এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ধর্ষণ এবং আমরা

    প্রতিভা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২৯৩৬ বার পঠিত
  • দেখা যাচ্ছে ধর্ষণ কী করিলে কমিবে তা আমাদের কারোরই জানা নেই। আন্দাজেই পথ হাতড়াচ্ছি আমরা , মেয়েদের পোশাক হাবভাব ব্যবহার ইত্যাদির দিকে তর্জনী তুললে অন্য চারটে আঙুল বেঁকে থাকে নিজেদের দিকে অথবা আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক ফ্যাক্টরের দিকে। পিতৃতন্ত্রের বলদর্প আর কতো মেয়েদের জীবন তছনছ করে দেবে সে প্রশ্নও ওঠে খুব সঙ্গত ভাবেই।

    ডঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির মৃত্যুর পর ফেসবুকে ধর্ষণের প্রবণতা কমাবার যে কটি পদ্ধতি চোখে পড়েছে সেগুলো শোক এবং হতাশার বিস্ফোরণ হলেও আমাদের মানসিকতা যাচাইয়ের ভালো স্যাম্পলও বটে। কারণ এই একই প্রতিক্রিয়া অন্তর্জালে প্রত্যেকটি ধর্ষণের ঘটনার পর দেখতে পাই। এতে কেউ দোষী নয়,যেহেতু বার বার এই ধরণের ঘটনা ঘটতে থাকে, লোকে বার বার একইভাবে বিস্ফারিত হয়।ফলে প্রতিক্রিয়াগুলিকে খুব তাৎক্ষণিক বলা যাবে না। বরং এইগুলির একধরণের লাস্টিং ভ্যালু বা দীর্ঘমেয়াদী মূল্যমান আছে। এরা মোটামুটি দুরকম - আক্রমণাত্মক এবং আত্মরক্ষামূলক।

    প্রথম ভাগে পড়ে এইগুলি-

    ১) ফাঁসি বা মৃত্যুদন্ড
    ২) লিঙ্গচ্ছেদ
    ৩) মব লিঞ্চিং

    আত্মরক্ষামূলক ধাপ-

    ১) কন্যা ভ্রূণ জন্মাতে না দেওয়া
    ২) মার্শাল আর্ট শেখা
    ৩) ব্যাগে ছুরি কাঁচি পিপার স্প্রে রাখা
    ৪) মেয়েদের ‘সমাজের’ প্রত্যাশামতো বাঁচতে শিখে নেওয়া


    এর বাইরে আছে পুরুষবাচ্চাকে সেন্সিটাইজ করে বড় করা ,যেন তারা নারীকে সম্মান করা শেখে। পিতৃতান্ত্রিক ধ্যানধারণাকে জীবনচর্যার মধ্যে না আনে।

    একটু তলিয়ে ভাবলে বোঝা যাবে প্রথম দুধরণের পদক্ষেপ নারীর ভালোর চেয়ে মন্দ করে বেশি। কোনো ওষুধে কোনো রোগের উপশম হচ্ছে না দেখলে আমরা তো ডাক্তার এবং ওষুধ পাল্টাই। তাহলে দীর্ঘকাল ধরে মৃত্যুদন্ড এ অপরাধ কমাতে পারলো না কেন একথা বলতে যাওয়ামাত্র কেন ধেয়ে আসে তীব্র শ্লেষযুক্ত বাক্যবাণ ,আপনার বাড়ির লোক হলে এইরকম বলতে পারতেন ? অথচ আপনার আমার বাড়ির বাইরে পড়ে আছে একটা বিশাল দেশ আর তার পরিসংখ্যান। এ কথাও প্রমাণিত যে দেশে বিচারের পদ্ধতি অহিংস সেখানে হিংসা কম।

    মানুষের ভেতরের দানবটিকে বাইরে আনার ব্যাপারে প্রথম ক্যাটেগরির জুড়ি নেই। রক্তের বদলে রক্তই যদি কাম্য, তাহলে সে রক্তপাত থামবে কী করে ! উপরন্তু এর প্র্যাকটিকাল দিকটি আরো ভয়াবহ। ফিরে গিয়ে বলে দিলেই যদি মৃত্যু নিশ্চিত ,তাহলে ধর্ষিতাকে আর ফিরতে না দেওয়াই ভালো । পড়ে থাকুক তার আধপোড়া দেহ কোন ওভারব্রিজের নীচে,কিম্বা পুজোর নতুন সাজ পড়া দশবছরের বালিকাটির নিথর দেহ থ্যাঁতলানো ধানক্ষেতে। মা হিসেবে আমার তো ধর্ষককে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে,তোরা প্রাণপুত্তলীদের শুধু ফিরতে দিস । তারপর আমরা নাহয় ্মেয়েদের শেখাব ঐ ঘটনা একটি এক্সিডেন্ট। ওটার জন্য কারো জীবন শেষ হয়ে যায়না। যারা ভাবে এবং বলে যে ধর্ষণে একটা মেয়ের জীবন শেষ হয়ে যায় তারাও কিন্তু প্রকারান্তরে মেয়েটির জীবন শেষই করে দিতে চায়। চর্তুদিকের কানাকানি ফিসফাস সমালোচনা,গায়ে পড়া উপদেশ চোখের জল মেয়েটিকে লজ্জায় অপমানে নিঃস্ব রিক্ত করে। নিজেকে দায়ী করে সে তার ওপর ঘটে যাওয়া অন্যায়ের জন্য।যে লজ্জা হওয়া উচিত সমাজের প্রত্যেকের এবং রাষ্ট্রের , তার ভারেই সে আত্মহননের রাস্তা বেছে নেয় অনেক সময়। আমরা ফেসবুকে কান্নার ইমোজি দিয়ে কাজ সারি। তার চেয়ে কী কালিঘাটের বস্তির হতদরিদ্র মায়ের কেজো দৃষ্টিকোণটিই বেশি কাম্য নয়, যে বলে নালিশ তো করা হয়ে গেছে ,এবার বিচার হোক ।কিন্তু মেয়ে ঘরে না ফিরলে খাব কী ! মেয়েটি তো অন্তত নিজেকে অচ্ছুত অকেজো ভাববে না।

    কখনো কখনো মনে হয় ইংরেজি শব্দ ‘ রিডান্ডান্টে”র থেকে বড় গালি এক মানুষের জীবনে আর কিছু হতে পারে না । আমাদের সমস্ত বেঁচে থাকার চেষ্টার ভরকেন্দ্র ঐ রিডান্ডান্ট না হবার প্রচেষ্টা। লাঞ্ছিত মেয়েটির শুধু সে অধিকার নেই !

    দ্বিতীয় ক্যাটেগরিটি আরো মারাত্মক। মেয়ে বাচ্চা জন্মাতে দেব না ,তার ফল কী হবে বুঝতে কষ্ট কী ! হরিয়ানার কোনো কোনো গ্রামে ঘুরে এলে মনে হবে প্রতিটি মেয়ে জন্মেইছে ধর্ষকের খাদ্য হবে বলে। নারীপুরুষের রেশিও আরো নষ্ট করে দিলে ধর্ষণ বাড়ে না কমে ? ফিল্মি অভিজ্ঞতার দরকার হলে মাত্রুভূমি সিনেমাটা দেখা যায়।

    কোনো মেয়ের যদি মার্শাল আর্টের বদলে নাচ শিখতে ইচ্ছে হয় তাহলেও তার নানকু চাকু চালানো বাধ্যতামূলক হবে ? যারা ব্লেড চালাতে বলেন তারা জানেন মদ্যপের হাত মণিবন্ধে এঁটে বসলে হাত নড়ানো যায় না? মার্শাল আর্ট যার শিখতে ইচ্ছে হবে সে অবশ্যই শিখবে,কিন্তু জোর করে চাপিয়ে কোনো লাভ নেই। চার পাঁচজন মিলে পিস্তল দেখিয়ে বাপমার সামনে থেকেও তুলে নিয়ে গেলে কিসসু করা যায় না । যা হওয়া উচিত সমাজ এবং রাষ্ট্রের যৌথ দায়িত্ব সেই গুরুভার আমরা চাপিয়ে দেব আমাদের আত্মজাদের কাঁধে ?

    আর সমাজের বিধিনিষেধ মেনে লক্ষ্মী নারীর পুরনো ছক থেকে সবদিকে যোগ্যতা প্রমাণ করে কালের নিয়মে যে মেয়েরা স্বয়ংভর হয়েছেন তাদের আর শত বলপ্রয়োগেও সেখানে ফেরত পাঠানো যাবে না। ধর্ষণেও না।

    তৃতীয় প্রস্তাবে তাও সুস্থ যুক্তি ছায়া ফেলে । এখানে ধর্ষণ বলতে যেহেতু আমরা পুরুষ কর্তৃক অনিচ্ছুক নারীদেহের দখল নেওয়া বোঝাচ্ছি, পুরুষের মনোভাব এবং চিন্তাধারার পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তবে সে কতো যুগের কতো সাধনার ফল তা জানা নেই । তথাকথিত শিক্ষার দৌড় দেখা হয়ে গেছে মি টুর দৌলতে। অন্তর্জালে যে পরিমাণ রেপ থ্রেট দেখা যায় তাতে মনে হয় মেয়েদের শায়েস্তা করার ঐ একটি পদ্ধতিই আমাদের শেখা। খুবই লজ্জা হয় যখন দেখি রেপিস্টের ধর্ম তুলে সেই ধর্মের নিরপরাধ মেয়েদের ধর্ষণ করবার ডাক দেওয়া হয়। চিত্তশুদ্ধির প্রচেষ্ট জারি থাকুক, আপাতত আর কিছু করতে না পারি রাষ্ট্র প্রশাসন এবং সমাজের ঘাড় নোয়ানোর জন্য আমরা সমস্বরে চিৎকার তো করতে পারব। সমস্ত ট্যাবু ভেঙে ফেলে প্রত্যেকটি ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে প্রবল আলোচনা,উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, চেঁচামেচি । ধর্ষণকে ঘিরে থাকা বোবা নৈশব্দকে ভেঙে ফেলে একেবারে অনর্থ করা যাকে বলে। আমরা এখন পরিষ্কার জানি ধর্ষণ শুধু লালসার কারণে হয়না । মেয়েদের ওপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবার একটি হাতিয়ার এটি। মেয়েরা পুরুষের সমকক্ষ হতে পারবে না ,এটাই পরম্পরা। অতএব উচ্চশিক্ষিতা নারী যে উপার্জন করে, পুরুষের মতোই স্কুটার চালিয়ে বেশি রাতে বাড়ি ফেরে তাকে ধর্ষণ কোরে মেরে ফেললে আর পাঁচটা মেয়ে তাঁবে থাকবে।

    এক বিচারক এক রায়ের সমালোচনায় ঘরোয়া আলোচনায় ফুঁসে উঠেছিলেন ,আপনারা ঘরে বসে করছিলেন কী ? দলবল জুটিয়ে শুনানির সময় আদালত চত্বরে চ্যাঁচামেচিও তো করতে পারতেন । অন্তত বোঝা যেত জনমত লাঞ্ছিতার পক্ষে আছে ।

    ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা নেই, সে ব্যাপারে ফেসবুকের বাইরে কোন কাজে যুক্ত হওয়া নেই শুধু ঘরে বসে নানা প্রবল হিংসাত্মক কল্পনায় দিন কাটে আমাদের । এমন কল্পনা যে একজন দাগি অপরাধীকেও তা ভাবার জন্য অনেক সময় অতিবাহিত করতে হবে। এইরকম একটি ফেসবুক কুড়োনো মণিমুক্তো দিয়ে গেলাম উপসংহারে - চার ধর্ষকের গায়ে কেরোসিন তেল প্রথমে আধপোড়া করুন। তারপর ফেলে রাখুন। ডাক্তাররা এদের চিকিতসা করতে অস্বীকার করুন।আর কোন উকিল এদের হয়ে কেস লড়বেন না।

    এদেশে ধর্ষণ কমবে ?


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২৯৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • দোবরু পান্না | 236712.158.676712.140 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩৫79814
  • শুভাঞ্জনবাবুর এত্ত বড় লেখাটা কি পড়তেই হবে? কয়েক লাইন পড়েই তো বেশ হ্যাজ মনে হচ্ছে। আমি নয় মুখ্যুই থাকি।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট বলছে যে দেশে মৃত্যুদণ্ড নেই, সে দেশে অপরাধের হার যে দেশে আছে সেসব দেশের তুলনায় প্রায় আর্ধেক। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সকে অপরাধ হিসাবে ধরার পরেও।

    https://www.amnestyusa.org/a-clear-scientific-consensus-that-the-death-penalty-does-not-deter/?fbclid=IwAR1v9M64BeSPheuUFi36wc_dZt-4_Pc269flqk3iOoDvBkt1CbPyyTzcCc0
  • স্বাতী রায় | 237812.69.563412.229 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৪৬79815
  • কুশান, ওই গোপাল অতি সুবোধ বালকের পোস্টটা দ্যুতির দেওয়া। ফেসবুকে।
  • কুশান | 237812.68.674512.115 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:০১79816
  • এহে। গুলিয়ে ফেললাম! দুঃখিত।

    কিন্তু লেখাটা ভালো।
  • aranya | 890112.162.9001223.97 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:০৩79803
  • 'আমরা এখন পরিষ্কার জানি ধর্ষণ শুধু লালসার কারণে হয়না । মেয়েদের ওপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবার একটি হাতিয়ার এটি। মেয়েরা পুরুষের সমকক্ষ হতে পারবে না ,এটাই পরম্পরা। অতএব উচ্চশিক্ষিতা নারী যে উপার্জন করে, পুরুষের মতোই স্কুটার চালিয়ে বেশি রাতে বাড়ি ফেরে তাকে ধর্ষণ কোরে মেরে ফেললে আর পাঁচটা মেয়ে তাঁবে থাকবে।'

    - যুদ্ধ বিগ্রহের সময়, বা কোন কারণে রাগ মেটানো, প্রতিশোধ নেওয়া - এগুলো বাদ দিলে, লালসা একটা বড় কারণ মনে হয়
  • দ্যুতি | 237812.69.453412.170 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:১৫79817
  • সত্যি খুব মন খারা, পাগলের মত পোস্ট করছি কাজের ফাঁকে,সবাই একটু অন্যভাবে ভাবি। উপায় আমাদেরই বের করতে হবে। আমি আরো কিছু পোস্ট দিয়েছি নিজের ফেবু ওয়ালে বা এক দুটি গ্রুপে। অনেক পোস্ট শেয়ার করলাম। আমার মেয়ে পড়া নিয়ে পাঁচ বছর কাছ ছাড়া, এবার চাকরি পাবে আর একটা সেমিস্টার বাকি। ইন্টার্ন করছে মুম্বাইতে, এয়াত দিনের হিসেব থাকে না। এসব ঘটনাতাই খুব ভাবায়। খুব হতাশ ক। আমি খুব আবেগে চলি। রৌহীণ যে আজ কজন গেছে বলে পোস্ট দিয়েছো, সত্যি যেতে চাই। মুখ খুলি না, আমার পরিস্থিতি সবার মত নয়। তবে আমার রোষ বড্ড বেড়ে যায় এসবে।
  • শিবাংশু | 237812.68.674512.43 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:১৩79804
  • অপরাধের প্রত্যুত্তরে আরেকটি অপরাধ, তার পর আরও একটি...

    পুরুষতান্ত্রিক মূল্যবোধে বলা হয় পুরুষের প্রাণ আর নারীর সম্ভ্রম পরস্পর জায়গাবদল করতে পারে। একটা গোটা মহাভারতই লেখা হলো তা নিয়ে। শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই গণিতটা কাজ করে। এই যুদ্ধ শুধু রণাঙ্গণে নয়, নৈমিত্তিক বেঁচে থাকার লড়াইয়েরও অংশ। নারীকে 'অপমান' করতে পারলে সামগ্রিকভাবে জাতিকেই অপমান করা যায়। অথচ 'সম্ভ্রমবোধে'র মালিকানা নারীর স্বাধীন ইচ্ছার অধীন নয়। এই বোধের মালিক পুরুষ প্রভু। আমাদের স্মৃতিশাস্ত্র হোক বা হাদীশ শরীফ, সবাই একই কথা বলে।
    রিপুতাড়িত পুরুষ একটি অপরাধ করার পর তাকে ডিফেন্ড করতে এই চিরাচরিত সাইকির আশ্রয় চায়। ব্যক্তিহত্যা করে যে এই অপরাধ শেষ করা যাবেনা, তা তো প্রতিষ্ঠিত সত্য। সব অপরাধই একটি 'সুস্থ' মানুষের মননে ঘোর আঘাত নিয়ে আসতে সক্ষম। কিন্তু এই অপরাধটির অভিঘাত অকথ্য। আমাদের সব দর্শনই বলে বিবেকবান পুরুষের কর্তব্য নারীকে 'রক্ষা' করা। এ হলো সেই 'নারী' যে পুরুষের বংশরক্ষার জন্য গর্ভধারণ করে।

    আমার ব্যক্তিগত ধারণা এই আক্রমণ সামগ্রিকভাবে মানবিকতার বিরুদ্ধে। তাকে মধ্যযুগীয় 'নারী-পুরুষ' জাতীয় সংজ্ঞার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মানুষের বিরুদ্ধে হিংস্রতম, অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবে গ্রহণ করাটা প্রয়োজন। প্রতিবার যখনই ধর্ষণ ও হত্যা সংঘটিত হবে বিবেকী পুরুষ হিসেবে 'পুরুষজন্ম'কে অভিযুক্ত করে স্বস্তি পাবার ব্যাপারটা পুনর্বিবেচনা করা দরকার। পুরুষ বা নারী, কেউই স্বেচ্ছায় এই জন্ম পায়না। তবে মানুষ হিসেবে মানবিকতার বিরুদ্ধে যাবতীয় অপরাধ শেষ করার যুদ্ধে সামিল হতে পারে। সেইটাই আমাদের লক্ষ হোক। বারবার এই সব Knee jerk প্রতিক্রিয়ায় কিছুই হবেনা।
  • Subhanjan Chakraborti | 237812.68.4534.63 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:২৪79805
  • যারা ধর্ষকদের ফাঁসী না দিয়ে মানসিক কাউন্সেলিং এর কথা বলে তারা অপ্রত্যক্ষ ভাবে ধর্ষণকেই সমর্থন করে। ধর্ষক জীনগত কারণে সৃষ্ট হয়। কোটিপতি, শিক্ষিত থেকে শুরু করে রাস্তায় ঘুরে বেড়ান নাবালক - সমাজের সব স্তরেই ধর্ষক আছে তাই ধর্ষণ পরিবেশগত কারণে ঘটছে এটা বলা অযৌক্তিক। একটা ধর্ষককে বাঁচিয়ে রাখা মানে ভবিষ্যতে আরেকটা অপরাধ সংঘটিত হবার সম্ভাবনাকে বাঁচিয়ে রাখা।
    গ্যাং রেপ করে হত্যা - এরপরও যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয় অপরাধীকে তাহলে সাধারণ মানুষকে বনে গিয়ে পশুদের সাথে বাস করার কথা ভাবতে হবে কারণ পশুরা এই সব নরপশুদের চাইতে কম অপকারী।
    মানসিক কাউন্সেলিং করেই যদি অপরাধ বন্ধ করা যেত তাহলে আর থানা-পুলিশ, আইন-আদালতের প্রয়োজন হত না।
    মৃত্যু দন্ড উঠে গেলে আর হাজার হাজার মানুষ ধর্ষণ করবে। বহু মানুষ কঠোর শাস্তির ভয়ে ধর্ষণ করে না। তাছাড়া ধর্ষিতা ও মৃতার বাড়ির লোকের কথা ভাবা উচিত। সবার ইনসাফ চাওয়ার অধিকার আছে।
    অবশ্য শুধু আইন দিয়ে সব সময় মেয়েদের বাঁচানো যাবে না। স্কুল-কলেজে মেয়েদের বাধ্যতামূলক ভাবে মিলিটারি ট্রেনিং দেওয়া উচিত যাতে তারা আত্মরক্ষা করতে শেখে।
  • Subhanjan Chakraborti | 237812.68.4534.63 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:২৭79806
  • অপরাধীদের অবশ্যই ফাস্ট ট্র্যাকে ফাঁসী হওয়া উচিত প্রকাশ্যে। তবে একথা মনে রাখা প্রয়োজন শুধু অপরাধীদের শাস্তি দিলেই মেয়েরা নিরাপদ হবে না। মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য তৈরি হতে হবে। পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য কসমেটিক ব্যবহার বন্ধ করে মেয়েদেরকে শিখতে হবে মার্শাল আর্ট, সঙ্গে রাখা প্রয়োজন বিশেষ ধরণের গান বা বন্দুক যা দিয়ে আক্রমণকারীকে ঘায়েল করা বা অচেতন করে ফেলা সম্ভব। ড্রিল ও ট্রেনিং প্রয়োজন যা মেয়েদের আপদকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করবে।
  • Subhanjan Chakraborti | 237812.68.4534.63 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৩১79807
  • নারী - প্রাচ্য বনাম পাশ্চাত্য
    - শুভাঞ্জন চক্রবর্তী
    ( Copyrights reserved @ Subhanjan Chakraborti)

    কবি হুমায়ূন আহমেদ একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন পৃথিবীতে এমন একজন পুরুষ নেই যে মনে মনে কোনো নারীকে ধর্ষণ করেনি। নারীর প্রতি সমাজের এই দৃষ্টিভঙ্গিই ধর্ষণের মত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার অন্যতম কারণ। এই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে গেলে সমাজের প্রতিটি মানুষকে বিবেকানন্দের চিন্তাধারার সাথে পরিচিত হতে হবে। ভারতের নারীদের প্রতি বিবেকানন্দের আহ্বান আজকের সমাজেও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক :

    " পূর্ণ নারীত্বের আদর্শ পূর্ণ স্বাধীনতা।...... কোথা সেই রমণী বীর্যবতী? তোমরা আমারই মত শক্ত সমর্থ , তোমাদের সাহায্য করতে যাব কোন দুঃখে ? মহিলা বলে ? ওটা হল শিভ্যালরি। বোঝনা কেন ঐ সম্পর্কের মধ্যে নারী পুরুষের জৈবিক সম্পর্কের দিকটিই প্রচ্ছন্ন থাকে। "

    ভাবতে অবাক লাগে যে দেশে প্রায় দু'শ বছর আগে সতীদাহ আইন প্রণয়ন করে নিষিদ্ধ হয়েছিল সে দেশে ঊনবিংশ শতকে নারীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হয়।

    আমেরিকায় বহির্জগতে নারীদের মধ্যে যে তেজ ও শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ চোখে পড়ে আজও ভারতীয় নারীদের মধ্যে তা প্রায় অনুপস্থিত। ভারতীয় নারীদের মনে রাখতে হবে তারা প্রকৃতিগত ভাবে পুরুষদের চাইতে অধিকতর শক্তিশালী এবং সনাতন ভারতে তারাই সমাজকে পরিচালিত করত। ভারতীয় দর্শনে নারীকে শক্তি বলা হয়েছে, নারী বিহীন পুরুষ ক্রিয়াহীন শবে পরিণত হয়। আর্য যুগে বুদ্ধিমান পুরুষ নারীকে অন্তঃপুরে পাঠিয়ে প্রচার করেছিল যে লজ্জাই নারীর ভূষণ। পাশ্চাত্য সভ্যতায় নারীরা এই লজ্জার ভূষণটি পরিত্যাগ করে শিক্ষার আলোকে নিজেদের আলোকিত করতে পেরেছেন , তাই তাঁরা প্রকৃত অর্থে স্বাবলম্বীতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।
  • ?? | 237812.68.674512.43 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:১০79808
  • কবি হুমায়ুন আহমেদ কে? একটা তো বাংলাদেশের পানু লেখক আছে লুইস মাল। সুন্দর মেয়ে দেখলেই লোল ফেলে। সে৷ মাল তো পুরো রেপিস্ট। তাকেই কবি বলছে নাকি এ বাঁ শুভাঞ্জন?
  • Subhanjan Chakraborti | 237812.68.4534.183 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৩৩79809
  • নারী - প্রাচ্য বনাম পাশ্চাত্য
    - শুভাঞ্জন চক্রবর্তী
    ( Copyrights reserved @ Subhanjan Chakraborti)

    লেখক হুমায়ুন আহমেদ একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন পৃথিবীতে এমন একজন পুরুষ নেই যে মনে মনে কোনো নারীকে ধর্ষণ করেনি। নারীর প্রতি সমাজের এই দৃষ্টিভঙ্গিই ধর্ষণের মত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার অন্যতম কারণ। এই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে গেলে সমাজের প্রতিটি মানুষকে বিবেকানন্দের চিন্তাধারার সাথে পরিচিত হতে হবে। ভারতের নারীদের প্রতি বিবেকানন্দের আহ্বান আজকের সমাজেও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক :

    " পূর্ণ নারীত্বের আদর্শ পূর্ণ স্বাধীনতা।...... কোথা সেই রমণী বীর্যবতী? তোমরা আমারই মত শক্ত সমর্থ , তোমাদের সাহায্য করতে যাব কোন দুঃখে ? মহিলা বলে ? ওটা হল শিভ্যালরি। বোঝনা কেন ঐ সম্পর্কের মধ্যে নারী পুরুষের জৈবিক সম্পর্কের দিকটিই প্রচ্ছন্ন থাকে। "

    ভাবতে অবাক লাগে যে দেশে প্রায় দু'শ বছর আগে সতীদাহ আইন প্রণয়ন করে নিষিদ্ধ হয়েছিল সে দেশে একবিংশতি শতকে নারীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হয়।

    আমেরিকায় বহির্জগতে নারীদের মধ্যে যে তেজ ও শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ চোখে পড়ে আজও ভারতীয় নারীদের মধ্যে তা প্রায় অনুপস্থিত। ভারতীয় নারীদের মনে রাখতে হবে তারা প্রকৃতিগত ভাবে পুরুষদের চাইতে অধিকতর শক্তিশালী এবং সনাতন ভারতে তারাই সমাজকে পরিচালিত করত। ভারতীয় দর্শনে নারীকে শক্তি বলা হয়েছে, নারী বিহীন পুরুষ ক্রিয়াহীন শবে পরিণত হয়। আর্য যুগে বুদ্ধিমান পুরুষ নারীকে অন্তঃপুরে পাঠিয়ে প্রচার করেছিল যে লজ্জাই নারীর ভূষণ। পাশ্চাত্য সভ্যতায় নারীরা এই লজ্জার ভূষণটি পরিত্যাগ করে শিক্ষার আলোকে নিজেদের আলোকিত করতে পেরেছেন , তাই তাঁরা প্রকৃত অর্থে স্বাবলম্বীতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।
  • কুশান | 237812.68.454512.228 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৭79810
  • প্রতিভাদির আর পাঁচটা লেখার চেয়ে এই লেখা বিশেষভাবে আলাদা। লক্ষ্যণীয় এই যে ধর্ষণের বিরোধী আলোচনায় যে কোনো লেখক স্বাভাবিক কারণেই আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। বিষয়টি যেহেতু নির্দয়তা নৃশংসতা হিংসা লোভ শক্তি সমস্ত কিছুর যোগফল হয়ে ওঠে, কোনো বিকল্প সমাধানের রাস্তা বেরুতে পারছে না। ওই কঠোরতম শাস্তি চাই, মৃত্যুদন্ড।

    সমস্যা হলো তবুও ধর্ষণ হচ্ছিল, হচ্ছে, হতেও হয়ত থাকবে। কে কোথায় সুযোগ খুঁজছে, ভগবান জানে। কে ভিকটিম হবে সেও জানে না। জানা যাবে শুধু ধর্ষণকারী পুরুষ এবং ধর্ষিতা নারী। ধর্ষণ গ্রাম শহর বিভাজন মানে না, শ্রেণী বিভাজন মনে না, বাম ডান মানে না, ভূগোল, ইতিহাস মানে না। মানে না নিভৃত ফ্ল্যাট কিংবা পাঁচিলে ঢাকা মাঠ। একমাত্র থাকবে মেয়েটির মৃত্যু সম্ভাব্যতা।

    একজন একটা পয়েন্ট বললেন লালসা। যৌন লালসা। একদম সঠিক কথা। যৌন লালসার সঙ্গে যোগ হবে সুযোগ বা জাস্টিফিকেশন।

    এসব না হয় গেল। কিন্তু এর মোকাবিলার রাস্তা কী?
    প্রতিভাদি অন্তত একটা চেষ্টা করলেন।

    একথা অনস্বীকার্য যে সুষ্ঠু শিক্ষা, সুস্থ সমাজ ও খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠা জরুরী। বুক ঠুকে বলতে হবে আমি যদি পুরুষ হই আমার মধ্যে লুকিয়ে আছে পুরুষ। ধর্ষণ একটা পুরুষবাদী লিবিডোতাড়িত সম্পূর্ন ভালোবাসাহীন ক্রিয়া। বলতে হবে এটা অমানবিক।
    লিবিডোর জয়ধ্বজায় শুধু তালি বাজালে হবে না। শিল্পকর্মেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে।
    যদি কোনো বিশ্ববিশ্রুত শিল্পী শিল্পের খাতিরে কোনো নারীর নগ্ন উরুতে ছ্যাঁকা দেন, তার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাতে হবে, সে তিনি যত মহান হোন। যা খুশি করার লিবিডোতাড়িত একচেটিয়া কায়েমী অধিকারকে প্রতিহত করতে হবে। ধর্ষণের সুর মাখানো নোংরা জোকস পাঠালে তাকে ক্ষমা চাওয়াতে হবে।

    খোলনলচে পাল্টে ভাবা দরকার।
    দময়ন্তীদি ফেসবুকে একটা চমৎকার পোস্ট দিয়েছেন। গোপাল অতি সুবোধ বালকের বদলে এ যুগের অবশ্য পাঠ্য নীতিশিক্ষা মূলক বই দরকার পড়লে শঙ্খবাবু বা তেমন কোনো ব্যক্তিত্ব দিয়ে লেখাতে হবে। যেসব বইতে এসব প্রসঙ্গ শিশুদের মত করে পরিবেশন করতে হবে। বলতে হবে, মাসি আইস, কানে কানে কথা কহিব। সমস্ত বোর্ডে দরকার পড়লে জনমত তৈরি করে এর বিরুদ্ধে শৈশব থেকে বিবমিষা তৈরি করতে হবে, বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে।
    পরিসংখ্যান নিতে হবে। কোন দেশে ধর্ষণের হার কত। সেখানকার ডেটা কে কোরিলেট করতে হবে সেখানকার শিক্ষা, আর্থসামাজিক কাঠামো, পারিবারিক কাঠামো।

    না আর লিখব না। মনে পড়ে গেল। এদেশে ধর্ষকদের সপক্ষে মিছিল বেরোয়। সেই মিছিলে পুরুষদের সঙ্গে মহিলাও দেখেছি।
  • কুশান | 237812.68.454512.228 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৯79811
  • *আমার মধ্যে লুকিয়ে আছে ধর্ষক। টাইপোজ।
  • স্বাতী রায় | 237812.68.454512.210 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৯79812
  • শুভঞ্জন বাবুর লেখাটা পড়ে বেশ লাগল। সব পুরুষই যখন মনে মনে একবার হলেও কাউকে ধর্ষণ করেছে, তাহলে সবারই মৃত্যুদন্ড হোক তাহলে। আর পৃথিবী পুরুষশূণ্য হলে ল্যাঠাও চুকে যাবে। আর ধর্ষণ হবে না। এত সহজ একটা সল্যুশন আগে যে আগে চোখে কেন পড়ে নি!
  • স্বাতী রায় | 237812.68.454512.210 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৯79813
  • শুভঞ্জন বাবুর লেখাটা পড়ে বেশ লাগল। সব পুরুষই যখন মনে মনে একবার হলেও কাউকে ধর্ষণ করেছে, তাহলে সবারই মৃত্যুদন্ড হোক তাহলে। আর পৃথিবী পুরুষশূণ্য হলে ল্যাঠাও চুকে যাবে। আর ধর্ষণ হবে না। এত সহজ একটা সল্যুশন আগে যে আগে চোখে কেন পড়ে নি!
  • PM | 236712.158.780123.135 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫৪79832
  • আগের পোস্ট ইগনোর করুন প্লিজ। ওটা ভাটিয়ালির পোস্ট
  • Amit | 236712.158.23.209 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩৩79818
  • ইন্ডিয়াতে ফাঁসি দেওয়ার আইন আছে, কিন্তু অ্যাকচুয়াল ফাঁসি কটা হয়েছে এখনো অবধি ধর্ষণ বা খুনের জন্যে ? এক ধনঞ্জয় ছাড়া কারোর ফাঁসি হেডলাইনে হয়েছে বলে তো মনে পড়ছে না। দিল্লী তে যে জানোয়ার গুলো ক্রাইম করেছিল, তারা দিব্যি এখনো জেলের ভাত খাচ্ছে বসে বসে, আর একটা তথাকথিত নাবালক বিন্দাস ছাড়া পেয়ে কোথায় কি করে বেড়াচ্ছে কেও জানে না। এদের তো বাইরে কাজ করতে হতো ভাত জোটানোর জন্যে, বরং জেলে গিয়ে নিশ্চিত পেটের খাবার জুটে যাচ্ছে।

    যখন কনভিকশন রেট এতো কম, আর কনভিক্টেড হলেও শাস্তি পেতে ২০-৩০ বছর কেটে যায়, সে দেশে ফাঁসি জাস্ট আইনে আছে বলে সেটাকে ডিটারেন্ট বলা যায় কি ? প্রপারলি apply না হলে কিসের ডেটরেন্ট ? এই যে হায়দেরাবাদের জানবার গুলোকে ধরা হলো, এরা কি কোনো মেয়েদের শাস্তির উদ্দেশ্য নিয়ে এসব করেছিল ? লালসা ছাড়া আর কি কাজ করে এসব ক্রাইম এ ?

    আমনেস্টির স্ট্যাটিসটিক্স এ কি সেই সব দেশের সেক্স রেশিও, সোশ্যাল সিকিউরিটি, পুলিশ- পপুলেশন রেশিও, সোশ্যাল ইকুয়ালিটি রেশিও, ওয়ার্কফোর্সে এ ছেলে মেয়ের রেশিও - এসব দেওয়া আছে ? এই সব এর সাথে কোরিলেশন স্পেসিফাই করা হয়েছে ? এসব না দেখে জাস্ট একটা স্পেসিফিক প্যারামিটার তুলে দিব্যি ক্লেম করা হচ্ছে যে যেসব দেশে ফাঁসি কম , সেসব দেশে ক্রাইম কম ? বাহ্,। তাহলে সৌদি তে চুরি করলে হাত কেটে নেয়, ওখানে তো চুরির সংখ্যা খুবই কম, সেটাকেও বেঞ্চ মার্ক নেওয়া হোক না ?

    ইন্ডিয়াতে যেখানে দেশের আইন বলতে কিস্যু নেই, সাধারণ লোক সিগন্যাল ভাঙে, হেলমেট পরে না- জাস্ট এই ভেবে যে ধরা পড়বে না, পড়লেও ঘুষ দিয়ে বেরিয়ে যাবে, সেখানে একা রাস্তায় একটা মেয়ে কে পেয়ে কয়েকটা মাতাল জানোয়ার তো জাস্ট ফ্রি খাবার ভেবে নেয়। এদের ধারণাই নেই যে ধরা পড়বে, আর পড়লেই বা কি ? বহু বছর তো আরামে জেলের ভাত খেয়েই কেটে যাবে , কাজ করে খেতে হবে না। এদেরকে কি আশা করছেন সমাজ শিক্ষা দিয়ে শোধরাবেন ? ফাঁসি তুলে দিলে বরং লাভ হবে ? শুভেচ্ছ রইলো। আরো কত হাজার মেয়ে জ্যান্ত কবরে গেলে সেই শুভদিন আসবে দেখার জন্যে।

    আমার নিজের মত : এই জানোয়ার গুলো ফাঁসি গেলে বা খুব জলদি এনকাউন্টার এ মারা গেলে আমার অন্তত কোনো দুঃখ হবে না, এটা বলতে আমার কোনো লজ্জা নেই। নিজে র হাতে হয়তো এগুলোকে মারতে পারবো না, কিন্তু সেটা ঘটলে খুশি ই হবো। ওয়ান রেপিস্ট কিলড ইস ওয়ান রেপিস্ট লেস।

    আর এগুলোকে ফাঁসি চড়ালে ইন্ডিয়াতে আর রেপ হবে না, এসব স্বর্গীয় অনুভূতিও আমার নেই। এক ওষুধে জীবাণু না মরলে আরো ঔষধ খেতে হয়। যতবার এসব হবে, ততবার এই জানোয়ার গুলোর ফাঁসি হোক। রেপ কমছে কি বাড়ছে, ৫০ বছর পরে হিসেবে করা যাবে। তখন একটি বলার মতো স্ট্যাটিসটিক্স পাওয়া যাবে। ততদিন আগাছা সাফ করা হোক আগে।
  • aranya | 236712.158.3467.51 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৩79819
  • বাসে, ট্রেনে মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া একটা ব্যাধি-র মত, ভারতীয় উপমহাদেশে। ধর্ষণ হবে এ আর বিচিত্র কি। ছেলেদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার, খুব কম বয়স থেকে বাড়িতে, স্কুলে যদি শেখানো হয় - মেয়েদের সম্মান করা - যেটা প্রতিভা-ও লিখেছেন, লং টার্মে তাতে যদি কিছু কাজ হয়
  • Amit | 236712.158.23.215 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২০79820
  • সেটা অবশ্যই দরকার। ছোটবেলা থেকেই একুয়াল সোসাইটির শিক্ষা অবশ্যই দেওয়া দরকার, ছেলে মেয়ের দের ইকুয়ালিটি, জাট পাটের ইকুয়ালিটি, সব কিছুই। কিন্তু ইন্ডিয়াতে ওসব বাস্তবে ঘটা মানে আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখা। কিন্তু ওসবের সাথে সাথে কড়া শাস্তির আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস।

    এখানে আমি ধর্ষণ বলতে গণধর্ষণ র বা খুনের মতো জঘন্য অপরাধ কেই ধরছি। ডোমেস্টিক সেট আপের মধ্যেও প্রচুর ঘটনা ঘটে থাকে যেগুলো প্রমান করা শক্ত, বহু ক্ষেত্রে পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে বা প্রবল চাপে মেয়েরা পিছিয়ে যায়। অনেক ধর্ষণের মামলা ইন্ডিয়াতে রুজু হয় যেখানে বিয়ের কথা দিয়ে ও খেলাপ করা হয়েছে বলে মামলা করা হয়, সেগুলো অর্থহীন। একটা অ্যাডাল্ট ছেলে মেয়ে নিজেরদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়লে সেটা তাদের নিজের চয়েস , এতে ধর্ষণ এর অ্যাঙ্গেল টাই আসে না। সেসব নয়। মানুষ খেতে না পেয়ে খাবার ছিনিয়ে নিয়ে খেতে পারে, সেটা ও অপরাধ নয়, সেটা জাস্ট বেসিক সারভাইভাল। কিন্তু ইন্ডিয়াতে একটা ফল বা গরু চুরি করলে পিটিয়ে মারা হয়, এদিকে ধর্ষক দের বসিয়ে বসিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানো হয় আইনের নাম করে।

    নির্জনতার সুযোগ নিয়ে কয়েকটা জানোয়ার যখন ধর্ষণ বা খুনের মতো একটা জঘন্য অপরাধ করে থাকে, সেগুলোকে ক্ষমা করার কোনো মানে নেই। আর যারা একটা মানুষের সুস্থ ভাবে অন্যের ক্ষতি না করে বেঁচে থাকার অধিকার কে নিজেরা শেষ করে দেয়, তাদের আবার নিজের জীবনের অধিকার কিসের ? তাদেরকে মানুষ বলেই গণ্য করা উচিত নয়।
  • aranya | 237812.68.9008912.234 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৫79833
  • পিএম, একটা কথা মেয়েদের অবশ্যই বল, কোথাও যদি একটুও আনসেফ লাগে, পুলিশের যে হেল্প লাইন নম্বর গুলো আছে, সেগুলোয় কল করতে।
    হায়দ্রাবাদের মেয়েটি ভয় লাগছে বলে নিজের বোন-কে কল করেছিল, কিন্তু পুলিশ-কে করে নি। সেটা স্বাভাবিক, পুলিশ-কে কল করতে হবে, এটা ভাবা মুশকিল। তবে আমরা তো অস্বাভাবিক সময়ে বাস করছি।
    কল করলেও পুলিশ আসার সম্ভাবনা কম। তবে এখন কিছুদিন হয়ত পুলিশের কাছ থেকে দ্রুত রেসপন্স পাওয়া যাবে
  • aranya | 236712.158.2367.16 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৮79822
  • এই India's daughter ডকুটা আমার দেখতে কষ্ট হয়, চোখ ঝাপসা হয়ে আসে
  • দীপাঞ্জন | 237812.69.2323.25 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০৪79823
  • আমারও। সেইজন্যই মনে হয় বারবার দেখা দরকার, বিশেষত মুকেশের ইন্টারভিউটা। এতো লেখালেখির মধ্যে একমাত্র এই ডকুমেন্টারিটা দেখেই মনে হয়েছিল দেওয়ালটা ভাঙা গেছে একটু।
  • aranya | 890112.162.9001223.179 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২১79824
  • আমি শুধু জ্যোতি-র মা, বাবা-কে দেখি, তাদের কথা শুনি। নিজের কথা, নিজের মেয়ের কথা ভাবি। পুরো ক্লিপ-টা দেখিনি কখনো।
    দেখব এবার, বলছেন যখন
  • aranya | 890112.162.9001223.179 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৪79825
  • প্রত্যেকের দেহ তার নিজের, আর কারুর নয় - এটা এত বেসিক, এত বেসিক, তাও কি কঠিন এটাকে মাথায় ঢোকানো! কেন যে এত কঠিন ..
  • Kaktarua | 890112.162.124523.251 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৪79826
  • অমিত এর লেখাটা লজিকাল লাগলো। একদম সত্যি যে দেশে মৃত্যুদণ্ড নেই সেই সব দেশের সাথে ভারতের পরিস্থিতির কোনো তুলনাই চলে না। কেন বারবার এই লজিক দেখানো হয় আমার বোধের বাইরে।
  • দীপাঞ্জন | 237812.68.234512.148 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:০৪79827
  • "প্রত্যেকের দেহ তার নিজের, আর কারুর নয় - এটা এত বেসিক, এত বেসিক, তাও কি কঠিন এটাকে মাথায় ঢোকানো! কেন যে এত কঠিন .."

    ১) আত্মা মুখ্য, দেহ গৌণ। ২) দেহশ্রমে পরিবার আর সমাজের অধিকার ব্যক্তির আগে ৩) নারীদেহ থেকে যে সন্তানের জন্ম, তার পিতৃত্ব নির্ধারণ তখনই সম্ভব যখন সে দেহ কোন পুরুষের দেহের সাথে মিলিত হচ্ছে তা পরিবার ও সমাজ নিয়ন্ত্রণ করছে। সেই নিয়ন্ত্রণ শিথিল হলে জমি ও অন্যান্য সম্পদ পেট্রিলিনিয়াল থাকবে, তার নিশ্চয়তা কোথায়?

    বেসিক না, সি++ ।
  • PM | 236712.158.780123.137 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:২৪79828
  • পরিস্থিতি খুব ই আতন্ক জনক। মেয়ের বাবা হিসেবে তীব্র ভাবে আতন্কিত।

    উপায় আমার জানা নেই। যারা এখনো দেন না, তারা যদি নিজের বাড়িতে ছেলেদের শিক্ষা আজ থেকে দেওয়া শুরু করেন (তর্কের খাতিরে) তাহলেও অন্তত ২-৩ টে জেনেরেসন লাগবে মানুষের চিন্তা পাল্টাতে।

    কি যে হবে
  • এলেবেলে | 236712.158.895612.8 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:০৭79829
  • লেখাটায় দেখলাম 'চিত্তশুদ্ধির প্রচেষ্ট জারি থাকুক'। এর কী অর্থ? চিত্তশুদ্ধি কীভাবে হবে? কে নেবে তার দায়িত্ব? 'জারি থাকুক' অর্থে এটা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বেশ। তো কারা চালাচ্ছেন সেই 'পুণ্য' কম্মোটি? এই জারি থাকায় প্রক্রিয়ায় অপরাধের হার কমেছে কি না তার কোনও ক্ষেত্রসমীক্ষা হয়েছে? যে দেশে শিক্ষার হার লজ্জাজনক, যে দেশে যৌনতার কথা উচ্চারণ করা অবধি পাপ, সে দেশে 'চিত্তশুদ্ধির প্রচেষ্টা' আর 'সমস্বরে চিৎকার' --- এই দুটো হাতিয়ার নিয়ে 'প্রত্যেকটি' ধর্ষণকে অ্যাড্রেস করা হবে? তাহলে প্রতিদিন যে অসংখ্য ধর্ষণ ঘটছে এই পোড়া দেশে, সেখানে চিৎকার করার পরে অন্নজল খাওয়ার সময়টুকু পাওয়া যাবে তো? কে জানে।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন