এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যতকিঞ্চিত...(২১তম পর্ব)

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ মে ২০১৪ | ৯৩২ বার পঠিত
  • অর্ক’টা আজকাল বাইরে বিস্তর তেলে ভাজা খাচ্ছে।যেসব পেটরোগা’রা কবজহার খেয়ে দিন কাটায়,তারা যেচে এসে বাড়িতে খবর দিয়ে যাচ্ছে যে অর্ক'কে আজ অমুক বা কাল তমুক জায়গায় পাঁচটা চপ কি সাতটা সিঙ্গাড়া খেতে দেখা গেছে।তা নিয়ে যথারীতি বাড়িতে বকাবকি চলছে।আমি সেদিন ডেকে বললুম,
    ‘হ্যাঁরে হতভাগা,একটু কমসম করে খেতে পারিস না?দু-একটা করে খেলেই তো ঝামেলা হয় না’।(প্রসঙ্গত,একদম তো আর না খেতে বলতে পারিনা,তাহলে তো হজরত মোহাম্মদ অণুসরণ করে আগে আমাকেই খাওয়া ছাড়তে হয়,আর সেটা অসম্ভব,পাতি বাংলায় ইমপসিবল)।
    অর্ক মাথা চুলকে বলল,
    ‘দাদা,ইয়ে,মানে সমস্যাটা আমার নয়।এর জন্য রঘুরাম রাজন দায়ী’।
    রঘুরাম রাজন আবার কে?মনে পড়ল,
    ‘রঘুরাম রাজন তো রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর...সে আবার এর মধ্যে এলো কি করে?তোর কি মনে হচ্ছেনা যে সাত সকালে গুলের মাত্রা একটু বেশিই হয়ে গেলো?এমনিতেই যতকিঞ্চিত আদত ভাঁট বকার জায়গা।কিন্তু তাতে তেলেভাজার সাথে রঘুরাম রাজন কে মেলাবি কি করে?’,আমার রাগত জিজ্ঞাসা।
    ‘আহা,দাদা।এত ভাবছো ক্যানো ?এমনিতে না মিললে ‘মা-মাটি-মানুষ’ জিন্দাবাদ বলে দাও।তেলে-ঝোলে-অম্বলে সব মিলে যাবে’।
    ‘অর্ক,পলিটিক্যাল বুকনি থামা।রঘুরাম রাজনের কেস টা বল’।
    ‘আরে দাদা,তুমি তো জানোই যে ব্যাঙ্ক গুলো একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশী খুচরো দেয় না?’
    ‘হ্যাঁ,জানি।তাতে কি ?’
    ‘আরে সমস্যাতো ওখানেই।হেরিটেজ রেস্তোরার পাশের তেলেভাজার দোকানে একটা চপের দাম চার টাকা।যদি তর্কের খাতিরে দুটো চপও খাই,তাহলে আট টাকা বিল হয়।তিনটে খেলে বারো টাকা।এমনিতেই খুচরোর এত ক্রাইসিস বাজারে।এরমধ্যে বেচারা দোকানী আমাকে দুটাকা খুচরো কোত্থেকে দেবে?বা আমিই এই আকালের বাজারে ওকে দুটাকা খুচরো দেবো ক্যানো?সমাধান একটাই।তাহলে বিলটাকে পূর্ণ সংখ্যায় নিয়ে আসতে হবে।সেই ধাক্কায় পাঁচটা চপ খেতে হয়।কুড়ি টাকা বিল।ঝামেলা চুকে গেলো’।
    আমি হাতের কাছে কিছু একটা খুঁজছিলাম হতভাগাকে ছুঁড়ে মারার জন্য।তা দেখে দ্রুতপায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে অর্ক বলল,
    ‘তাও তুমি আমায় দোষ দিচ্ছো দাদা।রঘুরাম রাজন যদি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ খুচরো ছাড়তো,তাহলেই তো আমার এই বিপদ হত না’।

    স্কেলটা হাতের কাছে পেয়ে গেছিলাম।অর্ক ততক্ষণে হাওয়া।

    অবশ্য,হেরিটেজ রেস্তোরার পাশের তেলেভাজার দোকানটা দারুণ তেলেভাজা করে।সাইজ এবং গুণমাণ,দুটোই ভালো।ছাঁকা তেলে ভেজে যখন গরম গরম সিঙ্গাড়া গুলো তোলে,মনে হয় যেন ‘টেক ওয়ান’ এর আনকাট প্রিমিয়ার দেখছি।

    অর্ককে নিয়ে আরেকটা গল্প আছে। একদিন বিকেলে আমাকে বলল,
    ‘দাদা,একটা বিরল পলিটিক্যাল শব্দবন্ধ এর উদাহরণ বলতে পারবে?’
    এ ধরণের আলফাল অর্ক মাঝে মধ্যেই বকে থাকে।মাথা না ঘামিয়ে বললাম,
    ‘পারবো না।তুই বল’।
    অর্ক হেসে উত্তর দিল,
    ‘দাদা,একটা বিরল পলিটিক্যাল শব্দবন্ধ এর উদাহরণ হল ‘নাস্তিক সিপিএম’।

    বছর খানেক আগের কথা।সায়ন্তিকা’র পরীক্ষা।সাইকোলজি’র থিওরি গুলো বোঝাবার ছুতোতে রোজ ওদের বাড়ি গিয়ে পড়া বুঝিয়ে আসছি।সায়ন্তিকা’র বাবার মুখ চোখ দেখেই বোঝা যায় যে তিনি আমার এই রোজ আগমণ মোটেও পছন্দ করেন না।প্রথম যেদিন গেলাম অ্যামন ভাব করলেন যে আলিমুদ্দিন থেকে কালীঘাটে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে এসেছি।কিন্তু তিনি পছন্দ না করলেই বা আমার কি আসে যায়।তার পছন্দ মানলে তো অ্যাদ্দিনে আমার চিড়িয়াখানায় বেবুন টাকে রিপ্লেস করে থাকার কথা।

    পরপর সাত দিন আমার মুখ দেখে সায়ন্তিকা’র বাবার বদন পুরো সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন পার্থ চ্যাটার্জি’র মত হয়ে গেলো।কিন্তু সায়ন্তিকা’র যেহেতু থিওরি গুলো বোঝা দরকার,তাই মনে মনে গলা ধাক্কা দেওয়ার প্রবল বাসনা থাকলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেন না।আটদিনের দিন আর উনি থাকতে পারলেন না।আমাকে বলেই ফেললেন,
    ‘দ্যাখো বাবা,সাহায্য করছো।ভালো কথা।তাই বলে এতটাও সাহায্য করা ঠিক নয়’।
    এতটাও সাহায্য করা ঠিক নয় মানে?,আমি খানিক ভুরু কুঁচকে তাকালাম।
    সায়ন্তিকা’র বাবা ঢোঁক গিলে মেক আপ দিলেন,
    ‘মানে বলছি যে এভাবে তুমি হেল্প করলে ওর নিজে খেটে পড়ার চেষ্টাটা নষ্ট হয়ে যাবে কিনা।তাই বলছি,যে তুমি আজকালকার ছেলে,বন্ধু বান্ধব কি আত্মীয় স্বজন হলেই তাকে এভাবে হেল্প করাটা কি তোমাকে মানায়?’
    ‘আলবাত মানায় কাকু’,আমি দেঁতো হাসি হেসে বললাম, ‘আপনি কিচ্ছু ভাববেন না।আমার জন্ম বামফ্রন্ট আমলে।স্বজন পোষণ আমার রক্তে’।

    গত ইউনিট টেস্টে আমার এক ছাত্র পরীক্ষাতে হিস্ট্রি মানে লিখেছিল কবিতা।তাকে খুব একটা দোষ দিতে পারিনি।কয়েকশো বছর আগে কোন রাজা-গজা কটা যুদ্ধ করেছিল কি কটা পুকুর খুঁড়েছিল,তা ভাবতে গেলে কল্পনাশক্তি’র সাহায্য নেওয়া আবশ্যক।আর কে না জানে,কল্পনাশক্তি মানেই কবিতা।

    আমার মা একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা।তার উত্তরপত্র দেখার অভিজ্ঞতা থেকে কটা এখানে শেয়ার করছি।
    ক্লাস নাইনের পরীক্ষায় মা প্রশ্ন দিয়েছিলেন যে সমুদ্রগুপ্তের দাক্ষিণাত্য অভিযানের বর্ণনা দাও।একজন লিখেছে,
    ‘‘সমুদ্রগুপ্ত একদিন সমুদ্রে জাহাজে ঘুরছিলেন।হঠাত একটা দস্যু জাহাজে করে সমুদ্রগুপ্তকে আক্রমণ করলো।তুমুল লড়াই হল।শেষে দুজনের মধ্যে বাজি হল যে দুজনের মধ্যে যে আগে সাঁতার দিয়ে দক্ষিণ ভারত যাবে সেই জিতবে।দুজনেই জলে ঝাঁপিয়ে পড়লো।সমুদ্রগুপ্ত দুবলা ছিলেন আর ভালো চিত সাঁতার জানতেন।তিনি শেষ অব্দি দক্ষিণ ভারত পৌঁছে গেলেন।এই হল দক্ষিণ ভারত অভিযানের বিবরণ’।

    পরেরটা আরও সরেস।মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে গান্ধীজি’র আইন অমান্য নিয়ে।জনৈক পরীক্ষার্থীর উত্তর,
    ‘গান্ধীজি ভারতেরই লোক।ছিলেন লন্ডনে।একদিন শুনলেন যে ইংরেজরা ভারত কে দখল করে নিয়েছে।তিনি তড়িঘড়ি করে ভারতে এলেন।এসে দেখলেন যে ইংরেজড়া ভারতের আইন অমান্য করছে।তিনি প্রচন্ড রেগে গেলেন।এত বড় সাহস???ভারতে থেকে ভারতের আইন ভাঙবে? গান্ধীজি মালকোঁচা দিয়ে ধুতি পরে নিলেন।গায়ে চড়িয়ে নিলেন চাদর আর হাতে নিলেন বাঁশের বড় লাঠি। হাঁক দিলেন, ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’।এই ডাক শুনে গ্রামের লোকেরা যে যেমন পারলো লাথি ডান্ডা,তীর বল্লম নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।ইংরেজরা ভয়ে পেয়ে ভারত ছেড়ে পালালো’।

    ইতিহাস নিয়ে যতই রসিকতা করি না কেন,আক্ষেপের ব্যাপার হল,বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশের কাছে ইতিহাস চর্চা কোনো আগ্রহের সঞ্চার করেনা।স্কুল স্তরে বেশিরভাগের কাছেই ইতিহাস শুধুমাত্র পরীক্ষার প্রয়োজনে সাজেসন ভিত্তিক মুখস্থ করার বিষয়।
    কবে কাটবে এই উদাসীনতা ?নাকি এই প্রশ্নটাও ইতিহাস হয়ে যাবে ?

    কলকাতায় গেলেই আমি রাস্তার খাবার খাই।শেয়ালদা’ স্টেশনের কাছের বাজারে ওভার ব্রিজের নীচে যেসব দোকানে চাউমিন আর রোল বিক্রি হয়,তার স্বাদ চাখার জন্যই আমি মাঝে মধ্যে কলকাতা যাই।কৃতবিদ্য স্কলার সম্রাট দা,মানে অধ্যাপক সম্রাট সেনগুপ্ত আমি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন একটা ঘরোয়া আড্ডায় একবার বলেছিলেন যে কলকাতার রাস্তায় যেসব চিকেন রোল বিক্রি হয়,তা বেশিররভাগ ক্ষেতেই আদতে ডগ রোল।মানে কুকুরের মাংস।কলকাতায় নাকি কুকুর কাটার কসাইখানা অব্দি আছে।সম্রাট দা,পেটে রঙিন জল না পড়লে ভাঁট বকেনা।সুতরাং,এটা নির্জলা সত্যি বলেই ধরে নিতে হবে।

    তারপর থেকে বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম।বহরমপুরে মোহন মোড়ে বেশ চালু রেস্তোরা আছে একটা।সেখানে ভাত থেকে চাউমিন সবই হয়।কিন্তু আশে পাশে কোনো কুকুর দেখা যায় না।অথচ ভাতের হোটেল।কুকুর থাকাই স্বাভাবিক।উন্নত মাথায় সম্রাটদা’র থিওরি মেনে মনে হল,যে কুকুর গুলো হয়ত ভেতরে ঢোকে কিন্তু বাইরে বেরোয় চিকেন রোল হয়ে।
    কদিন রাস্তার রোল খেলাম না।তারপর দেখলাম যে হেব্বি লস হয়ে যাচ্ছে।শেষে থাকতে না পেরে আবার খেতে শুরু করলাম।দেখলাম যদি এটা কুকুরও হয়,তাহলেও খেতে মন্দ নয়।
    সায়ন্তিকা একদিন জিজ্ঞেস করলো,
    ‘সেদিন যে বললে রাস্তায় সব ডগ রোল বিক্রি হয় চিকেন রোলের নামে।তাহলে সেগুলোই খাচ্ছো ক্যানো?’
    আমি মাথা চুলকে বললাম,
    ‘ইয়ে,কুকুরগুলো যদ্দিন মুরগি’র মতই খেতে লাগছে,তদ্দিন আমার খেতে আপত্তি নেই’।

    খবরের কাগজ পড়ছিলাম।চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললাম,
    ‘এই আধা-সামরিক বাহিনী নামটা বেশ অদ্ভূত কিন্তু।সামরিকের আগে এই ‘আধা’ শব্দটা লাগানোর মানে কি?’
    অর্ক মেঝেতে বসে কি একটা কাজ করছিল।মাথা না তুলেই বলল,
    ‘দাদা,ওটা রোল কনফিউশন’।
    ‘রোল কনফিউশন মানে?ওটা তো থিওরিটিক্যাল টার্ম।বাস্তবে আসে কি করে?’,আমার জিজ্ঞাসা।
    ‘আহা।ভারতে সব টাই তো রোল কনফিউশন।যেদিকে তাকাবে,সেদিকে রোল কনফিউশন’।
    আমার জিজ্ঞাসু চোখ দেখে অর্ক ব্যখ্যা করল,
    ‘এই যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী।তিনি প্রধানমন্ত্রী না পুতুল,তাইই ঠিক করতে পারেন না।অতএব রোল কনফিউশন।কালীঘাটের যার ছবি কোটি টাকায় বিকোয়,তিনি রাজ্য শাসন করবেন না ষড়যন্ত্রকারী খুঁজবেন,তা বুঝে উঠতে পারেন না।এটাও রোল কনফিউশন।একটা গায়ক,শাসকের পা চেটে যার গান আপাতত ডকে উঠে গেছে সে ভাবছে যে ক্যারম খেলে গানের জাতীয় পুরষ্কার পকেটে পুরবে,সেও রোল কনফিউশনে ভুগছে।এই যে আমরা,চোখের সামনে দেশটাকে দূর্নীতিতে ডুবতে দেখছি আর ভাবছি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের কাজটা অন্য কেউ করে দেবে।এটাও রোল কনফিউশন’।

    অর্ক থামলো।এই কমেন্ট টা যতকিঞ্চিত নামক ভাঁটে রাখবো না ডিলিট করবো,তাইই ভাবতে বসলাম।
    এটাও বোধহয় রোল কনফিউশন...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ মে ২০১৪ | ৯৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.97.106.161 (*) | ০৪ মে ২০১৪ ০১:১০72888
  • ইয়ে 'ভাঁট' নয় ভাট। ভাঁট তো একরকম জংলি ফুল।

    ইতিহাস আমাদের স্কুল লেভেলে এমন নীরস করে পড়ানো হয় যে পড়াটা মুখস্থনির্ভর হয়ে যায়। এই আমিই এখন আগ্রহভরে ইতিহাসের বইপত্তর পড়ি, অথচ স্কুলে পড়তে যে কি খারাপ লাগত সে আর কি বলি। মাধ্যমিকে একেবারে টায়েটোয়ে পাশ করেছিলাম।

    এই হালকাচালে টুকটাক চলতি জিনিষপত্র নিয়ে লেখা ব্লগ পড়তে আরাম লাগে। :-)
  • de | 24.97.41.218 (*) | ০৪ মে ২০১৪ ০১:২৯72889
  • রানার লেখা সবসময়েই ভালো লাগে -- এবারও ব্যতিক্রম হোলো না
  • Ekak | 24.96.69.88 (*) | ০৪ মে ২০১৪ ০৪:৩৭72890
  • ‘ইয়ে,কুকুরগুলো যদ্দিন মুরগি’র মতই খেতে লাগছে,তদ্দিন আমার খেতে আপত্তি নেই’।

    আমার পড়া রানার লেখার অন্যতম সেরা লাইন !! মনে থাকবে :)
  • সুমন | 144.197.40.80 (*) | ০৫ মে ২০১৪ ০১:৪৫72891
  • রানাদার লেখায় সবসময়ই সাধারণ ঘটনা রসময় হয়ে ওঠে।

    শেয়ালদার খাওয়ারের কথায় মনে পড়ে গেল ওখানের দই এর সরবত এর দোকান গুলোর কথা। দই, চিনি, কিঞ্চিত দুধ দিয় তৈরি সাদা তরলটির উপরে ছড়িয়ে দিত কিঞ্চিত এলাচ গুঁড়ো। গরমের বিকেলে এ তো অমৃত।

    আমার নিত্যদিনের বৈকালিক জলযোগ ছিল 'কচুরি গলি'র রুটি সঙ্গে কোনদিন আলূ-সোয়াবিন তো কোনদিন ছোলার ডাল। এত সস্তায় (২০১১ পর্যন্ত ৫ টাকায় দুটো করে রুটি আর সবজি খেয়েছি) টাকায় এতো ভাল খাওয়ার আর কোথাও পাইনি।
  • Amitava | 133.211.41.126 (*) | ০৫ মে ২০১৪ ০৭:৩০72892
  • অসাধারণ লাগলো পরে। আপনার লেখা পরে মনে হই গরম দিনে হালকা বৃষ্টি পরেছে আর প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে।
  • ujbuk | 96.174.86.36 (*) | ০৬ মে ২০১৪ ০৮:১৭72893
  • ভালো লাগলো, বেশ ভালো লাগলো!
  • Biplob Rahman | 212.164.212.61 (*) | ১১ মে ২০১৪ ১১:৩৩72894
  • সায়ন্তিকা কেসটা আরো খোলাসা করুন, অনুরোধ রইলো। ;)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন