এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যতকিঞ্চিত ... ( ২৩ তম পর্ব)

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০১ জুন ২০১৪ | ১০৩৬ বার পঠিত
  • আমার ভাই,অর্ক রোজ সকালে তানপুরা নিয়ে গলা সাধে। আমি সেসময় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমোই।কিন্তু সকলেই তো এত ভাগ্যবান হয় না। অনেকেরই সকালে কাজ থাকে,তাদের অর্কের গানের গুঁতো সহ্য করতে হয়।

    আজ সকালে অর্ক দেখছি মুখটা মমতা ব্যানার্জি’র মত করে বসে আছে।পাশের বাড়ির কাকীমাই নাকি মূল কারণ।তা এই কাঁচা বয়সে কাকীমার বয়সী কেউ যদি চিত্তবিকারের কারণ হয় তাহলে তা চিন্তার বিষয় বৈকি।ভ্লাদিমির নবোকভ কে বই এর তাকে সামনের দিকে রাখাটাই কাল হল কিনা ভাবতে যাচ্ছিলুম।এমন সময় জানতে পারলুম ব্যাপারটা নেহাতই সাঙ্গীতিক।
    কাকীমা গান শিখতে চাইছেন নাকি? অবশ্যি সুরের উপর কাকীমার অগাধ দখল।পাড়ায় যখন ঝগড়া করেন,তখন তার গলা দিয়ে সাত রকমের সুর একসাথে বেরোয়।কিন্তু তাতে অর্কের মন খারাপের কারণ কি? জিজ্ঞেস করলুম।অর্ক আরো রাগ দেখিয়ে আমার ঘর থেকে উঠে গেলো।

    মা এসে বিষয় টা পরিষ্কার করলেন।পাশের বাড়ির কাকীমা এসে নাকি অর্ককে বলেছেন,
    ‘বাবা,সাত সকালে না গান করে দুপুরে গান করো,তাহলে আমাকে আর দুপুর রোদে মেলে দেওয়া বড়ি পাহারা দিতে ছাদে বসে থাকতে হয় না’।

    ইয়ে মানে,এটাতো হেব্বি পারসোনাল অপমানই বটে।এ প্রসঙ্গে মনে পড়ল,সায়ন্তিকা’র বাবা একসময় ওদের বাড়ি গেলেই শক্ত শক্ত জেনারেল নলেজ ধরতেন আর যথারীতি আমি পারতাম না।তখন আমার দিকে অ্যামন ব্যঙ্গের দৃষ্টিতে তাকাতেন যেন সিদ্ধার্থ শংকর রায় অশোক সেনের দিকে তাকাচ্ছেন।হনলুলুর প্রেসিডেন্ট কে,গুয়াতেমালার জাতীয় সঙ্গীত কি (জাতীয় খাবার হলেও বুঝতাম),সংবিধানের অমুক নাম্বার ধারায় কি বোঝায় তা জেনে আমার কি ঘোড়ার ডিম লাভ হবে তা বুঝতাম না।

    বছর দুয়েক আগে,এরকমই একদিন,সন্ধেবেলা সায়ন্তিকাদের বাড়ি গিয়েছি।ওর বাবা যথারীতি চায়ে চুমুক দিয়ে প্রশ্ন করলেন,
    ‘বলো দেখি,সবুজ বিপ্লব কোথায় হয়েছিল?’
    প্রশ্নটা সহজই মনে হল।মাথা টাথা চুলকে বললাম,
    ‘আজ্ঞে,পশ্চিমবঙ্গে’।
    সায়ন্তিকার বাবা অট্টহাস্য করে উঠলেন।দেখি সায়ন্তিকাও মুচকি মুচকি
    হাসছে সোফার ওপাশে দাঁড়িয়ে।কিন্তু ভুল বললাম কোথায়,পশ্চিমবঙ্গই তো লাল থেকে সবুজ হল।
    হাসি থামিয়ে চায়ের কাপটা টেবিলে রেখে সায়ন্তিকার বাবা স্বগতোক্তি করলেন,
    ‘আস্ত মূর্খ...কতরকমের যে গাধা হয়...’
    আস্তে বললেও এটা যে আমাকে শোনানোর জন্যই বলা তা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম।আমি দাঁত বের করে বললাম,
    ‘আজ্ঞে দুরকমের গাধা হয়।এক,যারা কিস্যু জানেনা।আর দুই,যারা সবজান্তা হয়’।
    সায়ন্তিকা হাসি চেপে সরে গেলো।সায়ন্তিকার বাবার মুখে তখন জমাট মেঘ।

    প্রত্যেকটা প্রেমের গল্পেরই একটা সিনেমাটিক পার্ট থাকে।আমার আর সায়ন্তিকারও আছে।তারই একটা শোনাচ্ছি।সম্পর্কের কথা সদ্য দুই বাড়িতে জানাজানি হয়েছে।সায়ন্তিকার বাবা রাজ্য সরকারের একটি দপ্তরের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক।আর আমি সেখানে তুচ্ছ ইস্কুল মাস্টার।সায়ন্তিকার মত বিদূষী সুন্দরী আমার মত ভ্যাগাবন্ড কে পছন্দ করে ফেলবে,এ তার ভাবনার অতীত ছিল।সিনেমার ভিলেনের মতই একদিন আমায় বাড়িতে ডেকে নানাবিধ প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে,তার সাথে আমার আর্থিক অবস্থার পার্থক্যের ইঙ্গিত দিয়ে ঝাঁঝালো গলায় প্রশ্ন করলেন,
    ‘পরিবারের খরচা টানতে পারবে ?’
    আমি একনজরে সোফার দুপাশে দাঁড়ানো সায়ন্তিকার ফুল ফ্যামিলির দিকে তাকালাম।তারপর গলা খাঁকরে বললাম,
    ‘আজ্ঞে,সায়ন্তিকা একা এলে পারবো’।

    ভূত নিয়ে একটা থ্রেড লিখবো বলেছিলাম।ভূতে বিশ্বাস থাকুক বা না থাকুক,ভূতের গল্প শুনলে গা ছমছম করেনা এরকম বাঙালি নেই বললেই চলে।আজ কটা খুব কাছের মানুষজনেদের মুখে শোনা ঘটনা এখানে লিখবো।পরিবেশনার খাতিরে যেটুকু পালটানো দরকার,তার বাইরে কিচ্ছু হেরফের করছিনা।এটা জানিয়ে রাখলাম।আপনি বিশ্বাস করবেন কি করবেন না,সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

    সাতের দশক।রাষ্ট্রের পুলিসের সাথে নকশালদের সংঘর্ষ চলছে।এরকমই এক সময় এক নকশাল নেতা রাতের বেলায় পায়ে হেঁটে নদীয়ার দিকে যাচ্ছেন মুর্শিদাবাদ থেকে।রাস্তা দিয়ে যাওয়ার উপায় নেই।সেখানে পুলিস আছে।তাই,জমি আর বাগান হয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।এক বিশাল আম বাগান ঢুকেছেন।নকশাল সেই নেতার হাতে একটা শক্ত লাঠি আছে আর আছে একটা টর্চ।কিন্তু খুব দরকারে না পড়লে জ্বালানো বারণ।

    অন্ধকারের একটা নিজস্ব আলো থাকে।আর সেদিন খুব ফিকে চাঁদের আলো ছিল।যদিও গাছের পাতার ঘন আঁধারে তা বাগানের ভিতরে খুব একটা স্পষ্ট নয়।চারিদিকে শত্রুর ভয়।খুব সতর্ক হয়ে হাঁটতে হচ্ছে।আচমকা সেই নেতা দেখলেন খানিক দূরে একটা ছায়ামূর্তি হেঁটে যাচ্ছে।সাবধান হলেন সেই নেতা।হাতের লাঠিটা শক্ত করে ধরলেন।ছায়ামূর্তিটি’কে ভালো করে লক্ষ্য করলেন।মনে হল একটি মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে।অত্যন্ত অলস ভঙ্গি।কিন্তু এত রাতে এই বাগানের মধ্যে মেয়ে?

    সেই নেতার মনে হল সেই মুহুর্তে বাগানে তিনি একা নেই।কোত্থেকে একটা বিপদের অনুভূতি গ্রাস করলো। তিনি যেদিকে যাবেন,মেয়েটি সেদিকেই হাঁটছে।খানিক দূরত্ব রেখে তিনি হাঁটতে শুরু করলেন।তার দেরি করা যাবেনা।কিন্তু মেয়েটির হাঁটাতে কোনো তাড়াহুড়োর লক্ষণ নেই।খোলাচুলে অলস ভঙ্গিতে হেঁটে চলেছে।খানিক হাঁটার পর সেই নেতার কিরকম একটা সন্দেহ হল।মেয়েটির দিকে তাক করে টর্চ জ্বালালেন।টর্চ জ্বললো না।এবার ভয় হল।সামনে তাকিয়ে দেখলেন মেয়েটি নেই।খানিক রাস্তা দৌড়ে গেলেন তিনি।সামনে কেউ নেই।আচমকা চারিদিক থেকে শুরু হল মহিলা কণ্ঠের হাসি।অপার্থিব সে হাসি।ভয় পেয়ে অন্ধের মত সামনের দিকে দৌড় দিলেন সেই নেতা। আর হাসির আওয়াজটা যেন ঠিক তার পাশেই হচ্ছিল।আচমকা সামনে কিছু একটার সাথে তিনি ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলেন।হাসির আওয়াজ থেমে গেল।আধো জমাট অন্ধকারেও সেই নেতা বুঝতে পারলেন যার সাথে তিনি ধাক্কা খেয়েছেন,তা হল দুটো পা,এবং তা গাছের ডাল থেকে ঝুলছে।
    কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ধাতস্থ হলেন সেই নেতা।গাছের ডাল থেকে একটি মেয়ের দেহ ঝুলছে।পায়ে হাত দিলে।দেহ তখনও গরম।মানে মৃত্যু হওয়া খুব বেশিক্ষণ হয় নি।
    নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে সেই নেতা আবার রওনা দিলেন।যতক্ষণ তিনি বাগান না পেরিয়েছেন,ততক্ষণ তার মনে হয়েছে পিছনে সেই মেয়েটি হেঁটে আসছে।পিছনে ঘুরলেই তাকে দেখা যাবে।তিনি আর পিছনে তাকান নি।

    যখন তিনি আমাকে এই ঘটনা বলেন তখন তিনি জানান যে পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছিলেন যে ওই গ্রামেরই বউ হচ্ছে সেই মেয়েটি,তাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোক মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছিল।কিন্তু বাকি ঘটনার ব্যখ্যা তার কাছে নেই।আজও নেই।

    পরের ঘটনা হুগলী জেলার।আমি শুনেছি আমার এক বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুর মুখে।ঘটনাটি তিনি শুনেছেন তার বাবা’র মুখে।তাদের বাড়ির যিনি গুরুদেব তিনি তন্ত্র সাধনা করতেন এবং তিনি একসময় উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলেন।সেটা নিয়েই ঘটনা।আমার বন্ধুর বাবা তখন বয়সে কিশোর।তাদের বাড়ির খুব কাছেই শ্মশান।গুরুদেব সারারাত শ্মশানে ছিলেন।বন্ধুটির বাবা’র তান্ত্রিক গুরুদেব কে নিয়ে প্রচুর আগ্রহ ছিল।ওই বয়সের যে অপার কৌতূহল থাকে আর কি।সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই তিনি শ্মশানের দিকে রওনা দিলেন।গুরুদেব বাড়ির লোককে বারণ করেছিলেন যেতে।বন্ধুটির বাবা তা জানতেন না এবং বাড়ির বড়রা সম্ভবত ভাবেন নি যে তিনি যেতে পারেন।তখন আধো অন্ধকার।শ্মশানের কাছে এসে একটা আওয়াজ পেলেন সেই বন্ধুর বাবা।অপার আগ্রহে নদীর ধারে নেমে গিয়ে দেখলেন গুরুদেব লালপাড় সাদা শাড়ি পরা একটি বারো-তেরো বছরের কিশোরী মেয়ের বুকের উপর বসে মন্ত্রোচ্চারণ করতে করতে তাকে জলে ডোবাবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন আর সেই কিশোরী মেয়েটি বার বার খিলখিল করে হেসে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করছে।ভয়ে কিশোর বয়সের সেই ছেলেটি আর্তচিতকার করে ওঠে।অমনি সেই মেয়েটি আচমকা জলের ভিতরে এলিয়ে পড়ে।গুরুদেব আর্তনাদ করে ওঠেন।তক্ষুণি বোঝা যায় যে ওটি কোনো জ্যান্ত মেয়ের শরীর নয়,কোনো কিশোরী মেয়ের মৃতদেহ।
    গুরুদেব তারপর থেকেই উন্মাদ হয়ে যান।তন্ত্র সাধনা সম্পুর্ণ না হলে নাকি মৃত্যু অব্দি হয়।ঘটনাটা কল্পনা করলে এখনও বেশ গা শিরশিরিয়ে ওঠে।

    ভূত-পেত্নী তো হল।এবার জ্বিন পরীদের একটা কিসসা হোক।
    ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে আল্লাহ মানুষের সাথে সাথেই জ্বিন কে সৃষ্টি করেছেন।মানুষ মাটি দিয়ে তৈরী আর জ্বিন আগুন দিয়ে।মানুষের মতই জ্বিনেদের মধ্যেও ভাল মন্দ আছে।তবে তারা মানুষের চেয়ে কিছু বেশী ক্ষমতার অধিকারী।বিশ্বাস করা হয় যে রাতের বেলায় মসজিদে জ্বিনেরা নামাজ পড়তে আসেন।যে কারণে মসজিদে রাতের বেলায় নামাজ পড়ার জায়গাটা ফাঁকা রাখা হয়।
    আমার এক সম্পর্কিত মামা আছেন।যাকে ভোর রাতে বাড়িতে পাওয়া যেত না ছোটবেলায়।সকাল হলে গায়ে ধূলোমেখে ফিরতেন।জিজ্ঞেস করলে বলতেন যে বন্ধুর সাথে খেলতে গিয়েছিলাম।গ্রামের বাড়িতে অত আগল থাকেনা।বাড়ির লোক ভয় পেলো।এ নিশ্চয় জ্বিনের কাজ। আমার নানীমা রাত জেগে রইলেন।সকাল হওয়ার মুখে।আমার সেই মামা চৌকির উপরে অঘোরে ঘুমোচ্ছেন।আচমকা বাইরে থেকে মামার নাম ধরে একটা বাচ্চা ছেলের গলায় ডাক।মামা তড়াক লাফিয়ে উঠেই বেরিয়ে গেলেন।নানীমা খানিক পরেই পিছু নিলেন।দেখলেন তার ছেলে কারুর সাথে কথা বলতে বলতে সামনে মাঠের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।আরেকটা বাচ্চারও আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে বটে,কিন্তু কাউকে চোখে দেখা যাচ্ছেনা।এ সমস্যা সারতে সময় লেগেছিল।

    পরের ঘটনাটাও গ্রামের।গ্রামের ছেলেরা ভোর রাতের দিকে ঝড় হলেই বাগানে আম কুড়োতে যায়।অনেক আগের ঘটনা।এ ঘটনাও হুগলী জেলার।একটি যৌথ পরিবারে একই বয়সের তিনটি ছেলে আছে যারা একে অপরের খুড়তুতো ভাই-দাদা।সেদিন শেষ রাতে হাল্কা ঝড় হয়েছে।এক ভাই-এর ঘুম ভেঙ্গেছে।সে চোখ খুলে দ্যাখে যে বাইরে আলো ফুটে গেছে।বাই দুই ভাই’কে ডেকে বাগানের দিকে হাঁটা দিল।বাড়ির বাকিরা তখনো ওঠেনি।তবে আলো যখন ফুটেছে,তখন বাকিরাও উঠে যাবে নিশ্চয়।
    শ্মশানের পাশে বাগান।অনেক আমও পড়েছে।কিন্তু সেদিন আগে থেকেই বাগানে বেপাড়ার কটা কালো ছেলে এসে হাজির।তাদের সাথে এরা তিন ভাই আম কুড়িয়ে পাল্লা করতে পারল না।ওরা কি করে সব গাছের তলাতেই আগে পৌঁছে যায় আর সব আম ওরাই পেয়ে যাচ্ছে।বয়সে বড় যে দাদা সে প্রায় রেগে হাতাহাতি লাগাতে যাচ্ছিল।বাকি দুই ভাই তাকে থামায়।ওই বেপাড়ার ছেলেগুলো তখন খালি শব্দ না করে হাসছিল।
    যাইহোক,সামান্য কটা আম পেয়ে তিনভাই বাড়ি ফিরছিল।গ্রামে ঢুকে একটা পুকুরের পাশ দিয়ে যেতে হয়।তারা কথা বলতে বলতে ফিরছে।এমন সময় তাদের গলার আওয়াজে পুকুরের পাশে এক কামারের বাড়ি,সে বেরিয়ে এসেছে।সেই লোকটি জিজ্ঞেস করে যে এত রাতে বাইরে তারা কি করছে।ছেলেরা জানায় এখন তো সকাল।ধমক দিয়ে সেই কামার তাদের বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে জানায় যে এখন রাত তিনটে।বাইরে ফটফটে চাঁদের আলো।তাই হয়ত তারা ভুল করেছে।তিন ভাই তখন আম কুড়োতে গিয়ে বেপাড়ার ছেলেদের মুখোমুখি হওয়ার কথা রাগের গলায় শোনায়।
    ঘটনা শুনে কামারের চক্ষুস্থির।সকাল না হওয়া অব্দি সে ছেলে গুলোকে বাড়িতে আটকে রাখে।তারপর ঝাঁড়ফুক কিছু হয়েছিল নিশ্চয়।কিন্তু দেওয়ার খবর এটাই যে সেদিন রাতে অন্য কোনো পাড়ার ছেলেরা শ্মশানের পাশে আম বাগানে যায় নি।

    স্টকে আরো কিছু ঘটনা আছে,যার অনেকগুলিতেই আপাত ব্যখ্যা খুঁজে পাওয়া শক্ত।এ পর্ব ভালো,লাগলে জানাবেন,তাহলে পরের গুলোও বলা যাবে।আপনাদের অভিজ্ঞতায় কিছু থাকলে সেটাও জানার ইচ্ছে রইলো।

    আর হ্যাঁ,আজ রাতে মাঝরাতে আচমকা ঘুম ভাঙ্গলে ভুলেও জানালার দিকে তাকাবেন না...যদি মনে হয় যে কেউ আপনার দিকে চেয়ে আছে,তাও তাকাবেন না...

    অস্বস্তিকর লালচে দুটো চোখ...আর পিঠের কাছে ঠান্ডা আঙ্গুলের ছোঁয়াচ

    রাতে রিচ খাবেন না বস,পেট গরম হলেই লোকে উল্টোপাল্টা স্বপ্ন দ্যাখে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০১ জুন ২০১৪ | ১০৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • suman | 81.9.247.129 (*) | ০১ জুন ২০১৪ ০২:৩৮73444
  • দারুন। রানাদা, ভূত নিয়ে আলাদা একটা সিরিজ লিখুন।
  • Abhyu | 118.85.90.90 (*) | ০১ জুন ২০১৪ ০৭:৪৯73445
  • আরো হোক।
  • সিকি | 131.241.127.1 (*) | ০২ জুন ২০১৪ ০৩:৫৪73446
  • শ্বেতা কই?
  • Rana Alam | 113.24.110.237 (*) | ০২ জুন ২০১৪ ০৫:৪৬73448
  • পরের পর্বটা পুরো এরকম ভূতের ঘটনা নিয়েই লেখার ইচ্ছে আছে।
  • Abhyu | 179.237.46.178 (*) | ০২ জুন ২০১৪ ০৬:২১73449
  • শ্বশুরমশাইও সঙ্গে থাকুন একটু।
  • kaushik | 125.113.187.3 (*) | ০২ জুন ২০১৪ ০৬:২২73447
  • প্রায় প্রত্যেকটা পর্বই ভালো লাগে। এটাও লাগলো। আরো লিখুন।
  • nina | 78.37.233.36 (*) | ০২ জুন ২০১৪ ০৯:৪৮73450
  • দারুন :-)))) আরো হোক--আর হ্যাঁ শ্বশুরমশাই ও সঙ্গে থাকুন ----
    :-D
  • a | 34.7.99.73 (*) | ০৩ জুন ২০১৪ ০৮:২৬73451
  • নক্শাল ভূত দারুন হোয়েচে । আরো এরোকোম চাই
  • de | 69.185.236.52 (*) | ০৩ জুন ২০১৪ ১১:৫১73452
  • শ্বশুর্মশাই ছাড়া যৎকিঞ্চিৎ পানসে হয়ে যাবে ঃ) - ভূতও ভালো হচ্ছে!
  • ujbuk | 149.222.138.188 (*) | ০৪ জুন ২০১৪ ০৯:৫০73453
  • ভূত ভার্সেস শ্বশুর মশাই !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন