এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যৎকিঞ্চিত ... (২০ তম পর্ব)

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ | ৮৮০ বার পঠিত
  • আমার সাথে শাহরুখ খানের খান দুয়েক মিল আছে।আরে এতে ভুরু কোঁচকানোর কি আছে ?তাও তো বলিনি যে অনুব্রতের সাথে মিল আছে।ইয়ে,আমি আর অনুব্রত ওজন-তুতো ভাই।যাকগে,এবার শাহরুখ খানের কথা কই।

    এক নম্বর মিলঃ- শাহরুখ ওর জন্মদিনের পার্টিতে আমাকে নেমন্তন্ন করেনা।আমিও আমার জন্মদিনে শাহরুখ খানকে নেমন্তন্ন করিনা।

    দু নম্বর মিলঃ- আমি আর শাহরুখ খান,দুজনেই তোতলা।একজন কিরণ বলতে ‘ক’-এ আটকায় আর আমি সায়ন্তিকা বলতে ‘স’-এ আটকাই।

    এতক্ষণ যে পুরনো জোকস ঝেড়ে গেলাম আর আপনারাও আমাকে ক্ষমা ঘেন্না করে দিলেন তার একমাত্র কারণ এই তোতলামি’র প্রসঙ্গে অবতরণ।আমি যে তোতলা তার পিছনে ভেনেজুয়েলা কি চিদাম্বরমের ষড়যন্ত্র থাকলেও থাকতে পারে,সময়ের অভাবে আমার খোঁজ নেওয়া হয় নি।তবে আমি কিন্তু ফুলটাইম তোতলা নই।মাঝে মধ্যে অবস্থাগুণে তোতলা হই।সায়ন্তিকা’র বাবার মুখোমুখি হলেই ক্যামন যেন জিভটা মুখের মধ্যে সুনীল নারিণের ডেলিভারির মত পাক খায়।

    একদিন সকাল এগারোটা নাগাদ সায়ন্তিকা’দের বাড়ি গেছি।সকাল এগারোটা’র কারণ ততক্ষণে সায়ন্তিকা’র জাঁদরেল বাবা অফিসে চলে যান।বেশ আশায় ছিলাম যে ডোরবেল বাজাবো আর দীঘল চোখের সেই রাজকন্যে এসে উঁকি দেবে দোতলার ব্যালকণি থেকে। আর আমি পাড়ার ক্লাবের সরস্বতী পূজোর চাঁদা কাটার অবকাশে দুচোখ ভরে তেষ্টা মিটিয়ে নেবো বলে।কিন্তু জ্যানারিতে স্রেফ স্যান্ড,মানে গুড়ে বালি।ডোরবেল বাজালাম।তক্ষুণি দরজা খুলে উদয় হলেন সায়ন্তিকা’র বাবা।পালাবার সময় টুকু দিল না।এই মডার্ন পৃথ্বীরাজ কাপুরের কি অফিস নেই ?রাইটার্সে অভিযোগ করব কি করব না ভাবতেই বাঁজখাই গলায় প্রশ্ন,
    ‘কি চাই হে ছোকরা ?’
    কোথায় স্মার্টলি সলমন খানের মত বলব, ‘শ্বশুরমশাই,সায়ন্তিকা কোথায়?’,তার জায়গাতে আমার কালান্তক তোতলামি ফিরে এলো।
    ‘আ-আ-আ-আ-আ-আ গেগগে আ-আ-আ-আমি...’
    ‘মুখে কি রাজধানী এক্সপ্রেস লাগিয়ে এসেছো ?তা আমি টা কে?’
    সায়ন্তিকা’র বাবা’র জোরালো জিজ্ঞাসা।
    আমার তখন ব্রজরাজ কারফর্মা’র ভাইপো’র মত অবস্থা।পালাতে পারলে বাঁচি।কিন্তু পা দুটো মাটিতে গেঁথে রয়েছে।খুব জোর করে মনে ভগত সিং মার্কা সাহস নিয়ে এসে কইলাম,
    ‘ইয়ে মমানে,ভু-ভু-ভুল ক্করে...’
    ‘ভুল করে কি?তুমি কি ভুল করে লোকের বাড়ির কলিং বেল বাজিয়ে যাও নাকি?কোথায় বাড়ি?বাবা’র নাম কি?’
    অ্যামন করে কোশ্চেন করে যাচ্ছিলেন যেন ইডি’র সামনে আমি কুণাল ঘোষ।বহুকষ্টে উত্তর দিলাম,
    ‘স-সস্বতী পূজোর চ-চাঁদা...’
    সায়ন্তিকা’র বাবা টাকা পয়সার ব্যাপারে খুব কিপটে।পাড়ার রিকশাওয়ালা একদিন পাঁচ টাকা বাড়তি ভাড়া চেয়েছিল বলে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।আর সরস্বতী পূজোর চাঁদা চাইতে গেলেই উনি শক্ত শক্ত বানান জিজ্ঞেস করতেন।আমি সরস্বতী পূজোর চাঁদা চাইতে এসেছি শুনে কড়া চোখে তাকালেন,যেন লেনিন গর্বাচভের দিকে তাকাচ্ছেন।তারপর বললেন,
    ‘অ,বাগদেবীর অর্চনা করা হচ্ছে।বলো দেখি,বিকচকেতকী মানে কি?’
    লে হালুয়া।আমি ফি বছর টেনেটুনে বাংলায় পাশ করি আর আমাকেই এসব শক্ত শক্ত মানে জিজ্ঞেস করা।মাথা চুলকে ভাবতে শুরু করলাম।কেতকী তো ক্লাস ইলেভেনে পড়ে।টিউশন পড়ে ফেরার সময় বকুল তলায় চায়ের দোকানের সামনে ঘন্টেদা’র দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে যায়।তাতেই ঘন্টে দা কাত।তা বিকচকেতকী মানে কেতকী কি বিকট নাকি ?ইসস ঘন্টে দা জানলে কি দুখখু পাবে...
    এসব গুরুতর সামাজিক সমস্যা নিয়ে সবে ভাবতে শুরু করেছি,ওর মধ্যেই সায়ন্তিকা’র বাবা দাঁত বের করে বললেন
    ‘জানতাম,তোমার মত মূর্খ এর মানে পারবেনা।লাস্ট চান্স,বলতো,চন্দ্রাহত মানে কি ?’
    ততক্ষণে আমার হারানো সাহস টা ফিরে এসেছে।চন্দ্রাহত মানে আমি ক্যানো আমার ক্লাবেরও কেউ জানে বলে আমার মনে হল না। তাও সাহস করে মাথার মধ্যে গুছিয়ে একটুও তোতলামি না করে বললাম,
    ‘চন্দ্রাহত মানে যিনি চাঁদা দেওয়ার নামে আহত হয়ে যান’।
    খটাস করে মুখের উপর দরজা বন্ধ হল।সেই সাথে সায়ন্তিকা’কে দেখার আশাও।
    (এতটা লেখার পর মনে হল যে এই বাজে রসিকতাটা আমি আগেও করেছি।যদি রিপিট টেলিকাস্ট হয়,তাহলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন)।

    সায়ন্তিকা’র মতে আমার তোতলামি আদতে আমার ভীতু মানসিকতার মৌখিক প্রতিফলন।নইলে আমি সব সময় তোতলাই না ক্যানো ?এ কথাটা সত্য ,আমি বড্ড ভীতু।আমার যাবতীয় বীরত্ব কাগজে । সায়ন্তিকা’র মতে আমি যদি আরেকটু সাহসী হতাম আর সেই সাহসে ভর করে সায়ন্তিকা’র বাবা’কে ঠিক সময়ে আমাদের বিয়ের প্রস্তাবটা দিতে পারতাম তাহলে অ্যাদ্দিনে রোজ সকাল বিকেল নার্সারী স্কুলে যাওয়ার মত ডিউটি আমার হয়ে যেত।

    যাকগে,সে দুখখের কথা থাক।পার্ট টাইম তোতলামি’র কথা বলছিলাম তো।আমাদের পাড়ায় এক পার্ট টাইম পাগল আছেন।যিনি মাঝে মধ্যে পাগলামি করে।তাও পলিটিক্যাল পাগলামি।মানে সকাল সাতটায় লোকটিকে দেখলাম দিব্যি নিমতলা মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছেন,সেই লোকটাই বেলা এগারোটার সময় স্লোগান দিতে দিতে অধীর চৌধুরী’কে আসন্ন নির্বাচনে জয়ী করার জন্য ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন।

    হপ্তাদুয়েক আগের কথা।শিবতলার গলি দিয়ে বাজারে ঢুকবো।রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক উচ্চ সরকারী আধিকারিক যিনি বিভিন্ন কাজে হাত খুলে ঘুঁষ খান।আমরা সবাই জানি।কিন্তু মুখে বলার সাহস নেই।তা কেউকেটা’টি যাচ্ছেন,এমন সময় উদয় হলেন সেই পার্ট টাইম পাগলটি।সেই কেউকেটা’র কাছে গিয়ে বেশ জোরে বললেন,
    ‘সার,আপনাকে যে ওই কাজটার জন্য দশ হাজার টাকা দিলাম,তা কাজটা কদ্দুর?’
    রবিবারের সকাল।রাস্তা ভর্তি লোক।কেউকেটা’টি রীতিমত অপ্রস্তুত।খানিক গলা তুলেই বললেন,
    ‘কিসের টাকা দিয়েছেন আমাকে?যতসব বাজে কথা।রাস্তার মাঝে বিরক্ত করছেন ক্যানো?’
    উক্ত পাগলটি তখন গলা তুলে চোখ কপালে উঠিয়ে বলল,
    ‘কি বকছেন সার???আপনিই বললেন যে দশ হাজার টাকা ঘুঁষ দিতে পারলেই কাজ টা হয়ে যাবে।সেই মত আমি টাকাটা যোগাড় করে দিলাম’।
    সেই কেউকেটা’টি তখন পালাতে পারলে বাঁচে।সেদিন থেকে সেই পার্ট টাইম পাগলটিকে খুব মন থেকে শ্রদ্ধা করি।

    তখন কলেজে পড়ি।পাড়ার ক্লাবের তরফে ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে ছবি আঁকার কম্পিটিশন হচ্ছে।আমিও নাম দিয়েছি।বিষয় ‘সম্প্রীতি’।ছবি আঁকার শেষে ছবি গুলো হলে টাঙ্গানো আছে।আমি আঁকতে চেষ্টা করেছিলাম একটা মুখ,যার একদিক ফেজ টুপি পরা মুসলিম আর আরেকদিক তিলক কাটা হিন্দু। লোকেরা ঘুরে ঘুরে ছবি গুলো দেখছে।আচমকা দেখি সায়ন্তিকা আর ওর এক বান্ধবী আমার আঁকা ছবির সামনে দাঁড়িয়ে।কি বলছে শোনার আগ্রহে এগিয়ে গেলাম।কথোপকথন টা নিম্নরূপঃ-
    “এটা কি তাজমহল এঁকেছে,দ্যাখ মাথাটা ক্যামন টোপর ওয়ালা,তাজমহলের মতন?”
    “না-না...এটা তো হাতি’র ছবি।দেখছিস না, কিরকম চোখ মুখ আছে আর লম্বা লম্বা কান।শুধু নাকটা ছোটো করে ফেলেছে।মডার্ন পেন্টিং বোধহয়”।
    হাতি আর তাজমহলের ব্যখ্যা শুনে আর টেঁকা গেলো না।কাছে গিয়ে ছবিটা ব্যখ্যা করলাম।গোটাটা শুনে সায়ন্তিকা’র মুখে কোউতূকের আভাস।জিজ্ঞেস করল,
    ‘তুমি কি টাকা দিয়ে ছবি আঁকা শেখো?’
    ‘হ্যাঁ’,আমি বললাম।
    ‘তাহলে সময় করে আমার বাবার দপ্তরে যেও।বাবা তোমাকে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেবেন’।
    উল্লেখ্য,সায়ন্তিকা’র বাবা তখন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ছিলেন।

    ক্লাসে সেভেনের আক্তারুল।মেধাবী এবং অত্যন্ত দুষ্টু।নোমান’কে ছাগল বলে ডেকে যাচ্ছে প্রেয়ার থেকে।নোমান অভিযোগ করল।আমি ডেকে দু-ঘা দিলাম।বললাম যে এরপরে নোমানকে ছাগল বললে কপালে আরও মার আছে।আক্তারুল চুপ করে সব শুনলো।তারপর জিজ্ঞেস করলো,
    ‘সার,ছাগল বুলাটা তো গাল দেওয়া,কিন্তু নোমান বুললে কি গাল দেওয়া হবে?’
    আমার তখনও আক্তারুলকে চিনতে বাকি ছিল।আমি বললাম যে না।নোমান বলাটা মোটেই গাল দেওয়া হবেনা।
    টিফিনে বাইরে বেশ হই চই।আওয়াজ শুনে বেরিয়ে গিয়ে দেখি,আক্তারুল কোত্থেকে একটা ছাগল ধরে এনেছে আর তাকে বেঞ্চে পাশে বসিয়ে ‘নোমান’ নামে ডেকে যাচ্ছে।

    আমাদের স্কুলের পাশেই প্রাইমারী স্কুল।আমাদের স্কুলে বাইরের ছেলে মেয়ে ঢোকার ব্যাপারে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।এবং মিড ডে মিল খাওয়া হয় ঘরে,কোনোভাবেই বারান্দা বা মাঠে নয়।বিষয় টা তদারক করে স্কুল মনিটর রা।একদিন টিফিনে জোর আওয়াজ।বেরিয়ে দেখি রাইফুল আর জিত,দুই মনিটর মিলে ক্লাস সিক্সের শিউলি’কে ধরে এনেছে। অভিযোগ,শিউলি বাইরের কাকে যেন স্কুলে নিয়ে এসে একসাথে খাচ্ছিল।শ্যামলা রোগা চেহারার শিউলি ভয়ে সংকুচিত।দেখলাম,যে এসেছে সে আসলে শিউলি’র ছোট ভাই।শুক্রবার,আমাদের স্কুলে ডিম হয়।শিউলি বোধহয় ভাই কে বাদ দিয়ে খেতে চায় নি,তাই ভাই কে ডেকে চুপি চুপি কলতলার ওদিকে বসে একসাথে খাচ্ছিল। ছেঁড়া হাফপ্যান্ট পরা শিউলি’র ভাই তখন কেঁদে ফেলেছে।
    নিজের গালেই থাপ্পড় মারতে ইচ্ছে করল।দুই ভাই বোনকে অনেক বুঝিয়ে একসাথে খেতে বসানো হল।আমার সহ শিক্ষক রান্নার মাসীদের ইশারা করলেন যাতে শিউলি’কে বাড়তি ভাত তরকারি দেওয়া হয়।

    খালি পা আর ময়লা ফ্রক পরা শিউলি ঘরের এক কোনে বসে পরম মমতায় নিজের আদুড় গায়ের ছোট ভাইকে ডিম দিয়ে ভাত খাইয়ে দিচ্ছে।
    তথাকথিত ‘সভ্য’ সমাজের এক অন্ধ প্রতিনিধি আমি,দূর থেকে তা চেয়ে দেখছিলাম।

    শাইনিং ইন্ডিয়া,তুমি দেখতে পাচ্ছো কি ?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ | ৮৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ubaidullah | 127.203.182.238 (*) | ০৪ জুন ২০১৪ ১০:৫৮72686
  • ক্লাসে সেভেনের আক্তারুল।মেধাবী এবং অত্যন্ত দুষ্টু।নোমান’কে ছাগল বলে ডেকে যাচ্ছে প্রেয়ার থেকে।নোমান অভিযোগ করল।আমি ডেকে দু-ঘা দিলাম।বললাম যে এরপরে নোমানকে ছাগল বললে কপালে আরও মার আছে।আক্তারুল চুপ করে সব শুনলো।তারপর জিজ্ঞেস করলো,
    ‘সার,ছাগল বুলাটা তো গাল দেওয়া,কিন্তু নোমান বুললে কি গাল দেওয়া হবে?’
    আমার তখনও আক্তারুলকে চিনতে বাকি ছিল।আমি বললাম যে না।নোমান বলাটা মোটেই গাল দেওয়া হবেনা।
    টিফিনে বাইরে বেশ হই চই।আওয়াজ শুনে বেরিয়ে গিয়ে দেখি,আক্তারুল কোত্থেকে একটা ছাগল ধরে এনেছে আর তাকে বেঞ্চে পাশে বসিয়ে ‘নোমান’ নামে ডেকে যাচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন