanities and social sciences research on an equal footing to the sciences.[22]

    In November 2014 the magazine announced further reforms to the methodology after a review by parent company TES Global. The major change being all institutional data collection would be bought in house severing the connection with Thomson Reuters. In addition research publication data would now be sourced from Elsevier's Scopus database.[23]"

    টেবল টা একটু ঘেঁটে গেল, উইকি তে দেখে নিতে পারেন। ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং এ টিচিং এর গুরুত্ত্ব খুবই কম। রিসার্চ নিয়েই বেশির ভাগটা। সুতরাং মাতৃভাষায় আন্ডার গ্রাড পড়িয়ে কি বিশেষ লাভ হয়? বরং এই সব র্যাঙ্কিং এ নাম তোলা ( যেটা মনে হয়েছে লেখকের মেন কনসার্ন ) সেইটা করতে হলে ইংরিজি তেই পড়ানো উচিত। কটা পেপার অন্য ভাষায় লেখা হয় এখন? সুতরাং লেখাটা ভারী সেল্ফ কন্ত্রাদিক্তরী মনে হয়েছে আমার।

    আরেকটা ব্যাপার দেখুন। সাইটেশন ইমপ্যাক্ট, যা মূলতঃ এইচ ইন্ডেক্স দিয়ে মাপা হয়, সেটা একটা কিউমুলেতিভ ব্যাপার। মানে ক্রমশ বাড়তেই থাকে। যদি সেটা আপনি পার ইয়ার দেখেন, তবে ঠিক আছে। নইলে বিপদ আছে স্যার। কারণ, আপনি যখন হার্ভার্ড এর সাথে কমপিট করছেন, আপনি হার্ভার্ড এর আপনার যারা পিয়ার, তাদের সাথে শুধু কমপিট করছেননা, একটা দুশ বছরের লিগাসির সাথে করছেন। মেথডলজি পরে যা বুঝলাম, সেটাই করা হচ্ছে। এতো ভারী অন্যায় ব্যাপার মশাই!
  • Rivu | 108.235.164.224 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:০১69445
  • আর একটা কথা, খামকা আই টি ওয়ালা দের সবাই গাল দিয়ে যায় কেন কে জানে। কোন দেশে মশাই সক্কলে বিরাট পৃথিবী পাল্টে দেব ভেবে পড়াশুনো করতে আসে! বেশির ভাগ লোক একটা ভালো চাকরি বাকরি চায় যেটাতে মোটামুটি মাইনে পাওয়া যায় আর দিনের শেষে কাজটাও একটু ভালো লাগে। সুতরাং এজুকেশন সব সময়ই ইন্দাস্ত্রী কেন্দ্রিক। দেশে আইটি ইন্দাস্ত্রী হলে লোকজন আইটি পড়বে, কেমিকাল ইন্দাস্ত্রী হলেই সবাই দুদ্দুরিয়ে কেমিস্ট্রি পড়ত। বরং আসল কথাটারই উল্লেখ নেই এখানে, রিসার্চ স্কলারদের মাইনের শোচনীয় অবস্থা। আপনি একটা পিএইচ্দি স্টুডেন্টকে মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা দিন, ল্যাবে কাজ করার জন্যে সাফিসিয়েন্ট ইকুইপমেন্ট দিন, দেখবেন লোক লাফিয়ে লাফিয়ে আসছে।
  • cm | 127.247.97.79 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:০২69446
  • কেমন যেন মনে হচ্ছে সিসিটিভির ব্যাপারটাই আসল বক্তব্য, বাকিটা উপক্রমণিকা।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:৫৬69447
  • রিসার্চ স্কলাররা এমন কিছু কম তো এখন পান না ঋভু। নেট টেট থাকলে। না থাকলে অনেক কমেও কাজ করার জন্য প্রচুর লোকজন মুখিয়ে আছেন। করেন তো বটেই।
    অতএব এটা মনে হয়না মূল সমস্যা বলে।

    আর চায়না, জাপান তো কম পেপার এখন বের করছে না। আগেও অনেকবার লিখেছি, পেপারের ইংলিশ ঠিক ক'রে দেবার জন্য এখন সংস্থা রয়েছে। ট্রান্সলেটরের সংখ্যা, টুল এসব বাড়িয়ে নিজের ভাষায় রিসার্চেও এমন কিছু অসুবিধে দেখিনা। মানে অসম্ভব কোন ব্যাপার আদৌ নয়। উল্টে বরং অনেক সুবিধে আসতে পারে।
  • quark | 24.139.199.12 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:৩৭69448
  • পিএইচডি শুরু কল্লে এখন ২৫,০০০ + এইচআরএ (কলকাতায় ৩০%) পাওয়া যায়।
  • junk | 24.99.155.81 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:২১69449
  • আচ্ছা ডাক্তারি তে সম্পূর্ণ মাতৃভাষায় পড়াশোনা করে কেউ বড় ডাক্তার হয়েছে কিনা একটু যদি জানান। graduation লেভেল এ আপনি ওয়ার্ল্ড ক্লাস টেক্সট বই পাবেন বাংলায়? "প্রযুক্তি ব্যবসার ঝাঁকা মুটে" ছাড়াও কিছু লোক প্রোডাক্ট ও বানায় , পেপার লেখে - গুরু তেই আছে ভুরি ভুরি । h ,i-10 , DBLP ইনডেক্স বাড়াতে গেলে ইন্টারন্যাশনাল পিয়ার কমিউনিটি কে পড়ে সাইট করতে হবে । সাইটেশন বাড়বে কি করে যদি আপনি মাতৃভাষায় পেপার লেখেন? সত্যেন বসু কেও আইনস্টাইনের কাছে ইংরেজি তে লিখে পেপার পাঠাতে হয়েছিল না যেটা আইনস্টাইন জার্মানে অনুদিত করেন ? translator টুল কেমন অনুবাদ করে সেটা নিয়ে গুরু তেই হাসাহাসি হয় ।
    সিসিটিভি তো বাথরুমে বা শোবার ঘরে লাগায় নি , আর বসানো হয়েছিল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর । এত অসুবিধে কিসের ক্যামেরাবন্দী হবার ?
  • rivu | 108.235.164.224 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:২২69455
  • দুটো কথা। আমার মনে হয়না সিসিটিভিটা এখানে মূল পয়েন্ট ছিল, সুতরাং সেটা খুঁচিয়ে লেখাটার সমালোচনা করার কোনো কারণ দেখিনা। আর পাইদির কথার সাথে সহমত নই। ট্রান্সলেটর টুল ইত্যাদি ভালো কাজ করেনা তেমন, আর চায়না বা জাপানের যা পেপার দেখছি এখন ম্যাক্সিমামই ইনজিরিতে লেখা। তো ব্যাপার হচ্ছে যে একটা পেপার বাংলায় লিখে না হয় ইংরিজিতে ট্রান্সলেট করে দেওয়া গেল, কিন্তু এই অসংখ্য এক্সিস্টিং পেপার বাংলায় ট্রান্সলেট করবে কে। আপনি কি মনে করেন যে বাংলা মিডিয়ামের ছাত্ররা রিসার্চে আসতে ভয় পায় লয্ন্গুএজ বেরিয়ার এর জন্যে? আমার তো একেবারেই মনে হয়না। ধরুন যদুপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রচুর ছাত্র পড়ে যারা বাংলা মিডিয়াম থেকে আসে, এক্কেবারে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে, তাদের ইংরিজির জন্যে অসুবিধা হয়েছে বলে শুনিনি। হায়ার সেকেন্ডারীর যে ইংরিজি সেইটা পড়লে টেকনিকাল বই পত্র পড়া / লেখা কিছু করতে অসুবিধা হয় বলে তো মনে হয়না। এইটা পার্সোনাল এক্সপিরিয়েন্স। সব মিলিয়ে, যদি মনে করেন ভাষার জন্যে ভারতের "উচ্চ" শিক্ষা ব্যহত হচ্ছে, এগ্রি করতে পারলাম না।
  • pi | 192.66.24.254 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৩৪69456
  • ঋভু, এরকম বহু বন্ধুকে ক্লাসমেট , ব্যাচমেট হিসেবে পেয়েছি। ইংরেজী তাদের জন্য কী পরিমাণ বেরিয়ার হতেছে, তাও দেখেছি। এর মধ্যেও এক্সেপ্শানাল লোকজন ভাল করেছে, কিন্তু এই ঝামেলা না থাকলে আরো কত ভাল যে করতে পারতো, সেই পোটেনশিয়ালগুলো আমরা নষ্ট করলাম।
    আরো কত জন এই বেরিয়ারের জন্য আটকেই গেলো জানিনা। গ্রামবাংলার ইংরেজীর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের কিছু খাতার উত্তর দেখেছি। তার যা নমুনা ( হ্যাঁ, আমাদের মত সহজ ইংরাজীর আমলেও), তাতে আমার ধারণা, যা দেখেছি, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্তর। এখন অন্যান্য রাজ্যের গ্রামে দিয়েও দেখি ইংরাজী ও তাতে এক্সপ্রেস করা নিয়ে একই রকম সমস্যা।

    ট্রান্সলেটর টুল ভাল নেই, সেতো বটেই। কিন্তু সেটা করা সম্ভব না বা ম্যানুয়াল ট্রান্সলেশনে ইন্ভেস্ট করা সম্ভব নয় কেন ? মানে এসব আলোচনায় বারেবারেই সেই একই জায়গায় আটকে যায়। নেই, তাহলে কীকরে হবে ? অথ্চ এটা ভাবা হয়না, হতে হবে ভাবলে অনেক কিছুই হতে পারতো, হতে পারে। এই দিকে আমাদের দিক থেকে জোর দেওয়া হল কবে ?

    চায়না , জাপানের অনেক পেপার ইংলিশে , সেটাই তো বললাম। আমার কিছু বন্ধুবান্ধবই আছে, যারা সেগুলোকে ইংলিশে আনার কাজ করে ঃ)
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৩৫69450
  • ভারতে টাফ্‌ - এত ভাষা, এবং ভাষাগুলি খুব ডিসপার্স্‌ড - বাঙালীর কাছে তামিল আর জার্মান সমান কঠিন। এমনকি স্ক্রিপ্ট ও আলাদা। সুতরাং, কোনো বাঙালী গবেষককে তেলুগুভাষী কারোর কাজকর্ম জানতে হলে ইংরিজি ছাড়া উপায় নেই। এটা ঠিক ম্যান্ডারিন ভার্সেস ক্যান্টোনিজ নয়, যেখানে শুধু ডায়্লেক্ট একটু আলাদা, স্ক্রিপ্টও অনেক কাছাকাছি।

    ভারতীয়দের ইংরেজি শেখা প্র্যাকটিক্যাল। যাতে সেটা সমস্ত স্কুলে (যে কোনো মিডিয়ামে) ঠিকঠাক শেখানো হয় সেটা দেখা উচিত।
  • ঈশান | 214.54.36.245 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৪০69457
  • এই লেখাটা যার প্রতিক্রিয়া বলে আমার ধারণা (যদিও সেটা স্পষ্ট করে বলা নেই), সেটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনা। মাতৃভাষা ইত্যাদির সঙ্গে তার একটা সম্পর্ক আছে।

    এই সময়ের রিপোর্টটা দিলামঃ "তিনি প্রতিবন্ধী এবং বাংলায় উত্তর লেখেন৷ এই দু'টি কারণেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ক্লাসের এক ছাত্রের সঙ্গে নিয়মিত দুর্ব্যবহার ও পড়াশুনোয় অসহযোগিতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ অভিযুক্ত ইতিহাস বিভাগের তিন শিক্ষিকা৷ যে চারটি পত্রে ওই ছাত্র অকৃতকার্য হয়েছেন, সেগুলি পড়ান ওই তিন জনই৷ পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, শিক্ষিকাদের আচরণে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে 'আত্মঘাতী ' হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রামতনু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এমএ পার্ট টু-র ওই ছাত্র৷ যাদবপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সা করাতে হয় তাঁর৷ আজ, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস৷ "

    http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/handicapped-student-harassed-for-answering-in-bengali/articleshow/50021569.cms

    এটা নিয়ে তেমন কোনো হট্টগোলই দেখলাম না কোথাও।
  • rivu | 108.235.164.224 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৪৭69458
  • পাই দি, যা দেখছি, আপনার এবং আমার পার্সোনাল এক্সপিরিয়েন্স ডিফার করছে। এই নিয়ে ইন্ডিয়ান কন্টেক্স্ট এ কোনো স্টাডি হয়ে থাকলে ভালো হত। ম্যানুয়াল ট্রান্সলেশন সার্ভিস এর প্রবলেম হলো স্কেল, আমার জানামতে ২৫০ মিলিয়নের বেশী পেপার পাবলিশড আজ অব্দি। সেইগুলোকে ট্রান্সলেট করা একটা ম্যাসিভ ব্যাপার। আর এটার লিগাল অসুবিধাও থাকতে পারে, কিন্তু সেটা অন্য তর্ক।
  • pi | 192.66.24.254 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৫৮69459
  • ঋভু, আমি কিন্তু কোন এক্সট্রিমের কথা বলছি না। যেখানে এ বি সি ডি গোমাংস হতে হবে। অন্তত এইরকম ফেজে সেটা বলার প্রশ্নই ওঠে না। ইংরাজী পড়তে পারা আর ইংরাজীতে পেপার লেখার মধ্যে কিন্তু মোটামুটি অনেক যোজনই তফাত , আলোকবর্ষ না হোক ঃ)

    ইংরেজী তে পড়া বা লেখা কোনোটাই তো তুলেও দিতে বলছিনা। মাতৃভাষার মিনমিন করা অপশনটায় একটু তাগত আনতে বলছি।
    এই অব্দি।
  • PT | 213.110.246.25 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:০৭69460
  • প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরাও PhD করতে এসে দিব্য ইন্জিরি লেকচার শুনে কোর্স ওয়ার্ক করে। এক বছরের মাথায় ইন্জিরিতে ভাইভা দেয়, দু বছরের মাথায় ইন্জিরিতে রেজিস্ট্রেশন সেমিনার দেয় আর পাঁচ বছরের মাথায় ইন্জিরিতে থিসিস লিখে, ইন্জিরিতে PhD ডিফেন্দ করে ইন্জিরি বলা দেশে পোস্টডক করতে চলে যায়। কয়েকশ এরম কেস তো দেখলাম-ভাষার কারণে কারো কোথাও আটকালো বলে শুনিনি তো!! তবে অবশ্যই রকমফের আছে।
    JU বা এমনকি IACS-এও বড্ড বেশী মাছের ঝোল-ভাতের গন্ধ। ওসব স্থান-মাহাত্ম্য!!
  • pi | 233.176.37.117 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:২১69461
  • এই আপাত ভাবে , বা অন্য কোন লেভেলে অবস্থানের কারণে যাকে দিব্বি লাগে, সেই 'দিব্বি' র পিছনের ডে ইন ডে আউট স্ট্রাগলটা দেখেই বলছি। এবং সেই সময়ও ও এনার্জিটা বিষয়ের পিছনে ব্যয় করতে পারলে আরো কত ভাল হতে পারতে, সেটা ভেবে বলছি। আর , আর , এই স্ট্রাগলটা করতে গিয়ে যারা একটা লেভেলে পৌঁছতেই পারলো না, কিন্তু বিষয়ের উপর দখলে কিছু কমতি ছিলো না, মাতৃভাষায় ভালমতন অপশন থাকলে তাদের হারাতে হত না, সেই কথা ভেবে বলছি।

    আর হ্যাঁ, আমার অভিজ্ঞতাটা খালি জে উ র ভিত্তিতে নয়।
  • ঈশান | 214.54.36.245 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:২৫69462
  • এইটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। ২৫০ মিলিয়ান গবেষণাপত্র অনুবাদ করা অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু ৬ বিলিয়ান লোককে পৃথিবীর জনসংখ্যা আর কি, ভুল হলে একটু ঠিক করে নেবেন), ধরে ইংরিই শেখানো তুলনায় সোজা ব্যাপার? নাকি কম খরচের?
  • rivu | 108.235.164.224 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৩২69463
  • দুটো ব্যাপার আছে: পেপার পড়া আর পেপার লেখা। পেপার/ বই পড়ার জন্যে যে ইংরেজি লাগে, সেটা আমার মনে হয় হায়ার সেকেন্ডারী লেভেলে পাওয়া যায়। অফ কোর্স তারপরেও ডিকশনারি কনসাল্ট করতে হয়, কিন্তু মোটামুটি মানে বোঝা যায়। পেপার লেখার ইংরেজি অনেক বয়সেও সহজে আসেনা, প্রচুর ঘষটাতে হয়। সে আপনি বাংলা মিডিয়ামে পড়ে আসুন বা ইংরেজি মিডিয়ামে।

    আমার মতে, এখানে তর্কটা দুটো জিনিস নিয়ে (এটা ইশানের লাস্ট পোস্টের জন্যেও)। প্রথমতঃ, উচ্চশিক্ষায় ইংরেজি একমাত্র মিডিয়াম অফ ইনস্ট্রাকশন হওয়া উচিত কিনা। আমার মনে হয় ভারতের সিচুএশোনে সেটা প্রায় বাধ্যতা মূলক। চায়না জাপানের উদাহরণ এই জন্যেই খুব একটা প্রযোজ্য নয়। ভারতে ম্যাক্সিমাম ইউনিভার্সিটিতেই বিভিন্ন ভাষার লোক পড়তে যায়। যদুপুরে আমাদের ক্লাসেই বেশ কিছু অবাঙালি ছেলে পুলে ছিল। এইবারে সেরকম ব্যাপার না থাকলে আঞ্চলিক ভাষায় পড়ানো যেতে পারে, কিন্তু সেইটা প্রফেসরের দিস্ক্রিষণ। উত্তর কিসে লেখা হবে? ইংরিজিতে না লিখলে আমাদের মেনে নিতে হয় কোলকাতার প্রফেসর রাজস্থানে গিয়ে পড়াতে পারবেনা। অবশ্য যদুপুরে এর ঘটনাটা পড়ে যতদুর বুঝেছি রুল হিসাবে উত্তর ইংরেজিতে লেখা বাধ্যতামূলক নয়। সেটা না থাকলে ইংরেজিতে উত্তর না লেখার জন্যে কাউকে হেনস্থা করাটা জাস্ট ইল্লিগাল।

    দ্বিতীয়তঃ, উচ্চ শিক্ষায় ইংরেজি ভাষা এনকারেজ করা উচিত কিনা। আমার মনে হয় অবশ্যই করা উচিত।
    চাকরির দিক দিয়ে দেখলে সুবিধা পাওয়া যায়, কিন্তু সেটা অন্য ফোকাস। আন্তর্জাতিক গবেষণায় পার্টিসিপেট করতে গেলে পেপার পড়ার মত ইংরেজি জানাটা বাধ্যতামূলক। এইবারে পেপার লেখার প্রশ্ন। অবশ্যই ইংরেজির জন্যে ইউনিভার্সিটি গুলোতে টেকনিকাল রাইটিং এর ক্লাস চালু করা উচিত। যারা সাইকোলজিতে পিএইচডি করতে যাচ্ছে, তাদেরও মিনিমাম লেভেলে স্ট্যাট পড়তে হয়। তাহলে ইংরাজি নয় কেন?

    যাকগে, ডেটা ছাড়া আর পলিসি এনালিসিস না করাই ভালো।
  • rivu | 108.235.164.224 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৩৬69464
  • ঈশানকে, ছয় বিলিয়ন লোক কে ইংরেজিতো এমনিই শেখানো হচ্ছে। এটা একটা ওয়েল এক্স্প্তেদ মিডিয়াম অফ কমিউনিকেশন। আরেকটা ব্যাপারটা বুঝছিনা। উচ্চ শিক্ষার জন্যে লোকজনকে তো অন্য বিষয় সম্পর্কে জানতেই হয়। মানে কেমিস্ট্রির লোক অঙ্ক জানার জন্যে সময় দেয়, সোশ্যাল সাইন্সের লোকজনকে স্ট্যাট পড়তে হয়, সিনেমার লোকজনকে সাহিত্যের ইতিহাস। তাহলে ইংরেজিতে এফর্ট দেওয়া কি সমস্যা?
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৩৮69465
  • ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে ইংরিজিতে উত্তর লিখতে হত। অসুবিধে হত। বছর খানেক হয়েছে। বাংলায় লিখতে দিলে সুবিধে হত। কোনো সন্দেহই নেই।
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৪১69466
  • "এমনি" বলে কিছু হয়না। ওর একটা খরচা আছে তো। সেটা শিক্ষাব্যবস্থার অঙ্গ। চালু পদ্ধতি বলে খরচা হয়না এমন তো না।
  • rivu | 108.235.164.224 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৪২69467
  • হ্যান সুবিধা হতনা সেটাতো কেউ বলছেনা। সেতো যেকোনো বিষয় পড়তে গিয়েই হতে পারে। কেমিস্ট্রি পড়তে গিয়ে কারো ইনর্গানিক এ অসুবিধা হতে পারে, সে হয়ত অর্গানিকটাই পড়বে সারা জীবন। তাহলে সেটা কাটিয়ে দেবে না কেন? ইংরেজিতে সরগড় হয়ে গেলে পরে কি সুবিধা পাওয়া যায়না?
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৪৪69468
  • সুরঞ্জন বাবু চরম ভুল করলেন সি সি টি ভি নামাতে বলে। বিশ্ব বিদ্যালয়ের চত্বরে কি ঘটছে সে সম্মন্ধে এত রাখ ঢাকের কি আছে? কাল যদি কোনো ছাত্রীর সঙ্গে ওই রকম শ্লীলতা হানির পুনরাবৃত্তি ঘটে বা রাজনৈতিক খুনো খুনি ঘটে যায়, তখন ভিকটিমের পরিবার কে কি বলা হবে ?
    সেটা ভেবে রেখেছেন তো?
  • rivu | 108.235.164.224 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৪৭69469
  • ""এমনি" বলে কিছু হয়না। ওর একটা খরচা আছে তো। সেটা শিক্ষাব্যবস্থার অঙ্গ। চালু পদ্ধতি বলে খরচা হয়না এমন তো না।" সেকেন্ডারী এজুকেশন এ ইংরেজি শিক্ষার কস্ট বেনিফিট এনালিসিস হবে কি এখন?
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৪৮69470
  • আরে লোকে তো গুগুল ট্রান্সলেটর ইউস করে ভিন্ন ভাষী লোকজনের সঙ্গে কমুনিকেট করছে, নাকি । কয়েক বছর পরে থিসিস মায় কলেজের পড়া, উত্তর লেখা সব কিছুই সুবিধে মতন ট্রান্সলেট করা সম্ভব হবে।
    জয় কাকু।
  • PT | 213.110.246.25 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৫৪69471
  • ভাষা শেখানোর খরচার কথাটা বেশী করে মনে আসে যখন ১২ বছর ধরে ভাষা শেখানো হয়। জার্মানরা ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে মোটামুটি ভাবে দক্ষ করে দেওয়ার পদ্ধতি তৈরি করেছে। সুইডেনেও ঐ রকম স্ট্রাকচারে ভাষা শেখানো হয়।
  • নির | 212.78.26.26 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৩২69451
  • আপনার দিল্লির শাসন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বন্গরাজ্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কিছু লেখা টেখা গুরুতেও দিন। তারপর সেই যারা রুটলেস তারাই বম্বে বাঙ্গালোরে এ পালায়, আর অশ্বথ গাছের মত শক্ত রুট যাদের , তারাই কেবল কলকাতায় থাকার সাহস দেখায়, ইত্যাদি সব জ্বালাময়ী থিসিস
  • নির | 212.78.26.26 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৩৩69452
  • *বঙ্গরাজ্য
  • নির | 212.78.26.26 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৩৮69453
  • অশ্বত্থ
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন