এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যতকিঞ্চিত...(২২ তম পর্ব)

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ মে ২০১৪ | ১০৩০ বার পঠিত
  • একটা পুরোনো ঘটনা দিয়ে শুরু করি,
    এক শুক্রবার ওমরপুর থেকে ফিরছি।বেশ গরম।এফইউসি মাঠে সেদিন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী ভাষণ দিচ্ছেন।বাস থেকে এফইউসি মাঠটা বেশ স্পষ্ট দেখা যায়।তা সেদিন দেখলাম মাঠ অর্ধেকের বেশি ফাঁকা।সাকুল্যে আড়াই হাজার লোক হয়েছে কিনা সন্দেহ।মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এত কম লোক???
    ফিচেল শাহনওয়াজটা পাশেই বসেছিল।বলল,
    ‘দাদা,এটা কিন্তু কেন্দ্রের চক্রান্ত।কায়দা করে সূর্যের ভোল্টেজ বাড়িয়ে দিয়েছে যাতে লোক বেশি না আসতে পারে’।
    ফিচেল নাম্বার টু,অণির্বাণ যাকে ফেসবুক চেনে অণির্বাণ এক্স দে নামে,সে বলল,
    ‘তুই কি বলছিস যে বিরিঞ্চিবাবা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে?’
    ‘বিরিঞ্চিবাবা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে কিনা জানিনা,তবে বুনিপ যে তৃণমূল করছে তা নিয়ে সংশয় নেই’,শাহনওয়াজের জোর গলায় ঘোষণা।
    ‘ওই কদিন আগে যিনি মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন তিনিই কি...’, অণির্বাণের কূট ইঙ্গিত।
    ‘আরে থাম,থাম’,আমি ব্যস্ত হয়ে বললাম,
    ‘এ ধরণের পলিটিক্যাল কমেন্ট করে তোরা কি আমায় অম্বিকেশ বানাতে চাইছিস নাকি?ভাষাটা চেঞ্জ করলে হয় না’।
    ‘ভাষার কথাই যখন উঠলো।তা বুনিপ কি ভাষায় কথা বলবে শুনি?’
    শাহনওয়াজ জিজ্ঞেস করলো।
    ‘আর যে ভাষাতেই বলুক।ইংরেজি বলবেনা’,অণির্বাণ বলল।
    ‘ক্যানো?’,আমার জিজ্ঞাসা।
    ‘আরে বুনিপের জন্ম তো বামফ্রন্ট আমলে।ও ইংরেজি বলবে কি করে?’,অণির্বাণের উত্তর।

    মাননীয় নরেন্দ্র মোদী ভারতের তখতে বসার পথে।আমি এখন মোদী ভক্তদের কাছ থেকে গালাগাল খাচ্ছি।অপরিচিতদের কথা বাদ দিচ্ছি।আমার এক কলেজ মেট আমাকে নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।আমার আরেক পরিচিত,তিনিও পেশায় শিক্ষক সেদিন লিখলেন যে মোদী অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠাবে বলেই নাকি আমি এত ভয় পেয়েছি এবং আশ্বস্ত করলেন যে যারা চলে এসেছে তাদের নিশ্চয় আর ফেরত পাঠাবেনা,নতুন অনুপ্রবেশকারীদের আটকাবে মাত্র।

    নরেন্দ্র মোদী’র যৌক্তিক বিরোধিতা করার অধিকার যে আমার আছে,এবং তাতে আমাকে যৌক্তিক সমালোচনা করা যেতেই পারে।কিন্তু,মোদী'র বিরোধিতার জন্য আমার আরবি নাম’টা কোনো কারণ নয়,এটা কিছু মানুষ বুঝতে চান না।

    ২০০৬ সাল।কলেজে পড়ি।আমাদের পারিবারিক টাইটেল মন্ডল।রেশন কার্ডে অব্দি আমার নাম ছিল রাণা প্রতাপ মন্ডল।পরে তা পরিবর্তন করা হয়।সংখ্যাগুরুর সমাজে সংখ্যালঘুকে নিজের আত্মপরিচয় নিয়ে মাঝে মধ্যে যে হেনস্থার শিকার হতে হয়,তা আমার বেশ কয়েকবার হয়ে গেছে।আব্বা একদিন বললেন যে নিজের নামটা এফিডেবিট করে যেন পুরোনো নামে ফিরে যাই।তাহলে আর এসব অভিজ্ঞতা হবেনা।আমি রাজি হইনি।বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ছেলেটাকেও নিশ্চয় এই একই অভিজ্ঞতার ভাগীদার হতে হয়।

    চেনা মানুষজন যখন বিদ্বেষের দাঁত নখ বের করে ফ্যালেন,তখন ভিতরে রক্তাক্ত হই।

    দেশ-কাল-সীমান্ত-কাঁটাতার...এরমধ্যে সাড়ে তিনহাত জায়গা বোধহয় আমারও আছে।শুধু,সেটা কোথায়, সেটাই জানা নেই...

    অন্য কথায় আসি।

    প্রত্যন্ত এলাকায় চাকরি করি।শিক্ষার হার খুব কম।সচেতনতার বালাই নেই।যে কঘর চাকুরিজীবি শিক্ষিত আছেন,তারা এই ‘ছোটোলোকেদের’ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলেন।প্রায় শতিনেক ছেলে মেয়ে আমার স্কুলে পড়ে।এরা অনেকেই শিশু শ্রমিক।

    যারা যতকিঞ্চিত নিয়মিত সহ্য করে থাকেন,তারা আমার স্কুলের ছেলে মেয়েদের অনেকেরই নাম জানেন।আমার অনেক গল্পের যোগানদার এরাই।

    দেবরাজ আর কিরণ কে মনে আছে? দেবরাজ এখন কারখানার লেবার।মেন্টালি রিটার্টেড ছেলেটা হিসেব জানেনা বলে মালিক তাকে প্রায়শই কম মজুরি দেয়।

    কিরণ,আমার গল্পের অন্যতম নায়ক যে আমাকে বাঘার বিলের ধারে নিয়ে গিয়ে জল ডাইনী’র গল্প শুনিয়েছিল। সে এখন রোগা হাতে গ্যারেজে কাজ করে।দিনে পঞ্চাশ টাকা পায়।আমি যখন স্কুল থেকে বাস স্ট্যান্ডের দিকে ফিরি।কিরণ তখন গ্যারেজ থেকে বাড়ি ফেরে।গোটা গায়ে কালিঝুলি মাখা বছর বারো-তেরোর বাচ্চাটা যখন আমার দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে হাসে, আমার তখন লজ্জা লাগে।ওর চোখের দিকে তাকাতে পারিনা। যে দুস্তর বৈষম্যের শিকার এই বাচ্চাটি,তার অপরপ্রান্তে আমি বসে আছি।আমিও তো দায়ী।

    আমার গল্পের আরেক চরিত্র হাসমত আলি এখন কলকাতায় রাজমিস্ত্রির যোগানদার হয়ে খাটতে গেছে।

    যারা আর্থ সামাজিক বৈষম্য নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেন,তাদের বলছি,আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে এই বৈষম্যের সূত্রপাত হয় স্কুল থেকেই।স্বচ্ছল বাড়ির সন্তান পরিষ্কার জামা-জুতো পরে,তার বাড়িতে পড়া দেখানোর লোক আছে,তাছাড়াও উপযুক্ত গৃহশিক্ষক আছে।সুতরাং সে ক্লাসে এসে বেন টেনের গল্প করে,ঝটপট পড়া বলে আর চকচকে টিফিন বাক্স থেকে দামী কেক কি নুডলস বের করে খায়।আর দরিদ্র বাড়ির সন্তান তখন আধ ময়লা জামা পরে খালি পায়ে স্কুল আসে।সে পড়া পারেনা।তাকে দেখানোর কেউ নেই।আর সপ্তাহে কম করেও তিনদিন তাকে কাজ করতে যেতে হয়।সে তার প্রান্তিক অবস্থানে আরও গুটিয়ে যাবে।সেটাই স্বাভাবিক।

    যারা উন্নয়ন বলতে শুধুই ঝাঁ চকচকে ঝুপড়ি বিহীন শহর আর বহুতল-শপিং মল বোঝেন,এরকম লোক আমাদের চারপাশে কম নেই।একটু সহজ করে ভেবে দেখা যাক,একটা বিশাল সংখ্যক মানুষ’কে পিছনে ফেলে মুষ্টিমেয় মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যকেই আমরা উন্নতির মডেল ধরছি কি করে?কোন যুক্তিতে?

    উত্তর না হয় অমুক বা তমুক মডেলে আছে,সেটা নিয়ে ঠান্ডা ঘরে সেমিনার বসবে নিশ্চয়।তাতে হাসমত আলি বা কিরণ কর্মকারদের কতটা উপকার হবে কে জানে।

    উম্মে সালমা।ক্লাস সেভেনের সেকেন্ড গার্ল।অত্যন্ত মেধাবী।খুব বাজি রেখে বলছি,এই মেয়েটি একটু সহযোগিতা পেলে অনেক উপরে উঠবে।বাবা ট্রাক চালক।বাড়িতে পড়া দেখাবার কেউ নেই।খবর পেলাম,উম্মে’র জন্য নাকি পাত্র খোঁজা হচ্ছে।

    ক্লাসের আরেকটি মেয়ে উম্মে’র খবর টা দিল।উম্মে’কে ডেকে পাঠালাম।চঞ্চল শ্যামলা মেয়েটির মুখ নীচু।কটা কথার পরেই কেঁদে ফেললো।পাড়া প্রতিবেশীরা নাকি এত বড় মেয়ে বাড়িতে কেন আছে বলে কথা তুলছে।

    ওর মা’কে ডেকে বোঝানো শুরু হল।শেষ অব্দি মা কথা দিলেন যে এখন মেয়ের বিয়ের কথা ভাববেন না।
    অবশ্য পরিবারের কথায় বিশ্বাস করে আমি আগেও ঠকেছি।ক্লাস নাইনের সুচরিতা মাঝি।তার মা কথা দিয়েছিলেন যে বিয়ে দেবেন না।তারপর খবর পেলাম যে লুকিয়ে বিয়ে দিয়েছেন।সুচরিতা’র জলভরা চোখদুটো ভুলতে এখনও অনেক সময় লাগবে।

    ন্যাশনাল ফিলজফি নামে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছিলাম।অনুরোধ করেছিলাম আমার স্কুলের মেয়েদের নিয়ে নারী পাচার আর বাল্য বিবাহের কুফল নিয়ে একটা আলোচনা করতে।যাতে কিছুটা হলেও সচেতনতা বাড়ানো যায়।

    ন্যাশনাল ফিলজফি’র সদস্যরা এসেছিলেন।গ্রামের কিছু মহিলা ছিলেন।আর ছিল আমার স্কুলের ক্লাস সিক্স-সেভেন-এইটের মেয়েরা।প্রথমে নারী পাচার নিয়ে একটা তথ্যচিত্র দেখানো হল।তারপর আলোচক সোমা চ্যাটার্জি বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলেন।

    এক্ষেত্রে একটা ছোট কথা বলার আছে।যিনি মূল আলোচক ছিলেন তিনি আদ্যন্ত শহুরে।তার ভাষা অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষজনেদের কাছে সহজবোধ্য হচ্ছিল না( মূলত একাধিক ইংরেজি শব্দের ব্যবহার)।ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকেই দীর্ঘদিন ওই এলাকায় কাজ করছেন অর্পিতা ম্যাডাম।তাকে বলতে দিলেই বোধহয় বেশি ভালো হত।

    প্রায় দুঘন্টার সেশন হল।আমার মেয়েরা সব মন দিয়ে শুনলো।কেউ কেউ প্রশ্ন করলো।
    ন্যাশনাল ফিলজফি’র সদস্যরা মালদা যাবেন,তাই,তাদের বিদায় দিলাম।

    অফিস ঘরের বাইরে তখন কটা মেয়ের জটলা।তাদের মধ্যে থেকে উম্মে এগিয়ে এলো।আমি জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে।উম্মে জানালো যে তার ক্লাসের সুখিদা’র বাড়িতে বিয়ের খোঁজ এসেছে।সুখিদা’র বিয়েতে মত নেই।তবু বাড়ির লোক জোর করছে।সুখিদা বলতে পারছেনা।তাই উম্মে নিজেই এগিয়ে বলতে এসেছে।

    অর্পিতা ম্যাডাম এগিয়ে এলেন।ঠিক হল তিনি সুখিদা’র বাড়িতে যাবেন।বোঝাবেন।দরকারে আইনের সাহায্য নেবেন।সুখিদা’র বিবর্ণ মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটলো।উম্মে অর্পিতা ম্যাডামের সাথে যাবে বলল।

    অফিস ঘরের টেবিল গোছাচ্ছিলাম।জানালা দিয়ে দেখতে পেলাম উম্মে সুখিদা কে নিয়ে বাড়ি ফিরছে।সাথে আরো কটা মেয়ে।

    আমি বছর তেরোর অতিচঞ্চল শ্যামলাবরণ দুষ্টুচোখের উম্মে’কে দেখতে পাচ্ছিলাম না।
    সুখিদা’র পাশে আমি একটা ‘পরী’কে দেখছিলাম।

    রূপকথার পরীদের ডানা থাকে।

    বাস্তবের পরীদের ডানা না থাকলেও চলে।তাই না?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ মে ২০১৪ | ১০৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Rana Alam | 113.24.111.64 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০১:২৬72898
  • আমার এলাকাতে ন্যাশনাল ফিলজফি কটা স্কুল খুলছে।স্থানীয় মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পড়ানোর কাজে লাগানো হবে।মাসে হাজার দেড়েক বেতন।কাজ করা বাচ্চারা পড়বে। আমি নিজেও পড়াতে চেয়েছি।খুব আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি প্রজেক্ট টার দিকে।
  • su | 86.118.6.148 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৩:৪২72899
  • ধন্যবাদ, রানা।
  • Rana | 131.241.218.132 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৬:১৩72900
  • আপনার লেখা বরাবরই মন দিয়ে পড়ি। এবারের লেখাটা অন্য রকম। সত্যি বলতে কি, চোখে জল চলে এসেছে।

    আমি কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না, কিন্তু আমার সীমিত সাধ্য দিয়ে চেষ্টা করব যদি আমার আপনার ছেলে মেয়েদের জন্য কিছু করতে পারি।
  • de | 69.185.236.51 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৮:৪৪72895
  • এমন পরী আরো তৈরী করুন রাণা - আপনাদের ভরসাতেই তো স্বর্গ নির্মাণ হবে!
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ১০:১৩72896
  • অ রাণা, নিজের দেশে ফিরে যাবার আগে আমারে এট্টু খবর দিও। আমাকেও গত শনিবার একজন এই রকমই পরামর্শ দিয়েছে, সে আবার আমার কলেজমেট। :)
  • de | 69.185.236.54 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ১০:৫৬72897
  • পূর্ববঙ্গ থেকে পূর্বপুরুষদের আগমন শুনলে এরকমটা তো অনেকেই বলে - বাঙালী অবাঙালী নির্বিশেষে। অনুপ্রবেশকারীরা দেশের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে এই সংক্রান্ত আলোচনায় আপিসে আমাকে আগেই বলে নেয়, "তোমার কথা বলছি না, কিন্তু এইসব -------"। শুনে শুনে অভ্যেস হয়ে গেচে।
  • Abhyu | 109.172.118.125 (*) | ২৪ মে ২০১৪ ১০:৩৫72901
  • ভালো লাগল। আশার আলো দেখায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন