এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা

  • মেডিক্যাল কাউন্সিল

    admin লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩১ জুলাই ২০১৮ | ৩৫৯ বার পঠিত
  • মেডিক্যাল কাউন্সিল, প্রত্যেকটা রাজ্যে একটা করে মেডিক্যাল কাউন্সিল আছে আর একটা মেডিক্যাল কাউন্সিল আছে ন্যাশানাল লেভেলে। ন্যাশানাল লেভেলে যে মেদিক্যাল কাউন্সিল সেটাকে বলা হয় মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া আর প্রত্যেকটা রাজ্যে একটা করে স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিল থাকে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলের নাম হচ্ছে West Bengal Medical Council. মেডিক্যাল কাউন্সিলের যে কাজ, স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলের যে কাজ সেটা প্রধানত হচ্ছ যে MBBS বা আধুনিক চিকিৎসার যে অন্যান্য ডিগ্রী বা ডিপ্লোমাধারী যে ডাক্তাররা আছেন তাদের একটি রেজিস্টার মেন্টেন করা আর এছাড়া ডাক্তাররা নিয়মনীতি মেনে কাজ করছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলের ওপর। স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলের একটি নির্বাচন হয়। যদিও এই নির্বাচন আমরা, নির্বাচনে এইবারে, ২০১৮-র নির্বাচনকে ধীরে যেরকম উদ্দীপনা এবং উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে এর আগে আমরা সে ধরনের উত্তেজনা বা উদ্দীপনা দেখিনি। ডাক্তারদের কাছে ব্যালোট আসত বা আসত না, আমরা সেটাকে খেয়ালও করতাম না। অবস্থটা এই বছর, মানে আগে যেটা হত যে, এটাতে সীট-এর সংখ্যা হচ্ছে ১৬টা। ১৬টার মধ্যে ৭টা সীট হচ্ছে টিচারদের জন্য, টীচার মানে সরকারী বা বেসরকারি যেসব মেডিক্যাল কলেজ গুলো আছে সেই মেডিক্যাল কলেজ গুলোর অ্যাসিস্টেন্ট প্রোফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রোফেসর এবং প্রোফেসর, এই তিনটে র‍্যাঙ্কের যে টীচাররা আছেন, সেই টীচাররা নিজেদের মধ্যে থেকে ৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন। এই হল ৭টা সীটের হিসেব আর সমস্ত ডাক্তার, MBBS বা ততোধিক ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা সম্পন্ন যে ডাক্তাররা, যাদের মধ্যে শিক্ষক-অশিক্ষক সব ডাক্তাররাই আছেন তারা নিজেদের মধ্যে থেকে আরও ৭ জনকে নির্বাচিত করবেন। সাত, সাত চোদ্দ, আরো দুটো সীট রাখা আছে Licentiate Medical Practitioner দের ওপর। আমরা জানি যে MBBS-এর আগে, মানে কোলকাতায় যে মেডিক্যাল কলেজ একটা ছিল আর বাকি গুলো ছিল মেডিক্যাল স্কুল, সেই মেডিক্যাল স্কুল থেকে যারা পাস করে বেরতেন তারা ডিপ্লোমা ডাক্তার ছিলেন, তাদের ডিপ্লমার নাম ছিল LMS। তো এই যারা Licentiate Medical Practitioner, এই Licentiate Medical Practitioner-দের জন্য দুটো সীট রাখা আছে। যদিও যেহেতু Licentiate Medical Practitioner-দের সংখ্যাটা খুব কমে গেছে, এই দুটো সীট খালিই থাকে। এতদিন অব্দি যেটা হয়েছে, সেটা হয়েছে যে, শাসক দল, যখন রাজ্যে যে শাসক দল থেকেছে,তারা কায়দা করে মেডিক্যাল কাউন্সসিলটাকে দখল করে নিয়েছে। মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনের নিয়ম হল, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে ভোটাররা আছেন, নির্বাচক যারা আছেন তাদের নামে একটা ব্যালোট পেপার, এটাকে বলা হয় Clause-G। Clause-G-এর যে ব্যালোট পেপার সেই ব্যালোট পেপার পৌঁছাবে প্রিন্সিপালের কাছে, প্রিন্সিপ্যাল, শিক্ষক যারা আছেন সেই শিক্ষকদের মধ্যে, এই ব্যালোট পেপার গুলো ডিস্ট্রিবিয়ুট করবেন। এবার টীচাররা এটাকে ভোট দিয়ে আবার মেডিক্যাল কাউন্সিলে ফেরত পাঠাবেন। এটা হচ্ছে টীচারদের জন্য, আর সমস্ত ডাক্তারদের জন্য যে ব্যালোট পেপার সেই ব্যালোট পেপারটা আসার কথা হচ্ছে তাদের বাড়িতে। তাদের যে রেজিস্ট্রেশান সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশান সার্টিফিকেটে যে অ্যাড্রেস দেওয়া আছে সেই অ্যাড্রেসে ব্যালোট পেপার পৌঁছানোর কথা। যেটা থাকে সেটা হল আগেরবার ২০১৩-তে যে নির্বাচন হয়েছে সেই ১৩’র নির্বাচনে আমরা দেখেছিলাম যে মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে একটা খাম এসছিল যে খামের মধ্যে ব্যালোট পেপার ছিল, আরেকটা খাম ছিল যার মধ্যে মেডিক্যাল কাউন্সিলের ঠিকানা লেখা যার মধ্যে স্ট্যাম্প লাগাতে হয় না। ভোট দিয়ে, ভোটার তিনি ওই খামের মধ্যে ব্যালোট পেপারটাকে রাখবেন, খামটাকে সীল করবেন, সীল করে পোষ্ট করে দেবেন অথবা তিনি যদি চান তাহলে মেডিক্যাল কাউন্সিলে গিয়ে G এবং H, দুটো বাক্স রাখা আছে, সেই রেস্পেক্টিভ বাক্সের মধ্যে ব্যালোট পেপারটাকে ফেলবেন। এটা ছিল নিয়ম। এবারে যেটা হয়, যে ২০১৭ পশ্চিমবঙ্গ Clinical Establishment Act, মমতা ব্যানার্জি তৈরি করার পরে, সেই আইনের পরে যখন আসলে বেসরকারি হাসপাতাল বা কর্পোরেট হাসপাতালকে নিয়ন্ত্রন করার বদলে যখন ডাক্তারদের ওপর আক্রমন বাড়তে থাকে তখন কতগুলো নতুন সংগঠন গড়ে ওঠে, যার মধ্যে সবচেয়ে প্রথমে যেটার নাম করতে হয় সেটা হচ্ছে West Bengal Doctor’s Forum বা WBDF। WBDF ছাড়া আরও ৬ টি সংগঠন, মানে মোট ৭টা সংগঠন একসঙ্গে মিলে আন্দলন করতে থাকে। West Bengal Doctor’s Forum, পুরনো সংগঠনের মধ্যে Association of Health Service Doctors (HSD), অপেক্ষাকৃত নতুন সংগঠন DOPA, ডোপা’র নামে হচ্ছে Doctors for Patients, ফোর্থ হচ্ছে Doctors for Democracy, ফিফথ হচ্ছে আমার সংগঠন, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং দুটি SUCI-এর ঘেঁষা সংগঠন, একটি Service Doctors Forum বা SDF এবং অন্যটি Medical Service Centre। এই সাতটা সংগঠন মিলে আমারা Clinical Establishment Act-এর বিরুদ্ধে এবং ডাক্তারদের ওপর ক্রমবর্ধমান যে হিংসে সেই হিংসের বিরুদ্ধে আন্দলোন করতে থাকি। তো নির্বাচন যখন এগিয়ে আসতে থাকে তখনই আলাপ আলচনা চলতে থাকে যে শাসক দলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহন করা উচিৎ। তো আমারা যখন প্রস্তুতি নিতে থাকি, এই প্রস্তুতি পর্বে Medical Service Centre এবং Service Doctors Forum যারা SUCI-এর ঘেঁষা দুটি সংগঠন, এই দুটি সংগঠন আমাদের সঙ্গে তাদের, বোঝাপড়া করতে পারিনি আমরা। আমরা চেয়েছিলাম যে সার্বিক বিরোধি ঐক্য এবং এমন ক্যান্ডিডেটদের মেডিক্যাল কাউন্সিলে নিয়ে যেতে যারা নিরপেক্ষ হবেন যাদের টিকি কোন শাসক দলের কাছে বাঁধা থাকবে না এবং যারা ডাক্তারদের ওপর যদি কোন শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেন সেটা পুরোপুরি বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নেবেন, কোন ব্যাক্তিগত বা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়। তো আমরা যখন আসন সমঝতার জন্য আলাপ আলোচনা করতে থাকি তখন Service Doctors Forum এবং Medical Service Centre এরা দুটি clause-এ Clause-G এবং Clause-H, দুটি clause-এ দুটি দুটি করে আসন দাবি করেন এবং সমঝতাটা ফেল করে। এর মধ্যে DOPA, Doctors for Patients এরা ঠিক করে যে এরা এই নির্বাচনে অংশ নেবে না তাহলে পড়ে রইল চারটি সংগঠন West Bengal Doctor’s Forum, Association of Health Service Doctors, Doctors for Democracy, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ। এর সঙ্গে পাঁচ নম্বর সংগঠন Health Service Association, Health Service Association সার্ভিস ডাক্তারদের সর্বপ্রাচীন সংগঠন। আগে হেলথ সার্ভিস ডাক্তারদের একটাই মাত্র সংগঠন ছিল Health Service Association। এই Health Service Association, এই পাঁচটা সংগঠন মিলে আমরা একসঙ্গে নির্বাচন লড়ব বলে ঠিক করি। এই নির্বাচন আমরা একসঙ্গে লড়ব এক খবরে শাসক দলের মধ্যে থরহরি কম্প দেখা যায়। আগেকার যে মেডিক্যাল কাউন্সিল, আগেকার মেডিক্যাল কাউন্সিলে ছিলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডাক্তার নির্মল মাঝি, সদস্য হিসেবে ছিলেন তৃনমূলের অন্যান্য ডাক্তার নেতারা এবং ডাক্তার শান্তনু সেন যিনি আবার তৃনমূলের রাজ্য সভার MP। মমতা ব্যানার্জি এই মেডিক্যাল কাউন্সিল ইলেকশানটাকে নিজের লড়াই হিসেবে নেন বলে আমরা শুনেছি। তিনি তার এমএলএ দের কে নির্দেশ দেন তারা যেন নিজ নিজ এলাকার ডাক্তারদের blank ballot কালেকশান করেন। শান্তনু সেনের কিছুদিন আগে মানে মাসখানেক আগে শান্তনু সেনের নামে একটা বাল্ক এসএমএস বিভিন্ন ডাক্তারদের কাছে আসতে থাকে যে প্রত্যেককে কোটা নির্ধারন করে দেওয়া হয় যে কত সংখ্যক তাদেরকে ব্ল্যাংক ব্যালোট যোগাড় করতে হবে এবং এই ব্ল্যাংক ব্যালোট গুলো শান্তনু সেনের কাছে পাঠানোর নির্দেশ ছিল, এই এসএমএস-টি তে। যদিও শান্তনু সেন এটিকে অস্বীকার করেন এটা নাকি তার পাঠানো নয়, তার নির্দেশে পাঠানো নয়, এটা কোনো চক্রান্তের অংশ। মেডিক্যাল কাউন্সিলে পাঁচটা যে দল, আমাদের যে পাঁচটি সংগঠন, এই পাঁচটি সংগঠনের পক্ষে আমরা যে ক্যান্ডিডেট দি সেটা শিক্ষক ক্যাটাগরির যে সাত জন ক্যান্ডিডেট তাদের মধ্যে আমরা আছেন হচ্ছে, ডাক্তার অমিতাভ চক্রবর্তি, ডাক্তার অনুপ রায়, ডাক্তার বিশান বসু, ডাক্তার বৈজয়ন্তী বাউর, ডাক্তার বাঁশরী গোস্বামী, ডাক্তার গৌতম দাস এবং অশিক্ষক যে ক্যান্ডিডেট তাদের মধ্যে আমরা আছি হচ্ছে, ডাক্তার ইন্দ্রজিত রায়, ডাক্তার রেজাউল করিম, আমি ডাক্তার পুন্যব্রত গুন, ডাক্তার হিরালাল কোনার, ডাক্তার হিরন্ময় ঘোষাল, ডাক্তার আর ডি দুবে। মোট সাতজন সাতজন করে আমরা ক্যান্ডিডেট দি। তৃনমূল মোট, ১৬ ক্যান্ডিডেটের নমিনেশান ফাইল করে। এইটা শোনা যায় যে তৃনমূলের ডাক্তার সঙ্গঠনের মধ্যে যে দুটি লবি আছে, একটি ডাক্তার নির্মল মাঝির লবি এবং অন্যটা ডাক্তার শান্তনু সেনের লবি, এই দুটো লবি থেকেই নমিনেশান ফাইল করা হয়েছিল। Withdrawal-এর দিন সাধারণত যেটা হয় যে নমিনেশান উইথড্রলের যে সময় সেই সময়ের এক ঘণ্টার মধ্যেই কারা কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থেকে গেলেন তাদের নাম মেডিক্যাল কাউন্সিলে প্রকাশ করে দেওয়ার কথা। আমরা আশ্চর্যজনক ভাবে দেখি যে সেই সময় ক্যান্ডিডেটদের লিস্ট পাব্লিশ হয় না। তখন আমাদের পক্ষ থেকে তার পরের দিন মেডিক্যাল কাউন্সিলে যে রেজিস্টার জিনিস আবার WBMC ইলেকশানের রিটার্নিং অফিসারও, তাকে ফোন করা হয় তখন তিনি তড়িঘড়ি করে পরের দিন, নমিনেশান উইথড্রলের পরের দিন বিকেল বেলা অফিস আওারস-এর পরে তিনি ক্যান্ডিডেটদের লিস্ট বার করেন। সেখানে আমরা দেখি যে তৃনমূলের মোট ১০ জন প্রতিদ্বন্দিতায় আছেন। কিছুদিন পরে দেখা যায় এই ১০ জনের মধ্যে ৭ জনকে তৃনমূল তার ক্যান্ডিডেট হিসেবে ঘোষণা করেছে, ৩ জন প্রতিদ্বন্দিতায় আছেন যারা কিন্তু তৃনমূলের টিকিট পাননি সেই অর্থে বলতে গেলে, ডাক্তার চন্দন ব্যানার্জি, ডাক্তার কৌশিক বিশ্বাস এবং West Bengal Health University’র পূর্বতন যিনি উপাচার্য ছিলেন ডাক্তার ভবতোষ বিশ্বাস। আমাদের প্রচার যেমন যেমন চলতে থাকে, তেমন তেমন শাসক দলের পক্ষ থেকে নতুন নতুন কায়দা কানুন আমরা দেখতে থাকি। প্রথম আমরা যেটা দেখি, যে Clause-G যেখানে কেবলমাত্র Assistant Professor, Associate Professor এবং Professor দের থাকার কথা সেখানে সেই লিস্টে, সাড়ে আঠাশ মত ভোটারের লিস্ট, তাদের মধ্যে তিনশ’র ওপর ডাক্তারের নাম এমন আছে যারা কিন্তু এই তিনটে ক্যাটাগরিতে পড়েন না। তারা Demonstrator, RMO Clinical Tutor, Essential Medical Officer, Post Graduate Trainee, এমনকি House Staff অব্দি আরকম তিনশ’র ওপর নাম ঢোকানো হয়েছে ভোটার হিসেবে। তো আমরা এটা নিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে কমপ্লেন করি। রেজিস্ট্রারের কাহে প্রতিবাদ জানাই, রেজিস্ট্রার বলেন যে এটা নিয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে কিন্তু জুলাই মাসের ২০ তারিখ থেকে যখন মেডিক্যাল কলেজ গুলোতে ভোটারের ব্যালোট পেপার পৌঁছানো আরম্ভ হয় তখন আমরা দেখি যে এদের নামেও কিন্তু ব্যালোট পেপার পাঠানো হয়েছে। প্রথমে শান্তনু সেনের যে এসএমএস, সেই এসএমএস-টাকে যদি আমরা বলি যে না উনি ওটা পাঠাননি তাহলেউ যেটা হচ্ছে যে তৃনমূলের কিছু মার্কা মারা ডাক্তার তারা মেডিক্যাল কলেজ গুলোতে ভয় দেখিয়ে খালি ব্যালোট যোগাড় করার চেষ্টা করছেন। আমাদের পক্ষ থেকে, আমাদের পাঁচটা সগঠনের পক্ষ থেকে আমরা প্রত্যেকটা কলেজের প্রিন্সিপ্যালকে ডেপুটেশান দিয়ে রেখেছিলাম যে ব্ল্যাংক ব্যালোট যাতে কারুর হাতে তুলে না দেওয়া হয়, প্রত্যেক ইন্ডিভিড্যুয়ালকে যেন তার নিজের নিজের ব্যালোট সই করিয়ে দেওয়া হয়। তো কলেজ গুলোর প্রিন্সিপ্যালরা সেটা করছেন না। এই টিচারের হাতে ব্যালোট আসার পরে কিছু অতি উৎসাহী তৃনমূলের ডাক্তার তারা খালি ব্যালোট সংগ্রহ করার কাজে নেমেছেন। সেকেন্ড আমরা যেটা দেখতে থাকি সেটা হচ্ছে যে মেডিক্যাল কলেজ গুলতে যে ব্যালোট পেপারের খাম আসে সেগুলতে একটা অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করা যায়। বাইরে একটা খাম, সেই খামের ভেতর আরেকটা খাম যে খামে করে ব্যালোট পেপার পাঠাতে হবে এবং ব্যালোট পেপার। খাম খুলে দেখা যেতে থাকে যে ব্যালোট পেপার নেই। বড় খামের মধ্যে ছোট খাম আছে কিন্তু ব্যালোট পেপার অনুপস্থিত। এরকম বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ, নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, এই মেডিক্যাল কলেজ গুলতে অধিকাংশ টিচারের ব্যালোট এসে পৌঁছায়নি, খালি খাম এসছে। খালি খামের মধ্যে ছোট খাম। যখন এটা বুঝতে পারা গেলো তখন, টিচাররা যখন খাম খুলছেন তখন তার ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখছেন সেই ভিডিও রেকর্ডিং আমাদের সংগ্রহে আছে। থার্ড তারা যেটা করেন সেটা হচ্ছে যে, মনে করুন আমার নাম পুন্যব্রত গুন, আমার ঠিক HA-44, Saltlake Sector – III, Calcutta – 97, এই ঠিকানায় আর কোনো ডাক্তার কিন্তু থাকেন না। আমার ঠিকানায় একটি ব্যালোট পেপার এলো যাতে নাম আছে প্রিয়ব্রত গুন HA-44, Saltlake Sector – III, Calcutta – 97। এবার স্বভাবতই রেজিস্ট্রি চিঠি পোষ্টম্যান এসে কিন্তু আমাকে খামটা দিচ্ছে না, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দিচ্ছে না, কাউকে কাউকে পোষ্টম্যান দিয়ে দিয়েছে ভুল করে, এই খাম গুলো কিন্তু ফেরত যাচ্ছে। অর্থাৎ যারা ভোটার তাদের ঠিকানায় ব্যালোট পেপার আসছে কিন্তু ভুল নাম থাকার জন্য তারা ব্যালোট…

    ##########################

    আমরা এই যে অনিয়মগুলো হচ্ছে। এই অনিয়মগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গত ২৫ শে জুলাই দুপুর ১২ টা থেকে ৬ টা অবধি আমরা একটি অবস্থান করি কলকাতা মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে। রেজিস্ট্রারারকে একটা ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সেদিনই বিবেলবেলা তিনটের সময় একটি প্রেস কনফারেন্সে আমরা যখন রেজিস্ট্রারার মানস চক্রবর্তী কে ডেপুটেশন দিচ্ছি তখন উনি একটা অদ্ভুদ কথা বলেন; তাঁকে আমরা জিজ্ঞেস করি যে এই ভুল কেমন করে হচ্ছে, এই যে খামগুলো খালি যাচ্ছে তার মধ্যে কোনো ব্যালট পেপার নেই! তখন উনি বলেন যে, ব্যালট এবং খাম ছাপা হয়েছে সরস্বতী প্রেসে এবং সরস্বতী প্রেস থেকে ব্যালট এবং খাম গেছে জি.পি.ও তে, সেখানেই নাকি খামে ব্যালট ভরা হয়েছে, সুতরাং ভুল যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটা জিপিওর। তখন আমরা জিজ্ঞেস করি যে আমরা এটা প্রথম শুনছি যে জিপিওতে খামে ব্যালট ভরা হয়! জিপিওর তো কাজ কেবল চিঠিটাকে এক জায়গায় পাঠানো, খামে চিঠি ভরা কি তাদের কাজ? তখন তিনি বলেন যে জিপিওতে নাকি এরকম একটা সেকশন আছে যারা খামে চিঠি ভরে। তখন আমরা জিজ্ঞেস করি যে আপনি কি তাহলে সেখানে কাজটা ঠিকমতো হচ্ছে কি না দেখার জন্য কাউকে পাঠিয়েছিলেন? তখন উনি বলেন যে, "হ্যাঁ আমার দুজন লোক ছিল সেখানে, তাদের সামনেই কাজগুলো হয়েছে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ৩১ জুলাই ২০১৮ | ৩৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন