এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ট্র্যাফিকের ইন্ডাস্ট্রিলাইজেসান :- দাসত্বের ইতিহাস এবং গতির মরীচিকা

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ | ১৭৫৭ বার পঠিত
  • মানুষ তাঁর এতাবৎকালের সভ্যতা তৈরি করেছে বস্তুত পায়ে হেঁটে হেঁটেই। হিউ এন সাং তাঁর ১০০০০কিমির ভারত ভ্রমণ ,আলেক্সাসান্দারের বিশ্ব জয় ,স্পানিয়ারড দের আন্দিজ এর আনাচে কানাচে স্বর্ণ সন্ধান ,আদি শঙ্করাচার্জের ভারত জুড়ে হিন্দুত্ব জাগরণ এমনকি আমাদের চৈতন্য মহাপ্রভু আসাম মনিপুরে ভক্তি আন্দোলনের প্রসার প্রায় পায়ে হেঁটেই সমাপ্ত করেছিলেন। যাত্রীরা পায়ে হেঁটেই কেদারনাথ দর্শন এমনকি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় পায়ে হেঁটেই কলকাতায় পৌঁছেছিলেন বিদ্যার্জনের হেতু । আমরা যখন নিজেদের পায়ের ওপর নির্ভরশীল তখন থারমডাইনামিকালি যে কোন মোটর গাড়ি বা অধিকাংশ পশু বাহিত শকটের তুলনাতে অনেক বেশি এফিসিএন্ট। মাত্র ১ ক্যালোরি ব্যয় করে মানুষ তাঁর ১কেজি বডি ওয়েট ১০মিনিটে ১কিমি বহন করতে পারে (একটি সাধারণ মোটরগাড়ি ব্যয় করে ১১২৫ ক্যালোরি প্রতি মিনিট @80km/HR)। এই গতি এবং এই এফিসিএন্সি রেটেই মানুষ পৃথিবী কে তার বাসযোগ্য করেছে ,ইতিহাস গড়েছে !

    প্রকৃত বিচারে আমাদের ঘুরে ফিরে বেড়ানোর এই আদিম উপায় টি মানে হাঁটা যে বেশ কার্যকর তা আরও ভালো উপলব্ধি হয় যখন আমরা আমাদের বর্তমান ঘুরে ফিরে বেড়ানোর মানে গাড়ি ঘোড়া বাস ট্রেন এর সাথে তুলনা করি, বর্তমানে এক জন শহর বাসী আমাদের পূর্বপুরুষরা তাঁদের প্রাত্যহিক কাজকম্ম মেটানর জন্য প্রতিদিন যতটা হাঁটতেন, প্রায় ততটাই হাঁটেন -কিন্তু সেই হাঁটাটা পারকিং লট ,অফিসের করিডরে ,মেট্রোর টানেলএ বা শপিং মলের ফ্লোরে সীমাবদ্ধ্ব অথচ একই সময় ব্যয় করে আমাদের পূর্বপুরুষরা তাঁদের বাজার হাট, চাষের ক্ষেত ,মেয়ের শ্বশুর বাড়ি, স্কুলের পড়া হেঁটেই সমাপ্ত করতেন ~ একজন গ্রামের মানুষ তাঁর সারাদিনের মাত্র ৩- ৮ % সামাজিক সময়ের বাজেট ব্যয় করেন ঘুরে ফিরে বেড়ানোর পেছনে , হাতে থাকে বা থাকত অঢেল leasure Time ।

    আমরা যখন আমাদের পায়ের ওপর নির্ভরশীল তখন আমরা প্রায় শ্রেণিহীন, আপনার পাশে যিনি হাঁটছেন তাঁর সাথে আপনার প্রকৃত অর্থে কোন শ্রেণী বিভেদ নেই, হয়ত তিনি একটু জোরে আর আপনি একটু হাওয়া খেতে খেতে হাঁটছেন এই মাত্র। মোটামুটি এক জন সুস্থ মানুষ ঘণ্টাতে পায়ে হেঁটে আরামে ৪-৫ কিমি অতিক্রম করতে পারে ,ইন্ডাস্ট্রির বেঁধে দেওয়া রাস্তার পরিমাপে হয়ত ১০-১২ কিমি কারণ এক পয়েন্ট থেকে আরেক পয়েন্ট যেতে আপনি এই বাড়ির উঠোন ,আলের ধার, পাহাড়ের শুঁড়ি পথ বা মাঠের মধ্যে দিয়ে কম হেঁটে সর্টকার্ট মেরে তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন ~ আমাদের আশা দেওয়া হয়েছিল ট্রান্সপোর্ট টেকনলজি আমাদের হেঁটে চলে বেড়াবার এই স্বাধীনতা বজায় রেখে সাথে টাইম ইকনমি , কম্ফরট ,গ্রেটার রেঞ্জ এবং disable দের জন্য নূতন সুযোগ নিয়ে আসবে। কিন্তু যতই ট্রান্সপোর্ট টেকনলজির প্রসার ঘটছে ততই আমরা দেখছি তাঁর উলট ফল (আদতে সব টেকনোলজিই তাই) । যেই মুহূর্ত থেকে মেশিন একজন যাত্রীর জন্য এক নির্দিষ্ট পরিমাণ হর্স পাওয়ার প্রয়োগ করতে শুরু করে সেই মুহূর্ত থেকে শুরু হয় শ্রেণী বিভাজন -আমি পায়দল তো আপনি মোটরবাইকএ উনি মোটরগাড়িতে - আমাদের এই আল ওই মাঠ ভেঙ্গে পথচলা বা বাজারে যাওয়ার স্বাধীনতা এক কথায় মবিলিটি সীমাবদ্ধ্ব হয়ে যায় ইন্ডাস্ট্রির বেঁধে দেওয়া রাস্তায় /রুটে, বেড়ে যায় যাতায়াতের সময় অবশেষে ভেহিক্যাল যখন এক নির্দিষ্ট গতিসীমা অতিক্রম করে নাগরিক হয়ে পড়ে transportation consumers..

    যত বেশি এনার্জি ,ফসিল ফুয়েল, ইলেকট্রিক, জেট ফুয়েল ইত্যাদি আমরা ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম এর পেছনে ব্যয় করতে থাকি তত বেড়ে যায় নাগরিকের আপাত গতি ,বেড়ে চলে প্রাত্যহিক কাজের রেডিয়াস, ডাক্তার আর বাড়িতে আসেন না কারন ভেহিকেল এর কারণে ১০ মাইল দূরের হাঁসপাতালই আমাদের অসুস্থ হওয়ার বর্তমানে উপযুক্ত স্থান ,হাইস্কুল আর বাসস্থানের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে নয় তাঁরা এখন হাইওয়ের ধারে,দশ টার প্রথম ক্লাস ধরতে ৮টা থেকে নাকে মুখে গুঁজে শিশু ঘর্মাক্ত মায়ের হাত ধরে স্কুল বাসের প্রতীক্ষায়,হাট উঠে চলে গেছে পাকা রাস্তার ধারে সেখানে মান্ডি থেকে গাড়ি করে সবজি আসা নেওয়ার সুবিধা ,ছেলেরা আস্তে আস্তে চলে গেছে শহরে ,কেউ বা ভিন দেশে ,মাত্র ৪ঘন্টার ট্রেন সফর বা কয়েক ঘণ্টার প্লেন যাত্রা তাঁদের বড় শহর বা বিদেশে উপস্থিত করে ,কথা হয়, টাকাও আসে , কিন্তু বছর বছর আর দেখা হয়না । ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম ভেঙ্গে চুরমার করে সামাজিক স্থিতি ,প্রিভিলেজ তৈরি হয় দাসত্বের বিনিময়ে ।

    গতির মরীচিকা ঃ-

    অথচ যখন আমরা দেখি যে একজন গড়পড়তা আমেরিকান নাগরিক বছরে ১৬০০ ঘণ্টা তাঁর সযত্ন লালিত গাড়িটির পেছনে ব্যয় করেন , গাড়ি টি যখন চলে বা সিগন্যালে দাঁড়ায় তিনি বসে থাকেন গাড়িতে, সময় ব্যয় করে গাড়ি পার্ক করেন আবার পারকিং লট থেকে খুঁজে বার করেন । পাম্পে তেল ভরা ,টোল ট্যাক্স কাউন্টারে ,গ্যারেজে,সময় এবংপয়সা দুইই ব্যয় করেন( আমরা এর মধ্যে অ্যাকসিডেন্ট হোলে হাঁসপাতালে ,থানাতে ,নূতন গাড়ি কি কেনা যায় তাঁর বিজ্ঞাপনে সময় ব্যয় করা কে হিসাবে আনছিনা) অথচ ফেডেরাল হাইওয়ে অ্যাডমিনস্ত্রেশান এর ফেব্রুয়ারি ২০১৫র হিসাব অনুযায়ী ১৬০০ ঘণ্টা ব্যয় করে একজন আমেরিকান বছরে মাত্র ১৩৪৭৬ মাইলের দূরত্ব অতিক্রম করেন অর্থাৎ ঘণ্টা পিছু মাত্র 8.42 মাইল গতিবেগ ,যে সমস্ত দেশে ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে তাঁরাও প্রায় একই গতি পান আর হাঁটলে ৩-৪মাইল প্রতিঘন্টা অনায়াসে - এই মাত্র 8.42 মাইল/প্রতি ঘণ্টা গতিবেগ পেতে আমাদের ব্যয় করতে হয় সামাজিক সময়ের ২৮% অথচ আমাদের পূর্বপুরুষ ব্যয় করতেন তাঁদের সামাজিক সময়ের বাজেট এর মাত্র ৩-৮%। আমাদের হাতে না থাকল সামাজিক সময় ,না এল গতি ~ বরং পেলাম অসহ্য কঞ্জেসান ,বাতাসে নাইট্রোজেন অক্সাইড ,মাসের শেষে ইন্সটলমেন্টের বোঝা ,তেলের বিল বেড়ে যাওয়ার উদ্বেগ এবং সেসব মেটাতে ছক্কি নক্কি । আমাদের সময় নাই কারণ গতি বাড়েনি, গতির মরীচিকায় কাজের দূরত্ব বেড়েছে ~ মুম্বাইয়ের শহরতলী থেকে চার্চ গেট এবং ট্রেন এ শুয়োর গাদা হয়ে বাড়ি এই করতেই দিনের ৪ ঘণ্টা কাবার ,সামাজিক সময়ের বাজেট সঙ্কুচিত।

    ট্রেন বাস গাড়ি, সাবওয়ে ,করিডরে ,এলিভেটরে আমরা বাধ্য কমপক্ষে প্রত্যহ ৩০/৪০ কিমি কভার করতে , একই রাস্তাতে ক্রিস ক্রস ,আমাদের পা আর মাটির সাথে কথা বলেনা ,যতোই আমরা জেট প্লেন বা বুলেট ট্রেন সফর করিনা কেন সর্বদা কেমন যেন গতিহীন ,সদা বঞ্চিত ,অন্যদের ঈর্ষা করি ,ট্রেন এর গাদাগাদি এড়াতে স্বাছন্দের আশায় গাড়ির স্বপ্ন দেখি , গাড়ি হোলে অফিস টাইমের জ্যামে ফেঁসে থেকে সিস্টেম কে গালি দি আরও কেন হাইওয়ে , বাইপাস বা ,ফ্লাইওভার হচ্ছেনা? সরকার এতো কিলোমিটার নূতন রাস্তা উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখান ,রাস্তা হয় গাড়ির ভিড় বারে ,কঞ্জেসান বাড়ে ,আমরা আরও গতিহীন হই, PM 2.5 মাত্রা ছাড়ায় ,হাঁপানি কমেনা সাথে লাঙ্গ ক্যান্সার । আমরা ক্রমে ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমএর আরও দাস ,আমাদের সামাজিক সময়ের বাজেট সঙ্কুচিত ,গতায়তের স্বাধীনতা industrially deformed। আমাদের পায়ে হেঁটে বিশ্বজয়ের রাজনৈতিক ইতিহাস বিস্মৃত, ভূগোল দর্শন উইন্ডস্ক্রিন এর সীমানাতে সিমাবদ্ধ্ব ,আমরা আর নাগরিক হিসাবে স্বাধীনতা চাইনা ,কাস্টমার হিসাবে স্বাছন্দ চাই ,আর দুটো ফ্লাইওভার হোলে একটু তাড়াতাড়ি সেক্টর ৫ পৌঁছাতেম অথচ আমাদের গতির দাবী যে self-defeating, মরীচিকা , তা যারা বছর চারেক পূর্বের ইস্ট্রান মেট্রোপলিটান বাইপাস এবং সম্প্রতি ভ্রমণ করেছেন তাঁরা ভালো ব্যাখ্যা কোর্টে পারবেন।আরও রাস্তা ,আরও গতিশীল গাড়ী , আরও ফ্লাই ওভার must result in a further decline of equity, leisure, and autonomy.

    আমাদের গতিহীনতা সম্পূর্ণ ,যাতায়াতের স্বাধীনতার বলিদান সমাপ্ত , ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম বাকি টেকনলজির ন্যায় "কাউন্টার প্রোডাক্টিভ” গতির মরীচিকা বস্তুত গতিহীন বাস্তব !

    (ঈলিচ কে মনে রেখে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ | ১৭৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 125.185.145.36 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০১:১৯70119
  • উফ। এক্কেরে শুইয়ে দেছে। অপূর্ব।
    জন হেনরী মনে পড়ে গেলো।
  • paulpott | 125.112.74.130 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০১:২৪70120
  • দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর :-)
  • b | 24.139.196.6 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৩৮70122
  • ইয়ে, স্পানিয়ার্ডরা আটলান্টিক মহাসাগর কি ভাবে পেরোলো? সাঁতরে না হেঁটে?
  • Arpan | 233.227.6.202 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৩৮70121
  • টেকনলজির ওপর ভরসা রাখুন। ঘরে বসে সুম্দরবন ভ্রমণ আর ডাক্তারের সাথে কন্সাল্টেশন সবই হয়ে যাবে।
  • Ekak | 113.6.157.186 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৪৬70123
  • লেখক সামহাউ ঝাঁকামুটে দেখেননি বা ভুলে গ্যাছেন । পরিবহনের শ্রেণীবিভাজন চিরকাল ছিল এবং অবস্থাপন্নরা আক্ষরিক অর্থে অন্যের ঘাড়ে -মাথায় চেপে ঘুরত । সব দেশেই দাস দের ব্যবহার করা হত পরিবহনে । ট্র্যাফিক অপ্তিমায়সেষণ একটা প্রচন্ড সিরিয়াস ইস্যু যেটা নিয়ে এই লেখাতেও কিছু তথ্য আছে সন্দেহ নেই কিন্তু ওই আগে কী ছিল , শ্রেণীবিভাগ ইত্যাদি নিয়ে মনগড়া মন্তব্য করে লেখক নিজেই নিজের লেখার সিরিয়াসনেস মাঠে মেরে দিয়েছেন ।
  • avi | 113.24.84.236 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:০৪70124
  • ফিরে চলো চাকা।
  • Debabrata Chakrabarty | 192.69.100.226 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৫৪70125
  • টেকনলজির ওপর ভরসা চিরকাল ,তবে শ চারেক বৎসর ধরে কিঞ্চিৎ অধিক ,আজকে স্টিম ইঞ্জিন, কালকে ইলেক্ট্রিসিটি ভরসা বাড়বেইনা বা কেন ,তবে গত ৪০-৪৫ বছর ধরে কেমন যেন এক উলটো বাতাস ,সমুদ্রে জলস্তর বাড়ছে - হিমবাহে বরফ গলছে -ঘন ঘন সাইক্লোন ,খরা বা অতিবৃষ্টি, বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড আজকে ৩৯৭,৩৭ -ওই যবে থেকে টেকনলজির ওপর ভরসা বাড়তে শুরু করলো সেই সময়ে ছিল ২৯০, ৬০০০ বছর পূর্বে পৃথিবীর উষ্ণতা যখন আজকের থেকে মাত্র ১ ডিগ্রী বেশী ছিল তখন বর্তমান আমেরিকার খাদ্যভান্ডার নেভ্রাদা -মরুভূমি ছিল - সুতরাং মাত্র ১ডিগ্রি উত্তাপব্রিধি কি ফল হতে পারে তাঁর জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার দরকার নেই , আজ থেকে যদি আমরা সমস্ত কল কারখানা , গাড়ি বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা বন্ধ্ ও করে দি তবুও ১ডিগ্রি উত্তাপ ব্রিধ্বি স্বয়ং মহাদেবও প্রতিরোধ করতে পারবেনা । তাও টেকনলজির ওপর ভরসা অটুট - অ্যাডিক্ট গন কেউ অ্যালকোহল, কেউ হেরোইন ছাড়ার কথা যেমন ভাবতেই পারেন না । টেকনলজির ওপর ভরসা নয় এ হোল অ্যাডিকসান অফ টেকনলজি
  • . | 75.49.14.85 (*) | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:২৬70126
  • কতোরকমের ছিটেল যে হয়, তা এই ইন্টারনেট না থাকলে জানতেও পারতাম না
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন